Author: UkhiyaVoice24

  • ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জনগন ভোট ডাকাতদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। তিনি বলেন,এ অবস্থা সরকার সৃষ্টি করে প্রশাসনকে দলীয়কাজে ব্যবহার করছে। সাংবিধানিক বিভাগগুলোকে সরকার নিজেদের স্বার্থে যা ইচ্ছে ব্যবহার করছে। সর্বত্র দলীয়করণে সরকার সকল ইতিহাস ব্রেক করছে। কাজেই সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সরে দাড়ালেই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।

    আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শরীয়তপুর সদর থানা শাখা আয়োজিত থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    থানা সভাপতি, মাওলানা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি, তানভীর আহমেদ বেলাল মোল্লার সঞ্চালনায় শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়াম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষকে মারা হলো। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

    আজ ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশীরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।

    আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্িরতষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন র্ঊধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রেীয় উপদষ্টো প্রফসের ড. আফম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরফিুল ইসলাম রিয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

    লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ :

    ১. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন দিতে হবে।

    ২. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।

    ৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রর্বতন করতে হবে।

    ৪. দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জডি়তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। লোডশেডিং-এর অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

    ৫. অবিলম্বে বিনা বিচারে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

    ৬. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    ৭. চট্টগ্রাম সিটির ভিতরে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

    ৮. ডেঙ্গু দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এই মহামারী থেকে জনগনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত ৯ আগস্ট রাতে লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হয়েছে। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় নিহতদের প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং লিবিয়ান সরকার ও নাগরিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা শিগগিরই যেন আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করেন। লিবিয়ান সরকার ও জনগণ এ শোক ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।

  • কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত,বিএনপির সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উখিয়া স্টেশন চত্বরে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ

    কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত,বিএনপির সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উখিয়া স্টেশন চত্বরে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ

    কজল আইচ।

    কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত,বিএনপির সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উখিয়া স্টেশন চত্বরে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হইবে।

    উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মুজিবুর রহমান মেয়র, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রনজিত দাশ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আজিম কনক। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

  • কক্সসবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কক্সসবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মো :হোসেন (সুমন)

    জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী হলো ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের এবাদাত, ইসলামিক জ্ঞান চর্চা, গবেষনাসহ ইসলামিক সংস্কৃতির সম্প্রসারণের জন্য উন্মুক্ত হলো কক্সবাজার সদর উপজেলা সহ ৩৪ জেলায় নব নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ।এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,চতুর্সহ মোট ২৫০টি।

    ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যায়ে কক্সবাজার সদর উপজেলাসহ সারাদেশে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল১০টা৩০ মিনিট এর দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশে ৫ম পর্যায়ে নির্মিত ৫০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র একযোগে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

    অনুমোদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ জায়গার উপর সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে জেলা পর্যায়ে চারতলা ও উপজেলার জন্য তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

    প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য জেলা শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা, উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

    এসব মডেল মসজিদে নারী-পুরুষের পৃথক ওযু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা আছ, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, হজ্জ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ও গাড়ি পার্কিং, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    কক্সবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা ইউএনও মোহাম্মদ জাকারিয়া,আরও উপস্থিত ছিলেন,
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুম, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি , মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতিমা,
    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা, আরও
    উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ,
    স্থানীয় জনসাধারণ,ইমাম মোয়াজ্জেম, মহিলা আওয়ামী লীগ এর নেত্রী,এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া,প্রিন্ট মিড়িয়াসহ।

  • জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে, জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা অবৈধ সরকারের পতন চায়। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিও টিকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ২৮জুলাই শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা না থাকায় জীবন এখন বিষিয়ে উঠেছে, অথচ সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, একটি স্বাধীন দেশের চিত্র এটা হতে পারে না।
    সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলসমূহের ন্যায্য আন্দোলনে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না। বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইলে তা আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মারুফের উপস্থাপনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসাইন, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একদল জালেম আরেক দল মাজলুম। অধিকাংশ মানুষ মাজলুম আর কতিপয় সরকারী সুবিধাভোগী দেশবিরোধী লোক জালেম। আওয়ামী সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ। এই অশুভ শক্তির নাগপাশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকার বারবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের বাজার অশান্ত করে গরীব মেহনতি মানুষের পেটে লাত্থি মেরেছে, মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ সরকার। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে, আওয়ামীলীগ গণবিচ্ছিন্ন সরকার। সুতরাং বিদেশের কাছে ধর্ণা দিয়ে যদি তারা ফের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন হবে দিবাস্বপ্ন। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশে আমরা কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করব না।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবাদের যে দ্রোহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সরকার পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। এতেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হয় আমাদের তা জানা আছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নচেৎ সরকার পতন আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচিতে ইসলামী যুব আন্দোলন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

  • ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের পতন আজ অনিবার্য হয়ে গেছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের অধিকার নেই। ভোটের অধিকার অনেক আগেই কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন বাক-স্বাধীনতাও কেড়ে নিচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিক অধিকারও কেড়ে নিয়ে ঘরোয়া কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে। সরকারের জনসমর্থন এখন তলানীতে। সরকার চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ আজ বাঘ-সিংহের ভুমিকায়। কিন্তু জনগণ একত্রিত হলে লেজগুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। সরকারদলীয় নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা ফেরাউনের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, নমরুদ, ফেরাউন ক্ষমতাধররাও টিকেনি, আপনাদেরও পতন অনিবার্য। তিনি বলেন, মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ, ভাল চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করুন।

    আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয় চত্বরে মোড়েলগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, যুবনেতা হাফিজুল হক ফাইজ, মুফতী শওকত ওসমান, পারভেজ মিয়া, সিয়াম, কাওছার মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

    পীর সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঠিকমতো ভ্যাট-ট্যাক্সও দেয় না, অথচ সব সুযোগ ভোগ করে তারা। তিনি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে করার সুযোগ দিয়ে দেশকে সংঘাতপূর্ণ অবস্থা থেকে রক্ষা করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মোড়েলগঞ্জে দলের নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম এর ঘরোয়া কর্মসূচিতে বাধা এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবার ইঙ্গিত। অতিউৎসাহী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, বিশেষ কোন দলের কর্মচারি নন। হিসেবে-নিকাশ করে কাজ করুন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় পুনরায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এজন্য জনগণের লাশের উপর দিয়ে হলেও ক্ষমতা শেখ হাসিনার চাই। ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যে দেশকে অনিশ্চিয়তার দিকে নিয়ে যাবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের মানুষ নানা সঙ্কট ভোগ করছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করলেও সরকারের কোন কর্মসূচি নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশকে অকার্যকর করে বিচার ও আইন বিভাগকে ধ্বংস করেছে। নির্বাহী বিভাগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকেও ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ বার বার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। অথচ তারাই নিজেদের স্বার্থে বার বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

    মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, অর্থ লুট-পাট, দুর্নীতি, দুঃশাসন, অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মানুষ মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা বঞ্চিত।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের প্রশাসনের লোকজন কাকে কিভাবে সম্মান করতে হয়, তা জানে না। একজন শীর্ষ আলেমের সাথে বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ মেনে নেয়া যায় না। দুর্নীতি, ঘুষ, চুরি-ডাকাতির উন্নয়ন হয়েছে। সর্বত্র ঘুষ ও দুর্নীতিতে সয়লাব।
    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ বলছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচির দিন আপনারা কেন সমাবেশ করবেন? তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করলে আমরা কেন পারবো না? তিনি বলেন, বড় দলগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনও রাজপথে শক্তি প্রদর্শণ করবে, ইনশাআল্লাহ।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করলে বাক-স্বাধীনতার প্রতিফলন হয় না। দেশে একটি অবৈধ সরকার জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। তিনি অবৈধ সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।