Author: UkhiyaVoice24

  • উখিয়াতে অপরূপ সৌন্দর্যে লাল শাপলা ফুলের সমাহার

    উখিয়াতে অপরূপ সৌন্দর্যে লাল শাপলা ফুলের সমাহার

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    উখিয়া মাছকারিয়া ডেবা লাল শাপলার সমারহ যে কারো দৃষ্টি আকৃষ্ট করে তুলতে পার।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা মাছকারিয়া ডেবার সৌন্দর্য বর্তমানে বাড়িয়ে দিয়েছে লাল শাপলা। পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাছকারিয়া ডেবা কে একটি পর্যটন এলাকায় রুপান্তরিত করা যেতে পারে। উক্ত এলাকার খাল-বিলগুলো এখন প্রায় শাপলা শালুকে পরিপূর্ণ। এবং বিভিন্ন মৌসুমি পাখি মাছকারিয়া ডেবায় বিচরন করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। লাল সাদা শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের সমারোহ দেখা যাচ্ছে এই ডেবায়।নিজ হাতে শাপলা উঠাতে হানা দেয় ডেবায় দূর-দূরান্ত থেকে আশা দর্শনার্থীরা ।

    অপরূপ বৈচিত্রের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন ধরনের ফুলে ফলে সৌন্দর্য্য বাংলার বৈচিত্র্যময়তাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করেছে। বিভিন্ন রকম ফুলের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি নিয়ে ‘শাপলা’ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, শ্রীলংকার জাতীয় ফুলও এই শাপলা। শ্রীলংকায় শাপলাকে নীল-মাহানেল বলে ডাকা হয়। ইংরেজিতে শাপলা বলা হয় Water lily যার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphea nouchali.

    ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ।

    আর সেসব জায়গায় ফোটে নানা রকম ফুল। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা অন্যতম।

    শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে ফুল।

    শাপলার পাতা আর ফুলের কাণ্ড পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে।
    মূল থেকেই নতুন পাতা জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়, কিন্তু নিচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায়। সাদা শাপলা দেশের জাতীয় ফুল। তবে উখিয়া মাছকারিয়ার ডেবায় লাল শাপলার এক বিশাল সমাহার।

    উল্লেখ যে মাছকারিয়ার ডেবা নাম করণ প্রাচীন যোগ থেকে মাছের ঘনি ( মাছের হাইজ্যা ) থাকায় একাধিক এলাকার মানুষ মাছ শিকারে আসতেন। সে থেকেই ডেবাটি মানুষের মুখে মুখে মাছকারিয়া ডেবা নামে পরিচিত লাভ করে।

    ফলিয়া পাড়া এলাকার সোহেল বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে লাল শাপলা ফুল দেখতে চলে আসি এখানে। জায়গাটিকে অনেকেই শাপলা বিল বলে চিনলেও এই জায়গাটির নাম মাঝকারিয়ার ডেবা। বর্ষা মৌসুমে যখন লাল শাপলা ফুল ফোটে, তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে এই লাল শাপলা ফুল দেখতে। মাঝকারিয়া ডেবায় তিন ধরনের শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর সেগুলো হচ্ছে লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের শাপলা ফুল। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা ফুলের দেখা মিলে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না।

    স্থানীয় দর্শনার্থী জাহিদুর রহমান বলেন , প্রচারের অভাবে এমন সুন্দর্য দেখতে দর্শনার্থীরা আসতে পারছেন না। আমরা কিছুদিন আগেও এসেছিলাম। আবারো আসলাম খুব অসাধারণ একটা জায়গা সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

    করিম মিয়া বলেন, সকালে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে অনেক মানুষ এখানে আসে। হাটু পানিতে নেমে তুলে নেয় লাল সাদা শাপলা ফুল। আবার শিশুরা শাপলা ফুলের ডগা দিয়ে তৈরি করে গলার মালা।

    ফুল হাতে এক শিশু বলে, সকালে আমরা এখানে লাল শাপলা তুলতে আসি। আমরা ফুল তুলি। ফুল তুলতে অনেক মজা হয়।

    উদ্ভিদবীদদের মতে, বেশির ভাগ ডেবা খাল বিল,জলাশয়ে পানি না থাকায় দিন দিন অস্বিস্ত সংকটে পড়েছে লাল শাপলার মত অনেক জলজ উদ্ভিদ।

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
    অদ্য ২৭ আগস্ট’২১ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর মিলনায়তনে নগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় ছাত্রদের মাঝে বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ তানভির হোসাইন। তিনি বলেন, বই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। দুঃসময়ে কেউ পাশে না দাঁড়ালেও বই আমাদের তখনো অতি আপনজন হয়ে সমস্যা কাটিয়ে তুলার পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়। জ্ঞান আরোহণের প্রধান উৎসই হলো বই। গুণিজনরা বেশি বেশি পড়তেন। তাই তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাও প্রচুর। ইসলামেও জ্ঞান অর্জনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের ছাত্রজীবন-ই হলো বই পড়া এবং জ্ঞান অর্জন করার উপযুক্ত সময়। আমাদের উচিৎ সময়ের অপচয় না করে বই পড়ে সময়কে কাজে লাগিয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তার করা। তাই ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন তার ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকিতে দেশের সকল শাখায় বই পাঠ ও বিতরণের মত একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। ইশা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই ইনশাআল্লাহ এদেশে একঝাঁক তরুণ মেধাবী ছাত্র সমাজ গড়ে উঠবে। এবং তারাই হবে আগামী দিনের জাতির কর্ণধার।

    উক্ত বইপাঠে অংশ নেয় চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা শাখার বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্ররা। বইপাঠ পর্ব শেষে ছাত্রদের নিয়ে বইসমূহের পর্যালোচনার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। দুই ধাপে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার হিসেবে নানান ধরনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার দেওয়া হয়।

    উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন সহ অন্যান্য নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।

  • ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি।। উখিয়া ভয়েস

    ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি।। উখিয়া ভয়েস

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়ি কলেজ ও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

    আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ফটিকছড়ি কলেজ অডিটোরিয়ামে একই ভেন্যু ও একই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ফটিকছড়ি কলেজ ও বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশের ২০০ গজ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ সময়টাতে সব ধরনের সভা, মিছিল-মিটিং, সমাবেশ ও দু’জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ আগস্ট সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ আইন বলবৎ থাকবে।

    এতে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

  • চট্টগ্রাম খুলশী এলাকা হতে ০১ টি বিদেশী পিস্তল এবং ০১ টি ম্যাগজিনসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র‍্যাব

    চট্টগ্রাম খুলশী এলাকা হতে ০১ টি বিদেশী পিস্তল এবং ০১ টি ম্যাগজিনসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র‍্যাব

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ২৬ আগস্ট ২০২১ ইং ০৭.১০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ০১ টি বিদেশী পিস্তল এবং ০১ টি ম্যাগাজিন উদ্ধারসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ শাহীন (২৫), পিতা-মোঃ শাহাবুদ্দিন, সাং-গাছুয়া ফুল ঘাট, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- ওয়ার্লেস কলোনী, থানা-খুলশী, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ২। মোঃ সুমন (৩৫), পিতা-মোঃ মোতাচ্ছের, সাং-ওয়ার্লেস কলোনী, থানা- খুলশী, চট্টগ্রাম মহানগর বলে জানা যায়।

    প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়সহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে আসছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর উদাত্ত আহবান

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর উদাত্ত আহবান

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, কক্সবাজার।

    আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর (দাঃবাঃ) এর উদাত্ত আহবান

    নব নির্বাচিত আমিরে হেফাজত, মুজাহিদে মিল্লাত, জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগরের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (দাঃ বাঃ) এক বিবৃতিতে বলেনঃ
    ‘গত ৯ ই মুহাররাম ১৪৪৩ হিঃ মোতাবেক ১৯ আগষ্ট ২০২১ ইং রোজ বৃহষ্পতিবার বেলা ১২ টায় চট্টগ্রামের সি এস সি আর হাসপাতালে আমার কলিজার টুকরা ভাগিনা, আমিরে হেফাজত শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ, এর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বর্তমান মজলিসে শুরা ও কার্যকরী পরিষদের পরামর্শে আমিরের পদশূণ্যতা পূরণের লক্ষ্যে রাত ১১.২৫ মিনিটে তাঁর জানাযার পূর্ব মুহুর্তে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম সাহেবের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের হাল ধরার জন্য বর্তমান আমির হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমার পক্ষে এত মহৎ দায়িত্ব আদায় করা খুবই কঠিন। কারণ আমি অনেক অসুস্থ। তারপরও যেহেতু নাম ঘোষণা হয়েগেছে। তাই আমি যথা সম্ভব আল্লাহর রহমতে দায়িত্ব পালন করা এবং আপনাদের সবার সুপরামর্শে এই ঈমানী সংগঠনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পুরা চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তবে আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করছি। বিশেষ করে ভবিষ্যতে হেফাজতে ইসলামের হাল ধরার জন্য আল্লাহ তাআলা যেন সৎ, মুখলিস ও যোগ্য নেতৃত্বের ব্যবস্থা করে দেন, এই জন্য সবাই দোয়া করবেন’।
    তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকীদা বিশ্বাস, ঈমান আমল, দ্বীনি চিন্তা-চেতনা ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার এই আন্দোলন এবং দল মত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনসাধারণের আস্থা ও ভক্তির আধার, সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ কে ধরে রাখা, বরং ধীরে ধীরে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঘোষিত হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সুন্দরভাবে চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য ও ঈমানী দায়িত্ব। আমাদের কিছু লোকেরা চলে গেছেন বলে হেফাজতে ইসলাম চলে যাবে এটা হওয়া উচিত নয়। মূলতঃ মানুষ পৃথিবীতে আসে ক্ষনিকের জন্য। কেউ এখানে চিরস্থায়ী হয় না। একদিন সবাই কে চলে যেতে হয়। তাই যতক্ষণ আমাদের প্রাণ আছে ততক্ষণ আমাদেরকে ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাস্ট্রীয় জীবনে সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মেহনত চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি সবাই মিলে মিশে কুরআন সুন্নাহ মতে সালাফের পদ্ধতি ও আকাবিরের উসূল মেনে কাজ করলে খুব শীঘ্রই আমরা হেফাজতে ইসলাম কে পূণর্বহাল করতে সক্ষম হব। বরং সময়ের সাথে সাথে একে আরো ত্বরান্বিত করতে এবং সমুন্নত রাখতে পারব ইনশা আল্লাহ।
    তাই আসুন! সবাই এক হয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি এবং হেফাজতে ইসলাম এর মতো একটি সর্বস্তরের মুসলিম জনতার সংগঠন থেকে দেশ ও জাতির আশা-আখাঙ্কা পূরণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করি, যাতে করে মানুষ তাদের দ্বীন-ঈমান ও আমল-আখলাকের ব্যাপারে স্বস্থি ফিরে পায়।
    আমি বাংলাদেশের সকল তৌহিদী জনতার কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সব ধরণের ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে পূর্বের ন্যায় সম্মিলিত ভাবে পূর্ণ ইখলাসের সহিত কাজ করে হেফাজতে ইসলামের হাত কে মজবুত করুন। এভাবে কাজ করলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুসলিম জনতার প্রাণের আশা পূরণে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
    আমি দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের দেশ ও জাতিকে সবধরণের সংকট ও বালা মুছীবত থেকে রক্ষা করেন। আর যেন সদ্য প্রয়াত আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং তাঁর পূর্বের আমিরে হেফাজত শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী কে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁর রেজামন্দির উদ্দেশ্যে দ্বীনের কাজ করার তৌফীক দান করেন। আমীন

  • মানবতার সেবায় নিয়োজিত কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল, স্হান পরিবর্তন করা হবে

    মানবতার সেবায় নিয়োজিত কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল, স্হান পরিবর্তন করা হবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সর্বপ্রথম বেসরকারি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, উখিয়ার বাণিজ্য কেন্দ্র ও ব্যস্ততম শহর কোটবাজার স্টেশনে ২০১৫ সালে শুরু হয় Origin Hospital. প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে সম্মাননা প্রদান ও ঘরে ঘরে ক্যালেন্ডার পাঠানোসহ যাবতীয় মানুষের সেবা করায় ভালবাসা লাভ করেছেন কোটবাজার Origin Hospital.

    উক্ত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে
    নিয়মিত রোগী দেখেন

    ডাঃ রবিউর রহমান রবি
    ডাঃ দেলোয়ার হোসেন
    ডাঃ এ. এইচ. সুমন
    ডাঃ শাহীন আক্তার
    ডাঃ আরিফা মেহের রুমি
    ডাঃ মেরাজ হোসাইন চয়ন
    ডাঃ মাসুমা নাসরিন শিফা
    ডাঃ কানন বড়ুয়া
    ডাঃ জেসমিন আক্তার
    ডাঃ সেলিম শাহ বাবু
    ডাঃ রাবেয়া সুলতানা
    ডাঃ তাজরীনা ইসলাম।

    এছাড়াও আরো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে চেম্বার করেন বলে জানান
    হাসপাতাল পরিচালক এমডি মুহাম্মদ ইউনুছ।

    এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল হইতে সেবা দিয়ে আসছেন কোটবাজার স্টেশনের প্রধান সড়কের পূর্ব পাশে তোফাইল ফাতেমা শপিং কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়।

    হাসপাতাল পরিচালক কমিটির পরামর্শ ক্রমে স্হান পরিবর্তন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন ঠিকানা হচ্ছে কোটবাজারের কাঁচা বাজারের পশ্চিম পাশে এস. আলম প্লাজা, প্রধান সড়ক, কোটবাজার।
    অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালের স্হান পরিবর্তন ও ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হবে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির এমডি মুহাম্মদ ইউনুছ ভাই।

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে পথশিশুদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে পথশিশুদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে অদ্য ২৩ আগস্ট’২১ রোজ সোমবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে নগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় পথশিশুদের জন্য শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    শিক্ষা আসরে পথশিশুদেরকে কুরআন ও ইসলামী বুনিয়াদি শিক্ষা এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করানো হয়। পাশাপাশি তাদেরকে নামাজ পড়া, সদা সৎপথে চলা, সত্য বলার প্রতি উদ্দীপ্ত করানো হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ৮০ দশকের মধ্যভাগ থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে দেশে নেমে আসে বিভীষিকাময় অধ্যায়। দেশের ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বার্থান্বেষী মহল। ছাত্রদেরকে দিয়ে ঘটানো হয় খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড। ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাত্রদের। তখন তাদের উন্নত চরিত্র গঠন, লেখাপড়ার মনোযোগ ও শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেই গুরুত্বকে উপলব্ধি করেই ৯০ দশকের প্রথমেই ১৯৮১ সালের ২৩ শে আগস্ট তৎকালীন প্রখ্যাত সুফি সাধক ও রাজনীতিবিদ মরহুম মাওলানা ফজলুল করীম রহঃ (পীর সাহেব চরমোনাই) প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নামের একটি ছাত্র সংগঠন। যা ১৯৯১ থেকে ধারাবাহিকভাবে আজও দেশের আপামর সাধারণের কল্যাণ ও ছাত্রদের অধিকার আদায়ে দলমত নির্বিশেষে পরিচালিত হচ্ছে।
    তিনি পথশিশুদের ইশা ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হয়ে তাদেরকে উন্নত জীবন গঠনের প্রতি আহবান করেন।

    শিক্ষা আসর শেষে পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক শাজাহান হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ সহ থানা নেতৃবৃন্দ মুহাম্মদ রিমন ও মুহাম্মদ মুজাহিদ।

  • আল্লামা জুবায়েদ বাবুনগরীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আল্লামা জুবায়েদ বাবুনগরীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বাতিলের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদী ছিলেন
    – জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বুজুর্গ আলেমদের অন্যতম একজন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বাতিল ও আল্লাহ বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় অত্যন্ত প্রতিবাদী ছিলেন। বিভিন্ন ফেরকায়ে বাতিলার বিরুদ্ধেও ময়দানে কাজ করেছেন তিনি। তিনি হাটহাজারী মাদরাসাসহ বিভিন্ন মাদরাসায় হাদীসের দরস দিয়েছেন সুনামের সাথে। আল্লামা বাবুনগরীর হাজার হাজার ছাত্র ও ভক্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। তার ইন্তেকালে দেশবাসী একজন দীনের মর্দে মুজাহিদকে হারালো। যার অভাব দীর্ঘদিন অনুভুত হবে।

    আজ (২১ আগষ্ট ২১) শনিবার বিকেলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যবির্বাহী কমিটির মাসিক সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামালুদ্দিন সিরাজ, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আব্দুল আজিজ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মুফতি আখতারুজ্জামান, মুফতি রফিকুন্নবী হাক্কানী, মুফতি সানা উল্লাহ নুরী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবী, মাওলানা রেদওয়ান আহমেদ প্রমুখ।

    সভা শেষে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

    নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

     

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের ৪ মাস ১৯ দিন পর অবশেষে আজ থেকে (১৯ আগস্ট) শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী, পাথর রাণী বিচ সহ কক্সবাজারের সব বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে । করোনার কারণে প্রায় ৪ মাস ১৯ দিন ধরে অন্যান্য পর্যটন স্পষ্টের পাশাপাশি ইনানী সমুদ্র সৈকতেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে পর্যটকশূন্য ছিল সৈকত।

    বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আবারও চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। বিকেলের মধ্যেই ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোও প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠছে।

    বরণ করে নিতে পর্যটকদের ইনানী ও আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো পরিচ্ছন্নতা শেষে উপযোগী করে আজ পুণরায় চালু হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন এর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। এমনকি সৈকতে মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দুরত্ব, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই তিন ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

    সাগর পাড়ের বিচ মার্কেট, সৈকতের কিটকট, বিচ বাইক ও জেটস্কি, প্যারাসেইলিংসহ সব কিছুতেই দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে চিরচেনা ইনানী সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থীরা। দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
    পর্যটকদের সমাগমে ইনানী সমুদ্রসৈকত এখন মুখরিত। নেচে-গেয়ে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দী মানুষ মিলিত হয়েছে প্রাণের স্পন্দনে।সব কিছু মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সুনসান নীরব পর্যটনকেন্দ্র ইনানী পুনরায় ফিরে পেয়েছে পূর্ণতা। সৈকতের দর্শনীয় স্থানগুলো বাইকে ঘুরে দেখছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

    স্থানীয় দর্শনার্থী আহমেদ শফি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি কারণে সৈকত প্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৈকতে প্রবেশে শিথিলতার আসার পর ঘুরতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ সমুদ্র সৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান।”

    ঢাকা থেকে আসা পর্যটক করিম বলেন, “ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে সৈকত দেখতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।”

    আরেক পর্যটক তাহমিনা বলেন, “এখন সৈকত দেখে মনে হচ্ছে সেই পুরানো চিরচেনা সৈকতকে ফিরে পাচ্ছি জনগণের সমাগম দেখে। শুধু বাড়তি যুক্ত হয়েছে কিছু মানুষের মুখে মাস্ক আছে, আবার অনেকে হ্যান্ডস গ্লাভস রয়েছে। কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে, আবার অনেকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। যা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতি।”

    বিচ চালক হামিদ বলেন, “অনেক দিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছি। কারণ সৈকতে মানুষজন আসছে। তাদেরকে বিচ বাইকে চড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন হচ্ছে।”

    ফটোগ্রাফার আব্দুল্লাহ বলেন, “দর্শনার্থীদের ছবি তুলতে ক্যামেরা হাতে সৈকতে নেমেছি অনেক দিন পর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৫’শ টাকা আয়ও করেছি। এখন খুবই খুশি লাগছে।”

    আজ থেকে আবারও চিরচেনা সেই পুরনো রূপে ফিরবে সমুদ্র সৈকত। থাকবে না আর পাখিদের কিচিরমিচির ও সাগরলতার স্বাধীন চৈতন্য।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলাকালে চলতি বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হয়েছে (১৯ আগস্ট)। গত ১০ আগস্ট থেকে দেশের সব বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া হয়।

  • আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন

    আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন

    বার্তা সম্পাদক আলমগীর ইসলামবাদী।

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এর আমীর মজলুম জননেতা আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন) অদ্য ১৯ আগস্ট ২০২১ ইং, ৯ মুহররম ১৪৪৩ হিজরী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২, ৫০ ঘটিকার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

    দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

    তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস।
    তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে জুনায়েদ বাবুনগরী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা।

    মুহাম্মদ জুনায়েদ (যিনি জুনায়েদ বাবুনগরী নামে অধিক পরিচিত) (৮ অক্টোবর ১৯৫৩ – ১৯ আগস্ট ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অনুসারীরা তাকে ‘মজলুম জননেতা’, ‘কায়েদে মিল্লাত’, ‘আপোষহীন সিপাহসালার’ ইত্যাদি উপাধিতে ডেকে থাকে। তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ইউসুফ বিন্নুরীর শিষ্য। মুসলিম নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি ২০১৩ সালের হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন।