Author: UkhiyaVoice24

  • কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    এইচ এম সাইফুল নূর, স্টাফ রিপোর্টার,কলাপাড়া, পটুয়াখালীঃ

    কলাপাড়ায় কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম (২২) আজ শনিবার বেলা ১১টায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি অবশেষে হেরে গেলেন। গত ২৮ জুলাই রাত নয়টার দিকে তেগাছিয়া বাজারের দক্ষিণ দিকে স্লুইস সংলগ্ন সড়কে আটকে বেধড়ক কুপিয়ে রাকিবুলের ডান হাতের কব্জি বরাবর কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রাকিবুল ইসলামের মা রাহিমা বেগম ২৯ জুলাই রাতে কলাপাড়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি নোমান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, নয়ন বয়াতী ও রুবেল সিকদারকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। মামলায় ছাত্রলীগের মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রুবেলকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করছেন মানুষ।

    স্থানীয়রা জানান, রায়হান ও তাঁর ছোট ভাই তরিকুলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এরা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার, আজিমদ্দিন, মেলাপাড়া, সাফাখালীতে ত্রাস করে আসছে। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা মহড়া দেয়। সালিশ, সরকারি খাল দখল, মাছের ঘের দখল করাই হলো এ বাহিনীর কাজ। কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকি আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কফিল উদ্দিন জয়,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি।

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়া এলাকা হইতে ফের ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সদস্যরা।

    ৬ আগস্ট ২০২১ খ্রুিঃ শুক্রবার ১,৪৫ ঘটিকার দিকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি চৌকষ আভিযানিক দল উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড করইবনিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাচারকৃত বিদেশ প্রবাসীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বিপুল পরিমান ইয়াবা রাখার গোপন স্থানে হানা দিয়ে ব্যাপক তল্লাশী করে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ইয়াবা যার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
    যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

    এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পহেলা জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত ২২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৪৭জনকে আটক করা হয়।।।

     

    উপজেলার একই এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট
    কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জানান।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১,১৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়ার পাহাড়ী জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বস্তাবর্তী ৪ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যদের অভিযানে এসব ইয়াবা জব্দ করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
    বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঐ সময় বিজিবির ওপর সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবি ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এতে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পৃথক অভিযানে জব্দকৃত ইয়াবা ৪১ কার্ট মূল্য প্রায় ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ইয়াবা জব্দের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া গ্রামের বড় ইয়াবা সিন্ডিকেটের পরিচালক, সহযোগিরা সকল সদস্য রাত্রে ইকবালের গ্রুর ফার্মে থাকলেও দিনের বেলায় যার যার স্হানে চলে যায় বলে স্হানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে রাতে পাহাড়া দেয়ার জন্য হাজারো ২০ থেকে ৩০ জন ইয়াং যুবককে ১০০০ করে বেতন দেয় দৈনিক।

    এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়ার পালং এর অধ্যশতাদিক যুবক ও ছাত্ররা। সিন্ডিকেটের মূল ইয়াবা পরিচালক হিসেবে রয়েছে নুর হোসেন চেয়ারম্যান, ইকবাল, হাকিম আলী, ভুট্টো, হানিফের ছেলে মিজান, রশিদ এর ছেলে ইউনুস ফারুক, বোরহান উদ্দিন, আরো অনেক নারী পুরুষের নাম তাকলেও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে সব সদস্যের নাম বের করা সম্ভব হবে বলেন স্হানীয় জনগোষ্ঠী

  • মাওলানা মোজাম্মেল হক এর আব্বার ইন্তিকালে বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর শোক প্রকাশ

    মাওলানা মোজাম্মেল হক এর আব্বার ইন্তিকালে বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর শোক প্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম সহ প্রতিনিধি

    (০৫ আগষ্ট ২১) বৃহস্পতিবার বিকাল ০৪.২০ মিনিটের সময়
    জালিয়াঘাটা তাজবীদুল কুরআন বালক-বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদর ও বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মোজ্জাম্মেল হক সাহেবের আব্বাজান জনাব মাওলানা মাহমুদুল্লাহ সাহেব ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন।

    আগামীকাল ০৬ আগষ্ট-২১ (শুক্রবার) সকাল ১০ টার সময় মরহুমের পারিবারিক জামে মসজিদের মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত জানাজায় সকলেই শরীক হয়ে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করুন!

    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদর ও বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মোজাম্মেল হক এর আব্বাজান মাওলানা মাহমুদুল্লাহ (রহ.) এর মৃত্যুতে বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল করিমসহ বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বশীলবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন।

    বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী পরিচালনা পরিষদ নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং পরিবারের সবাইকে মহান অাল্লাহ তা’আলা ছবরে জমীল দান করুক।

    আল্লাহ তা’আলা মরহুমকে কবুল করুন এবং
    জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক.

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক,
    বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী,চট্টগ্রাম।

  • বিদ্যুতিবহীন পাহাড়ি জনপদে ৪০ হাজার সোলার হবে: বীর বাহাদুর এমপি

    বিদ্যুতিবহীন পাহাড়ি জনপদে ৪০ হাজার সোলার হবে: বীর বাহাদুর এমপি

    কফিল উদ্দিন (জয়),নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ

    ঘুমধুম,তুমরু সহ নাইক্ষ্যংছড়ির ক্ষতিগ্রস্থ সব রাস্তা-ঘাট দ্রুত মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

    বৃহস্পতিবার সকালে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সম্প্রতি সীমান্তের তুমরু গ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসের ৬ শত ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্টানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, বন্যায় যেসব ধানি জমির ক্ষতি হয়েছে এ সব এলাকায় সেচ পাম্প, ধান মাড়ানী, স্প্রে মেশিন সব দেয়া হবে। পাহাড়ে হবে কপি ও কাজি বাদাম। এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ থাকবে না।

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর।

    তিনি আরো বলেন, পাবর্ত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে সর্বপ্রথম ঘুমধুমেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয় বিগত দিনে । এখন দূর্গম দৌছড়িতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ । আর যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ যেতে সময় লাগবে সে সব এলাকায় অতিদ্রুত ৪০ হাজার সোলার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে।

    করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সবাইকে করোনার টিকা দিতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।

    ত্রাণ কাজে ত্রাণ সহায়তা করেন জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়, রেডিয়েন্ট ওয়াইন্ড ফার্ম, ব্যবসায়ী হেলাল, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।

  • খরুলিয়াতে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি কাফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার

    খরুলিয়াতে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি কাফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার

    মোহাম্মদ জিয়া।কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে মোর্শেদ কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি কফিল উদ্দিনকে (১৫) রামু জোয়ারিয়ানালা থেকে জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে স্থানীয় জনতা ধরে সকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এবং ঝিলংজার চেয়ারম্যানের কাছে খবর দেয়। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের হাত থেকে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।

    গ্রেফতারকৃত কফিল উদ্দিন ঝিলংজার ৮ নং ওয়ার্ডের খরুলিয়ার কোনারপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ফরিদের ছেলে। ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, খরুলিয়ার আলোচিত মোর্শেদ কামাল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কফিল উদ্দিন গভীর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ট্রাকযোগে কক্সবাজার আসার এমন খবর পাই স্থানীয় ট্রাক চালক নুরুল আজিম।

    এসময় আজিমসহ আরোও কয়েকজন যুবক মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে তাকে ধরে খরুলিয়া বাজারে নিয়ে আসেন বলে খবর পাই। পরে সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গীয়াসকে ফোন দিলে এস আই ফরিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটস্থলে আসলে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কফিলকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বিকেলে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার ছলিমের দোকানের সামনে কফিল উদ্দিন ও মোর্শেদ কামালের মধ্যে ঠাট্টার ছলে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় একে অন্যজনকে তিরস্কার করেন। এই সামান্য বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মোর্শেদ কামালের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কফিল উদ্দীন। এতে মোর্শেদ গুরুতর জখম হন।

    দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লিংকরোডস্থ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে ডুলাহাজারা পর্যন্ত গেলে গাড়িতে মোর্শেদ কামালের মৃত্যু হয়। নিহত মোর্শেদ ঘাটপাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত মোর্শেদ কামালের মা মোস্তফা বেগম বাদী হয়ে কফিল উদ্দিনকে প্রধানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন

  • চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ০১ ভিকটিম উদ্ধারসহ ০২ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ০১ ভিকটিম উদ্ধারসহ ০২ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    গত ২৭/০৬/২০২১ ইং তারিখ কতিপয় অপহরণকারী ভিকটিম কে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় গত ১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়; যার মামলা নং- ১৮, তারিখ-১৫/০৭/২০২১ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/২০০৩) এর ৭/৩০। উক্ত ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম মহানগরীরর কর্ণফুলী থানাধীন খইদ্দারটেক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০১ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ ০৮৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। সরোয়ার আলম (৪০), পিতা- মৃত ওসমান গনি, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা, ০৫নং ওয়ার্ড, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ শহিদুল্লাহ (৩৭), পিতা- মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা ইউপি, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রামদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ঘটনা স্থল হতে ভিকটিম কে উদ্ধার করে। আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত অপহরণের সত্যতা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • উখিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ এর ইন্তেকালে হাজার মানুষের ঢল

    উখিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ এর ইন্তেকালে হাজার মানুষের ঢল

    শোক বার্তা

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব ও উখিয়া উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ সাহেব হুজুর অদ্য ৩০ জুলাই ২০২১ ইং, জুমাবার সকাল ৮ ঘটিকায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ) আজ বিকাল ৫,৩০ মিনিটের সময় উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ সম্পন্ন। হুজুরের মৃত্যুতে ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

    মৃত্যুকালে হুজুরের বয়স ৬৭ এবং তিনি ৩ ছেলে ৩ মেয়ে স্ত্রীসহ শত শত ছাত্ররা রেখে যান। জানাযার পূর্বে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব অধ্যাপক মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ও অন্যঅন্য নেতৃবৃন্দ।

    জানাযার ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা আবু নাছের

    হে আল্লাহ মরহুমের কবরকে জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দিন। আমীন

  • বাঁশখালীতে দাওয়াতুন্নবী(স.) সংস্থার উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরন

    বাঁশখালীতে দাওয়াতুন্নবী(স.) সংস্থার উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি ও সমাজিক সংগঠন “সরল দা’ওয়াতুন্নবী (সাঃ) সংস্থা”র উদ্যোগে আজ (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকালে সরল এলাকার শতাধিক দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ হিসাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসাব উপস্থিত ছিলেন, সরল আমিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুদ্দৌলা চৌধুরী। সরল দাওয়াতুন্নবী সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে উক্ত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুশ শাকুর সাহেব, সেক্রেটারী মাওলানা নেজাম উদ্দীন আল-হোসাইনী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হাসান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম বোয়ালী, মাওলানা সোহাইল মাহমুদ, মাওলানা শাহেদুর রহমান, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, ত্রাণ কমিটির অর্থ সচিব, এডভোকেট মাওলানা হাফেজ আব্দুল হান্নান, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা আবু ছৈয়দ, মাওলানা আজিজ ইউসুফ, মাওলানা আহমাদুর রহমান, মাওলানা জসিম উদ্দীন মিছবাহ, মাস্টার শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ। তাছাড়া এলাকার মান্যগন্য লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরল মালেকা বানু বাজার কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী এবং সংস্থার বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল আজীবন সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ইমরান তৌহিদ রানা, নবম ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে নাসি খালে ঢলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার দিকে ২জন,পরে আরেক জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্বিসের ডুবুরির দল। এর আগে দুপুরে মোহাম্মদ ফারুক (২৫), মোর্শেদ আলম (১৮) ও দোলোয়ার হোছেন (২০) নামের তিন যুবক নাসি খালে মাছ ধরতে গিয়ে ঢলের পানিতে ডুবে যায়। ঘটনার পর থেকে দমকল বাহিনী ও সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী এবং স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধারের অনেক তৎপরতা চালায়। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা পরও মোহাম্মদ ফারুক, মোর্শেদ আলম ও দোলোয়ার হোছেনকে জীবত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে পৌছে। পৌনে ৫টা থেকে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছিল। এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে তিন যুবক ডুবে যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল। অবশেষে মৃত হলেও তাদের পেয়ে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। অদ্য ২৯ জুলাই সকাল ১১ ঘটিকার সময় ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ডের দরগাহপাড়া বারআউলিয়া মসজিদের মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযার নামাজ আদায় করা হয়, পরবর্তীতে কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। উক্ত জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী, ঈদগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ও ইসলাম পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর আলহাজ্ব আব্দু শুকুর সহ স্থানীয় লোকজন এবং দুরদুরান্ত থেকে আগত রাজনীতিবীদ ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীর লোকজন। জানাযায় উপস্থিত জনতার সামনে সোহেল জাহান চৌধূরী মৃত্যু ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ঈদগাঁও ইউনিয়নের আপামর জনতার পাশে সুখে-দুঃখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সার্বক্ষনিক পাহারায় ছিলাম,আছি এবং আগামীতেও থাকব ইনশাহআল্লাহ। উক্ত তিন যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানাযা শেষে টানা প্রবল বৃষ্টি কারণে দরগাহপাড়ায় ভেঙ্গে যাওয়া বাড়ীঘর গুলো পরিদর্শন করেন সোহেল জাহান চৌধূরী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে অতি সহসায় ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন, এবং গতকাল কক্সবাজার সদর রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, কউক চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল ফুরকান আহমদ, সদর উপজেলার ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, এবং ঈদগাঁও থানা পুলিশ, রামু ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম থেকে আগত ডুবুরি টিম সার্বক্ষণিক সহযোগিতা এবং খোঁজ খবর রাখেন, এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার করে তিন পরিবারকে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ অর্থ বুঝিয়ে দেন, পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে।

  • রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    জয়নাল আবেদিন জয়, রামু প্রতিনিধি

    কক্সবাজার রামু বাকঁখালী নদীর ভয়াবহ ভাংগনে বিলীন হচ্ছে বসতঘর, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও চাষের জমি।
    কিছু দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভাংগন আরো তীব্র হয়ে উঠায় আরো নতুন নতুন ঘরবাড়ি ভাংগনের কবলে পড়ে। ফলে চরম আতংকে দিন যাপন করছে এখানকার মানুষ।
    বিগত একযুগে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলী
    ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাঝিরকাটা পর্যন্ত এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষজন অনেক কিছু হারিয়েছে। এ সময়ে অন্তত শত শত বসতঘর, দুনকে-দুন চাষের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ নদীর ভাংগনে। ফলে এখানকার নদী ভাংগনে ঘরবাড়ি হারানো লোকজন অনন্যোপায় হয়ে বনবিভাগের জমিতে বা আশপাশে চিপা জমিতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এলাকার লোকজন যেভাবে তাদের সহায় সম্পদ হারিয়েছে তা প্রকাশের ভাষা নেই।
    গর্জনিয়ার ৬নং ওয়ার্ড- মাঝিরকাটা বেশির ভাগ এলাকা রামু উপজেলার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে। মাঝির কাটার ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাষ্টার ইসহাক স্যারের বাড়ির মোড় বাঁকখালী নদী এলাকা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এখানে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কবর স্তান নদীর ওপারে চলে গেছে, হারিয়ে গেছে গরীব অসহায় মানুষের বাপ দাদার বসত ভিটা। এ নিয়ে স্তানীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে, ভয় আর আতংক নিয়ে মানুষের জীবন কাটছে। সরকার বা স্তানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকে স্বপ্ন দেখিয়েছে এই সব সমাধান করার জন্য, বিএনপি সরকার থেকে বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকার দীর্ঘ ১৫
    বছর পর্যন্ত কেউ বাঁকখালী নদী ভাঙ্গনের
    প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
    এ বিষয়ে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র সহযোগিতায় উত্তর মাঝিরকাটা থেকে মরহুম ইসলাম সাহেবের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২০টি পয়েন্টে ৫০টি গাছের বল্লী বাঁধ দিয়েছিলো, তা কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছিল। এরপর আর বাঁধ নির্মানে কেউ উদ্যোগ নেইনি আজ পর্যন্ত। আজ গর্জনিয়া নদীর পাড়ের মানুষ গুলো বড়ই হুমকিতে দিন কাটাচ্ছে।
    নদী পাড়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামীন এলাকার এ বাঁকখালী নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।