Author: UkhiyaVoice24

  • পরিবেশ দূষণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রভাব রয়েছে -পীর সাহেব চরমোনাই

    পরিবেশ দূষণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রভাব রয়েছে -পীর সাহেব চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলশ্রুতিতে পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষিত হচ্ছে। লাগামহীন ক্ষমতার প্রভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী-নালা অবৈধভাবে ভরাট করছে, বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে, অবৈধ বালু উত্তোলন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। আর এই সকল কাজের উৎস রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।

    আজ ২৮ জুলাই ইসলামী যুব আন্দোলন-এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে ১লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে চরমোনাই জামিয়া ক্যাম্পাসে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বিশ্বের পরাশক্তি গুলো পারমাণবিক শক্তি তৈরি ও এর মহড়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক গ্যাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছে, এবং অতি যান্ত্রিকতার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়েই চলছে। আর এর ফল বহন করতে হচ্ছে সারা বিশ্বকে। তাই তিনি পরিবেশ দূষণকারী গ্যাস নির্গমণ কমিয়ে আনার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
    বৃক্ষরোপণ উদ্বোধনকালে তিনি আরো বলেন, সুজলা সুফলা ছয় ঋতুর এই দেশ, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার অনেক বড় একটি নিয়ামত। তাই এই নেয়ামতকে রক্ষার জন্য এবাদত এর অংশ হিসাবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সাধ্য অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় যুবকল্যান ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মাওলানা ইউনুছ তালুকদার, বরিশাল মহানগর সভাপতি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের সদর প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা কবলিত রামু ও নবগঠিত ৯ম ঈদগাঁও উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জননেতা জনাব আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

    গত ২৮ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
    পরিদর্শনকালে এমপি কমল রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের খবরা-খবর নেন এবং দুর্গত মানুষের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। পরে তিনি নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার ঈদগড় সংযোগ সড়কের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এসময় খবর পেয়ে প্রবল বর্ষন ও কাদা অপেক্ষা করে ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়ার নাসি খালে নিখোঁজ তিন সহোদরের উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে ছুটে যান এমপি কমল।
    পরিদর্শন কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক দিয়ে ঈদগড়ের বিশ হাজারের অধিক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পঁচিশ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল। ওই এলাকায় রাবার, পান, বিভিন্ন সবজি ও ফল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে চাষীদের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে না হয় মতো প্রবল বর্ষনে বিধ্বস্ত হওয়া সড়কের অংশ বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট এলজিইডিকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
    এমপি কমল, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এমপি কমল প্রয়োজনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে দুর্গত অনাহারি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে যারা ইতিমধ্যে দুর্গতদের পাশে দাঁিড়য়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বন্যা দুর্গত কোন মানুষ যাতে অনাহার না থাকে আমরা সে ব্যাবস্থা করবো। সকলের কাছে আমরা খাবার পৌঁছে দেব।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আদনান, সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী, রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ফরিদুল আলম, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রামু যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, যুবলীগ নেতা ওসমান গণি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মুরুব্বি, ছাত্র ও যুবসমাজের নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন।
    অন্যদিকে বুধবার বিকেল থেকে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা দুর্গত অনাহারি মানুষের জন্য রান্না করা খাবার দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। আওয়ামী পরিবারের একদল স্বেচ্ছাসেবক এ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক। তিনি জানান, বন্যাকবলিত সকল অসহায় মানুষ যাতে খাবার পায় এমপি কমল মহোদয় সে ব্যবস্থা করেছেন।

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে অসঙ্গতি,ক্ষোভে ফুসছে শিক্ষার্থীরা-নুর আহমেদ সিদ্দিকী

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে অসঙ্গতি,ক্ষোভে ফুসছে শিক্ষার্থীরা-নুর আহমেদ সিদ্দিকী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    গত (২০ জুলাই২১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ ২০১৯ এর ফলাফল প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত ফলাফলে পাশের হার দেখানো হয়েছে ৭২ শতাংশ। এই ফলাফলে অসঙ্গতি আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না হওয়ায় ক্ষোভে ফুসছে তারা।চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে আজ (২৭ জুলাই ২১) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে একটি ডিপার্টমেন্টে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন একই বিষয়ে ফেল করেছে। চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজ থেকে পাস করা জাহেদুল ইসলাম জানান,
    তাদের ডিপার্টমেন্টে মাত্র ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে ২১ জন ছাত্র ছাত্রী একই বিষয়ে ফেল করার কোন মানে হতে পারেনা। যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে ভালো ছাত্র ছাত্রীও রয়েছে।নিশ্চয়ই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ফলাফলে অসঙ্গতি রয়েছে।

    একই কলেজের শিক্ষার্থী জহিরুল বলেন,আমি অবশ্যই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবো।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অসঙ্গতি কখনো মানা যায়না।আজ আমাদের মন ভালো নেই।কেন শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে?২০২০ সালে মার্চের ৩০ তারিখ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার অজুহাতে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।দেড় বছর পর ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতেও অসঙ্গতি এবং মাত্রাতিরিক্ত ফেল আমাদের ডিপ্রেশনে ফেলে দিয়েছে।উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় আচরণ করা।

    চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র ফরিদুল করিম জানান,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে সে সন্তুষ্ট নয়।আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় সে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র ইমাম হোসেন জানায়,সে চার বছরে কোন সাবজেক্টে ফেল করেনি।অথচ সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে তাকে মনোদর্শন বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে।সে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আদৌ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে কিনা সন্দেহ থেকে যায়।সে অবশ্যই বোর্ড কে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান দায় নিতে নারাজ।তিনি বলেন,পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা আর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেছে শিক্ষকরা।উপস্থিত থাকার পরও যদি ফেল আসে তাহলে খতিয়ে দেখা হবে।তিনি আরো জানান,ফলাফলে কোন অসঙ্গতি থাকলে তা পুনঃনিরক্ষণের জন্য ২৯জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ২১ আগস্ট শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

  • আনোয়ারা রায়পুরে মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামের মধ্যে মারামারি

    আনোয়ারা রায়পুরে মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামের মধ্যে মারামারি

    আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৩নং রায়পুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

    অধ্য (২৪ জুলাই ২১) শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান,শুক্রবার রাতে উপজেলার রায়পুর গ্রামের বাদিল্লার বাড়িতে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।

    এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা পার্শ্ববর্তী চুন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মো.শাহেদ(২৮) একটি পক্ষ নেন। এতে ওই বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে শাহেদ ওই বাড়ি ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যান।

    এ ঘটনায় পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক বসার কথা ছিল। শনিবার সকালে লোকজন নিয়ে শাহেদ ওই বাড়িতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় রায়পুর বাদিল্লা বাড়ির লোকজন স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসছে বলে ঘোষণা করে। এর জের ধরে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

    আহতদের কয়েকজনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
    ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,জানে আলম বলেন,এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কয়েকদিনের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন,এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ঈগলকে সুস্থ করতে তরুণ প্রজন্মের ছাত্র নেতার প্রাণপন চেষ্টা

    ঈগলকে সুস্থ করতে তরুণ প্রজন্মের ছাত্র নেতার প্রাণপন চেষ্টা

    সাহিদুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা

    ভোলার লালমোহনে অসুস্থ একটি ঈগল পাখিকে সুস্থ করে তুলতে প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন মোরশেদ আলম সুজন নামে এক যুবক। পাঁচ দিন আগে ওই ঈগলটিকে ডান পাশের ডানা ভাঙা, পা ফোলা ও জ্বরসহ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চৌমুহনী বাজারের নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে পাখিটির চিকিৎসা চালাচ্ছেন যুবক মোরশেদ আলম সুজন। নিজ খরচে ঈগলটিকে গরু, হাঁসের মাংস ও মাছ খাওয়াচ্ছেন তিনি। সুজনের এমন উদারতায় মুগ্ধ এলাকাবাসীও। এরআগে গত বছর একটি অসুস্থ বন বিড়াল উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছিলেন তিনি।

    মোরশেদ আলম সুজন ঢাকাস্থ লালমোহন থানা ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকার মুজিবল হক মাষ্টারের ছেলে।

    তিনি বলেন, গত পাঁচ দিন আগে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ব্যাপারী বাড়ির একটি পুকুরে মাছ শিকার করে ঈগলটি ফেরার সময় বাচ্চারা ইট নিক্ষেপ করে ঈগলটিকে গুরুতর অসুস্থ করে। এতে ঈগলটির ডান পাশের ডানা ভেঙে যায় এবং পায়ে গুরুতর জখম হয়। এরপর বাচ্চারা ঈগলটিকে বাজারে এনে খেলা করে, এসময় আমি দেখে সেটিকে উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর ঈগলটির চিকিৎসা শুরু করি। ২০১৭ সালে সাভারের শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পশু-পাখির চিকিৎসা বিষয়ে ৩ মাসের একটি কোর্চ সম্পন্ন করেছি। যেখানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঈগলটির চিকিৎসা করেছি। বর্তমানে ঈগলটির অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে বনে অবমুক্ত করে দিবো। আমি মনে করে প্রকৃতি রক্ষায় এসব পাখিকে আমাদের সকলের টিকিয়ে রাখা উচিত।

    এ বিষয়ে উপজেলা রেঞ্জ বন কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন, আমরা ওই যুবকের কাছ থেকে ঈগলটিকে এনে চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ করে বনে অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করবো।

  • ফেসবুক পোস্ট দেখে অসহায় পরিবারের স্বপ্নপূরণ করলেন এমপি মুকুল

    ফেসবুক পোস্ট দেখে অসহায় পরিবারের স্বপ্নপূরণ করলেন এমপি মুকুল

    বিশেষ প্রতিনিধি:

    বোরহানউদ্দিনে কলেজ ছাত্রী রোজিনার জরাজীর্ণ বসত ঘর ও অভাব অনটনের বিষয়ে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক তুহিন খন্দকার তার tuhin khandokar নামের ফেসবুক আইডি ও স্বদেশ বাণী ২৪ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকলের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি সাথে সাথে তুহিন খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে অসহায় পরিবারের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়। জরাজীর্ণ ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় তিনি একটি নতুন ঘর নির্মাণ ও অসহায় পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে রবিবার (১৮ জুলাই) বিকালে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আলী আজম মুকুল ফেসবুকে পোস্ট দাতা সাংবাদিক তুহিন খন্দকারকে সাথে নিয়ে বোরহানউদ্দিন পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের কলেজ ছাত্রী রুজিনার জরাজীর্ণ বাসায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতি দেখে অসহায় পরিবারের সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের এই জরাজীর্ণ ঘরে এমন একজন সংসদ সদস্য আসতে পারে বিষয়টি তাদের কল্পনাকেও হার মানায়। সময় মানবিক এমপিকে ফুলেল মালা দিয়ে বরন করেন। এমপি মুকুল বেশ কিছু সময় ধরে পরিবারের সকল সমস্যার কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। তার নিজস্ব অর্থায়নে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দায়িত্ব দেন বোরহানউদ্দিন ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কমিশনার জোয়েব হোসেনকে। এছাড়াও ওই পরিবারের কলেজে পড়ুয়া মেয়ের লেখা পড়ার সকল দায় দায়িত্ব নেন। ঈদ উপহার হিসেবে কলেজ ছাত্রী রুজিনার মায়ের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা দেন এবং নতুন একটি সেলাই মেশিন কিনে দেওয়ার কথা বলেন। ঈদুল আযহার দিনে এমপি মুকুলের নিজ বাসা থেকে কোরবানি গরুর গোস্ত ও তরিতরকারি ও মসলা পাঠানোর আশ্বাস দেন তিনি। এমপি মুকুলের এমন মানবিকতা দেখে স্থানীয় সকলের মুখে মুখে প্রশংসার জোয়ারে ভাসেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক তুহিন খন্দকার তার প্রতিক্রিয়া বলেন, মাননীয় এমপি আলী আজম মুকুল একজন সংসদ সদস্য হয়ে এত ব্যস্ত থাকার পরেও তার নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের খবরা খবর তার চোখঁ এড়িয়ে যায় না। আমি এই বিষয়টি দেখে আশ্চর্য হলাম। একজন জনপ্রতিনিধি কতটা মানবিক হওয়া প্রয়োজন তার কাছ থেকে অন্যান্য অনেকে শিক্ষা লাভ করতে পারেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার জোয়েব হোসেন, বোরহানউদ্দিন ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীন ইসলাম রুবেল, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি সাগর চৌধুরী, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন বাদশা, বোরহানউদ্দিন অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি, এইচ এম এরশাদ, বোরহানউদ্দিন মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংগঠনিক মিজানুর রহমান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • চামড়া শিল্প রক্ষায় স্বার্থান্বেষী সকল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    চামড়া শিল্প রক্ষায় স্বার্থান্বেষী সকল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দেশে গবাদি পশুর প্রাচুর্য। পশু উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য এই দেশ। প্রতি বছর কুরবানীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুরবানী দেওয়া হয়। তারপরও সিন্ডিকেটের কারনে দেশের চামড়া শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য এই দেশের সকল স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।

    অদ্য (১৮ জুলাই’২১) রোজ রবিবার বিকাল ৫ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে “দেশের সম্মৃদ্ধি অর্জনে ও চামড়া শিল্প রক্ষায় সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর দাবীতে” আয়োজিত এক মানববন্ধনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ এমন মন্তব্য করেন।

    ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মদ তানভির হোসাইন বলেন,
    ১৯৪০ সাল থেকে শুরু হওয়া চামড়াজাত দ্রব্যের চাহিদা একবিংশ শতাব্দীতে ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি একটি রপ্তানিমূখী শিল্প; যেখানে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দেশের বেকারত্ব কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্যদিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে চামড়া শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। দৈনিক যুগান্তর এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩-১৪ সালে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয় ১২৫৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তী তিন অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল যথাক্রমে ১১৩০, ১১৬১ ও ১২৩৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১০১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের পূর্বে চামড়াজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলেও এর পর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত এর আয় কমে যায়। যার মূল কারণ হলো চামড়া শিল্পকে নিয়ে সরকারের তালবাহানা ও স্বার্থন্বেষী ব্যবসায়ীশ্রেনীর সিন্ডিকেট। প্রতিবছর কোরবানি আসলে তারাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে তাদের মুনাফার পাল্লা ভারি করে। বিনিময়ে তারা দেশের চামড়া শিল্প উন্নয়নের জন্য কাজ না করে অন্যদেশে পাচার করে।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা ও বাংলাদেশে এর পর্যাপ্ত কাঁচামাল থাকা সত্বেও এই দেশের পন্য বিশ্ববাজারে টিকতে পারছে না। বিশ্বমানের পন্য তৈরী ও পন্যের বৈচিত্র্য আনায়নে সরকারের নেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ। সরকার বারংবার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাদের দেশে চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন করে তাদের রপ্তানি আয় দিনদিন বৃদ্ধি করে চলছে। যেটা আমাদের দেশেও সম্ভব ছিলো। আমাদের বক্তব্য হলো চামড়া শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ সুযোগকে আর হাতছাড়া করা যাবে না। তাই সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
    একই মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, “সিআরবির শিরীষতলা, নগরবাসীর কাছে ফুসফুসের সমতুল্য। আমরা পরিবেশের ক্ষতি করে কোন হাসপাতাল চাই না। বিকল্প কোন স্থানে হাসপাতাল স্থাপনের দাবী জানাই।”

    উক্ত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শাজাহান হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ সহ অন্যান্য নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।

  • লালমোহনে অসুস্থ ১২ শিশু বাসায় ফিরলো।। মিষ্টি বিক্রেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    লালমোহনে অসুস্থ ১২ শিশু বাসায় ফিরলো।। মিষ্টি বিক্রেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    লালমোহন প্রতিনিধিঃ

    লালমোহনে মিষ্টি খেয়ে ১২ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আনিচল মিয়ার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আনিচল মিয়ার হাট এলাকারমনপুরা বাড়ির সুজন নামে এক ব্যক্তি একটি নতুন অটোরিকশা কিনে। এ উপলক্ষ্যে সে বাড়ির ও স্থানীয় লোকজনকে মিষ্টিমুখ করায়। ওই মিষ্টি খেয়ে জুনায়েদ (২), ফারিয়া (২), ফাহিমা (৬), আব্দুল্লাহ (৩), জুনিয়া (২), হোসাইন (৫), শারুপ (৯), সিফাতুল্লাহ (৮), তামিম (৯), তানহা (৩), আচিয়া (১১) ও সোলাইমান (৩) নামে এ ১২শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। মিষ্টি কোন দোকান থেকে কেনা হয়েছে তা নিয়ে কথা উঠে।বিষয়টি জানার জন্য সুজনকে পাওয়া যায়নি।ঔ এলাকার কিছু লোক ও কিছু রোগীর লোকজন রিয়াজের দোকানের মিষ্টি বলে জানিয়েছেন।এবিষয়ে কথা বললে রিয়াজ জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মিষ্টির দোকান চালিয়ে আসছি। এরকম সমস্যা কখনো হয়নি।আমার দোকানের মিষ্টি খেয়ে কেউ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়েনি।সুজন কার দোকান থেকে মিষ্টি কিনেছে তা আমি জানিনা। তবে পাশের একটি মসজিদে মিলাদ হয়েছিল।তারা আমার দোকান থেকে মিষ্টি নিয়েছে।তা ছাড়া বিয়ে বাড়িতে আমার দোকান থেকে মিষ্টি গিয়েছে।এসব স্থানে মিষ্টি খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করতেছে।আমার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে শত্রুতা আছে।আমাকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করে মিষ্টি খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনাকে আমার ওপর চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেছে।আমার ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন কারার চেষ্টা করছে।এদিকে লালমোহন হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মহসিন খাঁন জানান আমি বাচ্চা গুলো রাতেও দেখেছি সকালেও দেখেছি। তারা এখন সকলে সুস্থ।তাই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে নাম কেটে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এঘটনায় লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ জানান খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর জানাযাবে।

  • ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫ শ পরিবারকে চাল বিতরন করেন- বদি

    ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫ শ পরিবারকে চাল বিতরন করেন- বদি

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫০০ শত পরিবারকে চাউল বিতরণ করেন, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি

    আজ ১৫ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া চৌধুরী পুকুর পাড়ে ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্র ১৫০০ শত পরিবারের মাঝে এ চাউল বিতরণ করা হয়।

    করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৩ ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে পুকুর পাড়ে চাউলের বস্তাগুলো সাজিয়ে রাখা হয়। এর পর একা একা সবার মাঝে চাউল বিতরণ করেন কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরাক্রম চাকমা ও সচিব মহিউদ্দিন ফয়েজী, কাউন্সিলগণের মধ্যে, নুরুল বশর নুরশাদ, নাজমা আলম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের টেকনাফ পৌর শাখার কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল গফুর ও নুরুল আলম প্রমুখ।

    সর্বশেষ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি চাউল বিতরণ সম্পন্ন করেন।

  • চট্টগ্রামাের বাঁশখালীতে ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ দখলকারদের উচ্ছেদ

    চট্টগ্রামাের বাঁশখালীতে ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ দখলকারদের উচ্ছেদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের (অস্থায়ী) গুনাগরী বাজার ইজারাদার কর্তৃক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গা দখলপুর্বক অর্ধশতাধিক দোকান নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দখল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠার পর উপজেলা প্রশাসন অভিযোগ যাঁছাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে অবৈধ প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে। অস্থায়ী গুনাগরী বাজার ২০২১-২০২২ সালের ইজারাদার কর্তৃক নতুন করে ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে নির্মাণকৃত ৬টি মুরগীর দোকান সহ মুদির দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান ও মাছের দোকান মিলিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ দখলকৃত দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন উপজেলা প্রশাসন।

    আজ (১৪ জুলাই ২১), বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে শক্তিশালী প্রশাসনিক একটি টীম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগীতায় ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঁশখালী থানা পুলিশ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম।

    অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে, তারা বাজারে নবনির্মিত দোকানগুলো ইজারাদারের কাছ থেকে প্রতিটি দোকান ৩০ হাজার টাকা করে দাম দিয়ে দখল ক্রয় করেছেন। এসময় ইজারাদার হাসান কামালের কাঁছে অবৈধ দোকানগুলোর দখল বিক্রি করে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে) বলেন, “স্যার আমি ২৮ হাজার টাকা করে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সাবমারসিবল(গভীর নলকূপ) পাম্প সহ পানির ড্রাম স্থাপন করেছি এবং দোকানগুলো নির্মাণ করেছি। কার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলেও কিছুক্ষন পরে বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে পানির পাম্প স্থাপন করেছি।” ইজারাদার হাসান কামাল অবৈধ সব দোকান ও করেনি বলে দাবী করে বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজে নিজেও কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছেন। কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাজার ইজারাদারের সাথে এই বিষয়ে কোন আলাপ-আলোচনা হয়নি বলে দাবী করেন।

    এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভূমি অফিসের জায়গায় বাজার ইজারা দেওয়া হয়নি। ভূমি অফিসের জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই, পূর্বের ন্যায় বাজার যতটুকু ছিল তাতে বাজার বসবে, ভূমি অফিসের সামনে প্রধান সড়ক দখল করে নানান রকম ফলের দোকানগুলো ব্যবসায়িদেরকে স্ব-স্ব দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ভূমি অফিসের জায়গায় গাড়ী পার্কিং না করার জন্য সিএনজি শ্রমিকদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।। পরবর্তীতে ভূমি অফিসের জাগায় দখল করে দোকান নির্মাণ, গাড়ী পার্কিং করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন এসি ল্যান্ড।