Author: UkhiyaVoice24

  • চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজতি নিখোঁজ জেলারকে প্রত্যাহার,তদন্ত কমিটি গঠন

    চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজতি নিখোঁজ জেলারকে প্রত্যাহার,তদন্ত কমিটি গঠন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজতি নিখোঁজের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলার রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে খুলনার ডিআইজি প্রিজন মোহাম্মদ সগিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে তল্লাশি করেও গত ৩০ ঘন্টায় নিখোঁজ হওয়া হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেলের সন্ধান মেলেনি। কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

    গতকাল শনিবার (৬ মার্চ ২১) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিখোঁজ হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেল কারাগারের পঞ্চম তলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন।

    শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে রুবেল উধাও হয়ে যান।
    এর আগে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেন।

    কারা কতৃপক্ষ জানায়, নিখোঁজ বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেল নগরীর সদরঘাট থানার একটি খুনের মামলার আসামি। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মীরেরকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম শুক্কুর আলী ভাণ্ডারি।
    গত ৯ই ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।

    কারাগারের ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের পানিশমেন্ট ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল তাকে।
    নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে কারাগারে থাকা বন্দিদের সংখ্যা মেলাতে গণণা করা হয়। শনিবার সকালে গণনাকালে বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেলের (হাজতি নম্বর: ২৫৪৭/২১) অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

    এ ঘটনার পর বিকেলে নিখোঁজ বন্দির সন্ধানে চট্টগ্রাম কারাগারে বাজানো হয় ‘পাগলা ঘণ্টা’। নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও হদিস মেলেনি।

  • ইসলামী ছাত্রসেনা পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

    ইসলামী ছাত্রসেনা পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ

     

    কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (৫ই মার্চ) বিকেলে ওষখাইন শাহ্ আলী রজা (রহঃ)আলীম মাদ্রাসার হল রুমে ইসলামী ছাত্রসেনা পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহজাদা নাঈম উদ্দীন রজায়ী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত আনোয়ারা উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাদের চাঁদ মিয়া, উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ হাসান আলী, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার উপদেষ্টা আব্দুল করিম, সি.সহ-সভাপতি জননেতা মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি জননেতা মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, জননেতা মুহাম্মদ ফেরদৌস বাবু, যুবনেতা রেজাউল করিম, ছাত্রসেনা ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা আনোয়ারা উপজেলা পূর্ব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা আ ন ম নাছির উদ্দিন, বিশেষ বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা আতাউল মোস্তফা জামশেদ।

    কাউন্সিলে বক্তারা বলেন, ‘ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বাতিলপন্থিরা ইসলামের ব্যানারে যুবসমাজকে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করছে আর এই প্রতিকূল সময়ে ছাত্রসেনাই হলো একমাত্র মুক্তির সোপান।’

    বর্তমানে দেশে উগ্র মতাদর্শীরা ধর্ম নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ থেকে তরুণদের দূরে রাখতে হবে। নয়তো জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকানো যাবে না।

    সকলের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২০২১-২২ সেশনের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন শাখার মুহাম্মদ আবু সাঈদকে সভাপতি, আমজাদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক, ফখরুদ্দিন জাবেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ মেহেরাজকে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • আনোয়ারা ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান শাহজাদা সাইমুম ইফতেহার কাজিম উদ্দীন

    আনোয়ারা ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান শাহজাদা সাইমুম ইফতেহার কাজিম উদ্দীন

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ

     

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি গ্রাম হবে শহর”সেই স্বপ্নপূরণে
    আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জমজমাট সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক প্রচার-প্রচারণা। আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মনোনয়ন আশাবাদী শাহজাদা সাইমুম ইফতেহার কাজিম উদ্দীন । ইতোমধ্যে সভা সমাবেশ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থী হওয়ার কথাসামাজিক যোগাযোগে ম্যাধমে
    ৭ই মার্চ (রবিবার) এস. এম. পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে শাহজাদা সাইমুম ইফতেহার কাজিম উদ্দীন বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক।আমি পরৈকোড়া ইউনিয়নবাসীর মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। সেই ধারাবাহিকতায় জনগণের চাহিদা মোতাবেক প্রার্থী হতে চাই। কারণ এলাকার প্রত্যেক জনগণের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে এবং ছোটবেলা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে আসছি । আমি চেয়ারম্যান হলে পরৈকোড়া ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। সেই সঙ্গে নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলব।

    তিনি আরও বলেন, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে আমি নৌকার মনোনয়ন পাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আনোয়ারার গর্ব ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান (এমপি) ও চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহজাদা মহীউদ্দীন যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবো বলে আশাবাদী।

  • রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

    রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

    কাজল আইচ, উখিয়া।

     

    আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-২০২১ উপলক্ষে রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।
    ৭ই মার্চের ভাষণেই বাঙালিকে মুক্তি সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    এসময় সম্মানিত নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল আলম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.জমির উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলী হোছাইন খান, যুগ্ম আহবায়ক রিয়জুল হক রিয়াজ, সদস্য কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, বাবু মৃদুল আইচ, মোস্তফা কামাল পাশা, সাবেক উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেত্রী তসলিমা আক্তার রোমানা সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইন্জিনিয়ার আলী আশরাফ স্যার

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইন্জিনিয়ার আলী আশরাফ স্যার

    মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর প্রতিবেদক

     

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমাদের প্রিয় স্যার ইন্জিনিয়ার আলী আশরাফ স্যার।

    সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ‘র সম্মানিত প্রো-ভিসি,সিভিল ডিপার্টমেন্ট ‘র হেড, বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ, আইইবি চট্টগ্রামের সাবেক সফল চেয়ারম্যান,সাদা মনের প্রিয় মানুষ ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী আশরাফ স্যার বেশ কদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর গতরাত ২,৩০ টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

    এই গুণী মানুষটি শুধু সাদার্নের সম্পদ নয়,চট্টগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশের সম্পদ ছিল।
    স্যারের মৃত্যুতে আমরা সাদার্নের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষকে হারালাম।রব্বে কারিম, স্যারকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।স্যারের শোকাহত পরিবার, সাদার্নের শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। আমাদের গুনাহ সমুহ মাফ করে দিন। প্রিয় স্যারের রুহের মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি। আল্লাহ তায়ালা স্যারকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।
    আমিন।
    বাদ জুহুর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে মরহুম স্যারের ১ম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর ফটিকছড়ির জাফত নগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে ২য় জানাজা শেষে স্যারকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

  • উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    এম এ আব্দুল খালেকের প্রতিবেদক

     

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন ০৬/০৩/২০২১ ইং, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত প্রতিযোগিতায় চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে,


    ১|চিত্র অংকন প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করেন- তফুরা আক্তার( ৯ম)।
    ২।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ- ৩য় স্থান, মোহাম্মদ পারভেজ(১০ম)।
    ৩।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ- ৩য় স্থান, কামরুন্নেছা রুমি(৮ম ) ( খ বিভাগ)।
    বিজয়ীদের ৭ই মার্চ পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
    বিজয়ীসহ যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সকলকে চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ হতে অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২১ অনুষ্ঠিত

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২১ অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    ইসলামাী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে
    আজ (০৫ মার্চ ২১) শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে বাঁশখালী উপজেলাস্থ দারুল করীম মাদ্রাসা মিলনায়তনে উপজেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

    উপজেলা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবী। সম্মেলনে উপস্থাপনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা সেক্রেটারি, মাওলানা জসিমউদদীন মিসবাহ্,
    আইএবি বাঁশখালী উপজেলা সম্মেলনে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী,সাবেক সফল সভাপতিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।

    প্রধান অতিথি ছিলেন, লেখক গবেষক,
    মু. ছগির আহমদ চৌধুরী, সভাপতি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। প্রধান বক্তা ছিলেন, আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদার, সেক্রেটারি : আইএবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। আরো বক্তব্য রাখেন, আইএবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : হাফেজ মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাবেক সভাপতি: মাওলানা জয়নুল আবেদীন মুনতাসির, যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-সভপতি : মাওলানা ফয়জুল্লাহ, ইসলামী
    আন্দোলন সরল ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা সভাপতি : মুফতি নুরুল আমিন, সেক্রেটারি : মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, সরল ইউনিয়ন পুর্ব শাখা সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, ছনুয়া ইউনিয়ন শাখা সভাপতি: মাওলানা আবুল কালাম, সেক্রেটারি : মাওলানা মুজ্জাম্মেলুল হক ইউনুস, বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখা সহ-সভপতি : মাওলানা ওসমান গণী, শেখেরখীল ইউনিয়ন শাখা সভাপতি: এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী, বৈলছড়ী ইউনিয়ন সেক্রেটারি : মাওলানা আব্দুল কাদের, পুকুরিয়া ইউনিয়ন শাখা সভাপতি : হাঃ মাওলানা আইয়ুব, ইশা ছাত্র আন্দোলন বাঁশখালী উপজেলা সহ-সভপতি : মুহাম্মদ লোকমান হাকিম। আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার মাওলানা এহছান উল্লাহ, মাওলানা আমান উল্লাহ, যুবনেতা, মাওলানা মোবারক হোসাইন আসিফ, মাওলানা জাহাঙ্গীর, ছাত্রনেতা সরওয়ার হোসাইন তামিম প্রমুখ

    সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে জেলা সভাপতিঃ মু. ছগির আহমদ চৌধুরী পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২১-২২ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষনা করে শপথ বাক্যপাঠ করান।
    নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী।
    সেক্রেটারি : মাওলানা জসিম উদ্দীন মিছবাহ।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথপাঠ অনুষ্ঠিত।। UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথপাঠ অনুষ্ঠিত।। UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামি রাজনৈতিক ডেস্ক

     

    ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথপাঠ অনুষ্ঠিত। আজ বাদ ইশা নগর কার্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনের জন্য মনোনীত দায়িত্বশীলদের শপথ পাঠ করান নগর সভাপতি মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম শাহীন। বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপাপ্তগণ হলেন যথাক্রমে-

    সভাপতি- মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম শাহীন
    সহ-সভাপতি- এইচএম জামশেদ
    সাধারণ সম্পাদক- আল-মিজান মোঃ নোহেল
    যুগ্ম সম্পাদক- আবুল হাসনাত তানিম
    সাংগঠনিক সম্পাদক- আবু হানিফ এরশাদ
    দফতর সম্পাদক- মাহফুজুর রহমান
    অর্থ সম্পাদক- মোঃ রবিউল হাসান
    প্রচার সম্পাদক- মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন
    প্রকাশনা সম্পাদক- সাইয়েদ সিদ্দিকী
    দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক- মুহাম্মদ আকরাম হোসাইন
    যুবকল্যাণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক- ডা. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- হাদিস হাওলাদার
    আইন সম্পাদক- রিজওয়ান ইসলাম আবু হানিফ
    শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক-
    তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- মুহাম্মদ আসহাব উদ্দিন
    সমাজকল্যাণ সম্পাদক- আবরার সালেহ
    শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক- শিহাব উদ্দিন ওবাইদী
    মানবাধিকার সম্পাদক- মুহাম্মদ আরিফ
    মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক- মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
    সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক- মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
    উপ-সম্পাদক- মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম
    উপ-সম্পাদক- শাহীনুর ইসলাম
    উপ-সম্পাদক- মাসুদুর রহমান
    উপ-সম্পাদক- এইচএম শামসুল আলম রিয়াদ

  • কলাপাড়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

    কলাপাড়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

    এইচ এম সাইফুল নূর,কলাপাড়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

     

    মাঘ মাসের শুরু থেকে চাষিরা তরমুজ চাষ করেন। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এতে তরমুজের চারা ভাল হওয়া তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন। ভাল মূল্য পাওয়ায় বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখে কৃষক। এ যেন তরমুজের আর সবুজের মহামিলন। যেখানে চোখ যাবে, সেখানেই তরমুজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধুই তরমুজ। ভরা মৌসুম চলায় পরিচর্যা, কাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা। এ কারণে ক্ষেত, পথ-ঘাট, ট্রলার যত্রযত্র তরমুজ। যথা সময়ে ভোক্তার হাতে তুলে দিতেই চলছে তরমুজ নিয়ে এ ছুটোছুটি। চাষিদের পাশাপাশি এ কাজে পরিবারের সদস্যরাও সামিল হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি তরমুজ ক্ষেতে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি তরমুজ মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০০০ হাজার চাষি তরমুজ আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৩০ মেট্রিকটন ফলন উৎপাদন হবে।
    মৌসুমী ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম এলাকা হিসেবে সুপরিচিত উপকূলের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্রই এ চিত্র। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখানকার তরমুজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম ছড়িয়েছে। ফলে এ এলাকার তরমুজের চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। এখন এ তরমুজ নিয়েই চাষিরা স্বপ্ন পূরণের আশা বুকে বাঁধে। উপজেলার কাওয়ারচর গ্রামের তরমুজ চাষি বশার শিকদার বলেন, ‘কলাপাড়ার তরমুজ খেতে সুস্বাদু, আকাড় বড় ও রং লাল টুকটুকে হওয়ায় রাজধানী ঢাকার ক্রেতাদের কাছে খুবই পরিচিতি লাভ করেছে। একারণেই এখানকার তরমুজের চাহিদা বেশি। কদর বেশি। এদিকে চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পার করছে বেকার সময়। এ বছর জমির পরিমানে তরমুজের আবাদ কম হলেও বিগত বছরের চেয়ে ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবী করেন তরমুজ চাষীরা।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ রঙের মধ্যে দোল খাচ্ছে তরমুজের পাতা। আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজের ফলের রং বদলে গেছে। পেয়েছে নতুন যৌবন।
    কুয়াকাটা, ধুলাসার, বাবলাতলা , নয়াপাড়া,কলাপাড়া ,ধানখালী ,বালীয়াতলী ঘাটসহ সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তুপ করছে। কেউবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ওইসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন উপজেলার আন্দারমানিক এবং রামনাবাদ নদী হয়ে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার অভিমুখে যাচ্ছে।
    কৃষকেরা জানান, এ রকম আবহাওয়া থাকলে এবার তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঝড-বৃষ্টি হয়নি। তাঁরা আরও জানান, তরমুজের ফল আসার পর থেকে তাঁরা গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কোনো রকম পরামর্শ তাঁরা পাননি। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর মাত্র ২০০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এছাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা তরমুজ চাষের জমি অনেকটই কমে গেছে। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানকার ক্ষেতের তরমুজ ভালা রয়েছে। মৌসুমের বাকি সময়টা ভাল ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারলে বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ওইসব কৃষক। তবে গত বছর এ উপজেলার ১৫হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিল। ওইসব চাষীরা ফলনও পেয়েছিল ভাল বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
    কাওয়ারচর গ্রামে তরমুজ চাষী হারুন হাওলাদার বলেন, এ বছর তিনি ২৭কড়া জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার চাষে খরচ হয়েছে ৩০০০০ হাজার টাকা। তরমুজ ক্ষেতে প্রথম দিকে চারা পোকা ধরার কারনে আমার অনেক চারা মরে গেছে। ইতোমধ্যে জমির তরমুজ ক্ষেত থেকে উত্তলোন করে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
    লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কঠোর পরিশ্রম করার পরে ক্ষেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি পুরো ক্ষেতের তরমুজ ১৫লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, কলাপাড়া জমি তরমুজ আবাদে উপযোগী। একারণে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে যারা তরমুজ চাষা করেছে তারা ভাল ফলন ও দাম ভাল পেয়েছে। ফলন আরও ভালো হলে প্রতি হেক্টরে তরমুজ উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা রাখি।

  • কলাপাড়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

    কলাপাড়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

    এইচ এম সাইফুল নূর,কলাপাড়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

     

    মাঘ মাসের শুরু থেকে চাষিরা তরমুজ চাষ করেন। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এতে তরমুজের চারা ভাল হওয়া তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন। ভাল মূল্য পাওয়ায় বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখে কৃষক। এ যেন তরমুজের আর সবুজের মহামিলন। যেখানে চোখ যাবে, সেখানেই তরমুজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধুই তরমুজ। ভরা মৌসুম চলায় পরিচর্যা, কাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা। এ কারণে ক্ষেত, পথ-ঘাট, ট্রলার যত্রযত্র তরমুজ। যথা সময়ে ভোক্তার হাতে তুলে দিতেই চলছে তরমুজ নিয়ে এ ছুটোছুটি। চাষিদের পাশাপাশি এ কাজে পরিবারের সদস্যরাও সামিল হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি তরমুজ ক্ষেতে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি তরমুজ মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০০০ হাজার চাষি তরমুজ আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৩০ মেট্রিকটন ফলন উৎপাদন হবে।
    মৌসুমী ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম এলাকা হিসেবে সুপরিচিত উপকূলের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্রই এ চিত্র। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখানকার তরমুজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম ছড়িয়েছে। ফলে এ এলাকার তরমুজের চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। এখন এ তরমুজ নিয়েই চাষিরা স্বপ্ন পূরণের আশা বুকে বাঁধে। উপজেলার কাওয়ারচর গ্রামের তরমুজ চাষি বশার শিকদার বলেন, ‘কলাপাড়ার তরমুজ খেতে সুস্বাদু, আকাড় বড় ও রং লাল টুকটুকে হওয়ায় রাজধানী ঢাকার ক্রেতাদের কাছে খুবই পরিচিতি লাভ করেছে। একারণেই এখানকার তরমুজের চাহিদা বেশি। কদর বেশি। এদিকে চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পার করছে বেকার সময়। এ বছর জমির পরিমানে তরমুজের আবাদ কম হলেও বিগত বছরের চেয়ে ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবী করেন তরমুজ চাষীরা।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ রঙের মধ্যে দোল খাচ্ছে তরমুজের পাতা। আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজের ফলের রং বদলে গেছে। পেয়েছে নতুন যৌবন।
    কুয়াকাটা, ধুলাসার, বাবলাতলা , নয়াপাড়া,কলাপাড়া ,ধানখালী ,বালীয়াতলী ঘাটসহ সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তুপ করছে। কেউবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ওইসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন উপজেলার আন্দারমানিক এবং রামনাবাদ নদী হয়ে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার অভিমুখে যাচ্ছে।
    কৃষকেরা জানান, এ রকম আবহাওয়া থাকলে এবার তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঝড-বৃষ্টি হয়নি। তাঁরা আরও জানান, তরমুজের ফল আসার পর থেকে তাঁরা গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কোনো রকম পরামর্শ তাঁরা পাননি। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর মাত্র ২০০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এছাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা তরমুজ চাষের জমি অনেকটই কমে গেছে। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানকার ক্ষেতের তরমুজ ভালা রয়েছে। মৌসুমের বাকি সময়টা ভাল ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারলে বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ওইসব কৃষক। তবে গত বছর এ উপজেলার ১৫হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিল। ওইসব চাষীরা ফলনও পেয়েছিল ভাল বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
    কাওয়ারচর গ্রামে তরমুজ চাষী হারুন হাওলাদার বলেন, এ বছর তিনি ২৭কড়া জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার চাষে খরচ হয়েছে ৩০০০০ হাজার টাকা। তরমুজ ক্ষেতে প্রথম দিকে চারা পোকা ধরার কারনে আমার অনেক চারা মরে গেছে। ইতোমধ্যে জমির তরমুজ ক্ষেত থেকে উত্তলোন করে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
    লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কঠোর পরিশ্রম করার পরে ক্ষেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি পুরো ক্ষেতের তরমুজ ১৫লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, কলাপাড়া জমি তরমুজ আবাদে উপযোগী। একারণে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে যারা তরমুজ চাষা করেছে তারা ভাল ফলন ও দাম ভাল পেয়েছে। ফলন আরও ভালো হলে প্রতি হেক্টরে তরমুজ উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা রাখি।