Author: UkhiyaVoice24

  • নতুন বছরে কক্সবাজার উপকূলে দেশের বৃহত্তম ইয়াবার বড় চালান ১৪ লাখ উদ্ধার করেছে পুলিশ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে সাত বস্তা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সাত বস্তায় ১৪ লাখ ইয়াবা রয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই চালানটি কক্সবাজারের এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ উদ্ধার হওয়া ইয়াবা চালান।

    আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দেয়া মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামে ফিরতে শুরু করছে। দিন দিন কৌশল পাল্টে সীমান্ত দিয়ে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, হ্নীলা, হোয়াইক্ষং, বালুখালী, ঘুনধুম, নাইক্ষংছড়ি, বঙ্গেপসগর প্রবৃত্তি রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। তবে কৌশল পাল্টে সেসব ইয়াবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।

    টেকনাফে ওসি প্রদীপ কান্ডের পর থেকে কার্যত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে স্থবিরতা হয়েছিলো বলে অনেকে ধারণা করেছিল। সেসব প্রসূত ধারণাকে কবর রচণা করে আজ দুপুরে উদ্ধার হলো দেশের বৃহত্তর ইয়াবার চালান উদ্ধার করে কক্সবাজারের বৃহৎ মাদক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান।
    তবে গত বছরের ২৩ আগস্ট ২০২০ ইং
    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ তের লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছিল, কক্সবাজার পৌরসভার মাঝিরঘাট থেকে।

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে এক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ইয়াবা বহনকারী একটি মাছ শিকারের বোটসহ ২জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
    এ বিশাল ইয়াবার চালানটি গভীর সাগর হয়ে পাচার করার উদ্যেশ্যে বার্মা থেকে আনা হয়েছিল।

    ঘটনাস্থ থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ২৫ থেকে ৩০ কাট ইয়াবা পাওয়া যায়। গণনা করে ৭বস্তায় মোট ১৪০ কাট এতে মোট ১৪ লাখ ইয়াবার মজুত রয়েছে।

    পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে।

  • টেকনাফ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি খোলা চিঠি

    টেকনাফ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি খোলা চিঠি

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ সবাইকে দু’আ এবং শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
    অত্যাসন্ন ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে জেলা কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের থানা সম্মেলন।

    আলোচিত সমালোচিত সাইফুল ইসলাম মুন্না টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বিগত চার শেষনের সাধারণ সম্পাদক।
    তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গসহ অভিযোগ অনুযোগের অন্ত নেই।

    দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদধারী হওয়ার পরেও তিনি বার বার নৌকা বিরোধীদের নাগালে আটকে যান। যার দরুন বাবরবার তিনি নৌকার ভোট ব্যাংকে আঘাত হেনেছে।

    তার বিগত দিনের রহস্যজনক ভূমিকা দেখে তৃণমূল বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা পূর্ণ নিশ্চিত যে, তিনি দায়িত্ব ভাগিয়ে নিয়ে ধানের শীষে সার যুগিয়ে দিতে মারিয়া। নচেৎ সাইফুল মুন্না দলের দায়িত্বশীল পরিচয় দিয়ে বারংবার গণমানুষের প্রতীক নৌকার বিরোধীতা করে কেন? নৌকার ভরাডুবির জন্য টাকা উড়ান কেন?
    এটি এখন গণ মানুষের প্রশ্ন।
    আসন্ন থানা সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি চক্র সক্রিয়, অবৈধ কালোটাকা উড়িয়ে পদ পদবীর তদবিরে মহা ব্যস্ত।

    দেশের সর্বশেষ দক্ষিণে সীমান্তের নাফ নদীর কূলঘেষা কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি’২১ কাউন্সিলে নবাগত নতুন কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্বদানে সক্ষম
    এমন একজন ছাত্রলীগের সভাপতি চাই যিনি দক্ষতা, সততায় সচ্চরিত্রে দেবতুল্য ভালো হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তৃণমূলের আস্থাভাজন হবে।

    যিনি তৃণমূলের সুখে দুঃখে টেকনাফবাসীর পাশে থাকবে। মুজিবীয় চেতনা লালন করবে।
    ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা যাকে প্রত্যাখান করেছে। তাকে আর আমরা চাই না।
    যিনি দলীয় গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। নৌকার বিরোধিতা করেছেন, তা টেকনাফবাসী বারবার লক্ষ্য করেছে।
    আমরা তার অনৈতিক হস্তক্ষেপের অবসান চাই।

    আমরা নৌকা বিজয়ের জন্য সর্ব শক্তি দিয়ে স্বধীনতা প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব।
    জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
    জয় হোক
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • লালমোহন থানা ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    লালমোহন থানা ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    জেলা প্রতিনিধি,সাহিদুর রহমান

     

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লালমোহন থানার নারী, শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধি হেলথ ডেস্ক এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধিদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং মানবিক সহায়তা ও আইনী সেবা সমন্বয়ের লক্ষ্যে লালমোহন থানা ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং সোমবার বেলা ১২টায় এ উপলক্ষ্যে ভোলার লালমোহনে দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউনুছ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মোঃ রাসেলুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিস) দেবজীত পাল, লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এসএস নুরনবী, কোস্ট ট্রাষ্ট এর প্রতিনিধি রাশিদা বেগম প্রমূখ।

    আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে সরকারি ভাবে প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে। যা বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৬.৯৮ ভাগ। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় প্রায় ১৬ লক্ষ প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করে। বাকী প্রতিবন্ধিদের নিয়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করছে। প্রতিবন্ধিদের রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধিদের বিভিন্ন সমস্যাসহ আইনী সহযোগিতা প্রদানে বর্তমান সরকার বন্ধ পরিকর। পুলিশ এখন মানবিকতা নিয়ে মানুষের কাছে যেতে চায়। মানবতার পুলিশ হিসাবে আমরা পুলিশকে দেখতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানে দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউনুছ মিয়া দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটি লালমোহন উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়সহ যে সকল সহযোগিতা প্রদান করে তা হলো- বিবাহযোগ্য প্রতিবন্ধি ছেলে/মেয়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পুজির যোগান দেয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধিদের সহায়ক উপকরন প্রদান। ঠোট কাটা, মুগুর পা ও তালু কাটা প্রতিবন্ধিদের বিনামূল্যে সার্জারী সেবা। স্কুল বয়সী প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা উপকরন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান। প্রতিবন্ধিদের জন্য সরকারের দেয়া ভাতা ও অনান্য সুবিধা পাইয়ে দিতে এডভোকেসি ও লবিং করা। সামাজিক ন্যায় বিচার পেতে আইনী সহায়তা প্রদান।

    অনুষ্ঠান শেষে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক এর মধ্যে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৪জন প্রতিবন্ধিকে সাফল্য অর্জনের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা সম্পন্ন

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা সম্পন্ন

    এম ডি জসিম উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

     

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোহাম্মদ শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ইব্রাহিম খলিল এর সঞ্চালনায় ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাস্হ ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্টা করার লক্ষ্যে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন।

    নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্নেল আজিজ আহমদ, বিশেষ অতিতি খাইরুল বশর প্রতিনিধি মন্ত্রী বীর বাহাদুর উৈশাসিং এমপি, আলমগীর হোসেন অফিসার্স ইনচার্জ নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, অধ্যাপক সিরাজুল হক টেকনাফ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল আলম, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ, অধ্যক্ষ মো ফরিদুল আলম সাফা মোতালেব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চট্রগ্রাম, জয়দেব কর্মকার প্রভাষক বান্দরবান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নুরুল আবছার ইমন চৌঃসদর ইউপি চেয়ারম্যান নাইক্ষ্যংছড়ি।

    স্বাগত বক্তব্য ছৈয়দ অালম মধ্যেদিয়ে সম্মানিত উপস্হিত প্রধান অতিতি এবং বিশেষ অতিথিরা বক্তব্যে প্রদান করেছেন।

    প্রধান অতিতির বক্তব্যে বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্টার লক্ষ্যে সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের আন্তরিকতা আর চেষ্টার স্হাপন হতে যাচ্ছে পড়াশোনার মহাসাগর। যে মহা সাগর না হলে আপনাদের সন্তান সূশিক্ষা শিক্ষিত হয়ে দেশ সেবা থেকে শুরু করে সর্বপ্রকার কল্যাণে আত্মসেবাই নিয়োজিত করতে পারবে না।

    তাই সকলে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে কলেজ প্রতিষ্টার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান করেন এবঙ তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ন এর পক্ষ থেকে কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষনা করেন।

    অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম বলেন, সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এই স্লোগানকে নিয়ে এলাকার ছেলে- মেয়েদের উচ্চ মেধাবিকাশে উন্নয়ন ঘটাতে মন্ত্রী বীর-বাহাদুরকে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তাব করায় মন্ত্রী সম্মতির প্রকাশ করে বলে জানায়।
    তিনি বলেন মন্ত্রী সম্মতি দেওয়া প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করতে আজকে পূর্বঘোষিত মতবিনিময় সভা।

    কবি অধ্যাপক সিরাজুল হক বক্তব্যে বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় কাষ্টম এলাকাতে যদি কোন প্রকার জমির প্রয়োজন হয় তাহলে নিজের অর্জিত সম্পত্তি অংশ থেকে কলেজের জন্য দান করবেন।তিনি ব্যক্তিগগতভাবে কলেজ প্রতিষ্ঠার সূচনাকালে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে সর্বজনকে কলেজ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল আলম বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির পিতা মরহুম ছালেহ আহমদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান স্হাপন করে উপজেলাতে নজির সৃষ্টি করে চলে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতা নিয়ে উক্ত সভাপতিকে সর্বাত্মক চেষ্টা করে মন্ত্রী বীর বাহাদুরে ধারস্হ হয়ে প্রতিষ্টিত করার অনুরোধ জানান।

    প্রভাষক জয়দেব কর্মকার বলেন, ঘুমধুম বাসীর কলেজের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায় অত্র এলাকার আপামর জনগনের উপস্হিতিতে।তিনি কলেজের জন্য সম্মানিতদের সম্মতিক্রমে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচনে অনুরোধ করেন।

    মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর বলেন, পার্বত্য মন্ত্রীর স্বু-নজরের প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে ঘুমধুম ইউনিয়নের বুকে কলেজ প্রতিষ্টিত হওয়া। তিনি পার্বত্য মন্ত্রীর সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।

    ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আগামীতে এলাকার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে এলাকার বাইরে গিয়ে যাদে পড়তে না হয় সেই লক্ষ্যে কলেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বজন নিয়ে মতবিনিময়।

    উক্ত মহতি অনুষ্টানে সম্মানিত যারা উপস্হিত ছিলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান রাজামিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, খাইরুল বশর প্রধান শিক্ষক ঘুমধুম উচ্চ ববিদ্যালয়, হামিদুল হক প্রধান শিক্ষক ঈদগড় হেডম্যান পাড়া সঃপ্রাঃবিঃ, এ্যাডভোকেট তারেক আজিজ জামি ঢাকা জর্জ কোর্ট, আব্দুর রহিম শাওন প্রঃশিঃ তুমব্রু সঃ প্রঃ বিঃ, সাজেদ উল্লাহ সাবেক প্রঃশিঃ দঃ ঘুমধুম সঃপ্রঃবিঃ, সাংবাদিক শ ম গফুর সদস্য উখিয়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক নুর মোঃ শিকদার, সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান, ডাঃ মোঃ শাহজাহান সিনিয়র সহ-সভাপতি ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌঃ পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদ, বদর উল্লাহ বিন্দু সভাপতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্র-লীগ, সোহেল রানা সভাপতি ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, হেলাল উদ্দিন প্রঃশিঃপাঃসঃপ্রাঃবিঃ, শাহজাহান সঃশিঃতুমব্রু সঃপ্রাঃবিঃ, হামিদুল হক সঃশিঃতুমব্রু সঃপ্রাঃবিঃ, সহকারি শিক্ষক আব্দু রহিম, প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সহ ঘুমধুম, উখিয়া, পালংখালির সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ।

    সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার।তাই মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হউক ঘুমধুম কলেজ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

    উপস্হিতি সকলের আত্মপ্রত্যয়ে মুগ্ধ হবেন পার্বত্য বীর এবং সকলকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিতে বলেন।

  • কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নবগঠিত মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এ কমিটির অনুমোদন করেন। শুক্রবার স্বাক্ষর করে এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
    মহিপুর থানা কমিটিতে মো. জলিল হাওলাদার আহবায়ক ও এ্যাড, শাহজাহান পারভেজকে সদস্য সচিব ও কুয়াকাটা পৌরসভায় আ. আজিজ মুসুল্লী আহবায়ক ও মো. জসিম উদ্দিন বাবুল ভুইয়াকে সদস্য সচিব করা হয় এবং এতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি অনুমোদকারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কুয়াকাটা পৌর এলাকা, মহিপুর , ডাবলুগঞ্জ , ধুলাসার , লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকা কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে।

  • টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি

     

    টেকনাফ উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটির সদস্যদের হাতে ল্যাপটপ উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ ।

    ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের ইউএনও কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওঃ ইবরাহিম রাহি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইকবাল আজিজ, টেকনাফ সদর সভাপতি মাওঃ ইউছুফ কাদের, সাবরাং ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃ নুর ফাইসাল ও আব্দুস সালাম প্রমুখ ।সাংগঠনিক কার্যক্রম অগ্রগতি লক্ষ্যে সাইফুল ইসলাম সাইফ (ইউএনও) বলেন, মহামারী করোনাকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ কঠিন পরিস্থিতিতে টেকনাফ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি, সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের সারপ্রাইস । আশা করি, বন্ধন অটুট থাকলে এমন সংগঠন সামাজিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, আমি তাদের সফলতা কামনা করি ।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হতে টেকনাফ উপজেলার প্রসাশনিক (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করে আসছি, সুত্রে জানতে পারি বান্দরবান জেলায় এডিসি হিসেবে পদুন্নীত হয়েছি । কালের পরিবর্তনে বিদায় শব্দটি খুব বেদনাময়, তারপরও সময়ে চলে যেতে হয়। অতএব সকলের ভালোবাসা ও দেওয়া একান্ত কামনা ।

    সভাপতি জানান, দীর্ঘ এক বছরের অধিক আমরা টেকনাফ উপজেলা ভিত্তিক সামাজিক উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কাজ করে আসছি, প্রশাসনিক, সামাজিকসহ আরো ব্যক্তিগতভাবে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন সবাইকে ধন্যবাদ ।
    বিশেষ করে, ইউএনও সাইফুল ইসলাম সাইফ আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন যা সহজে ভুলার নয় ।

    তাহার বদলিতে আমরা সওতুল হেরা পরিবার গভীর মর্মাহত, আর পদোন্নতিতে অনেক খুশি, দোয়া করি আল্লাহ যেন তাহাকে উত্তম বদলা দান করে এবং মর্যাদা সম্পন্ন করে ।

  • ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    সাদিকুর রহমান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। রবিবার বিকালে বোরহানউদ্দিন পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
    প্রত্যক্ষদর্শী বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র তাওসিন জানায়, ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী মাঠে তারা খেলা করছিল। হঠাৎ ভোলা থেকে চরফ্যাশনে গামী যাত্রীবাহী বাস জুয়েল নাজমুল ঢাকা মেট্রো জ-১১-২৬৭৫ হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশে খাদে পড়ে যায় । পার্শ্ববর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করেন। আহতরা হলেন শাহিন, জসিম, জাহাঙ্গীর, তাসলিমা, রাসেল, রাকিব,মমতাজ, রোজিনা ,কালিমুল্লাহ, অভি, সুবর্ণা ও ফেরদৌস
    বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস এর লিডার শাহাবুদ্দিন জানান, ৮/১০ জন আহত হয়েছে। সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
    বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল সূত্রে ১২ জন আহতের সংবাদ পাওয়া যায়।
    ওই বাসের লালমোহন এলাকার এক যাত্রী জানায়, আমার সাথে আমার ছেলে ছিল। ওকে উদ্ধার করার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
    বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়। ১২ জন আহত হয়েছে। ১১ জন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। একজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    ওসমান আল হুমাম,,কক্সবাজার প্রতিনিধি

    জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের একটি গরুত্ব পূর্ণ ইউনিট টেকনাফ উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল গত ৫ বছর আগে দায়িত্ব দেয়া হয়, সুলতান এবং সাইফুল কে, এ কমিটি মেয়াদোক্তীর্ণ হওয়াই নবগঠিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সংগঠন কে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাঝে টেকনাফে তৃনমূল ছাত্রলীগ কর্মীরা উচ্ছাসিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি শুকরিয়াহ জ্ঞাপন করতে দেখা গেছে।

    তার মাঝে বাহারছড়া ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান এর একটি ফেসবুক পোষ্ট আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো,
    ” তবুও রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া পার হলো এক যোগ, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ বারের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার সাথে বৈইমানি করেও শাস্তি হয়নি, এখন সভাপতি হবেন নাকি! আপনাদের জন্য তো সংগঠন এর গঠনতন্ত্র আপনাদের নিয়মেই চলে, এক যোগ ধরে করে আসা রাজত্ব সহজে কি কেউ ছাড়ে! ৪ বার সাধারন সম্পাদক সামনে এক যোগ পার হলেও হয়তো এ রাজত্ব থেকে যাবে, বড় কষ্ট নিয়ে বলতে চাই গত উপজেলা নির্বাচনে আমি যখন ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে নৌকার জন্য কাজ করেছি ১৭ দিনের মধ্যে আমার কমিটি ভেঙ্গে দিছেন, এরকম তৃনমূল এর বহু কর্মীকে ছাত্রলীগ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করার অপরাধে শাস্তি ভোগ করতে হয়ছে,এবং হচ্ছে, শত শত ইয়াবা ব্যবসায়ী কে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়ে সংগঠন এর ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন প্রতিনিয়ত অ দয়াল এ ভাবে আর চলবে কত কাল! এবং তিনি আরো জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সম্পাদক এর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,এবার অন্ততো তৃনমূল কর্মীদের রক্ষা করেন, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ কে নৌকা বিরোধী, গঠনতন্ত্র বিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন, আপনাদের সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় টেকনাফের শত শত তৃনমূল এর ছাত্রলীগ কর্মীরা।

  • সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন ড.আবু রেজা নদভী এমপি

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন ড.আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    মুজিববর্ষে স্বাস্থ্যখাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে
    অজ (০৭ ফেব্রুয়ারী২১) রবিবার সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া – লোহাগাড়ায়ও পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, দেশে টিকা আসার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল অনেকের মনে।

    নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক প্রচারও তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে নানা কথা। চিকিৎসকরা অভয় দেওয়ার পরও অনেকের মাঝে ভীতি আর শঙ্কা থেকে যায়। অথচ ইতিমধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন তারা কোনো সমস্যা বোধ করেননি। অন্যান্য টিকার ন্যায় সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকাটা স্বাভাবিক। তিনি করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে নির্ভয়ে-নির্দিদ্বায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহনের জন্য আহবান জানান।

    সকাল ১০ টায় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মজিদ ওসমানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি, সাতকানিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হাসান চৌধুী, ডাক্তার মনজুর মোর্শেদ, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম সেলিম চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক হারেজ মুহাম্মদ, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ সহকারী একান্ত সচিব এসএম শাহাদাৎ হোসেন সাহেদ, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বেলাল, মোহাম্মদ আলমগীর, সাতকানিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ ইদ্রিছ, সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম প্রমূখ।

    সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শোভন, স্বাস্থ্য কর্মী মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলন কুমার ভট্টাচার্য, নার্স আলো দাশের টিকা গ্রহনের মাধ্যম কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

    দুপুর বারটায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হানিফের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব জিতু। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকের হোসাইন মাহমুদ, লোহাগাড়া ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর স্নেহাংশু বিকাশ সরকার, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সদস্য, লোহাগাড়া উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ আরমান বাবু রোমেল, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন মিনহাজসহ হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা।

    লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হানিফের ভ্যাকসিন টিকা গ্রহণের মধ্যদিয়েই টিকা গ্রহন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব জিতু, ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ টিকা গ্রহন করেন।

  • বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

    বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম শহরের সাথে বাঁশখালীর যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প রোড় দীর্ঘ ৬৫ কিলোমিটারের ব্যস্ততম বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের দুই পার্শ্বের ফুটপাত অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট ও কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় নিত্য যানযটে ভোগছে সাধারন পথচারীরা। সড়কের ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজার বসায় নিত্যদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারন জনগণ কে। বিশেষ করে গুনাগরী ,বৈলছড়ী কেবি বাজার শীলকূপ টাইমবাজার ও চাম্বল সহ পুরো প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় বাজার বারে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক পথেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। যথা সময়ে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিরা পৌঁছাতে পারছেনা তাদের কর্মস্থলে। এমনকি এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকছে জট।

    সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁনপুর বাজার , গুনাগরি,রামদাশ মুন্সিরহাট, বৈলছড়ি কেবি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার ও উপজেলা সদর থেকে শীলকূপ টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজার, পুইঁছড়ি প্রেমবাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজার ও অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের দখলে। বিশেষ করে এ সব বাজারে নিত্য যানযটের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পথচারিরা। প্রধান সড়ক কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা কাঁচাবাজার গুলো ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে বসেছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান। ফুটপাত এত সরব হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে অনেক দোকান বসছেন স্থায়ীভাবেই। আর যারা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তারা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি, সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।

    বাঁশখালী প্রধান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এস.আলম বাস সার্ভিস, সানলাইন সহ চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা কার্গো সার্ভিস সহ বড় বড় ট্রাক গুলো একটা আরেকটাকে ক্রস করে যেতেও হিমশিম খাচ্ছে। ফুটপাত দখল করার কারণে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে বাঁশখালী-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প সড়ক বাঁশখালী প্রধান সড়কটি। তাছাড়া বে-আইনিভাবে প্রধান সড়কে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। প্রশাসনের নজরে দৃষ্টিগোচর করার পরেও সরছে না খুঁটি গুলো। এতে নিত্য দূর্ঘটার শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। সড়ক দখল করেই সিএনজি-অটোরিকশার পার্কিং যেন দেখার কেউ নাই।

    বাঁশখালী হাসপাতালের এ্যামুলেন্স চালক মোঃ আলমগীর বলেন, বাঁশখালী প্রধান সড়কে র্বতমানে যে হারে যানজট লেগে থাকে তাতে সাধারন রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একেক যানজটে ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়। অনেক সময় ডেলিভারী সহ অতি মুমূর্ষ রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে তীব্র যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়ে রোগীরা। যেই হারে বড় বড় গাড়ি বেড়েছে,
    সেই তুলনায় আমাদের বাঁশখালী সড়কটি অতি ছোট,২ টি এস আলম সার্ভিস একসাথে ক্রস করতে পারে না। যার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
    রাস্তাটি আরো বড় করা উচিত।

    চাম্বল এলাকার এক বেসরকারী
    চাকুরীজিবী মোঃ বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার বসার কারণে সড়ক জুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের মতো সাধারন জনগন ও চট্টগ্রাাম শহরগামী সাধারণ মানুষ সহ চাকরিজীবীদের।’ এস.আলম, সানলাইন, স্পেশাল, সুপার সার্ভিস ও সিএনজি অটোরিকশার বেশ কয়েকজন চালক বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার এইটা কোন দেশের আইন আমাদের বুঝে আসেনা। কেউ কিছু বলেও না। রাস্তা হয়েছে গাড়ি চলানোর জন্য কিন্তু তারা কাঁচাবাজার ও দোকানপাট বসিয়ে অবৈধভাবে ফুটপাত গিলে খেয়েছে। এরকম যানজটের কারণে আমরা বাঁচি না।’

    চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই বাজার বসে গেছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীতে পৌঁছতে দেড়-দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। দীর্ঘ জ্যামে আটকা পড়ে যায় যানবাহনগুলো। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সওজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকলে এরকম জনদূভোগের কিছুটা লাগব হতো।’

    ক্যাপশনঃ বাঁশখালী প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে বসেছে শিলকুপ টাইমবাজার।