Author: UkhiyaVoice24

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    প্রফেসর রাশেদ আনোয়ার এর প্রতিবেদক

     

    গতকাল ৮ জানুয়ারি ২০২১ মাওলানা মোহাম্মদ আলী কক্সবাজার লাইটহাউস মাদ্রাসার মুহতামিম পদে পুনরায় ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ দুই বছর যাবত ইয়াসিন গংদের মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরে এলেন। মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে মুহতামিম এর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা থেকে শুরু করে এমন কোন হীন প্রচেষ্টা নেই যা ইয়াসিন গং করেননি। তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, এলাকাবাসী, স্থানীয় ওলামা একরাম, মাদ্রাসার শুরা কমিটি এবং শুরার অন্যতম সদস্য স্থানীয় কমিশনারসহ সকলেই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। শত প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। হক এবং সত্যের পথে অবিচল থেকে তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়ে গিয়েছিলেন। মিথ্যার জয় ক্ষণিক, সত্যের জয় অবিনশ্বর, অবিসংবাদিত। মাওলানা মোহাম্মদ আলী যেন তা প্রমাণ করে দিলেন। শুরা কমিটির সদস্য, ছাত্র-শিক্ষক, ও এলাকাবাসী স্থানীয় কমিশনার ও প্রভাবশালী শুরা সদস্যসহ সকলে মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে পুনর্বহাল করে তাহার অফিস হস্তান্তর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান হয় দীর্ঘ দুই বছর ষড়যন্ত্রের। এদিকে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। ছাত্র-শিক্ষক এবং এলাকাবাসী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। তার আগমনে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। দীর্ঘ দুই বছর পর তিনি মাদ্রাসায় পদার্পণ করলে সর্বসাধারণের মাঝে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে পুনরায় মাদ্রাসার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পড়ালেখা গতিশীল হবে মর্মে আশা পোষণ করেন এবং ছাত্র-শিক্ষক এলাকাবাসী কক্সবাজারের সকল মানুষকে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মাদ্রাসার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানান।
    (রাশেদ কক্স)

  • আনোয়ারায় বিদ্যুৎ খুটির যন্ত্রাংশসহ গ্রেফতার ২

    আনোয়ারায় বিদ্যুৎ খুটির যন্ত্রাংশসহ গ্রেফতার ২

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারা উপজেলায় জাতীয় গ্রেডের বিদ্যুৎ খুটির চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার শফিউল আলম সবুজ(২১) ও মোঃ জমির হোসেন(২৮) নামের ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৮ জানুয়ারি ) বিকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের পাঁচ সিকাদার ব্রিজ এলাকা হতে জাতীয় গ্রেডের বৈদ্যুতিক খুটির চোরাইকৃত যন্ত্রাংশ বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

    থানা সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার (৮ই জানুয়ারি) উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের পাঁচ সিকাদার ব্রিজ এলাকা থেকে এস আই ইকরাম,এস আই আবুল ফারেজ জুয়েলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের হাতেনাতে আটক করে।এই সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত জাতীয় গ্রেডের বৈদ্যুতিক খুটির যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধার করা হয়।

  • বাঁশখালী ছনুয়ায় সা’দপন্থীদের রুখতে ছনুয়ার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালী ছনুয়ায় সা’দপন্থীদের রুখতে ছনুয়ার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    (০৮ জানুয়ারী ২০২১) জুমাবার সকাল ৮.০০ টার সময় ছনুয়া উপকূলীয় হোসাইনিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরী জামে মসজিদে অলেম অধ্যুষিত ছনুয়ার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের অংশগ্রহণে তথাকথিত তাবলিগ জামাত তথা সা’দপন্থী গ্রুপ এতায়াতিদের রুখে দিতে এক জরুরী বৈঠক ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত বৈঠকে ও পরামর্শ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মুবাল্লিগ মাওলানা হাফেজ সাইফুল্লাহ সাহেব দাঃ বাঃ।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ছনুয়া খুদুকখালী আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আবু তৈয়্যাব কাসেমী হাফিঃ, শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম সাহেব।
    বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মাওলানা মুজিবুর রহমান তালুকদার,
    মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ সাহেব,
    মাওলানা কলিমুল্লাহ সাহেব, মাওলানা মনছুরুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম,
    মাওলানা আশরফ আলী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা কাইসার হামিদ, মাওলানা মোজ্জাম্মল হক ইউনুস, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন খাইরীসহ প্রায় শতাধিক ওলামায়ে কেরাম।

    বৈঠকে উপস্থিত ওলামায়ে কেরামের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহিত হয়।

    ১.ছনুয়ার আলেম ওলামাগণ ইসলামী কার্যক্রম ও কর্মতৎপরতা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাতিলের মোকাবিলায় একমত হয়ে কাজ করবেন।

    ২.কোন আলেম,খতিব ও ইমামকে কোন দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক হয়রানী করলে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে পরামর্শ পূর্বক প্রতিবাদ করবেন ।

    ৩.খুদুকখালী আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার মোহতামিম সাহেবের লিখিত অনুমতি ছাডা কোন তাবলীগ জামাত ছনুয়ার কোন মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হবে না এক্ষেত্রে তাদের সাথে হুসনে সুলুক করতে হবে ।

    ৪. ছনুয়ায় চলমান এতাআতী জামাতগুলোকে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় বুঝিয়ে সুঝিয়ে ছনুয়া থেকে বাহির করে দেয়া হবে ।

    ৫.আগামীতে ছনুয়ার সর্ব সাধারণের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য পটিয়া ও হাটহাজারী মাদ্রাসা হতে মুরুব্বিদের এনে একটি ওজাহাতী জোট করা হবে।

    বিঃদ্রঃ ছনুয়ার সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব আলহাজ্ব এম হারুনুর রশিদ সাহেবও উপরোক্ত বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং প্রয়োজনে তিনি আইনগত সহায়তার আশ্বাস দেন আলহামদুলিল্লাহ।
    হে আল্লাহ তা’য়ালা!
    আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন।
    আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল।
    ছাত্র-শিক্ষক,পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে আনাস ও ইয়াসিন গংদের পলায়ন। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার দারুল উলুম লাইট হাউজ মাদরাসার পরিচালক নিয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্র পূর্বক মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজ বাদ জোহর কক্সবাজেরের চিহ্নিত দালাল ও নামধারী আলেম নিয়ে মাদ্রাসায় গমন করে পূর্ব কোন ঘোষণা ও নোটিশ ছাড়া অবৈধ শুরা কমিটির মিটিং করতে চাইলে ছাত্র- শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধ ও তুপের মুখে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।সকাল থেকে আনাস মাদানী ও ইয়াসিগং মাদ্রাসায় আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই দখলবাজ চক্র শত চেষ্টা করেও মাদ্রাসার তথাকথিত শুরা কমিটির বৈঠক করতে পারেনি। পরে প্রতিরোধের মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা থেকে একপ্রকার লেজ গুটিয়ে চলে যায়। ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসা দখলে নেয়ার জন্য অবৈধ দখলবাজ চক্রের ধারাবাহিক চক্রান্তে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দার প্রান্তে পৌঁছেছে বলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি।কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ও শুরা মনোনীত মুহতামিম হচ্ছেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। তাকে অবৈধভাবে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দখলবাজ আনাস ও ইয়াসিন গং অপচেষ্টা চালি আসছিল। তার সবগুলো একে একে ব্যর্থ হতে চলেছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের রূপকার, শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার ক্ষেত্রে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তাকে অপসারণের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিশেষ করে কক্সবাজারের সকল শান্তিপ্রিয় জনতা, ওলামায়ে একরাম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলার চিহ্নিত এ দালাল চক্রটিকে প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদ্রাসাটিকে রক্ষা করার জন্য সচেতন ও ধর্মপ্রান জনগনকে এগিয়ে আসা প্রয়েজন বলে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছেন।

  • লালমোহনে হাঁস রাখালকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

    লালমোহনে হাঁস রাখালকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

    লালমোহন প্রতিনিধি

    লালমোহনে জামাল নামে এক হাঁস রাখালকে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বদরপুর সেনের হাওলা গ্রামে ৩নং ওয়ার্ডে ৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সেনের হাওলা গ্রামের শিউলি বাড়ির মেসির শিউলির পুত্র জামাল দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়ার নদীর বুকে জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে হাঁস ও মহিষ চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তাকে একই এলাকার বারেক গনির ছেলে খোকন ও রিপন বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে এবং চরে তাকে হাঁস ও মহিষ পালনে বাধাগ্রস্ত করে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় জামাল চরে হাঁস চরাতে গেলে খোকন ও রিপন তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তার হাঁসের পাল পিটিয়ে নদীতে নামিয়ে দেয়। জামালের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। আহত জামালকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও অভিযুক্তরা চর থেকে জামালের মহিষ নিয়ে যায়। পরে লালমোহন থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় জামাল মহিষ উদ্ধার করে। আহত রাখাল জামাল ন্যায় বিচার দাবী করেন।

  • বাঁশখালীতে দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশঃজাফরুল ইসলাম চৌধুরীর

    বাঁশখালীতে দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশঃজাফরুল ইসলাম চৌধুরীর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপি’র উদ্যোগে কালীপুর ইউপির গুনাগরি সদরস্থ আনোয়ারা- বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর ২১) বিকেলে কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী প্রধান সড়কে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, বাহারচড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মো. লোকমান।

    এ সময় বিএনপি নেতা এম. আবদুল হক,পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক রাসেল ইকবাল মিয়া, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান,পৌর বিএনপি নেতা সরওয়ার আলম আস্করী, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদুল আলম আইয়ুব, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শহিদুল আলম, বিএনপি নেতা ফজলুল কাদের, মনিরুল হক পলাশ, হাছান ডিলার, মেম্বার মমতাজ উদ্দীন, দেলোয়ার আজিম, নুরুল আজিজ, ডা. ইউনুছ, মো. তোফাইল, ইউনুছ কোম্পানী, নুরুল আমিন, জিয়া উদ্দীন, মেম্বার এবাদুল হক, নুরুল ইসলাম, হামিদ বাহার চৌধুরী, আবু ছিদ্দিক, রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

  • নবগঠিত উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নুরানী মাদ্রাসা ও হিফজ খানা পরিদর্শন করলেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    নবগঠিত উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নুরানী মাদ্রাসা ও হিফজ খানা পরিদর্শন করলেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    তরুণ মোফাচ্ছির, মুফতি রিদওয়ানুল কাদির এর ফেসবুক পোষ্ট

     

    আজ আমাদের মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী ময়দানে চাকবৈঠা ইউনিটি ফোরাম আয়োজন করে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
    সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মান্যবর চেয়ারম্যান জনাব Jahangir Kabir Chowdhury ।
    চেয়ারম্যান সাহেব ঐ প্রোগ্রাম সমাপ্ত করে আমাদের দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠা উখিয়া কক্সবাজার পরিদর্শনে আসেন।
    সেখানে তিনি কুরআনের পাখিদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন। হিফজখানার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দেন। তৎক্ষণাৎ ছাত্রদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থাও করেন।
    তিনি সর্বদা আমাদের পাশে থাকবেন বলে কথা দেন।

    আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা চেয়ারম্যান সাহেবকে কাছে পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়।
    এরপর চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেন।

    আল্লাহ তাআলা চেয়ারম্যান সাহেবকে কবুল করে নেন। আরো বেশি বেশি দ্বীনের খেদমত করার তাওফিক দান করুন।

    [ আমার ব্যক্তিগত পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…. Mufti Ridwanul Kadir ]

  • আনোয়ারায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে কাজী ইব্রাহীম পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

    আনোয়ারায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে কাজী ইব্রাহীম পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-

    আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়ন মালঘর গ্রামের কাজী ইব্রাহীম গংদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
    ৫ই জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে উপজেলার চাতরী চৌমুহনীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে কাজী ইব্রাহীম গং পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাজী সোলাইমান মাষ্টার।

    তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তার পরিবারের সাথে প্রতিবেশী কামাল উদ্দীনের পরিবারের সাথে চলাচলের রাস্তা ও বসতবাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত ব্যাপারে বিরোধ ছিল, যার ফলশ্রুতিতে একাধিক সালিশি বৈটক থেকে কোর্টে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। ফলশ্রুতিতে বিরোধপূর্ণ জায়গার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে কোন ধরনের স্থাপনা করতে নিষেধ করা হলেও কিছুদিন পূর্বে প্রতিবেশী কামাল উদ্দীনের পরিবার জোরপূর্বক ভাড়াটে লোক দিয়ে সীমানা প্রাচীর গেইট নির্মাণ করে বিরোধপূর্ণ জায়গাটি দখল করে রাখে। এই বিষয়টি নিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশনায় আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জের মধ্যস্থতায় বৈটকে কামাল উদ্দীনের পরিবারকে নির্মাণকৃত গেইটটি সরিয়ে নিতে বলা হয়।

    উল্লেখ্য, গত ২৯শে ডিসেম্বর রাত প্রায় তিনটার সময় কে বা কারা রাতের অন্ধকারে কামাল উদ্দীনের বাড়ির গেইটটি ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনার পরের দিন আনোয়ারা থানায় কামাল উদ্দীনের ছেলে মুহাম্মদ মোরশেদ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের পরিবারের ১১জন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করা হয়।
    এসময় তিনি অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মদ জয়নাল, মুহাম্মদ ইউসুফ, শওকত ওসমান, আবুল বশর, ইমন,শাহাদাত ওসমান, মিনহাজ প্রমুখ।

  • কেইসের হাজিরা দিতে এসে চট্টগ্রাম আদালতে আসামির মৃত্যু

    কেইসের হাজিরা দিতে এসে চট্টগ্রাম আদালতে আসামির মৃত্যু

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ইছহাক (৬৫) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি বন মামলার (২/২০১৮) এজাহারভুক্ত আসামি।

    বুধবার (০৬ জানুয়ারি ২১) চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
    মারা যাওয়া ইছহাক ফটিকছড়ির উত্তর কাঞ্চননগর দুল্যাছড়ি এলাকার ফকির আহমদের ছেলে।

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক-২ মো. হুমায়ুন কবির জানান, মামলায় হাজিরা দিতে এসে ওই আসামি এজলাসের সামনে বারান্দায় পড়ে যান। পরে তিনি মারা যান। বিচারক মহোদয়ের সামনে ওই ব্যক্তির সুরতহাল করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে এসে ইছহাক নামের এক আসামি মারা গেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • রুখে দাও ভারতীয় অগ্রাসণ।

    রুখে দাও ভারতীয় অগ্রাসণ।

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    আজ সেই নারকীয় ৭ই জানুয়ারি। হ‍্যা আজই সেই ফেলানী দিবস। ফেলানী খাতুনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টায় কুরিগ্রাম ফুলবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী (বিএসএফ) ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে।

    বিএসএফ এর গুলিতে গুলিবিদ্ধ ফেলানী আধাঘণ্টা ধরে সীমান্তের কাঁটাতারের সাথে ঝুলে থেকে ‘পানি পানি’ বলে আহাজারি করতে থাকে। গুলি চালানোর পর ভারতের অনন্তপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশের পাশ দিয়ে টহল দিতে থাকে। তারা ফেলানীর বুকফাটা আর্তনাদ আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছিল। এক সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকা তরুণী ফেলানীর নিথর শরীর নিস্তব্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে কাটাতারের সাথে ঝুলে থাকে ফেলানীর লাশ।

    নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নূরু কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশে এলেও মেয়ের আর্তচিৎকারে সাড়া দিতে পারেননি। হত্যার ৩০ ঘণ্টা পর বিএসএফ ফেরত দেয় ফেলানির লাশ।
    সেই হতভাগ্য ফেলানীর বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামে।

    বাংলাদেশ ও ভারতের গলায় গলায় বন্ধুত্বে সীমান্তের কাঁটাতারের সাথে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি হইচই ফেলে দেয় বিশ্বজুড়ে। সারাবিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। সেই নৃশংসতার শিকার ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাটাতারের সঙ্গে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব‍্যাপক আকারে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছিল। তবে তৈরি হয়েছিল এক মহাপ্রহসনের বিচার।

    ফেলানী হত্যার কড়া প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ; বরং সেই হত্যাকারীদের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নাকি এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চচূড়া অতিক্রম করেছে। তাদের সব চাওয়া-পাওয়া সব দাবী পূরণ করা হয়েছে। বিশালাকার ভাবে প্রচার করা হয় হত্যাকারী ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক, রাখিবন্ধনের সম্পর্ক এমনকি এদেশের অধিপতিরা বলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা।

    ফেলানীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনে বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয়ে যায় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ফেলানী হত্যার আগে ২০১০ সালের মে মাসে ঠাকুরগাঁওয়ের রত্মাই সীমান্তের এক কিলোমিটার ভেতরে এসে পারুল নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রতিবাদ ও বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় ভারত ফেলানী হত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিএসএফ এর ডিজি বাংলাদেশে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঙ্গিকার করেছিলেন ‘আর কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের ওপর তারা কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করবেন না’। শুধু সেইবারই নয় কত শতবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা তার কোনো হিসেব নেই। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতির ছিটে ফোটাও তারা রাখতে পারেননি।

    বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে বর্বর ভারতীয় বাহিনী বিএসএফ এই পৈশাচিকতা ফ্রি-স্টাইল লাইসেন্সে পরিণত হয়েছে। আর নরঘাতক ভারতীয় বাহিনীর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে একবারও প্রতিবাদ করতে পারেনি বাংলাদেশের সরকার।