Author: UkhiyaVoice24

  • জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে আজ জাতীয়   প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পলিটেকনিক ছাত্র পরিষদ এর ব্যানারে মানববন্ধন করে। এসময় ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল।

    মানববন্ধনে উল্লেখ্য তাদের ৪ দফা দাবিগুলো হলোঃ

    ১. অতিদ্রুত ৮ম পর্বের ভাইবা নিতে হবে এবং চাকুরী নিয়োগে সুযোগ দিতে হবে।
    ২. স্তুগিত ২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক উত্তীর্ণ (অটোপ্রমোশন) দিয়ে ব্যবহারিক অংশগুলোকে পরবর্তী পর্বের সাথে সংযুক্ত করা হোক।
    ৩.১ম, ৩য়, ৫ম ও ৭ম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে এবং অনলাইনে (সম্ভবহলে সরাসরি) ক্লাস করানোর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা নেয়া হোক।
    ৪. ২০২১ সালের মধ্যে ডুয়েটসহ চারটি প্রকৌশলী ও অন্যান্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ করা হোক। উক্ত দাবির বিষয়ে কোন বিলম্ব মানিনা, মানবো না।

    উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত ২য়, ৪র্থ, ৬ ষ্ঠ, ও ৮ম পর্বের সমাপনী পরীক্ষা আটকে আছে। এখনও পরীক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

  • পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    এম এম সাইফুল্লাহ আল মনির, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলাধীন ইউনিয়ন সমূহে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন।

    গতো ৩০শে ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কতৃক এক অনুষ্ঠানের ম‍াধ‍্যমে এই প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন,

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর, শায়খুল হাদীস আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মূফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

    এসময় প্রধান অতিথি প্রার্থীদের হাতপাখা খচিত দলের নাম সম্বলিত ব‍্যাচ পরিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেন।

    এই জেলায় মোট ইউনিয়ন সংখ্যা ৭৭ টি, তবে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন ৭৬টি হলেও আপাতত তারা প্রার্থী ঘোষনা করেছেন ৭৪ টি ইউনিয়ন পরিশদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম, এবং দুইটি ইউনিয়নে রয়েছে তাদের একাধিক প্রার্থী।

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন সংখ্যা ১৪ টি

    ০১.বদরপুর. মাওঃ মোঃ আবুল বাশার জিহাদি
    ০২. মৌকরন-মুহাম্মাদ মামুন আকন
    ০৩. লাউকাঠী-মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই
    ০৪. লোহালিয়া- মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার
    ০৫. ভূরিয়া-মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান
    ০৬. কমলাপুর -মোঃ শাহজাহান হাওলাদার
    ০৭. জৈনকাঠী- মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান
    ০৮. কালিকাপুর-আলহাজ্ব হাফেজ কাওছার উল্লাহ্
    ০৯. আউলিয়াপুর- মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান
    ১০. মাদারবুনিয়া- স্থগিত
    ১১. মরিচবুনিয়া- মাও.আমিনুল ইসলাম মোশাররফ
    ১২. বড়বিঘাই-মাও.মোঃ জসিম উদ্দিন
    ১৩. ছোটবিঘাই- অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন সিকদার
    ১৪. ইটবাড়িয়া- মাওলানা জাকারিয়া হাওলাদার।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউয়ানের প্রার্থীর নাম : মাওঃ আবুল বাশার জিহাদি, তার পিতার নামঃ মৃত্যু আফসার উদ্দিন।

    তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি ফাযিল(ডিগ্রী) পাশ। তিনি পেশায় একজন ইমাম,ও ইসলামী ওয়ায়েজ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় :
    তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-অর্থ সম্পাদক,

    * উপজেলার মৌকরন (নবগঠিত) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা মুহাম্মাদ মামুন আকন, তার পিতার নামঃ মোঃ ফজলুল হক আকন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি কামিল ( এম, এ) পাশ। তিনি পেশায় মানব গড়ার কারিগর তথা একজন শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নবগঠিত মৌকরন ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই, তার পিতার নামঃ মৃত্যু রিয়াজ উদ্দিন সিপাহী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, তিনি এস. এস. সি পাশ, তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লাউকাঠী ইউনিয়ন সভাপতি, ও সদস্য, পটুয়াখালী সদর।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : আলহাজ্ব মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার, তার পিতার নামঃ মোহাম্মদ শামসুল হক। তিনি কামিল( এম. এ) পাশ। তিনি পেশায় একজন মানুষ গড়ার কারিগর তথা শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মো.আরিফুর রহমান, তার পিতার নামঃ শামসুদ্দিন আকন। তিনি এস. এস. সি পাশ। তিনি পেশায় একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন ভুড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    *পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : জনাব মো.শাহজাহান হাওলাদার, তার পিতার নামঃ আফপার আলী হাওলাদার। তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,কমলাপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান। তিনি কামিল (এম. এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ , জৈনকাঠী ইউনিয়ন এর সভাপতি ও
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলারপ্রশিক্ষণ সম্পাদক,

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপু ইউনিয়নের প্রার্থীর নাম : হাফেজ মোঃ কাওছার উল্লাহ

    তার পিতার নামঃ ফোরকান খন্দকার। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি অষ্টম পাশ, তিনি একজন সফলতার সাথে ব‍্যবসা পরিচালনা করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সহ-দপ্তর সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম :মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান হাওলাদার, তিনি এস. এস. সি পাশ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা আমিনুল ইসলাম মোশাররফ, তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওঃ মুহাম্মাদ জসিম উদ্দিন, তার পিতার নামঃ সিরাজুল হক মাষ্টার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বড় বিঘাই ইউনিয়ন শাখার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন শিকদার (সাবেক চেয়ারম্যান)। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি জাতীয় শিক্ষক ফোরাম,পটুয়াখালী জেলার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও. মো. জাকারিয়া হাওলাদার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য।

  • ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়া পশ্চিম নানুপুর দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আজ ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,
    কওমী মাদরাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমী মাদরাসা ও ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমী মাদরাসা অনেক অবদান রয়েছে৷ যারা কওমী মাদরাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এদেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এদেশের জনগণ মাদরাসা প্রিয়,আলেমপ্রিয়।

    আমীরে হেফাজত বলেন,উক্ত মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোন প্রকারের দোষ না থাকা সত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদরাসায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কওমী মাদরাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে মাদরাসার নির্মাণ কাজে ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি শান্তিপ্রিয় থানা উল্লেখ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পূণ্যভূমি। ফটিকছড়ির মানুষ শান্তিপ্রিয়। সম্প্রতি একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কওমী মাদরাসায় হামলা, শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের শানে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • টেকনাফের হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শতাধিক হাফেজ আলেমকে পাগড়ী প্রদান

    টেকনাফের হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শতাধিক হাফেজ আলেমকে পাগড়ী প্রদান

    ওসমান আল-হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    গত জুমাবার ও শনিবার কক্সবাজার জেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলার অন্তর্গত আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ৯৪ তম বার্ষিক সভা ও দস্তারবন্দী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার সদর মুহতামিম মাওলানা ক্বারী মোখতার আহমদ সাহেবের উদ্বোধনী আলোচনার মাধ্যমে ২ দিনব্যাপী বার্ষিক সভা শুরু হয়।
    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা নুরুল ইসলাম সাদেকসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ পৃথক পৃথক অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন।

    দ্বিতীয় দিবসের সমাপনী অধিবেশনে জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মাহফুজুল হক ও জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিসগনের উপস্থিতিতে ১৪৪০-৪১ হিজরী ২০১৯-২০ ইংরেজি শিক্ষাবর্ষের
    শিক্ষা সমাপনী দাওরায়ে হাদীসের ৩০ জন আলেম ও ৩৯ জন হাফেজকে ফজিলত প্রদান করা হয়।

    প্রধান অতিথি আল্লামা মাহফুজুল হক বলেন, সমকালীন বিশ্বে দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে নবীজি সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুসরণের বিকল্প নেই। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি জীবন গঠন ও সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দ্বীন বাস্তবায়নে নিজেকে নিবেদিত করি।

  • ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপর দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও ৬ জন তাউহিদী জনতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের পরিচালক, ইসলামী আইন বাস্তাবায়ন কমিটি ফটিকছড়ি’র পৃষ্ঠপোষক,আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

    আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন,

    আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আজ ৪ জানোয়ারি রোববার দুপুরে ঘটনাপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এ কথা বলেন।

    ফটিকছড়িতে মাজারপন্থীদের দ্বারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

    মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোকে বেরলবী ও মাজার পূজারিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও রুসূমাতের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর হয়নি।কোন হামলা, হত্যা ও হানাহানি হয়নি।

    তিনি আরও বলেন, বেদাতী মাজার পূজারীরা বিনা উসকানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিশেষ করে আহলে হক তথা হাজারো আওলিয়া আর আলেমদের পদভারে পূণ্যভূমিতে খ্যাত ফটিকছড়ির মাঠিতে দারুচচ্ছালাম মাদ্রাসায় গুটিকয়েক ভন্ডরা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি তাউহিদী জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

    সুতরাং মাননীয় সরকার বিশেষ করে ফটিকছড়ির এমপি মহোদয়, ইউনো স্যার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত সময়ে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যাতায় ফটিকছড়িতে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনই দায়ী থাকবে৷

  • ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার সাটারগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবদ্ধ

    ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার সাটারগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবদ্ধ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দারুস সালাম ঈদগাঁও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ছাত্রদের মারধর করতে গেলে স্থানীয় জনগনের বাধাঁর সম্মুখীন হয়ে নানুপুর আওয়ামীলীগ নেতা পাটান হাসান তার শাটার গান থেকে এলোপাতারী গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

    আহতরা হলেন ইমরান (২৭) পিতা-জানে আলম, নুর উদ্দিন (২৬) পিতা গাফফার, মজিব উল্লাহ (১৮) পিতা-আজম, বাহাদুর (৬৫) পিতা-আবদুর রশিদ, জোবায়ের (২৮) পিতা-আবদুল কাশেম।

    স্থানীয়রা জানান গতকাল সোমবার দুপুরে মাইজভান্ডার এলাকার মন্নানীয়া সড়কের পূর্বপাশে অবস্থিত সরকারী খাস জায়গায় দারুস সালাম ঈদগাওঁ মাদ্রসায় ভবনের নিমার্ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য নানুপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসা ভাংচুর ও ছাত্রদের উপর হামলা করলে তখন মাইকে হামলার কথা প্রচার করা হলে পাশের মোবারক আলী পন্ডিত বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে পাঠান হাসান বাহিনীর লোকদেন সংঘর্ষ বেধে গেলে তখন হাসান তার সাটারগান থেকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়। তাদেরকে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এলাকায় পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম আবু তৈয়র, ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসান জানান তারা মাদ্রাসাটি সরকারী খাস জায়গায় করার চেষ্টা করছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে সরকারী জায়গায় মাদ্রাসা না করার জন্য বলেছি, আমি কোন গুলি করি নাই। সব মিথ্যা রটানো হচ্ছে।

    ফটিকছড়ি থানার অফিসার অইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সাটারগানের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মাদ্রাসা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ আছে। পুলিশ মোতায়েন করা আছে। অভিযোগ করা হলে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন জানান বিরোধীয় জায়গাটি যেহেতু সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গা সেখানে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে মাদ্রাসা বা কোন স্থাপনা নিমার্ন করতে পারে না। তাই তাদেরকে কোন নিমার্ন কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • লালমোহনে দশ পিচ ইয়াবা সহ ১ জন গ্রেফতার

    লালমোহনে দশ পিচ ইয়াবা সহ ১ জন গ্রেফতার

    স্টাফ রিপোর্টঃ

    লালমোহন বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ পিচ ইয়াবা সহ ১ জনকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানা পুলিশ।
    ৩ জানুয়ারী/২১ ইং তারিখ রবিবার রাত্র-অনুমান সাড়ে দশটার সময় এস আই শক্তিপদ মৃধার নেতৃত্বে এএসআই(নিঃ),মোঃ অহিদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ),গনেশ চন্দ ঘরামী, এএসআই(নিঃ),সুমন চন্দ্র তালুকদার, এএসআই(নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান-২ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের দঃ পেয়ারী মোহন এলাকার বাবুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে হইতে উপজেলার রায়চাদঁ ৬ নং ওয়ার্ডের ছিটু মিয়ার ছেলে মোঃ জামাল(৩৪), কে ১০(দশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ০৪/০১/২০২১ ইং তারিখে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণীর ১০(ক) দ্বারায় থানায় মামলা করা হয়। লালমোহন থানায় মামলা নম্বর-১। এব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন,তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অাইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মাদক নির্মূলে পুলিশি অভিযান সব সময় চলমান থাকবে।

  • উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়দের বাদ দিয়ে, রোহিঙ্গাদের চাকুরী দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন

    উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়দের বাদ দিয়ে, রোহিঙ্গাদের চাকুরী দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্পে স্থানীয়দের চাকুরীচ‍্যুত করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবৈধভাবে চাকুরী দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন।

    ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছে, যার অধিকাংশই রোহিঙ্গা পালংখালী ইউনিয়নে বসবাস করে আসছে।

    বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও হোস্ট সম্প্রদায়ের জন্য এনজিও ও আইএনজিও এর মানবিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। কিন্তু স্থানীয় জনগোষ্ঠী এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থান জনিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাই RRRC ও এনজিও ব্যুরো স্থানীয়দের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    কিন্তু World Vision নামক সংস্থা জিএফএ প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় রোহিঙ্গাদের চাকরিতে না নেয়ার ব্যাপার নির্দেশনা থাকলেও প্রতিনিয়ত উল্লেখিত আইএনজিও স্থানীয়দের সুযোগ না দিয়ে চাকুরী থেকে ছাটাই করছে এবং রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।যার কারণ হচ্ছে স্থানীয়দের চেয়ে কম মজুরি দিয়ে কাজ করা যায় রোহিঙ্গাদের দিয়ে।

    যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ যা অপ্রিতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে। World Vision নামক আইএনজিও ক্যাম্প- 8E, 8W, 9, 10, 11, 12, 17,18, 20, 20 ext এ চাকুরী থেকে কিছু স্থানীয়দের ছাটাই করেছে এবং ২০৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাকুরী দিয়েছে।

    যার ১২৪ জন রোহিঙ্গা মাসিক বেতনে এবং ৮২ জন রোহিঙ্গা দৈনিক বেতনে চাকুরী করছে। যা এনজিও ব্যুরো এবং আরআরআরসি (RRRC) নিয়ম পরিপন্থী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট থাকলেও পালংখালী ইউনিয়নের বা স্থানীয়দের অবহেলা করা হচ্ছে।

    এই বিষয়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন, উখিয়া সংশ্লিষ্ট সিআইসি মহোদয়ের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন এবং চাকুরীচ‍্যুত স্থানীয়দের চাকুরীতে পূণর্বহালসহ রোহিঙ্গাদের চাকুরী থেকে ছাটাই করে উক্ত স্থলে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সিআইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে ১১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে,উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর বলেন,এনজিও ও আই এনজিও চরিত্র এপিট ওপিট,শুধু নিয়োগ ক্ষেত্রে একই চরিত্র।এনজিও ও আই এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও গ্রামীণ উন্নয়নের নামে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাউকে তোয়াক্কা করছে না।রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের চাকুরী না দিলে উখিয়া-টেকনাফে বৃহত্তর আন্দোলনের মূখে পড়তে হবে এনজিও ও আই এনজিওদের।

  • উখিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় র‌্যাব সদস্য নিহত

    উখিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় র‌্যাব সদস্য নিহত

    মোঃ শহিদ উখিয়া

     

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা র‌্যাব- ১৫ এর সদস্য লেন্সনায়ক তরিকুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও র‌্যাবের আরেক সদস্য।

    সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার পালংখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    উখিয়ার শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মারুফ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    পুলিশের ইনচার্জ মারুফ আহমেদ জানান, কক্সবাজার থেকে টেকনাফমুখি ট্রাকের সঙ্গে হোয়াইক্যং থেকে উখিয়ার কুতুপালংগামি এক মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে র‌্যাবের ২ সদস্য আহত হন। তার মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, হোয়াইক্যংয়ের র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে উখিয়ায় অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি দল। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেলে যাওয়া র‌্যাব সদস্য লেন্সনায়ক তরিকুল ইসলাম ও এএসআই কাউসারকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে লেন্স নায়ক তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। অপর আহত সদস্য কাউসারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • খালেদা জিয়া জামাতিদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের নামে মানুষ মেরেছে- আ জ ম নাছির উদ্দীন

    খালেদা জিয়া জামাতিদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের নামে মানুষ মেরেছে- আ জ ম নাছির উদ্দীন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম মহানগর আাওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, খালেদা জিয়া জামায়াতিদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের নামে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। বাংলার মানুষের কাছে বাংলার মাটিতে তার জবাব দিতে হবে। আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকতে হবে।

    আজ(০২ জানুয়ারি২১) বিকালে কাতালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।