Author: UkhiyaVoice24

  • বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলাম শরীয়াহ কি বলে?

    বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলাম শরীয়াহ কি বলে?

    হাফেজ মাওলানা আয়াজ উদ্দিন

    আমরা মনে করি, থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানের নামে ঢাকা, কক্সবাজারসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রতি বছর যে চিত্র দেখা যায়, তা সত্যিই লজ্জা ও বেদনাদায়ক। এসব অনুষ্ঠান নতুন বছরের সু-কামনা, বাসনা আর প্রত্যাশার মূলেই কুঠারাঘাত করা হয়।

    ইসলাম কেবল কিছু আচার-অনুষ্ঠানের সমষ্টি নয়, বরং তা মানুষের গোটা জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী বিন্যস্ত ও সজ্জিত করতে উদ্যোগী হয়।
    তাই একজন মুমিনের জীবনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইবাদাত-বন্দেগি, যেমনটি কুরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘আমি জ্বিন ও মানুষকে আমার ইবাদত করা ছাড়া অন্য কোনো কারণে সৃষ্টি করিনি। ’ -সূরা আয যারিয়াত: ৫৬ দিনরাতের পর সপ্তাহ, সপ্তাহের পর মাস, মাসের পর বছর, এগুলো কার ঈশারায় হয়? নিশ্চয়ই এর একজন কারিগর আছেন! কে তিনি? তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, লালনকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা। আল্লাহপাক আল কোরআনে ইরশাদ করেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম’। বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তাই এ দেশের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে আমাদের রাষ্ট্রধর্ম “ইসলাম’’। কথা হচ্ছে ইসলামে কোনপ্রকার কুকালচার বা বিজাতীয় কৃষ্টি কিংবা অপসংস্কৃতি উদযাপনের অনুমোদন আছে কি? ইসলামের কথা না হয় পরে বলি, সচেতন বাঙালিদের বিবেকে প্রশ্ন রাখছি- থার্টি ফাস্ট নাইট কি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে আছে? যদি না থাকে তবে কেন ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র খুনে রঙিত সবুজ এই জমিনে থার্টি ফার্স্ট এবং নববর্ষের নামে নষ্টামির নির্লজ্জ প্রদর্শনীর আয়োজন? আমাদের তো স্বকীয় সন আছে, বাংলা ক্যালেন্ডার আছে, তবে কেন সেই ব্রিটিশদের ইংরেজি সন নিয়ে এতো মাতামাতি? থার্টিনষ্টিসহ ইসলামবিরোধী কোন কাজ ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে ডাকঢোল পিটিয়ে হতে পারে কি?
    এখানে ইসলামের নির্দেশনা বর্ণনার আগে ইতিহাসের আলোকে বিভিন্ন জাতির সূত্রানুযায়ী ইংরেজি নববর্ষ এবং ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কালচারের শেকড়ের কথা উদ্ধৃতির দাবি রাখে। খ্রিস্টপূর্ব ’৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করেন। তারপরও ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালনের ইতিহাসের সাথে ইসলামের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। সূত্রমতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে ইংরেজি সনের বিস্তৃতি। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার [খৃস্টানদের তথাকথিত ধর্মযাজক, (যার বিবাহ বহির্ভূত একটি সন্তান ছিল) পোপ গ্রেগরীর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার] অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হয়! সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নববর্ষ বা নওরোজের প্রবর্তন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্যে আছে, এবং ইরানে নওরোজ (নতুন দিন) ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। ইরানে নববর্ষ বা নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত। ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। মেসোপটেমিয়ায় এই নববর্ষ শুরু হতো নতুন চাঁদের সঙ্গে। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো ২০ মার্চ, মহাবিষুবের দিনে। অ্যাসিরিয়ায় শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর, জলবিষুবের দিনে। মিসর, ফিনিসিয়া ও পারসিকদের নতুন বছর শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর। রোমান প্রজাতন্ত্রের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩-এর পরে ১ জানুয়ারিতে। ইয়াহুদিদের নববর্ষ বা রোশ হাসানা শুরু হয় তিসরি মাসের প্রথম দিন, কতিপয় ইয়াহুদিদের মতে সেই মাসের দ্বিতীয় দিন। মোটামুটিভাবে তিসরি মাস হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে নববর্ষ শুরু হতো ২৫ মার্চ, তারা ধারণা করতো এদিন দেবদূত গ্যাব্রিয়েল যিশুমাতা মেরির কাছে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করে। অ্যাংলো-স্যাকসন ইংল্যান্ডে নববর্ষের দিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ্ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩ সালে। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল তথা ফসলী সন বেশি ব্যবহার করা হতো। বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় অনুভূতির যোগ শুরু থেকেই ছিল বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করত। তবে, সেটা আল্লাহ প্রদত্ত কোন নবী-রাসূল আনিত ইসলামে অনুমোদিত হয়নি! মুসলিম সংস্কৃতির মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি। মজুসী বা অগ্নি উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে সরকারি ছত্রছায়ায় ব্যাপক জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। একে তারা তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত করে। ফসলী সনের নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি, আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজার দিন। [সূত্র- থার্টি ফাস্ট নাইট : একটু ভাবুন! (গ্রন্থ) সবুজ বাংলা ও সামহিয়্যারইন (ব্লগ)]
    পরিশেষ
    পরিশেষে বলব, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলামি শরীআতের সাথে সাংঘর্ষিক একটি অনুষ্ঠান। অথচ মুমিন জীবন এলাহী বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রাসূলুল্লাহ [সা.]-এর যুগে পালনীয় ছিল না, এমন কিছু এ যুগেও পালনীয় হ’তে পারে না। কাজ করার আগেই জবাবদিহিতার চিন্তা করতে হবে। যদি ভুল করে ফেলে, তবে সে তওবা করবে। বর্ষবরণের এই অপসংস্কৃতির থাবায় পড়ে কত তরুণ-তরুণী যে জীবনের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে, তা দেখার কেউ নেই। সচেতন মুমিনদের উচিত বর্ষবরণের মতো এমন বেলেল্লাপূর্ণ এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় সর্বস্ব অনুষ্ঠান হতে বিরত থাকা এবং সর্বস্তরের মুসলমানদের এই অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন- আমীন!
    লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

  • নলছিটি পৌরসভায় হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি

    নলছিটি পৌরসভায় হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি

    মোঃরাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি

     

    আসন্ন নলছিটি পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ অনুষ্ঠীত হবে আগামী ৩০ শে জানুয়ারি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার কাজও শুরু করেছে।

    উক্ত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশের অন‍্যতম ইসলামী রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা।

    গতকাল ২৮ শে ডিসেম্বর রোজ সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নলছিটি পৌরসভায় প্রার্থী মনোনয়ন দেন। দল থেকে মনোনয়ন পান ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নলছিটি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ অঞ্চলের নন্দিত ওয়ায়েজ মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি।

    নলছিটি পৌরসভার সাধারণ জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ, জাতি, ইসলাম ও মানবতার কল‍্যাণে কাজ করতে চান বলে জানান হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি।

  • ১ লা জানুয়ারী হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন

    ১ লা জানুয়ারী হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    সম্মাননা পাগড়ি পাচ্ছেন দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
    উম্মুল মাদারিস খ্যাত উপমহাদেশের প্রাচীন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন আগামী ১ লা জানুয়ারী ২০২১ ঈ. জুমাবার বাদ ফজর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একই দিন বা’দ ইশা বিগত বছরে দাওরায়ে হাদীস সমাপনকারী ছাত্রদের দস্তারে ফযীলত (পাগড়ী) প্রদান করা হবে।

    মাহফিল উপলক্ষ্যে পুরো জামিয়া জুড়ে সাজসাজ রব। বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষের দিকে। হাজার হাজার মুসলিম জনসাধারণের সমবেত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এক বিশাল মাঠ। প্রতিবছর শ্রোতাদের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠের আয়তনও বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদরাসা ক্যাম্পাস, মসজিদ ও শ্রেণীকক্ষগুলোকেও আগত মেহমানদের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তাদের সাদরে বরণ করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামিয়া’র ভেতর-বাহির সর্বস্থানে সাজানো-গোছানের অনুপম ছোঁয়া লক্ষ করা গেছে।

    এ মহতি মাহফিলকে সফলকাম করার জন্য রাত-দিন নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জামিয়ার শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এলাকাবাসীগণও এ মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। জুমাবার দিনব্যাপী মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন দেশের সুযোগ্য ও সুবিখ্যাত উলামায়ে কেরাম। বাদ জুমা দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বক্তব্য রাখবেন জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক, আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা. এবং মাহফিল শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন মজলিসে ইদারী’র প্রধান, মুফতীয়ে আজম বাংলাদেশ আল্লামা মুফতী আব্দুচ্ছালাম চাটগামী দা.বা.।

    জুমাবার দিবাগত রাত ইশা পর্যন্ত চলবে আলোচনা ও ওয়ায-নসীহত পর্ব। বাদ ইশা বিগত বছরের দাওরায়ে হাদীস ফারেগীন ছাত্রদের দস্তারবন্দী সম্মেলন (সমাবর্তন) অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে সম্মানসূচক পাগড়ি সনদপত্র প্রদান করা হবে।

    দেশের সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় জনসাধারণের প্রতি বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মজলিসে ইদারী’র প্রধান, মুফতীয়ে আজম আল্লামা মুফতী আব্দুচ্ছালাম চাটগামী দা.বা. এবং শায়খুল হাদীস ও আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা.। সাথে সাথে সম্মেলনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দুআ চেয়েছেন।

  • বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ আটক ৩

    বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ আটক ৩

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিসিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ ১ নারী ও ২ যুবক‌কে আটক ক‌রে‌ছে থানা পু‌লিশ। গত বুধবার রা‌তে ও বৃহস্প‌তিবার (২৪ ডি‌সেম্বর) ভোর সকা‌লে বাঁশখালী পেকুয়া সীমা‌ন্তের পুঁইছ‌ড়ি ফুটখালী ব্রীজ এলাকায় পৃথক অ‌ভিযান প‌রিচালনাকা‌লে তা‌দের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদ‌রের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত না‌ছির উ‌দ্দি‌নের পুত্র মো. ইব্রাহিম (২০), টেকনাফ উপ‌জেলার ক‌্যাম্প পাড়া ৯নং ওয়া‌র্ডের মৃত শামশুল আল‌মের পুত্র আসমা‌য়েত উল্লাহ (২১) ও কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদ‌রের ৬নং ওয়ার্ড বাহারছড়া এলাকার জা‌হিদ হোছে‌নের স্ত্রী সফুরা বেগম (১৯)। আটক ও ইয়াবা উদ্ধা‌রের বিষ‌য়ে সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে বাঁশখালী থানা পু‌লি‌শের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান, গোপন সংবা‌দের ভিত্তি‌তে পুঁইছ‌ড়ি ফুটখালী ব্রীজ এলাকায় পুলি‌শের তল্লাশী চৌ‌কি বসা‌নো হয়।

    এসময় সিএন‌জি অ‌টো‌রিক্সায় তল্লাশী চা‌লি‌য়ে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ ১ নারী ও ২ যুবক‌কে আটক করা হয়। আটককৃত‌দের বিরু‌দ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আই‌নে নিয়‌মিত মামলা রুজু পূর্বক আদাল‌তে সোপর্দ করা হয়ে‌ছে।

  • ইয়াবাসহ আটক ৩, পলাতক ১ =UkhiyaVoice24.Com

    ইয়াবাসহ আটক ৩, পলাতক ১ =UkhiyaVoice24.Com

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায়  ১ লাখ ৪৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার পিএবি সড়কের কালাবিবি দিঘীর মোড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল)র নেতৃত্বে পটিয়া ও আনোয়ারা পুলিশের একটি যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

    এসময় ইয়াবা পাচারের ২টি মোটর সাইকেল ও আটক করা হয়। তবে ১ পাচারকারী পালিয়ে যায়।

    আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশের প্রেস ব্রিফংএ জানানো হয়।

    বৃহস্পতিবার(২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান।

    প্রেস ব্রিফিংএ উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া) সার্কেল মো. তারিক রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মফিজ উদ্দিন, আনোয়ারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এসএম দিদারুল ইসলাম, পটিয়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ রেজাউল করিম প্রমুখ।

  • হাটহাজারী মাদরাসায় জুনায়েদ বাবুনগরীর সাথে পীর সাহেব চরমোনাই এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    হাটহাজারী মাদরাসায় জুনায়েদ বাবুনগরীর সাথে পীর সাহেব চরমোনাই এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর ২০)
    রাতে হাটহাজারীতে একটি মাহফিল স্থলে আসার পূর্বেই পীর সাহেব চরমোনাই দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসাতে প্রবেশ করেন

    এসময় আমিরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ এর সহিত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। হযরতের সহিত কুশল বিনিময়ে আমীরে হেফাজত – হাটহাজারীতে পীর সাহেব চরমোনাইর আগমনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

    পরে সদ্য জাতির নিকট হইতে বিদায় নেওয়া সাবেক হাটহাজারী মাদ্রাসার মহা পরিচালক ও হেফাজতের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহঃ) এর কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন। এতে মাওঃ ফোরকান সিকদারও উপস্তিত ছিলেন।

  • হাটহাজারী মাদ্রাসায় পীর সাহেব চরমোনাই আমীরে হেফাজতের সাথে সাক্ষাৎ

    হাটহাজারী মাদ্রাসায় পীর সাহেব চরমোনাই আমীরে হেফাজতের সাথে সাক্ষাৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    গতকাল ২৩/১২/ ২০২০ ইং বুধবার হাটহাজারীতে মাহফিল স্থলে আসার পূর্বেই পীর সাহেব চরমোনাই দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা তে প্রবেশ করেন, এসময় আমিরে হেফাজত
    আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ এর সহিত সাক্ষাৎ করেন। হযরতের সহিত কৌশল বিনিময়ে আমীরে হেফাজত – হাটহাজারীতে পীর সাহেব চরমোনাইর আগমনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

    পরে সদ্য জাতির নিকট হইতে বিদায় নেওয়া মাদ্রাসার অভ্যন্তরে অবস্থিত ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত শায়খুল ইসলাম
    আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহঃ) এর
    কবর জিয়ারত দোয়া করেন।

  • উখিয়ার ডেইলপাড়া, আগামী ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, ৭তম ইসলামী সম্মেলন

    উখিয়ার ডেইলপাড়া, আগামী ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, ৭তম ইসলামী সম্মেলন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ-এর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার উদ্যোগে ইসলামী সম্মেলন

    তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, রোজঃ মঙ্গলবার সপ্তম বারের মত শুরু হতে যাচ্ছে, উক্ত তারিখে আশেপাশে সভা/মাহফিলের তারিখ নির্ধারণ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

    প্রধান বক্তা মাওলানা ক্বারী মোজাম্মিল হক সাঈদ সাহেব (দাঃবাঃ)

    পরিচালক, মাদ্রাসা নুরে মদীনা ঢাকা ও খতিব, মুজাহিদনগর রায়েরবাগ আল ইমরান জামে মসজিদ, ঢাকা।

    উক্ত ইসলামী সম্মেলনে দেশবরেণ্য ওলামায়েকেরাম তশরিফ আনিবেন।

    সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রহিল।

    আয়োজনেঃ ইসলামী সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি, উখিয়া কক্সবাজার।

  • ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    মোঃ শহিদ উখিয়া

     

    কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে ‘চাঁদার দাবিতে’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে নিয়োজিত এক স্বেচ্ছাসেবককে (সিপিপি) অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজারস্থ ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি হেমায়েতুর রহমান।
    অপহৃত মোহাম্মদ হোসেন (৩৬) উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় নিযোজিত সিপিপি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
    এসপি হেমায়েতুর বলেন, বিকেলে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে সিপিপি কর্মী মোহাম্মদ হোসেনকে অজ্ঞাত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবরটি পাওয়ার পর থেকে এপিবিএন এর সদস্যরা তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন। পরে তাকে ছেড়ে দিতে সন্ত্রাসীরা স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
    অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে এপিবিএন সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান হেমায়েতুর।

  • উখিয়ায় ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক

    উখিয়ায় ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর)দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার ১৯ নং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের প্রবেশমুখে ১৬, এপিবিএন এর এস.আই মোঃ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম চেকপোস্টে ডিউটি করাকালীন মৃত ইয়াকুব আলী’র পুত্র রোহিঙ্গা সিরাজুল মোস্তফা (২০) কে আটক করে।

    পরে আটককৃত রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীর দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত জিন্সের পকেট হতে বিশেষভাবে তৈরি সাতটি নীল রঙের এয়ারটাইট প্যাকেটের ভিতরে রক্ষিত ১ হাজার ৪ শত পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে।

    ১৬ এপিবিএন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী সিরাজুল মোস্তফা উখিয়ার ১২ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ব্লক-সি, শেড নং জি-১১ এর বাসিন্দা।রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী সিরাজুল মোস্তফাকে উদ্ধারকৃত ইয়াবা টেবলেট সহ পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।