Author: UkhiyaVoice24

  • সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নটি ছিল একসময় উপজেলার সবদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই ইউনিয়নে এককালে ছিলেন ৯ জন বড় বড় জমিদার। তাদের মধ্যে যোগেস চন্দ্র রায় বাহাদুর ও প্রসন্ন কুমার ছিলেন অন্যতম। পুরো চট্টগ্রামে ছিল তাদের জমিদারির বিস্ততি। একসময় যখন দেশের কোথাও বিদ্যুৎ ছিলনা তখন এই পরৈকোড়াতেই জমিদার প্রসন্ন কুমারের বাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে জ্বলত বৈদ্যুতিক বাতি। প্রজাবৎসল হিসেবে এসব জমিদারের ছিল সুখ্যাতি। প্রজাদের সুবিধার্তে এ ইউনিয়নে খনন করেছিলেন তারা অসংখ্য দিঘী, নির্মাণ করেছিলেন হাট-বাজার, ব্রিজ- কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয়সহ অনেক কিছু। আজ সেইসব স্থাপনা আর কীর্তি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে বসেছে।

    জানা যায়, বৈদ্য বংশের প্রখ্যাত জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায়ের পূর্ব পুরুষ ছিলেন দেওয়ান বৈদ্য নাথ। ১৬শ শতকে  এদের জমিদারির গোড়াপত্তন। তার দুইটি জমিদারি, বহু হাট-বাজার, দিঘী আজো কীর্তি হয়ে আছে। চট্টগ্রামের দেওয়ান বাজার, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, দেওয়ান হাট আজো তার নামের সাক্ষী বহন করে। তার পুত্র জমিদার হরচন্দ্র রায়ের দত্তক পুত্র ছিলেন গিরিশ চন্দ্র রায়। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মারা গেলে তার স্ত্রী নয়নতারা রাউজান উপজেলার কৈলাশচন্দ্র চৌধুরীর ৮ বছরের পুত্র যোড়সাকে দত্তক নিয়ে তার নাম রাখেন যোগেষ চন্দ্র রায়। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই নয়নতারা মৃত্যুবরণ করলে জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রজা বৎসল এক জমিদার। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে পরৈকোড়া ইউনিয়নে তিনি যাতায়াতের সুবিধার্তে মুরালি খালের উপর নির্মাণ করেন একটি প্রশস্ত ব্রিজ। প্রতিষ্ঠা করেন লালানগর বাজার। মানুষের চিঠিপত্র আদান প্রদানের জন্য নির্মাণ করেন পোষ্ট অফিসও। তাছাড়া এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহু পাকা সড়ক এবং নির্মাণ করেন একটি হাসপাতাল।

    জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকারের সময় স্থাপিত বর্তমান আনোয়ারা থানাও তৎকালীন সরকার এই পরৈকোড়াতেই স্থাপন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জমিদার যোগেশ চন্দ্র  ‘থানার ধারে কানাও ঘেঁষেনা’ এই কথা বলে তা ফিরিয়ে দেন।

    শিক্ষানুরাগী এ জমিদার এ অঞ্চলের মানুষের লেখাপড়ার উন্নয়নে ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি পরৈকোড়া ইংরেজী স্কুলকে নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন।
    অন্যদিকে এ ইউনিয়নের আরেক প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন প্রসন্ন কুমার রায় বাহাদুর। সংস্কৃতিমনা এ জমিদারের সুখ্যাতি ছিল দুর দুরান্ত পর্যন্ত। চট্টগ্রাম শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও মহেশখালীতে ছিল তার বিরাট জমিদারি। তিনি একাধারে সংস্কৃতিমনা, শিক্ষানুরাগী, প্রজাবৎসল এবং বহু গুণের অধিকারী ছিলেন। বিশেষ করে তার সংস্কৃতিমনা গুণের কথা সর্বজনবিদিত। তার জমিদারির সময় সুদুর কলকাতা থেকে আসতেন শিল্পীরা। মাসব্যাপী চলত নানারকম সাংস্কৃতিক আয়োজন। প্রজাদের যাতায়াতের সুবিধার্তে তিনি চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়ার কালারপুল হয়ে আনোয়ারার চানখালী পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করেন। বুড়া ঠাকুর  দীঘির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ের জমিটি তিনিই নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে দান করেছিলেন। ১৩৫০ বাংলা সনের ১২ মাঘ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার বংশধররা দীর্ঘদিন নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালনা করেন। এক কথায় এসব প্রজাবৎসল জমিদারদের নানারকম জনহিতকর কাজ- কর্মের কারণে তৎকালে পরৈকোড়া ইউনিয়ন ছিল শিক্ষা দীক্ষা, যোগাযোগ, খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিতে অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে শতগুন এগিয়ে। কিন্তু এসব জমিদারের মৃত্যুর পর সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায়  তাদের কীর্তিও রেখে যাওয়া সম্পদ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

    আবু সাঈদ বলেন-যদি ভালভাবে সংরক্ষণ করে জমিদার বাড়িগুলো বসবাস উপযোগী করে তাহলে এখন মানুষ যে হারে এই জমিদার বাড়িগুলোকে দেখার জন্য যায় বা যাচ্ছে তাহলে ভবিষ্যতে এই বাড়িগুলো প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে দেখার জন্য অনেক পর্যটক ছুটে আসবেন বলে আমি মনে করি।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে শোকপ্রকাশ করেছেন, আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যা বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।

    আজ (১৩ ডিসেম্বর ২০) রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশের ইসলামী রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের মুকাবিলা করতে তিনি প্রথম সারিতেই থাকতেন।

    তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আল্লামা কাসেমীর সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আমার বাবা মরহুম শাইখুল ইসলাম রহঃ এর আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।

    দেশজুড়ে আল্লামা কাসেমীর রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    উল্লেখ্য, আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার বেলা ১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন। (আমিন)

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    শোক বার্তা

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদনিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

    আজ রবিবার দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    কে এম শরীয়াতুল্লাহ
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

  • ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

     

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ),
    ভোলা জেলাধীন চরফ্যাসন উপজেলায়
    প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে আহবায়ক,ইয়াহ ইয়া ইসলাম মনির কে যুগ্ন-আহ্বায়ক, মোঃ নূর হোসেন কে যুগ্ন আহ্বায়ক এবং প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম ভূঁইয়া কে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।

    শনিবার ১২/১২/২০২০ ইং তারিখে জেলা কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম শামীম ও সদস্য সচিব মীর মোঃ শরীফ স্বাক্ষরিত এ কমিটি ঘোষণা করেন।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত মুহতামীম ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আজ দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

    সংগঠনের মুহতারাম জেলা ছদর মাওলানা মোজাম্মেলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মু.সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী ও যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী
    প্রচার সম্পাদকঃ
    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি
    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা

  • ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের তথ‌্য জেনে ফেলায় হত‌্যার শিকার হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহাকে হত্যার পর বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।’

    আশিক বিল্লাহ জানান, ইয়াবা ব্যবসা বিষয়ে মেজর সিনহা ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি আগে সিনহাকে হুমকি দেন ও পরে হত্যা করেন। টেকনাফে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণকালে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ইয়াবা কারবারে প্রদীপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পান সিনহা। পাশাপাশি প্রদীপের বহুমুখী নির্যাতনের তথ্যও পান তিনি। এ নিয়ে টেকনাফ থানাতেই সিনহাকে হুমকি দেন ওসি প্রদীপ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছেন র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা।

    র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক বলেন, ‘তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওসি প্রদীপের নির্দেশেই পরিদর্শক লিয়াকত পাঁচ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সিনহাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ১৫ জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কনস্টেবল সাগর দেবনাথ এখনও পলাতক। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, চার্জশিটে সে সুপারিশ করা হয়েছে।’

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র‌্যাব। সকালে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের সদস্যরা। সাড়ে ১০টার দিকে বিচারক তামান্না ফারাহর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

    গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলীকে।

    মামলার পর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

  • পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি

    পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দৈনিক পূর্বদেশের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দশম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান।

    দৈনিক পূর্বদেশের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। মহামারি করোনাকালে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের মধ্যেও ফুল নিয়ে পূর্বদেশ কার্যালয়ে হাজির হন শুভানুধ্যায়ীরা। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, ব্যবসায়ী, সমাজসেবকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পূর্বদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তাঁরা দৈনিক পূর্বদেশের সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টিমুখ করান।

    পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, ‘সেই ম্যাজিক ডে ১২.১২.১২ তে পূর্বদেশ পত্রিকা যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তা এখনো আছে। এ স্বল্প সময়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমরা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছি। আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদ পাঠকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।’ চট্টগ্রামসহ দেশের উন্নয়নে পূর্বদেশ পত্রিকা সময়োপযোগী ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    রাতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে দৈনিক পূর্বদেশ কার্যালয়ে আসেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় তিনি পূর্বদেশ সম্পাদককে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

    দৈনিক আজাদীর পক্ষে দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন পত্রিকাটির সিনিয়র সহ-সম্পাদক দিবাকর ঘোষ ও চীফ রিপোর্টার হাসান আকবর। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ পূর্বদেশ পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।

    বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী ফুল দিয়ে পূর্বদেশ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানান। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম ফুল দিয়ে পূর্বদেশ সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। বাঁশখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহদাত হোসেন তানজুও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য বোখারী আজম ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনা কোতোয়ালী শাখা, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ, নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম পৃথক পৃথকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

  • আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

    আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতার প্রাণের স্পন্দন শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহুকে নিয়ে কটুক্তি ও বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে দেশবাসী ও ফটিকছড়ির সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা শাহজাহানকে সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে।

    আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এদেশের লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন। আল্লামা বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহকে নিয়ে শাহজাহানের দেওয়া আক্রমণাত্বক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মতো দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীনকে নিয়ে শাহজাহানের এমন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি। দেশের শীর্ষ একজন আলেমকে নিয়ে এমন বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য-ই প্রমাণ করে শাহজাহান কতটা নিম্নশ্রেণীর ও ইতর প্রকৃতির মানুষ। বিবেক বুদ্ধি ও মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তার বাবার বয়সের শ্রদ্ধেয় একজন মুরুব্বি আলেমকে নিয়ে কখনো এমন মন্তব্য করতো না এই কুখ্যাত শাহজাহান।

    শাহজাহানের মনে রাখা উচিত-
    আল্লামা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান হলেও তিনি এশিয়ার গৌরব,গোটা বাংলাদেশের গৌরব। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সত্যের আহবানে সদাজাগ্রত একজন বীর তিনি। আল্লামা বাবুনগরী একটি ইতিহাস,একটি বিপ্লব। তিনি এদেশের লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার প্রাণের স্পন্দন,সাহসের প্রতীক ও আশার আলো। ঈমানী চেতনায় বলিয়ান বাতিলের বিরুদ্ধে এক সাহসী বীর আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হকের পক্ষে আপোষহীন একজন বীর সিপাহসালার। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে তিনি নির্ভিক। বাতিলের রক্তচক্ষু কখনো ভয় করেন না। মাঠে ময়দানে ঈমানদীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে হকের কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের আস্থা বিশ্বাস ও ভালবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। লক্ষ কোটি মুমিনের প্রাণের স্পন্দন আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য অনতিবিলম্বে শাহজাহান যদি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

    কুলাঙ্গার শাহজাহান! মনে রেখো।
    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী যদি আবারো ময়দানে আসার ডাক দেন তাহলে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিলের লংমার্চ আর ৫ ই মে’র ঢাকা অবরোধের মতো লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা জান বাজি রেখে রাজপথে নেমে আসবে। তখন তোমার মতো শাহজাহানের কোন হদিস পাওয়া যাবে না।

    এদেশে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে গড়া হাজার হাজার ছাত্র,
    ভক্তবৃন্দ,শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছে। শাহজাহানের এমন আক্রমনাত্মক বক্তব্যে সকলের মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লামা বাবুনগরীর ভক্তবৃন্দ ফুঁসে উঠলে চুনোপুঁটি শাহজাহানদের অস্তিত্বও ফটিকছড়িতে খোঁজে পাওয়া যাবে না। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে ফটিকছড়িবাসী শাহজাহানকে বয়কট করবে,এবং তাকে যেখানে পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে।

    আমরা শান্তিপ্রিয়,দেশে শান্তির পরিবেশ চাই। আমরা কখনো আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়াই না। তবে কেহ গায়ে পড়ে সংঘাতে জড়াতে এলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ শাহবাগীরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। তবে ধৈর্যেরও একটা সীমা রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেবো।

    সুস্পষ্ট ভাষায় বলছি-অনতিবিলম্বে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে অশালীন ও বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যের এই ঘৃণ্য খেলা বন্ধ না হলে দেশের লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতা সমুচিত জবাব দেবে,ইনশাআল্লাহ।

  • আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    ইসলামিক ডেস্ক ও মিডিয়া

    বাংলাদেশের সুপরিচিত ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও মুফাচ্ছির, বাংলার কোটি যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন= আল্লামা ডঃ মিজানুর রহমান আল আজহারী সাহেব-এর পেইজ থেকে

    আলহামদুলিল্লাহ.. অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত আমার গত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী কমেন্টস এসেছে। আমি উল্লেখযোগ্য প্রায় সবগুলো কমেন্টসই পড়ার চেষ্টা করেছি। সুবহান আল্লাহ! আপনাদের চমৎকার ও কন্স্ট্রাক্টিভ পরামর্শগুলো আমায় আবেগাপ্লুত করেছে। অসাধারণ এই পরামর্শগুলোর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দিন। আপনাদের দেয়া সুন্দর পরামর্শগুলো আমরা মাথায় রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    আসন্ন চ্যানেলটির ব্যাপারে ইতিমধ্যে যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি:

    ১- সম্ভাব্য “Mizanur Rahman Azhari-Official” নামে চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করবে। চ্যানেলটি ক্রিয়েট করার পর, চ্যানেলটির প্রকৃত নাম এবং চ্যানেলটির লিংক শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে।

    ২- চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন করা হবে না এবং এডস্যান্স থাকবে না। ফলে আলোচনার মাঝখানে কোন এড শো করবে না, যা কিনা বিরক্তির এবং শ্রোতাদের মনোযোগ নষ্ট করে।

    ৩- চ্যানেলটি নিছক দা’ওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে।

    ৪- জানুয়ারি থেকে কিছু বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর দিয়ে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক সিরিজ গুলো আমরা শুরু করবো বলে আশা রাখছি।

    ৫- ইউটিউবার ভাইয়েরা যারা মাহফিলের রেকর্ডিং করে থাকেন, তাদের কেউ কেউ ম্যাসেজ করে জানতে চেয়েছেন যে— “তাহলে এখন থেকে আমরা কি দেশে আপনার কোন আলোচনা রেকর্ডিং এর সুযোগ পাব না”?

    ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই নগন্য গোলামকে দেশে এসে আবার কথা বলার সুযোগ করে দিলে, আপনারাও রেকর্ডিং এর সুযোগ পাবেন। তবে সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে, প্রফেশনাল ম্যানারে এবং দা’ওয়াহ উদ্দেশ্যে যারা কাজ করবেন শুধু তারাই। আর, বারবার সতর্কতা প্রদানের পরও বিভিন্ন অশ্লীল, অশালীন, সামঞ্জস্যহীন এবং মানহীন থাম্বনেইল দিয়ে ভিডিও আপলোড করে, দ্বীন প্রচারের এই উর্বর ময়দানটিকে যারা কলুষিত করছেন তাদেরকে শুধু একটি কথাই বলব— ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া কামাতে গিয়ে চিরস্থায়ী আখিরাত বর্বাদ করবেন না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

    Let’s work for Islam in a professional manner.