Author: UkhiyaVoice24

  • হাতে নাও বাঁশের লাঠি ইয়াসিন আমিনী

    হাতে নাও বাঁশের লাঠি ইয়াসিন আমিনী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    হাতে লও বাঁশের লাঠি
    ভেঙে দাও ওদের ঘাঁটি,
    বুঝিয়ে দাওরে তাদের
    স্বাধীন এই দেশের মাটি।।

    যেখানেই আসবে বাধা
    দাঁড়িয়ে যাও রে সদা
    তোমারই হুংকারে ভাই
    পালাবে শিয়াল গাধা।।

    কোরানের মাঠে আজি
    নেমেছে দুষ্টু পাজি
    চেতনার ব্যবসা নিয়ে
    করছে জীবন বাজি।।

    দিনদিন সাহস বাড়ে
    চড়ছে সবার ঘাড়ে
    ভেঙে দে ওদের পাঁজর
    জোরসে আছাড় মেরে।।

    চলছে হক্কের লড়াই
    বাতিল আজ করছে বড়াই
    হাতে হাত রেখে সবে
    চলো সব শুকর তাড়াই।।

    ওরা নাকি মটকাবে ঘাঁড়
    যেনো তারা পাগলাটে ষাঁড়!
    তাকবির ধ্বনি দিয়ে
    ভেঙে দাও পাঁজরের হাঁড়।।

    হক্বের কথা বলবো আমি
    বাধা দেয়ার কে রে তুমি?
    শহীদের রক্ত দিয়ে
    কিনেছি জন্মভূমি।।

  • বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ১০.০০০ হাজার টাকা করে নগদ অনুদান দিলেন চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী

    বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ১০.০০০ হাজার টাকা করে নগদ অনুদান দিলেন চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পুর্ব বড়ঘোনার জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারানো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের মানবিক সহানুভুতিসহ তাৎক্ষনিকভাবে এগিয়ে আসলেন গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলী।

    আজ ১৮ ডিসেম্বর’২০ ইং শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলী ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সহানুভুতি জানান। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাৎক্ষনিকভাবে স্বাভাবিক জিবনে উঠে দাঁড়ানোর মত সম্মানজনক আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। আগুনে ক্ষতির ভয়াবহতা এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দু:খ-দুর্দশা দেখে তিনি বিমর্ষ ও মর্মাহত হয়ে পড়েন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অগ্নিকান্ড হচ্ছে মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ ক্ষত। এ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সর্বস্ব হারানোর যন্ত্রনা যে কত মর্মান্তিক ও ভয়াবহ তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই অনুধাবন করতে পারেন।

    তাই ক্ষতিগ্রস্থদের সাধ্যমত সহযোগিতায় প্রশাসন সহ দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। অগ্নিকান্ডে বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে চেয়ারম্যানকে পাশে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং আর্থিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গন্ডামারা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ৯নং ওয়োর্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাও: আলী হোসাইন, যুবদল নেতা আলমগীর মাহাফুজ, বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলাম, মাহাবুব আলম, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ বাদশা প্রমূখ:।
    উল্লেখ্য: গতকাল ১৭ ডিসেম্বর’২০ ইং সন্ধ্যা ৭ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জলদাস পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে ২৬টি পরিবারের বসতঘর সম্পুর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং, ঘরে সংরক্ষিত সাগরে মাছ ধরার জাল, শুটকি মাছ, আসবাবপত্র, নগদ টাকা সহ প্রায় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

  • কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্র

    কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্র

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    এবার নোবেল করোনায় হানা দিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপর। ম‍্যাক্রর করোনায় আক্রান্তের কথা তার সরকারি অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ( বিবিসি )।

    ১৭ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার ) তার করোনা আক্রান্তের খবর জানানো হয়। ম‍‍্যাক্র এখন আইসোলেশনে আছেন।

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্রর কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার রাষ্ট্রীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ম্যাক্রোঁর করোনায় পজিটিভের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন তিনি সাতদিনের আইসোলেশনে থাকবেন। আপাতত আইসোলেশনে থেকেই তিনি তার জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদনা করবেন।

    সূত্র: বিবিসি।

  • বুর্জুয়াদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস: শরিফুল ইসলাম রিয়াদ

    বুর্জুয়াদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস: শরিফুল ইসলাম রিয়াদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বুর্জুয়া নেতাদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস ও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। দেশের মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের পীর মশায়েখদের নছীহত ও অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল আপামর জনসাধারণ। দেশের মাদ্রাসাগুলো ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প। তাই ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার সোনালী ইতিহাসকে চেপে রাখা যাবে না।

    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম রিয়াদ উপরোক্ত কথা বলেন।

    জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম আজিজির সভাপতিত্বে (আজ ১৬ ডিসেম্বর২০) বুধবার সকাল ৯টা হতে পটিয়া শান্তিরহাট রিলেটিভ পার্ক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের এই চেতনা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিতে হবে, তরুণদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। দক্ষিণ জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আসা প্রতিনিধিদেরকে আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে শপথ নিতে হবে যে, নিজেদের শাখাগুলোকে আরো শক্তিশালী করে দাওয়াতের এই কাজকে আরো বেগবান করা যায়।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার আহবায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, সদস্য সচিব হাফেজ আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু তৈয়ব, মুহাম্মাদ বখতিয়ার, মুহাম্মাদ মোজ্জাম্মেল, মাওলানা জাকারিয়া।

    এতে অন্যান্যদের মত উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি কাজী আবরার হানিফ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক মারুফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনাইদুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মীর মুহিব্বুল্লাহ, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ আব্বাস, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ মিফতাহ, কওমী বিষয়ক সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম, কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ মনজুর ইসলাম, স্কুল সম্পাদক আরফাত হুসাইন, ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, সাহিত্য সংস্কৃতিক সম্পাদক আইমন হুসাইন, জেলা সদস্য নেজাম উদ্দিন তালুকদার সহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

  • স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

    স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে হাজারো মা-বোনের ইজ্জতে এ দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের সকল গোত্রের মানুষ বসবাস করবে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের সাথে জোট বেঁধে দেশে অরাজকতা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।

    আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহসভাপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান ,ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হোসেন, চট্টগ্রাম নগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দীন খান প্রমুখ।

  • আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আল্লামা আহমদ শফীর রহ. এর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করে তদন্তের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এবং ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ। ১৬ ডিসেম্বর ( বুধবার ) সকালে চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী, হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ন সচিব মাইনুদ্দিন5 রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহসহ শফীপন্থী আরও নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাবো, পেছনের দিকে যাবো না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু। আমাদের আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের স্বর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে কারা ষড়যন্ত্র করেছে সঠিক সময় আসলেই জাতির কাছে আমরা সব প্রকাশ করব। আল্লামা আহম্মদ শফীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়ে সরকার যদি উদ্যোগী না হয়। তাহলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।

    এ ছাড়াও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর কান্ডে এককভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দায়ী বলেও দাবি করেন মুফতী ফয়জুল্লাহ।

    ঐ অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দিন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ন‍্যাক‍্যার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।

    মাইনুদ্দিন রুহী বলেন, বর্তমান হেফাজতের ইসলামের ১৫১ কমিটির মধ্যে জুনায়েদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ২২ জন আত্মীয় স্বজন রয়েছে। জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম নামে একটা দলের ৩৭ জন স্থান পেয়েছে বাবুনগরীর এই কমিটিতে। হেফাজতের বর্তমান তথাকথিত কমিটি একটা স্বজনপ্রীতির ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাকে পাকাপুক্ত করতে জুনায়েদ বাবুনগরী নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের থেকে ২২ জনকে হেফাজতের কমিটিতে রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন মইনুদ্দীন রুহী।

    ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অভিযোগ, আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ।

    এ অনুষ্ঠানে মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী জুনায়েদ বাবুনগরী। সেদিন আল্লামা শফি মুখ ফুটে কোনো শব্দ বলেনি। শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠান ৬টায় শেষ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান হেফাজত আমিরের নিজের ইচ্ছায় শাপলা চত্বরের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। শাপলা চত্বরে যারা আহত হয়েছিল তাদের জন্য ফান্ড গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বাবুনগরীর খামখেয়ালির কারণে সেটিও করা হয়নি বলে অভিযোগ মাওলানা সলিমুল্লাহর।

  • আনোয়ারায় বিজয় দিবস উদযাপনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

    আনোয়ারায় বিজয় দিবস উদযাপনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

    মুহাম্মদ আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা’র যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৬ই ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে হাফেজ আবদুর রহিম’র সভাপতিত্বে ও দেলোয়ার হোসেন’র সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী ফ্রন্ট’র সাবেক সভাপতি জননেতা কাজী বদরুজ্জামান নঈমী।
    উপজেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেক্রেটারি মাষ্টার আবদুল হালিম, জননেতা মুজিবুর রহমান, হাফেজ আবদুর রহিম, মাওলানা মনির আহমদ, নাজিম উদ্দীন, ফিরোজ মিয়া, মোরশেদ আলম মুন্সী, মাষ্টার নুরুল ইসলাম, যুবনেতা নাজিম উদ্দীন, মনিরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, ইফতেখার হোসাইন, জাহেদুল হক, আজিজুর রহমান, ছাত্রনেতা আলী জিন্নাহ, ফরহাদুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন, ইসমাঈল হোসেন, নেজাম উদ্দীন প্রমুখ।

    এতে বক্তারা সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
    পরিশেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।

  • নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    মোঃরাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধ

     

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলাটি প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত ছিল ধান চাষের জন্য। তন্মধ্যে আন‍্যতম ছিল রোপা আমন, আউশ ও ইরি ধান। ইরি ধান উৎপাদনে দেশের বিখ্যাত এই অঞ্চলটি।

    তবে এই অঞ্চল বতর্মানে সবচেয়ে বিখ্যাত ইরি ধান চাষে। ইরি ধান রোপন করা হয় বাংলা পৌষ-মাঘ মাসের দিকে এবং ইংরেজি ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। আর এখনই সেই সময়। ইতোমধ্যেই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে ইরি ধান রোপন। জমজমাট ভাবে চলছে এই কাজ।

    অত্র অঞ্চলের কৃষকরা ধান উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা যেভাবে মেটায়। ঠিক সেভাবে দেশের অন্য অঞ্চলের বিশেষ করে শহরের চাহিদা মেটাতেও ব‍্যাপক ভূমিকা পালন করে।

    তবে এই অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ এত করে ধান উৎপাদন করেও শেষ পযর্ন্ত সঠিক মূল্য পাননা তারা। সরকারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেননা ধান ক্রয় করার। যা উদ্যোগ নেন তা মুষ্টিমেয় কিছু মহল তাদের পছন্দের লোকদের কাছ থেকে কিনে নেন। যার ফলে বঞ্চিত হয় গরীব কৃষকরা।

    নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের কোকিলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ নূর ইসলাম জানান, ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয় সে পরিমাণ লাভবান তারা হতে পারেননা।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ধান বীজ থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক সবকিছুতেই মাত্রাতিরিক্ত দাম। এখন একজন লোককে কাজে নিলে তাকে দিতে হয় কমপক্ষে পাঁচশত টাকা। কখনও কখনও ছয়শত টাকাও দিতে হয়। কিন্তু যখন ধান বিক্রি করতে যাই তখন ধানের কাঠি বিক্রি করতে হয় মাত্র চারশত টাকা বা তার চেয়ে একটু বেশিকম। তাই খরচ সংকুলান হয় ওঠে না তাদের।

    স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা দাবি জানান, সরকার যেন মাঠ পর্যায়ে ধান ক্রয় বাস্তবায়ন করে। যাতে তাদের মতো গরীব কৃষকরা একটু হলেও লাভবান হতে পারেন।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।