Author: UkhiyaVoice24

  • কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম বলে দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিরা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এসব মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

    গতকাল ৩ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে জনমনের বিভ্রান্তি নিরসনে দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিদের ফতোয়া প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    কেউ বলছেন ভাস্কর্যের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ভাস্কর্যের বিপক্ষে। এ নিয়ে পাল্টা পাল্টিভাবে জবাব চলছে। ফলে জাতীয়ভাবে এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাস্কর্য ও মূর্তির ব‍্যাপারে শরীয়াহ বিধান নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি।
    “ তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য জায়েজ-নাজায়েজ হালাল-হারাম সংক্রান্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ক যে কেউ যেখান থেকে পারছেন মন্তব্য করছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তাই এভাবে ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ে সম্যক অবগত না হয়ে যত্রতত্র এ জাতীয় বক্তব্য প্রদান করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এবং একটি উদ্বেগজনক বিষয়। সেই বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে একটি সম্মিলিত ফতোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ”

    শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ফতোয়াটি উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক কাসেমী।

    লিখিত ঐ সম্মিলিত ফতোয়ায় তিনি বলেন, “মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। পূজার জন্য তৈরি করা না হলেও তা সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম কাজ এবং কঠিন আজাবযোগ্য গুনাহ। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য তৈরি করে প্রাণীর ভাস্কর্যকে বৈধতা দিয়ে সত্য গোপন করা স্পষ্টভাবেই কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অমান্য করার নামান্তর। ”

    ঐ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি এনামুল হক কাসেমী বলেন, “উপরন্তু যেখানে কোরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে সেখানে সেই বিধানের সামনে বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য ও মূর্তির উদাহরণ টেনে আনা ইসলামের একটি অকাট্য বিধানের অবজ্ঞা করার শামিল। কোন মুসলিম দেশের শাসক শরিয়ত বিরোধী কাজ করলে সেটা মুসলমান জাতির জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। তাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছে আল কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামী শরীয়ত।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রহমানি, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত সম্মিলিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৯৫ জন মুফতি ও মাওলানা সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।

  • বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, কাযনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা চট্টগ্রামস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে
    আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর ২০) সকালে অনুষ্টিত হয় ।

    বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ও উপদেষ্টা সোলতাল আহমদ আশরাফীর সভাপতিত্বে বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক দিলীপ কুমার তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা সদস্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস) এর সিনিয়র সাংবাদিক সমীর বড়ুয়া, সাংবাদিক সিরাজুল করিম মানিক , সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ খালেক, সান্টু কুমার দাশ, এয়ার মোহাম্মদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোহন মিন্টু, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অনুপম কুমার অভি, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ বড়ুয়া, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি শফকত হোছাইন চাটগামী, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আবু বক্কর বাবুল, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহ মোম্মদ শফি উল্লাহ, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি আবদুল জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক জনমতের সম্পাদক সায়েম ফারুকী, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি আবদুল মতলব কালু, দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি জোবাইরুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও দৈনিক মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিজান বিন তাহের, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সৈকত আর্চায্য,দৈনিক ডেসটিনির প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি মো: দিদার হোছাইন প্রমুখ ।

    সভায় বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাকালীন সদস্যদের নিয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন, প্রেস ক্লাবের ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে সিলভার জুবলী উদযাপন, ,নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন দৈনিকে কর্মরতদের প্রেস কাবের সদস্যপদ প্রদানের জন্য আলোচনা করা হয়।

  • আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৪টি ক্যাম্প থেকে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই ৬শ’ পরিবারের ২ হাজার ৫শ’ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে।

    শুক্রবার (আগামীকাল) আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়।

    প্রতি ১০টি বাসের বহরে ১টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১টি করে পুলিশের গাড়ি রয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪টি জাহাজ।

    ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্ব-স্ব ক্যাম্প থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁবু ও বুথ তৈরি করে তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। পরে তাদের ডাটা এন্ট্রি করে বাসে তোলা হয়। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য শতাধিক বাস এবং ৪০টি মালাবাহী কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    ২৩নং ক্যাম্পের মাঝি আবুল হাশেম বলেন, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের জোর দেয়া হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক তাদের নেয়া হচ্ছে ভাসানচরে।

    মিজান নামে এক যুবক জানিয়েছেন, গত রাত থেকে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে উখিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের নাস্তা ও খাবার পরিবেশন শেষে বাসে তোলা হয়। তার ধারণা প্রতিটি বাসে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কতটি রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কেউ এ পর্যন্ত মুখ খুলেনি। কাছে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক আয়োজন ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দৃশ্যটি চোখে পড়ার মতো।

    এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে বঙ্গোপসাগরের এ দ্বীপটি ঘুরে আসে ২২টি এনজিও প্রতিনিধি দল।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি থেকে চার ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে শেল্টার হোম। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি এ অস্থায়ী আবাসস্থল এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

    সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য অর্গানাইজড হয়ে কাজ করছে সরকার। এসব রোহিঙ্গা জাহাজে উঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    তিনি জানান, দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

    সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসন ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

    প্রকল্পটিতে যেন এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি।

    রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় দুটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

    এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানাস্তর কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে অবগত থাকলেও তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

  • উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    মোঃ শহিদ, উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে।

    ৩ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার)দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকষ দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এলাকার একটি বাজার হতে সৈয়দ আলম (৪০)কে ৪ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    আটক সৈয়দ আলম পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার মৃত জলিল আহমদের পুত্র।সে ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এমনটি জানিয়েছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোরশেদ।

  • আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

    আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ১৫নং ঘাটে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ঘাট পারাপার বোটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুইজন মাঝিকে আটক করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (০৩) ডিসেম্বর সিইউএফএল ১৫নং ঘাট এলাকায় আনোয়ারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    উক্ত অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ জানান,এই ঘাট দিয়ে একটি বোটে ২৫ জনের অধিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও আমাদের কাছে বোটের মাঝিরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগ আসে।
    তিনি আরো জানান,এক্ষেত্রে যাত্রীদের নদী পারাপারে সর্বোচ্চ ২৫ জন যাত্রী ব্যতীত অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারে সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান।

  • আনোয়ারায় দুই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

    আনোয়ারায় দুই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায় উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তানভীর চৌধুরীর নেতৃত্বে চারটি ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে মনিটরিং পরিচালনা করা হয়।

    প্রতিষ্ঠানগুলো হল, সাইনিং ডায়গনস্টিক সেন্টার,দি ল্যাব এইড, ছায়াপথ ক্লিনিক,ও স্টার ল্যাব।

    এতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করার কারণে ছায়াপথ ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল কে ২৫ হাজার এবং স্টার ল্যাবকে ৫,০০০ টাকাসহ সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও ঝুঁকিপূর্ণ সেবা প্রদান বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    উক্ত অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন এবং মেডিকেল টিম।

  • এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে চট্টগ্রাম (চসিক) ভোট

    এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে চট্টগ্রাম (চসিক) ভোট

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চলতি মাসের শেষের দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ভোটগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আর ডিসেম্বরে সম্ভব না হলে জানুয়ারির শুরুতে ভোটের তারিখ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

    আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর ২০) ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানায়।

    এ বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কথা ছিল। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এক সপ্তাহ আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচনটি।

    ভোট করতে না পারায় সেখানে অগাস্টের শুরুতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    সচিব জানায়, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিকে সম্ভবনা রয়েছে। তা না হলে জানুয়ারির প্রথম দিকে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারব, যখন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে’।

    স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।

    তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

    আলমগীর বলেন,“কমিশনে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সিডিউল তো ঘোষণা করেছিল, স্থগিত রয়েছে। এখন স্থগিতাদেশটা প্রত্যাহার করে পরবর্তীতে ভোটের শুধু তারিখটা দেওয়া হবে। ওখানে আর কিছু নেই। ডিসেম্বরে ভোট হতে পারে।”

  • যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরবার প্রদান করেছে আজ ২ ডিসেম্বর। এই করোনা চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব আহমদ কায়কাউস। হস্তান্তর করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের হেড অব দ্যা প্রোগ্রামার গোলাম মোতাসিম বিল্লাহ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অসুরোধক্রমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ৫০ টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মানবতার কল্যাণে ইসলামিক রিলিফ দেশের শীর্ষস্থানীয় এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবাখাতে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা, ইউরোপীয় কমিশন, পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অর্থায়নে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০ টি দেশে আর্থ সামাজিক ও মানবকল্যাণ মূলক কাজে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ১৯৯১ সাল থেকে এই সংস্থাটি কাজ করে আসছে। মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুরোধক্রমে ভাষানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি অর্থায়নে আশ্বাস প্রদান করেছে।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ।

    ক্যাপশানঃ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে দেশের করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন গ্রহন করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

  • ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

     

    ভারতে কৃষি আন্দোলন ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে দিল্লির সীমানায়। উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনীতি। দিল্লি ঢোকার পাঁচটি পথ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। অবরুদ্ধ করা হতে পারে মহসড়কও।

    মাত্র দু’দিনের আন্দোলন কর্মসূচি। তবে সবটাই নির্ভর করছে, সরকার তাদের দাবি মেনে নেবে কি না। কেন্দ্র মাথা নত করবে কি? যদি না করে তাহলে এই অবস্থান চলতে পারে ছ’মাসও। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। আর তাই কপালের ভাঁজটা আরও দীর্ঘ হচ্ছে সরকারের।

    সিঁদুরের মাঝে মেঘ দেখছে তারা… শাহিনবাগের। সিএএ-বিরোধী অবস্থান-বিক্ষোভ যেকোনো জায়গায় গিয়ে ঠেকতে পারে, তা স্পষ্টভাবেই দেখিয়ে দিয়েছে শাহিনবাগ। তাত আবার সের এর উপর সোয়া সের দিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন রাজস্থানের এমপি তথা এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সদস্য হনুমান বেনিওয়াল।

    কীভাবে সামাল দেয়া যেতে পারে এই আন্দোলন বিক্ষোভ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কালঘাম ছুটছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের। আন্দোলনকারীদের আলোচনা বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

    এরই মধ্যে আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। এর আগে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৩ রা ডিসেম্বর।

    কৃষি আইন ইস্যু নিয়েই বিজেপি সরকারের সাথে দীর্ঘ সময়ের শরিকি সম্পর্ক ছেদ করেছে শিরোমণি অকালি দল। এবার রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির বেনিওয়ালের গলাতেও যেন হুঁশিয়ারির সুর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

    অবশেষে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও। রোববার ‘মন কি বাত’-এ তিন কৃষি আইন নিয়ে সাফাই গাওয়ার পর সোমবারও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাফিকির চালিয়েছেন তিনি। বারাণসী-প্রয়াগরাজ জাতীয় সড়ক ১৯-এর ছয় লেনে প্রশস্ত করার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্যদানকালে বেশিরভাগ সময়ই খরচ করেছেন তিনি নতুন এই কৃষি আইন নিয়ে। এত প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য একটাই, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে হবে—উন্নয়নের ঢাক পেটানো এবং বিরোধীদের আক্রমণ। জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূলকেই যেন টার্গেট করলেন তিনি এই কৃষক-বিরোধী তকমায়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এত দিন কৃষকদের নামে শুধু প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে, এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) নিয়ে ছলনা করা হয়েছে। কৃষি ঋণ মাফ করার কথা বলেও ছলচাতুরি করা হয়েছে। আমরা সেটা করিনি। সার নিয়ে যে কালোবাজারি ছিল তা বন্ধ করেছি। একইভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহও বহুগুণ বেড়েছে। এমএসপি ব্যবস্থা অটুট আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।

    সরাসরি নাম উচ্চারণ না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এত দিন যারা কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করে এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা দিত, তারাই আজ কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে, এটা করা ছাড়াতো আর গতি নেই। কৃষকরাও দীর্ঘসময় ধরে ঠকেছেন। তাই আশঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে তা হবে না।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে কৃষকদের নিয়ে নানা ছলনা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়, আমাদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র।’

    তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ওই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে দু‌ই বিরোধী দলও। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাও। তারা প্রশ্ন তুলছেন, নতুন এই কৃষি আইনে আসলে কাদের পাশে মোদি সরকার?, গরিব কৃষকদের? নাকি পুঁজিবাদী বন্ধু ব্যবসায়ীদের?

    ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ানও।
    প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষে তার জবাব, শত চেষ্টা করলেও তৃণমূলকে কৃষক-বিরোধী প্রমাণ করতে পারবেন না। সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসে কৃষকদের উপার্জন তিনগুণ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, তার কর্মসূচিতে কোনো দ্ব্যর্থবোধকতা নেই।

  • বরিশালে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

     

    গত ১ লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলা এইডস কমিটি বরিশালের আয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমূহ এর বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ১ লা ডিসেম্বর ২০২০ বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে র‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল সুদিপ্ত, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় বরিশাল ডঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশাল দিলারা খানম, ডেপুটি সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মাহমুদ হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মুন্সী মোমিনুল হকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিরা, এনজিও প্রতিনিধি সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

    অতিথিরা এ সময়ে দিবসের তাৎপর্য ও এইডস প্রতিরোধে করনীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।