Author: UkhiyaVoice24

  • ভোলায় বিষধর রাসেল ভাইপার ধরে বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে এলো যুবক

    ভোলায় বিষধর রাসেল ভাইপার ধরে বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে এলো যুবক

    সাহিদুর রহমান-বিশেষ প্রতিনিধি।।

     

    ভোলায় বিষধর সা’ প ‘কি’লিংমেশিন’ খ্যাত রাছেল ভাইপার উ’দ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজে’লার ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধনিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বাড়ি থেকে রাছেল ভাইপার সা’ পটি উ’দ্ধার করে ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা।

    রাছেল ভাইপার পৃথিবীর ভ’য়ংকর বিষধর সা’ পের মধ্যে পঞ্চ’ম। এ সা’ পের ভ্যাকসিন আজ পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা মো. আমিনুল ইস’লাম।

    স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় অটোচালক মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫) হাতমুখ ধোয়ার জন্য ওই এলাকার নদীর পাড়ে যান। ওই সময় নদীর তীরের ব্লকের ফাঁক দিয়ে তিনি সা’ পটি যেতে দেখেন।

    পরে সা’ পের লেজ ধরে তিনি উপরে ছুড়ে মা’রেন। এরপর তিনি একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সা’ পটি বাড়িতে নিয়ে আসেন।

    ইসমাইল হোসেন জানান, আমি সা’ পটিকে দেখে অজগর সা’ প ভেবেছিলাম। যদি ব্লকের ভেতরে আশ্রয় নেয় তাহলে হয়ত কাউকে কা’ মড় দিতে পারে। তাই সা’ পটিকে দেখেই লেজে ধরে ওপরে উঠিয়ে বস্তায় ভরে রাখি। পরে বন বিভাগকে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর দিই।

    তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ অফিসারদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এটি অনেক ভ’য়ংকর সা’ প। কিন্তু আমি এটা আগে বুঝতে পারিনি।

    ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা মো. আমিনুল ইস’লাম জানান, আম’রা একজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সোমবার রাতে জানতে পারি একটি সা’ প উ’দ্ধার করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার সকালে সা’ পটিকে উ’দ্ধার করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি কি’লিংমেশিন খ্যাত রাছেল ভাইপার সা’ প। আম’রা এটিকে বিকেলের মধ্যে কোনো গভীর বনে অবমুক্ত করব।

  • সিএমপিকে পেট্রোল কার উপহার দিল স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ

    সিএমপিকে পেট্রোল কার উপহার দিল স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম বিভাগ প্রতিনিধি

     

    দ্রুততম সময়ে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ পেট্রোল কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি পেট্রোল কার দিয়েছেন স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ। সকাল ১১টার সময় দামপাড়াস্থ পুলিশ লাইনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম এর হাতে এই গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি স্মার্ট গ্রুপের পক্ষে গাড়ি হস্তান্তর করেন।

    পেট্রোল কারে একজন এস আই, একজন এ এস আই ও দুইজন কন্সটেবল সহ ০৪ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত থাকবেন৷ ইনবিল্ট সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ভাবে গাড়ির কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি গাড়িতে হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হ্যালার, ক্রাইমসিন বক্স, ওয়াকিটকি সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী থাকবে। এই উদ্যোগের ফলে দ্রুততম সময়ে টহলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব হবে।

    উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আমেনা বেগম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোঃ আমির জাফর, চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি এর সদস্য সচিব জনাব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও অন্যান্য ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • ডিসেম্বরের প্রথম দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন – এমপি শাওন

    ডিসেম্বরের প্রথম দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন – এমপি শাওন

    সাহিদুর রহমান

    ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবন ও যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে আমাদের দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা মহান বিজয় । কারাগারের ভেতরে চোখের সামনে তার জন্য পাকজান্তা কবর খুঁড়েছিল । কিন্তু তিনি মাথানত করেননি । বাংলাদেশের স্বাধীনতা তার আপোষহীন সংগ্রামের ফসল । বিভিন্ন সময়ে তাকে যারা খাটো করেছেন তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন । আজ বিজয় মাসের প্রথম দিনে লালমোহনের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রভাতি সমাবেশে আমি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছি ইতিহাসের রাখাল রাজা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মহান স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।

    এসময় এমপি শাওন আরো বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই দেশ ও মানুষের কল্যাণে একের পর এক সফলতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা । এদেশের মানুষের জন্য তিনি প্রতিদিন ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করেন । মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন বলেই একের পর এক মানবিক উদ্যোগ ।

    অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ঘর বরাদ্দ কর্মসূচি শুরু হলো ক্রমান্বয়ে এর সুফল সকল মুক্তিযোদ্ধাই পাবেন । সবাই আমার নেত্রীর জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাঁর হায়াত দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন ।

     

    (০১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমোহন উপজেলা কমান্ড এবং সন্তান কমান্ডের আয়োজনে মহান বিজয়ের মাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা ও সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে – লালমোহন তজুমদ্দিনের গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এসব কথা বলেন ।

    লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বশীল কমান্ডার আল নোমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ । মূল্যবান বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেল মোঃ রাসেলুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মিয়া ।

    মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার (অর্থ) মোঃ শাহজাহান মিয়া । মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর কবি প্রভাষক রিপন শান । বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি
    আ ন ম শাহজামাল দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কবি নজরুল ইসলাম জামাল প্রমুখ । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম বাদল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব জুলফিকার মিয়া, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্বাসউদ্দিন, উপজেলা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ ।

    অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে জনপ্রতি ১৫ লক্ষ টাকা বাজেটের ঘরপাওয়া লালমোহন উপজেলার ৯ জন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে প্রাণখোলা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এমপি শাওন । দেশরত্ন শেখ হাসিনার তরফ থেকে এই মহা উপহার পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাকিম বলেন- একাত্তরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি । প্রমত্তা নদী সব নিয়ে যাওয়ার পর গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার বাসায় আছি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ আমাদের কথা এভাবে ভাবেননি । আমরা আমাদের প্রিয়নেতা এমপি শাওন মহোদয়ের মাধ্যমে আমাদের দুঃখের দরদী নেত্রীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই । আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘায়ু দান করুন।

    ঘরবরাদ্দ পাওয়া অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন- বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ পাকের অসীম রহমত আছে । আমাদের মতো অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসেন বলেই আল্লাহ তাঁকে ব্যাপক ভালোবাসেন । এতোবার প্রাণের নাশের চেষ্টা করেও স্বাধীনতার শত্রুরা সফল হয়নি । রাখে আল্লাহ মারে কে ।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ।
    উল্লেখ্য, বিজয় মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে লালমোহনের বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সকালের নাস্তা সেরে এমপি শাওন, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেন । শোভাযাত্রাটি সজীব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক থেকে শুরু হয়ে লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে স্থাপিত বিজয় মঞ্চে এসে পথসভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ।

  • উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে উখিয়ার কুতুপালংয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল।

    মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মাস্টার নুরুল হক কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এই হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,
    উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন বড়ুয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক আজাদ, সার্জন ডাক্তার আবদুল ওয়ালিদ, পরিচালক (প্রশাসন) নুরুল আবছার।

    ডাঃ মোঃ আয়ুব আলী,ডাঃ আদনান ওয়ালিদ,ডাঃ এলপল চাকমা,ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল আলম,ডাঃ মেরাজ হোসাইন, ডাঃ মাসুমা নাসরিন,ডাঃ মোহাম্মদ এনামুল হক তুহিন,ডাঃশাহীন আকতার,ডাঃ নিশাত রহমান,ডাঃ সাইয়্যেদা মৌ,ডাঃ শুভাশীষ চৌধুরী,ডাঃ এম মিজানুর রহমান।

    ২৪ ঘন্টা জরুরি বিভাগ, অত্যাধুনিক ডিজিটাল ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল এক্স-রে সহ নানা সুবিধা সম্বলিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ , হাসপাতাল টি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দা মিজান বলেন,হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

  • কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান (শিমু) ওরফে ভাইয়া বাহীনি বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই প্রতিবাদ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুময়ুন কবির কেরামত, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড বদিউর রহমান বন্টিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী জেলা কমান্ড এম,এ হালিম প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারে কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করেন, চাঁদা টাকা না দেয়ার কারনে বরর্বরচিত হামলা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলাকে তিব্রনিন্দা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি যানিয়েছেন।

    মানববন্ধন শেষে সকাল ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্যে কলাপাড়া উপজেলা কমান্ড বদিউর রহমান বল্টিন বলেন,দেশ স্বাধীন করার ৪৮ বছর পরেও আমাদের কে পদে পদে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এমনকি আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে মার খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার (৬৬ গেজেট নং-৭৪০ লাল মুক্তিবার্তা নম্বর- ৬০৩০৫০১৬, তারউপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় তিনি বর্তমানে শেরে-এ- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

    চাাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোঃ মশিউর রহমান শিমু,খাদিজা আক্তার এলিজা, মোঃ বাশার হাওলাদার , মোঃ নেছার হাওলাদার, মোঃ জহিরুল,রুবেল মৃধা মোঃ খলিল মৃধা সহ একাধীক সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের উপর হামলা করছেন বলে উল্লেখ করেণ। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। চাঁদা দেয়ার জন্য নয়, দূনির্তী বাজদের জন্য নয়,সন্ত্রাসীদের জন্য নয়। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার। এই চাঁদাবাজ,দূনির্তীবাজ ভাইয়া বাহীনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনকে তড়িৎ গতিতে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন।

    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া প্রতিনিধি
    ০১.১২.২০২০

  • ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    মামুনুল হকের প্রতিবেদক

     

    ভাস্কর্য ইস্যুটি সরকারের জন্য উভয়সংকটে পরিণত হয়েছে ৷ যেহেতু তারা নিজেরাই ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাকে এক ও অভিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে ৷ এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা তাদের দলীয় জয়-পরাজয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৷ অপরদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য তথা মূর্তি স্থাপন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি বিষয় যা মেনে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই ৷ ফলে ধর্মবেত্তা ইসলামী নেতৃত্বের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই ৷ হয়তো তারা রাস্ট্র এবং সরকারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, কিন্তু এটিকে মেনে নিলে ঈমানী আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই ৷ এমন পরিস্থিতি সরকারের জন্য উভয়সংকট ৷ যদি ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের উপর নির্ভর করে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করে তবে ইসলামপন্থী ও আলেম-ওলামাদের সাথে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যতটুকু দূরত্ব ঘুচিয়েছিল বিষয়টি আবার সেই জায়গায় গড়িয়ে যাবে ৷ আলেমসমাজ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না ৷ অপরদিকে যদি ভাস্কর্য স্থাপন থেকে পিছিয়ে পড়ে তাহলে দেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষীদের রোষানলে পড়তে হবে সরকারকে ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট মেসেজ যাবে, সরকার ইসলাম পন্থীদের সামনে নতি স্বীকার করছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘনিষ্ঠ জায়গাগুলোতে যারা রয়েছে তারাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ ৷ একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্যে একটি সংঘাতমূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারাই দায়ী ৷
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্ব ও অবদানের মাধ্যমে এমন এক আসনে আসীন হয়েছেন যে, তার চেতনা ও কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজন নেই ৷ এমন পরিস্থিতির দিকে একটি পক্ষকে ঠেলে দেয়া মূলত চাটুকার শ্রেণীর কাজ ৷

    চাটুকারশ্রেণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম শ্রেণী হলো তারা যারা সরকারকে খুশি করার জন্য ভাস্কর্যের অনুকূলে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করছে ৷ কুরআন- সুন্নাহর ন্যূনতম জ্ঞান যাদের আছে তারা একথা বিশ্বাস করবে যে,ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের কোন অবকাশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত ধর্মের মধ্যে নেই ৷ যে নবীর অন্যতম প্রধান মিশন ছিল মূর্তি নির্মূল করা, যে কুরআনের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হলো মূর্তিকে উৎখাত করা, সেই নবীর আদর্শ ও সেই কুরআনের উদ্ধৃতিতে মূর্তির বৈধতা প্রমাণ করতে যাওয়া কত বড় ধৃষ্টতা, তা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত যে কেউই অনুমান করতে পারে ৷ সরকারকে যারা এই ধরনের ধৃষ্টতার কানপড়া দিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় ওলামায়ে ছু-নিকৃষ্টতম আলেম ৷ এক্ষেত্রে সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য ও আস্থাভাজন হাক্কানী আলেমদের বড় দায়িত্ব ৷ তাদের দায়িত্ব, সরকারের সম্মুখে বিষয়টি খোলাসা করা ৷ মূর্তি নির্মাণ বিষয়ে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা বোঝানো ৷ অন্তত একথা তো বোঝাতেই হবে যে, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ তার ওপর সেটিকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বৈধ প্রমাণের চেষ্টা “চুরির উপর সিনাজুরি” বৈ কিছুই নয় ৷
    তবে সবার আগে সম্মিলিতভাবে সকল মাসলাক- মাশরাবের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ একটি মতামত জাতির সামনে আসা উচিত ৷ সরকারকেও জানানো উচিত ৷ আশা করি আলেমসমাজ সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং এই আশাও আমরা ছাড়ছিনা যে, সরকারের বোধোদয় হবে এবং তারা এই আত্মঘাতী পথ থেকে যেকোন মূল্যে পিছু হটবে ৷

    সৌজন্যে:
    মাসিক রাহমানী পয়গাম
    নভেম্বর’২০

  • আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কার্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে আনোয়ারায় উপজেলা যুবলীগের এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারে যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    যুবলীগের সদস্য সচিব অনুপম চক্রবর্তী বাবুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নিজামুল হক, শফিউল আলম,এডভোকেট আলম, আলী আকবার, জামশেদুল আলম, এরশাদুল আলী সোহেল, মোহাম্মদ জামাল, জালাল উদ্দিন,রাশেদ ও ফোরকান।

    সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগর বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া উপজেলার রুমখাঁ বাজারে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।

    ৩০শে নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমিমুল এহসান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২টি অবৈধ করাত কলের চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন, বিভিন্ন জাতের ৩৬০ঘনফুট অবৈধ কাঠ ও করাতকলে ব্যবহৃত অবৈধ যন্ত্রাংশ জব্দ করতে সক্ষম হয়। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।অভিযান পরিচালনার সময় উখিয়া রেঞ্জ অফিসার শরীফুল ইসলাম, ইনানী রেঞ্জ অফিসার মোঃইব্রাহিম, উখিয়া বিট অফিসার বজলুর রশিদ,হলদিয়া পালং বিট অফিসার ছৈয়দ আলম,জালিয়াপালং বিট অফিসার ও উখিয়া থানা পুলিশের এএসআই শাহজালাল সহ একদল পুলিশ ও উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিমুল এহসান খান জানান,সোমবার বিকাল ৫টা থেকে দীর্ঘ ২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে দুটি চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন ও ৩৬০ঘনফুট বিভিন্ন জাতের কাঠ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অবৈধ স’মিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে বিভিন্ন সময় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবারের অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) আমিমুল এহসান খান। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা যায়।

  • ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার তজুমুদ্দিনে ৪নং ওয়ার্ড, চাদপুর গ্রামের বিধবা নারী ও দুইসন্তানের জননী শ্রীমতী জয়া রানী কর্মকার (৩২)পিতা.শ্রী ননী গোপাল কর্মকারকে বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার সংসার পাতিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তথ্যপ্রমাণ ও ঘটনার বর্ননা ঐ নারী অভিযোগে জানান,ভোলার পৌর চরনোবাদ ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিনাশ মাঝি(৩২)পিতা.মৃত সত্য রঞ্জন দাস দুইবছর শাখা সিধুর পরিয়ে,ভুয়া ঠাকুর দিয়ে মন্ত্র পরিয়ে ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বিধবা জয়া রানীর সাথে সংসারের নামে ধর্ষণ করে সহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার স্বামী সংকর কুমার রায় ভোলার পাওয়ার হাউজে চাকুরির সুবাদে শহরের কে-জাহান মার্কেটের ময়ুরী ফ্যাশন টেইলারিং দোকানের কর্মচারী অভিনাষ মাঝির সাথে ২০১৮ সালে পোষাক তৈরী করার সুবাদে তার স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিচয়ের সুত্রপাত ঘটে। স্বামীর চাকুরির অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ৩মাস পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী মারা যায়। স্বামী বিয়োগের পর বিধবা জয়া রানী তার দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ ও ভরনপোষণ চালাতে জীবন যুদ্ধে জীবকা অর্জন উপায়ে সেলাইয়ের প্রশিক্ষন ও টেইলারিং কাজে উপার্জনের পথ বেছে নেয়।আর টেইলারিং কাজের সুত্রধরে অভিনাষ মাঝির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।ভোলার পৌর শহরে ৫নং ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদারের দুই বেড বিশিষ্ট বাড়ির নীচতলায় শিশুসন্তান নিয়ে পেটপুজো করে বসবাস করে। এ সুযোগটি কাজে লাগায় লম্পট ও দূশ্চরিত্র টেইলারিং অভিনাশ মাঝি।স্বামীর ঘনিষ্ঠতা ও নিত্যকার যোগাযোগ এবং টেইলার কাজের বাহানায় কু-মতলবে সম্পর্কের দরুন কুপ্রস্তাবে দেয়।এ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিধবা নারী বিষয়টি বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার জানায়।এরপর মালিক কতৃক তাকে নিষেধ করার সত্ত্বেও নিজ কৌশল অবলম্বন করে জয়া রানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।এবং তার নাবালক দুটি অবুজ শিশুদের সকল ভরনপোষণ সহ যাবতীয় দায়ভার গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন লক্ষে হঠাৎ হিন্দু ধর্মাবলম্বী রীতিনীতি অনুযায়ী অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে ঠাকুর পরিচয়ে সেই রাতেই শাঁখা সিধুুর পরিয়ে বিয়ের হিন্দু ধর্মের সাত-পাকে ঘুরে মন্ত্র পরে প্রতারণা মুলক বিবাহ সম্পন্ন করে। এমতাবস্থায় স্বামী হারা নারীর ও শিশুসন্তানদের প্রতি তার দরদ দেখে অাকৃষ্ট হয়।তার বড়বোন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্চনা রানীর,ভগ্নীপতি নরউত্তম চন্দ্র ঘরামীকে সাক্ষী করে স্বামী-স্ত্রী ন্যায় সংসার পাতিয়ে দৈহিক সম্পর্কে একাধিক ধর্ষণের স্বীকার হয়।এবং দুইবার অন্তসত্বা হলেও লম্পট স্বামীর কৌশলী অনুরোধে সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্যহয় বলে জানান।

    সাংসারিক সম্পর্কের দরুন কাপড়ের ব্যবসার নামকরে প্রতারক অভিনাশ তার মৃত স্বামীর জমাকৃত নগদ দুইলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।আবার কয়েকমাস পর স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করেও তিনলাখ টাকা প্রতারণা আত্মসাৎ করে। এদিকে টাকার হিসেব না পাওয়া ও বিয়ের রেজিস্ট্রারি কালক্ষেপণ ও নিত্যকার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন নাটকীয়তা দেখে পরিবারের সদস্যদের জানায় জয়া রানী কর্মকার।

    পরে ১০নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে পরিবারের চাপে নয়া কৌশলে ভোলার শহরে ভারা বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তজুমুদ্দিনে তার পিত্রালয়ে ব্যাবসা ও বিবাহের রেজিস্ট্রার সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে অবিনাষের স্বামী /স্ত্রী অধিকারে একাধিক রাত্রিযাপন ও ধর্ষণের স্বীকার হয় অসহায় জয়ারানী।

    গত ১০/১১/২০২০ ইং তারিখে তজুমুদ্দিনে পিত্রালয় রেখে কৌশলে ভোলা শহরে আসে। হটাৎ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধকরে দেয়।পারিবারিক অজুহাতে অন্যত্র বিয়ে করার চাপ রয়েছে বলে জানায়।সর্বশেষ বিধবার সাথে সংসার ও পাচ লাখ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তার প্রতারনার মুখোশ আত্মপ্রকাশ করে অভিনাশ মাঝি।

    এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা এক সমাজের বিধবা নারী যখন সামাজিক ভাবে সৃকৃতি পেতে বিভিন্ন মহলে ঘুরে সব প্রচেষ্টা শেষে আইনগত সহয়তা পেতে, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি তুলে নিতেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয় অভিনাষ।পরে ২৭নভেম্বর২০২০ইং তারিখে ফের অন্য এক নারীকে গোপনে বিয়ে করে বলে জানতে পারে।

    এবিয়ের ঠেকাতে দিশেহারা এ নারী অভিযোগ নিয়ে ভোলার সদর থানায় ছুটে যান।
    এব্যাপারে সদর থানার ওসি মো.এনায়েত হোসেন তদন্তকরে জানান,যেহেতু ভিকটিমের বাড়ি তজুমুদ্দিনে এবং বিবাহের রেজিস্ট্রার সনদও নেই।বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় তজুমুদ্দিনে থানাধীন।তদন্ত রিপোর্ট না পেতে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনসংগত নয়।

    অভিনাশ ও জয়ারানীর ঘটনার সত্যতা জানতে ভোলা পৌর ৫নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার ও তার স্ত্রী সুমি তালুকদার উভয়ে মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক ভারা থাকা অবস্থায় হয়।এছাড়া অভিনাশের আসা যাওয়া ও রাত্রিযাপন দেখে তারা সতর্ক করলেও তা চলমান রাখেন বলে জানায়।রাহাত তালুকদার বলেন, একবার অভিনাষকে গভীর রাতে আটক করলে উভয়ের মধ্যে গোপন বিবাহের হওয়ার স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি মেনে নেয় তারা।

    এবিষয়ে তজুমুদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের মামলাটি গত (২৪নভেম্বর ২০২০)ইং তারিখে পুলিশ কে তদন্তভার দেয়। এবং তদন্তের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ ও তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামি অভিনাশ এর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানায়।

    এবিষয়ে ধর্ষিতা ও অন্যন্যদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনিমেশ মাঝির কাছে জানতে চাইলে,তিনি ঘটনার বর্ননায় করে জয়ারানীর সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা স্বীকার করেন।সে সম্পর্কের সুবাদে তিনি তার ভারা বাড়িতেও তিনি একাদিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থের লেনদেন ছিল সেটা স্বীকার করেন।তবে ধর্মীয় রীতির অবৈধ সংসার ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।অভিনাশ জানান স্থানীয় পর্যায়ে এনিয়ে শালিসি সিদ্ধান্ত হলে উভয়ের মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্থানীয় বিচারে তা মিমাংসা করা হয় বলেও জানায় নারী ও শিশু মামলার আসামি অভিনাশ মাঝি।

  • উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া ডাকবাংলো গরুবাজার হয়ে মরিচ্যা পাতাবাড়ি যাওয়ার মাঝপথে গয়ালমারা কালভার্ট গত মাস দেড় এক আগে ধ্বসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মেরামত করার কোন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

    জানা যায়, ডাকবাংলো গরুবাজার সড়কের গয়ালমারা কালভার্টটি ধ্বসে পড়ে গেলে যানবাহন চলাচল অচল হয়ে যায়, মুহুর্তেই এলাকার সচেতন ব্যাক্তিদের উদ্যোগে কোনমতে, পথচারি ও যাতায়াতের সুবিধার্থে কাঠের তক্তা ও বাঁশের সাকো বানিয়ে পারাপার হওয়ার মত অবস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া হয় । এতে বেশকিছুদিন গেলে সেটিও আজ বিকল হয়ে পড়ে। এখন পথচারি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন পুর্ব আঞ্চলের মানুষগুলো।

    এ সড়কের কালভার্টটির উপর চলাচলের নির্ভরশীল হাজারো গ্রাম, লক্ষাধিক পুর্ব অঞ্চলের মানুষ, তাছাড়া,এই সড়ক দিয়ে, গয়ালমারা,ভালুকিয়া,হলদিয়া,পাতাবাড়ি,মরিচ্যা দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। এমনকি মরিচ্যা হতে টেকনাফ মেইন রোড়ের বিকল্প সড়ক হিসাবেও এটি ব্যবহার করা হয়।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, উখিয়া প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার বলছিলেন কালভার্টটি ১৫ দিনের ভিতর মেরামত করা হবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় দেড়মাস হয়ে যায় এখনো পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এতে আমাদের যাতায়াতের চলাচল পথ অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, গয়ালমারা কালভার্টটি আমরা পরিদর্শন করেছি, সংস্কারের কাজগুলো কার্যকর করতে একটু সময় লাগে। তবে আমাদের চেষ্টা ও কমতি নেই, আশা করি আগামী ২০ ডিসেম্বরের আগে এই কালভার্টের কাজ সম্পন্ন হবে।