Author: UkhiyaVoice24

  • হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক ছাড়া কথিত বর্ধিত সভা, তৃণমূলে নিন্দার ঝড়

    হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক ছাড়া কথিত বর্ধিত সভা, তৃণমূলে নিন্দার ঝড়

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র বাদ দিয়ে সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি মাহবুবুল আলম চৌধুরী নেতৃত্বে, তথাকথিত হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সিলেক্টেড চেয়ারম্যান শাহ আলমের সহযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ আওয়ামী কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্থিরতা বিরাজ করতেছে। এহেন অগঠনতান্ত্রীক কর্মকাণ্ড তৃণমূল আওয়ামীলীগ চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছে। উক্ত নিয়মপরিপন্থিমূলক বর্ধিত সভায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কটুক্তি সহ উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদেরকে পর্যন্ত চরম কটুক্তি করা হয়ে।

    উক্ত বর্ধিত সভা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, উক্ত বর্ধিত সভা যে আয়োজন করা হচ্ছে তা আমি জানি না, তাছাড়া যারা ওখানে বক্তব্য দিয়েছে জাহাঙ্গীর কবির চৌঃ ছাড়া আর কেউ উপজেলা আওয়ামীলীগের বৈধ নেতা নয়। ঐ সভায় যে সভাপতিত্ব করেছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী ওনি তৎকালীন জামাতের পক্ষে নির্বাচন করা’ই আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা অবৈধ, ঐ মিঠিং নিয়ে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ মোটেও বিচলিত নয়। যেখানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত কমিটি আছে সেখানে বহিরাগত কারো স্থান হবে না। তারা জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে দ্বিধা বিভক্ত করার চেষ্টা করতেছে। ইনশাল্লাহ্ হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ। এখানে ফাটল ধরানো কোনমতেই সম্ভব নয়।

    হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আমি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। আমাকে বাদ দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নামে বর্ধিত সভা তারা কিভাবে করে তা আমার বোধগম্য নয়। তারা জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার পায়তারা করতেছে। আমি এই ধরনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকালাপের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন বলেন, উখিয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের একদল ভ্রাম্যমাণ জনবিচ্ছিন্ন ও স্বঘোষিত নেতার আবির্ভাব হয়েছে। তারা রাতে জামায়াত বিএনপি, দিনে আওয়ামীলীগ। তাদের আশেপাশে যারা আছে তাদের মধ্যেও অনেকে বিএনপি জামায়াতের কর্মী ও অনেকে নাশকতা মামলার আসামী। হলদিয়া পালংয়ের সিলেক্টেড চেয়ারম্যান শাহ আলম উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা কয়েকজন ভাসমান ও লাইসেন্স বিহীন নেতার কারণে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের চরম ক্ষতি হচ্ছে। হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অনেক সুসংগঠিত আছে, কিন্তু একদল জনবিচ্ছিন্ন নেতার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত সত্যিই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, একটি গোষ্টি উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বিএনপি জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামীলীগের ভিতরে থেকে খন্দকার মোস্তাকের মত আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে চায়। তারই ধারাবাহিতায় কতগুলো জনবিচ্ছিন্ন ও বহিষ্কৃত নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রকে বাদ দিয়ে হলদিয়া পালংয়ে নাকি একটি বর্ধিত সভা করেছে, যার কোন ভিত্তি নাই। ইতিপূর্বে জেলা আওয়ামীলীগ তাদেরকে লিখিত নোটিশ দিয়েছে এই ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য। তারপরও তারা কোন অদৃশ্য শক্তির অনুবলে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি জেলা আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করছি, এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকলে উখিয়ায় আওয়ামীলীগ শূণ্য হতে বেশিদিন লাগবেনা। তাদের লাগাম টেনে ধরা জরুরী।

    তাছাড়া হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন আ’লীগের এক নেতা বলেন, তথাকথিত হলদিয়ার চেয়ারম্যান শাহ আলম দীর্ঘ্য পাঁচ বছর যাবৎ হলদিয়ার আওয়ামীলীগের কর্মীদের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন। শিবিরের ক্যাডারদেরকে সুযোগ দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের কর্মীদের নির্যাতিত করেছেন। জামায়াত বিএনপির কর্মীদের দিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মীদের নির্যাতন করেছেন। এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে একেবারে ধ্বংস করার পায়তারা করতেছেন।

    আরেক নেতা বলেন, শাহ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে কিভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে আমার জানা নেই। তার সমস্ত কর্মকাণ্ড আওয়ামীলীগকে সমূলে ধ্বংস করা। আমরা আওযামী লীগের কর্মীরা তার হাত থেকে বাচতে চায়। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, শাহ আলম চেয়ারম্যানের মত এমন আ’লীগ খেকোদের হাত থেকে আ’লীগকে বাচান, অন্যথায় সে আওয়ামী লীগকে জামায়াত বিএনপির হাতে বিক্রি করে দিবে।

    গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এমন ঘটনায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করতেছে। তারা এই বর্ধিত সভার বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন পূণরায় না ঘটে সে জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।

  • ১৯ দিনব্যাপী চুনতী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে নসিহত পেশ করেন খতিবুল উম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)

    ১৯ দিনব্যাপী চুনতী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে নসিহত পেশ করেন খতিবুল উম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম ১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মতনির্বিশেষে সব মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠতর স্বভাব-চরিত্রের অতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করেছেন প্রিয় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তাঁর স্বভাব-চরিত্রের মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছিল সদা জাগ্রত। মন্দের প্রতিবাদ তিনি মন্দ দিয়ে করতেন না, বরং মন্দের বিনিময়ে তিনি উত্তম আচরণ করতেন। সব বিষয়েই তিনি ক্ষমাকে প্রাধান্য দিতেন। ড. আবু রেজা নদভী আরো বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। জোর জবর দস্তী, নৃশংসতা ও নিরপরাধ মানুষ হত্যা শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো স্বীকৃতি দেয়না। তিনি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে ইসলামকে নবী করিম (স.) অনুসৃত পন্থায় উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি ১৫ নভেম্বর রবিবার বাদ মাগরিব আশেকে রাসুল (সাঃ) চুনতির হযরত শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ (র.) প্রকাশ শাহ্ সাহেব কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে ১৮ তম দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা আল্লামা হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা। প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, মৃত্যুর পরের জীবন হচ্ছে অনন্ত কালের জন্য আর একটি নতুন জীবনের সূচনা । মৃত্যুর পর আর কোনও সুযোগ থাকেনা আমল করার। পরকালীন জীবন-ই হচ্ছে আসল জীবন। তিনি বলেন, মানুষ এই ধরণীতে ঘর সাজালেও আসল ঘরতো কবর। কবরের ঘর বানানোর জন্য আসল সম্পদ হচ্ছে বান্দার আমল তথা কুরআন শরীফ। তিনি বলেন, পরকালীন মুক্তির একমাত্র অবলম্বন আল্লাহর বাণী গ্রহণ ও অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকার কারনেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা অধঃপতিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত। সুতরাং মুসলমানদের অনুসরণ করতে হবে আল্লাহর বিধান ও রাসূলের নির্দেশনা। কুরআন-হাদিসের মর্মবাণীকে অনুধাবন করে অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারেলেই পরিণত হবে যথার্থ মানুষে, সফল মানুষে, আলোকিত মানুষে।

    মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহসান সাইয়েদ, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ ইসমাঈল মানিক, মাওলানা শাহ আবুল কালাম আজাদ, পটিয়া জিরি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হোবাইবসহ বিভিন্ন স্তরের আলেম-ওলামা ও জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোছাইন।

  • হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাঁশখালীর প্রিয় দুই সহোদর

    হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাঁশখালীর প্রিয় দুই সহোদর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আজ সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষে দুপুর দুইটার দিকে সিনিয়র নায়েবে আমিরের পক্ষে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। এতে আমির হিসেবে হেফাজতের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব হিসেবে ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর নাম ঘোষণা করা হয়।

    হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ কমিটির দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন বাঁশখালীর দুই সহোদর মুফতি হারুণ ইজহার ও মুসা বিন ইজহার। তারা দুইজনই আলোচিত রাজনীতিবিদ মজলুম জননেতা আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সন্তান। তাদের বাড়ি বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নে।

    মুফতি হারুণ ইজহার এর আগে হেফাজতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসার সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে মুসা বিন ইজহার দায়িত্ব পালন করছেন নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব হিসেবে। একই সাথে রাজধানীর জামিয়া নুরিয়া কামরাঙ্গীচর মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবেও তিনি কর্মরত আছেন।

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কমিটিতে বাঁশখালীর মুফতি হারুণ ইজহারকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং মুসা বিন ইজহারকে যুগ্ন মহাসচিব হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।

  • হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটিদের অভিনন্দন

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটিদের অভিনন্দন

    আলমগীর ইসলামাবাদী,,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আমীর: আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী।
    মহাসচিব: আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী

     

    উপদেষ্টামণ্ডলিঃ প্রধান উপদেষ্টা:আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, অন্যান্যদের মাঝে রায়েছেন, আল্লামা সুলতান যওক নদভী, মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারী, আল্লামা আবদুর রহমান হাফেজ্জী, মুফতি আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা হাফেজ কাসিম, তালিমুদ্দিন মাদরাসা। মাওলানা নূরুল ইসলাম আদীব, মাওলানা জিয়াউদ্দীন, মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা আবুল হাসান রংপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দেওনা, মাওলানা নোমান ফয়েজী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা নূরুল হক কুমিল্লা, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী, মাওলানা জালাল আহম, মাওলানা আশেকে এলাহী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা ফজলুল্লাহ, মাওলানা আশেকে এলাহী পীর সাহেব উজানী।

    নায়েবে আমীর হিসেবে যারা মনোনীত হলেন-
    মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী( মাখজান, ঢাকা), মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ( কামরাঙ্গীরচর), মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহ্উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা শেখ আহমদ ( হাটহাজারী), মুফতী আহমদুল্লাহ ( পটিয়া মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল হামিদে ( পীর মধুপুর), মুফতী আরশাদ রহমানী ( বসুন্ধরা), মাওলানা মাহফুজুল হক ( বেফাক), মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ( সিলেট), মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ( মোমেনশাহী),
    ড. আহমদ আব্দুল কাদের ( খেলাফত মজলিস), মাওলানা সাজিদুর রহমান ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা ইয়াহিয়া ( হাটহাজারী), মাওলানা আব্দুল আওয়াল ( নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ( আরজাবাদ), ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন ( চট্টগ্রাম), মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী ( নেজামে ইসলাম), মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী ( নাজিরহাট), মুফতী জসিম উদ্দিন ( হাটহাজারী), মাওলানা তাজুল ইসলাম ( ফিরোজশাহ, চট্টগ্রাম), মাওলানা আনোয়ারুল করিম ( যশোর), মাওলানা মুশতাক আহমদ ( খুলনা), মাওলানা রশিদ আহমদ ( জামিয়া ইমদাদিয়া, কিশোরগঞ্জ), মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান ( সুনামগঞ্জ), মাওলানা হাবিবুর রহমান ( লালবাগ মাদরাসা), মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল ( দারুল মায়া’রিফ), মাওলানা নেজাম উদ্দিন ( নোয়াখালী), মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব ( বরিশাল), মাওলানা ইউনুস আহমদ ( রংপুর), মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বিন ইউনুস

    যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির।

    সহকারি মহাসচিব- মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন খুলনা, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা মনঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফাতেহপুরী, মাওলানা মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা মূসা বিন ইজহার, মাওলানা জাফর আহমদ ভাটুয়া, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা শফিক উদ্দিন, মাওলানা জসিমুদ্দিন লালবাগ, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা হাসান জামিল।

    সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মাসউদুল করীম টঙ্গী, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, মুফতি ওমর ফারুক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমেনী ঢাকা, মাওলানা আফিমুল হক হবিগঞ্জ, মাহমুদলি আলম রংপুর।

    অর্থ সম্পাদক- মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, সহকারী অর্থ সম্পাদক- মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস হামেদী।

    প্রচার সম্পাদক- মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সহকারী প্রচার সম্পাদক- মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুম ওসমানী, মাওলানা ফয়সাল অঅহমদ মোহাম্মদপুর ঢাকা, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান নারায়ণগঞ্জ, হাফেজ সায়েম উল্লাহ।

    শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক- মুফতি হারুন ইজহার। সহকারী শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক- মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল।

    সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক- মাওলানা হারুন আজিজী নদভী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হামিদ।

    সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- মুফতি কুতুবুদ্দিন নানুপুরী, সহকারী সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, মাওলানা হাফেজ সালামত উল্লাহ।

    আইন বিষয়ক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিদুল পাশা চৌধুরী (সাবেক এমপি), সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট নিজামুদ্দিন।

    দাওয়াহ সম্পাদক- মাওলানা নাজমুল হাসান, সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক- মাওলানা মুশতাকুন্নবী, আহমদ আলী কাসেমী।

    তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- মাওলানা ওবায়দুর রহামান খান নদভী।

    ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক- মুফতি মুহাম্মদ আলী। সহকারী ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক- মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব।

    ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ খুবায়েব। সহকারী ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা জিয়াউল হুসাইন।

    আন্তর্জাতিক সম্পাদক- হেলাল উদ্দিন নানুপুরী, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক- আনোয়া শাহ আজহারী, আব্দুল কাদের সালেহ লন্ডন, মাওলানা আব্দুস সালাম পাটওয়ারী, মাওলানা শুয়াইব আহমদ, মাওলানা রফিক আহমদ নিউয়ার্ক, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া লন্ডন।

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক- মাওলানা ড. নুরুল আবছার আজহারী, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক- মুফতি হুমায়ুন কবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

    দপ্তর সম্পাদক- মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব, সহকারী, দফতর সম্পাদক- আবু তাহের ওসমানী, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল।

    সদস্য- মাওলানা আবু তাহের নদভী পটিয়া, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ হাটহাজারী, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, মাওলানা আলী ওসমান, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুহাম্মদ শফি বভুয়া, আবুল হোসাইন সাতকানিয়া, হাফেজ ইলিয়াস হামেদী, আনওয়ারুল আলম চিরিঙ্গা, শেখ মুজিবুর রহমান

  • হেফাজতের নব গঠিত ১৫১ জনের কমিটির প্রথম সারিতে যারা রয়েছেন

    হেফাজতের নব গঠিত ১৫১ জনের কমিটির প্রথম সারিতে যারা রয়েছেন

    UkhiyaVoice24.Com

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নব গঠিত ১৫১ জন কমিটির প্রথম সারিতে যারা রয়েছেন থাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছেন

    ১;
    আমীরে হেফাজত নির্বাচিত হলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব।

    ২;
    নায়েবে আমীর নির্বাচিত হলেন, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদি। মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জ্বী। মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী। মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী। মাওলানা মুফতী আহমদ উল্লাহ। মাওলানা শাইখ আহমদ সাহেব। মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরী। মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা জালাল আহমদ প্রমুখ।

    ৩;
    মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আল্লামা নূর হোসেইন কাসেমী সাহেব।
    ৪;
    প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী সাহেব।
    আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী। আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী। আল্লামা সুনতান জওক নদভী প্রমুখ।
    ৫;
    সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাহেব।
    ৬;
    সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রজি সাহেব।
    ৭;
    যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব প্রমুখ।
    ৮;
    প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী।
    ৯;
    সাহিত্য ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হারুন ইজহার।
    ১১;
    আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী।
    ১২
    বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নুরুল আবছার।
    ১৩;
    অর্থ সম্পাদক মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী।

    নবীন প্রবীণের সমন্বিত নব গঠিত কমিটি হেফাজতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে আশাকরি। শুভ কামনা।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=762325134383875&id=410183906264668

    সকল দায়িত্বশীদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ?

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ

     

  • আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আওয়ামী সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর। গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া হামলার প্রতিবাদে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল শেষে কাকরাইল মোড়ে বক্তব্যদানকালে সরকারকে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর।

    গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঝালকাঠিতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী শুক্রবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী করে।

    নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগের ভাই-বোনদেরকে বলতে চাই, আপনারাও কোনো মা-বাবার সন্তান। আমাদের সাথে আপনাদের কোনো জায়গা-জমি বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। আপনারা কেন আমাদের ভাই-বোনদের উপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করছেন। কেন যেখানে সেখানে মারধর করছেন। আপনারা কি চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন?

    ভিপি নূর বলেন, আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না একসময়ের ক্ষমতাসীনদের আজকের কী ভয়াবহ নিষ্ঠুর পরিণতি হয়েছে। আজকে কেউ দেশে থাকতে পারছে না। কেউ কারাগারের মধ্যে ধুকে ধুকে মরছে। কাজেই আপনাদেরকেও কিন্তু সেই পথে যেতে হতে পারে।

    আপনাদেরকে বলছি, বতর্মান সরকার যে দমন-নির্যাতন-নিপীড়ন-জুলুম চালিয়েছে, অচিরেই তাদরে পতন ঘনিয়ে এসেছে। সুতরাং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ভাই-বোনদের বলবো আপনারাও জনগণের কাতারে এসে কাধ মিলিয়ে দাঁড়ান। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। সবারই শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল করার অধিকার রয়েছে। আমরা চাই না এই দেশে কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হোক।

  • আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি আলোচিত এবং সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এখন বসবাস করছেন ভারতে। বিভিন্ন মহলে তার আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।

    গত বুধবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস আপডেট করেন তসলিমা নাসরিন। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-‘আমি কবরের আযাব চাই। দোযখের আগুনে জ্বলতে চাই। আমি যা খুশি বলতে চাই তোদের রূপকথার গপ্প নিয়ে। এতে তোদের কেন অসুবিধে হয়? তোরা বেহেস্তে যা না, কে বাধা দিচ্ছে? বেহেস্তে গিয়ে যত স্ফূর্তি আছে কর। আমরা যারা ইহকালে বিশ্বাস করি, পরকালে করি না, তাদের শান্তিতে থাকতে দে। তোরা পরকাল নিয়ে বিভোর থাক। ইহুদি নাসারাদের বানানো ফোন নিয়ে, কম্পিউটার নিয়ে, ক্যামেরা নিয়ে , টেকনোলজি নিয়ে মাতামাতি বন্ধ কর। যাদের ঘৃণা করিস, যাদের মুণ্ডু আলাদা করিস ধড় থেকে, তাদের ছাড়া তোদের এক মুহূর্তও চলে না কেন? লজ্জা হয় না? জানি তোদের লজ্জা নেই। বর্বরদের লজ্জা বলতে কিছু থাকে না। তোরা লিঙ্গপালগুলো একবিংশ শতাব্দির লজ্জা। তোরা লিঙ্গপালগুলো এক একেকটা দূরদৃষ্টিহীন সরকারি হেফাজতে দৈত্যের মতো বাড়ছিস। যেদিন নিজেদের ঘৃণা করতে শিখবি, সেদিনই মানুষ হবি।’

    তার মতে তারা যারা পরকালে বিশ্বাস করে না অর্থাৎ যারা নাস্তিক। তাদের নিয়ে আস্তিকদের বিশেষ করে ইসলাম মনাদের এত মাথাব্যথা কেন? তার কথায় তিনি নাস্তিক হয়ে পরকালে আযাব পেতে চান। দেখতে চান তাকে কি শাস্তি দেওয়া হয়।

  • আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী , মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী

    আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী , মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী

    আলমগীরইসলামাবাদী,,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বহুল আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমীর নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সংগঠনটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

    রোববার হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের সম্মেলনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    রোববার বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় আয়োজিত সম্মেলনে সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত হন। সর্বজন গ্রহণযোগ্য আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কে হচ্ছেন আমির তা নিয়ে ছিল আলেম-ওলামাদের মধ্যে সরব আলোচনা। তবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আমির এবং আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী মহাসচিব হতে পারেন বলে আগেই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছিল।

    উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আমির ও মাদরাসার তৎকালীন সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিসে শূরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে সময়। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে হেফাজতের আত্মপ্রকাশ হলেও সংগঠনটি দেশজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর অবরোধের মাধ্যমে।

    চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করায় আমিরের পদটি শূন্য হয়। দেশ-বিদেশে এ পদ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। আল্লামা আহমদ শফী বেফাকেরও সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যেই সম্মেলনের মাধ্যমে বেফাকের সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে; কিন্তু বর্তমানে হেফাজতের কর্মকাণ্ড কিছুটা শিথিল থাকায় এ নিয়ে তেমন সরব দেখা যায়নি আলেমদের। তা ছাড়া হাটহাজারী মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের কারণেও হেফাজত নেতাদের মধ্যে কিছুটা ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই রোববার অনুষ্ঠিত হয় হেফাজতের সম্মেলন। যেখানে নির্ধারিত হয়েছে আমির ও মহাসচিবসহ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। সারা দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় সাড়ে তিন শ’ কাউন্সিলর এতে ভোট প্রদান করেন।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গত ১৩ই নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশের দক্ষিণে সর্বশেষ সীমানাস্থ উপজেলা টেকনাফ ইসলামি যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক জিহাদী সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমপারভেজ বিন জাফর এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার।
    বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান আলোচক বলেন, সমাজ আজ অন্যায়ের অক্টোপাশে নিমাজ্জিত। মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। পাপ-পঙ্কিলতা, জুলুম – শোষণ যেন জয় জয়কার। যেখানে যুবকরা সত্যের সৈনিক হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে মিথ্যার লাঠিয়াল। ইসলামী যুব আন্দোলন যুবকদের কে সত্যের সৈনিক হিসেবে পরিণত করতে চাই।

    উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলার সহ সভাপতি মুফতী উমর ফারুক

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার ইতি টানা হয়।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গতকাল ১৩নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান অতিথি বলেন, দুনিয়াতে ইসালাম ও মুসলমানদের উপর ষড়যন্ত্র একের পর এক করে যাচ্ছে। আজ মুসলমান যদি ঘুমিয়ে থাকি তাহলে তারা সেই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছে যাবে। তাই আমাদের ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। বরং আমাদের সব দিক দিয়ে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং যৌবন নামক নিয়ামত দান করেছেন। যৌবনের উম্মাদনায় গতি পথ হারিয়ে পেলা যাবেনা। কারণ, যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করছেন তার কাছে হিসাব দিতে হবে। তাই তার দেয়া বিধান অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হতে হবে।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্ত হয়।