Author: UkhiyaVoice24

  • নবী প্রেমিকরা প্রমাণ করল আরব এবং বিশ্ব মিডিয়ায় আজকের গর্বের বাংলাদেশ

    নবী প্রেমিকরা প্রমাণ করল আরব এবং বিশ্ব মিডিয়ায় আজকের গর্বের বাংলাদেশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আজ উত্তাল ছিলো রাজধানী ঢাকার রাজপথ এবং হেফাজত কেল্লা হাটহাজারী। রাজধানী ঢাকায় আজকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক পূর্বঘোষিত ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করতে না পারলেও নবী প্রেমিক জনতার বিশাল জনসমুদ্রের দৃশ্য ঠিকই দেশ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে আরব বিশ্বের সোস্যাল মিডিয়ায় নজর কেড়েছে আজকের ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি।

    আরব বিশ্বের বেশকিছু বড়বড় পেইজে বাংলাদেশে আজকের আন্দোলনের দৃশ্যগুলো শেয়ার হয়েছে। সেই পোস্টগুলোর কমেন্টে আরব মুসলিমরা বাংলাদেশকে বাহবা দিচ্ছে। সাদুবাদ জানাচ্ছে। অন্যান্য দেশকেও বাংলাদেশের মতো রাজপথে নামার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে অনেকেই। এতে করে মুসলিম বিশ্ব নবী প্রেমিক অন্য এক বাংলাদেশকে নতুন করে চিনতে সক্ষম হচ্ছে। এটা গর্বের বিষয়। বাংলাদেশী মুসলিমরা নবী প্রেমে উজ্জীবিত সেই বাস্তবতাটা তেরো সালের হেফাজতের আন্দোলনের পর আরব বিশ্ব নতুন করে জানতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকুক চিরকাল।

    পাশাপাশি নিভুনিভু হেফাজতও আজকে হাটহাজারীতে নব উদ্যমে যেন জেগে ওটেছে। হেফাজতের এই জেগে ওঠা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। আমরা প্রাণ প্রিয় হেফাজতকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখি। আমরা চাই হেফাজত রাসূলুল্লাহ ﷺ ইজ্জৎ রক্ষায় ফের পূর্বের ন্যায় জেগে ওঠে বিশ্বব্যাপী কঠিন বার্তা ছড়িয়ে দিক। জানতে পেরেছি হেফাজত আজকের হাটহাজারীর বিশাল বিক্ষোভ মিছিল থেকে আগামী জুমাবার গোটা দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। নবী প্রেমিক জনতা স্বতস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

    নবী প্রেম বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাও প্রিয় বাংলাদেশ।

  • সংখ্যা ভারী কেন্দ্র কমিটি নয় নিবেদিত কেন্দ্র কমিটি চাই= আ জ ম নাছির উদ্দীন

    সংখ্যা ভারী কেন্দ্র কমিটি নয় নিবেদিত কেন্দ্র কমিটি চাই= আ জ ম নাছির উদ্দীন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীকে বিজয়ী করতে হলে আমাদেরকে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে। বিগত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এই নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদেরকে কাজে লাগাতে হবে। নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটিগুলো তৈরি করার সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।যাতে করে বিতর্কিত,ভিন্ন মতাবলম্বী কেউ কেন্দ্র কমিটিতে স্থান না পায়।নির্বাচনী মৌসুমে সংখ্যা ভারী কেন্দ্র কমিটি করে নেতাদের প্রিয়ভাজন হবেন। অথচ ভোটের বাক্সে ভোট পড়বে না- এমন কাজ আর করতে দেয়া হবে না।
    বিগত সংসদ উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের একটা কেন্দ্রের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলা যায়, এই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য তৃণমূল থেকে ১০১ সদস্যের একটা কেন্দ্র কমিটি মহানগর আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়।কিন্তু ঐ কেন্দ্রটিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ভোট পেয়েছিল মাত্র ৫৬টি। কেন্দ্র কমিটির সদস্যরাও যদি প্রার্থীকে ভোট দিত তাহলে ঐ কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের অন্তত ১০১টি ভোট পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা এর সম্পূর্ণ বিপরীত হয়েছে।তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করছি। কেন্দ্রকমিটি করার সময় ত্যাগী,নিবেদিত,পরীক্ষিত ও প্রকৃত নেতাকর্মীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংখ্যা ভারী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে কোন লাভ নেই। নিবেদিত কেন্দ্র কমিটি করতে হবে।
    আজ মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আওতাধীন ১নং,২নং ও ৩ নং ইউনিট আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির পৃথক পৃথক সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
    সভাগুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের,ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম,উপপ্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম,সদস্য বেলাল আহমেদ,আবদুল লতিফ টিপু,পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আহবায়ক ইউনুস কোম্পানি, ইউনিট নেতা সেলিম মিয়া, মো. হারুন,শওকত হোসেন,বেলাল হোসেন বাপ্পী,জিয়াউর রহমান, নিজাম কাদের, সরোয়ার আলম ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • ঝালকাঠির বিষখালি নদীর চর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার & Stay Home UkhiyaVoice Family

    ঝালকাঠির বিষখালি নদীর চর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার & Stay Home UkhiyaVoice Family

     

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কচুয়া পঞ্চানন্দ গ্রামে বিষখালী নদীর চর থেকে মনির হোসেন(২২) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত অবস্থায় উদ্ধারকৃত যুবক মনির হোসেন ওই এলাকার দিনমজুর শাহ আলম জোমাদ্দারের পুত্র।

    মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিমা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঠালিয়া সার্কেল) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন।

    গ্রামবাসি ও স্বজনরা জানায়, গত রোববার রাত নয় টার দিকে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা কচুয়ার পঞ্চানন্দর বিষখালীর নদীর চরে যান। তারা গিয়ে মনিরকে একটি গাছের নীচে ( উপর করা) অচেতন অবস্থায়  পরে থাকা দেখতে পায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (আমুয়া) এ নিলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মো. কামরুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা দেন।

    এ ঘটনা সম্পর্কে মৃত মনিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

    তবে এলাকার একটি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বিকেলে বড় কাঠালিয়া গ্রামের সফিজ উদ্দীনের ছেলে এনায়েত গাজী নামের এক লোক তাদের বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মনিরকে দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করে যান।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিহত মনিরের মা শাহনাজ বেগমের সাথে এনায়েত গাজীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কে পুত্র মনির বাঁধা হওয়ায় পরিকল্পিভাবে মনিরকে হত্যা করে এটাকে আত্মহত্যা নাটক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

    ওইসব ব‍্যাক্তিদের দাবি, মনির নিহত হওয়ার আগে এবং পরে তার মা শাহনাজ বেগমের কথাবার্তা-আচারণ এবং আগের দিন এনায়েত গাজীর হুমকী দেওয়াতে তারা এই ঘটনায় সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অনেকেরই ধারণা।

    কাঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরের মা শাহানাজ বেগম এবং বড় কাঠালিয়া গ্রামের ইয়াকুব গাজীর ছেলে জসিম গাজীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

  • ফ্রান্সের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশী হ‍্যাকারদের সাইবার হামলা: নিস্তেনাবুদ ফ্রান্স

    ফ্রান্সের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশী হ‍্যাকারদের সাইবার হামলা: নিস্তেনাবুদ ফ্রান্স

     

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

    মানবতার মহান শিক্ষক মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি ও ব‍্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট সাইবার হামলা করে হ্যাক করেছে বাংলাদেশি হ্যাকার কমিউনিটি ‘সাইবার ৭১’ সহ বিভিন্ন দেশের হ্যাকাররা। ক্রমাগত হ্যাকারদের সাইবার হামলায় অতিষ্ঠ ফ্রান্সের বিভিন্ন ওয়েবসাইট। যার কারণে বাধ্য হয়ে দেশটিতে জরুরি সাইবার সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    গতকাল রোববার (২৫ অক্টোবর) এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এই জরুরি সতর্কতা জারি করে ফ্রান্সের সরকারি সাইবার ডিপার্টমেন্ট।

    উল্লিখিত, গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতের পর থেকেই ফ্রান্সে সাইবার হামলা চালানো হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সাইবার কমিউনিটির কয়েকজন সদস্য।

    সাইবার হামলার শিকার হওয়া ওইসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা গেছে সেগুলোতে মূল কনটেন্ট দেখা যাচ্ছে না। বরং সেখানে হ্যাকারদের অন্য একটি বার্তা দেখাচ্ছে। তা হলো- মহানবী (সা.)কে নিয়ে প্রকাশ্যে কটূক্তি ও ব‍্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে এই সাইবার অপারেশন চালিয়েছে মুসলমান হ্যাকাররা। ফ্রান্সের সাইবার স্পেসে খুব বিপজ্জনক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়া না হবে, ততক্ষণ পযর্ন্ত এই রকম হামলা চলতেই থাকবে।

    ফ্রান্সের ওইসব ওয়েবসাইটগুলো হ্যাকের দাবি করা হয়েছে, ‘সাইবার ৭১’ এর ফেসবুক পেজ থেকেও।

    সাইবার ৭১ পেজ থেকে বলা হয়েছে, যে দেশ আমাদের রাসূল (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি ও ব্যঙ্গ করা হয়েছে সেই দেশের ওয়েবসাইট থেকে এখন রাসূলের সম্মানে সংগীতের আওয়াজ আসছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এই সম্মিলিত সাইবার হামলায় ফ্রান্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কোম্পানির ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা পরিচালনা করেছে ‘সাইবার ৭১’। ফ্রান্স তার এই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সম্মিলিত এই আক্রমণ চলতেই থাকবে বলে জানায় ‘সাইবার ৭১’।

    ‘সাইবার ৭১’ হ্যাকিং কমিউনিটির একজন সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ওয়েবসাইটে হামলা চালানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা এখনো সব প্রকাশ করিনি । সর্বশেষ মোট ৮টি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছি আমাদের অফিশিয়াল পেজে। রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে অবমাননা করার প্রতিবাদে এই সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট টার্গেটে রেখেছি পরবর্তীতে সেগুলোতেও হামলা চালানো হবে।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও হবে

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও হবে

    ঘেরাও হবে, দূতাবাস ঘেরাও হবে।

    ফ্রান্সে প্রকাশ্যে বহুতল ভবনে রাসূল সা. এর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওইদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। দূতাবাস অভিমূখে বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন আন্দোলনের সংগ্রামী আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই।

    এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ দেশকে চরম সঙ্কটে ঠিলে দিয়েছে। নারী নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের অনুশাসনে ফিরে আসতে হবে। ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়।

    গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ১০নং সেক্টর সি শেল কমিউনিটি সেন্টারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম রহ. ইসলামিক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়ন কমিটি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজি আবু সাঈদ, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, এ্যাড. শওকত হোসাইন প্রমূখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ সীমাহানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এর উৎসগুলো আগে বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার সকল স্থরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় ধর্ষণবিরোধী কমিটি গঠন করে ধর্ষণ বন্ধে ইসলামের বিধান তুলে ধরতে হবে।

    পীর সাহেব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন দায়সারা দু একটি অভিযান পরিচালনা করেই শেষ। প্রকৃত অর্থে এই খণ্ডকালীন অভিযান বাজারে কোনো প্রভাব ফেলার পরিবর্তে বাজারকে আরও উস্কে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ একদিকে কর্মহীন, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়া দিশেহারা। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগের আওতায় বাজারে ওএমএস চালু, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য-পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং প্রশাসনের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানান তিনি।

  • সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    নিজেদের নির্দিষ্ট ও যুক্তিযুক্ত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

    কোভিড-১৯ প‍্যান্ডেমিকের কারণে গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলেনি কোনো কার্যক্রম। খুব শিগ্রই যে খুলবে তারও কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না মন্ত্রণালয় থেকে।

    দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের কোনো পড়ালেখাই ঠিকমত হয়নি। পড়ালেখা থেকে দূরে থাকার জন্য শিক্ষার্থীরাও অলস হয়ে পরেছে।

    এমতাবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পরীক্ষা না নিয়েই অটোপ্রমোশন দেওয়া হবে।

    তবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মূল ক্ষোভ সেখানে না। তাদের ক্ষোভ এইচ এস সি পরিক্ষার্থীদের অটোপাশ নিয়ে। সরকার তাদের কে অটোপাশ দিলেও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কে অটোপাশ দেয়নি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা। তারা ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগর। তাই তাদের কে অটোপাশ দেওয়া যাবে না। এছাড়াও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

    কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ। তাদের প্রশ্ন এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের অটোপাশ দিতে পারলে আমাদের কেন না। তবে শিক্ষার্থীরা এমন প্রশ্ন করলেও তাদের মূল দাবি ২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের অটোপাশ এবং ৮ম পর্বের চূড়ান্ত ভাইভা নিয়ে, ১ম,৩য়,৫ম ও ৭ম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত ক্লাশ শুরু করা।

    উপরক্ত এবং আরও নানান ধরনের দাবি নিয়ে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

    নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

    মুহাম্মদ শহিদ,,উখিয়া।

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের সীমান্ত পথ দিয়ে পাচার করে আনার সময় ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি।শনিবার দিবাগত রাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী লম্বাশিয়া এলাকার মিয়ানমার সীমান্তপথে মাদকদ্রব্য পাচারকারী চক্ররা ইয়াবা পাচার করছে, এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে প্লাস্টিকের প্যাকেট রেখে তিন ব্যক্তি গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।এরপর বিজিবি সদস্যরা প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

    বিজিবির অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারকারী চক্র পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে না পারলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানাগেছে। অভিযানে থাকা হাবিলদার আলাল উদ্দিন, নায়েক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ফুলতলী বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন লম্বাশিয়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করছিল মাদক পাচারকারীরা।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে টহল দল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ এর নির্দেশে নায়েক সুবেদার মোঃ ইব্রাহিমসহ বিজিবির একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে এসব ইয়াব জব্দ করেন।

  • হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে অবমাননা করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় আঘাত করেছে= আল্লামা বাবুনগরী

    হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে অবমাননা করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় আঘাত করেছে= আল্লামা বাবুনগরী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

     

    UkhiyaVoice24.Com:  ফ্রান্সের প্যারিসে দেয়ালে দেয়ালে মহানবী মুহাম্মাদ সা. এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শনের কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    রোববার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ফ্রান্সে নবী মুহাম্মদ সা.কে অবমাননা করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং নবী মুহাম্মদ সা.কে অবমাননা বিশ্বের দেড়শো কোটি মুসলমান মেনে নেবে। অনতিবিলম্বে ফ্রান্সে রাসুল সা. এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে।

    হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের কারণে মুমিন মুসলমানদের কলিজার টুকরা নবী মুহাম্মদ সা. এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শনের মতো স্পর্ধা দেখানোর সাহস পেয়েছে রাসুল বিদ্বেষীরা। রাসুল সা. এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শনের অপরাধে ফ্রান্স সরকারকে বিশ্বমুসলিমের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্বনবী সা. এর মর্যাদা রক্ষায় রাসুল সা. এর অবমাননার শাস্তি হিসেবে বিশ্বের সকল দেশে মৃ’ত্যুদণ্ড বিল পাশ করা উচিত। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। তাই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে ফ্রান্সের এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর দাবী জানান আল্লামা বাবুনগরী। উপরের নিবন্ধের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে সর্বশেষ পোশাকের সুপারিশ করতে পারি।Shop dress আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন দৈর্ঘ্য, রঙ এবং শৈলীতে।

    ফ্রান্সে রাসুল সা. এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে ও.আই.সি., আরব লীগ, সৌদি আরবসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম শাসকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

  • পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ= শূরার বৈঠক কাল সোমবার

    পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ= শূরার বৈঠক কাল সোমবার

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের নাজিরহাট বড় মাদরাসার সৃষ্ট সংকট নিরসনে শূরার বৈঠক চেয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে মাদরাসায় অবস্থায় গ্রহণ দুপুর থেকে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আন্দোলনের দাবানল পুরো মাদরাসা সহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।আন্দোলনের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ।তবে ছাত্ররা দ্রুত শূরার বৈঠক আহ্বানের জন্য আন্দোলন তীব্রতর করে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করে।আন্দোলনরত অবস্থায় সন্ধ্যার কিছুপর মাদরাসায় প্রবেশ করেন ফটিকছড়ি সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর, বাবুনগর মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ফটিকছড়ি নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফীন, ইনচার্জ অফিসার বাবুল আক্তার,নাজিরহাট পৌর মেয়র সিরাজুদ্দৌলা সহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, হক সব সময় বিজয়ী হয়।যদিও সত্যের বিজয় পেতে দেরী হলেও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত। দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তার ধ্বংশ অনিবার্য তা আমরা বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারি। মাদরাসার অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিরসনে শূরা সর্বোচ্চ নিয়মতান্ত্রিকতা রক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।শূরার বৈঠক সুষ্ঠু এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

    বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত শূরা সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসন সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান। তিনি শূরার আয়োজন সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।।

    মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফটিকছড়ি সাংসদ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে এবং আমাদের সংকট নিরসনে এগিয়ে আসায় তাঁর (ফটিকছড়ি সাংসদ) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের সকল যৌক্তিক দাবী আমরা বিবেচনা করে আগামী শূরার বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।আন্দোলনের তীব্রতা এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বঘোষিত ২৮ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য শূরার বৈঠক পরিবর্তন করে বৈঠকের তারিখ আগে নিয়ে আসা হয়েছে।এতে করে আগামী ২৬ তারিখ সোমবার সকাল ১০টায় মাদরাসায় শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।তিনি ছাত্রদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

    স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহের রোষানলে এবং তার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে যেসকল সম্মানিত শিক্ষক মাদরাসা ছেড়েছেন সকলে বর্তমানে মাদরাসায় অবস্থান করছেন।তাঁদের স্বাদর অভ্যর্থনা এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন মাদরাসা ছাত্র জনতা। বর্তমানে মাদরাসা পরিবেশ শান্ত রয়েছে।শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া অবধি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদরাসার বাহিরে-ভেতরে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে।এক্ষেত্রে মাদরাসার ছাত্ররা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান ছাত্ররা।

  • কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‘ লাইট হাউস মাদরাসা নিয়ে বিরাজমান সংকটের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধান কামনা করেন জেলার শীর্ষ ওলামা-মশায়েখ,ইসলামী চিন্তাবিদ ও কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট শতাধিক আলেম।সংবাদ পত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বলেন, লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসাটি কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বোর্ড অনুমোদিত শুরা কর্তৃক নিযুক্ত মুহতামিম মওলানা মুহাম্মদ আলী। তিনি বিগত ২১-০৮-২০১৫ ইং থেকে অত্যন্ত সুনাম ও খ্যাতির সাথে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জরাজীর্ণ উক্ত মাদরাসার লেখা পড়া ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেন। যার ফলে মাদ্রাসার সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এতদসত্বেও একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাওমি মাদ্রাসার চিরাচরিত নিয়ম কানুন এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেখিয়ে মাদ্রাসাটি দখলের পঁয়তারা করছে।তারা কওমী জগতের কাছে ধিকৃত , নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির দায়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত মাওলানা আনাস মাদানি কে মুহতামিম বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনি ফোরাম মজলিসে শুরা ব্যতিত ভিন্ন ফোরামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কে পরিচালক বা মুহতামিম পদে জোর করে বসানো কওমী মদরাসার সংবিধান ও নীতিমালার পরিপন্থি। যা কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বিনাশ করার একটি সু গভীর ষড়যন্ত্র ও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদানের সময় “ কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহের উপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হলো” বলে যে ভাষন দিয়েছেন এবং সংসদে বিল আকারে পাশ হয়েছিল তাদের এরূপ কর্মকান্ড এ ঘোষণার পরিপন্থি। মাদরাসার বর্তমান বৈধ মুহতামিম মাওলানা মো: আলী কে অপসারণ করার নির্লজ্জ ও সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র কক্সবাজারের আলেম সমাজ কোন দিন মেনে নিবেনা। বিবৃতিতে আলেম ওলামারা লাইট হাউস মাদরাসায় শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসা বেসরকারি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সংবিধান ও নীতিমালার আলোকে তা সমাধা করতে হবে। কাওমি শিক্ষা বোর্ডই হচ্ছে মাদ্রাসা পরিচালনা,শৃঙখলা রক্ষা সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিনের এই সংকট নিরসনে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বোর্ড অনুমোদিত মজলিসে শুরার আহবান এর দাবি জানান জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম।
    বিবৃতি দাতারা হলেন- পোকখালী মাদরাসার ছদরে মুহতামিম ও সভাপতি আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ( কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড) কক্সবাজার জেলা আল্লাামা মোখতার আহমদ দা:বা:, মুহতামিম মাওঃ আজিজুদ্দীন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী ও মুহতামিম জামেয়া ইসলামিয়া টেকনাফ আল্লাামা মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক , আল্লামা মুহাম্মদ মুসলিম- পরিচালক-ধাওনখালী মাদ্রাসা। আল্লামা আফসারুদ্দীন চৌঃ মুহতামিম জামিয়া দারুস্সুন্নাহ হ্নিলা,মাওঃ মাহবুবুর রহমান,পরিচালক জামিয়া ফারুকিয়ার টেকনাফ,আল্লামা মুফতি এনামুল হক পরিচালক বালাগুল মুবীন মাদরাসা চকরিয়া , মাওলানা সিরাজুল ইসলাম পরিচালক-দারুল উলুম চাকমারকুল মাদ্রাসা,মাওলানা মুহসিন শরিফ পরিচালক রাজার কুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা,মাওলানা শাহেদ নূর, নির্বাহী পরিচালক- আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ধলির ছড়া, মাওলানা নূরুল হাকিম, নির্বাহী পরিচালক-বোয়ালখালী মাদরাসা। মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, পরিচালক-মশরফিয়া মাদ্রাসা লিংকরোড,মাওলানা মোঃ আনোয়ার পরিচালক-চিরিঙ্গা মাদ্রাসা। মাওলানা এমদাদ উল্লাহ হাছান, পরিচালক-খুরুশকুল অদুদিয়া তালিমুদ্দীন মাদ্রাসা। মাওলানা মুহাম্মাদ
    ইদ্রিস, পরিচালক-ইনানী মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা,মাওলানা আতাউল করিম, পরিচালক- জামিয়াতুল আবরার কক্সবাজার।মাওলানা আব্দুল খালেক পরিচালক ডিগলিয়া পালং মাদ্রাসা, উখিয়া,মাওলানা আবদুস সাত্তার পরিচালক-দারুত তাহযীব মাদরাসা, থাইংখালী। মাওলানা ক্বারী শাকের পরিচালক ইবনে আব্বাস লেদা, হোয়াইক্যং,মাওলানা আব্দুল বারি পরিচালক মুনির ঘোনা মাদরাসা টেকনাফ ,মাওলানা শমসুল আলম পরিচালক উনচিপ্রাং দারুল ইরফান মাদরাসা, মাওলানা জাহেদুর রহমান পরিচালক-কক্সবাজার দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা, মাওলানা জসিম উদ্দিন পরিচালক-এমদাদিয়া মাদরাসা, লম্বাবিল, আল্লামা আবদুচ্ছালাম, পরিচালক-আলহাছান মাদ্রাসা, মাওলানা আবু বকর পরিচালক পাতাবাড়ী মাদরাসা প্রমুখ।