Author: UkhiyaVoice24

  • শহীদ পরিবার নিয়ে বক্তব্যের বিভ্রান্তি অপসারণ করলেন=অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    শহীদ পরিবার নিয়ে বক্তব্যের বিভ্রান্তি অপসারণ করলেন=অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার প্রতিনিধি।

    গত ৩রা অক্টোবর ২০২০ উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের জরুরী বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা আমার বক্তব্যের একটি অংশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে স্বার্থন্মেষী একটি মহল যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে তা দেখে আমি সত্যিই মর্মাহত।
    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার বক্তব্যে বা জীবনাচারে কখনোই কাউকে যেমন হেয় করার চেষ্টা করিনি তেমনি সবসময় চেষ্টা করেছি সততার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে।

    আপনারা জানেন, উখিয়া আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আমি নিস্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া আওয়ামী লীগের একটি চিহ্নিত গ্রুপ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সাবেক কেবিনেট সচিবের ভাই জনাব শাহ আলমের প্রত‍্যক্ষ মদদে ব‍্যক্তিগতভাবে আমার প্রতি ঈষান্মৃত হয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে, কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশনা অমান্য করে আমার প্রানপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে।

    প্রকৃতপক্ষে আমার সেদিনের সামগ্রিক বক্তব্যে ছিল – সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল পরিচালনায় এগিয়ে আসার বারবার আহবান জানানোর পরও যারা গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ‍্যে গ্রুপিংয়ে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে।

    আর এই গ্রুপিংয়ে প্রধান মদদ দাতা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কিত হিসেবে পরিচিত জনাব শাহ আলম কথায় কথায় তার শহীদ ভাই এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে যে ন‍্যাক্কারজনক ভুমিকা পালন করছে তার প্রতিবাদ করতে যেয়ে আমি বলেছিলাম – স্থানীয়ভাবে অপরিচিত জনাব শহীদ এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে ভুমি দখল, বাজার দখলসহ অসংখ্য যে অনিয়ম করছে তা আওয়ামী লীগের ইমেজ যেমন ক্ষুণ্ন করছে তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলকে পাক হানাদার মুক্ত করায় যেসব স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের স্মৃতি রক্ষায় কোন ধরনের উদ্যোগ না নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুধুমাত্র একজন শহীদ এর স্মৃতি রক্ষায় অসংখ্য প্রতিস্টানের নামকরণ করে যেভাবে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ।
    প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার সামগ্রিক বক্তব্যের একটি অংশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা দেখে আমি সত্যিই বাকরুদ্ব।

    দুঃখ ভারাক্রান্ত হ্নদয় নিয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে –

    আমি হামিদুল হক চৌধুরী সেই পরিবার এবং সেই মহান ব‍্যক্তির সুযোগ্য সন্তান। যার মহান পিতা তৎকালীন সময়ে উখিয়ার মতো দেশের প্রত‍্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে নিজে স্বল্প প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পেলেও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যেমন নিজের দশ পুত্র এবং তিন কন‍্যা সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে নিজ পরিবারকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুটিকয়েক অনন্য পরিবারের একটি হিসেবে পরিচিত করে তুলেন তেমনি প্রতিকুল সময়ে আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে কক্সবাজার অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন‍্যতম সংগঠকদের একজন হিসেবে দ্বিধাবিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিভেদ ঘুচিয়ে রণাঙ্গনে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধে অসাধারণ ভুমিকা রাখেন।

    একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এ অঞ্চলের অন‍্যতম একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মরহুম জনাব বদিউর রহমান চৌধুরী যেমন সমস্ত অন‍্যায় অনিয়ম এবং অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তেমনি আমি অধ‍্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী মহান পিতার পদাংক অনুসরণ করে অনিয়ম অনাচার এবং স্বার্থসিদ্বিতে লিপ্ত ব‍্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করে এসেছি। বর্তমানে সময়ে সমাজে সাহসী হয়ে সত‍্য কথা বলা লোকজনকে যেভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় এক্ষেত্রেও আমাকে ঘায়েল করার জন্য তাই করা হচ্ছে বলে মনে করি।যার প্রমাণ হচ্ছে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক আমিন, ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা জনাব জামালউদ্দিন, উখিয়ার বিশিষ্ট সাহসী সাংবাদিক জসিম আজাদ, কক্সবাজারের অনলাইন মিডিয়া কক্স টিভির উখিয়া প্রতিনিধি শাহীনকে সাইবার /প্রযুক্তি মামলায় আসামি করে জেলে পাঠায় ও দীর্ঘদিন হয়রানি করে।তাদের অপরাধ ছিল শুধুমাত্র সচিব পরিবার ও চেয়ারম্যান শাহ আলমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা ও প্রতিবাদ স্বরুপ মামলা করা।একই সাথে চেয়ারম্যান শাহ আলমের প্রতিবেশী ও তারই পরিষদের সদস্য জনাব রফিক মেম্বারকেও ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলায় আসামী করে জেল খাটায়।বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচারও বিকৃত পদক্ষেপ জাহাংগীর শাহ আলমদের অশুভ ষড়যন্ত্র ও চরিত্র হননের অপপ্রয়াস মাত্র।

    তবু আমার সেদিনের বক্তব্যে অনাকাঙ্খিতভাবে কাউকে বা কোন গুষ্টি অসম্মান করা হয়ে থাকলে আমি নিদ্বিধায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

    বিনীত
    অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
    চেয়ারম্যান
    উখিয়া উপজেলা পরিষদ
    সভাপতি
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা শাখা,
    উখিয়া কক্সবাজার।

  • বরিশালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীতে জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার মানববন্ধন

    বরিশালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীতে জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার মানববন্ধন

     

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধি।

    গতকাল ১০ই অক্টোবর শনিবার সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর আদর্শের সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার আয়োজনে দেশব্যাপী অব্যাহত খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের দাবিতে সকাল ১১ ঘটিকায় অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মো আশিকুর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক হাওলাদার মোঃ জাহিদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টি সভাপতি এ্যাডঃ এ.কে.এম. মুরতজা আবেদীন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় পার্টি বরিশাল মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে.এম. মোস্তফা সহ আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি ও জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ।

    এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সহ-সভাপতি পিডিএম মিজান, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাসিন আহমেদ আবির, সদস্য মুন্না হাওলাদার, সদস্য সাব্বির হাওলাদার, সদস্য আকাশ, বানারীপাড়া উপজেলা সহ-সভাপতি মিঠু, সাধারন সম্পাদক আহাদ হাওলাদার, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ, কেদারপুর ইউনিয়ন-এর মোঃ রবিউল আহমেদ জয়, তাহসিন আহমেদ তানভীর সহ আরো বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

    দেশে অব্যাহত খুন ও ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের দাবি ও নারী ধর্ষণ মামলার বিচার করতে বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে তিন মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে দ্রুততার সাথে রায় কার্যকর করলে ধর্ষণ নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে জাতি মুক্তি পাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় দ্রুততার সাথে ধর্ষণ আইন সংশোধন করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বক্তারা।

  • বরিশালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীতে জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার মানববন্ধন

    বরিশালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীতে জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার মানববন্ধন

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধি।

     

    গতকাল ১০ই অক্টোবর শনিবার সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর আদর্শের সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার আয়োজনে দেশব্যাপী অব্যাহত খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের দাবিতে সকাল ১১ ঘটিকায় অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মো আশিকুর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক হাওলাদার মোঃ জাহিদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টি সভাপতি এ্যাডঃ এ.কে.এম. মুরতজা আবেদীন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় পার্টি বরিশাল মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে.এম. মোস্তফা সহ আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি ও জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ।

    এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজ বরিশাল মহানগর শাখার সহ-সভাপতি পিডিএম মিজান, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাসিন আহমেদ আবির, সদস্য মুন্না হাওলাদার, সদস্য সাব্বির হাওলাদার, সদস্য আকাশ, বানারীপাড়া উপজেলা সহ-সভাপতি মিঠু, সাধারন সম্পাদক আহাদ হাওলাদার, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ, কেদারপুর ইউনিয়ন-এর মোঃ রবিউল আহমেদ জয়, তাহসিন আহমেদ তানভীর সহ আরো বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

    দেশে অব্যাহত খুন ও ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের দাবি ও নারী ধর্ষণ মামলার বিচার করতে বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে তিন মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে দ্রুততার সাথে রায় কার্যকর করলে ধর্ষণ নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে জাতি মুক্তি পাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় দ্রুততার সাথে ধর্ষণ আইন সংশোধন করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বক্তারা।

  • চট্টগ্রামে ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

    চট্টগ্রামে ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

     

    গতকাল শুক্রবার (০৯ অক্টোবর২০২০ইং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা শাখার উদ্যোগে ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ও বিচারের দাবীতে পটিয়া শান্তির হাট চত্ত্বরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা আহবায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালোকদার এর নেতৃত্বে পটিয়া শান্তির হাট এর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তির হাট চত্ত্বরে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কালাম এর সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শিল্পী ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে
    বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের শাসন নেই। যথাযথ তথ্য উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও বিচার হচ্ছে না কোন অপরাধীর। প্রতিবাদকারীদের শান্ত করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীর গ্রেপ্তার করে, কিন্তু তারা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। এমন ভঙ্গুর বিচার ও শাসন ব্যবস্থার কারণে ধর্ষণ দিনদিন মহামারি আকার ধারণ করছে।। অতএব ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে।

    প্রধান অতিথি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীন দেশে একজন নারী স্বাধীনভাবে বাঁচতে না পারায় দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অবৈধ সরকার দেশের জনগণের কথা না ভেবে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ধর্ষকদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী নীতিহীন, আদর্শহীন সরকারের মূলোৎপাটন করে জনগণের আধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ও অন্যায়-অবিচার রোধ করার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    প্রধান অতিথি আরো বলেন, ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ ধর্ম। ইসলামের আদর্শ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে পারলে এবং রাষ্ট্রে ইসলামী বিধান বাস্তবায়ন হলে ধর্ষণসহ সকল অপরাধ শুণ্যের কোটায় নেমে আসবে।

    সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা ছদর মাওলানা জাহেদুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কালাম.ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মারুফ। উপস্তিত ছিলেন মাওলানা নাজিমউদ্দীন আনসারী সাধারণ সম্পাদক বামুক চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা। মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ সাবেক প্রচার সম্পাদক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী সাবেক সহ-অর্থ সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা। শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ বখতিয়ার, মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিনসহ সহযোগী সংগঠন সমূহের জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক
    মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ
    প্রচার সম্পাদক
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
    চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা

  • সারা দেশে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি নিয়ে বরিশালেও ইসলামী আন্দোলন’র বিক্ষোভ সমাবেশ

    সারা দেশে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি নিয়ে বরিশালেও ইসলামী আন্দোলন’র বিক্ষোভ সমাবেশ

    পারভেজ,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।

     

    গণধর্ষণকারীদের ফাঁসির দাবিতে বরিশাল নগরীতে ইসলামী আন্দোলন’র বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সারাদেশে গনধর্ষন ও নোয়াখালীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবিতে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ’র আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর শাখা।

    ৯ই অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর টাউন হল চত্তরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীমসহ ইসলামী আন্দোলন জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

    সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন স্হান প্রদক্ষিণ করে ইসলামী আন্দোলন দলটি।

  • কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার ও পার্সেল এখন টেকনাফে=UkhiyaVoice24.Com

    কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার ও পার্সেল এখন টেকনাফে=UkhiyaVoice24.Com

    মুহাম্মদ ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি।

    দেশের সর্ব দক্ষিণ টেকনাফে উদ্বোধন হয়েছে জনপ্রিয় পার্সেল কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস ।
    ৯ অক্টোবর শুক্রবার, বিকাল ২টায় টেকনাফ পৌরসভা অলিয়াবাদ শাপলা চত্বর ফিরুজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় স্থায়ী অফিস উদ্বোধন হয় ।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, কন্টিনেন্টাল কক্সবাজার জেলা শাখার পরিচালক শফিকুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল কবির, টেকনাফ নিউজ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ, মাওঃ গনি সুলতান, সওতুল হেরা সোসাইটির সহ-সভাপতি মাওঃ সৈয়দ আলম ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম রাহি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল আজিজ প্রমূখ ।
    কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ উল্লাহ রিয়াদ জানান, কন্টিনেন্টাল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিস উপজেলা শাখা টেকনাফে করছি , এখান থেকে মূল্যবান কাগজপত্র সহ অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ও যাবতীয় মালামাল দেশ-বিদেশের যেকোন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে , সাথে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার (ডিএইচএল) ও যাবতীয় এয়ার টিকেটও পাওয়া যাবে । আমাদের অফিসিয়াল নম্বর (০১৮২৩-৮৯৪৭২২)
    ইনশাআল্লাহ সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা ২৪ ঘন্টা সেবা দিতে বদ্ধপরিকর ।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচন অনূষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবর

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচন অনূষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবর

    নিজস্ব প্রতিবেদক: Tawhid

     

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ডে আগামী ২০ অক্টোবর ২০২০ ইং নির্বাচন অনূষ্ঠিত হবে, অত্র ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী, জনাব মুহাম্মদ নূরুল হক খান আপেল মার্কা। জনাব মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বখতিয়ার মুরগ মার্কা, জনাব মুহাম্মদ আব্দুল হক ফুটবল মার্কা, জনাব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর তালা মার্কা সহ ৪ মেম্বার প্রার্থীর যোগ্য দেখে জনগণ ভোট প্রদান করবে বলে আশাবাদী।

    সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠা অসাধারাণ মানসিকতা একজন সুশিক্ষিত মানুষ জনাব মুহাম্মদ নুরুল হক খান।
    যার জীবনের দীর্ঘ ২৪ বছর রাজনীতিতে কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ড জনগণের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একই সাথে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক পদে দীর্ঘ ১৭বছর সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
    বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী রাজনীতির সাথে থেকে গরীব, দুঃখী, মেহেনতী মানুষের সেবক হিসেবে পরিচিত এই নুরুল হক খান
    আগামী ২০অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিব্য ৯নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে আপেল মার্কায় সকলের মূল্যবান ভোট দিয়ে একটি নির্ভেজাল, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, সুশৃংখল, সমাজ প্রতিষ্টা করতে এবং ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের সেবা করতে সুযোগ দিন।

  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    মুজাহিদ ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার প্রতিনিধ।

    গত ৩রা অক্টোবর ২০২০ উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের জরুরী বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা আমার বক্তব্যের একটি অংশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে স্বার্থন্মেষী একটি মহল যে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে তা দেখে আমি সত্যিই মর্মাহত।
    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার বক্তব্যে বা জীবনাচারে কখনোই কাউকে যেমন হেয় করার চেষ্টা করিনি তেমনি সবসময় চেষ্টা করেছি সততার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে।

    আপনারা জানেন, উখিয়া আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আমি নিস্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া আওয়ামী লীগের একটি চিহ্নিত গ্রুপ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সাবেক কেবিনেট সচিবের ভাই জনাব শাহ আলমের প্রত‍্যক্ষ মদদে ব‍্যক্তিগতভাবে আমার প্রতি ঈষান্মৃত হয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে, কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশনা অমান্য করে আমার প্রানপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে।

    প্রকৃতপক্ষে আমার সেদিনের সামগ্রিক বক্তব্যে ছিল – সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল পরিচালনায় এগিয়ে আসার বারবার আহবান জানানোর পরও যারা গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ‍্যে গ্রুপিংয়ে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে।

    আর এই গ্রুপিংয়ে প্রধান মদদ দাতা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কিত হিসেবে পরিচিত জনাব শাহ আলম কথায় কথায় তার শহীদ ভাই এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে যে ন‍্যাক্কারজনক ভুমিকা পালন করছে তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি বলেছিলাম – স্থানীয়ভাবে অপরিচিত জনাব শহীদ এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে ভুমি দখল, বাজার দখলসহ অসংখ্য যে অনিয়ম করছে তা আওয়ামী লীগের ইমেজ যেমন ক্ষুণ্ন করছে তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলকে পাক হানাদার মুক্ত করায় যেসব স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের স্মৃতি রক্ষায় কোন ধরনের উদ্যোগ না নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুধুমাত্র একজন শহীদ এর স্মৃতি রক্ষায় অসংখ্য প্রতিস্টানের নামকরণ করে যেভাবে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ।
    প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার সামগ্রিক বক্তব্যের একটি অংশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা দেখে আমি সত্যিই বাকরুদ্ব।

    দুঃখ ভারাক্রান্ত হ্নদয় নিয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে –

    আমি হামিদুল হক চৌধুরী সেই পরিবার এবং সেই মহান ব‍্যক্তির সুযোগ্য সন্তান। যার মহান পিতা তৎকালীন সময়ে উখিয়ার মতো দেশের প্রত‍্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে নিজে স্বল্প প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পেলেও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যেমন নিজের দশ পুত্র এবং তিন কন‍্যা সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে নিজ পরিবারকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুটিকয়েক অনন্য পরিবারের একটি হিসেবে পরিচিত করে তুলেন তেমনি প্রতিকুল সময়ে আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে কক্সবাজার অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন‍্যতম সংগঠকদের একজন হিসেবে দ্বিধাবিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিভেদ ঘুচিয়ে রনাঙ্গনে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধে অসাধারণ ভুমিকা রাখেন।

    একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এ অঞ্চলের অন‍্যতম একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মরহুম জনাব বদিউর রহমান চৌধুরী যেমন সমস্ত অন‍্যায় অনিয়ম এবং অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তেমনি আমি অধ‍্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী মহান পিতার পদাংক অনুসরণ করে অনিয়ম অনাচার এবং স্বার্থসিদ্বিতে লিপ্ত ব‍্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করে এসেছি। বর্তমানে সময়ে সমাজে সাহসী হয়ে সত‍্য কথা বলা লোকজনকে যেভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় এক্ষেত্রেও আমাকে ঘায়েল করার জন্য তাই করা হচ্ছে বলে মনে করি।যার প্রমাণ হচ্ছে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক আমিন, ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা জনাব জামালউদ্দিন, উখিয়ার বিশিষ্ট সাহসী সাংবাদিক জসিম আজাদ, কক্সবাজারের অনলাইন মিডিয়া কক্স টিভির উখিয়া প্রতিনিধি শাহীনকে সাইবার /প্রযুক্তি মামলায় আসামি করে জেলে পাঠায় ও দীর্ঘদিন হয়রানি করে।তাদের অপরাধ ছিল শুধুমাত্র সচিব পরিবার ও চেয়ারম্যান শাহ আলমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা ও প্রতিবাদ স্বরুপ মামলা করা।একই সাথে চেয়ারম্যান শাহ আলমের প্রতিবেশী ও তারই পরিষদের সদস্য জনাব রফিক মেম্বারকেও ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলায় আসামী করে জেল খাটায়।বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচারও বিকৃত পদক্ষেপ জাহাংগীর শাহ আলমদের অশুভ ষড়যন্ত্র ও চরিত্র হননের অপপ্রয়াস মাত্র।

    তবু আমার সেদিনের বক্তব্যে অনাকাঙ্খিতভাবে কাউকে বা কোন গোস্ঠী অসম্মান করা হয়ে থাকলে আমি নিদ্বিধায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

    বিনীত
    অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
    চেয়ারম্যান
    উখিয়া উপজেলা পরিষদ

    সভাপতি
    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

  • চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

    কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দরসহ সেসকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

    নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

    সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর/প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

     

    সারাদেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন-ধর্ষণসহ নারীর প্রতি বর্বরতা এবং আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে আগামীকাল ৯ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগি সংগঠন সমূহ।

    আজ বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ সন্ত্রাসীদের ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারী নির্যাতন চলছে।

    তিনি বলেন, ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়, অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দিন দিন নারী নির্যাতন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা বা নৈতিকতা শিক্ষা না থাকায় মানুষ ক্রমেই বেপরোয়া ও অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে।

    তিনি বলেন, এ সকল ঘটনা ইসলামের বিধান প্রতিষ্ঠার অনিবার্যতাকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলছে। তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সেইসাথে ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।