Author: UkhiyaVoice24

  • দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুব আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুব আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও নগর সভাপতি আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম বলেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারেন না। সরকারের মন্ত্রীবর্গের বক্তব্য ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ১০দিনে উল্লেখযোগ্য ৫টি ন্যাকারজনক ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, আরো অপ্রকাশিত বহু ঘটনা গুন্ডাবাহিনীর ভয়ে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। তাই শুধু প্রতিবাদ নয়, এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার এসব ধর্ষক, গুন্ডা ও চোর-বাটপারদের পুষে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

    গতকাল ০৫ অক্টোবর’২০ সোমবার বিকাল ৪.৩০ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নোয়াখালীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসলমী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে নগর সভাপতি তাজুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আয়েজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
    প্রধান অতিথি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার করে, কিন্তু তারা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে। তাই অপরাধীরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
    সভাপতির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম শাহীন বলেন, শুধু ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তিতে ধর্ষণ কমবে না, ধর্ষক সৃষ্টির উৎসপথ বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইট, ওয়েব সিরিজ নামে প্রাপ্তবয়স্কদের শয্যাদৃশ্য, নাটক সিনেমার নামে লিভ-টু-গেদার ও সমকামিতার চর্চা, বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য বানানো বন্ধ করতে হবে। কর্মহীন যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে চরিত্রবিধ্বংসী অপকর্ম ও মাদকতা থেকে বিরত রাখতে হবে।
    মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি ইবরাহীম খলিল, নগর ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নাজিম উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর অর্থ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পী, দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. দিদারুল ইসলাম, উপসম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ইকবাল হোসাইনসহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ার কুতুপালং এর বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত ২

    উখিয়ার কুতুপালং এর বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত ২

    নিজস্ব প্রতিবেদক 

     

    কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের বৃহৎ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট এর ডি ৫-ব্লকের মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীফ (৩২) এবং ডি ব্লকের মৃত ইউনুস এর পুত্র শামসুল আলম (৪৫)

    আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) ভোর চারটা থেকে মাদক কারবারিরা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
    আহতদের কি উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে।

    নিহত দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    জানা যায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা জালাল আহমদ জানান মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল অনেকদিন থেকে এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

    বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং আইন-শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক আতিক রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    উখিয়া থানার নবাগত ওসির আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক রোহিঙ্গারা জানাই সম্প্রতি পুলিশি কার্যক্রম স্থবিরতার কারণে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
    ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝিরা।

    ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং বিকেলে বাঁশখালী পৌর শহরের গ্রীণ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমদ মসরুর সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ক্বাজী আখতার সাহেব। বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সেক্রেটারী ও মনকিচর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবু বকর সাহেব, বৈলছড়ি মাদরাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দিদারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইসহাক, জলদী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ লোকমান, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হাছান, বৈলগাও কনজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, চাম্বল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মনকিচর মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুফতি হেলাল উদ্দীন, ছনুয়া মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম, পুকুরিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মনকিচর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, দারুল কারীম মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা এবং হুজুরের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

  • বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    বিশেষ অবদান রাখছে।

    বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদের সভাপতি হলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষবিদ চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    পটিয়া মাদরাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার বর্তমান সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। সল্পসময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবিদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    সারাদেশের ব্যাপকভাবে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে ইসলামি সম্মেলন আয়োজন করার লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান।

    ইসলামি অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরু দায়িত্বও তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনায়, পটিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়াও এক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন।

    শুধু শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে নয়, আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও তিনি সফল। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারী কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশিষ্ট খলিফা জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সাবেক শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুজুর নামে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমধিক পরিচি) রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারীর অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে তিনি খেলাফতও দিয়েছেন।

    লেখক হিসেবে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো- তাসহিলুত তাহাভি, তাসহিলুল উসূল (পাঠ্যভূক্ত)ও তাসহিলুত তিরমিজি।

    চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়েও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোয়ামে অংশগ্রহণসহ নানা কাজে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা জাতীয় ইস্যুতে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃত প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

    চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা আল্লামা বোখারী। চার ছেলে ও মেয়ের জামাইদের সবাই আলেম। নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

    বলা হয়, জ্ঞানীর কদর একমাত্র জ্ঞানীরাই জ্ঞানের কদর করেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। এ কারণে আমরা দেখি, পটিয়া মাদরাসার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জ্ঞানসাধকদের ভিড়। বিশেষ করে আজকের লেখায় মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়া, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ছাড়া জামিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িয়ে আছেন বিজ্ঞ ও যোগ্য উস্তাদগণ। পটিয়াকে ঘিরে জ্ঞানীদের এই মিলনমেলা সাজানোর কারিগর আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী।

    যাদের জ্ঞানের সমারোহে এই প্রজন্ম ও উম্মাহ লাভবান হচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত হচ্ছে এই সমাজ ও দেশ। এটাই আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যতিক্রমী কর্মপন্থা ও মুন্সিয়ানা। যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো প্রমাণ করে, জ্ঞানীদের প্রতি সম্মান ও উৎসাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত নন।

    লেখার শুরুতে বলেছিলাম তার একান্ত সান্নিধ্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তখন দেখেছি, মতের মিল না হলে ভিন্নমত পোষণকারীর প্রতি তার শ্রদ্ধায় কমতি নেই। সবার সঙ্গে, সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এটা প্রত্যাশিতও নয়। আল্লামা বোখারীকে দেখেছি, ভিন্নমতের মতের হলেও জ্ঞানী-গুণীকে সমাদর করতে কসুর করেন না। এটা তার অনন্য গুণ। এখনকার যুগের এমন গুণের মানুষ পাওয়া বিরল।

    তিনি একজন সাহসী কর্মবীর। সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের কারণে তিনি পরিণত হয়েছে আলেমদের অভিভাবকে। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর এই গুণ ও জ্ঞানসাধনার আলো আরও ছড়াক এবং তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক। আমিন।

  • আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

    আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও সুশৃঙ্খল বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

    সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আসাতাযায়ে কেরামের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ক্লাশ চলছে। আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া’র পরিক্ষাও সুন্দরভাবে চলছে। মাদরাসার শিক্ষকগণ, ছাত্রভায়েরা এবং এলাকাবাসীরা খুবই সন্তুষ্ট।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসার কোনো উস্তাদ এবং বাহিরের কোনো সংগঠন ও ব্যক্তির উস্কানি বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। হযরতের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার বৈ কিছুই নয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিজেদের হিনস্বার্থ উদ্ধারে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা এবং কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।

    বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.) স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদরাসা শূরা কমিটির হাতে দায়িত্ব সোপর্দ করে গেছেন এবং হযরতের ইন্তিকাল স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে এবং হযরতের ওসিয়্যাত অনুযায়ী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদের পার্শ্বের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হযরতের ইন্তিকালে আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত।

    বিবৃতিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)এর মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য বিশেষভাবে সকলে দুআ করবেন এবং দারুল উলূম হাটহাজারীর ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও মাদরাসার উন্নয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

    তারা আরো বলেন, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)সহ সকল মুরুব্বিয়ানে কেরামের উসূল অনুযায়ী চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা দুআ করবেন, যেনো আল্লাহ তাআলা দারুল উলূম হাটহাজারীসহ পুরো কওমী অঙ্গনকে সকল ধরনের ফিতনা-ফাসাদ থেকে হেফাজত করেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- জামিয়া পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতিয়ে আযম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী, মজলিসে ইলমির সদস্য আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেয শোয়াইব, পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, নাজেমে দারুল ইক্বামার প্রধান মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা কবীর আহমদ, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেয আহমদ দিদার কাসেমী, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) রাত ৮টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল উস্তাদবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ লাইভ ভিডিওতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক ইন্তিকালের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেছেন, যারা তাঁর ইন্তিকালের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছেন, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

  • শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর তরবীয়তি সভায় বিশিষ্ট ইসলামীক স্কলার ও বুদ্ধিজীবি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইসচেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর আল্লামা খালিদ হুসাইন প্রধান অতিথির আলোচনায় বলেন হযরত আল্লামা আহমদ শফি (রহ,)জীবনের বৃহৎ অংশ আলেম তৈরীর কাজে আত্মনিয়োগ করে গেছেন। তৈরি করেছেন হাজার হাজার আলেম। এন্তেকালের সামান্য সময় পূর্বে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা সারা জীবন হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হযরতের অবদান কে স্মরণ রাখতে চাই। তিনি ফেইসবুক ব্যবহারকারী সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান ফেইসবুকে আমরা কারো যেন সম্মানহানিকর কোন পোস্ট না দেয় এতে আমাদের দুনিয়া আখিরাত দুইটাই বরবাদ হবে। তিনি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত তরবীতি মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন। মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট আজমা কমপ্লেক্স এ মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আমজাদ হুসাইনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত তরবীয়তে মহানগরীর দায়িত্বশীল বিভিন্ন জামে মসজিদ এর খতীব গণ,মাদ্রাসার পরিচালক ও বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ওলামা মশায়েখ ও ইমাম গণ বক্তব্য রাখেন। সভায় আগামী ৯ অক্টোবর ২০২০ জুমাবার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম তালিমুল কোরআন কমপ্লেক্স এ নব নির্মিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) জীবন ও কর্ম আলোচনা শীর্ষক বিশাল জীবনি আলোচনা ও দোয়া মাহফিল সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা শেষে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) ও সমকালীন সময়ে মৃত্যু বরণকারী ওলামা ও দ্বীনি বন্ধুদের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি ড,আ,ফ,খালিদ হুসাইন সাহেব।

  • উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক

    উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বিশেষ রিপোর্টার

     

    উখিয়ার কুতুপালং বাজারস্থ ফেমাস চৌধুরী ফিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‍্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫)।

    রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

    আটককৃত যুবক হলো- উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হাজির পাড়া এলাকার কবির আহমেদের ছেলে মোঃ বেলাল (২৫)

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুতুপালং ফেমাস ফিলিং স্টেশনের সামনে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করলে মাদক ব্যবসায়ীরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আটক হয়। পরবর্তীতে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা।

    আটককৃত আসামির উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও মালামালের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

  • হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতলু উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাংসদ জনাব ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি. মহোদয়

    এ সময় তিনি হাইয়াতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং জামিয়ার শিক্ষাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহুর সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    মাননীয় এমপি মহোদয় মাদরাসার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়া ইত্যাদি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    এসময় মজলিসে এদারীর সদস্য আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী হাফিজাহুল্লাহু,আল্লামা ইয়াহইয়া দা.বা. সহ আসাতেযায়ে কেরাম ও হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষকগণ সহ হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির সাহেব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে বেঁধে রাতভর নির্যাতন

    উখিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে বেঁধে রাতভর নির্যাতন

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, রিপোর্টার 

     

    উখিয়ায় গরু চুরির অপবাদে ছৈয়দ আহমদ (১৭) নামের এক যুবককে বেঁধে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠেছে। গলায় ঝুলানো হয়েছে জুতোর মালা! শুধু তাতে শেষ নয়, কোদাল দিয়ে তার মাথার চুলও উপড়ে ফেলা হয়েছে। অমানবিক দৃশ্যটি উপভোগ করেছে নির্যাতনকারীসহ বেশ কিছু লোক।

    শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং পশ্চিম সোনার পাড়া মোনাফ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভিকটিম ছৈয়দ আহমদ পশ্চিম সোনার পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫) এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। জালাল উদ্দিন মানবপাচারসহ বহু মামলার আসামি।

    ঘটনার প্রসঙ্গে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল্লাহ জানিয়েছেন, ছৈয়দ আহমদ একজন ক্ষুদ্র দোকানদার। মুহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির গরুর চুরির অভিযোগে তাকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে তিনি নিজেই গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক মৌখিক অবগত করেন।

    তিনি জানান, যে গরুটি চুরির অভিযোগ করা হয় সে গরুটি মুহাম্মদের বাড়িতেই ছিল। তবু অপরাধী হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মারধর না করতে অনুরোধ করেন মেম্বার রফিকুল্লাহ। তা মানে নি। গরুর মালিক মুহাম্মদের ডাকে পাশের বাড়ির বাসিন্দা জালাল উদ্দিন সেখানে গিয়ে উল্টো বিতর্ক করে বসে। তার সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন। বাকবিতণ্ডার পর বাড়িতে চলে যান মেম্বার।

    শনিবার সকালে খবর পান, কোদাল দিয়ে ছৈয়দের মাথা মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাতভর মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এমন একটি ভিডিও হাতে পান তিনি। এরপর মেম্বার রফিকুল্লাহ গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) জাহাঙ্গীর, আবু সিদ্দিককে সাথে নিয়ে মুহাম্মদের বাড়ি থেকে ছৈয়দ আহমদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি তিনি থানার ওসিকে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

    তিনি জানান, এলাকায় যাতে আর কোন সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, পুরো এলাকাবাসীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। তাতে অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই।

    এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার মর্জুকে ফোন দিলে থানার অপারেটর মুঠোফোন রিসিভ করেন। নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন, তাই কাজের ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারেননি ওসি।

  • ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, রিপোর্টার  

     

    কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ফেরার পথে কৌশলে বালিশ ও তোষকের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে আসছিল।

    শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পটিয়া থানার নতুন বাইপাস সড়কে থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে বালিশ ও তোষক থেকে ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

    আটক যুগলদ্বয় হল- চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর থানার নিজ গাছতলা গ্রামের মো. ইমাম হোসেনের মেয়ে সুমা আকতার (২০) ও বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মদ্দন গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন সজীব (২১)।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) মাশকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমা ও সজীবকে আটক করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা তোষক, বালিশ ও ট্রলি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের করে আসছিল।

    তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।