Author: UkhiyaVoice24

  • লামায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    লামায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবান:

    মহান ভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন “মঙ্গলবার” নয়াপাড়া থেকে র‍্যালি দিয়ে ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় এসে শেষ’করে। সকাল ৯ টায় শহীদ মিনারে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি স্মরণ করেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ফাইতং ইউনিয়ন আ’লীগ এর অঙ্গসংগঠন সমূহের উদ্যোগে ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, পুলিশ, বিদ্যালয় শিক্ষক সহ শত-শত মানুষ শহীদ মিনার ফুল দেয় এবং হল রুমে বিশাল আলোচনা সভা হয়। ’এদিকে সকাল ৭/৮ টায় ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে মসজিদে কুরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে মোনাজাত করে মাওলানা কাজী জাহেদুল ইসলাম ।

    অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ মিন্টু এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক, বিশেষ অতিথি মাহামুদুর রহমান শুক্কুর, পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শামিম শেখ, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন কোম্পানি সহধর্মিণী শাহিনা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোজা আকবর, কৃষকলীগ সভাপতি মেম্বার মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (জুবাইর), যুবলীগ সভাপতি বাবু থোয়াইং সানু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন জয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রুবেল, ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইলুল করিম, মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি শাহেদা ইয়াসমিন শাহেদা, যুব মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি রেজিয়া বেগম, এবং সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগ এবং অঙ্গসংগঠন এর নেতাকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ নানান শ্রেনী পেশার মানুষ ও দলের বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগ মিজানুর রহমান রুবেল বলেন, রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা। তাদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

    অতিথিরা বক্তব্য বলেন, একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। দুর্জয় সাহস জুগিয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আজও সমহিমায় ভাস্বর। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার। ৫২-র ভাষা আন্দোলনেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল যেসব ভাষা শহীদ, তাদের ত্যাগই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সব ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান৷

    প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা, ভেঙে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ইতিহাস গড়েন তারা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে জন্ম নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালে। অমর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৬০৫০ পরিবারের মাঝে মাসিক ৩০কেজি হারে ভি ডব্লিউ বি’র চাউল বিতরণ

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৬০৫০ পরিবারের মাঝে মাসিক ৩০কেজি হারে ভি ডব্লিউ বি’র চাউল বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৬০৫০ পরিবারের মাঝে মাসিক ৩০কেজি হারে “ভি ডব্লিউ বি’র”চাউল বিতরণ অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সকাল থেকে দিনব্যাপি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ৬০৫০ পরিবারের মধ্যে আজ ৯ নং ওয়ার্ডের ৬৭১ পরিবারের মাঝে “ভি ডব্লিউ বি’র”চাউল বিতরণ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসাইন সজীব।

    “ভি ডব্লিউ বি’র”চাউল বিতরণ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন টেক অফিসার জনাব মেহেদী হাসান, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব জনাব মৃণাল বড়ুয়া, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব সালাহউদ্দিন মেম্বার, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন,
    মহিলা বিষয়ক প্রতিনিধি জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন ভুঁইয়া, ইউপি সদস্য নুরুল কবির ও মহিলা ইউপি সদস্যা শামসুন নাহার সহ অনেকেই।

    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, কাজের বিনিময়ে বিনামূল্যে খাদ্য কর্মসূচি “ভি ডব্লিউ বি’র আওতায় রাজাপালং ইউনিয়নের ৬০৫০ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে, আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় আমারা ৯নং ওয়ার্ড থেকে বিতরনী কার্যক্রম শুরু করেছি।

  • ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধারে ওলামায়ে কেরামের করনীয় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ২০ শে ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার বেলা ২ টা থেকে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আরফাত হোসাইনের সভাপতিত্বে ‘সেমিনার ও নবীন আলেম সংবর্ধনা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর আল্লামা ডঃ বেলাল নূর আজিজী
    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ইউসুফ আহমাদ মানসুর।

    এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম (১৬)বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে হাতপাখা পতিকে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও হালিশহর জামিয়া বাইতুল কারিম মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমেদ আনসারী, ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও খতিব আল্লামা ড. শুয়াইব রশিদ মাক্কীসহ জেলা ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে কর্ণফুলী হতে ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে কর্ণফুলী হতে ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বাসযোগে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা একটি বাস তল্লাশীকালে ০১ জন ব্যক্তি গাড়ি হতে নেমে সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা আসামী মোঃ হাফেজ উল্লাহ (৬৩), পিতা- মৃত তমিম গোলাল, সাং- ডেইল পাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে উক্ত বাসের মালামাল রাখার সাইডবক্সের ভিতরে রক্ষিত তার ট্রলি ব্যাগের ভেতর হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে শপিং ব্যাগ দ্বারা দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নেশা জাতীয় অবৈধ মাদকদ্রব্য কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলার বাদী গ্রেফতার

    ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলার বাদী গ্রেফতার

    ইমরান তাওহীদ রানা:- ঈদগাঁও,

    কক্সবাজার আদালত চত্বরে সংগঠিত বহুল আলোচিত সমালোচিত গণ ধর্ষণ মামলার বাদীনি রুনা আক্তার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বসত বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত রুমা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।

    ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নং ৩০/২৩ ১৭(২) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী ছিল। এইদিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার একদল মহিলা পুলিশ বসতবাড়ী থেকে রুনা আক্তারকে গ্রেফতার করে।

    উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে কক্সবাজার আদালত চত্বরে কথিত গণধর্ষণের মামলা রুনা আক্তার।মামলাটি আদালত কর্তৃক মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রাশেল উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭(২) ধারার মামলা দায়ের করেন আদালতে। এ মামলায় রুনা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

    একই দিন সকালে মামলাবাজ রুনা আক্তারকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন পুলিশ।

  • প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও এফআইভিডিবি-র যৌথ উদ্যোগে টেকনাফ উপজেলায় শিশু সুরক্ষা ও শিশু পাচার রোধে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও এফআইভিডিবি-র যৌথ উদ্যোগে টেকনাফ উপজেলায় শিশু সুরক্ষা ও শিশু পাচার রোধে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    কক্সবাজারের টেকনাফে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংস্থা এফআইভিডিবি টেকনাফ উপজেলায় শিশু সুরক্ষা ও শিশু পাচার রোধে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    টেকনাফ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান,তাহেরা আক্তার মিলি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলার এসি ল্যান্ড মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌরি চন্দ্র দে,উপজেলা সমবায় অফিসার দীপক দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ ময় ভৌমিক, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর মিজানুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোহাম্মদ শওকত হোসেন,
    টেকনাফ মডেল থানার শিশু বান্ধব পুলিশ অফিসার রুখসানা মুজাফফর,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ সহ টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মেম্বার ও কাউন্সিলর এবং উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিকসহ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে এফআইভিডিবি-র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা ও ওয়ার্কশপ পেপার উপস্থাপন করেন এএইচপি বাংলাদেশ কনসরটিয়াম প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর সালাহ-উদ্দিন মল্লিক।
    অনুষ্ঠানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ উপজেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ রমজান আলী এবং এএইচপি বাংলাদেশ কনসরটিয়াম প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ সামিউল হক চৌধুরী।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলার এসি ল্যান্ড জনাব মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, টেকনাফ উপজেলার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য চাই সরকার ও এনজিওদের যৌথ প্রয়াস। পারস্পরিক কো-অপারেশন ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা টেকনাফ উপজেলাকে একটি সুন্দর উপজেলা হিসেবে তৈরি করতে পারবো। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও এফআইভিডিভি এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের উপজেলার শিশু সুরক্ষা ও শিশু পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

    অনুষ্ঠানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ রমজান আলী উপজেলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন। বিশেষ করে সংস্থাটি উপজেলায় শিক্ষা,শিশু সুরক্ষা, মেয়ে ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়নে কিভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংস্থা এফআইভিডিবি-র মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে এএইচপি বাংলাদেশ কনসরটিয়াম মাল্টি-ইয়ার প্রোগ্রামটি টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প – ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়ন,বাহারছড়া ইউনিয়ন ও টেকনাফ পৌরসভায় বাস্তবায়ন করে আসছে। এই প্রোগ্রামটি অস্ট্রেলিয়া সরকারে ডিফাট-এএইচপি (DFAT-AHP) -র আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

  • আলীকদম সেনা জোনের অধিনে অনুদান প্রদান

    আলীকদম সেনা জোনের অধিনে অনুদান প্রদান

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবান,

    বান্দরবানের আলীকদম সেনা জোন (৩১ বীর) কর্তৃক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায়, এতিমখানা, গরীব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দুঃস্থ পরিবার, উপজাতি মুসলিম কল্যাণ সংস্থা এবং আলীকদম মুরুং কমপ্লেক্সের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে অনুদান দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে (১৫ ফেব্রুয়ারি২৩ইং) বেলা ১১টায় আলীকদম সেনা জোন ক্যান্টিন হলরুমে এক অনুষ্ঠানে এই সহায়তা করা হয়।

    সেনা জোন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায়, এতিমখানা, গরীব শিক্ষক শিক্ষার্থী, দুঃস্থ পরিবার, উপজাতি মুসলিম কল্যাণ সংস্থা এবং আলীকদম মুরুং কমপ্লেক্স ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার বিল বাবদ ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৬ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেঃ কর্নেল মোঃ সাব্বির হাসান পিএসসি জোন কমান্ডার আলীকদম জোন। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, আলীকদম সেনা জোনের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়নমূলক কাজ চলমান আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে। সেই সাথে আলীকদম জোনের আওতাধীন সকল ক্যাম্পগুলোতে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়নমূলক কাজ দুঃস্থদের চিকিৎস্বার্থে মেডিকেল ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    উল্লেখ্য, জোন কর্তৃক প্রতিমাসেই সকল প্রতিষ্ঠানকে অনুরুপ অনুদান প্রদান করে থাকেন। তাছাড়া দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ও শিক্ষা সামগ্রী এবং অসহায় মানুষয়ের চিকিৎসা জন্য তাৎক্ষণিক অনুদান প্রদান করে থাকেন। বর্তমান শীতে অত্র জোনের আওতাধীন ক্যাম্পসমূহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন।

  • ৯৯তম চরমোনাই বার্ষিক ফাল্গুন এর মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো

    ৯৯তম চরমোনাই বার্ষিক ফাল্গুন এর মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

    বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর চরমোনাই মাদ্রাসার মূল মাঠসহ মোট ৬টি মাঠ নিয়ে অনুষ্ঠিত চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

    রেজাউল করীম বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখিরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    চরমোনাই পীর তার উদ্বোধনী বয়ান শেষে মাহফিলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দেন। এ বছর মাহফিলে ভারতের দেওবন্দ, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন।

    এ ছাড়া মাহফিলে আগত মুসল্লিদের ৬ হাজার হালকায় বিভক্ত করে হাতে-কলমে সালাত ও ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়ে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগত মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরও ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসাসেবা পরিচালিত হচ্ছে। ৬টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১টি স্পিডবোট মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। ৬টি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।

    সারা দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের খাবারের জন্য প্রত্যেকটি মাঠের চারদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলে দ্বিতীয় দিন সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
    আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮টায় চরমোনাই পীরের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।

  • লামায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

    লামায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

    কপিল উদ্দিন জয় নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবান :

    শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’-এই শ্লোগান’কে সামনে রেখে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২৩ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, বিষয় ভিত্তিক কুইজ ইউনিয়ন পর্যায় প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় পার্বত্য বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড ধুইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান ইউনিয়ন সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মোট ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক, অনুষ্ঠানের লামা উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল করিম জনি সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সহসভাপতি শহিদুল্লাহ মিন্টু, সহ-সভাপতি মাহামুদুর রহমান শুক্কুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ, এম ইউপি সদস্য মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (জুবাইর), উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নুরুল আমিন, সহকারী শিক্ষক কুতুবউদ্দিন, মহিলা ইউপি সদস্য শাহেদা ইয়াসমিন শাহেদা, খেদারবাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফি, ধুইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান লিটন, ধুইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি, জান্নাতুল মাওয়া (ফেন্সি), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিনিধি ইসমাইলুল করিম, স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনীতি ব্যক্তিবর্গ সহ সকল বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগন বিভিন্ন বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    অতিথিরা বক্তব্য বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তৈরি হতে আহ্বান জানান।

    অতিথি শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ বলেন, ক্রিড়া এবং সাংস্কৃতিক দুটোই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শরীর মনকে ভালো রাখে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী মোবাইলে আসক্ত হয়ে গেছে। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা এই দেশের ভবিষ্যৎ। সামনের দিনে তোমরাই হবে এদেশের শক্তি, মেধা ও মেরুদন্ড
    । তাই তোমাদের এখন থেকে শক্ত প্রস্তুতি নিতে হবে।

    অনুষ্ঠান আমন্ত্রণ অতিথি মাহামুদুর রহমান শুক্কুর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
    বান্দরবান পাহাড় পড়ালেখা পাশাপাশি সাংস্কৃতিক খেলা-ধূলার সবসময় উদ্যোগ নেন। তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলা-ধূুলার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজন আছে। এভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের সহায়ক ভূমিকা রাখে।

    প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বক্তব্যে বলেন, ফাইতং ইউনিয়ন সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি সকলের নজর কেড়েছে। আশা করছি সামনের দিনে আরো ভালো করবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক দুটোরই প্রয়োজন আছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি মন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও বর্তমানে ভার্চুয়াল জগত থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।

  • রামুর মেয়ে শাকিলা, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক হিসেবে যোগদান

    রামুর মেয়ে শাকিলা, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক হিসেবে যোগদান

    নিউজ ডেস্কঃ

    আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউ বি) শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন রামুর মেয়ে শাকিলা রহমান।
    তিনি ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এ শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

    শাকিলা রহমান চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইন্জিনিয়ারিং এ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সাউথ কোরিয়া ও ওয়ার্ল্ড রেংককিংয়ের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে এআই অ্যান্ড কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং ও কৃতিত্বের মাষ্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পড়াকালীন অবস্থায় বিভিন্ন গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। এবং তার একটা গবেষণার কাজ শ্রেষ্ট গবেষণা হিসেবে (best paper award) পুরস্কার লাভ করেন।

    শাকিলা রহমান কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারকুল হাফেজ পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী আবদুর রহমান ও রোকেয়া পারভীনের একমাত্র মেয়ে। ও কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মকবুল সওদাগর পাড়ার খরুলিয়ার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও
    ব্যবসায়ী মরহুম মাওলানা গোলাম কাদের ও বেগম আয়েশার একমাত্র নাতনি এবং সৌদি প্রবাসী সাইফুল আজম বাবুল,সাউথ কোরিয়ার উসং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিয়া উদ্দিন ও ওবাইদুল হকের একমাত্র ভাগনি।

    তাঁর এই সাফল্য খবরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর কাছে।
    তিনি সকালের কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে মহান শিক্ষকতায় যেন ছড়িয়ে যেতে পারেন।