Author: UkhiyaVoice24

  • দ্বীনি দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে”পটিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন

    দ্বীনি দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে”পটিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর সহযোগী পরিচালক, মুবাল্লিগে ইসলাম হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বলেছেন, যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করেছেন। হযরত নূহ (আ.) সাড়ে নয় শত বছর এই দাওয়াতের কাজ করেছেন। অনুরূপ হযরত ইবরাহীম (আ.) এই দাওয়াতের কাজ করেছেন, হযরত মূসা (আ.) হযরত ঈসা (আ.); এভাবে সমস্ত নবী-রাসূলরা এই দাওয়াতের কাজ করেছেন। এবং এই দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতে গিয়ে সব ধরনের ত্যগ-তিতীক্ষা, কষ্ট-মুজাহাদা স্বীকার করেছেন। নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়েছেন, পরিবার-পরিজন ত্যাগ করেছেন, মানুষের জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। সর্বশেষ আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে কি পরিমান কষ্ট সহ্য করেছেন- তা আমরা কম-বেশী সকলেই জানি এবং উম্মত হিসেবে জানা থাকাও জরুরী। এই দ্বীনের খাতিরে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে হিজরত করেছেন। কাফেরদের গালি-গালাজ শুনেছেন। পাথরের আঘাতে নিজের শরীরের তাজা রক্ত প্রবাহিত করেছেন। যেই শরীরে মশা-মাছি পর্যন্ত বসা হারাম ছিল, সেই শরীরে কাফেররা পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছে শুধুমাত্র এই দ্বীনের দাওয়াতের জন্য।

    গতকাল (২২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার ৮৪তম বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) দাওয়াত ও তাবলীগের উপর আধ ঘন্টাব্যাপী বয়ানে এসব কথা বলেন।

    বয়ানে তিনি আরো বলেন, এমনিভাবে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) এই দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। আর তাই তো তাঁদের কবর আজকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাঁরা তো এই কাজের জন্য সর্বাবস্থায় তৈরী থাকতেন এবং কে কার থেকে বেশী করতে পারেন আর কে কার থেকে আগে বাড়তে পারেন, সে জন্য প্রতিযোগিতা দিতেন। অতএব, ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল উম্মাতের জিম্মাদারী হল, এ দাওয়াতের কাজ। সমস্ত উম্মতকে সরল-সঠিক পথ দেখানোর জিম্মাদারী ও দায়িত্ব হল এ উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রত্যেকের ওপর।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বলেন, যুগে যুগে বিভিন্ন পদ্ধতিতে দ্বীনি দাওয়াতের এ গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন এ উম্মাতের মুখলেসীনরা। বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের নামে যে মেহনত সারা পৃথীবি ব্যাপী চলছে, তা কেবল মাত্র উম্মাতের এ মহান যিম্মাদারী আদায় এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে দ্বীন পৌঁছানোর জন্যেই। দাওয়াত ও তাবলীগ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি উম্মাতের জন্যে তার ইলম ও সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করা আবশ্যক। ওলামায়ে কিরাম এ কাজের প্রথম স্থান ও প্রথম কাতারের দায়িত্বশীল। এরপর সাধারণ মুসলমানগণ। প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে কালিমা, নামায, রোযা, যিকির, তিলাওয়াত, মুয়ামালাহ-মুয়াশারাহ লিল্লাহিয়াত ও খুলুসিয়্যাতের দাওয়াত দেওয়া জরুরী।

    তিনি বলেন, এজন্য এ দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে। আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, মানুষকে আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের দিকে ডাকা ও দাওয়াত দেওয়া এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ কাজের সাথে লেগে থাকা।

    বয়ানে বিপুল সংখ্যক উলামা, তুলাবাসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।

    সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া; মহাপরিচালক- দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা। মুফতি রুহুল আমীন, খতীব বায়তুল মুকাররম। আল্লামা এমদাদুল্লাহ মুহতামিম, বায়তুল হুদা মাদরাসা। আল্লামা সালাহ উদ্দীন, মুহতামিম, জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর। মাওলানা আবদুল বাসেত খান, সিরাজগঞ্জ। আল্লামা মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, ঢাকা। আল্লামা সাঈদুল আলম আরমানী। আল্লামা হাফিজুর রহমান, কুয়াকাটা। ডক্টর আল্লামা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ডক্টর আল্লামা হমুদুল হাসান আল-আযহারী।মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা, আল্লামা হাসান জমীল, ঢাকা। মুফতি কেফায়তুল্লাহ শফীক, আল্লামা যাকারিয়া আযহারী, হাফেজ আব্দুল হক প্রমুখ।

  • পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন হাফিজুর রহমানের মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন

    পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন হাফিজুর রহমানের মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বিশ্বময় শান্তি ও মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনার মাধ্যমে আল-জামিয়া পটিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন

    ২২ ও ২৩ শে ডিসেম্বর (বৃহস্পতি ও জুমাবার) আল-জামিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আল-হামদুলিল্লাহ।

    গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও প্রধান মুফতি আল্লামা হাফেজ আহমদুল্লাহ (দাঃ বাঃ)-এর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আরম্ভ হয়।

    উক্ত মহাসম্মেলনে আলোচকগণের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, আল্লামা ইয়াহইয়া (হাফি.) মুহতামিম দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী।আল্লামা মুফতী রুহুল আমীন দাঃবাঃ, খতীব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা। আল্লামা হাফেজ এমদাদুল্লাহ মুহতামিম, বায়তুল হুদা মাদরাসা হাটহাজারী। আল্লামা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুহতামিম, জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর। মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, সিরাজগঞ্জ। আল্লামা মুফতী মীযানুর রহমান সাঈদ, ঢাকা। আল্লামা সাঈদুল আলম আরমানী, লোহাগাড়া।মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুয়াকাটা। ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন জিরি। ডক্টর মাওলানা মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী,লন্ডন । আল্লামা হাসান জমীল সাহেব, ঢাকা। মুফতী কেফায়তুল্লাহ শফীক টেকনাফ, আল্লামা যাকারিয়া সাহেব, মুফতি জসীমুদ্দিন, হাফেজ আব্দুল হক রামু প্রমুখ।

    ২৩ শে ডিসেম্বর জুমাবার আসর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা অব্যহত ছিল। বক্তাগণ নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা করেন। পরিশেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালানা করেন মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকি কুয়াকাটা (হাফি.)। হাজার হাজার মুসল্লির কান্নাভেজা মুনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে আল-জামিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্ত হয়।

  • মসজিদে মুক্ত হস্তে দান করুন

    মসজিদে মুক্ত হস্তে দান করুন

    মোঃ হোসেন (সুমন):- কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি,

    বায়তুর রহমান জামে মসজিদ
    পশ্চিম লারপাড়া পাড়া ঝিলংজা ১নং ওয়ার্ড় কক্সবাজার। মসজিদ হল আল্লাহর ঘর, আমার যে যত টুক পারি সামর্থ্য অনুযায়ী দান করার চেষ্টা করি।আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে খরচ করে থাকি।আমরা মসজিদের জন্য সকলে এগিয়ে আসি।

    স্থাপিত ২০০৬ইং।বর্তমান এই মসজিদে টাইলস, জানালার গ্লাস, বিদ্যুৎ এর সুইচ বোর্ড, ওযুখানার ছাউনিসহ অনুমানিক ৬/৭লাখ টাকার কাজ বাকি আছে।দেশেও বিদেশি সকলের কাছে সহায়তা প্রদান করা জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইল। যোগাযোগের নাম্বার -01889242793/01835298515।

  • ফুলবাড়ীর জয়নগরে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ আহত ২

    ফুলবাড়ীর জয়নগরে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ আহত ২

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ি জয়নগর পেট্রোল পাম্পের সামনে দিনাজপুর গবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে মোটর সাইকেল আরোহী জমি চাষ করা ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা লেগে নিহত হয়েছে। ফুলবাড়ি থানার থানার (ওসি) আশরাফুল ইসলাম একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসে:) রাত ৯.৩০ মিনিটে তিন বন্ধু এক মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে বাহির হয়, এমন সময় ফুলবাড়ির জয়নগর পেট্রোল পাম্পের সামনে, দিনাজপুর গবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের উপর ফুলবাড়ী থেকে আসা জমি চাষ করা ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরোহী মাহাবুর রহমান(৩০)নিহত হয়েছে। নিহত মাহাবুর বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে।

    অপর দুই বন্ধুকে গুরুতর অবস্থায় বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত ডাক্তার হাসনাথ ইয়াসমিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সাগর(২০) ও সাখিল(১৭) কে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাট করেছেন।
    তিনি আরো বলেন নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • টেকনাফে অপহৃত ৮ জন বাড়ি ফিরেছে

    টেকনাফে অপহৃত ৮ জন বাড়ি ফিরেছে

    মোস্তাক আহমদ:- টেকনাফ,

    টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার জাহাজপুরা এলাকা থেকে অপহৃত ৮জন বাড়ী ফিরেছে।
    বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় তারা আহতাবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন। স্বজনরা তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপালে প্রেরণ করলে, গুরুতর আহত ৩জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেন বাকী ৫জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও ফিরে আসরা অপহৃতের নিকটাত্বীয়রা জানান।

     

    ফিরে আসা অপহৃতরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।

    গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের খালে মাছ শিকার করতে গেলে সেখান থেকে তারা অপহৃত হন বলে দাবী করেন স্বজনরা।
    ৩ দিন ধরে প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয়সহ ৪ শতাধিক মানুষ পাহাড়ী অঞ্চলে অপহৃতদের নিস্ফল উদ্ধার অভিযান করে।
    অপহৃত পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ হাবিব বলেন, অপহৃত ৮ জনকেই মুক্তিপণের টাকার জন্য নানানভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে অপহরণকারীরা। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের ক্ষত রয়েছে। তারপরও অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা বাড়ি ফিরেছেন তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আর প্রশাসনসহ যারা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আমাদের পরিবারের পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
    ওসি আবদুল হালিম জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের ঢালে-জঙ্গলে বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় পুলিশের অভিযান চলমান ছিলো। খবর পেলাম বুধবার দিবাগত রাতে অপহৃতরা বাড়ি ফিরেছে। তারা একটু সুস্থ হোক। তারপর তাদের কাছ থেকে অপহরণের কারণসহ বিস্তারিত জানতে পারবো।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম।

  • মসজিদের আজানের আওয়াজে আপত্তি জানিয়েছেন,চট্টগ্রাম ক্লাব সভাপতি নাদের খাঁন

    মসজিদের আজানের আওয়াজে আপত্তি জানিয়েছেন,চট্টগ্রাম ক্লাব সভাপতি নাদের খাঁন

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার একটি জামে মসজিদে উচ্চস্বরে আজানের আওয়াজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন ফটিকছড়ির সন্তান শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন।

    জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওই এলাকার প্রধান শাহী জামে মসজিদে আযানের সময় উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর পূর্ব নাসিরাবাদ শাহী জামে মসজিদের সেক্রেটারি বরাবরে লিখিত একটি চিঠি পাঠান তিনি ও তার স্ত্রী।

    মসজিদের আযানের আওয়াজ মসজিদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে লেখা সেই চিঠিতে তারা মসজিদ কমিটিকে সতর্ক করে দিয়ে লিখেছেন— ‘আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।’

    শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন চিঠিতে লিখেছেন— ‘আপনার নিকট এবং কমিটির অন্যান্য সম্মানিত সদস্যের নিকট বারবার অনুরোধ করেও এই পর্যন্ত শোনার ও বোঝার চেষ্টা করছেন না— আমাদের এই এলাকায় একই সাথে ৮-৯টি মসজিদ হতে আযান শোনা যায়। অথচ আপনারা কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে, আপনারা যেহেতু দূরে থাকেন, শোনার সুবিধার জন্য মাইকের আওয়াজ বাড়িয়ে রাখেন। এই বিষয়টি আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই পছন্দ করবেন না।’

    চিঠিতে লেখা হয়, ‘শুক্রবারে মসজিদে মাইকের মাধ্যমে ওয়াজ প্রচার করা হয়। আপনাদের অনুরোধ করেছি— এই আওয়াজ আপনারা মসজিদের ভেতরে রাখেন— কিন্তু এই পর্যন্ত তাও হলো না! অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অসুবিধা হতে পারে, অসুস্থ লোকের অসুবিধা হতে পারে— অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে— সবচেয়ে বড় কথা বিকট আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বোঝা যায় না।’

    নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন মসজিদ কমিটির কাছে অনুরোধের সুরে লিখেছেন— ‘মসজিদুল হারাম, মসজিদুন নববী— এই সকল মসজিদে এই ধরনের মাইক ব্যবহার হচ্ছে কিনা খবর নেন। আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।’

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।তারা এই দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে থানায় জিডি করেছেন।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

    উল্লেখ্য, ফটিকছড়ির নাজিরহাটের বাসিন্দা শিল্পপতি নাদের খাঁন।তার পরিবার চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন ।তিনি চিটাগং ক্লাবের সভাপতি ও পেডরোলো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফটিকছড়ির হালদা ভ্যালি চা বাগানের কর্ণধারও এই শিল্পপতি।

  • ৩ কোটি টাকার কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি

    ৩ কোটি টাকার কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমড়া দক্ষিণপাড়া গ্রাম থেকে ৩০১ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

    মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সীমান্তবর্তী আমড়া দক্ষিণপাড়া গ্রাম থেকে ‍ওই মূর্তিটি উদ্ধার করেন ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন ২৯ বিজিবির সদস্যরা।

    ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট আলমগীর কবির জানান, ২৯ বিজিবির অধীন সীমান্ত এলাকায় আমড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোকসেদুল ইসলাম নিজ জমিতে মাটি খননের সময় ৩০১ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তির সন্ধান পান। তিনি আমড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে অবহিত করলে ফাঁড়ি কমান্ডার সুবেদার মো. শুকশাহের নেতৃত্বে একটি টহলদল ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে ২৯ বিজিবি সদর দফতরে জমা দেন।

    মূর্তিটির আনুমানিক বাজারদর ৩ কোটি ১ লাখ টাকা বলে জানান ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক।

  • বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি মামলা

    বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি মামলা

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাসহ তার দুই পুত্র-কন্যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। মামলার বাদী সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা।

    মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদা আকতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নাজমুল আলম।

    সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নুরুন্নবীর পুত্র। মামলায় ফরিদার ছেলে ছমুদুল হক ও মেয়ে সুমি বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

    জানা যায়, দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ফরিদা আকতার ও তার পরিবার বন্দোবস্তি লীজ মুলে ওই জায়গায় বসবাস করে আসলেও মামলাটিতে ফরিদা আকতার ও তার পুত্র কন্যাদের বিরুদ্ধে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।

    এর আগে গত ২০ নভেম্বর ফরিদা আকতারের জায়গা জবর দখল চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদী আমিরাঘোনা এলাকার প্রায় ৫ কানি জায়গার উপর ঘরবাড়ি ভেঙে শত শত গাছপালা কেটে তান্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় ফরিদা আকতার হাইকোর্টে গত ১ ডিসেম্বর রিট পিটিশন নং ১৪৯৯৩/২২ দায়ের করেন। রিট শুনানি শেষে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিগত ১১ ডিসেম্বর তারিখে উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ভূমি সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

    অভিযোগে মামলার বাদী সাঈদুর রহমান উল্লেখ করেন, বজলুর রহমানের মালিকানাধীন ১ কানি ৫ গন্ডা জমির খরিদা সুত্রে বর্তমান মালিক সাঈদুর রহমান। ওই জায়গা তিনি বুঝে পেয়েছেন। এখন ফরিদা ওই জায়গার জন্য তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। গত ২০ ডিসেম্বর জায়গা সার্ভে করতে গেলে তিনি ও তার লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে।

    এই মামলার বিবাদী ও হাইকোর্টের রিট মামলার বাদী ফরিদা আকতার বলেন, সাঈদ ও তার লোকজন আমার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা দিয়েছে। আমার মামলায় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা জোর করেই আমার জায়গার উপর কাজ অব্যাহত রেখেছে।

  • ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হলেন ফারিছ চৌধুরী

    ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হলেন ফারিছ চৌধুরী

    ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হলেন ফারিছ চৌধুরী
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য মনোনীত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ফারিছ চৌধুরী।
    চলতি বছরের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল- নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্যাডে তাকে সদস্য পদে মনোনীত করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগে বিভিন্ন সময়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের চিঠির মাধ্যমে প্রদায়ন করা হয়।
    কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফারিছ চৌধুরী বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব এবং জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর থাকবো।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি কর্তৃক নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মগঘাটা নামক এলাকার একটি রাবার বাগানে অন্যত্র পাচার করার জন্য গোপনে রাখা অবস্থায় মালিকবিহীন নিম্নোক্ত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে বলে জানাগেছে ।
    উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার সিগারেটের এর মধ্যে রয়েছে
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ তৈরি Mond,
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ SO
    ৩৯০০ প্যাঃ বার্মিজ ORIS সহ মোট ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট।
    উদ্ধারকৃত বার্মিজ সিগারেট গুলো ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
    উল্লেখ্য নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বিহীন অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।