Author: UkhiyaVoice24

  • সাবেক বন প্রতিমন্ত্রী মরহুম জাফরুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানাতে জনসমুদ্রে পরিণত

    সাবেক বন প্রতিমন্ত্রী মরহুম জাফরুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানাতে জনসমুদ্রে পরিণত

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রাম ১৬ বাঁশখালীর সাবেক সংসদ ও বিএনপির সাবেক বন প্রতিমন্ত্রী মরহুম আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (রহঃ) গত ৮ ই নভেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। মৃত্যুর সংবাদ মুহুর্তের মধ্যে সারা ছড়িয়ে পড়ে, সাথে সাথে বিভিন্ন শ্রেণির ধর্মীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারাসহ তাঁহাকে দেখতে ছুটে যান চট্টগ্রাম শহরে।

    গতকাল ৯ ই নভেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম জামিয়াতুল ফালাহ ময়দানে ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, পরবর্তীতে বাঁশখালী জলদী হায়স্কুল মাঠে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়,শেষ জানাজা ৩য় দফা বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজ এলাকা পশ্চিম গুনাহগারীতে ৪র্থ দফা জানাজা শেষ করে নিজ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন।

  • ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজারে শুভাগমন

    ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজারে শুভাগমন

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার শুভাগমন উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত যৌথ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১০ নভেম্বর, সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে অনুষ্ঠিত যৌথ বর্ধিত সভায়
    প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব, মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

    জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে যৌথ বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান সহ সকল সংসদ সদস্যবৃন্দ।

    আরো বক্তব্য রাখছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এছাড়াও জেলার আওতাধীন প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

  • বড় ভাইকে মারধর করে ২বছরের সাজা পেলো ছোট ভাই

    বড় ভাইকে মারধর করে ২বছরের সাজা পেলো ছোট ভাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক,

    রামুতে পৈত্রিক সম্পত্তি লুট করে ভাগিয়ে নিতে বড় ভাইয়ের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ছোটো ভাইকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৬, কক্সবাজার। একই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুইজন আসামী পেয়েছেন খালাস।

    সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন- রামু উপজেলাধীন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ার ঘোনার লামারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হাছানে পুত্র মো. আনাছ প্রকাশ ছোটন (২৫)। গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার পূর্ব নিধারিত দিনে সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০৬ এর বিজ্ঞ বিচারক এহসানুল হক উক্ত রায় দেন। রায়ে আসামীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড; অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ড ঘোষণা এবং আসামিকে ভিডাব্লিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। তবে উক্ত রায় সংশ্লিষ্ট ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত দুই আসামীকে খালাস দেওয়ায় কিঞ্চিত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মামলাটির বাদী ওমর ফারুক।

    জানা যায়- গত বছরের (২০২১ সালের) ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রামুস্থ বাদীর নিজ বাড়িতে ছোটো ভাই আনাছ ও তার অপরাপর সহযোগীরা ওমর ফারুকের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে আইনী প্রতিকার পেতে ওমর ফারুক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ৫ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন। যার সি.আর নাম্বার ২৭৮/২১ (রামু)। আদালত মামলাটির তদন্ত ভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে। পিবিআই’র উক্ত তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চার্জ গঠন শেষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কের পর গতকাল ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার এই রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।

    বাদী ওমর ফারুক জানান- ‘আমার পিতার দুই স্ত্রী। আমি বড় মায়ে সন্তান। আসামী আমার ছোটো মায়ের সন্তান তথা আমার আপন ভাই হয়। এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আসামী আনাছ, ছোটো মা রেহেনা আক্তার ও ছোটো মায়ের ভাই মোক্তার আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন নানা কূটকৌশলে আমার পিতা হাজী মো. হাছনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি একক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে বিরোধ ও কলহ দেখা দেয়। অন্যদিকে ছোটো মায়ের সন্তানেরা আমার পিতার আরও সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে প্রকাশ্যে হাকাবকা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে তৎপর হলে ছোটো মায়ের সন্তান আনাছ ও উল্লেখিত অপরাপর আসামীরা একজোট হয়ে আমার উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। আইনী প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত প্রধান আসামীকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে। এতে আমি বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামী রেহেনা আক্তার ও তার ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই স্পষ্ট অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তা সত্বেও এই দুই আসামীকে খালাস দেওয়ায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি বলে মনে করছি।’

  • টংকাবতীতে দুই পাহাড়ের মাঝে সড়ক, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজারেও মানুষ

    টংকাবতীতে দুই পাহাড়ের মাঝে সড়ক, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজারেও মানুষ

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের টংকাবতী বনবিভাগের (রেঞ্জ) অফিস হতে ডিসি সড়ক পর্যন্ত ৫ কি: মিটার দুর্গম দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে সড়ক (সওজের) সড়কটি একধম ঝুঁকিপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।

    স্থানীয় মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দাম, মোঃ জামাল উদ্দীন সহ আরও অনেকের অভিযোগ, দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ। কখন পাহাড় ধ্বংসের পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে চলাচল করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, রাস্তার কিছু অংশ পাহাড় ধষে পড়ে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। যার কারনে অনেকদিন যাবৎ ভ্যান, ইজিবাইক সহ অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বার আউলিয়া, চরম্বা হয়ে টংকাবতী ইউনিয়নের রেঞ্জ অফিস স্টেশন থেকে ডিসি সড়ক পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষের এই সড়ক দিয়ে চলাচল। রাস্তার বেশির ভাগ অংশ এখন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে পরে রয়েছে। আবার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থা পূর্ণ রাস্তার কারনে এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাহাড়ের মাঝে চলাচল করে যাচ্ছে। রাতে চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারন তাদের দীর্ঘ ভাঙ্গা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারনে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মত শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না। এছাড়াও রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের কষ্টের শেষ নেই।

    একজন ভ্যান চালক জানান, এ রাস্তাটি যেন দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন পাহাড় ধষে দুর্ঘটনার কবলে পরেছে। আমি গরীব মানুষ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা পায়ে হেটে চলাই কষ্ট তারপর আবার ভ্যানে কিভাবে মানুষ নিয়ে চলাচল করবো।

    ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম, মৈসং ম্রো, মোঃ পারভেজ, সাহাত মনি, রেদুওয়ান জানান, রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। যার কারনে স্কুলে যেতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে দেয়া হোক।

    এ ব্যাপারে টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাং ইয়ং ম্রো প্রদীপ জানান, টংকাবতী বনবিভাগ হতে দুর্গম পাহাড়ের মাঝ দিয়ে ৫ কি: মিটারের ডিসি (সওজের) সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। এই সড়ক দিয়ে হাজারেও মানুষের চলাচল।
    বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে যানচলাচল একধম বন্ধ রয়েছে। অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে লেখাপড়া করতে পারছে না। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধ্বংসে অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও কিছুদিন আগেও দুইটি গরু পাহাড় ধ্বংসে মারা গেছে।

    এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনা হতে রক্ষা পেতে দ্রুত সড়কটি পাকাকরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

  • চেয়ারম‌্যা‌নের ভাতিজা সাইফু‌লের দা‌ম্বিকতায় অ‌তিষ্ট প‌রিষ‌দে সেবা নি‌তে আসা সাধ‌ারন জনতা (পর্ব ১)

    চেয়ারম‌্যা‌নের ভাতিজা সাইফু‌লের দা‌ম্বিকতায় অ‌তিষ্ট প‌রিষ‌দে সেবা নি‌তে আসা সাধ‌ারন জনতা (পর্ব ১)

    সায়মন সরওয়ার কায়েমঃ- ঈদগাঁও,

    কক্সবাজার সদ‌রের ঈদগাঁও ইসলামাবাদ ইউ‌নিয়ন প‌রিষ‌দে নাম মাত্র কর্মচা‌রি সাইফুল ইসলামের দা‌ম্বিকতা ও হুম‌কিস্বরুপ আচ‌রনে অ‌তিষ্ট প‌রিষ‌দে সেবা নি‌তে আসা স্থানীয় জন সাধারন। তি‌নি প‌রিষ‌দের নাম মাত্র কর্মচা‌রি হি‌সে‌বে প‌রিষ‌দের চেয়ারম‌্যান সনদ ও ভি‌জিএফ চাল বিতর‌নের দা‌য়িত্ব পালন ক‌রে ! প‌রিষ‌দে সেবা নি‌তে আসা প্রায় সক‌লের সা‌থে নির্ধা‌রিত ফি`র অ‌তি‌রিক্ত টাকার জ‌ন্যে খারাপ ভাষায় আচরন ক‌রার গুরুতর অ‌ভি‌যোগ উ‌ঠে‌ছে।

    এবং ভি‌জিএফ ও জে‌লে ভাতার সরকা‌রি চা‌ল বিতরন কার্যক্রমে নয় ছয় করারও অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে তার বি‌রো‌দ্ধে। সে প‌রিষ‌দের নাম মাত্র কর্মচা‌রি হ‌য়েও চেয়ারম‌্যা‌নের ভা‌তিজা হি‌সে‌বে বি‌শেষ ক্ষমতা ব‌্যাবহার ক‌রে। ইউ‌পি চেয়ারম‌্যান এবং স‌চিব তা‌র কর্মকান্ড দে‌খেও না দেখার ভান ক‌রে থা‌কে ! এক কথায় তা‌দের প্রশ্রয়ে সে ক্ষমতার অপ ব‌্যবহার ক‌রে আস‌ছে বিগত ৬ বছর ধ‌রে।
    এ বিষ‌য়ে প‌রিষ‌দের চেয়ারম‌্যান নুর ছি‌দ্দিক ব‌লেন, আমি এই বিষয় টা আরও অনেক বার শুনছি বিষয় টা নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
    এ বিষয়ে প‌রিষ‌দের স‌চিব হ‌রিদাশ পাল ব‌লেন, আমি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে এক মাদ্রাসার দপ্তরি কে দুর্বৃত্তরা কোপিয়ে হত্যা করেছে।
    ঘটনাটি ঘটেছে ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে।
    নিহত ব্যক্তি হলেন সদর ইউনিয়নের ফজুর ছড়া গ্রামের হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের পুত্র দিদার আলম( ২৫)। তিনি স্থানীয় মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার খন্ড কালীন দপ্তরি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সে ২ সন্তানের জনক ও হাফেজে কোরআন বলে স্থানীয়রা জানান।
    নিহত দিদার আলম প্রতিদিনের ন্যায় চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে দূর্বৃত্তরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে ও গাড়ের পিছন থেকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাটিতে পড়ে সাথে সাথে প্রান হারায় বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
    তবে কে তাকে হত্যা করছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারে নাই।
    স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামিলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে নিহত দিদারের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী কে খবর দিলে সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশ ও বিজিবি কে তারা জানালে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছান এবং লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তত করেন।
    এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন বলেন বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি পুরো বিষয়টি এখনো জানেনা। তবে বিষয়টি পুলিশ কে অবহিত করেছেন।

  • তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    আবির আহমেদ হামিদ – রংপুরঃ

    পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদের মনুরছড়া গ্রামের আমান উল্লহের পুত্র রুহুল আমিনের (৪০) উদ্যোগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে একটি এনজিও *এমআরএ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ*। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ০৯ তারিখে যা সরকারীভাবে নিবন্ধিত – যার নিবন্ধন নং – গভঃ রেজিঃ নং – ৬৫/২০১৬। শর্তানুসারে সদস্যগণ সর্বোচ্চ দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা বা তার বেশি জমা রাখিলে প্রতি মাসে লাখে-১৫০০/- (পনেরশত) টাকা মুনাফা পাওয়ার চুক্তিতে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য মিলে প্রায় ১৮২৬৪০০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত) টাকা জমা করলে – কিছুদিন চুক্তি অনুসারে মাসিকভাবে মুনাফা প্রদান করিলেও পরবর্তীতে আর মুনাফা পরিশোধ করে নাই। অতপর সদস্য গণ টাকা উত্তোলনের জন্য অফিসে বার বার ধর্না দিলেও কোন প্রকার সুরাহা পান নি। আজ কাল আগামী তারিখ বলিয়া কাল ক্ষেপণ করিতে থাকিলে সদস্যগণ কুল কিনারা না পাইয়া তাহারা বিগত ০৪/০৭/২২ইং তারিখে স্থানীয় পারু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান সাহেব অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাধানের জন্য উদ্যোক্তা এবং তাহার সহযোগীগণকে ডাকিয়া নোটিশ পাঠাইলে তাহারা চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থিত হন নাই। অবশেষে কুল-কিনারাহীণ হয়ে সদস্যগণ গত ০৮/১০/২২ ইং বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয় এবং মোঃ আফজাল হোসেন (৪৫) বাদী হইয়া অন্যান্য সদসগণকে সাক্ষী মানিয়া উদ্যোক্তা রুহুল আমিন গং কে আসামী করে দঃবিঃ ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় মামলায় করেন – যার মামলা নং – সিআর -৪৩৮/২০২২ইং।

    আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করিলে – উদ্যোক্তা অর্থাৎ ১নং আসামী রুহুল আমিনে বড় ভাই ২ নং আসামী জহুরুল ইসলাম (৫০) জানান – উদ্যোক্তা রুহুল আমিন ব্যবসায় লোকসান করিয়া প্রায় ছয়মাস যাবত ঢাকায় অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় সদস্যগণ নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছেন – অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের করার অভিযোগ করেন উদ্যোক্তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন – “আমাকে তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েন। কারন আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ত ছিলাম না।”

    জহুরুল ইসলাম আরও বলেন – তারা অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছে – যে কোন সময় মামলা করা হতে পারে।

    (বাদী এবং সাক্ষীগণও স্বীকার করেন যে – জহুরুল ইসলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন ভাবেই যুক্ত ছিলেন না। তবে রুহুল আমিনের নিকট পাওনা অর্থ আদায় করতে গেলে জহুরুল ইসলাম তাদেরকে নানান প্রকার আক্রমনাত্মক কথা বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে – আর সেজন্যই তাহাকে আসামি করেছেন। তবে লুটপাটের বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলিয়া দাবী করেন সদস্যগণ।)

    সদস্য গণের অর্থ জমার একটি নির্ভরযোগ্য প্রমান আমাদের হাতে আসে – সদস্য আবজাল হোসেন (হিসাব নং – ৩২২) দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা করে – ২০০০০/- (বিশহাজার) উত্তোলন করে ৮০০০০/- (আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন এবং আরও ৯৯০০/- (নয়হাজার নয়শত) টাকা মাসিক কিস্তিতে জমা রাখেন। আরেক সদস্য আরজিনা (হিসাব নং-৩০০) চার কিস্তিতে মোট ৩০০০০/- (তিনলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য রুমানা (হিসাস নং- ৪০৪) দুই কিস্তিতে মোট ৬৫০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য আমির হামজা (হিসাব নং- ১৩৯) ১৭৫০০০/- (একলক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য শরিফুল ইসলাম (হিসাব নং – ৪০০) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য আছিয়া বেগম ( হিসাব নং- ৩৯১) ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর জাহানেী (হিসাব নং – ২৮৫) মোট স্থিতি – ৪৮০০০০/- (চারলক্ষ আশিহাজার) টাকা মাত্র। আরেক সদস্য জরিনা ( হিঃ নং – ৩৬৮) ৫০০০০/- (পঞ্চাশহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য মোতালেব হোসেন (হিঃ নং – ৪০৫) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর হোসেন (হিঃ নং – ২২৬) ৫৫৪৪০/- (পঞ্চান্ন হাজার চারশত চল্লিশ) টাকা জমা রাখেন। মোট ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যের মোট জমাকৃত টাকার পরিমান দাঁড়ায় ১৮২৬৪৪০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত চল্লিশ) টাকা মাত্র।

    পুরো অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে উদ্যোক্তা অর্থাৎ রুহুল আমিন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ সকল সদস্যদের। সদস্যদের দাবী তারা তাদের জমাকৃত অর্থ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফেরত পান। আসামি রুহুল আমিনের সঠিক বিচার দাবি করেন তারা।

  • ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    আগামী ১০ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক দেওয়া হয়েছে প্রচারনার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা।

    সম্মেলনে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে বিগত ৫ তারিখ ফরম সংগ্রহ করেছেন ৪জন সভাপতি , ৫ জন সাধারন সম্পাদক পদে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী।

    গত ৬ নভেম্বর ফরম জমা দেন সকল মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সকলের  মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষনা করেন এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে মাদক ও চোরাকারবারী কাউকে নির্বাচিত না করে স্বচ্ছ এবং সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে যারা ভূমিকা রাখতে পারবে তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় কাউন্সিলররা।

    তবে কাউন্সিলর, প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থীদের মাঝে অনেকে রয়েছে যাদের একের অধিক মাদক ও চোরাকারবার মামলার আসামি।

    সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরোয়ার হারেচের (প্রতীক চেয়ার) দুইটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাতে একটি  মামলা (জি আর নং-১৩৭/১২, তারিখ ২১/০৫/২০১২) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় অপর একটি ইয়াবার মামলা ছিল (জি আর নং-৪৪২/২০,  তারিখ ২০/০৯/২০২০

    অপর সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ (প্রতিক ছাতা) এর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মাদক আইনে একটি ইয়াবার মামলা রয়েছে (জি আর নং-৩২০/১৬, তারিখ ১৬/১১/১৬)।

    এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক  প্রার্থী কবির আহমদের (প্রতীক গোলাপ ফুল) নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এবং কক্সবাজার থানায় দণ্ডবিধি-১৮৬০এ দুইটি মামলা রয়েছে।

    ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে  ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে দোয়া ও ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এদিকে সরজমিনে গিয়ে  প্রার্থীদের সাথে সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী ওসমান সরওয়ার জানান, সম্মেলনে কাউন্সিলররা মাদক ব্যবসার  সাথে জড়িত কাউকে নির্বাচিত করবেন না বলে আশাবাদী।

    অপর সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরওয়ার হারেচ বলেন, তার জানা মতে যারা মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ নাই, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক কারবারে আমাদের এলাকা ব্যবহার হচ্ছে।   জেলা নেতৃবৃন্দ, মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী এবং কাউন্সিলররা যেটা সিদ্ধান্ত দেন তিনি মেনে নেবেন।

    ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি প্রার্থী এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ভৌগোলিকভাবে আমাদের ইউনিয়নটি খুবই স্পর্শকাতর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে    ক্লিন ইমেজের যোগ্য-দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সম্মেলনে কাউন্সিলর এবং জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সেটা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুর হোসেন জানান, যদি কাউন্সিলররা তাকে যোগ্য মনে করেন, তবে তাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাবাদী।

    সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ মাদক মুক্ত নেতৃত্ব গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের আহবান জানান।

    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগে দেখতে চায়, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগের কমিটির নেতৃত্বে আছেন। আসন্ন সম্মেলনে তারা আশাবাদী সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করবে নীতি নির্ধারকেরা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলকে সুসংগঠিত করবে।

    এদিকে প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেচ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজজের মধ্যে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং মাদককারবারে সংশ্লিষ্টতা থাকায় খালেদ সরওয়ার হারেচকে কাউন্সিলর এবং নীতি নির্ধারকেরা নেতৃত্বে না আনার সম্ভাবনা রয়েছে।  এক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর আজিজ এগিয়ে থাকবেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদেও নতুন মুখ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই

    ,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর২২) দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে সোমবার বিকেলে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কন্যাসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে বিএনপির গঠিত মন্ত্রীসভায় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে বাঁশখালী থেকে চারবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬-৯৭ সালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য ছিলেন।

    এদিকে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে বাঁশখালীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    আগামীকাল বুধবার সকাল দশটায় চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে প্রথম, দুপুর দুইটায় বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং দুপুর তিনটায় বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে তাঁকে বাঁশখালীর কালীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

  • ঘোড়াঘাটে ইউএনও হত্যাচেষ্টাঃ রবিউলের ১০ বছর কারাদণ্ড

    ঘোড়াঘাটে ইউএনও হত্যাচেষ্টাঃ রবিউলের ১০ বছর কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর)

    প্রতিনিধি- মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকল ১০টায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

    দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও রবিউলের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।