Author: UkhiyaVoice24

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে এক মাদ্রাসার দপ্তরি কে দুর্বৃত্তরা কোপিয়ে হত্যা করেছে।
    ঘটনাটি ঘটেছে ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে।
    নিহত ব্যক্তি হলেন সদর ইউনিয়নের ফজুর ছড়া গ্রামের হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের পুত্র দিদার আলম( ২৫)। তিনি স্থানীয় মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার খন্ড কালীন দপ্তরি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সে ২ সন্তানের জনক ও হাফেজে কোরআন বলে স্থানীয়রা জানান।
    নিহত দিদার আলম প্রতিদিনের ন্যায় চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে দূর্বৃত্তরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে ও গাড়ের পিছন থেকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাটিতে পড়ে সাথে সাথে প্রান হারায় বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
    তবে কে তাকে হত্যা করছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারে নাই।
    স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামিলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে নিহত দিদারের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী কে খবর দিলে সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশ ও বিজিবি কে তারা জানালে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছান এবং লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তত করেন।
    এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন বলেন বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি পুরো বিষয়টি এখনো জানেনা। তবে বিষয়টি পুলিশ কে অবহিত করেছেন।

  • তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    আবির আহমেদ হামিদ – রংপুরঃ

    পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদের মনুরছড়া গ্রামের আমান উল্লহের পুত্র রুহুল আমিনের (৪০) উদ্যোগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে একটি এনজিও *এমআরএ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ*। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ০৯ তারিখে যা সরকারীভাবে নিবন্ধিত – যার নিবন্ধন নং – গভঃ রেজিঃ নং – ৬৫/২০১৬। শর্তানুসারে সদস্যগণ সর্বোচ্চ দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা বা তার বেশি জমা রাখিলে প্রতি মাসে লাখে-১৫০০/- (পনেরশত) টাকা মুনাফা পাওয়ার চুক্তিতে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য মিলে প্রায় ১৮২৬৪০০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত) টাকা জমা করলে – কিছুদিন চুক্তি অনুসারে মাসিকভাবে মুনাফা প্রদান করিলেও পরবর্তীতে আর মুনাফা পরিশোধ করে নাই। অতপর সদস্য গণ টাকা উত্তোলনের জন্য অফিসে বার বার ধর্না দিলেও কোন প্রকার সুরাহা পান নি। আজ কাল আগামী তারিখ বলিয়া কাল ক্ষেপণ করিতে থাকিলে সদস্যগণ কুল কিনারা না পাইয়া তাহারা বিগত ০৪/০৭/২২ইং তারিখে স্থানীয় পারু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান সাহেব অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাধানের জন্য উদ্যোক্তা এবং তাহার সহযোগীগণকে ডাকিয়া নোটিশ পাঠাইলে তাহারা চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থিত হন নাই। অবশেষে কুল-কিনারাহীণ হয়ে সদস্যগণ গত ০৮/১০/২২ ইং বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয় এবং মোঃ আফজাল হোসেন (৪৫) বাদী হইয়া অন্যান্য সদসগণকে সাক্ষী মানিয়া উদ্যোক্তা রুহুল আমিন গং কে আসামী করে দঃবিঃ ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় মামলায় করেন – যার মামলা নং – সিআর -৪৩৮/২০২২ইং।

    আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করিলে – উদ্যোক্তা অর্থাৎ ১নং আসামী রুহুল আমিনে বড় ভাই ২ নং আসামী জহুরুল ইসলাম (৫০) জানান – উদ্যোক্তা রুহুল আমিন ব্যবসায় লোকসান করিয়া প্রায় ছয়মাস যাবত ঢাকায় অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় সদস্যগণ নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছেন – অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের করার অভিযোগ করেন উদ্যোক্তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন – “আমাকে তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েন। কারন আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ত ছিলাম না।”

    জহুরুল ইসলাম আরও বলেন – তারা অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছে – যে কোন সময় মামলা করা হতে পারে।

    (বাদী এবং সাক্ষীগণও স্বীকার করেন যে – জহুরুল ইসলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন ভাবেই যুক্ত ছিলেন না। তবে রুহুল আমিনের নিকট পাওনা অর্থ আদায় করতে গেলে জহুরুল ইসলাম তাদেরকে নানান প্রকার আক্রমনাত্মক কথা বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে – আর সেজন্যই তাহাকে আসামি করেছেন। তবে লুটপাটের বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলিয়া দাবী করেন সদস্যগণ।)

    সদস্য গণের অর্থ জমার একটি নির্ভরযোগ্য প্রমান আমাদের হাতে আসে – সদস্য আবজাল হোসেন (হিসাব নং – ৩২২) দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা করে – ২০০০০/- (বিশহাজার) উত্তোলন করে ৮০০০০/- (আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন এবং আরও ৯৯০০/- (নয়হাজার নয়শত) টাকা মাসিক কিস্তিতে জমা রাখেন। আরেক সদস্য আরজিনা (হিসাব নং-৩০০) চার কিস্তিতে মোট ৩০০০০/- (তিনলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য রুমানা (হিসাস নং- ৪০৪) দুই কিস্তিতে মোট ৬৫০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য আমির হামজা (হিসাব নং- ১৩৯) ১৭৫০০০/- (একলক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য শরিফুল ইসলাম (হিসাব নং – ৪০০) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য আছিয়া বেগম ( হিসাব নং- ৩৯১) ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর জাহানেী (হিসাব নং – ২৮৫) মোট স্থিতি – ৪৮০০০০/- (চারলক্ষ আশিহাজার) টাকা মাত্র। আরেক সদস্য জরিনা ( হিঃ নং – ৩৬৮) ৫০০০০/- (পঞ্চাশহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য মোতালেব হোসেন (হিঃ নং – ৪০৫) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর হোসেন (হিঃ নং – ২২৬) ৫৫৪৪০/- (পঞ্চান্ন হাজার চারশত চল্লিশ) টাকা জমা রাখেন। মোট ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যের মোট জমাকৃত টাকার পরিমান দাঁড়ায় ১৮২৬৪৪০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত চল্লিশ) টাকা মাত্র।

    পুরো অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে উদ্যোক্তা অর্থাৎ রুহুল আমিন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ সকল সদস্যদের। সদস্যদের দাবী তারা তাদের জমাকৃত অর্থ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফেরত পান। আসামি রুহুল আমিনের সঠিক বিচার দাবি করেন তারা।

  • ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    আগামী ১০ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক দেওয়া হয়েছে প্রচারনার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা।

    সম্মেলনে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে বিগত ৫ তারিখ ফরম সংগ্রহ করেছেন ৪জন সভাপতি , ৫ জন সাধারন সম্পাদক পদে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী।

    গত ৬ নভেম্বর ফরম জমা দেন সকল মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সকলের  মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষনা করেন এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে মাদক ও চোরাকারবারী কাউকে নির্বাচিত না করে স্বচ্ছ এবং সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে যারা ভূমিকা রাখতে পারবে তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় কাউন্সিলররা।

    তবে কাউন্সিলর, প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থীদের মাঝে অনেকে রয়েছে যাদের একের অধিক মাদক ও চোরাকারবার মামলার আসামি।

    সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরোয়ার হারেচের (প্রতীক চেয়ার) দুইটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাতে একটি  মামলা (জি আর নং-১৩৭/১২, তারিখ ২১/০৫/২০১২) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় অপর একটি ইয়াবার মামলা ছিল (জি আর নং-৪৪২/২০,  তারিখ ২০/০৯/২০২০

    অপর সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ (প্রতিক ছাতা) এর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মাদক আইনে একটি ইয়াবার মামলা রয়েছে (জি আর নং-৩২০/১৬, তারিখ ১৬/১১/১৬)।

    এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক  প্রার্থী কবির আহমদের (প্রতীক গোলাপ ফুল) নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এবং কক্সবাজার থানায় দণ্ডবিধি-১৮৬০এ দুইটি মামলা রয়েছে।

    ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে  ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে দোয়া ও ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এদিকে সরজমিনে গিয়ে  প্রার্থীদের সাথে সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী ওসমান সরওয়ার জানান, সম্মেলনে কাউন্সিলররা মাদক ব্যবসার  সাথে জড়িত কাউকে নির্বাচিত করবেন না বলে আশাবাদী।

    অপর সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরওয়ার হারেচ বলেন, তার জানা মতে যারা মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ নাই, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক কারবারে আমাদের এলাকা ব্যবহার হচ্ছে।   জেলা নেতৃবৃন্দ, মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী এবং কাউন্সিলররা যেটা সিদ্ধান্ত দেন তিনি মেনে নেবেন।

    ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি প্রার্থী এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ভৌগোলিকভাবে আমাদের ইউনিয়নটি খুবই স্পর্শকাতর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে    ক্লিন ইমেজের যোগ্য-দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সম্মেলনে কাউন্সিলর এবং জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সেটা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুর হোসেন জানান, যদি কাউন্সিলররা তাকে যোগ্য মনে করেন, তবে তাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাবাদী।

    সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ মাদক মুক্ত নেতৃত্ব গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের আহবান জানান।

    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগে দেখতে চায়, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগের কমিটির নেতৃত্বে আছেন। আসন্ন সম্মেলনে তারা আশাবাদী সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করবে নীতি নির্ধারকেরা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলকে সুসংগঠিত করবে।

    এদিকে প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেচ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজজের মধ্যে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং মাদককারবারে সংশ্লিষ্টতা থাকায় খালেদ সরওয়ার হারেচকে কাউন্সিলর এবং নীতি নির্ধারকেরা নেতৃত্বে না আনার সম্ভাবনা রয়েছে।  এক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর আজিজ এগিয়ে থাকবেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদেও নতুন মুখ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই

    ,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর২২) দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে সোমবার বিকেলে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কন্যাসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে বিএনপির গঠিত মন্ত্রীসভায় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে বাঁশখালী থেকে চারবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬-৯৭ সালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য ছিলেন।

    এদিকে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে বাঁশখালীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    আগামীকাল বুধবার সকাল দশটায় চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে প্রথম, দুপুর দুইটায় বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং দুপুর তিনটায় বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে তাঁকে বাঁশখালীর কালীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

  • ঘোড়াঘাটে ইউএনও হত্যাচেষ্টাঃ রবিউলের ১০ বছর কারাদণ্ড

    ঘোড়াঘাটে ইউএনও হত্যাচেষ্টাঃ রবিউলের ১০ বছর কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর)

    প্রতিনিধি- মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকল ১০টায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

    দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও রবিউলের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে আসেন এমপি আবদুর রহমান বদি

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে আসেন এমপি আবদুর রহমান বদি

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে আসেন এমপি বদি। ৮ নভেম্বর ২০২২ সকাল সাড়ে ১১টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের সাথে মতবিনিময় কালে “ভি ডব্লিউ বি” পরিবার যাচাই বাছাই নিয়ে আলোচনা করেন উখিয়া-টেকনাফের গণমানুষের প্রিয়নেতা সাবেক এমপি জনাব আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি মহোদয়, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র পরিষদের ইউপি সচিব মৃনাল বড়ুয়া, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্যা খুরশিদা বেগম, ইউপি সদস্য আব্দুল হক, ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল পাশা, ইউপি সদস্য নুরুল কবির, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজ উদ্দিন, কৃষক লীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, তরুন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর খাঁন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি তহিদুল আলম তহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম ও অত্র পরিষদের ইউপি উদ্যোক্তা, দফাদার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    নাইক্ষ্যংছড়ির বটতলী বাজার থেকে থিমছড়ি পর্যন্ত
    প্রায় তিন কিলোমিটার নতুন রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এত দিন এই এলাকার মানুষ খালের পাড়ের সরু একটি পথ পাহাড় দিয়ে চলাচল করতেন। দীর্ঘ দিন চেষ্টার পর দ্বিতীয় বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল জব্বারের সহযোগিতায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নতুন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি গ্রামের হাজারো মানুষ।

    বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানি ও কাঁদা ভেঙে চলাচল করতে হবে না বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। এখন কাঁচা রাস্তা নির্মাণ হলেও পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    জানা গেছে, ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়া পাড়া, ঘোনা পাড়া, হরিণ পাড়া, ও থিমছড়ি এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। হরিণ খাইয়া খালের পাশ দিয়ে সরু একটি পথ দিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা। এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁদের। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ নিরসনে কক্সবাজার -৩ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল (এমপি) আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    প্রকল্প সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, এই এলাকায় চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা ছিল না। গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা ভ্যানও ঢুকতে পারত না গ্রামে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ধান-চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে হতো। শুকনো মৌসুমে খালে পাড়ের পথ দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে কষ্ট আরও বেড়ে যেত। কাঁদা পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হতো সবাইকে। এখন মাটির রাস্তা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকা রাস্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    হরিণ পাড়া গ্রামের মুহিব উল্লাহ বলেন, গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করে। রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। নতুন রাস্তা হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে।

    গর্জনিয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জুবাইর বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিল রাস্তা নির্মাণ হবে এবং সেটি পাকা করা হবে। তাঁদের প্রত্যাশা পূরণের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী বলেন, গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনপদের দৃশ্যপট চিত্র পাল্টে যাবে

  • বিরামপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    বিরামপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    এস এম মাসুদ রানা- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিরামপুর উপজেলা ও পৌর শাখার যৌথ আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।

    সোমবার (৭ই নভেম্বর) সকাল ৮টায় বিরামপুর পৌর শহরের বিএনপি মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের সুচনা করা হয়।

    এরপর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা শফিকুল আলম মামুন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমর সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম নূরা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মসফিকুর রহমান, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জোবাইদুল হক জুয়েল, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর শওকত আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ‍্যাডভোকেট মিঞা শিরন আলম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রব তোতা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম চৌধুরী অমি, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল নোমান সহ উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির অন‍্যান‍্য নেতৃবৃন্দ।আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

  • বিরামপুরে ৩ জনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    বিরামপুরে ৩ জনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    (৬ নভেম্বর রবিবার) সকাল ১০ টায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মোঃ খালেকের ছেলে জাহিদ হাসান (২০)কে অটোচার্জারের ব্যাটারি চুরির অপরাধে ২০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    একই দিনে সন্ধ্যায় ৭টায় বিরামপুর পূর্ব জগন্নাথপুর কেডিসি রোড সংলগ্ন মোঃ রাজার ছেলে আবু হোসেন (২৮)কে মাদক সেবন ও মাদক সংরক্ষণের দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    (৭ই নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০ টায় পূর্ব জগন্নাথপুর বসুন্ধরা হাজী মার্কেট এলাকার গোলাম সারোয়ারের ছেলে সরন মোল্লা (২৭)কে মাদক সেবনের দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    ভ্রাম্যমান মোবাইল কোড পরিচালনার মাধ্যমে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

    ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাহিদ হাসান পৌর শরের কলেজপাড়া মহল্লায় একটি দাড়িয়ে থাকা অটোচার্জারের ব্যাটারি চুরি করার সময় তাকে আটক করে এলাকাবাসী।

    থানার উপ-পরিদর্শক মামুনুর রশিদ ও উপসহকারী পরিদর্শক সুনীল বলেন, দন্ডিত আসামীকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পরেই থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুজে পেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ জন কে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

  • টেকনাফে স্কুলছাত্রী অপহরণ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আব্বুইয়ার গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

    টেকনাফে স্কুলছাত্রী অপহরণ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আব্বুইয়ার গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের টেকনাফে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারি চালিত রিক্সা থেকে জোর পূর্বক নামিয়ে তাসফিয়া আলম নামে এক ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় ইয়াবা কারবারি ও সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম ওরফে আব্বুইয়া। গত ২৬ অক্টোবর বিকালে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় তাসফিয়া। পালিয়ে যায় অপহরণকারী আব্বুইয়া ও তার সহযোগীরা। ঘটনার পরে টেকনাফ থানায় গিয়ে মামলা করেন তাসফিয়ার বাবা শাহ আলম। তাসফিয়ার বাড়ি উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী মহেষখালীয়া পাড়ায়। অপহরণকারী আব্বুইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।
    তাসফিয়া স্থানীয় নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

    তাসফিয়ার বাবা ও তার পরিবারের অপরাপর সদস্যদের ধারণা ছিল, মামলার পর অপহরণকারী আব্বুইয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে বেড়াবে বা জেলে ঢুকবে। তাসফিয়া নিয়মিত আবারো স্কুলে যাবে। কিন্তু ঘটনা ঘটে বিপরীত। মামলার পর থেকে স্কুল ছাত্রী অপহরণকারী এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি আব্বুইয়া তাসফিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা শাহ আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।

    এতেও ক্ষান্ত হতে না পেরে আব্বুইয়া শাহ আলমের একটি বাগানের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। দিনদুপুরে আব্বুইয়ার সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অতিষ্ট হয়ে শেষমেষ নিরাপত্তাহীনতায় তাসফিয়ার স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় পরিবার।
    এদিকে ঘটনার প্রায় সপ্তাহ দশদিন পার হলেও সন্ত্রাসী আব্বুইয়া এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পরও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। এদিকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে মামলার বাদী তাসফিয়ার বাবা ও তার পরিবার। তবে পুলিশ দাবি করছে তারা আব্বুইয়াকে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
    এদিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসফিয়ার অপহরণকারী আব্বুইয়া ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সহপাঠী স্কুল শিক্ষার্থীরা।

    আজ রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
    এদিকে মানববন্ধনে তাসফিয়ার সহপাঠীরা দাবি করেছেন, ২৬ অক্টোবর ঘটনার পর থেকে তাসফিয়া ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিরাপত্তাভাবে তাসফিয়ার পড়ালেখা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তাসফিয়ার অপহরনকারী আব্বুইয়া ও তার সহযোগীরা এলাকায় এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমাজে এসব অপরাধ দিনদিন বাড়বে।
    তাসফিয়ার স্কুল নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপম কান্তি বড়ুয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে তাসফিয়ার স্কুলে আসা বন্ধ রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছেন। আমরা চাই এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হোক, তাসফিয়ার স্কুলে ফেরার পথ সুগম হোক।
    স্কুল ছাত্রী তাসফিয়ার বাবা শাহ আলম জানান, গত ২৬ অক্টোবর আমার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রিক্সা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে একটি কার গাড়িতে তুলে নেয়। পরে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন এবং আমি আব্বুইয়াসহ তার সহযোগিদের আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলার পর সে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি মামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে আমার একটি বাগানের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। সে নিজেকে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দেয়। কোমরে সবসময় অস্ত্র বহন করে। যে তার বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয়।

    পুরো এলাকায় সে এখন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
    পুলিশ জানায়, হোয়াইক্যং খারাংখালী মহেশখালীয়া পাড়ার মমতাজ মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে আব্বুইয়া এলাকার চিহ্নিত একজন মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী। তিনি অস্ত্র, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ চারটি মামলার পলাতক আসামী।