Author: UkhiyaVoice24

  • রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ের উপর পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জনাব মামুনুর রশিদ মহোদয়,

    সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর২০২২ ইং, বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পরিদর্শনে আসেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব।

    উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইউপি সচিব মৃনাল বড়ুয়া, সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, দফাদার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা,

    পরিদর্শন শেষে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে ভিজিডি কার্ডধারী উপকার ভোগীদের মধ্যে চাউল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

    এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পরিদর্শনে আসলেই ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে বরণ করে নেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।

    এছাড়া উখিয়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস ও উখিয়া থানা পরিদর্শনের কথাও রয়েছে।

  • বাঁশখালী রংগিয়াঘোনা মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ২০২২

    বাঁশখালী রংগিয়াঘোনা মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ২০২২

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ২০২২ সালের পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের সময় উক্ত দোয়া মাহফিল আরম্ভ হয়। দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা মীম সিদ্দিক ফারুকী সাহেব, সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রিন্সিপাল মাওলানা ইসমাঈল সাহেব, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা এশফাকুর রহমান সাহেব, আরবী প্রভাষক মাওলানা শহিদুল্লাহ সাহেব, আরবী প্রভাষক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মাষ্টার আত্বহার ইকবাল সাহেব, বাংলা প্রভাষক মাষ্টার ইমরান বাচ্চু, জনাব মাষ্টার আজিজুল হক, মাওলানা মূসা সাহেব, মাওলানা মোজাম্মেল হক সাহেব, মাষ্টার বোরহান সাহেব, ইংরেজি প্রফেসর মাষ্টার আকতার হোসাইন, মাষ্টার আমির হোসাইন সাহেব, মাওলানা নুরুল কাদের সাহেব, মাওলানা আরমান হাকিম সাহেব, মাষ্টার নেওয়াজ মোহাম্মদ হিরু, সংবাদ কর্মী মোঃ রেজাউল আজিম প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী বৃন্ধ।

    বক্তারা পরিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষার্থীদের কন্যাণ মুলক আলোচনা এবং খাস ভাবে দোয়া করেন। পরিশেষে গভর্নিং বডি আল্লামা সিদ্দিক ফারুকী হাফিজাহুল্লাহর দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

  • Untitled post 8284

    বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হলে চরমোনাই আর তাবলীগ এই দুই দলের দ্বারাই হবে-আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম হাটহাজারীতে (১০ সেপ্টেম্বর২২) শনিবার বাদ এশা তিরমিজি (সানী) দরস দেন জামিয়ার সাবেক ২য় মোহতামিম আল্লামা আব্দুল ওয়াহহাব (রহঃ) এর সাহেবজাদা আল্লামা আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    হাদীসের দরস দেওয়ার মধ্যে এক হাদীস এসেছে যে রাসূল সাঃ বলেছেন ইসলাম যদি কায়েম করতে হয় তাহলে প্রথমে নিজের মধ্যে ইসলাম কায়েম করতে হবে এরপর নিজের ঘরে কায়েম করতে হবে এরপর বাহিরে।

    হাদিসের কথার সাথে কথা মিলিয়ে হুজুর বলেন যারা নিজের মধ্যে ইসলাম না রেখে অর্থাৎ নিজে দাড়ি টুপি নামাজ ইত্যাদি এগুলো কিছু না করে দেশে ইসলাম কায়েম করবো বলে মাঠে লাফান এদের দ্বারা পূর্বেও ইসলাম বিন্দু পরিমাণ কায়েম হয় নাই এখনো হচ্ছেনা সামনেও হবেনা।

    পক্ষান্তরে হাদীসের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে এই দুই দলের, চরমোনাই আর তাবলীগ, এদের নিজের মধ্যে এবং ঘরের মধ্যেও ইসলাম আছে এবং বাহিরেও চেষ্টা করতেছে, সুতরাং এদের দ্বারাই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

  • বাঁশখালীতে র‍্যাবের শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে ১২ জলদস্যু আটকঃ প্রশংসিত র‍্যাব-৭চট্টগ্রাম

    বাঁশখালীতে র‍্যাবের শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে ১২ জলদস্যু আটকঃ প্রশংসিত র‍্যাব-৭চট্টগ্রাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বঙ্গোপসাগরে ১৬ টি ফিশিং বোটে ডাকাতির ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী পরিচালিত শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে জলদস্যু টীমের মুলহোতা সহ ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাঁছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের তিন হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার জাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কঃ এম এ ইউসুপ। গ্রেফতারকৃত জলদস্যুরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিযনের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাঃ আনসার মেম্বারের ছেলে মোহাঃ আনোয়ার (মূলহোতা), কবির আহমদের ছেলে লিয়াকত (মাঝি), আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির, মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), মৃত আব্বাছের ছেলে নবীর হোসেন, মৃত মুক্তার আহমেদের ছেলে নেজামউদ্দিন, আব্দুল কাদেরের ছেলে হুমায়ুন, হাজী আবুল হাসানের ছেলে সাহেদ, আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম, মো. ইব্রাহিমের ছেলে আতিক, মো. জহিরের ছেলে এমরান ও মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আমানউল্লাহ।

    ১০ সেপ্টেম্বর’২২ ইং শনিবার নগরীর চান্দগাঁওস্থ র‌্যাব-৭ এর কোম্পানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি একটি জলদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে নতুন করে দস্যুতা শুরু করে এবং গত ২৭ আগস্ট সাগরে ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারি, জলদস্যু বহনকারী একটি বোট সাগরে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গভীর সমুদ্রে ও কুতুবদিয়া চ্যানেল হয়ে বাঁশখালীতে গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে বিপুল সংখ্যক দেশিয় অস্ত্র ও মাছসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি বোট, ৩ হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার বড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা-ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চ লাইট, ২টি চার্জ লাইট, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, সাগরে বেশি মাছ না পাওয়ায় বোটের মালিক বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনছার তার মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে মূলত নব্য জলদস্যু বাহিনী তৈরি করেন। সে নিজেই মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিজের ছেলেকে ডাকাত সর্দার বানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অল্প পরিশ্রমে মেশি মুনাফা করা। তারা এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।

    র‌্যাব-৭ আরও জানান, তারা তিনটি গ্রুপ একসাথে কাজ করতো। এ বাহিনীর একটি গ্রুপ আনছার মেম্বারের পরিকল্পনায় পরিচালিত হত, আরেকটি গ্রুপ ডাকাতি করা মাছ আড়তদারদের কাছে তুলনামুলক কমদামে বিক্রি করতো, অপর গ্রুপ বোট ডাকাতির পাশাপাশি জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করতো।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লেঃ কঃ এম এ ইউসুপ আরো জানান, জলদস্যু দলের মুলহোতা আনছার মেম্বারকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অচীরেই র‍্যাবের গোয়েন্দা জালে ধরা পরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জলদস্যু দলের পিছনে রাজনৈতিক শেল্টার আছে কিনা জানতে চাইলে এম এ ইউসুপ জানান, সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্ঠতার ইংগিত দেন তিনি। এদিকে উপজেলার সাগর উপকুলীয় গন্ডামারা ইউনিয়নে র‍্যাব-৭ এর ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী রুদ্ধশ্বাষ অভিযান এবং ১২ জন জলদস্যু গ্রেফতারে র‍্যাব’কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি সারাদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইর‍্যাল হয়ে জনগনের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে টক অব দ্যা বাঁশখালীতে পরিনত হয়।

  • উখিয়ায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

    উখিয়ায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি’র আওতায় ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    উখিয়া উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন খেলাধুলার মধ্যেদিয়ে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানের সর্বশেষ ফাইল খেলায় ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ বনাম নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ। উক্ত ফাইনাল খেলায় অংশ নিলেও দু-দলে ১-১গোলে ড্র হয়, পরে টাইব্রেকারে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় হয়।

    উক্ত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে
    সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা শিক্ষা একাডেমির সুপার ভাইজার বদরুর আলম,
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনছুর চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষক রুপন দেওয়ানজি, প্রধান শিক্ষক মৌলভী আবদুল খালেদ, শিক্ষক নুরুল আবছার, প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    অদ্য ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০২,০৫ ঘটিকায় ধৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’কে বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানায় যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মুহরা দেওয়ান মহসীন সড়কস্থ জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র-গুলি আছে, যা দ্রæত উদ্ধার না করলে সরিয়ে ফেলবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রধানকারী মোঃ আবুল হোসেন’কে সংঙ্গে নিয়ে সাক্ষী ও অন্যান্য লোকদের সাথে জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসতঘরে উপস্থিত হয়। তখন সংবাদদাতা জানায় যে, উক্ত বসতঘরের কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর অবৈধ অস্ত্র-গুলি এবং ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে উক্ত কক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে তল্লাশী করে কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর হতে একটি শপিং ব্যাগের ভিতর ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ঐ কক্ষেরই একটি ওয়ারড্রফের ভিতর থেকে ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্তে জনৈকা নাসরিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না মর্মে জানায়। উপস্থিত স্বাক্ষী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদে নাসরিন আক্তার একজন সহজ-সরল মহিলা এবং তার স্বভাব-চরিত্র ভাল বলে জানান। ঘটনা দৃষ্টে মোঃ আবুল হোসেন এর দেয়া সংবাদটি রহস্যজনক বলে সন্দেহের সৃষ্টি হলে সংবাদদাতা আবুল হোসেন‘কে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, বর্ণিত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান (১৮) এর সাথে জায়গা-জমি নিয়ে স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান‘কে অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার আবুল হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত হয় যে, আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন আক্তারের ঘরে রেখে র‌্যাব’কে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাবে। অভিযান শেষ হলে মোঃ আবুল হোসেন’কে এ বাবদ কোাহিনুর এবং ইউসুফ ০৩ লক্ষ টাকা দিবে মর্মে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন ও তার ছেলে মোঃ সোহান ঘরে না থাকার সুযোগে গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকায় ইউসুফকে নিয়ে নাসরিন এর ঘরে রেখে আসে।

    উল্লেখিত ঘটনাপৃষ্ঠে, মাদক ও অস্ত্র-গুলি টাকার বিনিময়ে অন্যের বসত ঘরে রাখার দায়ে সংবাদদাতা আসামী ১। মোঃ আবুল হোসেন (৩৯), পিতা-মৃত আঃ হাকিম, সাং-আমিন কোড়ালপাড়া, থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে সিএন্ডবি গ্যাস কলোনীর পাশে, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তৎক্ষনাত গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার র‌্যাবের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জমি-জমা ও পারিবারিক কলহের কারনে উক্ত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে সোহান‘কে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর পরিকল্পনা মোতাবেক টাকার বিনিময়ে উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি ও মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নাসরিন এর ঘরে রেখেছে বলে অকপটে স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ সর্বমোট ৬ টি মামলা পাওয়া যায়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বিরামপুরে এক মাদক কারবারির ৬ মাসের কারাদণ্ড

    বিরামপুরে এক মাদক কারবারির ৬ মাসের কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রির অপরাধে শেফালী বেগম (৪৫) নামের এক মাদক কারবারিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শেফালী বেগম পৌর শহরের চকপাড়া মহল্লার মো: রিয়াজুল ইনলামের স্ত্রী। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

    বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক হরিদাস বর্মন জানান, শুক্রবার রাতে মাদক কারবারি শেফালী বেগম তার নিজ বাড়িতে গাঁজা বিক্রি করছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের দিক-নিদের্শনায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ পৌর শহরের চকপাড়া মহল্লায় শেফালী বেগমের বাড়ির ভেতরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী শেফালী বেগমকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোর্পদ্দ করে পুলিশ। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার শেফালী বেগমকে মাদক বিক্রির অপরাধে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ২৫ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।

    বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দন্ডিত আসামীকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, থানা পুলিশের সংবাদ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুজে পেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য বিক্রির অপরাধে শেফালী বেগমকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

  • A discussion meeting was held on the initiative of PFG at Cox’s Bazar on ‘ Role of Citizens’  to prevent violence against

    A discussion meeting was held on the initiative of PFG at Cox’s Bazar on ‘ Role of Citizens’  to prevent violence against

    Correspondent:Mahbubur Rahman, Cox’s Bazar.

    Keeping in front of the slogan ‘We want Bangladesh of unity, not conflict’, a discussion meeting titled ‘Role of citizens to prevent violence against women’ was organized by the initiative of PFG members of Cox’s Bazar Sadar Upazila and with the overall cooperation of The Hunger Project Bangladesh. At 03:00 PM in the auditorium of Cox’s Bazar Model High School, the official program of the meeting started with the welconing speech of the president of the program and Chief Advisor of Cox’s Bazar Peace Ambassador District Network-PADN. Manzoor Alam. After that, the head teacher of Cox’s Bazar Model High School, KM Ramzan Ali, presented the main speech on the current situation, causes, types and prevention of violence against women. Then Special Public Prosecutor of Cox’s Bazar Women and Child Abuse Prevention Tribunal-2 and Joint Convener of Cox’s Bazar Sadar Upazila Awami League Advocate Syed Md. Rezaur Rahman Reza spoke about the legal aspects to prevent violence against women. He said that violence against women is the most serious social problem of the present time. To solve this problem, the state provides various legal assistance to women. But, Still, violence against women does not stop. In such a situation, along with the government, the citizens should also be aware of this. Later, Sarwar Alam, police inspector of Cox’s Bazar George Court spoke about police assistance to prevent violence. . During this time, he presented the information of various services of Bangladesh Police to stop the violence before all present. Ayesha Siraj, member of Central Jubo Mahila League, Helenaz Tahera, Vice President of Cox’s Bazar District Women’s League, Masuda Morshed Ivy, head teacher of Cox’s Bazar Girls’ High School, Syed Karim, head teacher of Baitush Sharaf Jabbaria Academy, journalist S.M.Iqbal Bahar Chowdhury, Josna Iqbal, Zafar Alam Didar, Bulbul E Jannat and others spoke. At the time, they said, violence or torture against women is physical, sexual or mental mistreatment or neglect of women by parents, other guardians, friends, classmates or anyone else. And in the present time, this type of oppression on our beloved daughters or mothers and sisters has increased to such an extent that it cannot be controlled in any way. In this situation, our future generation will never see the light of day if the family and the state as well as the conscious part of the society do not come forward to prevent women torture and rape. They will remain in the dark. They also said that men should come forward along with women in preventing violence against women. Everyone should be careful that no one can commit rape in the name of love or friendship.At the end of the meeting,  Nasir Uddin, Assistant Education Officer of Cox’s bazar district, delivered the speech. At this time, he said, Bangladesh has become a sanctuary for women torturers and rapists. Children and women are subjected to brutal oppression in cities, villages, hills, plains, educational institutions and workplaces. This situation can no longer be tolerated. We all have to come together to control this situation. A social movement should be built against the oppressors and oppressors. Besides, the implementation of existing laws and religious guidelines to prevent child abuse and rape should be done to a full extent. Finally, the program ended with the closing speech of Manzoor Alam, the president of the program and chief advisor of Cox’s Bazar PADNPADN.

  • কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার।

    সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএফজি সদস্যদের উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    অদ্য বিকাল ০৩ টায় কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিস এ্যাম্বাসেডর ডিস্ট্রিক্ট নেটওয়ার্ক-পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মো. মঞ্জুর আলমের স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে। এরপর নারীর প্রতি সহিংসতার বর্তমান অবস্থা, কারণ, ধরণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে এম রমজান আলী। তারপর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনগত দিকগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান রেজা।

    এসময় তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে রাষ্ট্র বিভিন্ন আইনগত সহায়তা নারীদেরকে দিচ্ছে। তারপরও নারীর প্রতি সহিংসতা থেমে নেই। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পরবর্তীতে সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশি সহায়তার বিষয়ে কথা বলে কক্সবাজার জর্জ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. সারোয়ার আলম। এসময় তিনি সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন সেবার তথ্য উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।

    সভায় আগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য আয়েশা সিরাজ, কক্সবাজার জেলা মহিলা লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনাজ তাহেরা, কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা মোর্শেদ আইভী, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর প্রদান শিক্ষক ছৈয়দ করিম, সাংবাদিক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী, জোসনা ইকবাল, জাফর আলম দিদার, বুলবুল ই জান্নাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    এসময় বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন হল বাবা-মা, অন্য কোন অভিভাবক, বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী বা অন্য কারো দ্বারা কোন নারীর প্রতি শারীরিক, যৌন বা মানসিক দুর্ব্যবহার করা বা নারীকে অবহেলা করা। আর বর্তমান সময়ে আমাদের অতি আদরের মেয়ে সন্তানদের বা মা-বোনদের উপর এ ধরণের নিপীড়ন এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা আর কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় পরিবার ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে না আসলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই আলোর মুখ দেখবেনা। তারা অন্ধকারেই থেকে যাবে।

    আরো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের ও এগিয়ে আসতে হবে। প্রেম বা বন্ধুত্বের নামে কেউ যাতে ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভার শেষ পর্যায়ে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার জেলার শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন আজ নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছ। শহরে, গ্রামে, পাহাড়ে, সমতলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে নৃশংস নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন শিশু এবং নারী। এ অবস্থাকে আর সহ্য করা যাচ্ছেনা। এপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ষক ও নিপীড়ন কারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিহত করার জন্য প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় নির্দেশনার বাস্তবায়ন পূর্ণ মাত্রায় ঘটাতে হবে। পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মঞ্জুর আলমের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    কপিল উদ্দিন জয়
    বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ শাখার সম্মেলন ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থীদের সমর্থকরা রঙবেরঙের টি-শার্ট, টুপি,ব্যাজ পরে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয়,পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বীরপুত্র রবিন বাহাদুর ও স্ব স্ব প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে আনন্দপূর্ণ মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থানে প্রবেশ করে।

    বুধবার (৭আগস্ট) সকাল ১০.০০টায় উন্মুক্ত মঞ্চে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদরউল্লাহ বিন্দুর সভাপতিত্বে ও কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুদ্দিন মামুন শিমুলের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বান্দরবানের পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ,মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী। অতিথিদের বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। দুপুরের খাবারের পরে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় এবং অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয় কলেজের সাবেক সভাপতি ইরফান রায়হান মাহাবুব ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় সদর ইউনিয়নের সভাপতি ফয়সাল আজাদ। অন্য পদ পাওয়া প্রার্থীরা হল,সহসভাপতি-ছালেহ নুর করিম (রিপন),মো.বায়োজিদ,বিটু বড়ুয়া,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মুমিনুল আলম মুমু,রফিকুল ইসলাম (রিজভী),এসএম ওমর ফারুক,বোরহান আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক-উমেপ্রু মার্মা,শেখ শাহাব উদ্দিন,মংছিংহ্লা।

    আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু তাহের কোম্পানি, উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান, জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানুয়ান চাক,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের,ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লাওয়াই মার্মা,সদরের চেয়ারম্যান নুরুল আবচার ইমন,বাইশারীর চেয়ারম্যান নুরুল আলম কোম্পানি, সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডা.সিরাজ,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চুচুমং মার্মা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দু সাত্তার,
    শ্রমিকলীগের সভাপতি জহির আহমদ,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসাইন,উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেদা বেগম,সাধারণ সম্পাদক প্রুমারী মার্মা,যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা আক্তার রুনা, সাধারণ সম্পাদক উমিংনু মার্মা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.রেজাউল,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফাহিম ইকবাল চৌধুরী খাইরু, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদ,কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো.সেলিম,সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল আবরারসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলা লীগ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০জন ফরম সংগ্রহ করে এবারের সম্মেলনকে আরও আলোচনা ও উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। উপজেলার বিভিন্ন শাখার ছাত্রনেতাদের মধ্যে সভাপতি পদে ১০জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২০জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিল।

    সভাপতি পদে যারা ছিলেন – মো.রেজাউল করিম,মেহেদী হাসান সানি, প্রমে মার্মা, ছালেহ নুর করিম (রিপন),মো.ইমরান(রুবেল),মো.বায়োজিদ, মো.রিদুয়ান, আবু ছালেহ নোমান, আব্দুল আহাদ, নজিব উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে যারা ছিলেন- ইরফান মাহাবুব রায়হান (যে পরে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন),ফয়সাল আজাদ, বোরহান আজিজ, ফজলুল রহমান,জহির খান বাপ্পি, মিজানুর রহমান, মুমিনুল ইসলাম মুমু, জহির রায়হান,আবদুল গফুর, রুবেল বড়ুয়া, শেখ শাহাব উদ্দিন, আমানুল হক, ওমর ফারুখ, টিংকু বড়ুয়া, বিটু বড়ুয়া, সাজেদুল করিম রিফাত, জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম,মহিউদ্দিন মানিক ও রফিকুল ইসলাম (রিজভী)ফরম জমা দিয়েছিল।