Author: UkhiyaVoice24

  • নাইক্ষ্যংছড়ি দীর্ঘ ৪১ কিঃমি সীমান্তে জুড়ে বর্মী বাহিনীর গুলাগুলির আওয়াজে স্থানীয়রা আতংকিত ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা

    নাইক্ষ্যংছড়ি দীর্ঘ ৪১ কিঃমি সীমান্তে জুড়ে বর্মী বাহিনীর গুলাগুলির আওয়াজে স্থানীয়রা আতংকিত ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে মানুষের পদচারণা প্রায় নেই ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ও ঘুমধুম ইউনিয়নের দীর্ঘ ৪১ কিঃমিঃ মিয়ানমার সীমান্তে বর্মী বাহিনীর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রশাসন।

    গত রবি ও সোমবার গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে নতুন করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশার তলী ফুলতলীসহ ঘুমধুমের রেজু আমতলী ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
    ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হলেও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বাংলাদেশের নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কও দেখা দেয়। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা পড়া ও যুদ্ধবিমানের মহড়ার কারণে সীমান্তে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদ স্থানে সরে এসেছেন জুম চাষিহস কৃষকেরা তাদের তাদের ফসলাদী ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে এসেছে যার ফলে ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা। জুম চাষি মংপ্রু মার্মা বলেন বর্মী বাহিনীর গুলাগুলি ও হেলিগেপ্টার থেকে গোলাগুলির কারণে জুম ক্ষেতে উৎপাদিত ফসলাদি রেখে বাড়িতে চলে এসেছি ধান কাটা বন্ধ রয়েছে।
    অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

    বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী, তুমব্রু, রেজু ও বাইশফাঁড়ি আসারতলী ফুলতলি এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। সে দেশের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের গোলাগুলি চলতে থাকে। এর ফলে দুই দফায় নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    এরপর গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া দেয়। এ সময় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে অন্তত ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ হয়। এর মধ্যে দুটি গোলা ঘুমধুমের রেজু আমতলী এলায় এসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

    বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ওই সময় গণমাধ্যমকে সীমান্তে গোলাগুলির কথা বলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছিলেন, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

    ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দুই দিন সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলির ঘটনা না ঘটায় বাংলাদেশের ঘুমধুম ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ পর্যন্ত মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তসংলগ্ন ঘুমধুমের লোকজন সকাল ৮টার দিক থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

    গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিন বর্মী (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বসেই শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিলাম শঙ্কায়। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন সীমান্ত এলাকায় আমাদের (বিজিবি) নজরদারি ও টহল সব সময়ই থাকে। তবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’

  • বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো ৬৫ পরিবার

    বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো ৬৫ পরিবার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৫টির বেশি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আট ব্যক্তি। স্থানীয়ভাবে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মত।

    বুধবার(৭ সেপ্টেম্বর২২) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার সংলগ্ন জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— মৃদল জলদাস, বাদল জলদাস, সমীরণ জলদাস, হরি জলদাস, রতন জলদাস, পরিতোষ জলদাস, সাগর জলদাস (পাঁচ পরিবার), সুরেশ জলদাস, হরিপদ জলদাস, গুরুধন জলদাস, মধুরাম জলদাস, শ্রীনন্দ জলদাস, সন্দা মোহন জলদাস, সমীরণ জলদাস (দুই পরিবার), গোপাল জলদাস (৪ পরিবার) মতিলাল জলদাস (দুই পরিবার), সম্পদ জলদাস, সুকুমার জলদাস, রাজকুমার, সুধীর জলদাস, স্বপন জলদাস, রঞ্জুত জলদাস (দুই পরিবার), রামপ্রসাদ (৪ পরিবার), ভাটিরাম জলদাস (তিন পরিবার), রাখাল জলদাস ও যদুরাম জলদাস।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীারা জানায়, ‘ মিলন জলদাসের বাড়ি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতি হওয়ায় মুহূর্তেই আগুন অন্য ঘরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ‘

    বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ইনচার্জ আযাদুল ইসলাম, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আগুনে ৬০ থেকে ৬৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।’

  • বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- বার্তা সম্পাদক,

    নব গঠিত ঈদগাঁও উপজেলা আওতাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের প্রথম বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে ,
    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু,
    প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, সভাপতিত্বে ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক রনি, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদার সঞ্চলনায়, বর্ধিত সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন ইউনিয়নের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইসমত তাহের, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর যুবলীগের সহ সভাপতি
    এমদাদুল হক কাদেরী,সাজ্জাদ পারবেজ নয়ন, সাংগঠিক সম্পাদক জামিল উদ্দিন শাম, মিজান সিকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি নুরুল হক ভাইয়া,ফরিদুল আলম, জাবেরুল ইসলাম, নুরুল আক্কাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার রিপন, ইরফানুল হক, তৈয়ব হাসান জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনর রশীদ আকাশ,জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সেলিম রানা, উপ প্রচার সম্পাদক নাঈম উদ্দিন সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবু তৈয়ব, ক্রীড়া সম্পাদক বিপ্লব পাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইউনুস রানা, সহ সম্পাদক মিন্টু পাল আকাশ, হামিদুর রহমান, আক্তার কামাল, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, আজিজুল হক, আনোয়ার হোসেন, মোঃ সাদেক রায়হান, রায়হানুল ইসলাম, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মোস্তাক আহমদ, সুমন পাল, ছৈয়দ নুর সাগর মামুন, আনচার মিয়া,শাহমান শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মুফিজুর রহমান,মোর্শেদ কামাল, জামাল আহমদ,রফিকুল ইসলাম, ইমরান তাওহীদ রানা, শেফায়েত উল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন রুবেল, মামুন রানা,জাহেদুল ইসলাম, মামুনর রশিদ রিয়াদ, আব্দুল কাদের, হামিদ, মোঃ ইব্রাহিম, আব্দুল মান্নান সহ আরু অনেকে।

    প্রধান অতিথি বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে কোনো ষড়যন্ত্র রোধ করতে দিবনা,

    প্রধান বক্তা বক্তব্যে বলেন আগামী নৌকার প্রার্থী কে জয়ী করতে সকল নেতৃবৃন্দ কে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বায়ক জানান।

    নব গঠিত ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক রনি বলেন স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা লগ্নথেকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ও আওয়ামী লীগের দুরসময়ে প্রত্যেক্য ও পরোক্ষ ভাবে শামিল সেই দারা বাহিক ভাবে ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ কে সু সংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা জানান নতুন কমিটিতে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মেধাবী তরুণদের সমন্বয়ে ২ সেপ্টেম্বর যে বিতর্কমুক্ত কমিটি উপহার দিয়েছে সদর যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু ও সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো নেতৃত্ব পরিষদ, নিঃসন্দেহে বলা যায় মেধা ও তারুণ্য নির্ভর যুবলীগ পরিণত হবে এ দেশের যুব সমাজের প্রাণের সংগঠনে। পরশ পাথরের স্পর্শে সীসা বা ধাতু যেভাবে সোনা কিংবা রুপায় পরিণত হয়, তেমনি যুবরত্ন পরশের ছোঁয়ায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মণির আদর্শিক যুব সংগঠন যুবলীগের নেতা কর্মীরা শুধু মানবিক কাজেই নয়, যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করবে এমন প্রত্যাশা মুজিবপ্রেমী সকল সৈনিকদের।

  • চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    বিশেষ প্রতিনিধি

    আসন্ন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর”২০২২ইং শনিবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহাসিক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে ৫নং ব‌্যা‌লেট-এ দা‌ঁড়ি‌য়ে‌ছেন অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা।

    এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা একজন নিরহংকার, মানবিক, শিক্ষাবান্ধব মানুষ। তিনি অত‌্যান্ত সৎ, ন‌্যায়পরায়ণ ও সমাজসেবক একজন মানুষ। তি‌নি সবসময় গরীব, অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেন।

    তিনি অত্র বিদ্যালয়ের গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য অভিভাবকদের আন্তরিক দোয়া, সমর্থন ও ভোট চেয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    আজ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা। তিনি বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের নিকট হতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

    এর পূর্বে সকাল ০৮ টায় তিনি ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    নবাগত পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা মহোদয়কে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এ সময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল নবাগত পুলিশ সুপার ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়কে সশস্ত্র অভিবাদন প্রদান করেন।

    এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব কবীর আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ জাহাংগীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) জনাব সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোঃ এমরান আলী পিপিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী

    জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    হেফাজতের ২৯টি মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়ে মুক্ত হওয়ার সময় জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার দেখানো হল মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে

    সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ২৯টি মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়েছেন হেফাজতের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। আইনি সব প্রক্রিয়া শেষে রবিবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বের হওয়ার কথা ছিল মাওলানা ইসলামাবাদীর। কিন্তু ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং ভোরে উনাকে ফের জেলগেট থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অত:পর ঢাকা মেট্রো পুলিশের দু’টি গাড়ির পাহারায় পুলিশভ্যানে করে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুনরায় চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয় ইসলামাবাদীকে। চট্টগ্রাম পৌছার পর ওনাকে পটিয়া থানার ৫০.৩.২১ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটক করা হয়।

    মাওলানা ইসলামাবাদী দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। রিমান্ডের অমানবিক নির্যাতনে হাঁটু ও পায়ের ব্যাথা ছাড়াও গত কয়েকমাস ধরে উনি যক্ষ্মা তথা টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাওলানা ইসলামাবাদী বর্তমানে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় ঘন্টা অক্সিজেন দিতে হয়।
    এমন অসুস্থ একজন আলেমের সাথে এমন অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

    মাওলানা ইসলামাবাদী সহ সকল কারাবন্দী আলেমদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

    সূত্রঃ
    মুহাম্মাদ ইরফানুল হক
    (মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর আপন ভাই)

  • মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বিরামপুরের ইসমত আরা বেগম

    মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বিরামপুরের ইসমত আরা বেগম

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চাষীদের

    আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষের নিরব বিপ্লব
    ঘটেছে। এবার উপজেলার ৬০টি বাগান ও কৃষকদের পতিত জমিতে লাগানো গাছে
    মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।

    মাল্টা চাষীদের লাভ দেখে অন্য কৃষকরাও মাল্টা চাষে
    আগ্রহী হয়ে উঠছে।
    উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ
    নিকছন চন্দ্র পাল প্রায় ৫ বছর আগে উপজেলার কৃষকদের উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল
    আবাদে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। এলাকার মাটি মাল্টা চাষের
    উপযোগি হওয়ায় তিনি কৃষকদের মাল্টা বাগান তৈরির প্রতি উৎসাহিত করেন।
    একই সাথে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মাল্টা চারা ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে
    কয়েক বছরের মধ্যে চাষীদের মাঝে প্রায় ৩০টি মাল্টা বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়।
    তাদের সাফল্য দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে চাষীরা আরও ৩০টি বাগান তৈরি করেছেন।

    এছাড়া পতিত জমি ও বাড়ির ছাদে অনেকে মাল্টা চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের
    হিসাব মতে, ৫ বছর আগে উপজেলায় মাল্টার কোন চাষ না হলেও বর্তমানে উপজেলার
    প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপর ৬০টি মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে।

    উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের নূর ইসলাম মিঠু
    জানান, কৃষি বিভাগের আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি ৪ বছর আগে ২৫০টি মাল্টা
    গাছ রোপন করেন। দু’বছর পর ফল ধরতে শুরু করে এবং বর্তমানে প্রতিটি গাছে
    গড়ে ৬০-৭০ কেজি হারে মাল্টা ধরেছে। অন্যান্য বাগানেও এবার মাল্টার বাম্পার ফলন
    হয়েছে। বাগান থেকে বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা তিন হাজার দু’শ টাকা
    মন দরে মাল্টা কিনে নিয়ে যায়। মিঠু আরো জানান, পরিচর্যা খরচ বাদে মাল্টা
    বাগান থেকে তিনি এবার ১০/১২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
    মিঠু আরো জানান, তার বাগানের সার্বিক কাজে সহযোগিতা করেন তার মা ইসমত আরা বেগম |

    এলাকায় মাল্টা চাষের স্বপ্নদ্রষ্টা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র
    পাল জানান, বিরামপুর উপজেলায় তার হাতেই মাল্টা চাষের সুচনা হয়েছে।
    বর্তমানে চাষীরা ব্যাপক হারে মাল্টার চাষ করছেন। এলাকার মাটি মাল্টা চাষের
    উপযোগি হওয়ায় এখানকার মাল্টা অধিক সুস্বাদু এবং আকারেও বড় হচ্ছে। মাল্টা
    চাষীদের অধিক লাভ ও সাফল্য দেখে কৃষকরা নতুন নতুন বাগান তৈরিতে আগ্রহী
    হয়ে উঠছেন। কৃষকদের সার্বিক সহায়তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ
    পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • বান্দরবানে ৩৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট বন্ধ হচ্ছে ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা

    বান্দরবানে ৩৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট বন্ধ হচ্ছে ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    পার্বত্য বান্দরবানে এক দশক ধরে চলা ৩৫০ টি প্রাথমিক বিদালয়ের ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিনা মূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম তহবিল সংকটের কারণে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগার পাশাপাশি অনেকের ঝরে পড়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।

    স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় ২০১৩ সাল থেকে বান্দরবানের ছয়টি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ৩৫০টি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতিদিন এক প‍্যাকেট পুষ্টিসমৃদ্ধ হাই এনার্জি বিস্কুট বিতরণ করা হয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতায় দুটি স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন (এনজিও) এ কার্যক্রম পরিচালনা আচ্ছেন।

    এগুলোর মধ্যে এন,জেড,একতা মহিলা সমিতি জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৩৪৫ জন এবং হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন থানচি উপজেলার ৫১টি বিদালয়ের ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে বিস্কুট দিয়ে থাকে।

    এন,জেড, মহিলা সমিতির রেকর্ড কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, রোয়াংছড়ি উপজেলার ৫০টি স্কুলে ৩ হাজার ৩৫২, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৬৬টি স্কুলে ১০ হাজার ৭৮০, লামায় ৯১টি স্কুলে ১৮ হাজার ৫৫১, রুমায় ৪৮টি স্কুলে ২ হাজার ৭৪৯ এবং আলীকদম উপজেলায় ৪৪টি স্কুলে ৫ হাজার ৯১৩ জনসহ মোট ২৯৯টি স্কুলে ৪১ হাজার ৩৪৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন এক প‍্যাকেট করে উন্নত মানের ও পুষ্টিসমৃদ্ধ হাই এনার্জি বিস্কুট পেয়ে থাকে।

    ৬ উপজেলার ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পেত ‘হাই এনার্জি বিস্কুট’।অর্থসংকটে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াবে না ডব্লিউএফপি।
    শিক্ষার্থীরা পুষ্টিসংকটে ভোগার পাশাপাশি ঝরে পড়ার আশঙ্কা।

    এন,জেড, মহিলা সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন মাঠ কর্মকর্তা (ফিল্ড মনিটর) ও একজন উপজেলা কর্মকর্তার (উপজেলা ফোকাল) মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাথমিক বিদালয়ের ছাত্রছাত্রীর মাঝে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

    এন,জেড, মহিলা সমিতির স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম এর সমন্বয়ক অ্যান্ড্রো ডাইস বলেন, ৭৫ গ্রাম ওজনের প্রতিটি বিস্কুটের প‍্যাকেটে ১০-১১টি বিস্কুট থাকে। এগুলো ডব্লিউএফপি ও বাংলাদেশ সরকারের লোগোসংবলিত ‘হাই এনার্জি বিস্কুট’। এতে তেল, চিনি, চর্বি, প্রোটিন, আয়োডিনযুক্ত লবণসহ পুষ্টিকর উপাদান থাকে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই এ বিস্কুট পেয়ে থাকে।

    এনজেড মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ডব্লিউএফপির স্কুল ফিডিং প্রকল্পে তহবিল-সংকটের কারণে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর মেয়াদ শেষে প্রকল্প আর বাড়ানো হবে না। এতে এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশই সুষম পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে। স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া এই প্রকল্পের ৫০ জনের মতো স্টাফ বেকার হয়ে পড়বে।

    নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ও রুমার বগামুখ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী দৈনিক মানব কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি কে বলেন, বিনা মূল্যে পাওয়া বিস্কুট খেলে স্কুলে থাকা পর্যন্ত ক্ষুধা লাগে না। লেখাপড়ায় মনোযোগ থাকে। আগামী মাস থেকে এই বিস্কুট দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন। এতে তাদের মন খারাপ হয়েছে।

    বাইশারীর সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক রুবায়েদ নাহিদ নুর বলেন, ‘পার্বত‍্যাঞ্চলের অধিকাংশ অভিভাবক দরিদ্র। অনেকেই সকালে খেতে পারে না। স্কুলে এসে বিস্কুট খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ ও পুষ্টি পায় শিক্ষার্থীরা। এতে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান স্কুলমুখী। প্রকল্পটি বন্ধ হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা বাড়বে, অনেকে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে।’ পুষ্টিহীনতার কারণে লেখাপড়ার মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেন এ শিক্ষক। একই মন্তব্য করেন রুমা উপজেলার বগামুখ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন নয়ন।

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি প্রেসক্লাবের আহবায়ক এবং এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবদুল হামিদ বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আসা এ প্রকল্প কেবল তহবিল-সংকটে বন্ধ হয়ে যাবে, এটা কাম‍্য নয়। প্রকল্পটি চালু রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন, ‘স্কুল ফিডিং প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের প্রাথমিক শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যেতে পারে। ডব্লিউএফপি এ কার্যক্রম অব‍্যাহত রাখলে এখানকার প্রাথমিক শিক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

  • ঈদগাঁও’তে সিএনজি চালক বশির এর জমি হাতিয়ে নিচ্ছে ঈদগাঁও বাজার ব্যাবসায়ী মকতুল হোসেন সওদাগর

    ঈদগাঁও’তে সিএনজি চালক বশির এর জমি হাতিয়ে নিচ্ছে ঈদগাঁও বাজার ব্যাবসায়ী মকতুল হোসেন সওদাগর

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- বার্তা সম্পাদক,

    ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বশির আহমদ গংয়ের জমি জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে মকতুল হোসেন সওদাগর
    ৮ বৎসর যাবৎ বশির আহাম্মদ গংয়ের পৈত্রিক ৪০ শতক জমির নিজ নামে মিথ্যা তথ্যদিয়ে বি এস রেকর্ড করালে বশির আহমদ গং বি এস সংশোধনী মামলা দায়ের করেন,

    মামলার এক পর্যায়ে মকতুল হোসেন উক্ত মামলা আপোষ মিমাংসার কথা বলে উক্ত বিরোধীয় জমি নিজে রেজিঃ নিবে বলে বিরুধীয় জমি নোটারী সম্পাদন করে, পরে বশির আহমদ এর ভাই ভুট্টাে মামলা পরিচালনা ও জমির দরদাম সাব্যস্হ করে মামলার খরচ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন।জমির বাকী ৬০ লক্ষ টাকা রেজিষ্ট্রীর নেওয়ার সময় পরিশোধ করার কথা দেন।

    মকতুল হোসেন, ভাগ্যক্রমে একটি মামলায় জেলে যেতে হয় ভুট্টাে কে, জেলে যাওয়ার পরে বশির আহমদ এর পক্ষ মকতুল হোসেনের কাছে টাকা জন্য যোগাযোগ করিলে সব টাকা ভুট্টােকে পরিশোধ করছেন বলে দাবী করেন,। দীর্ঘ ৪ বসর পর ভুট্টাে জেল থেকে বের হয়ে এলে মকতুল হোসেনের মিথ্যা আশ্রয়ের কথা ফাঁস হয়ে যায়। বশির আহমদ ও সকল ওয়ারিশ মিলে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান যে তাদের ৩কোটি টাকার সম্পদ ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়েস করার নানান ফন্দী ফিকির করে তাদের ৪০ শতক জায়গা দখল করে রেখেছেন মকতুল হোসেন গং।

    অসহায় এই পরিবার টি প্রশাসনের ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত মকতুল হোসেনের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার মেয়ের জামাই এহাসানের কাছে গেলে বিস্তারিত জানাবে। তার কাছে গেলে ডাঃ এহাসান নানান মিথ্যার অযুহাতের আশ্রয় নিয়ে, কোন সত্য উত্তর না দিয়ে উল্টা বশির আহমদ গং কে পারলে ঘর বাড়ি খেয়ে ফেলতে বলে।

    এবং তথ্যের প্রয়োজন হলে ঈদগাঁও চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান এর দেখা না পেয়ে মোবাইল মোটো ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে, ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই ।

  • সিবিডিএস এর ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা।

    সিবিডিএস এর ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা।

    সাইফুল ইসলাম কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি

    কক্সবাজার ব্লাড ডোনার সোসাইটির ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা শনিবার কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। এসময় তিনি ৬৪ জেলা থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবীদের শুভেচ্ছা জানান এবং সংগঠনটির পাশে থেকে সগযোগিতার কথা বলেন আশ্বাস দেন।
    ব্লাড ডোনার সোসাইটির মডারেটর মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, প্রতিষ্ঠালঘ্ন থেকেই তারা মানুষের পাশে থেকে রক্তদানের গুরুত্ব তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে।
    কক্সবাজার ব্লাড ডোনার সোসাইটির অন্যতম সংগঠক আশরাফুল হাসান রিশাদের পরিচালনায় ও জাহাঙ্গীর আলম জেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার ব্লাড ডোনার সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
    পরে রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ব্লাড ডোনার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীকরা।
    রক্তের প্রয়োজনের কথা শুনলেই তারা ছুটে যান রাত বিরাতে। রোগীর ঠিকানা নিয়ে পৌঁছে যান হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে ফেরেন হাসিমুখে।
    মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। এটিই তারা ধারণ করেন।
    রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচানোর ব্রত নিয়ে ছূটে চলা এমন এক ঝাঁক তারুণ্যের সম্মিলন হয়েছে কক্সবাজারে।