Author: UkhiyaVoice24

  • চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    অদ্য ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০২,০৫ ঘটিকায় ধৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’কে বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানায় যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মুহরা দেওয়ান মহসীন সড়কস্থ জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র-গুলি আছে, যা দ্রæত উদ্ধার না করলে সরিয়ে ফেলবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রধানকারী মোঃ আবুল হোসেন’কে সংঙ্গে নিয়ে সাক্ষী ও অন্যান্য লোকদের সাথে জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসতঘরে উপস্থিত হয়। তখন সংবাদদাতা জানায় যে, উক্ত বসতঘরের কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর অবৈধ অস্ত্র-গুলি এবং ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে উক্ত কক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে তল্লাশী করে কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর হতে একটি শপিং ব্যাগের ভিতর ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ঐ কক্ষেরই একটি ওয়ারড্রফের ভিতর থেকে ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্তে জনৈকা নাসরিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না মর্মে জানায়। উপস্থিত স্বাক্ষী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদে নাসরিন আক্তার একজন সহজ-সরল মহিলা এবং তার স্বভাব-চরিত্র ভাল বলে জানান। ঘটনা দৃষ্টে মোঃ আবুল হোসেন এর দেয়া সংবাদটি রহস্যজনক বলে সন্দেহের সৃষ্টি হলে সংবাদদাতা আবুল হোসেন‘কে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, বর্ণিত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান (১৮) এর সাথে জায়গা-জমি নিয়ে স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান‘কে অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার আবুল হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত হয় যে, আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন আক্তারের ঘরে রেখে র‌্যাব’কে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাবে। অভিযান শেষ হলে মোঃ আবুল হোসেন’কে এ বাবদ কোাহিনুর এবং ইউসুফ ০৩ লক্ষ টাকা দিবে মর্মে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন ও তার ছেলে মোঃ সোহান ঘরে না থাকার সুযোগে গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকায় ইউসুফকে নিয়ে নাসরিন এর ঘরে রেখে আসে।

    উল্লেখিত ঘটনাপৃষ্ঠে, মাদক ও অস্ত্র-গুলি টাকার বিনিময়ে অন্যের বসত ঘরে রাখার দায়ে সংবাদদাতা আসামী ১। মোঃ আবুল হোসেন (৩৯), পিতা-মৃত আঃ হাকিম, সাং-আমিন কোড়ালপাড়া, থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে সিএন্ডবি গ্যাস কলোনীর পাশে, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তৎক্ষনাত গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার র‌্যাবের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জমি-জমা ও পারিবারিক কলহের কারনে উক্ত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে সোহান‘কে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর পরিকল্পনা মোতাবেক টাকার বিনিময়ে উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি ও মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নাসরিন এর ঘরে রেখেছে বলে অকপটে স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ সর্বমোট ৬ টি মামলা পাওয়া যায়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বিরামপুরে এক মাদক কারবারির ৬ মাসের কারাদণ্ড

    বিরামপুরে এক মাদক কারবারির ৬ মাসের কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রির অপরাধে শেফালী বেগম (৪৫) নামের এক মাদক কারবারিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শেফালী বেগম পৌর শহরের চকপাড়া মহল্লার মো: রিয়াজুল ইনলামের স্ত্রী। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

    বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক হরিদাস বর্মন জানান, শুক্রবার রাতে মাদক কারবারি শেফালী বেগম তার নিজ বাড়িতে গাঁজা বিক্রি করছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের দিক-নিদের্শনায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ পৌর শহরের চকপাড়া মহল্লায় শেফালী বেগমের বাড়ির ভেতরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী শেফালী বেগমকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোর্পদ্দ করে পুলিশ। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার শেফালী বেগমকে মাদক বিক্রির অপরাধে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ২৫ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।

    বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দন্ডিত আসামীকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, থানা পুলিশের সংবাদ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুজে পেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য বিক্রির অপরাধে শেফালী বেগমকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

  • A discussion meeting was held on the initiative of PFG at Cox’s Bazar on ‘ Role of Citizens’  to prevent violence against

    A discussion meeting was held on the initiative of PFG at Cox’s Bazar on ‘ Role of Citizens’  to prevent violence against

    Correspondent:Mahbubur Rahman, Cox’s Bazar.

    Keeping in front of the slogan ‘We want Bangladesh of unity, not conflict’, a discussion meeting titled ‘Role of citizens to prevent violence against women’ was organized by the initiative of PFG members of Cox’s Bazar Sadar Upazila and with the overall cooperation of The Hunger Project Bangladesh. At 03:00 PM in the auditorium of Cox’s Bazar Model High School, the official program of the meeting started with the welconing speech of the president of the program and Chief Advisor of Cox’s Bazar Peace Ambassador District Network-PADN. Manzoor Alam. After that, the head teacher of Cox’s Bazar Model High School, KM Ramzan Ali, presented the main speech on the current situation, causes, types and prevention of violence against women. Then Special Public Prosecutor of Cox’s Bazar Women and Child Abuse Prevention Tribunal-2 and Joint Convener of Cox’s Bazar Sadar Upazila Awami League Advocate Syed Md. Rezaur Rahman Reza spoke about the legal aspects to prevent violence against women. He said that violence against women is the most serious social problem of the present time. To solve this problem, the state provides various legal assistance to women. But, Still, violence against women does not stop. In such a situation, along with the government, the citizens should also be aware of this. Later, Sarwar Alam, police inspector of Cox’s Bazar George Court spoke about police assistance to prevent violence. . During this time, he presented the information of various services of Bangladesh Police to stop the violence before all present. Ayesha Siraj, member of Central Jubo Mahila League, Helenaz Tahera, Vice President of Cox’s Bazar District Women’s League, Masuda Morshed Ivy, head teacher of Cox’s Bazar Girls’ High School, Syed Karim, head teacher of Baitush Sharaf Jabbaria Academy, journalist S.M.Iqbal Bahar Chowdhury, Josna Iqbal, Zafar Alam Didar, Bulbul E Jannat and others spoke. At the time, they said, violence or torture against women is physical, sexual or mental mistreatment or neglect of women by parents, other guardians, friends, classmates or anyone else. And in the present time, this type of oppression on our beloved daughters or mothers and sisters has increased to such an extent that it cannot be controlled in any way. In this situation, our future generation will never see the light of day if the family and the state as well as the conscious part of the society do not come forward to prevent women torture and rape. They will remain in the dark. They also said that men should come forward along with women in preventing violence against women. Everyone should be careful that no one can commit rape in the name of love or friendship.At the end of the meeting,  Nasir Uddin, Assistant Education Officer of Cox’s bazar district, delivered the speech. At this time, he said, Bangladesh has become a sanctuary for women torturers and rapists. Children and women are subjected to brutal oppression in cities, villages, hills, plains, educational institutions and workplaces. This situation can no longer be tolerated. We all have to come together to control this situation. A social movement should be built against the oppressors and oppressors. Besides, the implementation of existing laws and religious guidelines to prevent child abuse and rape should be done to a full extent. Finally, the program ended with the closing speech of Manzoor Alam, the president of the program and chief advisor of Cox’s Bazar PADNPADN.

  • কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার।

    সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএফজি সদস্যদের উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    অদ্য বিকাল ০৩ টায় কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিস এ্যাম্বাসেডর ডিস্ট্রিক্ট নেটওয়ার্ক-পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মো. মঞ্জুর আলমের স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে। এরপর নারীর প্রতি সহিংসতার বর্তমান অবস্থা, কারণ, ধরণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে এম রমজান আলী। তারপর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনগত দিকগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান রেজা।

    এসময় তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে রাষ্ট্র বিভিন্ন আইনগত সহায়তা নারীদেরকে দিচ্ছে। তারপরও নারীর প্রতি সহিংসতা থেমে নেই। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পরবর্তীতে সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশি সহায়তার বিষয়ে কথা বলে কক্সবাজার জর্জ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. সারোয়ার আলম। এসময় তিনি সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন সেবার তথ্য উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।

    সভায় আগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য আয়েশা সিরাজ, কক্সবাজার জেলা মহিলা লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনাজ তাহেরা, কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা মোর্শেদ আইভী, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর প্রদান শিক্ষক ছৈয়দ করিম, সাংবাদিক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী, জোসনা ইকবাল, জাফর আলম দিদার, বুলবুল ই জান্নাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    এসময় বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন হল বাবা-মা, অন্য কোন অভিভাবক, বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী বা অন্য কারো দ্বারা কোন নারীর প্রতি শারীরিক, যৌন বা মানসিক দুর্ব্যবহার করা বা নারীকে অবহেলা করা। আর বর্তমান সময়ে আমাদের অতি আদরের মেয়ে সন্তানদের বা মা-বোনদের উপর এ ধরণের নিপীড়ন এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা আর কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় পরিবার ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে না আসলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই আলোর মুখ দেখবেনা। তারা অন্ধকারেই থেকে যাবে।

    আরো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের ও এগিয়ে আসতে হবে। প্রেম বা বন্ধুত্বের নামে কেউ যাতে ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভার শেষ পর্যায়ে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার জেলার শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন আজ নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছ। শহরে, গ্রামে, পাহাড়ে, সমতলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে নৃশংস নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন শিশু এবং নারী। এ অবস্থাকে আর সহ্য করা যাচ্ছেনা। এপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ষক ও নিপীড়ন কারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিহত করার জন্য প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় নির্দেশনার বাস্তবায়ন পূর্ণ মাত্রায় ঘটাতে হবে। পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মঞ্জুর আলমের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন সভাপতি-রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল

    কপিল উদ্দিন জয়
    বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ শাখার সম্মেলন ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থীদের সমর্থকরা রঙবেরঙের টি-শার্ট, টুপি,ব্যাজ পরে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয়,পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বীরপুত্র রবিন বাহাদুর ও স্ব স্ব প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে আনন্দপূর্ণ মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থানে প্রবেশ করে।

    বুধবার (৭আগস্ট) সকাল ১০.০০টায় উন্মুক্ত মঞ্চে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদরউল্লাহ বিন্দুর সভাপতিত্বে ও কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুদ্দিন মামুন শিমুলের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বান্দরবানের পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ,মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী। অতিথিদের বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। দুপুরের খাবারের পরে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় এবং অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয় কলেজের সাবেক সভাপতি ইরফান রায়হান মাহাবুব ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় সদর ইউনিয়নের সভাপতি ফয়সাল আজাদ। অন্য পদ পাওয়া প্রার্থীরা হল,সহসভাপতি-ছালেহ নুর করিম (রিপন),মো.বায়োজিদ,বিটু বড়ুয়া,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মুমিনুল আলম মুমু,রফিকুল ইসলাম (রিজভী),এসএম ওমর ফারুক,বোরহান আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক-উমেপ্রু মার্মা,শেখ শাহাব উদ্দিন,মংছিংহ্লা।

    আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু তাহের কোম্পানি, উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান, জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানুয়ান চাক,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের,ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লাওয়াই মার্মা,সদরের চেয়ারম্যান নুরুল আবচার ইমন,বাইশারীর চেয়ারম্যান নুরুল আলম কোম্পানি, সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডা.সিরাজ,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চুচুমং মার্মা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দু সাত্তার,
    শ্রমিকলীগের সভাপতি জহির আহমদ,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসাইন,উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেদা বেগম,সাধারণ সম্পাদক প্রুমারী মার্মা,যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা আক্তার রুনা, সাধারণ সম্পাদক উমিংনু মার্মা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.রেজাউল,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফাহিম ইকবাল চৌধুরী খাইরু, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদ,কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো.সেলিম,সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল আবরারসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলা লীগ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০জন ফরম সংগ্রহ করে এবারের সম্মেলনকে আরও আলোচনা ও উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। উপজেলার বিভিন্ন শাখার ছাত্রনেতাদের মধ্যে সভাপতি পদে ১০জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২০জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিল।

    সভাপতি পদে যারা ছিলেন – মো.রেজাউল করিম,মেহেদী হাসান সানি, প্রমে মার্মা, ছালেহ নুর করিম (রিপন),মো.ইমরান(রুবেল),মো.বায়োজিদ, মো.রিদুয়ান, আবু ছালেহ নোমান, আব্দুল আহাদ, নজিব উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে যারা ছিলেন- ইরফান মাহাবুব রায়হান (যে পরে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন),ফয়সাল আজাদ, বোরহান আজিজ, ফজলুল রহমান,জহির খান বাপ্পি, মিজানুর রহমান, মুমিনুল ইসলাম মুমু, জহির রায়হান,আবদুল গফুর, রুবেল বড়ুয়া, শেখ শাহাব উদ্দিন, আমানুল হক, ওমর ফারুখ, টিংকু বড়ুয়া, বিটু বড়ুয়া, সাজেদুল করিম রিফাত, জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম,মহিউদ্দিন মানিক ও রফিকুল ইসলাম (রিজভী)ফরম জমা দিয়েছিল।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি দীর্ঘ ৪১ কিঃমি সীমান্তে জুড়ে বর্মী বাহিনীর গুলাগুলির আওয়াজে স্থানীয়রা আতংকিত ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা

    নাইক্ষ্যংছড়ি দীর্ঘ ৪১ কিঃমি সীমান্তে জুড়ে বর্মী বাহিনীর গুলাগুলির আওয়াজে স্থানীয়রা আতংকিত ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে মানুষের পদচারণা প্রায় নেই ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ও ঘুমধুম ইউনিয়নের দীর্ঘ ৪১ কিঃমিঃ মিয়ানমার সীমান্তে বর্মী বাহিনীর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রশাসন।

    গত রবি ও সোমবার গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে নতুন করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশার তলী ফুলতলীসহ ঘুমধুমের রেজু আমতলী ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
    ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হলেও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বাংলাদেশের নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কও দেখা দেয়। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা পড়া ও যুদ্ধবিমানের মহড়ার কারণে সীমান্তে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদ স্থানে সরে এসেছেন জুম চাষিহস কৃষকেরা তাদের তাদের ফসলাদী ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে এসেছে যার ফলে ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা। জুম চাষি মংপ্রু মার্মা বলেন বর্মী বাহিনীর গুলাগুলি ও হেলিগেপ্টার থেকে গোলাগুলির কারণে জুম ক্ষেতে উৎপাদিত ফসলাদি রেখে বাড়িতে চলে এসেছি ধান কাটা বন্ধ রয়েছে।
    অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

    বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী, তুমব্রু, রেজু ও বাইশফাঁড়ি আসারতলী ফুলতলি এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। সে দেশের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের গোলাগুলি চলতে থাকে। এর ফলে দুই দফায় নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    এরপর গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া দেয়। এ সময় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে অন্তত ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ হয়। এর মধ্যে দুটি গোলা ঘুমধুমের রেজু আমতলী এলায় এসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

    বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ওই সময় গণমাধ্যমকে সীমান্তে গোলাগুলির কথা বলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছিলেন, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

    ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দুই দিন সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলির ঘটনা না ঘটায় বাংলাদেশের ঘুমধুম ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ পর্যন্ত মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তসংলগ্ন ঘুমধুমের লোকজন সকাল ৮টার দিক থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

    গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিন বর্মী (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বসেই শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিলাম শঙ্কায়। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন সীমান্ত এলাকায় আমাদের (বিজিবি) নজরদারি ও টহল সব সময়ই থাকে। তবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’

  • বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো ৬৫ পরিবার

    বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো ৬৫ পরিবার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৫টির বেশি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আট ব্যক্তি। স্থানীয়ভাবে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মত।

    বুধবার(৭ সেপ্টেম্বর২২) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার সংলগ্ন জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— মৃদল জলদাস, বাদল জলদাস, সমীরণ জলদাস, হরি জলদাস, রতন জলদাস, পরিতোষ জলদাস, সাগর জলদাস (পাঁচ পরিবার), সুরেশ জলদাস, হরিপদ জলদাস, গুরুধন জলদাস, মধুরাম জলদাস, শ্রীনন্দ জলদাস, সন্দা মোহন জলদাস, সমীরণ জলদাস (দুই পরিবার), গোপাল জলদাস (৪ পরিবার) মতিলাল জলদাস (দুই পরিবার), সম্পদ জলদাস, সুকুমার জলদাস, রাজকুমার, সুধীর জলদাস, স্বপন জলদাস, রঞ্জুত জলদাস (দুই পরিবার), রামপ্রসাদ (৪ পরিবার), ভাটিরাম জলদাস (তিন পরিবার), রাখাল জলদাস ও যদুরাম জলদাস।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীারা জানায়, ‘ মিলন জলদাসের বাড়ি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতি হওয়ায় মুহূর্তেই আগুন অন্য ঘরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ‘

    বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ইনচার্জ আযাদুল ইসলাম, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আগুনে ৬০ থেকে ৬৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।’

  • বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- বার্তা সম্পাদক,

    নব গঠিত ঈদগাঁও উপজেলা আওতাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের প্রথম বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে ,
    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু,
    প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, সভাপতিত্বে ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক রনি, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদার সঞ্চলনায়, বর্ধিত সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন ইউনিয়নের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইসমত তাহের, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর যুবলীগের সহ সভাপতি
    এমদাদুল হক কাদেরী,সাজ্জাদ পারবেজ নয়ন, সাংগঠিক সম্পাদক জামিল উদ্দিন শাম, মিজান সিকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি নুরুল হক ভাইয়া,ফরিদুল আলম, জাবেরুল ইসলাম, নুরুল আক্কাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার রিপন, ইরফানুল হক, তৈয়ব হাসান জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনর রশীদ আকাশ,জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সেলিম রানা, উপ প্রচার সম্পাদক নাঈম উদ্দিন সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবু তৈয়ব, ক্রীড়া সম্পাদক বিপ্লব পাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইউনুস রানা, সহ সম্পাদক মিন্টু পাল আকাশ, হামিদুর রহমান, আক্তার কামাল, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, আজিজুল হক, আনোয়ার হোসেন, মোঃ সাদেক রায়হান, রায়হানুল ইসলাম, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মোস্তাক আহমদ, সুমন পাল, ছৈয়দ নুর সাগর মামুন, আনচার মিয়া,শাহমান শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মুফিজুর রহমান,মোর্শেদ কামাল, জামাল আহমদ,রফিকুল ইসলাম, ইমরান তাওহীদ রানা, শেফায়েত উল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন রুবেল, মামুন রানা,জাহেদুল ইসলাম, মামুনর রশিদ রিয়াদ, আব্দুল কাদের, হামিদ, মোঃ ইব্রাহিম, আব্দুল মান্নান সহ আরু অনেকে।

    প্রধান অতিথি বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে কোনো ষড়যন্ত্র রোধ করতে দিবনা,

    প্রধান বক্তা বক্তব্যে বলেন আগামী নৌকার প্রার্থী কে জয়ী করতে সকল নেতৃবৃন্দ কে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বায়ক জানান।

    নব গঠিত ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক রনি বলেন স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা লগ্নথেকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ও আওয়ামী লীগের দুরসময়ে প্রত্যেক্য ও পরোক্ষ ভাবে শামিল সেই দারা বাহিক ভাবে ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ কে সু সংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা জানান নতুন কমিটিতে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মেধাবী তরুণদের সমন্বয়ে ২ সেপ্টেম্বর যে বিতর্কমুক্ত কমিটি উপহার দিয়েছে সদর যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু ও সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো নেতৃত্ব পরিষদ, নিঃসন্দেহে বলা যায় মেধা ও তারুণ্য নির্ভর যুবলীগ পরিণত হবে এ দেশের যুব সমাজের প্রাণের সংগঠনে। পরশ পাথরের স্পর্শে সীসা বা ধাতু যেভাবে সোনা কিংবা রুপায় পরিণত হয়, তেমনি যুবরত্ন পরশের ছোঁয়ায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মণির আদর্শিক যুব সংগঠন যুবলীগের নেতা কর্মীরা শুধু মানবিক কাজেই নয়, যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করবে এমন প্রত্যাশা মুজিবপ্রেমী সকল সৈনিকদের।

  • চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    বিশেষ প্রতিনিধি

    আসন্ন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর”২০২২ইং শনিবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহাসিক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে ৫নং ব‌্যা‌লেট-এ দা‌ঁড়ি‌য়ে‌ছেন অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা।

    এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা একজন নিরহংকার, মানবিক, শিক্ষাবান্ধব মানুষ। তিনি অত‌্যান্ত সৎ, ন‌্যায়পরায়ণ ও সমাজসেবক একজন মানুষ। তি‌নি সবসময় গরীব, অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেন।

    তিনি অত্র বিদ্যালয়ের গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য অভিভাবকদের আন্তরিক দোয়া, সমর্থন ও ভোট চেয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    আজ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা। তিনি বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের নিকট হতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

    এর পূর্বে সকাল ০৮ টায় তিনি ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    নবাগত পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা মহোদয়কে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এ সময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল নবাগত পুলিশ সুপার ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়কে সশস্ত্র অভিবাদন প্রদান করেন।

    এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব কবীর আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ জাহাংগীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) জনাব সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোঃ এমরান আলী পিপিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।