Author: UkhiyaVoice24

  • আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.)এর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাই’র শোক ও দোয়া

    আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.)এর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাই’র শোক ও দোয়া

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
    শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী একজন প্রথিতযশা আলেম ছিলেন। ইলমে হাদিস, ইলমে তাফছিরসহ ইসলামের সকল বিষয়ে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। কঠিন কঠিন বিষয়গুলো তিনি সহজ ভাবে তিনি সমাধান করতেন। জাতীয় সঙ্কটকালে তিনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি দেওবন্দি মাসলাকের সকল ইসলামী সংগঠন, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, পীর মাশায়েখগণের মনে প্রাণে ঐক্য কামনা করতেন। তাঁর হাজার হাজার ছাত্র, ভক্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রাণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

    পীর সাহেব বলেন, কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও মসজিদসহ বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন মরহুমের সকল খেদমতকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমীন। সেইসাথে পরিবার পরিজন, ছাত্র, ভক্ত-অনুরক্তকে সবর এখতিয়ার করার তৌফিক দিন।

  • পরিশ্রমই এনে দেয় সফলতা পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, তৌহিদ হোসেন

    পরিশ্রমই এনে দেয় সফলতা পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, তৌহিদ হোসেন

    শরিফা বেগম শিউলী:- স্টাফ রিপোর্টার,

    স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও গুনীজন সম্মাননা পেলেন তরুন উদ্দোক্তায় সেরা কর দাতা পর পর ৪ বারের মোঃ তৌহিদ হোসেন আশরাফী সোমবার (২০ জুন) রংপুর টাউনহল মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলছিলেন নিজের জীবনের সফলতার গল্প। মোঃ তৌহিদ হোসেন আশরাফী তার ফেলে আসা কষ্টের দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে বলেন, এমনও দিন গেছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই কাজ করতে হয়েছে।

    বাকি সময়টা ঘুমসহ অন্য কাজ করেছি। অসংখ্য নেশাগ্রস্ত লোকের সাথে হেঁটেছি, কিন্তু জীবনে কোনো দিন একটি সিগারেটও মুখে নিইন।চিন্তা করেছি যদি পরিশ্রম করে যাই আর লক্ষ ঠিক রাখি তাহলে সফলতা একদিন আসবেই। কঠোর পরিশ্রম করার কারণে সফলতা আসতে বেশীদিন লাগেনি।

    তিনি বলেন, ছিলাম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মটর সাইকেল পাটস দিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। গড়ে উঠেছে সুমি অটো সেন্টার, রয়্যালটি মেগামলের কয়েকটি শাখা, তাওহীদ ব্যাটারি ইন্ট্রাটিস, আশরাফী ছাত্র নিবাস, সুমি এন্টারপ্রাইজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।ভাবতে অবাক লাগে এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে প্রায় ৩৫০জনের মত মানুষ। আমার সম্পদ বাড়ার সাথে সাথে তাদের সংসারও চলছে আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।

    তিনি বলেন, সফল হতে হলে প্রথমে দরকার সততা। তারপর সঠিক লক্ষ এবং তা বাস্তবায়ন করার স্পৃহা ও কঠোর পরিশ্রম। যদি কেউ সুশিক্ষিত হয় এবং লক্ষ ঠিক করতে পারে তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে। অন্যরা বিশ্বাসঘাতকতা করলেও নিজের কাজ আর পরিশ্রম নিজের সাথে কখোনোই বিশ্বাসঘাতকতা করেনা। পরিশ্রম অবশ্যই সফলতা এনে দেবে।

    বিকাল ৫ থেকে রাত ৮ টা পরযন্ত অনুষ্ঠানে ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চলনায় ও মাহাবুবার রহমান হাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল ওহাব মিঞা, বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর বিভাগ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহমুদুর রহমান টিটু, প্যানেল মেয়র রংপুর সিটি কর্পোরেশন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল কুমার রায় উপ- পুলিশ কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রংপুর, মোঃ সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রংপুর, মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ, রংপুর, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ।

  • আল্লমা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.) ইন্তেকালে (বামুক) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শোক প্রকাশ

    আল্লমা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.) ইন্তেকালে (বামুক) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শোক প্রকাশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বরেণ্য আলেমেদ্বীন, বেসরকারি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, মুসলিম উম্মাহর অগ্রযাত্রার মূর্ত-প্রতীক শায়খুল ইসলাম মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী সাহেব হুজুর আজ সকাল বেলা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী
    হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
    ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীউন।

    আজ ২১-৬-২০২২ইং রোজ মঙ্গলবার জেলা ছদর মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন।

    এতে,মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।পরিবারের সবাইকে ছবরে জমীল দান করুক। আল্লাহ তা’আলা মরহুম কে কবুল করুন। ভূলত্রুটি ক্ষমা করে
    জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন, আমিন।

  • অবৈধ বালুর পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ

    অবৈধ বালুর পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    সরকার ঘোষিত আইনকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী ইউনিয়নের সুফিনগর রাতারছড়া খাল ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নের মনুফকির হাটের পশ্চিম পাশে থমথমিয়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের করায় ২০হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২টি বালু উত্তোলনের মেশিন ও পাইপ নষ্ট করে দেওয়া হয়।

    ২০ জুন”২০২২ইং সোমবার বেলা ১২ হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানের খবর টের পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা উক্ত সরঞ্জামাদি রেখে পালিয়ে যায়।
    এ ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহজাহান।

    এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহাজাহান গণমাধ্যমকে জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তিরা চুনতী ইউনিয়নের সুফিনগরের রাতারছড়া খাল এবং বড়হাতিয়া ইউনিয়নের থমথমিয়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিলো। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করে ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ২টি বালু উত্তোলনের মেশিন ও পাইপ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

    এদিকে উপজেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রমকে এলাকার জনসাধারণ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • বিরামপুরে আদিবাসী নারী-পুরুষদের মানববন্ধন

    বিরামপুরে আদিবাসী নারী-পুরুষদের মানববন্ধন

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে গির্জার নামে দখলকৃত জায়গা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি ও নিজেরা গির্জা ভেঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীর নামে হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গ্রামের আদিবাসী (শাঁওতাল) নারী-পুরুষদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (২০ জুন) সকালে দিঘলচাঁদ গ্রামে ভাঙ্গা গির্জার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মারান্ডি জানান, জনৈক ইলিয়াস সরেন চাকুরি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়ে ২০১০ সালে মুচিয়া মার্ডির নিকট থেকে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি লিখে নেয়। পরবর্তীতে সেখানে
    ইউনাইটেড বেথেলিক চার্চ নির্মাণ করা হলেও জমি দাতার পরিবার ও গ্রামের ৩০জন শাঁওতালকে খৃষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করার পরও কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে এবং দানের শর্ত ভংগ করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চার্চ চালানো হতো। খৃষ্টধর্মে দিক্ষিতরা পরবর্তীতে শাঁওতাল ধর্মে ফিরে গিয়ে ঐ স্থানে মন্দির করে সেখানে নিজেদের ধর্ম পালন করতে শুরু করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে গির্জার পালক সুরাই পাওরিয়া গির্জার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র খুলে নিয়ে যায়। ঝামেলা এড়াতে মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মারান্ডি ঘটনার উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১১ আগষ্ট বিরামপুর থানায় জিডি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। কিন্তু গির্জার পরিচালক ইলিয়াস সরেন বিশাল মারান্ডিসহ ১০/১২ জনের নামে গির্জা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিপিআই তদন্ত করছে। মানববন্ধনে উল্লেখিত হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহার ও শর্ত ভঙ্গের কারণে দানকৃত জায়গা দাতার পরিবারকে ফেরত দেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে।

  • আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে জটিল রোগে আক্রান্ত,অবিলম্বে মুক্তি দিন,আমীরে নেজাম-আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী

    আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে জটিল রোগে আক্রান্ত,অবিলম্বে মুক্তি দিন,আমীরে নেজাম-আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে অত্যন্ত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী। এক বিবৃতিতে তিনি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত মুক্তির দাবী জানান।

    আজ ২৯ জুন রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বছর ১১ এপ্রিল থেকে দীর্ঘ ১৪ মাস যাবৎ মাওলানা ইসলামাবাদী কারাবন্দী। কারাগারে বেশ কিছুদিন আগেই তিনি জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এছাড়াও তাঁর শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা ও হাই প্রেশার রয়েছে। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের ফলে মজলুম এ আলেমের হাটু, ঘাড় ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। এসব শারিরীক অসুস্থতা ও জটিলতায় কারাগারে তিনি অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমনকি নামাযে রুকু, সিজদা করাও তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

    এ করুণ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী ও গুরুতর অসুস্থ মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর রোগমুক্তির জন্য দু’আ কামনা এবং তাঁর সুচিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর, দেশের শীর্ষ আলেমেদ্বীন আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী।

    সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দেশের একজন মেধাবী ও শান্তিকামী আলেম। ইসলাম, দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর গঠনমূলক, সাহসী ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন একজন তারুণ্যদীপ্ত, বিজ্ঞ আলেমেদ্বীনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হয়রানীমূলকভাবে ২৯টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দীর্ঘ ১৪ মাসেরও অধিক সময় পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

    আমরা সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে কারাগারে গুরুতর অসুস্থ মাওলানা ইসলামাবাদীর সুচিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তি দাবি করছি এবং মজলুম এ আলেমেদ্বীনের আশু সুস্থতার জন্য আলেম-ওলামা, শিক্ষার্থীবৃন্দসহ তাওহিদী জনতার কাছে দু’আ কামনা করছি।

    আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী একই বিবৃতিতে মাওলানা জুনাইদ আল-হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাযী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মধুপুরের পীর সাহবের ছেলে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীসহ হয়রানীমূলকভাবে গ্রেফতারকৃত সকল আলেমগণের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

  • গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির পরিপূর্ন কাজ করার জন্য নিবেদিত স্থানীয় জনসাধারণ

    গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির পরিপূর্ন কাজ করার জন্য নিবেদিত স্থানীয় জনসাধারণ

    গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির পরিপূর্ন কাজ করার জন্য নিবেদিত স্থানীয় জনসাধারণ

    ওমর ফারুক উখিয়া, কক্সবাজার

    কক্সবাজার জেলা উখিয়া সদর থানার আওতাধীন গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দুই পাশে অর্ধকাজ রেখে যাওয়াতে বর্তমান মানুষ হতাশাজনক হয়ে পড়ছে।

    বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতের ভারি কষ্ট হয়ে দাড়াচ্ছে রোডটিতে, এমনকি টমটম গারি,মিনি টমটম ও মটর সাইকেল, এনজিও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজকর্ম কর্মকর্তাদের গারি পার হতে গিয়ে গারির চাকা ভেঙ্গে যায় বলে একাদিক ড্রাইবারের আকুতি, যার কারণে গারির ড্রাইবাররা ১০টাকার বাড়া রিক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ টাকা করেছে।

    উখিয়াতে ব্রীজটি সঠিক সময়ে নির্মিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাধুবাদ জানাই এলাকার সজনরা। কিন্তু ব্রীজের দুই পাশের কাজ সমাপ্ত না করে চলে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

    ব্রিজের উভয় পাশে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হতে হয় বর্তমান সময়ের জন্য খুবই দুরূহ কাজ। এই রোড দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী চলাচল করে, যা তাদের জন্যও চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এই ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টান, গয়ালমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজ, উখিয়া ডিগ্রি কলেজে, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,উখিয়া উচ্চ বিদ্যালায়, ইন্টারন্যশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, রাজাপালং মাদ্রাসা ও নুরজাহান চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় ও চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয় সহ আরো শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসায় এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে বলে জানান,এমনকি গত কাল চাকবৈঠা থেকে কিছু ছাত্র /ছাত্রী স্কুলে ঠিক সময়ে পৌঁছতে না পেরে স্কুলের শাস্তি অনুভব করছে বলে তার বাবা মার কাছে অভিযোগ করেন।

    উখিয়ার মধ্যে বাই রুট হিসেবে উখিয়া-মরিচা- নাইক্ষ্যংছড়ি-বান্দরবানের জন্য অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সে গয়ালমারা রোড। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, খুব স্বল্প সময়ে ব্রিজের উভয় পাশের কাজ সমাপ্ত করা হলে প্রশাসনের প্রতি স্থানিয় জনসাধারণ কৃতজ্ঞ থাকবে।

    বর্ষা মৌসুমে সে ভোগান্তিক গয়ালমারা রোডের মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন এর স্থানীয় সরকার কমিটি ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন এলাকার লোকজন।
    এই ছাড়া আরো অনুরোধ করেন রত্নাপালং ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা ও মাহমুদল হক মেম্বারকে।

  • নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ মিছিল

    নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ মিছিল

    ইব্রাহীম মাহমুদ- টেকনাফ,

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা রোহিঙ্গা শিবিরে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রোহিঙ্গারা।
    রবিবার ১৯ জুন সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন, জাদিমুড়া শালবাগানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত অধিকাংশ রোহিঙ্গারা অংশ গ্রহন করেন।

    রোহিঙ্গা নেতা ক্যাম্প লিডার জাফর আলম জানান,আমরা বিক্ষোভ মিছিলে দাবি করেছি,বাংলাদেশ আমাদের জন্ম ভুমি নয়,
    তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার কে ফিরে নিতে হবে।
    মিয়ানমারে ফেরত নিয়ে অন্যান্য জাতিগুলোর মত আমাদের ও স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করার সুযোগ দিতে হবে। মিয়ানমার সরকারকে আমরা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিতে হবে। ১৩৫ প্রকারের মিয়ানমার নাগরিকদের মত শিক্ষা,সরকারি চাকুরি ও চিকিৎসা এবং ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে সমঅধিকার দিতে হবে।
    হ্নীলা জাদিমুড়া শালবাগানের মিছিলের নেতৃন্ত দেন ক্যাম্প লিডার জাফর আলম,বদরুল ইসলাম,হেড মাঝি কামাল উদ্দীনসহ আরো অনেকেই।

    এদিকে স্থানীয় কয়েকজন সচেতন মহল জানিয়েছে,আমরাও চাই রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন। কারণ যাদের আমরা মানবতা দেখিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলাম তারা এখন দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। নিজেরা নেজেদের মধ্যে মাদক খুন,গুম,অপহরণ ও অস্ত্রবাজিতে মেতে উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে প্রতিনিয়ত দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশী-বিদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যাহার কারণে স্থানীয়দের মাঝে সব সময় আতঙ্কে বিরাজমান। অন্তত সে আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি ।

    এ বিষয়ে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা জানান,রোহিঙ্গারা আমাদের বলেছিল, তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের ফিরে যাওয়ার দাবিতে ছোট আকারে ক্যাম্পে দাড়িয়ে প্লেকার্ড প্রদর্শনসহ মিছিল করবে মনে হয় তা করেছে।

  • বিরামপুরে তেল তৈরির কারখানায় ট্যাংকের গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে গুরুত্বর ভাবে দগ্ধ ৩ শ্রমিক

    বিরামপুরে তেল তৈরির কারখানায় ট্যাংকের গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে গুরুত্বর ভাবে দগ্ধ ৩ শ্রমিক

    এস এম মাসুদ রানা- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে পুরাতন টায়ার টিউব পুড়ে তেল তৈরির কারখানায় ট্যাংকের গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে ৩ জন শ্রমিক গুরুত্বর ভাবে দগ্ধ হয়েছে।

    গুরুত্বর দগ্ধ শ্রমিকরা হলেন, সিলেট জেলার রনি (১৮), পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার মাজেদুর (২৬) ও আব্দুল কাদের (২৬)।

    জানা যায়, উপজেলার বিরামপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের পাশে দূর্গাপুর (শালবাগান) এলাকায় নিয়াজ প্লাস্টিক এন্ড রাবার রিসাইক্লিং ওয়েল প্লান্ট (গ্রীন অয়েল) নামের একটি কারখানায় গত ৬ মাস যাবত পুরাতন টায়ার টিউব পুড়ে তেল তৈরি করে আসছে। রবিবার (১৯ জুন) গতকাল সকাল ১১টার দিকে কারখানায় ট্যাংকের গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুত্বর দগ্ধ হয় ৩ জন শ্রমিক। গুরুত্বর দগ্ধ ৩ জনকে স্থানীয়রা ও কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরাসহ তাদেরকে উদ্বার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তাৎক্ষনিক ৩ জন শ্রমিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার, থানা পুলিশ ও বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট।

    জানতে চাইলে, নিয়াজ প্লাস্টিক এন্ড রাবার রিসাইক্লিং ওয়েল প্লান্ট (গ্রীন অয়েল) তেল তৈরির কারখানার মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুরে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ছাড়পত্র পাইনি। স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন শেয়ার পাটনার হিসাবে এই কারখানাটি চলাচ্ছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার জানান, উপজেলা প্রশাসনের অগোচরে কারখানাটি চালানো হচ্ছিলো। দূর্ঘটনার পর থেকে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

  • সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ- টেকনাফ,

    সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ ১৮ জুন (শনিবার) বিকেল ৩টার সময় সাবরাং নয়াপাড়া নবী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাবরাং ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব সোনা আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবরাং ইউনিয়ন,৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শরীফ মেম্বার,সাবেক ইউপি সদস্য সব্বির আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল সিআইপি, হাজী মীর আহমদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মেম্বার প্রমুখ।

    সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ ইসমাঈল সিআইপি বলেন,
    দলে মীর জাফরের উপদ্রব বেড়েছে,দলে থাকতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মত কাজ করতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে আহ্বায়ক আলহাজ্ব সোনা আলী বলেন,আমি সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে থাকতে আমার কর্মীর উপর কোন কেউ ষড়যন্ত্র করলে নিজ দায়িত্বে তার পাশে থাকব।

    যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম বলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে উজ্জীবিত করতে সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ সদর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।