Author: UkhiyaVoice24
-
সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।
আপত্তি নিরসন।
অভিযোগ: ১
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া। মাদ্রাসাটি দীর্ঘ ১০০ শত বছর ধরে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মকতবের নিয়মে পাঠদান করে আসছিল। গত ১৩-১৪ বছর আগে মাঃ জামাল উদ্দিন মাদ্রাসাটিকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকার কিছু লোকজনকে তার কব্জায় করে উচ্চতর শিক্ষা পাঠদানের আশ্বাস দিয়ে দখলে নেয়।জবাব: ১
নিঃসন্দেহে যে মাদ্রাসার প্রাণ কেন্দ্রে বসে আপনারা কথাগুলো শুনছেন, তা একসময় কেবল মকতবেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতের বদৌলতে মকতব থেকে কোরআন, সুন্নাহ সমন্বিত একটি দ্বীনি দরসেগাহে রূপায়ন হয় আমি অধমের হাত ধরে। তারা আপত্তি করেছে মকতব থেকে নাকি মাদ্রাসা হবার পেছনে আমার স্বার্থসিদ্ধি ছিল, এবং মুষ্টিমেয় মানুষের সহযোগিতায় আমি তা হাসিল করতে পেরেছি। নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহর পানাহ চাই। যদি তাই হয়ে থাকে, সূচনালগ্নে তাদের নিঃস্বার্থ বৃহৎ জামাত কয় ছিল? এবং সঙ্গবদ্ধভাবে কেন বাধা দেয়নি আমার উদ্যেশ্যে হাসিল পথে? তাদের ভাষ্যমতে হয়তো আমার সাথে মুষ্টিমেয় কিছুজন ছিল, বাকি তাদের বিরাট দল কেন প্রতিরোধ করেনি আমাই?
মাদ্রাসা হয়ে এলাকার কি বেশিই ক্ষতি হয়ে গেল? মকতব থেকে হেফজ বিভাগ হয়ে এলাকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা কোরানের হাফেজ হয়ে মা বাবার মুখে হাসি ফুটালো। গায়ে জুব্বা পরিধান করলো। চারিত্রিক সৌন্দর্যে এগিয়ে গেল। পরে মাদ্রাসা কারিকুলাম চালু হয়ে হাফেজ হবার সাথে সাথে কোরআন হাদিসের বিস্তর ইলম হাসিল করতে সক্ষম হলো। এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অনেকেই দেশের বাছাই আলেম হলো, এ ছোট্ট টিনের ছাউনি থেকে শিখে বড় বড় দালানে আহরিত ইলম পাঠদানে শক্তি অর্জন করলো, সব কি আমার মতলবি উদ্যেশ্যে ছিল? উত্তরটুকু আপনাদের কাছে জমা দিলাম। সবমিলিয়ে ছোট মানুষ হয়ে বড় স্বপ্ন হয়তো দেখেছি, তবে অভিযুক্ত অপরাধের মতো হীন উদ্যেশ্য আমার মধ্যে কিঞ্চিৎ ছিল না, ওয়াল্লাহী।অভিযোগ: ২
দীর্ঘ সময় ধরে তার মন মতো একটি সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালিয়ে আসছিল। যদিও কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার আইন কানুন থাকলেও নিয়ম-কানুন কোনোটাই মানা হয়নি। কমিটির সদস্যদের শত ভাগের ধর্মীয় জ্ঞান নাই যা আইনের বাহিরে।জবাব: ২
মন মতো সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালানোর অর্থ আমি বুঝিনি। কারণ, এলাকার মান্যবর কোন সভ্য ব্যক্তি বাদ গেছে যার উত্তম পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের মতো মনগড়া সিন্ধান্ত নিয়েছি? মাদ্রাসা পরিচালনার কানুন কী, তা হয়তো তাদের কাছে শিখা দরকার! কারণ প্রতি বছরই তো হেড অফিস থেকে যাচাইকরণের জন্য কিছু মেহমান আসেন। সম্পূর্ণ অবস্থা দেখেই ফিরেন তারা। অভিযোগ থাকলে তারাই করতো, একাকি সিন্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসা অধপতনের ঘৃণ্য মানসিকতা থাকলে, তারাই ধরিয়ে দিতো! কয়, কার কাছে অভিযোগ করে গেছে তারা? এমন তো হয়নি কখনোই। তাদের আপত্তি হলো, কমিটির সদস্যদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তা সঠিক। কারণ, এমন কিছু মাদ্রাসার একনিষ্ঠ শুভাকাংখী যারা সর্বাত্বক মাদ্রাসার কল্যাণ চায়; এবং বয়সের দিক থেকে মুরব্বি হিশেবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হবার অধিকার রাখেন। তারা কমিটিতে থাকা কোনোদিনও অযৌক্তিক হতে পারে না। বড় বড় মাদ্রাসার দিকে আপনি লক্ষ্য করলেও এমনটা দেখতে পাবেন, যারা মকতবেও পড়ানোর সক্ষমতা রাখেন না, তবে সর্বোচ্চ শুরা আসনে তাদের রাখা হয়েছে মাদ্রাসার উন্নতিলাভের আশায়। এটি দোষ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক।অভিযোগ: ৩
ভেতর ভেতরে দেখা যায় তার সম্পদের পাহাড় খবরটি প্রকাশ হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি ১৪-১৫ হাজার টাকার বেতনধারী কর্মকর্তা হয়ে তার রয়েছে চট্টগ্রামে ভিআইপি প্লাট ও বিভিন্ন এলাকায় জায়গাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসিতা জীবন জাপন, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠজন বলেন বাজার করতে গেলে বাজারের সব থেকে বড় মাছটি তার ঘরে চলে আসে, এবং তার ৩ জন পড়োয়া ছেলে মেয়ের জন্য প্রতি মাসে খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত; এটা কিভাবে সম্ভব? এত টাকা আসে কোথা থেকে?জবাব: ৩
আমার নাকি সম্পদের পাহাড় জমা আছে। যার ফলে এলাকায় বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কতটা মিথ্যুক হলে এমন অন্ধ মন্তব্য করা যায় আপনারাই বলুন। আমার ধবধবে সাদা জুব্বা দেখে যদি আপনার মনে হয় আমি বিশাল সম্পদের পাহাড় জমিয়ে রেখেছি, তবে আপনার চোখ দুটো আর কলবটা জুব্বার মতো সাদা করুন। আপনি হিংসা বশীভূত হয়ে আমাকে রঙিন দেখছেন। জুব্বায় একাধিক পকেট দেখে বিরাট টাকাওয়ালা ধরে বসে আছেন। ওয়াল্লাহী যার বাস্তবতা আমার ভেতর নেই। চট্টগ্রামে দামি প্লট আছে বলেও আপত্তি করেছে তারা। প্লট তো অনেক দূরের, কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি অথবা এক হাত বরাবর আমার নামে আমার পরিবারের নামে অথবা আমার মালিকানায় সস্তা থেকে সস্তা জায়গাও থাকে, আল্লাহর কসম করে বলছি— এ সুন্নাতি লেবাস নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব না। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে বলে তারা মিথ্যে অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে; ভাবা যায়? শাহপরীর দ্বীপের ইয়াহিয়া সাহেবের কাছেও অত সম্পত্তি আছে কি না সন্দেহ। বাজারের বড় মাছ নাকি আমি কেনার সামর্থ রাখি না। যাই কিনেছি, তা নাকি সব প্রতিষ্ঠানের টাকা। একজন রিক্সাওয়ালাও তো পরিবারের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তার বাড়িতেও বাজার হয়। নিত্যদিন বাজার একজন অল্প আয়ের নাগরিকও করেন। আপত্তি সব নাকি আমার বেলায়? আমার বেতন কত, আর বিদেশ সফরে গেলে বেতন কত হয়, আর আত্মীয়দের নেক দৃষ্টি সব মিলিয়ে ছোট্ট পরিবারটা চালাতে পারলে যদি এহেন অভিযোগ গায়ে এসে পৌঁছয়; তবে তা মিথ্যে বৈ কিছু্ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাইরে ছেলেদের পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব? আমি তো আর ছেলে মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াই না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াই। আপনার ছেলে মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে যত খরচ, ঠিক সেইম খরচ ওখানেও। শুধু জায়গার দূরত্বে গাড়ি ভাড়া ভিন্ন। ভেতরের আর্তনাদ কে শুনে? এমনও অনেক সময় অতিবাহিত হয়; যখন তাদের পকেট শুন্য হয়ে খরচ তলবে টাকার কথা জানান দেয়। আর নাজুক পরিস্থিতি লুকিয়ে ধার নিয়ে যে কতবার তাদের হাজত পূরণ করা হয়েছে সে খবর তো আর ষড়যন্ত্রকারীরা রাখে না।অভিযোগ: ৪মাঃ জামালের অপসারণ চাই তো চাই!
জবাব:৩
দেখুন অপসারণযোগ্য অভিযোগ থাকলে প্রমাণাদি নিয়ে আপনারা আসুন, চাইতে হবে না; আমি অধম যদি অপসারণযোগ্য কিছুই করে থাকি নিজে নিজেই তো নিজের সম্মান বাঁচাব। তা না করে আপনারা যেসব বিকল্প পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত মানহানিকর এবং হিংসা বশীভূত আচরণ। -
উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উখিয়ায় ৪ দিন টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩০/ ৩৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,লম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
-
কক্সবাজারের খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে রাজকীয় বিদায়
নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত পেশ ইমাম মাওলানা ক্বারী নূরুল হক সাহেবের সম্মাননা ও বিদায় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার, এসময় সম্মানিত ইমাম সাহেবকে প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে ৩,৫০,০০০/-, এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে ৩,০০,০০০/-, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ১,০০,০০০/-, সর্বমোট=৭,৫০,০০০/- (সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) নগদ প্রদান করা হয়। তিনি সুদীর্ঘ তিন যুগ অর্থাৎ ৩৬ বছর অত্র জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন ইমাম সাহেবকে এভাবে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পেনশন হিসেবে নগদ প্রদান করে বিদায় দেওয়ায় এলাকাবাসীসহ মসজিদ কমিটিকে শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রচারে: এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখা।
-
পুকুর থেকে মহিলার লাশ উত্তোলন-
সাংবাদিক জিহাদ পীরগাছা, রংপুর।
পীরগাছা উপজেলার তাম্বূল পুর ইউনিয়নের রমজান আলী মুন্সী কলেজ এর পুর্ব পরশে মাইক ওয়ালা রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী মাসুদা বেগমের লাশ অদ্য সকাল ৯ ঘটিকার দিকে মরহুমার ছোট মেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে থাকতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। এর পর আশেপাশের লোক জন এসে পীরগাছা থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় পুলিশ ফোর্সসহ এসে পুকুর থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর উদেশ্য পাঠিয়ে দেন। এসময় তাম্বুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রশিদ মুকুলসহ স্থানীয় কয়েক জন মেম্বার ও গন্যমাণ্য ব্যক্তি ছাড়াও এলাকার শতশত নারীপুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
খোজখবর নি জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মাসুদা ওদুই সন্তান থাকার পরেও দিতীয় বিবাহ করে সংসার চালাতেন। সাইকেল রিক্সার মেকারী ও মাইক ভাড়া দিয়ে সামান্য আয়ে দুই স্ত্রীর ভরন পোষন চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বড় স্ত্রীর সাথে ঝগরাঝাটি ও ডাংমার করতেন। এরপরেও বড় স্ত্রীর খরচ চালাতেন না। এমতাবস্থায় শুধু সন্তানের দিকে চেয়ে মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সামীর সংসারে পরেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
আরো খোজখবর নিয়ে জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ও তার বড় ভাই শফিকুল গতকাল সন্ধ্যা থেকে পলাতোক।লোকজন বলাবলি করছে মাসদাকে মেরে ফেলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য লাশ পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। কেহ কেহ রফিকুল কে সেফ করতে মিরকী রোগের কথাও বলছেন। যেটাযাই হোক এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। -
টাইপালং আদর্শ সমিতির উদ্যোগে জুমার নামাজের পর মুসল্লীদের নিকট বিভিন্ন বনজ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরণ করেন
ওসমান সরওয়ার এর পাঠানো তথ্য।
কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্বে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপালং ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সমাজিক সংগঠন, টাইপালং আদর্শ সমিতির উদ্যোগে অদ্য ১২ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লীদের মাঝে বিভিন্ন বনজ, ফলজ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি জনাব আব্দুল মাজেদ সওদাগর, ব্যাংক কর্মকর্তা জনাব ছালেহ জুহুর, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার প্রমুখ সহ স্থানীয় মুসল্লী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক: UkhiyaVoice24.Com
-
পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে মায়ের জানাযা পড়া হলো না ছেলের
নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে মায়ের মৃতদেহ বাড়ীতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সাংবাদিক পুত্র সিফাত, ১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যায় সে।বুধবার বিকালে না ফেরার দেশে চলে যান তার মা জেসমিন আকতার। মা মারা যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে বোরহান উদ্দীন সিফাত। কিন্তু মায়ের কথা ভেবে ও স্বজনদের কথামতো পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে রাজি হয় সে।বোরহান উদ্দিন সিফাত ঈদগাঁহ রশিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে ঈদগাঁও উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক মৌলানা বদিউর রহমান হাশেমী বদরুর কনিষ্ঠ ছেলে। ১০ জুলাই-২০২৪ বুধবার বিকাল ৫.১৫ ঘটিকার দিকে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন সিফাতের মা জেসমিন আক্তার।
১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১০ টায় তার মায়ের জানাজা ও দাফনের সময়ক্ষন নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু একই সময়ে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় তাকে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে বিধায় মাকে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত না করেই তাকে ছুটতে হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে। স্থানীয় শিয়া পাড়া কবরস্থান মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এদিকে সাংবাদিকপত্নী জেসমিনের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ঈদগাঁওয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।