Category: অপরাধ

  • আনোয়ারাতে ইয়াবাসহ ৪ যুবক গ্রেফতার

    আনোয়ারাতে ইয়াবাসহ ৪ যুবক গ্রেফতার

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে

    আজ শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের দেহ তল্লাশী করে ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হল খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানার আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের পুত্র মোঃ মাসুদ রানা (২৮), তার ভাই মোঃ রিয়াজ হাওলাদার (২৩), একই জেলার মৃত বাবুল মোল্লার পুত্র সাজু মোল্লা (২৪) ও মোঃ বাবুল হোসেনের পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান (২৩)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় গ্রেপ্তারকৃতরা স্থানীয় কোন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো ক্রয় করে চট্টগ্রাম শহরে বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছে।

  • ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু ১০বছরে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক ভোলার নুরুল ইসলাম

    ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু ১০বছরে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক ভোলার নুরুল ইসলাম

    বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা।

    টেকনাফ বন্দরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিল নুরুল ইসলাম। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১০ বছরে চাকরি করে অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন ৪৬০ কোটি টাকা। এসব অর্থ তিনি বন্দরে অবৈধভাবে পণ্য খালাস করে কামিয়েছেন।

    এই অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ৩৭টি বাড়ি ও জমি কিনেছেন। এছাড়া ঢাকার সাভার, টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন সম্পত্তি।

    র‍্যাবের একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার ভোররাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে র‍্যাবের একটি দল তাকে আটক করে। এসময় বিপুল বিদেশি মুদ্রা, ইয়াবা ও জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

    র‍্যাব জানায়, একসময় টেকনাফ বন্দরে ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন নুরুল ইসলাম। বন্দরের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করলেও অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তার পদে অন্য আরেকজনকে চাকরি দেন। আর অবৈধ উপায়ে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অঢেল সম্পত্তি কেনেন।

    মোহাম্মদপুরের হাজি দীন মোহাম্মদ রোডে তার সাড়ে চার কাঠা জমির উপর সাততলা ভবন রয়েছে। এছাড়া নবোদয় হাউজিংয়ে সাত কাঠা জমির উপর সাততলা বাড়ি, ঢাকা উদ্যানে নয় কাঠা জমি ও ১৭টি দোকান রয়েছে। যার মুল্য ১৫ কোটি টাকা। মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানে চার কাঠা জমি ও দুইতলা ভবন, একতা হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি, হাজী দিল সড়কে ১১ কাঠা ও দুই তলা সাতটি দোকান, নবোদয় হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি ও বাড়ি রয়েছে। এমন অনেক সম্পদের খোঁজ র‍্যাব পেয়েছে। সব মিলিয়ে নুরুল ইসলামের ৩৭টি জায়গা ও বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

    এছাড়া নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নুরুল ইসলামের অনেক অর্থের সন্ধান মিলেছে।

  • “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান।

    সুমাইয়া আক্তার মীম সুমা আক্তার চার বছরের একটি মেয়ে শিশু। শিশুটি তার মা বুলবুল আক্তার (২৫) এবং সৎ পিতা নুরুল হক (৩৫) এর সাথে উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ্যা কাঠালিয়া সাকিনে জনৈক মোস্তফা জাবেদ এর টিনের কলোনিতে ছোট্ট একটা রুমে ভাড়া থাকতো। নুরুল হক (৩৫) শিশুটির সৎ পিতা হলেও ছোট্ট সুমাইয়া তাকে আব্বু বলেই ডাকতো। তাদের সাথে আশপাশের প্রতিবেশী কারো কোন সখ্যতা গড়ে উঠেনি।

    প্রায় দুইমাস এই কলোনিতে ভাড়া থাকা অবস্থায় ঘাতক নুরুল হক তার স্ত্রী বুলবুল আক্তারের সহযোগীতায় শিশুটিকে বিভিন্ন সময়ে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। কখনো প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ঘরের চালের তীরের সাথে উলটো করে ঝুলিয়ে, কখনো মাথায় আঘাত করে, কখনো গালে কামড় বসিয়ে আবার কখনোবা পেটে পীঠে ঘুষি মেরে চলতে থাকে অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতন। এই অসহনীয় ব্যাথায় শিশুটি চিৎকার করে আর্তি জানাতো “আব্বু আমাকে আর মারিও না, আমি তোমার সব কথা শুনবো”। তথাপিও ঘাতক সৎপিতা নুরুল হকের হৃদয় গলেনি কিংবা স্বামীর নেশায় মত্ত থাকা মা বুলবুল আক্তারের মন গলেনি।

    গত ১৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ মাহে রমজানের ২য় দিন সকাল থেকে শিশু সুমাইয়া(৪) কে না খাইয়ে রাখে।
    এমনকি পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি৷ একই দিন বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে শিশুটির উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন। প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সাথে ঘাতক নুরুল হক এর ঘুষির আঘাত। অতিরিক্ত ব্যাথায় নির্বোধ সুমাইয়া কান্না করার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পরে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেয়েটির গলা টিপেও ধরা হয়। একই তারিখ দিবাগত রাত আনুমান ৯ ঘটিকার দিকে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে। শিশু সুমাইয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে ঘরের মেঝে পাটির উপর শুইয়ে কম্বল চাপা দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘাতক সৎপিতা নুরুল হক এবং মা বুলবুল আক্তার সেহেরীর পর রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১০ ঘটিকার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জনৈক রোজিনা আক্তার সুমাইয়াদের ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা তালাবদ্ধ দেখে পাশের রুম থেকে পার্টিশন বেড়ার উপর দিয়ে দেখে শিশু সুমাইয়ার নিথর দেহ কম্বল চাপা অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে আছে৷ এই দৃশ্য দেখে রোজিনা হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে উঠে। রোজিনার চিৎকার শুনে পাশের দোকানের মতি মিয়া দৌড়ে আসে। ততক্ষণে আশপাশের আরো অনেক মানুষ এসে ভিড় জমায়৷ রোজিনার কথা শুনে সবাই দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝে পাটির উপর কম্বল চাপা অবস্থায় শিশু সুমাইয়ার নিথর মৃতদেহ পরে আছে। এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত উখিয়া থানা পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আশপাশের মানুষদেরকে ভিকটিমের পিতা মাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে কেহ কোন তথ্য দিতে পারেনি৷ বাড়ি ওয়ালা ভাড়াটিয়ার তথ্য সংরক্ষণ করে রাখেনি। ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় জনগণ শিশুটির দাফন কাফন সম্পন্ন করে। ঘটনার চারদিনপর উখিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামির কথা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। দ্বিতীয়দিন পুনরায় ঘটনাস্থলটি পুংখানু পুংখভাবে পরিদর্শন কালে ঘরে একটি সিম কভার খুজে পাওয়া যায়৷ উক্ত কভারের ভেতর থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আসামীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। আসামীদের বাড়ি ভিন্ন এলাকা, ভাসমান অবস্থায় ঘোরাঘুরি এবং ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব ছিল না। ঘটনার ৪ মাস পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সুমাইয়ার মামার সন্ধান পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করিয়া উখিয়া থানার একটি চৌকস টিম রামু থানাধীন গর্জনিয়া এলাকায় গিয়ে কৌশল অবলম্বন করে আসামীদের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আসামীরা গর্জনিয়া বাজারে পৌছামাত্র তাদেরকে ধৃত করতে সমর্থ হয়। কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শিশু সুমাইয়া আক্তার মীম @ সুমা আক্তার (৪) কে নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সুমাইয়া (৪) হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তাদের নিজেদের দায় স্বীকার করে গত ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার পর থেকে তারা কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, লোহাগড়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।
    কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন বিজ্ঞ আদালত হয়ে জেলখানায়।

  • চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ধারী ০২ জন প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

    চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ধারী ০২ জন প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকায় সিফাত মেডিকেল হল নামীয় ফার্মেসী এবং শাহ আব্দুল মালেক মেডিকেল নামীয় চেম্বারে কতিপয় ব্যক্তি ভ‚য়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার খোলে চিকিৎসার নামে নিরীহ রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১৮ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ ১৯২০ ঘটিকা হতে ২০৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। যীশু চৌধুরী (৪৪), পিতা-মৃত পরিমল চৌধুরী, সাং-দক্ষিন, থানা- পটিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- নন্দন কানন, থানা- কোতয়ালী, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ২। আশীষ মজুমদার (৩৮), পিতা-সুনীল চন্দ্র মজুমদার, সাং-গোবিন্দপুর, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে- মাইজপাড়া, থানা-পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম মহানগরীকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের ভ‚য়া ডাক্তার বলে স্বীকার করলে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফার্মেসী এবং চেম্বার তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরণের ভূয়া ডাক্তারী সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ভ‚য়া এমবিবিএস ডক্তার সেজে নিরীহ রোগীদের নিকট ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র প্রদান করতঃ তাদের নিকট থেকে প্রতারণামূলক ভাবে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    এইচ এম সাইফুল নূর, স্টাফ রিপোর্টার,কলাপাড়া, পটুয়াখালীঃ

    কলাপাড়ায় কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম (২২) আজ শনিবার বেলা ১১টায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি অবশেষে হেরে গেলেন। গত ২৮ জুলাই রাত নয়টার দিকে তেগাছিয়া বাজারের দক্ষিণ দিকে স্লুইস সংলগ্ন সড়কে আটকে বেধড়ক কুপিয়ে রাকিবুলের ডান হাতের কব্জি বরাবর কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রাকিবুল ইসলামের মা রাহিমা বেগম ২৯ জুলাই রাতে কলাপাড়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি নোমান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, নয়ন বয়াতী ও রুবেল সিকদারকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। মামলায় ছাত্রলীগের মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রুবেলকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করছেন মানুষ।

    স্থানীয়রা জানান, রায়হান ও তাঁর ছোট ভাই তরিকুলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এরা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার, আজিমদ্দিন, মেলাপাড়া, সাফাখালীতে ত্রাস করে আসছে। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা মহড়া দেয়। সালিশ, সরকারি খাল দখল, মাছের ঘের দখল করাই হলো এ বাহিনীর কাজ। কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকি আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কফিল উদ্দিন জয়,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি।

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়া এলাকা হইতে ফের ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সদস্যরা।

    ৬ আগস্ট ২০২১ খ্রুিঃ শুক্রবার ১,৪৫ ঘটিকার দিকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি চৌকষ আভিযানিক দল উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড করইবনিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাচারকৃত বিদেশ প্রবাসীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বিপুল পরিমান ইয়াবা রাখার গোপন স্থানে হানা দিয়ে ব্যাপক তল্লাশী করে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ইয়াবা যার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
    যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

    এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পহেলা জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত ২২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৪৭জনকে আটক করা হয়।।।

     

    উপজেলার একই এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট
    কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জানান।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১,১৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়ার পাহাড়ী জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বস্তাবর্তী ৪ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যদের অভিযানে এসব ইয়াবা জব্দ করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
    বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঐ সময় বিজিবির ওপর সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবি ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এতে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পৃথক অভিযানে জব্দকৃত ইয়াবা ৪১ কার্ট মূল্য প্রায় ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ইয়াবা জব্দের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া গ্রামের বড় ইয়াবা সিন্ডিকেটের পরিচালক, সহযোগিরা সকল সদস্য রাত্রে ইকবালের গ্রুর ফার্মে থাকলেও দিনের বেলায় যার যার স্হানে চলে যায় বলে স্হানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে রাতে পাহাড়া দেয়ার জন্য হাজারো ২০ থেকে ৩০ জন ইয়াং যুবককে ১০০০ করে বেতন দেয় দৈনিক।

    এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়ার পালং এর অধ্যশতাদিক যুবক ও ছাত্ররা। সিন্ডিকেটের মূল ইয়াবা পরিচালক হিসেবে রয়েছে নুর হোসেন চেয়ারম্যান, ইকবাল, হাকিম আলী, ভুট্টো, হানিফের ছেলে মিজান, রশিদ এর ছেলে ইউনুস ফারুক, বোরহান উদ্দিন, আরো অনেক নারী পুরুষের নাম তাকলেও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে সব সদস্যের নাম বের করা সম্ভব হবে বলেন স্হানীয় জনগোষ্ঠী

  • চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ০১ ভিকটিম উদ্ধারসহ ০২ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ০১ ভিকটিম উদ্ধারসহ ০২ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    গত ২৭/০৬/২০২১ ইং তারিখ কতিপয় অপহরণকারী ভিকটিম কে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় গত ১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়; যার মামলা নং- ১৮, তারিখ-১৫/০৭/২০২১ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/২০০৩) এর ৭/৩০। উক্ত ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম মহানগরীরর কর্ণফুলী থানাধীন খইদ্দারটেক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০১ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ ০৮৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। সরোয়ার আলম (৪০), পিতা- মৃত ওসমান গনি, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা, ০৫নং ওয়ার্ড, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ শহিদুল্লাহ (৩৭), পিতা- মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা ইউপি, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রামদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ঘটনা স্থল হতে ভিকটিম কে উদ্ধার করে। আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত অপহরণের সত্যতা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • আনোয়ারা রায়পুরে মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামের মধ্যে মারামারি

    আনোয়ারা রায়পুরে মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামের মধ্যে মারামারি

    আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৩নং রায়পুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

    অধ্য (২৪ জুলাই ২১) শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান,শুক্রবার রাতে উপজেলার রায়পুর গ্রামের বাদিল্লার বাড়িতে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।

    এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা পার্শ্ববর্তী চুন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মো.শাহেদ(২৮) একটি পক্ষ নেন। এতে ওই বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে শাহেদ ওই বাড়ি ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যান।

    এ ঘটনায় পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক বসার কথা ছিল। শনিবার সকালে লোকজন নিয়ে শাহেদ ওই বাড়িতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় রায়পুর বাদিল্লা বাড়ির লোকজন স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসছে বলে ঘোষণা করে। এর জের ধরে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

    আহতদের কয়েকজনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
    ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,জানে আলম বলেন,এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কয়েকদিনের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন,এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • চট্টগ্রামাের বাঁশখালীতে ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ দখলকারদের উচ্ছেদ

    চট্টগ্রামাের বাঁশখালীতে ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ দখলকারদের উচ্ছেদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের (অস্থায়ী) গুনাগরী বাজার ইজারাদার কর্তৃক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গা দখলপুর্বক অর্ধশতাধিক দোকান নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দখল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠার পর উপজেলা প্রশাসন অভিযোগ যাঁছাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে অবৈধ প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে। অস্থায়ী গুনাগরী বাজার ২০২১-২০২২ সালের ইজারাদার কর্তৃক নতুন করে ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে নির্মাণকৃত ৬টি মুরগীর দোকান সহ মুদির দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান ও মাছের দোকান মিলিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ দখলকৃত দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন উপজেলা প্রশাসন।

    আজ (১৪ জুলাই ২১), বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে শক্তিশালী প্রশাসনিক একটি টীম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগীতায় ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঁশখালী থানা পুলিশ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম।

    অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে, তারা বাজারে নবনির্মিত দোকানগুলো ইজারাদারের কাছ থেকে প্রতিটি দোকান ৩০ হাজার টাকা করে দাম দিয়ে দখল ক্রয় করেছেন। এসময় ইজারাদার হাসান কামালের কাঁছে অবৈধ দোকানগুলোর দখল বিক্রি করে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে) বলেন, “স্যার আমি ২৮ হাজার টাকা করে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সাবমারসিবল(গভীর নলকূপ) পাম্প সহ পানির ড্রাম স্থাপন করেছি এবং দোকানগুলো নির্মাণ করেছি। কার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলেও কিছুক্ষন পরে বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে পানির পাম্প স্থাপন করেছি।” ইজারাদার হাসান কামাল অবৈধ সব দোকান ও করেনি বলে দাবী করে বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজে নিজেও কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছেন। কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাজার ইজারাদারের সাথে এই বিষয়ে কোন আলাপ-আলোচনা হয়নি বলে দাবী করেন।

    এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভূমি অফিসের জায়গায় বাজার ইজারা দেওয়া হয়নি। ভূমি অফিসের জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই, পূর্বের ন্যায় বাজার যতটুকু ছিল তাতে বাজার বসবে, ভূমি অফিসের সামনে প্রধান সড়ক দখল করে নানান রকম ফলের দোকানগুলো ব্যবসায়িদেরকে স্ব-স্ব দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ভূমি অফিসের জায়গায় গাড়ী পার্কিং না করার জন্য সিএনজি শ্রমিকদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।। পরবর্তীতে ভূমি অফিসের জাগায় দখল করে দোকান নির্মাণ, গাড়ী পার্কিং করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন এসি ল্যান্ড।

  • আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই প্রদান করেছে স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রীজ

    আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই প্রদান করেছে স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রীজ

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    করোনার চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ৫০০ সেট পিপিই প্রদান করেছে স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টীজ। আজ (১৩ জুলাই ২১) মঙ্গলবার দুপুরে স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবর রহমান সিআইপি উপস্থিত হয়ে করোনা ফোকাল পারসন ও অত্র হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ আব্দুর রব মাসুম ও অর্থোপেডিকসের কনসালটেন্ট ডাঃ অজয় দাসের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা ৮৮ চট্টগ্রাম জেলা প্যানেলের জয়েন্ট কোঅর্ডিনেটর বশির উদ্দিন আহমেদ, মুন্না চৌধুরী ও জসীম উদ্দিন চৌধুরী।

    উল্লেখ্য, স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রীজ করোনা মহামারী মোকাবেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের জন্য হাই-ফ্লো-ন্যাজাল ক্যানোলাসহ ডাক্তার ও নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই প্রদান করে আসছে।