Category: ঈদগাঁও

  • ঈদগাঁও’তে নব-নির্বাচিত ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ঈদগাঁও’তে নব-নির্বাচিত ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইমরান তাওহীদ রানা- স্টাফ রিপোর্টার,

     

    শিক্ষা শান্তি প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি এই স্লোগান কে বুকে ধারণ করে, নব ঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলার আলী বিন আবি তালিব মাদ্রাসা হল রুমে রবিবার বিকাল চার ঘটিকায় ঈদগাঁও ইউনিয়নের নব গঠিত ৭নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কমিটি ছাত্রলীগের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত,

    ঈদগাঁও ইউনিয়নের আওতায়ধীন ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল রহমান রিমনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা আহমেদ করিম সিকদার, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল কবির (গম ভাই), প্রধান মেহমান এর বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম নুকী,

    এই সময় উপস্থিতি ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য হাজ্বী আব্দুল গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য ছাবের আহমদ, নাজির হোসেন নাজু, কবির আহমদ, মোহাম্মদ হোসেন খাদেম, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাষ্টার কফিল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহিম, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি নুরুল হক (ভাইয়া), নুরুল আক্কাস, দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদ, অত্র ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনচার মিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সভাপতি মোহাম্মদ নুর, আরো উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা শাহিনুর রহমান সোহেল, রায়হান, রাকিব, উমর ফারুক বাবু, রাশেদ, গিয়াস উদ্দিন, রিয়াদ, মোবারক সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিকলীগ এর ঈদগাঁও ইউনিয়ন ০৭নং ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দরা।

    রেজাউল রহমান রিমন জানান আমাদের নব গঠিত কমিটির মত বিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে যারা ধন্য করেছেন সবার প্রতি আমার এবং ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রক্তিম ভালোবাসা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, আমি সকল সহযোদ্ধাদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহোগীতা করতে চাই, ৭নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ হবে মডেল ছাত্র সমাজ, সবার ভালোবাসায় এগিয়ে নিয়ে যাব আমার প্রানের সংগঠন,

    মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় ঈদগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ধন্যবাদ জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা কে জয় করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদর্শে রাজনীতি করে যাব।

  • ঈদগাঁও উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে ৩ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    ঈদগাঁও উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে ৩ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    বার্তা সম্পাদক,

    ঈদগাহ জাহানারা ইসলামিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় –

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারের নব ঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলায় তিন শতাধিক গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবারে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে
    ঈদগাহ জাহানারা ইসলামিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে যুবলীগ নেতা নুরুল আলম ও আহমেদ করিম সিকদার এর যৌত উদ্যোগে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বিতরণ করা ইফতার সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল চনা, মুড়ি, তেল, আলু, পেঁয়াজ, সেমাই সহ নানা ভোগ্যপণ্য। এসব খাদ্যসামগ্রী পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন গরিব-অসহায় মানুষরা।

    নুরুল আলম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গরিব, অসহায়, দিনমজুর এমন তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও এমন নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।’

    ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা আহমেদ করিম সিকদার, ঈদগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবছার কামাল, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু হেনা বিশাদ, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বাদশা মিয়া, শ্রমিক লীগ নেতা জুুনাইদ হোসেন জিকু, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদ প্রমুখ।

  • বিকেএসপির তৃণমূল পর্যায়ে  ট্রয়ালে চান্স পেয়েছেন ঈদগাঁওর দুই কৃতি-ক্রিকেটার

    বিকেএসপির তৃণমূল পর্যায়ে  ট্রয়ালে চান্স পেয়েছেন ঈদগাঁওর দুই কৃতি-ক্রিকেটার

    ইমরান তাওহীদ রানা- ঈদগাঁও,

    বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপির) তৃণমূল পর্যায়ে ট্রায়েল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে ঈদগাঁও একাডেমির দুই ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ নাওশাদ ফিদা ও আব্দুলাহ আল মারওয়ান মাহি।

    সারাদেশের ১৭০ জন প্রতিযোগিদের মধ্যে ফাষ্ট বোলার হিসেবে ৪২ তম স্থান অর্জন করে ফিদা ও অপরদিকে ব্যাটার হিসেবে ১৪৭ তম স্থান অর্জন করেন মাহি।

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন জাগীর পাড়া ১নং ওয়ার্ডের ডুবাই প্রবাসী মো: ফরিদুল ইসলাম এর ছেলে ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নওশাদ ফিদা,

    অপর দিখে নতুন অফিস ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মনছুর আলম এর ছেলে খুটখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মরওয়ান মাহি ।

    ঈদগাঁও ক্রিকেট একাডেমি হেড কোচ শাহরিয়ার খাঁন বলেন, প্রিয় ঈদগাঁওবাসী আপনারা আমাদের ঈদগাঁও ক্রিকেট একাডেমির জন্য দোয়া করবেন,
    আমাদের ২জন ছাত্র মাহি ও ফিদা বিকেএসপির তৃণমূল পর্যায়ে ট্রায়েলে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ মাসের ক্যাম্পের জন্য, এই ক্যাম্প সফলভাবে শেষ করে পরবর্তী ২মাসের ক্যাম্পে যাতে ডাক পায় সেজন্য মন থেকে দোয়া করবেন।

  • ইসলামাবাদে গভীর রাতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার ডা.ওমমান

    ইসলামাবাদে গভীর রাতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার ডা.ওমমান

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    ঈদগাঁও ইসলামাবাদে গণপিটুনিতে ভুয়া ডা. ওসমান হাসপাতালে ডাক্তার সেলিম উল্লাহ ও মোবারক হোসেনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ভূয়া ডাক্তার ওসমানকে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাটিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
    এঘটনায় মোবারক হোসেনের স্ত্রী হাছিনা আক্তার বাদী হয়ে ডাক্তার ওসমান কে অভিযুক্ত করে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে একই ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়াল খালী এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে।
    গত ২৮শে মার্চ বিকাল ৩ টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়াল খালী এলাকার ডাক্তার সেলিম উল্লাহর বসত বাড়ীতে এঘটনা ঘটে।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওসামানের থাকার কোন স্থান না থাকার কারণে তার বড় ভাই মোবারক হোসেন নিজ বাড়ীর রান্না ঘরে স্বপরিবারে থাকিতে দেয়।
    অভিযুক্ত ওসমান এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গিয়া বসত ঘরে প্রবেশ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি দিলে হাছিনা আক্তার প্রতিবাদ করিলে সে ধাক্কা মারিয়া আহত করে।
    ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানা পুলিশের এএস আই শামশুল আলম বলেন,অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন।
    এ নিয়ে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও এলাকার বাসী।

  • কৃষকের বসত ঘরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ভাংচুর লুটপাট আহত ০৪ ঈদগাঁওতে

    কৃষকের বসত ঘরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ভাংচুর লুটপাট আহত ০৪ ঈদগাঁওতে

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার কৃষক আব্দু শুক্কুরের বসত বাড়ীতে দিন দুপুরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এঘটনায় ৩০শে মার্চ আব্দু শুক্কুর বাদী হয়ে ১২ জন কে অভিযুক্ত করে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযুক্তরা হলেন,বর্ণিত উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে মোঃ হোসেন,হামিদ,এরশাদ,মিশকাত,হাছিনা,মিনা,লেদু,আমিনা,সাবেকুল নাহার,মনজুর আলম,রুবেল,ভেদু।

    গত ৩০শে মার্চ বিকাল ৩ টার দিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকার মৃত নাজির হোসেনের ছেলে আব্দু শুক্কুরের বসত বাড়ীতে এঘটনা ঘটে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দু শুক্কুরের ভোগদখলীয় জমি বিরোধ নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা বর্ণিত সময়ে বসতঘরের ৩ টি রুম ভাঙ্গা শুরু করিলে আব্দু শুক্কুর বাধা দিলে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা এলোপাথাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো ও ফোলা জখম করে। এসময় ৩টি রুমে থাকা আসাবাব পত্র সহ জিনিষপত্র ভাংচুর করে নগদ ৬০,০০০/-টাকা, স্বর্ন ৩ ভরি নিয়ে পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়।পুলিশ ও স্থানীয় এলাকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

    এলাকাবাসীরা জানান,এনিয়ে আবারও বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও এলাকার লোকজন।

  • মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার

    মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার

    ইমরান তাওহীদ রানাঈদগাঁও,

    সমসাময়িক সময়ে নিজ মালিকানা স্বত্বীয় বা দখল স্বত্তীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল নিত্য নৈমন্তিক ঘটনা মাত্র। রোজ পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই এহেন প্রভাবশালী ও অবৈধ দখলকার কর্তৃক দুর্বল ও কুঠির জোরহীন ব্যক্তিদের নিজস্ব মালিকানা স্বত্বীয় (Possessory Ownership) ও দখলি স্বত্বীয় (Possessory title) স্থাবর সম্পত্তি হইতে অবৈধভাবে বেদখল করার স্থিরচিত্র দৃশ্যমান হয়।

    কোন নাগরিক এহেন ঘটনায় পতিত হলে থানায় মামলা করতে চায়, কেহ আবার স্থানীয় থানা পুলিশ মারফত দখল পুনরুদ্ধার করে নিতে চাই। এহেন পরিস্থিতিতে অনেক নাগরিক প্রকৃত করণীয় বিষয়ে না জানার ফলে উক্তরূপ সমস্যাটির আরও দীর্ঘসূত্রিত হয়। প্রকৃত সত্য যে, প্রকৃত মালিক বা দখলকার ব্যক্তি অবৈধভাবে বেদখল বা দখলচ্যুত হইতে উক্ত দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করে প্রতিকার চাইতে হবে।
    প্রথমত, স্থানীয় সালিশ বিচার মারফ (এহেন সালিশ বিচার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কর্তৃক বা যে সব অঞ্চলে সালিশী প্রথা বিজ্ঞ জনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় সে সব ক্ষেত্রে গ্রাম/মহল্লার প্রধান কর্তৃকও) তবে স্থানীয় সালিশ বিচার মানতে কোন নাগরিককে বাধ্য করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, দেওয়ানী/ ফৌজদারী আদালতে মামলা দায়ের করণের মাধ্যমে ফৌজদারী মামলা দায়ের এবং প্রতিকার ঃ কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি থেকে বেদখল হওয়ার ০২(দুই) মাসের মধ্যে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ অথবা ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে এম.আর মামলা রুজু করতে পারবেন। উক্ত মামলা দায়ের পরবর্তী বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মামলার গুণাগুণ বিবেচনা করতঃ প্রতিপক্ষকে কারণ কারণ দর্শাতে পারেন অথবা তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ নিবৃত্ত করার জন্য প্রতিপক্ষকে বারিত (নিষেধাজ্ঞা) ও করতে পারেন অথবা স্থানীয় ইউনিয়ন (ভূমি) অফিস ও অন্যান্য মারফত তপশীলোক্ত সম্পত্তি সংক্রান্তে প্রকৃত দখলকার বিষয়ে “তদন্ত প্রতিবেদন” ও তলব করতে পারেন অথবা মামলাটি দায়েরের ১ম দিনই নথিজাত (খারিজ) করতে পারেন। ম্যাজিষ্ট্রেট যদি প্রকৃত দখলকার বিষয়ে “তদন্ত প্রতিবেদন” তলব করে থাকে, সেক্ষেত্রে “তদন্ত প্রতিবেদন” আসলে উক্ত “তদন্ত প্রতিবেদনের” আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যেমন পূর্ববর্তী ০২ (দুই) মাসের মধ্যে যদি কোন পক্ষ জোরপূর্বক বেদখল হয়ে থাকেন, তাকে ঔই সম্পত্তির দখলকার হিসেবে বিবেচনা করার উদ্যোগ নিবেন। দেওয়ানী আইনের ডিক্রির মাধ্যমে আইন সঙ্গতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবে মর্মে ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দেবেন। এধরনের মামলা খুবই কম সময়ের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। দেওয়ানী মামলা দায়ের এবং প্রতিকার ঃ তৎসংক্রান্তে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ১৮৮৭ এর ধারা ৮, ৯ এবং ৪২ ধারায় মামলা দায়ের করা যাবে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার মর্ম কথা হলো বেদখল অর্থ প্রকৃত উচ্ছেদ বা তাড়ানো অর্থাৎ যে ব্যক্তি প্রকৃত দখলে ছিল তাকে দখল থেকে উচ্ছেদ করাই হলো বেদখল। এই ধারায় মামলা দায়ের ক্ষেত্রে ১টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শুধুমাত্র বাদীর পূর্ববর্তী দখলের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমা দায়ের করা যায় সে ক্ষেত্রে বাদীর সম্মতি ছাড়া এবং আইনগত পন্থা ব্যতীত তাকে দখলচ্যুত করা হয়েছে। এই ধারায় মামলা দায়ের পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ০২ (দুইটি) বিবেচ্য বিষয় বিবেচনা করবে একটি বাদী দখলচ্যুত হওয়ার পূর্বে দখলে ছিল কিনা? অপরটি, মোকদ্দমা দায়েরের পূর্বের ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বিবাদী বাদীকে সম্মতি (Consent ) ব্যতিরেখে এবং আইনগত পন্থা ছাড়া দখলচ্যুত করেছে কিনা? যদি এ দু’টি বিবেচ্য বিষয়ের উত্তর ইতিবাচক হয় তাহলে আদালত বাদীকে ৯ ধারায় দখল অর্পণ করবে।

    ৯ ধারার মামলার বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমানে সমর্থ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার আগ পর্যন্ত দখলে থাকা প্রমান করতে পারেন তবেই তিনি তার পক্ষে ৯ ধারার ডিক্রি পেতে পারেন আলোচনাকৃত ৯ ধারায় মামলা না করেও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ এবং তৎসহ ৪২ ধারায় ও মামলা দায়ের করার ও সুযোগ রহিয়াছে। সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ৮ ধারায় ২টি ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করা যায়, প্রথমটিঃ মালিক কর্তৃক স্বত্বের উপর ভিত্তি করে, অপরটি দখলী স্বত্বের উপর ভিত্তি করে অর্থাৎ ৮ ধারায় মামলায় বিজ্ঞ আদালতকে আপনার দেখাতে হবে যে, আপনার মালিকানা স্বত্ব (Title By Ownership ) ও দখলি স্বত্বীয় (Possessory Title) স্থাবর উভয় রহিয়াছে।

    এই কারণে ১২ (বার) বৎসরের মধ্যে মামলা দায়ের করা যাইবে। ৪২ ধারার মামলা ঃ- আইনানুগ পরিচয় কিংবা কোন সম্পত্তির স্বত্বের অধিকারী কোন ব্যক্তি এমন যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে, যে ব্যক্তি পূর্বোক্ত ব্যক্তির মর্যাদা/ অধিকারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জ্ঞাতব্য বিষয় যে, যেখানে কেবল স্বত্বের ঘোষণা ছাড়াও আরও প্রতিকার দাবি করা যেত, কিন্তু বাদী তা করা থেকে বিরত থাকে, সেখানে আদালত শুধু ঘোষণা প্রদান করবে না।

    ইতিকথা- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮, ৯, ৪২ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় তপশীলোক্ত সম্পত্তি বিবাদী কর্তৃক হস্তান্তর বা জমিটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকলে সেক্ষেত্রে বাদী কিংবা বিবাদী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ( Ad-interim injunction ) চাইতে পারবে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত পাওয়ার পর মামলার গুণাগুণ বিবেচনা করতঃ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করতে পারবে। সম্প্রতি ‘‘দলিল যার স্বত্ব তার” এমন কথিত বক্তব্য শ্রবন করা যাচ্ছে। ইহা বাস্তবে আইনে রূপান্তর করণ আকাশচুম্বী কল্পনা মাত্র।

    লেখকও কলামিস্ট,
    মোবারক হোসাইন সাঈদ,
    এডভোকেট,
    জেলা ও দায়রা জজ আদালত ,কক্সবাজার

  • ঈদগাঁও’তে কমিউনিটি পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ঈদগাঁও’তে কমিউনিটি পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইমরান তাওহীদ রানা- ঈদগাঁও,

    জনতাই পুলিশ, পুলিশ ই জনতা শ্লোগান কে সামনে রেখে ঈদগাঁও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে ডাকাত, সন্ত্রাস,মাদক,ব্যাল্য বিবাহ চুরি ও ছিনতাইকারী প্রতিরোধকল্পে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকাল ৪ টায় ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে ঈদগাঁও পুলিশিং কমিউনিটি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা মাষ্টার নুরুল আজিমের সভাপতিত্বে ও ঈদগাঁও ইউনিয়ন পুলিশিং কমিউনিটি সভাপতি কায়ুম উদ্দিন ডিসেন্টের সন্ঞ্চালানায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত কমিউনিটি পুলিশিং এর উপ পরিদর্শক জনাব কাজী গোলাম মুহি উদ্দিন, যুবলীগ নেতা জামিল উদ্দিন শাম, সহ আরো অনেকে

    উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তারা ডাকাত,সন্ত্রাস, মাদক, ব্যাল্যবিবাহ, চুরি ও ছিনতাইকারী প্রতিরোধ ও নিরসনকল্পের বিষয়ে আলোচনা

    উক্ত সভায় বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

  • পোকখালীতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি,আহত ৪, নগদ টাকাসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

    পোকখালীতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি,আহত ৪, নগদ টাকাসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

    ইমরান তাওহীদ রানা  ঈদগাঁও,

    কক্সাবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী পশ্চিম নাইক্যংদিয়া এলাকায় এক বসতবাড়ীতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের প্রহারে ৪ জন আহত হয়েছে। নগদ ২ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ন, মোবাইল সেটসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। ২৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বর্ণিত ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নাইক্যংদিয়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আকবরের ছেলে অলি আহমদের বসতবাড়ীতে।

    অলি আহমেদ জানায়, ঘটনার সময় ১০/১২ জনের স্থানীয় চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্যরা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে বসতবাড়ির দরজা জানালা ভাংচুর করে বাড়িতে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেসহ ছেলে আরিফুল্লাহ, মেয়ে আসমাউল হোসনা, স্ত্রী ছবুরা খাতুনকে দা, লোহার রড, কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে এবং মারধর করে গুরুতর আহত করে৷তাদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
    স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে৷ তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঈদগাঁও থানার একদল পুলিশ।এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান আহতদের আত্মীয় মোস্তাক আহমদ৷ সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।

    এদিকে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জমি এবং সীমানা বিরোধ নিয়ে ঘটনা বলে জানা গেছে। মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ঈদগাঁওতে এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

    ঈদগাঁওতে এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

    ইমরান তাওহীদ রানা:- ঈদগাঁও,

    কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মধ্যে ইছাখালী রোড় অর্থাৎ গোমাতলী সড়ক থেকে চৌদ্দ কানিয়া পাড়া হয়ে পূর্ব ইছাখালী কোনা পাড়া পর্যন্ত ১৭৫০ মিটার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এম ইন্টার প্রাইজ অনুকূলে কাজ নেওয়া হাবিবুল্লা খাঁন জনি। এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের কনক্রিট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।

    স্থানীয়রা বলেন, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেন। এলজিইডির ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রকল্পে অত্যাধুনিক ইউনি ব্লক ফুটপাথ সিস্টেমের একটি কোটি টাকার সড়ক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইটের খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসীরা এ অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন প্রভাবশালী মহলের প্রচেষ্টায় দায় সারা ঢালাই দিয়ে শেষ করলো বল্কের সিসির কাজ।

    এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে পানিতে থলিয়ে যাবে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে এ সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্দে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে এলাকাবাসীদের।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি যুক্ত বালি দিয়ে মিশ্রত হচ্ছে ঢালাই। তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ রাবিশ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পুরোনো সড়কের কাদা না উঠিয়ে তার উপরই নতুন কাজ করা হচ্ছে। এতেও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার কাজে স্থানীয় স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউকে উপস্থিত বা এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি। অথচ ঢালাই কৃত সিসি তে পা দিয়ে চাপ দিলেই তা ভেঙে যাচ্ছে।

    এ বিষয়ে স্থানীয় আজিম, কামাল ও জসিম বলেন, ঠিাকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোনো তোয়াক্কা না করে অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

    অভিযুক্ত ঠিকাদার হাবিবুল্লা খান জনি কাজের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমার কাজ ভালো হচ্ছে, এ কাজ এলজিইডিই বুঝে নেবে। তাদের কুঝিয়ে দেব।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, কাজের মান ঠিক রেখে কাজ না করলে তা আমরা মেনে নিব কেন? অবশ্যই কাজের মান ঠিক রাকতে হবে।

    এলজিইডির কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ইছাখালী সড়ক উন্নয়ন কাজে দুর্নীতির একটি খবর পেয়েছি। উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে ও কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলার বাদী গ্রেফতার

    ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলার বাদী গ্রেফতার

    ইমরান তাওহীদ রানা:- ঈদগাঁও,

    কক্সবাজার আদালত চত্বরে সংগঠিত বহুল আলোচিত সমালোচিত গণ ধর্ষণ মামলার বাদীনি রুনা আক্তার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বসত বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত রুমা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।

    ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নং ৩০/২৩ ১৭(২) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী ছিল। এইদিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার একদল মহিলা পুলিশ বসতবাড়ী থেকে রুনা আক্তারকে গ্রেফতার করে।

    উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে কক্সবাজার আদালত চত্বরে কথিত গণধর্ষণের মামলা রুনা আক্তার।মামলাটি আদালত কর্তৃক মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রাশেল উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭(২) ধারার মামলা দায়ের করেন আদালতে। এ মামলায় রুনা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

    একই দিন সকালে মামলাবাজ রুনা আক্তারকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন পুলিশ।