Category: কওমী মাদ্রাসা

  • আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

    আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর সদস্য, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুহতামিম ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মুফতী শাহ আবদুল হালীম বুখারী অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    তাঁর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে গিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আতিকুর রহমান এবং ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক।

  • হাটহাজারী থেকে বহিষ্কারকৃত আনাসকে কক্সবাজার লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম বানানোর পেছনে ঘৃন্য দালালী শুরু করেছে ইয়াসিন হাবীব।

    হাটহাজারী থেকে বহিষ্কারকৃত আনাসকে কক্সবাজার লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম বানানোর পেছনে ঘৃন্য দালালী শুরু করেছে ইয়াসিন হাবীব।

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

     

    প্রিয় কক্সবাজারবাসী    আনাসের নব্য দালাল ইয়াসিন হাবীবকে আপনারা সব জায়গা থেকে বয়কট করুন। পুরো কক্সবাজারে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন।

    তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে ইয়াসিন হাবীবকে সতর্ক করছি,ইয়াসিন হাবীব! আপনি যদি আনাসের এই ঘৃন্য দালালী বন্ধ না করেন এবং লাইট হাউস মাদরাসা থেকে আনাসকে বহিষ্কার না করা হয় তাহলে পুরো কওমী জগত আপনাকে বয়কট করবে। এই ঘৃন্য দালালীর কারণে অতিসত্বর আপনি জনবিচ্ছিন্ন হবেন এবং তরুণ প্রজন্ম আপনি ইয়াসিন হাবীবকে যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করতে বাধ্য হবে। সুতরাং -সাবধান হোন। দালালী ছেড়ে সঠিক পথে চলুন।

     

  • নাজিরহাট মাদরাসার শুরা মিটিংএ হাবিবুর রহমান কাসেমী মুহতামিম হন,সলিমুল্লাহসহ ১৩ জন বহিষ্কার

    নাজিরহাট মাদরাসার শুরা মিটিংএ হাবিবুর রহমান কাসেমী মুহতামিম হন,সলিমুল্লাহসহ ১৩ জন বহিষ্কার

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    নাজিরহাট মাদরাসা থেকে ১৩ জন বহিস্কার, হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মুহতামিম নির্ধারণ
    স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশার মাইজভান্ডারীর সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নাজিরহাট বড় মাদরাসার মজলিসে শুরার সিদ্ধান্তক্রমে অবশেষে নাজিরহাট বড় মাদরাসা বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছেন মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা।

    দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে মজলিসে শুরার বৈঠকের মাধ্যমে মাদরাসাটির মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়েছে মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে এবং মাদরাসার সাবেক মুহতামিম দাবিদার ও আল্লামা শফী রহ. এর সময়ে বিতর্কিতভাবে নির্ধারণ করা মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ ও তার সমর্থকসহ সর্বমোট ১৩ জনকে মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

    এছাড়াও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদরাসার মুতাওয়াল্লি নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
    আরও পড়ুন : সরকারের কথায়ই আমি জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আছি : এমপি মাইজভাণ্ডারি
    আজ ২৮ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে প্রশাসনিক কড়া নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হওয়া শুরা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র।
    সূত্র থেকে জানা গেছে – প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

    শুরা বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, নাজিরহাট থানার ওসি বাবুল আকতার সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
    তবে সার্বিক সকল কিছুই তদারকি করছেন স্থানীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি ঘোষণা দিয়েই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থনের কারণে মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর পক্ষে ছিলেন। যদিও তিনি এর আগে মাওলানা সলিমুল্লাহর পক্ষে ছিলেন। নিজের অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন – “সরকার আমাকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে থাকতে বলেছেন বলেই নাজিরহাট মাদরাসা ইস্যুতে আমি জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহিববুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে আছি।”

    আরও পড়ুন : আল্লামা বাবুনগরীর পেছনে সারাদেশ কাতারবন্দি : নজিবুল বশার মাইজভান্ডারী
    নাজিরহাট মাদরাসার শুরা কমিটির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন – আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা নোমান ফয়জী, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাছেমী, মুফতী মাহমুদুল হাসান।, মাওলানা হাফেজ কাসেম।, মাওলানা আনোয়ার শাহ, মাওলানা উমর ফারুক।, মুফতী আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা খুবাইব, জিরি মাদরাসা।

    আজ মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২০ সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মজলিশে শুরার মিটিং থেকে আরও যেসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে তা হলো –

    মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিযুক্তের পাশাপাশি মাওলানা ইয়াহিয়া বিন আবু তাহেরকে সহকারী পরিচালক ও মাওলানা ইসমাইল বিন শামসুদ্দিনকে সহযোগী পরিচালক নির্বাচিত করা হয়েছে।
    মাদ্রসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভীকে শিক্ষা পরিচালক এবং ইফতার জিম্মাদার মাওলানা রবিউল হাসান কে সহকারী শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
    এছাড়াও মদরাসার প্রবীণ শিক্ষক ও মুহতামিম দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ সহ মোট ১৩ জনকে সর্ব সম্মত ভাবে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
    বহিস্কৃতরা হলেন – মাওলানা সলিমুল্লাহ, মুফতি হাশেম, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা নূরুল আলম নছিরী, মাওলানা মিজান, মাওলানা মাহফুজ, হাফেজ আব্দুল কাদের, মাওলানা মামুনসহ মোট ১৩ জন।
    তবে তাদের মধ্যে কাকে কোন দোষে এবং কোন কারণে বহিস্কার করা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা সলিমুল্লাহ মাদরাসায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার ব্যাপারে অর্থনৈতিক অনিয়মসহ বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে।

    আরও পড়ুন :
    নাজিরহাট মাদরাসায় গোলযোগ : যা বলছেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী
    মাদরাসা রক্ষার জন্যই আমি আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি : মুফতী হাবিবুর রহমান

    আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে মামলা : আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রতিবাদ বিবৃতি
    অপরদিকে শুরা বৈঠক নিয়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও কঠোরতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে সবধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় নাজিরহাট বাজারের সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজ বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি মঙ্গলবার বিকালে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়।

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মঙ্গলবার রাত থেকে নাজিরহাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে নাজিরহাট বাজারের ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সবধরণের যানচলাচল ও জনচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

    প্রসঙ্গত : নাজিরহাট বড় মাদরাসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৭ মে মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিস ইন্তেকাল করলে মাদরাসার মুহতামিম পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মুফতী হাবিবুর রহমানের মধ্যে দ্বন্ধও দৃশ্যমান হয় দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি বিষয়টি মামলা ও আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। যে দ্বন্ধে আল্লামা শফীপুত্র আনাস মাদানী মাওলানা সলিমুল্লাহর পক্ষ নিয়েছিলেন এবং আল্লামা শফী রহ. এর স্বাক্ষর নিয়ে মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত দিয়ে তাকে মুহতামিম ঘোষণা করেছিলেন যদিও সেই সিদ্ধান্ত মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী অংশের লোকজন মানেনি। পরবর্তিতে আল্লামা শফীর ইন্তেকালের পর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মুফতী হাবিবুর রহমানের পক্ষে দাড়ান এবং তাকে সমর্থন দেন।

  • ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    এমদাদুল্লাহ শামসীর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলার লাইট হাউস মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া কোনটাই সঠিক ভাবে আদায় করছে না।

    মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করলে ইয়াসিন হাবিব জাতীয় দালালদেরকে সাথে নিয়ে উল্টাপাল্টা,মিথ্যা, বানোয়াট গল্প-কাহিনী সাজাতে বদ্ধ পরিকর।যা আদৌও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে সেই জাতীয় দালাল চক্র থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা উদ্ধার করা হয়েছে। হাটহাজারীর পর বর্তমানে দালাল চক্র থেকে উদ্ধার কাজ চলছে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার। এরপরপরই আমাদের লাইট হাউস মাদ্রাসার উদ্ধার কাজ চলবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন বেশি দূর নয় যেদিন কক্সবাজারকে ইয়াসিন হাবিব সহ জাতীয় দালালদের থেকে পুত-পবিত্র করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    وما توفيقي إلا بالله

  • কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‘ লাইট হাউস মাদরাসা নিয়ে বিরাজমান সংকটের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধান কামনা করেন জেলার শীর্ষ ওলামা-মশায়েখ,ইসলামী চিন্তাবিদ ও কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট শতাধিক আলেম।সংবাদ পত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বলেন, লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসাটি কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বোর্ড অনুমোদিত শুরা কর্তৃক নিযুক্ত মুহতামিম মওলানা মুহাম্মদ আলী। তিনি বিগত ২১-০৮-২০১৫ ইং থেকে অত্যন্ত সুনাম ও খ্যাতির সাথে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জরাজীর্ণ উক্ত মাদরাসার লেখা পড়া ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেন। যার ফলে মাদ্রাসার সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এতদসত্বেও একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাওমি মাদ্রাসার চিরাচরিত নিয়ম কানুন এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেখিয়ে মাদ্রাসাটি দখলের পঁয়তারা করছে।তারা কওমী জগতের কাছে ধিকৃত , নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির দায়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত মাওলানা আনাস মাদানি কে মুহতামিম বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনি ফোরাম মজলিসে শুরা ব্যতিত ভিন্ন ফোরামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কে পরিচালক বা মুহতামিম পদে জোর করে বসানো কওমী মদরাসার সংবিধান ও নীতিমালার পরিপন্থি। যা কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বিনাশ করার একটি সু গভীর ষড়যন্ত্র ও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদানের সময় “ কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহের উপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হলো” বলে যে ভাষন দিয়েছেন এবং সংসদে বিল আকারে পাশ হয়েছিল তাদের এরূপ কর্মকান্ড এ ঘোষণার পরিপন্থি। মাদরাসার বর্তমান বৈধ মুহতামিম মাওলানা মো: আলী কে অপসারণ করার নির্লজ্জ ও সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র কক্সবাজারের আলেম সমাজ কোন দিন মেনে নিবেনা। বিবৃতিতে আলেম ওলামারা লাইট হাউস মাদরাসায় শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসা বেসরকারি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সংবিধান ও নীতিমালার আলোকে তা সমাধা করতে হবে। কাওমি শিক্ষা বোর্ডই হচ্ছে মাদ্রাসা পরিচালনা,শৃঙখলা রক্ষা সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিনের এই সংকট নিরসনে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বোর্ড অনুমোদিত মজলিসে শুরার আহবান এর দাবি জানান জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম।
    বিবৃতি দাতারা হলেন- পোকখালী মাদরাসার ছদরে মুহতামিম ও সভাপতি আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ( কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড) কক্সবাজার জেলা আল্লাামা মোখতার আহমদ দা:বা:, মুহতামিম মাওঃ আজিজুদ্দীন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী ও মুহতামিম জামেয়া ইসলামিয়া টেকনাফ আল্লাামা মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক , আল্লামা মুহাম্মদ মুসলিম- পরিচালক-ধাওনখালী মাদ্রাসা। আল্লামা আফসারুদ্দীন চৌঃ মুহতামিম জামিয়া দারুস্সুন্নাহ হ্নিলা,মাওঃ মাহবুবুর রহমান,পরিচালক জামিয়া ফারুকিয়ার টেকনাফ,আল্লামা মুফতি এনামুল হক পরিচালক বালাগুল মুবীন মাদরাসা চকরিয়া , মাওলানা সিরাজুল ইসলাম পরিচালক-দারুল উলুম চাকমারকুল মাদ্রাসা,মাওলানা মুহসিন শরিফ পরিচালক রাজার কুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা,মাওলানা শাহেদ নূর, নির্বাহী পরিচালক- আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ধলির ছড়া, মাওলানা নূরুল হাকিম, নির্বাহী পরিচালক-বোয়ালখালী মাদরাসা। মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, পরিচালক-মশরফিয়া মাদ্রাসা লিংকরোড,মাওলানা মোঃ আনোয়ার পরিচালক-চিরিঙ্গা মাদ্রাসা। মাওলানা এমদাদ উল্লাহ হাছান, পরিচালক-খুরুশকুল অদুদিয়া তালিমুদ্দীন মাদ্রাসা। মাওলানা মুহাম্মাদ
    ইদ্রিস, পরিচালক-ইনানী মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা,মাওলানা আতাউল করিম, পরিচালক- জামিয়াতুল আবরার কক্সবাজার।মাওলানা আব্দুল খালেক পরিচালক ডিগলিয়া পালং মাদ্রাসা, উখিয়া,মাওলানা আবদুস সাত্তার পরিচালক-দারুত তাহযীব মাদরাসা, থাইংখালী। মাওলানা ক্বারী শাকের পরিচালক ইবনে আব্বাস লেদা, হোয়াইক্যং,মাওলানা আব্দুল বারি পরিচালক মুনির ঘোনা মাদরাসা টেকনাফ ,মাওলানা শমসুল আলম পরিচালক উনচিপ্রাং দারুল ইরফান মাদরাসা, মাওলানা জাহেদুর রহমান পরিচালক-কক্সবাজার দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা, মাওলানা জসিম উদ্দিন পরিচালক-এমদাদিয়া মাদরাসা, লম্বাবিল, আল্লামা আবদুচ্ছালাম, পরিচালক-আলহাছান মাদ্রাসা, মাওলানা আবু বকর পরিচালক পাতাবাড়ী মাদরাসা প্রমুখ।

  • পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

    পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আল্লামা শাহ আবরারুল হক হারদূয়ী রহ. এর খলিফা ও চট্টগ্রাম আল জামেয়াতুল আরবিয়া ইসলামিয়া জিরির সাবেক পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
    আগামী শনিবার (১০ অক্টোবর ২০২০) জামাতুস ছালেকিন জিরি শাখার উদ্যোগে জামেয়া জিরিতে অবস্থিত ‘খানাকাহ এ আবরারিয়া’ মিলনায়তনে এ স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ সাহেব সিনিয়র শিক্ষক জিরি মাদরাসা।

    স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে বেফাকের নব-নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসার পরিচালক মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মুফতি মাহমুদুল হাসান দাঃবাঃ, জামিয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ ও খতিবুল উম্মাহ্ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটাসহ শায়েখে জিরির খুলাফা ও দেশবরেণ্য আলিম ওলামারা আলোচনা করবেন।
    পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে শায়েখে জিরির খুলাফা, মুরিদান ও মুহিব্বিনসহ সর্বস্থরের তৌহিদীজনতার উপস্থিতি কামনা করেছেন জামেয়া জিরির পরিচালক মাওলানা শাহ্ হাফেজ খোবাইব।

  • বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    বিশেষ অবদান রাখছে।

    বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদের সভাপতি হলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষবিদ চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    পটিয়া মাদরাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার বর্তমান সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। সল্পসময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবিদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    সারাদেশের ব্যাপকভাবে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে ইসলামি সম্মেলন আয়োজন করার লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান।

    ইসলামি অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরু দায়িত্বও তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনায়, পটিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়াও এক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন।

    শুধু শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে নয়, আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও তিনি সফল। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারী কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশিষ্ট খলিফা জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সাবেক শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুজুর নামে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমধিক পরিচি) রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারীর অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে তিনি খেলাফতও দিয়েছেন।

    লেখক হিসেবে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো- তাসহিলুত তাহাভি, তাসহিলুল উসূল (পাঠ্যভূক্ত)ও তাসহিলুত তিরমিজি।

    চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়েও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোয়ামে অংশগ্রহণসহ নানা কাজে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা জাতীয় ইস্যুতে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃত প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

    চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা আল্লামা বোখারী। চার ছেলে ও মেয়ের জামাইদের সবাই আলেম। নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

    বলা হয়, জ্ঞানীর কদর একমাত্র জ্ঞানীরাই জ্ঞানের কদর করেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। এ কারণে আমরা দেখি, পটিয়া মাদরাসার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জ্ঞানসাধকদের ভিড়। বিশেষ করে আজকের লেখায় মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়া, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ছাড়া জামিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িয়ে আছেন বিজ্ঞ ও যোগ্য উস্তাদগণ। পটিয়াকে ঘিরে জ্ঞানীদের এই মিলনমেলা সাজানোর কারিগর আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী।

    যাদের জ্ঞানের সমারোহে এই প্রজন্ম ও উম্মাহ লাভবান হচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত হচ্ছে এই সমাজ ও দেশ। এটাই আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যতিক্রমী কর্মপন্থা ও মুন্সিয়ানা। যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো প্রমাণ করে, জ্ঞানীদের প্রতি সম্মান ও উৎসাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত নন।

    লেখার শুরুতে বলেছিলাম তার একান্ত সান্নিধ্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তখন দেখেছি, মতের মিল না হলে ভিন্নমত পোষণকারীর প্রতি তার শ্রদ্ধায় কমতি নেই। সবার সঙ্গে, সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এটা প্রত্যাশিতও নয়। আল্লামা বোখারীকে দেখেছি, ভিন্নমতের মতের হলেও জ্ঞানী-গুণীকে সমাদর করতে কসুর করেন না। এটা তার অনন্য গুণ। এখনকার যুগের এমন গুণের মানুষ পাওয়া বিরল।

    তিনি একজন সাহসী কর্মবীর। সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের কারণে তিনি পরিণত হয়েছে আলেমদের অভিভাবকে। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর এই গুণ ও জ্ঞানসাধনার আলো আরও ছড়াক এবং তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক। আমিন।

  • আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

    আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও সুশৃঙ্খল বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

    সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আসাতাযায়ে কেরামের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ক্লাশ চলছে। আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া’র পরিক্ষাও সুন্দরভাবে চলছে। মাদরাসার শিক্ষকগণ, ছাত্রভায়েরা এবং এলাকাবাসীরা খুবই সন্তুষ্ট।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসার কোনো উস্তাদ এবং বাহিরের কোনো সংগঠন ও ব্যক্তির উস্কানি বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। হযরতের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার বৈ কিছুই নয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিজেদের হিনস্বার্থ উদ্ধারে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা এবং কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।

    বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.) স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদরাসা শূরা কমিটির হাতে দায়িত্ব সোপর্দ করে গেছেন এবং হযরতের ইন্তিকাল স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে এবং হযরতের ওসিয়্যাত অনুযায়ী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদের পার্শ্বের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হযরতের ইন্তিকালে আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত।

    বিবৃতিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)এর মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য বিশেষভাবে সকলে দুআ করবেন এবং দারুল উলূম হাটহাজারীর ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও মাদরাসার উন্নয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

    তারা আরো বলেন, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)সহ সকল মুরুব্বিয়ানে কেরামের উসূল অনুযায়ী চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা দুআ করবেন, যেনো আল্লাহ তাআলা দারুল উলূম হাটহাজারীসহ পুরো কওমী অঙ্গনকে সকল ধরনের ফিতনা-ফাসাদ থেকে হেফাজত করেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- জামিয়া পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতিয়ে আযম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী, মজলিসে ইলমির সদস্য আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেয শোয়াইব, পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, নাজেমে দারুল ইক্বামার প্রধান মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা কবীর আহমদ, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেয আহমদ দিদার কাসেমী, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) রাত ৮টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল উস্তাদবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ লাইভ ভিডিওতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক ইন্তিকালের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেছেন, যারা তাঁর ইন্তিকালের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছেন, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

  • শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর তরবীয়তি সভায় বিশিষ্ট ইসলামীক স্কলার ও বুদ্ধিজীবি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইসচেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর আল্লামা খালিদ হুসাইন প্রধান অতিথির আলোচনায় বলেন হযরত আল্লামা আহমদ শফি (রহ,)জীবনের বৃহৎ অংশ আলেম তৈরীর কাজে আত্মনিয়োগ করে গেছেন। তৈরি করেছেন হাজার হাজার আলেম। এন্তেকালের সামান্য সময় পূর্বে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা সারা জীবন হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হযরতের অবদান কে স্মরণ রাখতে চাই। তিনি ফেইসবুক ব্যবহারকারী সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান ফেইসবুকে আমরা কারো যেন সম্মানহানিকর কোন পোস্ট না দেয় এতে আমাদের দুনিয়া আখিরাত দুইটাই বরবাদ হবে। তিনি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত তরবীতি মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন। মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট আজমা কমপ্লেক্স এ মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আমজাদ হুসাইনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত তরবীয়তে মহানগরীর দায়িত্বশীল বিভিন্ন জামে মসজিদ এর খতীব গণ,মাদ্রাসার পরিচালক ও বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ওলামা মশায়েখ ও ইমাম গণ বক্তব্য রাখেন। সভায় আগামী ৯ অক্টোবর ২০২০ জুমাবার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম তালিমুল কোরআন কমপ্লেক্স এ নব নির্মিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) জীবন ও কর্ম আলোচনা শীর্ষক বিশাল জীবনি আলোচনা ও দোয়া মাহফিল সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা শেষে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) ও সমকালীন সময়ে মৃত্যু বরণকারী ওলামা ও দ্বীনি বন্ধুদের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি ড,আ,ফ,খালিদ হুসাইন সাহেব।

  • হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতলু উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাংসদ জনাব ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি. মহোদয়

    এ সময় তিনি হাইয়াতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং জামিয়ার শিক্ষাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহুর সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    মাননীয় এমপি মহোদয় মাদরাসার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়া ইত্যাদি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    এসময় মজলিসে এদারীর সদস্য আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী হাফিজাহুল্লাহু,আল্লামা ইয়াহইয়া দা.বা. সহ আসাতেযায়ে কেরাম ও হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষকগণ সহ হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির সাহেব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।