Category: কক্সবাজার জেলা

  • টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে

    টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য একমাত্র দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে।

    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় কওমী মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ন্ত্রণ,পর্দা সহ এবং সম্পূর্ণ মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত,
    শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উক্ত বালিকা মাদ্রাসা টি সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

    শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরী বলেন আমার প্রাণের ধর্ম প্রিয় মুসলমানদের সন্তানদের কে পর্দা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া এবং দক্ষ আলেমা গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব,
    সেই ধারাবাহিকতায় মহান আল্লাহ তা’য়ালা কে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি বলেন,
    ভর্তি শুরু হয়েছে গত ১০/৫/২০২২ইং
    ভর্তি শেষ হবে ১৭/৫/২০২২ইংরেজি।
    নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
    আগ্রহী অভিভাবকদের
    দ্রুত যোগাযোগ করে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানান।
    তিনি আরো বলেন,
    আমাদের মাদ্রাসায় আপনার প্রিয় সন্তান কে পাঠিয়ে দিন ইনশাআল্লাহ আমরা আপনার সন্তান কে নিজের সন্তানের মতো করে অল্প সময়ের মধ্যে পর্দা সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে
    এবং দক্ষ আলেমা হিসেবে গড়ে তুলে আপনাদের উপহার দেবো ইনশা-আল্লাহ।

    বিঃদ্রঃ গরীব,এতিম, অসহায় পরিবারের জন্য বিশেষ সু’ব্যবস্থা রয়েছে।

    বিস্তারিত তথ্য জানতে
    যোগাযোগ করুন
    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার। যোগাযোগ নাম্বার 01858677677
    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরীর যোগাযোগ মোবাইল নাম্বার 01829698565

  • রেজুআমতলী বিওপি বিজিবির অভিযানে ৯০’০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

    রেজুআমতলী বিওপি বিজিবির অভিযানে ৯০’০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৯০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ০২ জন মাদক কারবারী আটক।

    বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৩ মে ২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ০৩০০ টায় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর রেজুআমতলী বিওপির একটি চৌকস আভিযানিক টহলদল বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে এবং সীমান্ত পিলার বিপি-৪১ হতে আনুমানিক ০৪ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কক্সবাজারস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন ৩নং ঘুমধুম ইউপি’র চাকমাপাড়া কলাজাইং টিলা নামক স্থানে পরিত্যক্ত বাড়িতে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক দুইজন মাদক কারবারী (১) লামংগ্যা তংচংগ্যা (২৮), পিতা- জিন্যাউ তংচংগ্যা এবং (২) লাতাইমং তংচংগ্যা (৩৬), পিতা-মৃত রাশি অং তংচংগ্যা, উভয়ের গ্রাম-রেজু গর্জনবুনিয়া, পোষ্ট-চাকবৈঠা, থানা-নাইক্ষংছড়ি, জেলা-বান্দরবানদেরকে আটক করা হয়।আটককৃত মাদক কারবারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত বাড়িতে তল্লাশী করে মাটির নিচের গর্ত হতে অতিকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ২,৭০,০০,০০০ (দুই কোটি সত্তর লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৯০,০০০ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃত আসামীদেরকে মাদকদ্রব্য’সহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উক্ত মামলায় আরো ০৪ জন পলাতক আসামী রয়েছে।

  • জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট- অনুর্ধ্ব-১৭ উপজেলা পর্যায়ে শুভ উদ্বোধন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট- অনুর্ধ্ব-১৭ উপজেলা পর্যায়ে শুভ উদ্বোধন।

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজার জেলা অধীন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট- অনুর্ধ্ব-১৭/ ২০২২ এর শুভ উদ্বোধন।

    ১২ মে ২০২২ইং, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজিত, উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাটে উদ্বোধনী ম্যাচে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ইমরান হোসাইন সজীব এর সভাপতিত্বে এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ১ম জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, এ ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলায় সর্বপ্রচেষ্টায় পরিচালনা করেন উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামন শাহীন।

    খেলায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ বনাম রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ উদ্বোধনী ম্যাচে টাইব্রেকারে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশকে হারিয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ বিজয় হন।

    এর আগের ম্যাচে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ বিজয় হয়েছে।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দু্ল্লাহ আল মামুন, উপজেলা শিক্ষা একাডেমির সুপারভাইজার বদরুল আলম,হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ শাহ আলম, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা, উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সীরাজি, জেলা কৃষক লীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, উখিয়ার বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মোঃ খোরশেদ, রাজাপালং ইউনিয়ন রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিয়ার হেলাল উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সালাহ উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার ও সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলি সহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ করোনা ক্লান্তিলগ্নের পরপর জাতীয় দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের অনুর্ধ্ব-১৭ এর প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম করার ঘোষনা করে এবং জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করে এ খেলা সু-শৃংখল ভাবে উপহার দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন সহ খেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, আরো বলেন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় আমাদের সমাজের কিশোর শ্রেনির ছেলেরা একটু বিপাকে পড়তেছে, তাই খেলাধুলার মধ্যে থেকে সময়টির সাথে তালমিলিয়ে চলতে হবে, যাতে কোন মাদক, কিশোর গ্যাং এর সাথে কোন প্রকার জড়িত আছি কিনা?সেই ভাবনাটা আমাদের সমাজের সকল কিশোরদের মধ্যে থাকা দরকার।

    জালিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়নের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ আগামী শনিবার বিকেলে উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

  • উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং এর আকবর ৭০,০০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাব-১৫ হাতে গ্রেফতার

    উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং এর আকবর ৭০,০০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাব-১৫ হাতে গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক 

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মাদক পাচারকারীর একটি চক্র পাশ্ববর্তী দেশ থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান অন্যত্র পাচারের জন্য বহন করে কক্সবাজারের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ মে ২০২২ খ্রিঃ রাত ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া পালং হাজী শামশুল আলম মার্কেট সংলগ্ন চৌরাস্তা মাথায় মিজানুর রহমানের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত চক্রের সদস্যরা পলায়নের চেষ্টাকালে সৈয়দ আকবর (৫৫), পিতা শামশুল আলম, গ্রাম পূর্ব ডিগলিয়া পালং ৪নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন রাজাপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, তাহাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার সহযোগী আরো তিনজন পালিয়ে যায়। ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির সাথে থাকা প্লাষ্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামীদের সহযোগীতায় মাদকদ্রব্য টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বহন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে থাকে।

    গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেন র‍্যাব-১৫

  • উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং এর আকবর ৭০,০০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাব-১৫ হাতে গ্রেফতার

    উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং এর আকবর ৭০,০০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাব-১৫ হাতে গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মাদক পাচারকারীর একটি চক্র পাশ্ববর্তী দেশ থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান অন্যত্র পাচারের জন্য বহন করে কক্সবাজারের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ মে ২০২২ খ্রিঃ রাত ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া পালং হাজী শামশুল আলম মার্কেট সংলগ্ন চৌরাস্তা মাথায় মিজানুর রহমানের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত চক্রের সদস্যরা পলায়নের চেষ্টাকালে সৈয়দ আকবর (৫৫), পিতা শামশুল আলম, গ্রাম পূর্ব ডিগলিয়া পালং ৪নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন রাজাপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, তাহাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার সহযোগী আরো তিনজন পালিয়ে যায়। ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির সাথে থাকা প্লাষ্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামীদের সহযোগীতায় মাদকদ্রব্য টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বহন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে থাকে।

    গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেন র‍্যাব-১৫

  • টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চাঞ্চল্যকর মোঃ আলী উল্লাহ আলো (৭) হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন৷ একই মামলায় খালাস পেয়েছেন ২ আসামি।

    ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু, নজরুল ইসলাম ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া। এঁদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, মোঃ সুমন আলী ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া পলাতক। অন্যরা কারাগারে। খালাস পাওয়া দুজন হলেন আসামী মুহিবুল্লাহ ও মোঃ দিদার মিয়া৷ এসময় রায়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া আসামীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে।

    বাদীর আইনজীবীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফারজানা পারভীন সুইটি’র ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো-কে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কর্মচারী মোঃ সুমন আলী বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে মোঃ আলী উল্লাহ আলোকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কাচারী ঘরের সিলিং উপর তুলে তার হাত পা বেঁধে মুখে জোর করে কচটেপ লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় মোঃ আলী উল্লাহ আলো শোর চিৎকার করলে আসামী মোঃ সুমন আলী ও অন্যান্যরা মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে অপহরণ করার বিষয় বাড়ির লোকজন হয়ত জানতে পরেছে মনে করে। মোঃ আলী উল্লাহ আলো জীবিত থাকলে ঘটনা ফাঁস হতে পারে আশংকায় মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে আসামীরা সিলিং উপর জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

    এঘটনায় খুন হওয়া বিজিবি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো’র পিতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১৩/২০১১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর ৩৭০/২০১১ (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ২০৮২/২০১৮ ইংরেজি।

    মামলাটি পর্যায়ক্রমে টেকনাফ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই হারুনর রশীদ এবং টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি সিআইডি-কে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
    আদালতের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সিআইডি’র চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু, সহকারী পুলিশ সুপার এস.এম সাহাব উদ্দিন আহমদ এবং সর্বশেষ সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্টো জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির সরকার তদন্ত করে গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এজাহারভুক্ত ৫ জন সহ ৮ জন আাসামীর নাম উল্লেখ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩০২/৩৪/১০৯/১১৪ ধারায় আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন।

    সম্পূরক চার্জশীটে এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামী যথাক্রমে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার কোদ্দ নারায়নপুরের মৃত আফতাব আলীর পুত্র মোঃ সুমন আলী (২৬), ঠাকুরগাঁও জেলার নিশ্চিন্তপুরের মৃত শামছুল হকের পুত্র ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান (২৯), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুরের মৃত আসলাম মিয়ার পুত্র মোঃ ইয়াকুব (৩৪), টেকনাফের গোদার বিল গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু (৩১), টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত নবী হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলাম (২৮)। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভুত আরো ৩ জন আসামী যথাক্রমে মায়ানমারের মংডু থানার ধনচি পাড়ার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ লম্বাইয়া (৪৭), টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়ার মৃত মৌলভী আবদুল জলিলের পুত্র মহিবুল্লাহ (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিলের জাফর আহমেদের পুত্র মোঃ দিদার মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।

    মামলাটি টেকনাফের আমলী আদালত থেকে বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার ৩ জন আসামী যথাক্রমে মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান ও মোঃ ইয়াকুব ১৬৪ ধারায় আদালতে আত্মস্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

    ২০২০ সালের ২৪ জুলাই কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদেরকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর আলামত প্রদর্শন ও পর্যালোচনা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাচাই, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই, তিন জন আসামীর ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দী যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি বুধবার রায়ের দিন ধার্য্য করে৷

    রায় নিয়ে সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করে মোঃ আলী উল্লাহ আলোর বাবা মোঃ আব্দুল্লা বলেন, আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞা জানাই এবং শোকরিয়া জানাই, যারা হত্যা করেছে তাদের কে ফাঁসির আদেশ দেয়ায়৷

    তিনি বলেন, আমার সন্তানকে এ নির্মমভাবে হত্যা করতে যারা অর্থ দিয়ে যোগান দিয়েছে এবং বাহির থেকে বাড়া করে যারা খুনিদের আনছে তাদের কে খালাস দেওয়ায় খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত৷ আমি উচ্চ আদালতে তাদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করব৷

    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী পিপি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নৃশংসভাবে টেকনাফের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লার ছেলে ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ বছর মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করে দোষ প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় ছয়জনকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছে৷ এসময় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

  • টেকনাফে ভোজ্য তেলের সংকট,দাম আকাশছোঁয়া

    টেকনাফে ভোজ্য তেলের সংকট,দাম আকাশছোঁয়া

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    টেকনাফ উপজেলা ও পৌর শহরের হাট বাজার সমুহে ভোজ্য তৈলের ডিলারগন অতিরিক্ত মুল্য নেওয়ার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সৃষ্টি করে তেলের গোদামজাত করে রেখেছে। ফলে বাজারে ভোজ্য তৈল শুন্য হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের বাজারে আসা আজিজ, কামাল, রহমত জানান, বাজারের প্রতিটি মুদির দোকান, ডিলারের আরত ঘুরে ৫,৩, লিটার ভোজ্য তৈল পাওয়া যায়নি। পৌরসভার কাসেম সওদাগরের দোকানে গিয়ে ১লিটার ওজনের কয়েকটি বোতল পাওয়া গেলেও দাম চড়া। প্রতিটি লিটারের দাম নেওয়া হয়েছে ২ শত টাকা করে। গত কয়েক দিন ধরে ভোজ্য তৈলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সংকটের কারনে স্থানীয় ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। পৌর শহরের হাট বাজারের ভোজ্য তৈলের ডিলারদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    বাজারে ভোজ্য তৈল সংকট মুল্য বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

  • টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

    টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উপকূলীয় ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর শিলখালী এলাকায় ইউএসআইডির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কোডেক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী এলাকায় জন্ম নেওয়া প্রায় সাড়ে তিন শত সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চাকে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১১ মে) দুপুরে বাহারছড়া ইউপির উত্তর শিলখালী সমুদ্রে হয়ে এসব কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।

    এদিকে অবধি ২ হাজার ৪০৪টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবং আজকের সাড়ে ৩শ বাচ্চাসহ গত কয়েকদিন আগে ১১’শ ৮১টি বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরে নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী তাদের নিজস্ব হ্যাচারির রাত প্রহরী নুরুল আমিন সমুদ্র চরে রাতবেরাতে ঘুরে ঘুরে সমুদ্র থেকে যখন মা কাছিম ডিম ছাড়তে তীরে উঠে তখন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাছিমের ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়।

    সেখানে জন্ম নিচ্ছে এসব বাচ্চা।পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বড় হলে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।

    টেকনাফ বন রেঞ্জের আওতাধীন শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ার তদারকি করে আসছে কোডেকের প্রজেক্ট (নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প) তাদের উত্তর শিলখালী নিজস্ব হ্যাচারিতেই জন্ম নিয়েছে এসব কাছিমের বাচ্চা।

    টেকনাফ উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন,”কাছিম সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখে, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কাছিমের যেমন প্রয়োজন তেমন অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে কোডের কাজ প্রসংশার দাবি রাখে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা, কোডেক ন্যাচার এন্ড লাইফের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নারায়ন কান্তি দাস, এনআরএম ম্যানেজার অসীম বড়ুয়া, ন্যাচার এন্ড লাইফের সাইট কো-অরডিনেটর শরিফুল আলম, লিয়াকত আলী ও সাপোর্ট স্টাফ-রমেশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মচারীরা।

  • রমজানের সময় ইফতার মাহফিলে দাওয়াত না দেওয়ার জের

    রমজানের সময় ইফতার মাহফিলে দাওয়াত না দেওয়ার জের

    টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বারের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী দলের হাতে হামলার শিকার হলেন একই এলাকার মোঃ ইউনুসের পুত্র কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন (৩০)
    পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত (২)মে আনুমান ৩ ঘটিকার সময় একই এলাকায় ঘটনা টি ঘটে থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
    কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন,
    এনামের নেতৃত্বে নাজির পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে বলে জানান।
    জসিম উদ্দিন আরো বলেন,
    আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের কে এনাম মেম্বারের আত্মীয়-স্বজনরা প্রতি নিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
    এ ব্যাপারে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিন সহ তাঁর আত্মীয় স্বজনরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
    এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বাদী জানান।

  • টেকনাফে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব-১৭ শুভ উদ্বোধন

    টেকনাফে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব-১৭ শুভ উদ্বোধন

    টেকনাফে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব-১৭ শুভ উদ্বোধন

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব-১৭ এর খেলা শুভ উদ্ধোধন করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। এ টুর্নামেন্টে টেকনাফ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সহ সাতটি দল অংশ গ্ৰহণ করেন।
    টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু’র সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আবসারের সঞালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো এমদাদুল চৌধুরী, ৪নং সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বি.এ বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাত হোসেন খোকন, সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল ফয়েজ মেম্বার ও সাবরাং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছিদ্দিক মেম্বার।
    উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ। উদ্ধোধনী খেলায় বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ ১-০ গোলে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ একাদশকে পরাজিত করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে টেকনাফে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। মাদক নিয়ে টেকনাফের যে দুর্নাম রয়েছে রয়েছে।
    হয়তো আমারা খেলাধুলার মাধ্যমে দুর্নাম গুলো মুছিয়ে দিতে পারি।
    অথচ টেকনাফের ছেলে বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফুটবল খেলে মাতিয়ে রেখেছেন সেটির খবরও রাখতে হবে। আসুন আমরা সকলেই মিলে যে যার অবস্থানে আছি সেই অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়।