Category: কক্সবাজার জেলা

  • ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    কায়েস ও নাবিল ছোটকাল থেকেই বন্ধু।লেংটাকালে তারা একই সাথে গ্রামের মক্তবে লেখা-পড়া করেছে। পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে যেতো। প্রাইমারি লেভেল শেষ করার পর একজন চলে যায় সুদূর হাটহাজারি মাদরাসায় আর নাবিল পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়। উভয়ে লেখা-পড়ায় খুব ভালো। নাবিল দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। তাই চিন্তাভাবনা করে আলিমে ভর্তি না হয়ে কলেজে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।

    হঠাৎ একদিন নাবিলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারিবারের সম্পদ বলতে শুধু একটি গরু ছিলো। বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে গরুটি বিক্রি করে দিতে হলো। তবুও বাঁচানো গেলো না। চলে গেলো তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে।

    এখন পরিবারের হাল তাকেই ধরতে হচ্ছে। কারণ পরিবারে সেই বড়। তাছাড়া ছোট একটি বোন আছে। ছোট বোনের লেখা-পড়ার খরচ এবং নিজের লেখা-পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে! তাই নিরূপায় হয়ে বহু চেষ্টার মাধ্যমে একটি ব্যবসার হাল ধরলো। সুদূর সিলেট থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে গ্রামের এবং পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়। এভাবেই চলছিলো তার দিনকাল।

    একদিন পথিমধ্যে তার ছোটকালের বন্ধু কায়েসের সাথে দেখা হয়ে গেলো। সাথে সাথে কায়েস সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাবিলকে। তারপর পথে দাঁড়িয়েই অনেক্ষণ কথা হলো। কথাচ্ছলে নাবিল কায়েসকে বললো- বন্ধু! কী করি বলতো, পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কী ব্যবসা একটা ধরলাম। কিন্তু পদে পদে লস খাচ্ছি।
    -তার আগে বল, তোর লেখা-পড়ার কী অবস্থা? কেমন চলছে?
    -ধুর বেড়া, তোকে বললাম ব্যবসায় লসের কথা, আর তুই চলে গেলি লেখা-পড়ায়।
    – তো কি, লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দিবি?
    – হ্যাঁ, এতো লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো! অনেকেই তো মাস্টার্স শেষ করেও চাকরি না পেয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। তাই লেখা-পড়া ইচ্ছা আর নেই।
    – না, আমি বলবো তুই লেখা-পড়া কর। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।তুই না মাদরাসায় পড়েছিস? তোর জানার কথা। সূরা যুমার এর ৫৩ নং আয়াতে আছে- “ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” আমাদেরকে সবসময় তাঁর রহমতের আশা রাখতে হবে।লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো? এই চিন্তা বাদ দে।তুই লেখা-পড়া চালিয়ে যা। সাথে ব্যবসাটা কর।লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হবে। দেখবি, আল্লাহ রহম করে এমন একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা তুই কোনদিন কল্পনা্ও করিসনি।

    – তুই আশার কথা শোনালি বন্ধু! আমি যে একদিন মাদরাসার ছাত্র ছিলাম, তাও ভুলে গেছি। যাক তোর কথা মানবো। আল্লাহর রহমতের আশা রাখবো।তিনি একদিন চোখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু বন্ধু! ব্যবসাটা যে আর ভালো লাগে না।

    – তুই যেন কী ব্যবসা করিস? ও হ্যাঁ! দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তাই না?

    – হ্যাঁ, এই রকমই। চা পাতা বিক্রি করি। সকালে বের হয়ে দোকানে দোকানে চা পাতা দিয়ে আসি। আর সন্ধ্যায় গিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসি। অনেকে আবার “কাল দেবো, পরশু দেবো” বলে সময় ক্ষেপণ করে, যা আমার নিজেরও লজ্জা লাগে।
    – আচ্ছা, এক কাজ কর, তোর কাছে এখন টাকা আছে?
    – পকেট শূন্য।
    – আরে ভাই, পকেটের কথা বলিনি। জমানো কত আছে?
    – নাই।
    – মিথ্যা বলছিস কেন? এতদিন তো ব্যবসা করলি। জমানো থাকবে না, এটা অবিশ্বাস্য।
    – হ্যাঁ, অল্প কিছু্ আছে।
    – তাহলে প্রথমে মিথ্যা বললি কেন? জানিস না মিথ্যা বলাটা মোনাফেকি অভ্যাস? তুই তো মাদরাসায়ও পড়েছিস!
    – তুই এতো সিরিয়াসলি নিবি ভাবিনি।
    – সিরিয়াস নিতে হবে। কারণ, মিথ্যা বলা অভ্যাসটা দুষ্টুমিচ্ছলেই হয়। আমার বন্ধুর পরিচয় মোনাফেক হোক, তা আমি চাই না।
    – ধন্যবাদ বন্ধু! তুই সবসময় আমার ভালোটাই দেখিস। এখন বল, কেন টাকার কথা জিজ্ঞেস করছিস? ভালো কোন বুদ্ধি বা আইডিয়া দিবি নাকি?
    – হ্যাঁ, বুদ্ধি বা আইডিয়া, দুনোটাই বলতে পারিস। তুই তো ডিজাইনের টুকটাক কাজ জানিস, কয়েকমাস সময় দিয়ে গ্রাফিক্সের একটা কোর্স কর। ডিজাইনের এখন অনেক দাম। তুই যেহেতু মাদরাসায় পড়েছিস, ইংরেজী অবশ্যই জানিস। Fiver, Freelancer.com এরকম কিছু সাইট আছে, যেখানে প্রচুর ডিজাইনের কাস্টমার আছে। দেখবি, ভলো ইনকাম হচ্ছে। আর ফেসবুকে এরকম কিছু গ্রুপ আছে, যেখানে ডিজাইনের কাস্টমার লাইন ধরে থাকে।
    – তুই এত জানিস কিভাবে? আমি তো মনে করতাম কওমীরা কুরআন-হদীস ছাড়া কিছুই বুঝে না।
    – তোর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বর্তমানে অনলাইন, বিশেষকরে রেডিও, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যানসিং অর্থাৎ এমন কোন জগৎ নেই যেখানে কওমী আলেমদের পদচারণা নেই। যাক, এসব বিষয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতক্ষণ কথা বলা যায় না। কী বলেছি মনে আছে তো? তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্সের কোর্সে ভর্তি হয়ে যা। তার আগে দোকানে চল।
    – ও…. বুঝতে পেরেছি। তোর পানের টক উঠেছে। আচ্ছা, বলতো- তোরা কওমীরা এতো পান পান করিস কেন?
    – হা হা হা…. উর্দূ একটি প্রবাদ আছে “হাত ম্যায় লঠি মুহ ম্যায় পান, ইয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কা শান।”

    (রচনাকাল- ১২/০৯/২০২১)

  • “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান।

    সুমাইয়া আক্তার মীম সুমা আক্তার চার বছরের একটি মেয়ে শিশু। শিশুটি তার মা বুলবুল আক্তার (২৫) এবং সৎ পিতা নুরুল হক (৩৫) এর সাথে উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ্যা কাঠালিয়া সাকিনে জনৈক মোস্তফা জাবেদ এর টিনের কলোনিতে ছোট্ট একটা রুমে ভাড়া থাকতো। নুরুল হক (৩৫) শিশুটির সৎ পিতা হলেও ছোট্ট সুমাইয়া তাকে আব্বু বলেই ডাকতো। তাদের সাথে আশপাশের প্রতিবেশী কারো কোন সখ্যতা গড়ে উঠেনি।

    প্রায় দুইমাস এই কলোনিতে ভাড়া থাকা অবস্থায় ঘাতক নুরুল হক তার স্ত্রী বুলবুল আক্তারের সহযোগীতায় শিশুটিকে বিভিন্ন সময়ে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। কখনো প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ঘরের চালের তীরের সাথে উলটো করে ঝুলিয়ে, কখনো মাথায় আঘাত করে, কখনো গালে কামড় বসিয়ে আবার কখনোবা পেটে পীঠে ঘুষি মেরে চলতে থাকে অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতন। এই অসহনীয় ব্যাথায় শিশুটি চিৎকার করে আর্তি জানাতো “আব্বু আমাকে আর মারিও না, আমি তোমার সব কথা শুনবো”। তথাপিও ঘাতক সৎপিতা নুরুল হকের হৃদয় গলেনি কিংবা স্বামীর নেশায় মত্ত থাকা মা বুলবুল আক্তারের মন গলেনি।

    গত ১৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ মাহে রমজানের ২য় দিন সকাল থেকে শিশু সুমাইয়া(৪) কে না খাইয়ে রাখে।
    এমনকি পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি৷ একই দিন বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে শিশুটির উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন। প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সাথে ঘাতক নুরুল হক এর ঘুষির আঘাত। অতিরিক্ত ব্যাথায় নির্বোধ সুমাইয়া কান্না করার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পরে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেয়েটির গলা টিপেও ধরা হয়। একই তারিখ দিবাগত রাত আনুমান ৯ ঘটিকার দিকে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে। শিশু সুমাইয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে ঘরের মেঝে পাটির উপর শুইয়ে কম্বল চাপা দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘাতক সৎপিতা নুরুল হক এবং মা বুলবুল আক্তার সেহেরীর পর রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১০ ঘটিকার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জনৈক রোজিনা আক্তার সুমাইয়াদের ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা তালাবদ্ধ দেখে পাশের রুম থেকে পার্টিশন বেড়ার উপর দিয়ে দেখে শিশু সুমাইয়ার নিথর দেহ কম্বল চাপা অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে আছে৷ এই দৃশ্য দেখে রোজিনা হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে উঠে। রোজিনার চিৎকার শুনে পাশের দোকানের মতি মিয়া দৌড়ে আসে। ততক্ষণে আশপাশের আরো অনেক মানুষ এসে ভিড় জমায়৷ রোজিনার কথা শুনে সবাই দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝে পাটির উপর কম্বল চাপা অবস্থায় শিশু সুমাইয়ার নিথর মৃতদেহ পরে আছে। এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত উখিয়া থানা পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আশপাশের মানুষদেরকে ভিকটিমের পিতা মাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে কেহ কোন তথ্য দিতে পারেনি৷ বাড়ি ওয়ালা ভাড়াটিয়ার তথ্য সংরক্ষণ করে রাখেনি। ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় জনগণ শিশুটির দাফন কাফন সম্পন্ন করে। ঘটনার চারদিনপর উখিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামির কথা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। দ্বিতীয়দিন পুনরায় ঘটনাস্থলটি পুংখানু পুংখভাবে পরিদর্শন কালে ঘরে একটি সিম কভার খুজে পাওয়া যায়৷ উক্ত কভারের ভেতর থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আসামীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। আসামীদের বাড়ি ভিন্ন এলাকা, ভাসমান অবস্থায় ঘোরাঘুরি এবং ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব ছিল না। ঘটনার ৪ মাস পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সুমাইয়ার মামার সন্ধান পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করিয়া উখিয়া থানার একটি চৌকস টিম রামু থানাধীন গর্জনিয়া এলাকায় গিয়ে কৌশল অবলম্বন করে আসামীদের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আসামীরা গর্জনিয়া বাজারে পৌছামাত্র তাদেরকে ধৃত করতে সমর্থ হয়। কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শিশু সুমাইয়া আক্তার মীম @ সুমা আক্তার (৪) কে নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সুমাইয়া (৪) হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তাদের নিজেদের দায় স্বীকার করে গত ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার পর থেকে তারা কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, লোহাগড়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।
    কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন বিজ্ঞ আদালত হয়ে জেলখানায়।

  • “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই

    “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই” দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে জোরালো ভূমিকা রাখি এই প্রত্যাশা সামনে রেখে কেয়ার বাংলাদেশ এর সহায়তায় এনজিও শেড কর্তৃক বাস্তবায়িত এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায়

    অদ্য ২৮ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে আমতলি ঘাট হতে মাওলানা আব্দুস সালাম এর বাড়ী পর্যন্ত সামাজিক বনায়ণে নানা জাতের ১২শত বৃক্ষ রোপন করা হচ্ছে। যা অত্র এলাকার পরিবেশ রক্ষা সহ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখবে বলে এলাকার জনসাধারণ মনে করেন। ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ওয়ার্ড দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কমিটি, ডেইলপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য সহ অত্র এলাকার শতাধিক যুবক যুবতীর প্রতিশ্রুতি যে কোন মূল্যে এই মহতী উদ্যোগ কে সফল করা হবে। এজিডিআরআর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা শেড ও কেয়ার বাংলাদেশ কে উক্ত এলাকার জনসাধারণের পক্ষে জননেতা জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার (ইউপি সদস্য) সভাপতি ডাব্লুডিএমসি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রকল্পের সফলতা কামনা করে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

  • মানবতার সেবায় নিয়োজিত কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল, স্হান পরিবর্তন করা হবে

    মানবতার সেবায় নিয়োজিত কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল, স্হান পরিবর্তন করা হবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সর্বপ্রথম বেসরকারি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, উখিয়ার বাণিজ্য কেন্দ্র ও ব্যস্ততম শহর কোটবাজার স্টেশনে ২০১৫ সালে শুরু হয় Origin Hospital. প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে সম্মাননা প্রদান ও ঘরে ঘরে ক্যালেন্ডার পাঠানোসহ যাবতীয় মানুষের সেবা করায় ভালবাসা লাভ করেছেন কোটবাজার Origin Hospital.

    উক্ত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে
    নিয়মিত রোগী দেখেন

    ডাঃ রবিউর রহমান রবি
    ডাঃ দেলোয়ার হোসেন
    ডাঃ এ. এইচ. সুমন
    ডাঃ শাহীন আক্তার
    ডাঃ আরিফা মেহের রুমি
    ডাঃ মেরাজ হোসাইন চয়ন
    ডাঃ মাসুমা নাসরিন শিফা
    ডাঃ কানন বড়ুয়া
    ডাঃ জেসমিন আক্তার
    ডাঃ সেলিম শাহ বাবু
    ডাঃ রাবেয়া সুলতানা
    ডাঃ তাজরীনা ইসলাম।

    এছাড়াও আরো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে চেম্বার করেন বলে জানান
    হাসপাতাল পরিচালক এমডি মুহাম্মদ ইউনুছ।

    এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল হইতে সেবা দিয়ে আসছেন কোটবাজার স্টেশনের প্রধান সড়কের পূর্ব পাশে তোফাইল ফাতেমা শপিং কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়।

    হাসপাতাল পরিচালক কমিটির পরামর্শ ক্রমে স্হান পরিবর্তন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন ঠিকানা হচ্ছে কোটবাজারের কাঁচা বাজারের পশ্চিম পাশে এস. আলম প্লাজা, প্রধান সড়ক, কোটবাজার।
    অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালের স্হান পরিবর্তন ও ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হবে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির এমডি মুহাম্মদ ইউনুছ ভাই।

  • নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

    নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

     

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের ৪ মাস ১৯ দিন পর অবশেষে আজ থেকে (১৯ আগস্ট) শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী, পাথর রাণী বিচ সহ কক্সবাজারের সব বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে । করোনার কারণে প্রায় ৪ মাস ১৯ দিন ধরে অন্যান্য পর্যটন স্পষ্টের পাশাপাশি ইনানী সমুদ্র সৈকতেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে পর্যটকশূন্য ছিল সৈকত।

    বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আবারও চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। বিকেলের মধ্যেই ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোও প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠছে।

    বরণ করে নিতে পর্যটকদের ইনানী ও আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো পরিচ্ছন্নতা শেষে উপযোগী করে আজ পুণরায় চালু হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন এর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। এমনকি সৈকতে মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দুরত্ব, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই তিন ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

    সাগর পাড়ের বিচ মার্কেট, সৈকতের কিটকট, বিচ বাইক ও জেটস্কি, প্যারাসেইলিংসহ সব কিছুতেই দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে চিরচেনা ইনানী সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থীরা। দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
    পর্যটকদের সমাগমে ইনানী সমুদ্রসৈকত এখন মুখরিত। নেচে-গেয়ে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দী মানুষ মিলিত হয়েছে প্রাণের স্পন্দনে।সব কিছু মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সুনসান নীরব পর্যটনকেন্দ্র ইনানী পুনরায় ফিরে পেয়েছে পূর্ণতা। সৈকতের দর্শনীয় স্থানগুলো বাইকে ঘুরে দেখছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

    স্থানীয় দর্শনার্থী আহমেদ শফি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি কারণে সৈকত প্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৈকতে প্রবেশে শিথিলতার আসার পর ঘুরতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ সমুদ্র সৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান।”

    ঢাকা থেকে আসা পর্যটক করিম বলেন, “ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে সৈকত দেখতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।”

    আরেক পর্যটক তাহমিনা বলেন, “এখন সৈকত দেখে মনে হচ্ছে সেই পুরানো চিরচেনা সৈকতকে ফিরে পাচ্ছি জনগণের সমাগম দেখে। শুধু বাড়তি যুক্ত হয়েছে কিছু মানুষের মুখে মাস্ক আছে, আবার অনেকে হ্যান্ডস গ্লাভস রয়েছে। কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে, আবার অনেকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। যা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতি।”

    বিচ চালক হামিদ বলেন, “অনেক দিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছি। কারণ সৈকতে মানুষজন আসছে। তাদেরকে বিচ বাইকে চড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন হচ্ছে।”

    ফটোগ্রাফার আব্দুল্লাহ বলেন, “দর্শনার্থীদের ছবি তুলতে ক্যামেরা হাতে সৈকতে নেমেছি অনেক দিন পর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৫’শ টাকা আয়ও করেছি। এখন খুবই খুশি লাগছে।”

    আজ থেকে আবারও চিরচেনা সেই পুরনো রূপে ফিরবে সমুদ্র সৈকত। থাকবে না আর পাখিদের কিচিরমিচির ও সাগরলতার স্বাধীন চৈতন্য।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলাকালে চলতি বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হয়েছে (১৯ আগস্ট)। গত ১০ আগস্ট থেকে দেশের সব বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া হয়।

  • ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী রক্ত সরবরাহকারী সংগঠন প্রতিজ্ঞা ব্লাড ডোনেশন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার ও ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদ।

    এই দুই সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আজ ১৫ ই আগস্ট রবিবার সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে ৫.০০মিনিট পর্যন্ত ইনানী চারা বটতলী এস,আলম মার্কেটের সামনে অর্থাৎ (মাওলানা জাকের উল্লাহ ফার্মেসীর সামনে) বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পাইন ২০২১অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২ শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু এবং বয়োবৃদ্ধের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং রক্তদান বিষয়ক সচেতনতা বিবৃতি প্রদান করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলিউর রহমান

    বক্তব্যে তিনি মাদক ও সমাজের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সংশোধন হতে না পারলে ইনানী ছেড়ে নিজেদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন অন্যথায় ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    তিনি ইনানীকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত করার জন্য সকলের কাছে আন্তরিক সযোগিতা চেয়েছেন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন বাপ্পী সহ এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    আয়োজকরা জানান, তারা দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় ফ্রি ক্যাম্পেইন করে রক্তদাতাদের একটা বৃহৎ ডাটাবেজ তৈরি করবেন।

  • টেকনাফের নাফ নদীতে গুলি বিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফের নাফ নদীতে গুলি বিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    ইবরাহীম মাহমুদ, টেকনাফ প্রতিনিধি

    টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে ইয়াবা
    পাচারকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে এই সময় কেউ গ্রেপ্তার না হলেও কৌশলে নাফনদীতে সাঁতরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে দাবি বিজিবির।

    ১৩ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার ভোরে টেকনাফের সাবরাংয়ের আচারবনিয়াস্থল নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

    বিজিবি অধিনায়ক জানায়, ‘ভোরে টেকনাফের সাবরাং বিওপির জওয়ানরা মিয়ানমার হতে মাদকের বড় চালান আসার গোপন সংবাদের খবরে স্থলভাগের অবস্থান নেয় বিজিবি। এর কিছুক্ষণ আচারবনিয়াস্থল নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশকালে বজিবি অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্যে করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে, বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে মাদক কারবারীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাফনদীতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

    তিনি আরো জানান, ‘সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    তিনি আরো জানান,সরকারী দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান ও মাদক বহনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এই সীমান্তকে মাদক ও চোরাচালানমুক্ত করতে বিজিবি জওয়ানেরা আরো কঠোর এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ইমরান তাওহীদ রানা, ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    ঈদগাঁও উপজেলাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোকদিবস উপলক্ষে ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরীতে জিহাদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্টান শুরু হয়,

    সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল,
    দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও সৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা,
    দুপুর ২টায় অসহায় দের মাঝে খাবার বিতরণ সহ নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়,

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহবুব আলম মাবু, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাজিদ চৌধুরী, দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফরিদুল আলম, উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জিল্লুর রহমান,ঈদগাঁও ইউনিয়ের সহ সভাপতি নুরুল আজিম, সহ সভাপতি ছৈয়দ নুর, মোঃনোমান,সাঈদ,পুতুল,মুরশেদ,
    রিয়াজ উদ্দিন,
    ছালামত উল্লাহ, সোনা মিয়া সহ আরু অনেকে।

  • উখিয়ার গ্রামীন সড়কের নাজুক অবস্থা। উখিয়া ভয়েস২৪

    উখিয়ার গ্রামীন সড়কের নাজুক অবস্থা। উখিয়া ভয়েস২৪

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

    ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চাকবৈঠা বাজার সড়কে ১ কিলোমিটার রাস্তায় ৩ শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
    যার ফলে যানবাহন চলাচলও মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্তা অচল হয়ে পড়েছে।

    ১০ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ও জন গনের দুর্ভোগের শেষ নেই।

    জানা গেছে ২০০৬ সালে রাস্তাটির উন্নয়নে ব্রিকসলিং করা হলে ও এর পর কোন জন প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।

    নির্বাচন আসলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা রাস্তা উন্নয়নের নামে জনগনকে ওয়াদা দিলে ও নির্বাচিত হওয়ার পর তারা এই ওয়াদা ভুলে যায়।

    যার ফলে ১০ হাজারের মতো লোকজন ছাত্র ছাত্রী চলাচল করতে অতি কষ্টকর হচ্ছে।

    এলাকা ঘুরে জানা যায় ২০০৬ সালে এই রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ উদ্ভোদন করেন ততকালীন উখিয়া টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরী।

    অপর দিকে উখিয়া ডাক বাংলো হাতিমোরা দরগাহ বিল সড়কের ও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

    এলাকাবাসি জানান, হাতীমোড়া রেজু খালের ৭ কোট টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে এই ব্রিজের জন্য মালামাল নেওয়ার জন্য ভারী যানবাহন চলাচল করায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ৩ হাজারের অধিক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

    যার ফলে ঐ রাস্তাদিয়ে চলাচল করা প্রায় ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    গর্ভবতী মহিলারা যানবাহন যোগে হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
    একই ভাবে কোটবাজার সোনার পাড়া সৈকত রোডের ও বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকা বাসি জানিয়েছেন। উখিয়ার ডাকবাংলো মরিচ্যা সড়কের অবস্থা ও বেহাল দসায় জনচলাচল দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

    এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা স্হানীয় সরকার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উখিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা গুলোর চিত্রীয় কথা উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট জানানো হয়েছে।

  • নতুন ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন

    নতুন ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন

    ইমরান তাওহীদ রানা,ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    কক্সবাজারে নতুন উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    ১০ আগষ্ট অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) মো. রাহাত আনোয়ার এ সংক্রান্তে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
    উপজেলার জন্য মোট ২৪টি অফিসের অনুকূলে ৪০ জন কর্মকর্তা ও ১৯৮ জন কর্মচারীসহ সর্বমোট ২৩৮ লোকবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরকে বলা হয়েছে।

    অফিস সেট-আপ কাঠামোতে রয়েছে-উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মকর্তা (সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত) একজন, কর্মচারী ১৫ জন। উপজেলা ভূমি অফিসে একজন কর্মকর্তা, ১১ জন কর্মচারী। থানা (পুলিশ স্টেশন) ১ জন কর্মকর্তা, ২৫ জন কর্মচারী। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১৬ জন কর্মচারী। উপজেলা নির্বাচন অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা খাদ্য অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসে ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসে (হাসপাতালসহ) ১০ জন কর্মকর্তা, ৩৭ জন কর্মচারী। উপজেলা কৃষি অফিসে অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ২৪ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৭জন কর্মচারী। উপজেলা মৎস্য অফিসে ১জন কর্মকর্তা, ৪জন কর্মচারী। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ২জন কর্মকর্তা, ৮জন কর্মচারী। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৭জন কর্মচারী। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ১জন কর্মচারী। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৯ জন কর্মচারী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী। উপজেলা সমবায় অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে ১জন কর্মকর্তা, ৬জন কর্মচারী।
    ঈদগাঁও উপজেলা সদর দপ্তর ঈদগাঁও মৌজায় স্থাপিত হবে।

    উল্লেখ্য,গত ২৬ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস–সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ভার্চ্যুয়াল সভায় ঈদগাঁও নতুন উপ জেলা হিসেবে অনুমোদন পায়।

    কক্সবাজার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী নিয়ে গঠিত হল ঈদগাঁও উপজেলা। ৫টি ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
    ঈদগাঁওকে উপজেলা ঘোষণার জন্য দুই দশক ধরে আন্দোলন–সংগ্রাম করে আসছে এলাকার বাসিন্দারা। নির্বাচনে ভোটারদের দাবীর মুখে পড়তে হয় জনপ্রতিনিধিদের।
    ঈদগাঁওবাসীকে প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ৪০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার শহরের উপজেলা পরিষদে যেতে হতো। এখন হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। এলাকার উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে মনে করছে এখানকার জনগণ।