Category: চট্টগ্রাম

  • না ফেরার দেশে চলে গেলেন সত্যাশ্রয়ী মুক্তবুদ্ধি চর্চার অগ্রপথিক সেলিম

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন সত্যাশ্রয়ী মুক্তবুদ্ধি চর্চার অগ্রপথিক সেলিম

    মো.শফিকুল ইসলাম,চট্টগ্রাম:

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া জমিদার পরিবারের কৃতি সন্তান, চট্টগ্রামের আবাহনী সেলিম হিসেবে পরিচিত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    বুধবার (২৫ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার এক শোক বিবৃতিতে সভাপতি সিদ্দিক আহমদ আতিক, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জুবাইর ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ সকল নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন।

    শোকবার্তায়,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল একজন দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, দক্ষ ও যোগ্য সংগঠক এবং সংবাদকর্মী সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেলের মৃত্যুতে জাতি একজন নিবেদিত সাংবাদিক ও সৎ মানুষকে হারালো। সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল একজন সংবাদকর্মী এবং সাংবাদিক নেতা হিসেবে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে সারাজীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও গণমাধ্যম কর্মীদের দুঃসময়ে আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন।

    জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেলের অকাল মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

    সাংবাদিক নেতা সিদ্দিক আহমদ আতিক বলেন, সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল ভাই ছিলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ আমৃত্যু আপসহীন একজন যোদ্ধা। ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে স্বৈরাচার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে ইস্পাত-দৃঢ় অবস্থান নিয়ে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক জুবাইর বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমরা গুণীজনদের মৃত্যুর খবর শুনছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মরহুম সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল ভাইকে জান্নাতবাসী করুন। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়কাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল ভাই ছিলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী একজন সত্যাশ্রয়ী মুক্তবুদ্ধি চর্চার অগ্রপথিক। তার চলে যাওয়ায় জাতি সত্যিকার অর্থেই এক মহান বিবেককে হারিয়েছে। তিনি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

    উল্লেখ্য, সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল (৫৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৫ মে) দুপুর প্রায় ১:০০ঘটিকায় চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এবং দৈনিক অনলাইন তালাশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন।

    মৃত্যুকালে সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণীজন রেখে গেছেন।

  • ২৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

    ২৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ২৫ মে ২০২২ইং বুধবার, সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, ইঞ্জিনিয়ার আব্দল খালেক মিলনায়তনে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ১৫ দফা দাবী আদায়ে আগামী ২৭ মে ২০২২, শুক্রবার, বাদ জুমা হতে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির ব্যবস্থাপনায় “চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ” সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম¥দ জান্নাতুল ইসলাম।
    সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে আজ মানুষ দিশেহারা, এই উর্ধ্বগতি রোধ করতে বাজার কারসাজীদের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দেশকে দুর্ভিক্ষ হতে রক্ষা করতে হবে। আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধমীর্য় ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকাতে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে দুনীর্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তাই  শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একদিকে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে, আন্যদিকে মদের আইন পাশ করছে। এ কেমন নির্লজ্জ নীতি এ সরকারের। অনতিবিরম্বে এ হটকারীতা থেকে সরে আসতে হবে।
    নেতৃবৃন্দ পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত দেশ ও মানবতার পক্ষের ১৫ দফা দাবী আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানান। দাবী আদায়ের অংশ হিসেবে আগামী ২৭ মে ২০২২ চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সামাবেশ সফল করার উদার্থ আহ্বান জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ—সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাাদক মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম শাহীন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান  রবিন প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্য

    ভেন্যু : ইঞ্জিনিয়ার আব্দল খালেক মিলনায়তন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম
    তারিখ ও সময় : ২৫ মে ২০২২ বুধবার, বেলা ১১টা
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধমীর্য় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য— সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দূনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উদ্দে্যগে বিগত ১লা এপ্রিল ২০২২ইং ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় মহাসমাবেশে পঠিত ১৫ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনের মুহতারাম আমীর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৮টি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর অংশ বিশেষ আগামী ২৭ মে ২০২২ইং শুক্রবার বাদ জুমা চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে আজকের সংবাদ ব্রিফিং এর আয়োজন। আজকের সংবাদ বিফ্রিং এ উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক  মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা।
    ১৫ দফা দাবিগুলো হলো—
    ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
    ২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
    ৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।
    ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরি বাদ দিতে হবে।
    ৬. কারান্তরীণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
    ৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।
    ৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
    ৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।
    ১০.নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরণের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
    ১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
    ১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
    ১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (প্রপোরশনেট রিপ্রেজেনটেশন/চজ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
    ১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
    ১৫.সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা—সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
    উল্লিখিত ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আগামী ২৭ মে, শুক্রবার, বাদ জুমা হতে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমীর এদেশের গণমানুষের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্বিক নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম,পীর সাহেব চরমোনাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ ও আরো উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয়, জাতীয়, স্থানীয় ওলামা—মাশায়েখ, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদগণ। আমাদের বিশ্বাস চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯টি সাংগঠনিক ও  প্রশাসনিক জেলা—মহানগর শাখার সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে ২৭ মের বিভাগীয় সমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
    সম্মানিত সংবাদিক ভাইয়েরা আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আন্তরিকতার পরিচয় দেয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়ে এবং আগামী ২৭ মের বিভাগীয় সমাবেশে  সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহনের আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

    ধন্যবাদান্তে
    আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম
    সদস্য সচিব
    চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহা সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটি
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • খতীবে আযম রহ. এর বড় ছেলে হাফেজ জুনাইদ নোমানীর ইন্তেকাল-নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ছাত্রসমাজের শোক

    খতীবে আযম রহ. এর বড় ছেলে হাফেজ জুনাইদ নোমানীর ইন্তেকাল-নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ছাত্রসমাজের শোক

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সাবেক সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সাবেক শায়খুল হাদিস, দার্শনিক আলেমেদ্বীন ও প্রখ্যাত পার্লামেন্টারিয়ান খতীবে আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ রহ. এর বড় ছেলে, চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ জুনাইদ নোমানী (৭৩) মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৮ টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন – ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে যান। একই দিন (মঙ্গলবার) বাদ মাগরিব বরইতলী মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাযে জানাযায় ইমামতি করেন, মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা শামীম হোছাইন ছিদ্দিকী।
    নামাযে জানাযার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন,
    খতীবে আযম রহ. এর জামাতা, জিরি মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন, রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক, মরহুমের ছোট ভাই, চট্টগ্রাম ওমরগণি এম. ই. এস কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী।
    নামাযে জানাযায় প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক তৌহিদী জনতা শরীক হন।
    বিশাল নামাযে জানাযা শেষে বরইতলী মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে নিজ পিতা মরহুম খতীবে আযম রহ. এর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

    “নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ছাত্রসমাজের শোক,,
    খতীবে আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ রহ. এর সুযোগ্য বড় ছেলে, সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ জুনাইদ নোমানী রহ. এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, নায়েবে আমীর মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী, মাওলানা হোছাইন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব, যুগ্ম-সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান জিহাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুব উল্লাহ নোমানী,
    অর্থ সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক চকোরী, চকরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ডা. মঈন উদ্দীন গাজী, কক্সবাজার শহর আমীর মাওলানা খালেদ সাইফী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, কক্সবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ শওকত আলী, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা সমন্বয়ক রিয়াদ উদ্দিন, রামু উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ অলিউল্লাহ আরজু প্রমুখ।

    এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম হাফেজ মুহাম্মদ জুনাইদ নোমানী উপমহাদেশের খ্যাতনামা আলিমেদ্বীন, সাবেক আইন পরিষদ সদস্য (MLA), শাইখুল হাদিস, খতিবে আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ রহ. এর বড় ছেলে। তিনি চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের দুইদুইবার নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার) হিসেবে এলাকায় ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও তিনি আজিজ উদ্দিন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে এ পদ থেকে অবসর নেন।
    আমরা আল্লাহর দরবারে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

  • বাঁশখালীর ৩২ জেলে, ভারতে আটক, সাড়ে ৩ মাসেও মুক্তি মেলেনি।

    বাঁশখালীর ৩২ জেলে, ভারতে আটক, সাড়ে ৩ মাসেও মুক্তি মেলেনি।

    বাঁশখালীর ৩২ জেলে, ভারতে আটক, সাড়ে ৩ মাসেও মুক্তি মেলেনি।

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    জীবন-জীবিকার তাগিদে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সাড়ে তিন মাসেও বাড়ি ফেরেননি চট্টগ্রাম (১৬) বাঁশখালী উপজেলার আওতাধীন শিলকূপ ইউনিয়নের ৩২ জন জেলে। এ নিয়ে শিলকূপের জেলে পল্লীতে উদ্বেগের শেষ নেই। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাঁশখালী উপজেলার ৩২ জেলে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়েছেন। ফেরার অপেক্ষায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে পরিবারগুলো। তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সাড়ে তিন মাসেও না ফেরায় চরম অর্থাভাবে কষ্টে দিন কাটছে স্বজনদের।

    তবে নিখোঁজ জেলেরা সাগরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়ে দেশটির কারাগারে বন্দি আছেন বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক নুরুল আবছার।

    ভারতের কারাগারে আটককৃত জেলেরা হলেন শিলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের ওমর মিয়ার ছেলে শাহ আলম, ওমর কাজীর ছেলে ছাবের, আলী আকবরের ছেলে সৈয়দুল আলম, ওমর কাজীর ছেলে হাবিবুর রহমান, মোস্তফা আলীর ছেলে কামাল হোসেন, হাবিব উল্লাহর ছেলে জিয়াউর রহমান, কামাল উদ্দীনের ছেলে দিদারুল আলম ও জয়নাল আবেদিন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে নুর হোসেন ও আজগর হোসেন, সিকান্দার আলীর ছেলে আলী আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে জাফর আহমদ, মো. ইউসুফের ছেলে আকতার হোসেন, হানিফের ছেলে কবির হোসেন, হাসান আলীর ছেলে আবুল হোসেন, আহছান আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, ওমর কাজীর ছেলে জয়নাল উদ্দীন, আবুল কাশেমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, আবুল কাশেমের ছেলে ওবাইদুল হক, আলী আহমদের ছেলে মো. আবদুল্লাহ, হারুনুর রশিদের ছেলে শামসুল আলম, নবী হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, শাহ আলমের ছেলে মো. ফারুক, আবদুল আজিজের ছেলে মো. জোনাইদ, লাল মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ, নুরুচ্ছফার ছেলে আহমদ নুর, সৈয়দ নুরের ছেলে আরিফ উল্লাহ, আবদুস সালামের ছেলে হোসেন আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে নুরুল আলম, নজির আহমদের ছেলে জসীম উদ্দীন এবং আমির আমজার ছেলে মো. ইয়াছিন।

    ভারতের কারাগারে থাকা জেলে মুহাম্মদ ইয়াছিনের পিতা আমির হামজা বলেন, ‘আমরা খুব আর্থিক কষ্টের মধ্যে আছি। আমার ছেলের উপার্জনে আমাদের পুরো পরিবার চলতো। উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা কিছু খাদ্যসামগ্রী পেয়েছিলাম। এগুলো দিয়ে কয়েকদিন চলেছিল। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ২ থেকে ৩ বার খাদ্য সহায়তা পেয়েছি। এখন চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে আছি।

    ফিশিং বোট মালিক নুরুল আবছার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারি তারা সাগরে যায়। এর মধ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি সাগরে ঘন কুয়াশায় পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে। তখন ট্রলারসহ তাদের আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। নানা মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ৩২ জেলে বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ নামখানা কারাগারে বন্দি আছেন বলে শুনেছি। তাদের মুক্তির জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।’

    শিলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাঁশখালীর ৩২ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন। তাদের একমাত্র পেশা মাছ ধরা। তাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যারা আটক হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

    তিনি জেলেদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    শিলকূপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মু. নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ভারতে আটক জেলেদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ভারতের আদালতে মামলা চলছে। মামলা পরিচালনার সব অর্থ ট্রলার মালিক বহন করছে। ভারতীয় দূতাবাসেও জেলেদের মুক্তির বিষয়ে সহায়তা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমাদের একজন প্রতিনিধি আবুল বাশার ভারতীয় আদালতে আটক জেলেদের মুক্তির জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরতে পারবেন জেলেরা।’

    বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বাঁশখালীর ৩২ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত ভারতে জলসীমায় ঢুকে যায়। এরপর তাদেরকে সে দেশের কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। এমন তথ্য দিয়ে ট্রলার মালিক নুরুল আবছার থানায় একটি জিডি করেছিলেন। এ জিডি মূলে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেছিল বলে শুনেছি। তবে বর্তমান কী অবস্থা তা আমার জানা নেই।’

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার পর পরই স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় ভারতে আটক ৩২ জেলেদের তালিকা করা হয়েছিল। তালিকাটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটক জেলেদের পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। খুব শিগগির তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।’

    জেলেদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি হয়ে ভারতীয় আদালতে কাজ করেন আবুল বাশার। ভারত থেকে তিনি মুঠোফোনে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভারতের আদালত ছুটিজনিত কারণে ১০দিন বন্ধ আছে। বন্দী জেলেদের মুক্তির জন্য ভারতীয় আদালতে আবেদন জানিয়েছি। কোর্ট খোলার পর বন্দী জেলেদের মুক্তির বিষয়টি জানতে পারবো। এখন পর্যন্ত রায় না পাওয়ায় কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

  • জালালাবাদ হাউজিং এলাকায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ও শুলকবহর,পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়

    জালালাবাদ হাউজিং এলাকায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ও শুলকবহর,পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ (২৩ মে ২২) সোমবার নগরীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এর নেতৃত্বে খুলশী থানাধীন মুরগীফার্ম হতে জালালাবাদ হাউজিং পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বের প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। এই সময় রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ করার দায়ে ১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজুপূর্বক ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    অপর অভিযানে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন এর নেতৃত্বে রাজস্ব সার্কেল-১ আওতায় শুলকবহর ও পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে পরিচালিত অভিযানে চেক মারফত ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬ শত ৩৫ টাকা বকেয়া হোল্ডিং ট্যা· আদায় করা হয়। এরপর একই আদালত কর্তৃক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এর দায়েরকৃত মোকদ্দমায় ৩ ব্যক্তিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সহায়তা প্রদান করেন।

  • সিসি ক্যামেরা” এবং “আমার গাড়ি নিরাপদ” ডাটাবেজের জন্য রেমিট্যান্স যোদ্ধার মুখে হাসি

    সিসি ক্যামেরা” এবং “আমার গাড়ি নিরাপদ” ডাটাবেজের জন্য রেমিট্যান্স যোদ্ধার মুখে হাসি

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকলে সফলতা আসবেই। সেবা প্রত্যাশীদের মুখে হাসি ফুটানোই বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম লক্ষ্য। বলছিলাম রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিপ্লব দাশ এর ট্রলি ফিরে পাওয়ার গল্প।

    বিদেশ ফেরত বিপ্লব দাশ (৩৫) ইং ২২/০৫/২২ইং তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় নতুন বউ নিয়ে পাকা রাস্তার মাথা থেকে সিএনজি যোগে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিউমার্কেট মোড়ে মিষ্টি কিনার জন্য নামেন। সদাই শেষে লক্ষ্য করেন সদ্য বিয়ে হওয়া বউয়ের স্বর্ণালংকার, নগদ ২০,০০০ টাকার বান্ডিল, নতুন শাড়ি, ব্যাংকের চেক বই সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সমেত ট্রলিব্যাগটি সিএনজির পেছনেই ফেলে এসেছেন। হন্যে উপায় হয়ে কোতোয়ালি থানায় উক্ত বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। জিডি প্রাপ্তির পর এস আই/সাদ্দাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ তদন্তে নামেন। ঘটনাস্থলসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিএনজি সনাক্ত করেন। “আমার গাড়ি নিরাপদ” ডাটাবেজের মাধ্যমে সিএনজির মালিক এবং ড্রাইভারের তথ্য সংগ্রহ করেন। অভিযোগের প্রাপ্তির ৬ ঘন্টার মধ্যেই বিপ্লব দাশের স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ মালামালের ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করেন এবং তাদেরকে বুঝিয়ে দেন।

    বিপ্লব দাশ বিয়ে পরবর্তী অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উন্নত দেশের পুলিশের মত বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন।

  • চট্টগ্রামে পুলিশের ভ্যানে ধাক্কা দেওয়া বাসচালক নাহিদুল গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামে পুলিশের ভ্যানে ধাক্কা দেওয়া বাসচালক নাহিদুল গ্রেপ্তার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকায় শিল্প পুলিশের পিকআপকে ধাক্কা দিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে আহত করা বাসচালক নাহিদুল ইসলাম স্বপনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    গ্রেপ্তার নাহিদুল ইসলাম স্বপন নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার মৃত হানিফের ছেলে।

    শনিবার (২১ মে) রাতে পাহাড়তলী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শিল্প পুলিশের বাসে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক নাহিদুল ইসলাম স্বপনকে রাতে পাহাড়তলী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রবিবার (২২ মে) দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, শনিবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাগরিকায় এ কে খান গেট এলাকায় বাসের ধাক্কায় শিল্প পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাসটি জব্দ করে। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের এসআই নাজমুল হাসান মোল্লা বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

  • জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালীর জনপ্রিয় মেয়র।

    জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালীর জনপ্রিয় মেয়র।

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    গত ১৭মে (মঙ্গলবার) বাঁশখালী জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালী পৌরসভার ছাত্র-ছাত্রী কৃষক শ্রমিক ও চাকুরীজিবী সহ সাধারণ মানুষের প্রাণ প্রিয় সৎ ও যোগ্য অভিভাবক মাননীয় মেয়র এডভোকেট এস.এম. তোফাইল বিন হোছাইন।

    নবনির্বাচিত সহ-সভাপতিকে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন :- আমাদের বিশ্বাস আপনার যোগ্য নেতৃত্বে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসাকে একটি মডেল ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দরিদ্রমুক্ত শিক্ষানীতির সঠিক মূল্যায়ন করবেন। আপনার হাত ধরে সৃজনশীল ও সমৃদ্ধশালী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা।
    বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বাঁশখালী মাটি ও মানুষের প্রিয় অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি মহোদয়ের প্রতি।
    মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতিকে অভিনন্দন ও তাঁর সু-প্রশংসায় মুখরিত মাদ্রাসার আঙ্গিনা ও এলাকা জুড়ে।

  • Untitled post 7071

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    দীর্ঘ সাড়ে নয় ঘণ্টার অপারেশনে অবশেষে শঙ্কামুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় আসামির দায়ের কোপে কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই পুলিশ কনস্টেবল।

    গতকাল রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ আল-মানার হাসপাতালে বিকেল ৫টা থেকে রাত ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত টানা ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিট অস্ত্রোপচার শেষে কনস্টেবল মুহাম্মদ জনি খানের হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয়।

    ১৬ মে সোমবার বেলা ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির অপারেশন্স ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার পরিচালক ডা. মো. শহিদুল্লাহ।

    তিনি বলেন, অপারেশনটি আমাদের জন্য খুবই জটিল ছিল। একটা মানুষের সম্পূর্ণ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া হাতে অনেকগুলো অংশ থাকে, সেগুলোকে আলাদা করে সিরিয়ালি বের করতে হয়েছে। এরপর ৮ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত অপারেশনটি করতে হয়েছে। এর আগে অপারেশন পূর্ববর্তী আরও এক ঘন্টা সময় লেগেছে। সবমিলিয়ে সাড়ে নয় ঘন্টার অধিক সময় লেগেছে।

    ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, রোগী এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। কিছুক্ষণ আগেই আমি দেখেছি যে, তার হাতের স্বাভাবিক রং চলে এসেছে। নার্ভ যেগুলো জোড়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও ফাংশন চলে আসতে শুরু করেছে। হাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় হাতেও উষ্ণতা চলে এসেছে।

    রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত এমন যেসব রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছি, তারা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আশা করছি তিনিও শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকীর নেতৃত্বে হাসপাতালটি প্লাস্টিক সার্জন ডা. হাসান নাজিরুদ্দীন সুমন, ডা. শাকেরা, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আলাউদ্দীন ও ডা. মোস্তফা কামরুল ইসলামসহ ৫ সদস্যদের চিকিৎসক দল এই অস্ত্রোপচারে অংশ নিয়েছেন

  • শুক্রবার টিআইসিতে টেলিছবি ‘বসন্তেশ্বরী’র প্রিমিয়ার শো

    শুক্রবার টিআইসিতে টেলিছবি ‘বসন্তেশ্বরী’র প্রিমিয়ার শো

    মোঃ শাহীন আলমঃ- ফেনী সোনাগাজী প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা, (চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ) এর অর্থায়নে শারদ নন্দিনী নিবেদিত “শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র” এর জীবনী নিয়ে নির্মিত বায়োগ্রাফি ‘বসন্তেশ্বরী’র প্রিমিয়ার শো আগামী শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে (টিআইসি) অনুষ্ঠিত হবে। ‘শারদ নন্দিনী’র ব্যানারে এবং আ-কার ই-কার চলচ্চিত্র ও অনল মিডিয়া ভিশনের কারিগরী সহযোগিতায় এটি পরিচালনা করেছেন আশরাফুল করিম সৌরভ। সহকারী পরিচালক ছিলেন মোশারফ ভুইয়া পলাশ ও অদ্বিত বিশ্বাস আদি। রাহা আরাফ টিমের সহযোগিতায় গত তিন মাস ধরে বোয়ালখালীর মেধসমন্নী আশ্রমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন লোকেশন ও ধর্মীয় স্থানে এর সুটিং করা হয়েছে।

    মহিষাসুরমর্দিনী, এ নামটি শুনলে সর্ব প্রথম যার কথা আমাদের মনে ধরে, তিনি হলেন মুকুট বিহীন রাজা, আকাশবানী বেতারের কিংবদন্তি শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। যার কন্ঠ ছাড়া মহালয়ার ভোর হয় না। যার কন্ঠ ছাড়া বাঙালির দূর্গা পূজার আমেজটা পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায় না। সেই মুকুট বিহীন রাজাকে নিয়েই নির্মিত ‘বসন্তেশ্বরী।’ এটা শারদ নন্দিনীর প্রথম প্রযোজনা। এ বায়োগ্রাফির মাধ্যমে নির্মাতারা চেষ্টা করেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনের আক্ষেপ, অভিমান, পাওয়া না পাওয়াগুলো তুলে আনতে; বর্তমান প্রজন্মের কাছে তার কন্ঠ ও জীবনের গল্পটা পৌঁছে দিতে। একই সাথে মহিষাসুরমর্দিনী সৃষ্টির গল্পটা তুলে আনতে। কারণ বর্তমানে অনেকেই জানে না, মহালয়া একটা তিথির নাম, আর মহালয়াতে প্রচারিত হওয়া অনুষ্ঠানটির নাম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।

    এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্তনু দাশ, বিটু ভৌমিক, টিটু কুমার পাল, উৎপল সেনগুপ্ত, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, সপ্তর্ষি পাল শ্রুতি, রমিতা ভৌমিক, নিষ্ঠা চৌধুরী পিহু, মিঠু দেব, রিপন বড়ুয়া, প্রাচুর্য্য ধর, রুবেল চৌধুরী, নিকিতা দত্ত, বন্যা চৌধুরী, বিশাল বৈদ্য, শান্ত ভট্টাচার্য্য, পার্থ চৌধুরী, প্রজাশ পাল, আলী, সৌরভ পাল, দীপ্ত রাহা, দেবাশীষ ভট্টচার্য্য, অদ্বিত বিশ্বাস, শিপন বণিক।