Category: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বুধবার ১৮ নভেম্বর ২০২০খ্রি.
    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় পুলিশ লাইন্স সিভিক সেন্টারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় ফোর্সের সামগ্রিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও বাস্তবায়নে নানাবিধ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ফোর্সের বিভিন্ন সমস্যার কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপর (দক্ষিণ) জনাব আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মো: জাহাংগীর, সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ সুপারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদবীর অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

  • রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    • মোঃ শহিদ উখিয়া

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আর আশ্রয় দিয়েই বিপদে পড়েছে সরকার। এদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট এবং প্রত্যাবাসন কোনোটতেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বরং গত তিন বছরে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিন দিন বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের টাস্কগ্রুপ গঠনের পাশাপাশি মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত হচ্ছে পৃথক জাতীয় কমিটি।
    সূত্রে জানা গেছে, মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নানা দেন দরবারেও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। বরং মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এতে জঙ্গিবাদের শঙ্কাসহ বিষয়টিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করছে সরকার। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতামূলক কার্যক্রম, বিভিন্ন বাহিনী গঠন ও আন্তর্জাতিক নানা ইন্ধন ঠেকাতে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে ঘাটতি দেখছেন নীতি নির্ধারকরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে ঘাটতি দূর করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নগদ অর্থের লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট করছে। নগদ অর্থ লেনদেনের কারণে ক্যাম্পে অপরাধমুলক কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা দেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।’
    এদিকে গোয়োন্দা সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা প্রশাসনের অগোচরে বিভিন্ন নামে বেনামে কমিটি গঠন করছে। যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। সরকারে বিভিন্ন বাহিনী দিনের বেলায় ক্যাম্পে কাজ করলেও রাতে ক্যাম্পে কী ঘটে তা নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেউ জানে না। সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ করা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফলাফল আশানুরূপ নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমার ফিরে যেতে রাজি হয় সেজন্য এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়।
    দেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে সবাই নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করার তাগিদ দেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে টাস্কগ্রুপ গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পাশপাশি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মানবিক সহায়তা জরুরি ত্রাণ, এনজিওর নিবন্ধন ও তাদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
    এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা শুধু যে এখানে বসবাস করছে তা কিন্তু নয়; এখানে তারা মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকিতে চলে গেছে। এদের সঙ্গে আন্তজার্তিক অপরাধীদের সংযোগ থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যদিও সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি সবাই কাজ করছে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমরা চাই, বিচ্ছিন্নভাবে না করে একটা সমন্বয় হোক। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’
    বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এক লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ভাসানচরে নিতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন ইস্যুতে এনজিওদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের নিরুৎসাহিত করার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তর আলোচনা হলেও আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। যদিও তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়। ওই গ্রুপ গত দুই বছরে চার দফা বৈঠক করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারের অনুরোধে সে বৈঠক দুইমাস পিছিয়ে মে মাসে সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সে বৈঠকও বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা কার্যত থেমেই আছে।
    উল্লেখ্য, মিয়ানমার জাতিগত নিধন আর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে তিন বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। তার আগে থেকে আরও তিন লাখ আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে সব মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের দুটি উপজেলায় গঠিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে দিন দিন নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

  • টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান, মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. স্মরণে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জামেয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে জামিয়ার হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষত কওমী অঙ্গনের জন্য আল্লামা আহমদ শফীর অবদান ও হাদীস অধ্যাপনার জগতে তাঁর খেদমত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শায়খুল ইসলামের মৃত্যুতে এই জাতি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ হারিয়েছে তার ইন্তেকালে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লামা শফী শুধু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের গর্বই ছিলেন না, এই উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আধাত্মিক রাহবার হিসেবে শতবর্ষতেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ তিনি বলেন”এদেশে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষায় শাহবাগী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে যখন আমরা সঠিক নেতৃত্বের সন্ধানে ছিলাম তখন আমিরে হেফাজতের শুধুমাত্র একটি ডাকেই গোটা বিশ্বে সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক হেফাজতের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল,কিংবা আমাদের ক্বওমীর লক্ষ লক্ষ সন্তানরা তাদের যুগ যুগ ধরে চেয়ে আসা সরাসরি স্বকৃীতির জন্য মিথ্যে স্বপ্ন বুনছিল তখন তিনিই তা বাস্তবেই রুপান্তর করে গেছেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল টেকনাফের জমিয়তে উলামার সভাপতি আল্লামা মাহবুবুল আলম মোজাহেরী, টেকনাফ সাবরাং মাদ্রাসার পরিচালক হেফাজত নেতা আল্লামা নুরুল হক, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ’র সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশিষ্ট হাদিছ বিশারদ আরবী সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা নুরুল ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন,আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকালে বাংলাদেশের মুসলিমরা শুধু একজন ধর্মীয় নেতৃত্বই হারায়নি; বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একজন দরদি রাহবার হারাল। এ দেশের মুসলমান তাঁর ত্যাগ ও অবদান এবং উলামায়ে কেরাম তাঁর অভিভাবকত্বের কথা চিরদিন স্মরণ রাখবে।’ তাঁরা আরো বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকাল ইসলামী জ্ঞানের জগতে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। তাঁর অনুপস্থিতি কষ্টদায়ক। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং উম্মাহর জন্য তাঁর অসামান্য খেদমতের উত্তম বিনিময় দান করুন।’

  • আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২ যুবক

    আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২ যুবক

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা প্রতিনিধি

    আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের চৌকিদার পাড়ায় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের চোরাইকৃত মোটর সাইকেলটি জবদ্ধ করা হয়েছে।

    আনোয়ারা থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট এলাকায় একটি চোরাই মোটর সাইকেল কেনা-বেচা চলছে এখবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে একটি টিভিএস মোটর সাইকেলসহ ইয়াছির আরাফাত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে মানিক নামে আরেক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময়ে বান্দরবন জেলার লামা উপজেলার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র আবদুর রহমান পালিয়ে যায়। তবে এরা দুইজনে পালিয়ে যাওয়া আরাফাতের কাছ থেকে গাড়িটি ক্রয় করছিলো বলে জানিয়েছে তারা। গ্রেপ্তারকৃতরা হল বটতলী হলদিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র ইয়াছির আরাফাত (২১) ও মো. আইয়ূব আলীর পুত্র মো. মানিক (১৯)।

  • ১৯ দিনব্যাপী চুনতী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে নসিহত পেশ করেন খতিবুল উম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)

    ১৯ দিনব্যাপী চুনতী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে নসিহত পেশ করেন খতিবুল উম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম ১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মতনির্বিশেষে সব মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠতর স্বভাব-চরিত্রের অতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করেছেন প্রিয় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তাঁর স্বভাব-চরিত্রের মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছিল সদা জাগ্রত। মন্দের প্রতিবাদ তিনি মন্দ দিয়ে করতেন না, বরং মন্দের বিনিময়ে তিনি উত্তম আচরণ করতেন। সব বিষয়েই তিনি ক্ষমাকে প্রাধান্য দিতেন। ড. আবু রেজা নদভী আরো বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। জোর জবর দস্তী, নৃশংসতা ও নিরপরাধ মানুষ হত্যা শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো স্বীকৃতি দেয়না। তিনি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে ইসলামকে নবী করিম (স.) অনুসৃত পন্থায় উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি ১৫ নভেম্বর রবিবার বাদ মাগরিব আশেকে রাসুল (সাঃ) চুনতির হযরত শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ (র.) প্রকাশ শাহ্ সাহেব কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে ১৮ তম দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা আল্লামা হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা। প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, মৃত্যুর পরের জীবন হচ্ছে অনন্ত কালের জন্য আর একটি নতুন জীবনের সূচনা । মৃত্যুর পর আর কোনও সুযোগ থাকেনা আমল করার। পরকালীন জীবন-ই হচ্ছে আসল জীবন। তিনি বলেন, মানুষ এই ধরণীতে ঘর সাজালেও আসল ঘরতো কবর। কবরের ঘর বানানোর জন্য আসল সম্পদ হচ্ছে বান্দার আমল তথা কুরআন শরীফ। তিনি বলেন, পরকালীন মুক্তির একমাত্র অবলম্বন আল্লাহর বাণী গ্রহণ ও অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকার কারনেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা অধঃপতিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত। সুতরাং মুসলমানদের অনুসরণ করতে হবে আল্লাহর বিধান ও রাসূলের নির্দেশনা। কুরআন-হাদিসের মর্মবাণীকে অনুধাবন করে অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারেলেই পরিণত হবে যথার্থ মানুষে, সফল মানুষে, আলোকিত মানুষে।

    মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহসান সাইয়েদ, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ ইসমাঈল মানিক, মাওলানা শাহ আবুল কালাম আজাদ, পটিয়া জিরি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হোবাইবসহ বিভিন্ন স্তরের আলেম-ওলামা ও জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোছাইন।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি জাতীয় সংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুুুুুুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবিউর রহমান রবি স্যারের গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

     

    ডাঃ রবির ভাষায় যা বললেন

    ভাবছিলাম অনেক কিছু লিখব! কিন্তু কোন ভাষাই আসেনা! এত স্মৃতি এত কথা! সর্বশেষ রাশেদের গত ইউপি নির্বাচনের দিন আপনার সাথে কাটানো সময় আর স্মৃতিগুলো!
    এত অমায়িক আর আপাদমস্তক ভদ্রলোক মানুষ হয় কি করে ওনার সাথে না মিশলে বুঝতামনা!
    আত্মীয়তার এই সংক্ষিপ্ত সময়ে যতবার দেখা করেছি, কথা বলেছি ওনি জীবনধর্মী উপদেশ দিয়েছেন, সৎ পরামর্শ দিয়েছেন।
    ওনি ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের বীর সংঘটক, পরিচ্ছন্ন শিক্ষক,মর্যাদাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ গণমানুষের বন্ধু! এই করুনাকালেও তাঁর অন্তিম যাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল তাঁর কর্মের পরিচায়ক!
    ওনার মধ্যে আমার মরহুম বাবার ছায়া অনুভব করেছি! মনের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করতাম যে আমাদের মধ্যে একজন অভিভাবক আছেন!
    আজ মহান আল্লাহ তাঁর এই প্রিয় বান্দাকে তাঁর সন্নিকটে নিয়েগেছেন! আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে গেলাম!
    হে আল্লাহ এই ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন! আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দান করুন।  আমীন

  • আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

    আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর সদস্য, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুহতামিম ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মুফতী শাহ আবদুল হালীম বুখারী অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    তাঁর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে গিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আতিকুর রহমান এবং ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক।

  • বাঁশখালীতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ১১বাহিনীর ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

    বাঁশখালীতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ১১বাহিনীর ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য খ্যাত বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগরদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর ২০২০) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জলদস্যু/অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে ১১ বাহিনীর ৩৪ জন আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তারা দেশী-বিদেশীয় ৯০টি অস্ত্র সহ ২হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ জমা দেন।

    আত্মসমর্পণ ও পুনঃবাসন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম’পি, সংসদ সদস্য মু. মোসলেম উদ্দিন, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ্ রফিক, সংসদ সদস্য মু. জাফর আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পিএসসি ও র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মু. মশিউর রহমান জুয়েল।

    আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এসময় জলদস্যুরা দেশী-বিদেশীয় ৯০টি অস্ত্র সহ ২হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বাইশ্যা ডাকাত বাহিনীর ৩জন, খলিল বাহীনির ২জন, রমিজ বাহিনীর ১ জন, বাদশা বাহিনীর ৩ জন, জিয়া বাহিনীর ২জন, কালাবদা বাহিনীর ৪জন, ফুতুক বাহীনীর ৩জন, বাদল বাহিনীর ১জন, দিদার বাহিনীর ১ জন, কাদের বাহিনীর ১ জন, নাছির বাহিনীর ৩জন, অন্যন্য ১০ জন সহ ৩৪ জন আত্মসমর্পন করেন।

    আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হলেন- মহেশখালীর বাইশ্যা বাহিনী ও ফুতুক বাহিনীর মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), মো. আহামদ উল্লাহ (৪২), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭), মো. দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (২৬), মো. মিজানুর রহমান (২৩), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), মো. বেলাল মিয়া (৩০), মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাক্কু (৩৫), মো. রশিদ মিয়া (৩৬)।

    কুতুবদিয়ার খলিল বাহিনীর সদস্য, আব্দুর রহিম (৬৪), মো. মাহমুদ আলী ওরফে ভেট্টা, মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৬), মো. ইসমাইল (২৪), সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২), এবং বাঁশখালীর রমিজ বাহিনীর মো. ইউনুস (৫৬), মো. তৌহিদ ইসলাম (৩৪), মো. ফেরদৌস (৫২), মো. রেজাউল করিম (৪০)।

    এ ছাড়া পেকুয়ার বাদশা বাহিনীর মো. নিজাম উদ্দিন ভাণ্ডারী, মো. ইউনুস (৫১), মো. কামাল উদ্দিন (৪৭), মো. আব্দু শুক্কুর (২৮), মো. ইউনুচ (৪২), জিয়া বাহিনী ও নাছির বাহিনীর সাহাদাত হোসেন (দোয়েল) (৪১), মো. পারভেজ (৩৩), মো. নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), মো. সাকের (৪০)।

    এ ছাড়া আত্মসমর্পণ করেছেন চকরিয়ার কালাবদা বাহিনীর মো. সেলিম বাদশা (৩৪), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মো. মামুন মিয়া (২৭) ও মো. মন্জুর আলম (৪২)।

  • ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সঙ্গে জাগো হিন্দু পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সঙ্গে জাগো হিন্দু পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

    আলমগীর ইসলামবাদী,, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    গত শনিবার চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে আপত্তিকর শ্লোগানকে কেন্দ্র করে আজ জাগো হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা
    মিলন শর্মা এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আছেন !
    সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ!
    চট্টগ্রামের বিক্ষোভ সমাবেশে জাগো হিন্দু পরিষদের ব্যানারে যারা আপত্তিকর শ্লোগান দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত!
    শুধু তাই নয়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোন উসকানি না দেয়, সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বজায় রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়।
    উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ন মহাসচিব
    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের
    কেন্দ্রীয় সভাপতি
    এম. হাছিবুল ইসলাম
    কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি
    মুহাম্মদ আবদুল জলিল
    কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক
    এম এম শোয়াইব
    জাগো হিন্দু পরিষদ এর
    কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি
    অভিজিত বনিক
    সাধারণ সম্পাদক
    নিতাই দিবানাথ রুপক সহ নেতৃবৃন্দ!

  • মহানবী(স.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে চন্দনাইশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

    মহানবী(স.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে চন্দনাইশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম বিভাগ প্রতিনিধি

    ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ ব্যঙ্গচিত্র তৈরী ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলার কওমী মাদ্রাসা ও তৌহিদী জনতার যৌথ ডাকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (৮ নভেম্বর ২০২০) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এলাকা থেকে মিছিলে মিছিলে নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার জমায়েতে গাছবাড়ীয়া কলেজ মাঠ হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য। হাজার হাজার নবীপ্রেমিক জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে বাদ আসর চন্দনাইশ গাছবাড়ীয়া কলেজ মাঠ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। স্মরণকালের বৃহৎ এ মিছিলে ফ্রান্সের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করাসহ বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলেন মিছিলকারীরা।

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মালেক হালীমসহ শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বিশাল এ বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে খানহাট এসে শেষ হয়।

    সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল মালেক হালিম বলেন,শান্তি, সম্প্রীতি, মানবতা ও সভ্যতার নবী, শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরম অবমাননা করে ফ্রান্স বিশ্বসভায় ঘৃন্যতম অসভ্য রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রাসুলে কারীম (স.) এর শান-মানের ওপর আক্রমনের প্রতিবাদ না করে কোন প্রকৃত মুসলমান ঘরে বসে থাকতে পারেন না। তাই আজ শান্তিকামী মুসলমানেরা রাজপথে নেমে এসেছেন। রাসুলে কারীম (স.) এর অবমাননাকারী অসভ্য ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি অনতিবিলম্বে ফ্রান্সের সাথে কুটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কসহ সব সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবি জানান।

    সমাবেশে বক্তারা মহানবী ( স.)-এর চরম অবমাননার এ ঘটনায় ওআইসি ও আরবলীগের নিরব ভূমিকা পালনকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। এবং অবিলম্বে এই সংস্থাগুলোকে ফ্রান্সে বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান জানান ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানান।

    মাওলানা বেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, চন্দনাইশ চৌধুরীপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল হাশেম,বরকল ফয়জিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সাত্তার, বুলারতালুক মাদরাসার মুহতামিম মুফতী হাসান মুরাদাবাদী,মুরাদাবাদ মাদরাসার সহকারী মুহতামিম মাওলানা মফজল আহমদ,মাওলানা ইউসুফ মুরাদাবাদী,কানাইমাদারী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা তাজুল ইসলাম,বরকল ফয়জিয়া মাদরাসার সহকারী মুহতামিম মাওলানা আনিসুর রহমান,বায়তুল কারীম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, বশরত নগর মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুনির আহমদ,দোহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতী ফয়সল,খরনা মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ, শোভনদন্ডী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান জাহাঙ্গীর, সহকারী মুহতামিম মাওলানা এমদাদ,বহরম পাড়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা কামাল, চন্দনাইশ কোরআন প্রচার সংস্থার সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু তৈয়্যব, মাওলানা ইমরান হালীম, মাওলানা ইমতিয়াজ হোসাইন, চন্দনাইশ কোরআন প্রচার সংস্থার প্রচার সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল মান্নান ও মাওলানা ফিরোজ নছিমী প্রমুখ।