Category: শিক্ষাঙ্গন

  • ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    রচনায়: মুঃ আমির কাসেম

    ইমাম সাহেব এশার নামায পড়াচ্ছিলেন, প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। এই বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটাই ইমাম সাহেবের চাকরি যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।

    ইমাম সাহেব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মানে বুঝেন তো, অভাবের কথা কাউকে না পারে বলতে, না পারে সইতে। এই রকম এক পরিবারের সন্তান মাও. মুনিরুল ইসলাম। মাওলানা পড়া শেষ না করলেও সবাই তাকে মাওলানা বলেই ডাকে। কারণ, মাদরাসায় পড়তে পড়তেই বড়ো হয়েছে। মাদরাসায় জামাতে হাশ্তুম শেষ করেই তাকে চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হয়েছে। এছাড়া আর উপায় কী? বাড়ির একমাত্র কর্মক্ষম লোক বাবা পঙ্গু অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন। আগে রিকশা চালাতেন। একদিন চাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা, অতঃপর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যখানে পড়ে পায়ে সজোরে কিসের যেন আঘাত পড়ে। সেই থেকেই ভাঙ্গা পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মুনিরুল ইসলাম লেখা-পড়া বাদ দিয়ে চাকরির খুঁজে লেগে যায়।

    দূরে যেতে হলো না। পাশের গ্রামের পঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে শুনে ঐ মসজিদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলো মুনিরুল ইসলাম। সভাপতি সাহেব খুশি হলেন। কারণ, ইমামের খুঁজে দূরে যেতে হলো না। চার হাজার টাকা বেতনে রেখে দিলেন মুনিরুল ইসলামকে। বেতন বলবো কী করে? সভাপতি সাহেব বেতন বললেও আমি বলতে পারি না। অন্তত পকেট খরচ বা হাদিয়া বলা যায়। মসজিদের চাকরি যারা করে, তারা বেতন পায় না। বেতন তো সরকারী চাকরি আর বিদেশী চাকরিতে মিলে।

    মনিরুর ইসলাম খুশি। কারণ এই চার হাজার দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ আঞ্জাম দেওয়া না গেলেও অন্তত করচটুকু যোগাতে পারবে। শুরু হলো মুনিরুল ইসলামের ইমামতি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান, নামায পড়ানো আর সকালে ফোরকানিয়া।

    এভাবেই চলছে তার চাকরির জীবন। সপ্তাহ না যেতেই পাঁচ দিনের মাথায় ঝামেলা শুরু হলো। সকালে ফোরকানিয়ার এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে কমেডের উপরেই কাজ সেরে আসলো। ইমাম সাহেব কিন্তু এই খবর জানেন না। কারণ, তার ঐ দিকে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফোরকানিয়া ছুটি হলো, দুপুর পর্যন্ত ঐ দিকে যাওয়া হলো না। জুহুরের আযানের আগেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাহেব উপস্থিত। টয়লেট সারতে গিয়ে মাথা হয়ে গেলো গরম। বেটা ইমাম সাব করেটা কী? টয়লেট অপরিস্কার কেন? এভাবে চিল্লাচিল্লি করতে করতে আসতে লাগলেন ইমাম সাহেবের রুমের দিকে। ইমাম সাহেব আযান দেওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন রুম থেকে। দরজার সামনেই পেয়ে গেলেন ইমাম সাহেবকে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারিকে দেখে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই সেক্রেটারির বুম ফাটানো চিৎকারে ইমাম সাহেব পড়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেক্রেটারি চিল্লিয়ে বলতে লাগলেন- ইমাম সাহেব! তুমি করোটা কী? অ্যাঁ! তোমার খাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর কোন কাম নাই?
    – কেন সাহেব? কী হয়েছে? কোন ভূল….
    – টয়লেটের এই অবস্থা কেন? কমেডের উপরে কার সারবি তুই আর মুসল্লি এসে পরিস্কার করবে?
    – কী বলেন? আমি আজ ওদিকেই যাইনি। আর….
    – চুপ! মোল্লাদের হত্তর দরজা থাকে। এখন পরিস্কার করে আয়! খাবি আর ওখানে সারবি, এখানে তোর কামলা সবাই…. আরো অনেক কথা বলে গেলো। সব কথা ইমাম সাহেবের কানে গেলো বলে মনে হলো না। কারণ, সে তখন অন্য চিন্তায়। কে এসে উপরে টয়লেট সারলো, আর সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়লো আমার উপর।
    সব ভুলেই ইমাম সাহেব টয়লেট পরিস্কার করে আযান দিতে গেলো। আযান দিতে দেরি হওয়ায় আরেক বকা খেতে হলো। এভাবেই চলছে তার চাকরি জীবন। একদিন টয়লেট অপরিস্কারের জন্য বকা শনতে হয়, আরেকদিন ট্যাপে পানি নেই, মসজিদে ময়লা কেন, ঝাড়ু দিতে কষ্ট হলে ইমামের চাকরি নিলে কেন ইত্যাদি। আরো কতভাবে ইমামের দোষ খুঁজে বের করে তার ইয়ত্তা নেই। যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে না, সেও হঠাৎ মসজিদে এসে পায়ে সামান্য বালি লাগলেই ইমাম সাহেবের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে।

    মুনিরুল ইসলাম সব শুনেও সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামুননাসের গালি শোনার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা হজম করতে হয়। হয়তো এটাই নিয়ম। ইমাম সাহেবও যে মানুষ, তাদেরও কত কাজকাম থাকে, পারিবারিক কাজেও তাদের সময় দিতে হয়, তা কি সব মুসল্লি বুঝে? যারা বুঝে তারা তো অসম্মান করছে না। এটাই এখন ইমাম সাহেবের সান্ত্বনা।

    দু’মাস পরের কথা। মাগরিবের নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি থেকে অযু করে আসতে হলো। কারণ, সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এশার নামাযের আগ মূহুর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো। ইমাম সাহেব মটরের সুইচ অন করে আযান দিলেন। মুসল্লিরা অযু করে মসজিদে ঢুকে গেছে। ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। তখনও মটরের সুইচ অন।

    নামাযের পর কারো স্মরণ নেই মটরের সুইচ বন্ধ করার ব্যাপারে। এমনকি ইমাম সাহেবেরও। চলে গেলো সবাই। ফজরের নামায পড়তে এসে সভাপতি সাহেব দেখে মসজিদের পুরো আঙ্গীনা নদীর মতো হয়ে গেছে। যেন নদীর ঢল নামছে। খোঁজ নিয়ে দেখে, রাতে যাওয়ার সময় মটরের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। চটে গেলো ইমাম সাহেবের উপর। যেন এক্ষুনি কেয়ামত নেমে আসবে। না, ইমাম সাহেবকে কিছু বললেন না। ফজর নামযের পর কমিটির সবাইকে ডাকলেন। ইমাম সাহেবকেও। ইমাম সাহেবকে মাসের টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন- ইমাম সাহেব! তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছো। অনেকদিন ধরে সহ্য করতেছি, আর না। এবার আপনি যেতে পারেন।

    -দায়িত্ব অবহেলা, নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ বের করে দোষী সাব্যস্ত করে বিদায় করা হচ্ছে।?
    – বেশি কথা বলা ভালো নয়। সম্মানের সাথে বিদায় করতেছি। তাড়াতাড়ি চলে যান।
    -আমার কিছু কথা আছে জনাব… আবার কথা! বলে তেড়ে উঠে সভাপতি। ইমাম সাহেবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগই দিলো না। ইমাম সাহেব কাকে বোঝাবে দুঃখের কাহিনী। সে যে দোষী নয়, সবাই দোষ খুঁজে খুঁজে বের করে দোষী বানানো হচ্ছে এবং হয়েছে সবসময়। এই তো, রাতে তার স্মরণ ছিলো না মটরের সুইচ বন্ধ করতে। কিন্তু প্রায় বিশজন মতো মুসল্লি, তার মধ্যে দশ/বারোজন কমিটির লোক, তাদেরও কি স্মরণ ছিরররো না? নাকি ইমাম সাহেবকে শায়েস্তা করার জন্য এই ফন্দি? একবার ভেবে দেখুন তো, আজ মুনিরুল ইসলর

  • ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    কায়েস ও নাবিল ছোটকাল থেকেই বন্ধু।লেংটাকালে তারা একই সাথে গ্রামের মক্তবে লেখা-পড়া করেছে। পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে যেতো। প্রাইমারি লেভেল শেষ করার পর একজন চলে যায় সুদূর হাটহাজারি মাদরাসায় আর নাবিল পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়। উভয়ে লেখা-পড়ায় খুব ভালো। নাবিল দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। তাই চিন্তাভাবনা করে আলিমে ভর্তি না হয়ে কলেজে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।

    হঠাৎ একদিন নাবিলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারিবারের সম্পদ বলতে শুধু একটি গরু ছিলো। বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে গরুটি বিক্রি করে দিতে হলো। তবুও বাঁচানো গেলো না। চলে গেলো তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে।

    এখন পরিবারের হাল তাকেই ধরতে হচ্ছে। কারণ পরিবারে সেই বড়। তাছাড়া ছোট একটি বোন আছে। ছোট বোনের লেখা-পড়ার খরচ এবং নিজের লেখা-পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে! তাই নিরূপায় হয়ে বহু চেষ্টার মাধ্যমে একটি ব্যবসার হাল ধরলো। সুদূর সিলেট থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে গ্রামের এবং পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়। এভাবেই চলছিলো তার দিনকাল।

    একদিন পথিমধ্যে তার ছোটকালের বন্ধু কায়েসের সাথে দেখা হয়ে গেলো। সাথে সাথে কায়েস সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাবিলকে। তারপর পথে দাঁড়িয়েই অনেক্ষণ কথা হলো। কথাচ্ছলে নাবিল কায়েসকে বললো- বন্ধু! কী করি বলতো, পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কী ব্যবসা একটা ধরলাম। কিন্তু পদে পদে লস খাচ্ছি।
    -তার আগে বল, তোর লেখা-পড়ার কী অবস্থা? কেমন চলছে?
    -ধুর বেড়া, তোকে বললাম ব্যবসায় লসের কথা, আর তুই চলে গেলি লেখা-পড়ায়।
    – তো কি, লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দিবি?
    – হ্যাঁ, এতো লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো! অনেকেই তো মাস্টার্স শেষ করেও চাকরি না পেয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। তাই লেখা-পড়া ইচ্ছা আর নেই।
    – না, আমি বলবো তুই লেখা-পড়া কর। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।তুই না মাদরাসায় পড়েছিস? তোর জানার কথা। সূরা যুমার এর ৫৩ নং আয়াতে আছে- “ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” আমাদেরকে সবসময় তাঁর রহমতের আশা রাখতে হবে।লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো? এই চিন্তা বাদ দে।তুই লেখা-পড়া চালিয়ে যা। সাথে ব্যবসাটা কর।লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হবে। দেখবি, আল্লাহ রহম করে এমন একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা তুই কোনদিন কল্পনা্ও করিসনি।

    – তুই আশার কথা শোনালি বন্ধু! আমি যে একদিন মাদরাসার ছাত্র ছিলাম, তাও ভুলে গেছি। যাক তোর কথা মানবো। আল্লাহর রহমতের আশা রাখবো।তিনি একদিন চোখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু বন্ধু! ব্যবসাটা যে আর ভালো লাগে না।

    – তুই যেন কী ব্যবসা করিস? ও হ্যাঁ! দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তাই না?

    – হ্যাঁ, এই রকমই। চা পাতা বিক্রি করি। সকালে বের হয়ে দোকানে দোকানে চা পাতা দিয়ে আসি। আর সন্ধ্যায় গিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসি। অনেকে আবার “কাল দেবো, পরশু দেবো” বলে সময় ক্ষেপণ করে, যা আমার নিজেরও লজ্জা লাগে।
    – আচ্ছা, এক কাজ কর, তোর কাছে এখন টাকা আছে?
    – পকেট শূন্য।
    – আরে ভাই, পকেটের কথা বলিনি। জমানো কত আছে?
    – নাই।
    – মিথ্যা বলছিস কেন? এতদিন তো ব্যবসা করলি। জমানো থাকবে না, এটা অবিশ্বাস্য।
    – হ্যাঁ, অল্প কিছু্ আছে।
    – তাহলে প্রথমে মিথ্যা বললি কেন? জানিস না মিথ্যা বলাটা মোনাফেকি অভ্যাস? তুই তো মাদরাসায়ও পড়েছিস!
    – তুই এতো সিরিয়াসলি নিবি ভাবিনি।
    – সিরিয়াস নিতে হবে। কারণ, মিথ্যা বলা অভ্যাসটা দুষ্টুমিচ্ছলেই হয়। আমার বন্ধুর পরিচয় মোনাফেক হোক, তা আমি চাই না।
    – ধন্যবাদ বন্ধু! তুই সবসময় আমার ভালোটাই দেখিস। এখন বল, কেন টাকার কথা জিজ্ঞেস করছিস? ভালো কোন বুদ্ধি বা আইডিয়া দিবি নাকি?
    – হ্যাঁ, বুদ্ধি বা আইডিয়া, দুনোটাই বলতে পারিস। তুই তো ডিজাইনের টুকটাক কাজ জানিস, কয়েকমাস সময় দিয়ে গ্রাফিক্সের একটা কোর্স কর। ডিজাইনের এখন অনেক দাম। তুই যেহেতু মাদরাসায় পড়েছিস, ইংরেজী অবশ্যই জানিস। Fiver, Freelancer.com এরকম কিছু সাইট আছে, যেখানে প্রচুর ডিজাইনের কাস্টমার আছে। দেখবি, ভলো ইনকাম হচ্ছে। আর ফেসবুকে এরকম কিছু গ্রুপ আছে, যেখানে ডিজাইনের কাস্টমার লাইন ধরে থাকে।
    – তুই এত জানিস কিভাবে? আমি তো মনে করতাম কওমীরা কুরআন-হদীস ছাড়া কিছুই বুঝে না।
    – তোর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বর্তমানে অনলাইন, বিশেষকরে রেডিও, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যানসিং অর্থাৎ এমন কোন জগৎ নেই যেখানে কওমী আলেমদের পদচারণা নেই। যাক, এসব বিষয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতক্ষণ কথা বলা যায় না। কী বলেছি মনে আছে তো? তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্সের কোর্সে ভর্তি হয়ে যা। তার আগে দোকানে চল।
    – ও…. বুঝতে পেরেছি। তোর পানের টক উঠেছে। আচ্ছা, বলতো- তোরা কওমীরা এতো পান পান করিস কেন?
    – হা হা হা…. উর্দূ একটি প্রবাদ আছে “হাত ম্যায় লঠি মুহ ম্যায় পান, ইয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কা শান।”

    (রচনাকাল- ১২/০৯/২০২১)

  • দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    এম.এম. সাইফুল্লাহ আল মনির, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

    চলতি এইচ এস সি পরিক্ষার জন‍্য অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করতে অভিভাবকদের পরতে হয় নানা ধরনের সমস্যায়। ঠিক এমন কিছু পরিবারের পাশে বিভিন্ন সহায়তার জন‍্য হাত বারিয়েছেন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সোনার বাংলা।

    গত ২৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য এক জরুরী ভার্চুয়াল মিটিং করেন সংগঠনের দায়িত্বশীল বৃন্ধ। এতে তারা সিদ্ধান্ত নেন পরিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে স্বপ্নের সোনার বাংলা নামের এই অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    গত ২৩ই আগষ্ট কিছু শিক্ষার্থী সংগঠনের কাছে শিক্ষাখাতে সাহায্যের জন্য লেখিত দরখাস্ত পেশ করেন।তার ভিতর একজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা চার ভাইবোন লেখাপড়া করে। তার বাবা দিনমজুর। বর্তমানে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পরায় লেখাপড়ার খরচ ও সাংসারিক খরচ চালাতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই সে ফরম ফিলাপ করতে পারতেছেনা।
    অতঃপর সকল দায়িত্বশীলের পরামর্শে তাকে ফরম ফিলাপের জন‍্য পুরো টাকা নগদ অর্থ দেন ওই সংগঠন।

    সংগঠনের সভাপতি এম. এম. সাইফুল্লাহ আল মনির বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ই জানুয়ারী ২০২১ইং। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সংগঠনটি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এবং নিরলসভাবে সমাজের সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজে ভূমিকা রাখছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও সংগঠনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

    সভাপতি সাহেব এলাকার বিত্তবানদেরকে সংগঠনকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। এবং সর্বাবস্থায় সংগঠনের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

    সংগঠনর অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ আজ এক প্রেশ বিজ্ঞপ্তি ই তথ‍্য নিশ্চিত করেন।

  • দুই বন্ধুর হারাম পরিত্যাগ- UkhiyaVoice24.Com

    দুই বন্ধুর হারাম পরিত্যাগ- UkhiyaVoice24.Com

    রচনায়- মু.আমির কাসেম

    সাঈদ ও ফারুক দুই বন্ধু। উভয়ে নূরানী মাদরাসার প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। লেখা-পড়ায় একে অপরের প্রতিদন্দ্বী হলেও বন্ধুত্বে কখনো ভাটা পড়ে না। কথায় বলে না “গলায় গলায় ভাব”, তারাও ঠিক এরকমই।

    আজকে মাদরাসার দ্বিতীয় সাময়ীক পরীক্ষা শেষ, তাই মাদরাসা তিন দিন বন্ধ থাকবে। মাদরাসা বন্ধ হলেও লেখা-পড়া বন্ধ নেই। এ তিন দিনে যেন লেখা-পড়ায় ব্যাঘাত না ঘটে, এ জন্য কিছু পড়া মুখস্ত করার জন্য দিছেন এবং প্রতিদিন লেখার জন্য বাড়ির কাজ দিছেন।

    সাঈদ ও ফারুক দুই বন্ধু মিলে মাদরাসা ছুটির পর বন্ধের দিনগুলো কিভাবে কাটাবে, এ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত।অনেক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্তের পালা আসলো।

    সাঈদ বললো- তুই কী করবি তুই জানোস। তবে আমি আমার কর্মসূচি নির্ধারণ করে ফেলেছি। আগামী ‍বৃহঃবার মামার বাসায় বিয়ে উপলক্ষ্যে মেজবানের আয়োজন আছে। বাড়ির কাজগুলো আজ এবং আগামীকাল দু’দিনে শেষ করে পরশু বৃহঃবার সেখানে চলে যাবো। মামাতো ভাই শাকিলের সাথে খেলবো আর মজা করে মেজবান খাবো।

    ফারুক চুপচাপ সাঈদের কথা শুনছিল আর ভাবছিল- হুজুর তো ক্লাসে বলেছেন যে, যে বাড়িতে গান-বাজনা হয়, সে বাড়িতে মেজবানের খানা না খেতে। তাহলে সাঈদ যাচ্ছে কেন? তার কি হুজুরের কথা স্মরণ নেই? যখন সাঈদের কথা শেষ হলো, ফারুক মুখ খুললো। বললো- আরে সাঈদ! বলিস কি? তোর মামার বাড়িতে না গত এক সপ্তাহ ধরে গান-বাজনা হচ্ছে? সেখানে তুই যাবি মেজবানের খানা খেতে?

    -ধন্যবাদ বন্ধু! তুই ভালো কথা স্মরণ করিয়ে দিছিস। তবে আমার বুঝে আসছে না, হুজুর কেন সেদিন নিষেধ করলেন যে বাড়িতে গান-বাজনা হয়, সে বাড়িতে খানা খেতে?

    – আরে এ সহজ বিষয়টাও বুঝিস না? গান-বাজনা করা একদিন দিয়ে হারাম। আবার অপব্যয়ও। হুজুর একবার বলেছিলেন, যারা অপব্যয় করে তারা নাকি শয়তানের ভাই। আর অপব্যয় তারাই করে, যাদের অঢেল সম্পদ অবৈধ উপায়ে আসে। অবৈধ উপায়ে উপার্জন তো হারাম। আজকেই তো পরীক্ষায় আসলো ১৬ নাম্বার হাদীস।“ হারাম ভক্ষণকারীর শরীর বেহেশতে প্রবেশ করবে না।” এবার তুই বল্ হুজুর কেন নিষেধ করেছেন।

    – তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তোর মতো করে আমি বুঝতে পারিনি। এজন্যেই তো তুই সবসময় ক্লাস ফাস্ট থাকিস।

    – এই বেডা পাম দিস না । কী বুঝেছিস বল আগে।

    – যদিও মামার উপর্জন হারাম উপায়ে হচ্ছে কিনা জানি না, তবে তোর যুক্তি অনুযায়ী তার উপার্জন হারাম উপায়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মামার উপার্জন যদি হারাম উপায়ে হয়ে থাকে, তাহলে মেজবানের যে আয়োজন হচ্ছে তা খাওয়াও হারাম হবে। তাছাড়া এখন মনে হচ্ছে, গান-বাজনা করে যেহেতু আয়োজন হচ্ছে, এই গান-বাজনার কারণেও হারাম হতে পারে। সেখানে খানা খেয়ে নিজের শরীরকে জাহান্নামের খোরাক বানানোর কোন দরকার নেই। তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    এই সময় আসরের আজান শুনে আলোচনা শেষ করে উভয়ে মসজিদের দিকে হাটা শুরু করলো।

    আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সমস্ত হারাম কাজ এবং হারাম ভক্ষণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

  • উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    এম এ আব্দুল খালেকের প্রতিবেদক

     

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপলক্ষে চিত্র অংকন ০৬/০৩/২০২১ ইং, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত প্রতিযোগিতায় চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে,


    ১|চিত্র অংকন প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করেন- তফুরা আক্তার( ৯ম)।
    ২।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ- ৩য় স্থান, মোহাম্মদ পারভেজ(১০ম)।
    ৩।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ- ৩য় স্থান, কামরুন্নেছা রুমি(৮ম ) ( খ বিভাগ)।
    বিজয়ীদের ৭ই মার্চ পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
    বিজয়ীসহ যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সকলকে চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ হতে অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।

  • ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    কওমি প্রতিবেদক

     

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা
    মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ
    অনুবাদ: ইবনে নাজ্জার
    সূত্র: “শাহ রাহে ইলম”

    (এই লেখাটা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব হাফি. কওমি মাদ্রাসার বর্তমান এই দুরাবস্থা দেখে, নিজের শত শত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। মনের গভীরে চেপে রাখা অনেক দিনের কষ্ট আর আফসোস গুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তাই প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির কাছে, এই লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ার আন্তরিক নিবেদন রইল। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।)

    উনি বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর যতোটুকু আমি বুঝতে পারলাম তা হল:

    কওমি মাদ্রাসার অধঃপতনের মূল কারণ হল “আস্তে আস্তে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটা গতানুগতিক একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য আমরা ভুলে গিয়েছি”। যদিও আমাদের মুখে এখনো এ কথাই শোনা যায় যে, “এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্মের খেদমত করা”। তবে তিক্ত বাস্তবতা হল, এগুলো শুধু মুখেই বলা হয় অন্তরে থাকে অন্য কিছু। কেননা বাস্তবেই যদি আমাদের অন্তরে এই উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমাদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা এটাই থাকত। আকাবির ও আসলাফদের মত সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরত, আমাদের কোনো কাজে আল্লাহতালা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কিনা?? আমাদের কাজে-কর্মে দ্বীনের কতটুকু খেদমত হচ্ছে?? আমরা আমাদের মূল উদ্দেশ্যে কতটুকু সফল হয়েছি??

    বরং উল্টো আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ মাদ্রাসার বাহ্যিক উন্নতিতে লাগিয়েছি, যা আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বেশিরভাগ মাদ্রাসার পরিচালকরা সর্বদা এটাই চেষ্টা করেন যে, কিভাবে আমার মাদ্রাসাটা প্রসিদ্ধতা লাভ করবে?? কিভাবে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ানো যাবে?? কিভাবে দেশের নামকরা শিক্ষকদের এখানে জমায়েত করা যাবে?? এককথায় কিভাবে জনসাধারণের মাঝে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে?? আর এগুলোর পিছনে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর রাত-দিনের দৌড়ঝাঁপ দেখলে তো মনে হয়, এগুলোই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য আমরা এমন পন্থাও অবলম্বন করি, যা একজন আলেমের জন্য কখনো সমিচীন নয়। বরং কখনো কখনো তো আমরা স্পষ্ট নাজায়েজ আর অবৈধ-পন্থা অবলম্বনে করতেও দ্বিধাবোধ করি না।

    অন্যদিকে যদি কোনো মাদ্রাসা মোটামুটিভাবে এগুলো অর্জন করে ফেলে, তাহলে মনে করা হয় আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের ছাত্রদের শিক্ষা, চারিত্রিক ও ধর্মীয় অবস্থা কেমন?? আমরা মুসলিম সমাজ পরিচালনা করার জন্য কেমন মানুষ তৈরি করেছি?? আমাদের চেষ্টা ও মুজাহাদার দ্বারা বাস্তবে ইসলামের কতটুকু উপকার হচ্ছে?? সেগুলোর কোন খবরই থাকে না। আর আস্তে আস্তে তো এসব বিষয়ের খোঁজখবর নেওয়া, চিন্তাভাবনা করার মানুষ ও কমে যাচ্ছে।

    মোটকথা এই অধঃপতনের মূল কারন হল, “খিদমতে দ্বীন আমাদের আসল উদ্দেশ্য” এটা একবার মুখে উচ্চারণ করার পর কর্মজীবনে আমরা তা ভুলে যাই। আর এই বাহ্যিক জিনিসগুলো ঘিরেই চলতে থাকে আমাদের মেহনত-মুজাহাদা, শ্রম-সাধনা সবকিছুই। অথচ এগুলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এগুলোর সাথে তো ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই আর থাকলেও এই শর্তে যে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিয়ত শুদ্ধ রেখে এগুলোকে শুধু মাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল,আমরা এগুলোকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

    এমনিভাবে কওমি মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জল বৈশিষ্ট্য হল, এখানের শিক্ষক ছাত্রদের পারস্পরিক সম্পর্কটা গতানুগতিক সাধারণ কোন সম্পর্ক নয় যা, শুধু মাত্র শ্রেণিকক্ষের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বরং এটা পরস্পরের মধ্যে আত্মার পবিত্র সম্পর্ক। যা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকত। উস্তাদ শুধুমাত্র কিতাব পড়ানোর জন্য নিযুক্ত কোন শিক্ষক ছিল না, বরং নিজ ছাত্রদের জন্য তাঁরা ছিলেন কল্যাণকামী দরদী এক মহান পিতা। আর ছাত্রদের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক দিক নির্দেশনা প্রদান কারী। ইলম ও আমলের ময়দানে ছাত্রদের শুভাকাঙ্ক্ষী এক অভিভাবক। সাথে সাথে তাঁরা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়গুলো ও দেখাশোনা করতেন। ফলে ছাত্ররা শিক্ষকদের থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে চারিত্রিক শিক্ষা ও গ্রহণ করত। তাঁদের থেকে জীবন পরিচালনা করা শিখত। শিখত ধার্মিকতা, একনিষ্ঠতা, বিনয়-নম্রতা সহ উত্তম চরিত্রের আরো অনেক গুণাবলী। আর এভাবেই ছাত্ররা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় শিক্ষকদের সাদৃশ্য হয়ে উঠত।

    বিশেষ করে “দারুল উলুম দেওবন্দ” যেই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ভিন্নরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে তা হল, এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং আদর্শ মানুষ গড়ার এক বিশাল কারখানা। যেখানে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষার পরিমাণই বেশি থাকে। ফলে তৈরি হয় সঠিক শুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী একনিষ্ঠ একজন পাক্কা মুসলমান। যারা কথার চেয়ে বেশি নিজেদের সুন্দর আচার-ব্যবহার আর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার-প্রসার করে।

    কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আস্তে আস্তে এগুলো বিষয় আদিম যুগের ইতিহাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেদের মূল উদ্দেশ্য এটা কে বানিয়েছেন যে, শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে পড়ানো যাতে ছাত্ররা খুশি হয়ে যায। তাঁরা সব সময় ভাবতে থাকে, পড়ানোর জন্য তাঁদেরকে কেমন প্রবন্ধ বা কিতাব দেওয়া হয়েছে?? কিভাবে ছাত্রদের ওপর নিজের জ্ঞানের প্রভাব পড়বে?? কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছাত্রদের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে?? আর এই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গিয়ে কোন পদ্ধতিতে পড়ালে ছাত্রদের বেশি উপকার হবে, সেটা ভুলে যায়। বরং কখনো তো তাঁরা খুঁজতে থাকে যে, কোন পদ্ধতিটা ছাত্রদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী হবে?? ফলে শিক্ষকগণ ছাত্রদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে যায়। আর ছাত্ররা শিক্ষকের পিছনে চলে না বরং শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদার পিছনে দৌড়াতে থাকে।

    কিন্তু কিভাবে পড়ালে ছাত্রদের উপকার হবে?? কী কী শেখালে ছাত্ররা ধর্ম, দেশ ও জাতির জন্য আরও উপকারী হিসেবে গড়ে উঠবে?? ছাত্রদের কী ধরনের আগ্রহ-উদ্দীপনা, চাহিদা তাদের জন্য ক্ষতিকর?? কিভাবে ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের আগ্রহ দূর হবে?? শ্রেণীকক্ষের বাইরে তারা কিভাবে চলা ফেরা করছে?? এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, ছাত্রদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসার মতো লোকেরাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    তাই এখন সর্বপ্রথম আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় কওমি মাদ্রাসার মৃত্যুপ্রায় এই “প্রাণ” পুনরায় তাজা করার প্রয়োজন। কেননা এটি ছাড়া আমাদের কওমি মাদ্রাসাগুলো বেশির থেকে বেশি আক্ষরিক জ্ঞানের “কেন্দ্র” হতে পারবে। ইসলামের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর শত্রু ইউরোপ আমেরিকার মুশরিক প্রাচ্যবিদদের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়াশোনা করানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যাবে। আর আস্তে আস্তে একদিন আমরা দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্য ও আবশ্যকীয় এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে, অবশেষে একদিন দ্বীনহারা হয়ে পড়ব।

    কওমি মাদ্রাসার এই প্রাণ যা সময়ের ঘূর্ণিপাকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, এটাকে পুনর্জীবিত করতে সবচেয়ে বড় গুরুদায়িত্ব হল প্রত্যেকটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যের উপর। তাদের উচিত হল সর্ব প্রথম তাঁরা নিজেদের আমল-আখলাকের দিকে নজর দিবে। তাঁরা দেখবে ইসলামী শিক্ষা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না?? আল্লাহর ভয় আর আখেরাতের চিন্তায় তাঁদের অন্তর কেঁপে ওঠে কি না?? রবের সাথে তাঁদের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে কি না?? ইবাদতের প্রতি তাঁদের আগ্রহ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে?? আমলের যেই ফজিলত গুলো দিনরাত তাঁরা অন্যকে শোনাচ্ছে, নিজেরা তার উপর কতটুকু আমল করছে?? আল্লাহর রাস্তায় দান সদকা করার জন্য অন্যদেরকে কুরআন হাদীস শুনিয়ে যেই উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া হয়, নিজেরা তাতে কতটুকু অংশ গ্রহণ করেছে?? ইসলামের জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে?? সমাজের এই অধঃপতনে তাঁরা অস্থির হয়ে ছটফট করছে কি না?? সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণের চিন্তা-চেতনা তাদের মন-মস্তিস্কে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে?? যদি এগুলো বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি,বাস্তবতা আর সততার সাথে নিজেদের মাঝে এগুলোর উত্তর খুঁজি তাহলে লজ্জায় শরমে মাথা নিচু করে আফসোস আর অনুতাপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

    তাই এখন সময়ের দাবি, এই আফসোস আর অনুতাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর লজ্জা-শরম কে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা। তবে এটা সাময়িক হলে, তাতে কোন উপকার হবে না। বরং সর্বদা এটা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে হবে,আর নিজেদের ভবিষ্যৎকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই হয়ত আবার ফিরে যেতে পারি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী অতীতে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

  • রাজাপালং ইউনিয়নের স্বনামধন্য সংগঠন, মৌলভী পাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ক্লাব কতৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় পুরুষ্কার গ্রহণ

    রাজাপালং ইউনিয়নের স্বনামধন্য সংগঠন, মৌলভী পাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ক্লাব কতৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় পুরুষ্কার গ্রহণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের স্বনামধন্য সংগঠন, মৌলভী পাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ক্লাব কতৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয়। 

    উক্ত রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে তৃতীয় স্থান অধিকার করে সনদ পত্র ও পুরস্কার গ্রহন করেছেন, টাইপালং হামেদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থী এইচ এম বোরহান উদ্দিন HM Burhan Uddin
    তাহার এই অর্জনে আমরা টাইপালং হামেদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসা পরিবার গর্বিত ও তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া’য় (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া’য় (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    Kajol Aich. Ukhiya

     

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে MIC কর্তৃক আয়োজিত উখিয়া উপজেলা ভিত্তিক অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরনী এ অনুষ্ঠান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ মিজানুর রহমান (মিজানের) সভাপতিত্বে সম্পন্ন হয়।
    সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সকাল ১১টায় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেমিনার হলে (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    উক্ত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানে সম্মানিত উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টাে, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কনট্রাকটর ফরিদুল আলম।

    বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজী, উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ নূরী, আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির,
    উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তাহমিনা খানম, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম, টাইপালং দারুছুন্নাহ হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ইসমাইল, কৃষকলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম,
    প্রতিষ্ঠাতা YASID এর চেয়ারম্যান কায়ছার হামিদ সহ প্রমুখ ও উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছেন রাশেদুল ইসলাম।

    এর পরে প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার তুলেদেন সম্মানিত অতিথিবৃন্দরা।
    এ অনুষ্ঠান আয়োযোগকারীঃ মৌলভী পাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ক্লাব (এমআইসি)

  • কক্সবাজার সদরে ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থীকে আলোর মুখ দেখাবে স্কাস

    কক্সবাজার সদরে ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থীকে আলোর মুখ দেখাবে স্কাস

    কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি

     

    শিক্ষার আলোয় আসছে কক্সবাজার সদরের ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থী। ওই জেলা সদরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রোগ্রামের আওতায় তাদের শিক্ষা দেয়া হবে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এনজিও সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস)।

    মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ক উপজেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এর আয়োজনে সদর উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি।
    তিনি বলেন, একটি শিশুও যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

    সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা স্কাস’র চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহেরা। এসময় জেসমিন প্রেমা জানান, সদর উপজেলার ২১০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা হবে।

    আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালনায় এসময় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু, ঝিলংজা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার, পোকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহম্মদ, ইসলামপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ভারুয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান প্রমুখ।

  • আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আওয়ামী সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর। গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া হামলার প্রতিবাদে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল শেষে কাকরাইল মোড়ে বক্তব্যদানকালে সরকারকে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর।

    গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঝালকাঠিতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী শুক্রবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী করে।

    নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগের ভাই-বোনদেরকে বলতে চাই, আপনারাও কোনো মা-বাবার সন্তান। আমাদের সাথে আপনাদের কোনো জায়গা-জমি বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। আপনারা কেন আমাদের ভাই-বোনদের উপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করছেন। কেন যেখানে সেখানে মারধর করছেন। আপনারা কি চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন?

    ভিপি নূর বলেন, আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না একসময়ের ক্ষমতাসীনদের আজকের কী ভয়াবহ নিষ্ঠুর পরিণতি হয়েছে। আজকে কেউ দেশে থাকতে পারছে না। কেউ কারাগারের মধ্যে ধুকে ধুকে মরছে। কাজেই আপনাদেরকেও কিন্তু সেই পথে যেতে হতে পারে।

    আপনাদেরকে বলছি, বতর্মান সরকার যে দমন-নির্যাতন-নিপীড়ন-জুলুম চালিয়েছে, অচিরেই তাদরে পতন ঘনিয়ে এসেছে। সুতরাং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ভাই-বোনদের বলবো আপনারাও জনগণের কাতারে এসে কাধ মিলিয়ে দাঁড়ান। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। সবারই শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল করার অধিকার রয়েছে। আমরা চাই না এই দেশে কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হোক।