Category: শোক বার্তা

  • ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে আয়োজিত ‘শাহ ওয়ালিউল্লাহর চিন্তাধারা, দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আল্লামা শাহ আহমদ শফি’র জীবনাল্লেখ্য’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের এক প্রস্তুতি সভা ১৭ অক্টোবর শণিবার রাত আটটায় নগরীর চান্দগাঁও রূপালী আবাসিক এলাকাস্থ নদভী প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রধান মেহমান ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশের) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন বায়তুশ শরফের সম্মানিত পীর সাহেব আল্লামা মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব আল্লামা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।
    উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার,
    মাদরাসাতুল মদিনা ঢাকা’র প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল আজিজী, প্রফেসর মোহাম্মদ শফিউর রহমান।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ

  • বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং বিকেলে বাঁশখালী পৌর শহরের গ্রীণ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমদ মসরুর সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ক্বাজী আখতার সাহেব। বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সেক্রেটারী ও মনকিচর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবু বকর সাহেব, বৈলছড়ি মাদরাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দিদারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইসহাক, জলদী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ লোকমান, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হাছান, বৈলগাও কনজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, চাম্বল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মনকিচর মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুফতি হেলাল উদ্দীন, ছনুয়া মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম, পুকুরিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মনকিচর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, দারুল কারীম মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা এবং হুজুরের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

  • হাটহজারী মাদরাসার ছদরে মুহতামীমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

    হাটহজারী মাদরাসার ছদরে মুহতামীমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

    শোক বার্তা

     

    হাটহাজারী মাদরাসার ছদর
    মুহতামীম, বিখ্যাত আলেম ও বুজুর্গ হজরত আল্লামা শাহ আহমদ শফির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার জীবনের ভালো কাজ সমূহ কবুল আর মান্জুর কামনা করে তার গুনাহ সমূহ মহান রব্বুল আলামীনের শাহী দরবারে ক্ষমা চাচ্ছি।

    তদুপরি মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবার, সাগরিদ এবং ভক্তবৃন্দের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করে ২০১৩ সালে হজরতের নেতৃত্বে নাস্তিক
    মুরতাদ,মুশরিকদের বিরুদ্ধে শতাব্দীকালের ৬ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘লংমার্চ’ এবং ৫ মে ‘ঢাকা অবরোধে’র কারণে বাংলার জমীন থেকে নাস্তিকদের অপতৎপরতা
    সিংহভাগ হ্রাস পাওয়ায় তার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি; তার উল্লেখিত অবদান যা জাতীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সাথে সাথে মরহুমের বিদেহী রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

    শোকবার্তা প্রেরক
    আলমগীর ইসলামাবাদী
    যুগ্ম সম্পাদক
    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।

  • শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে আল্লামা বাবুনগরীর গভীর শোক

    শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে আল্লামা বাবুনগরীর গভীর শোক

    আল্লামা বাবুনগরীরশোক বার্তা

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলুম হাটহাজারীর দীর্ঘদিনের মোহতামীম শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হাটহাজারী মাদরাসার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    গতকাল ১৮ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধায় সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় আল্লামা বাবুনগরী বলেন- আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর আমার উস্তাদ ও মুরুব্বি ছিলেন। হুজুরের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন- আল্লামা আহমদ শফী সাহেব হুজুর তাঁর হায়াতে যে সকল দ্বীনি খিদমাত আঞ্জাম দিয়েছেন তা সকলের নিকট স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান প্রভুর দরবারে আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমিন।

  • আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী’র ইন্তেকালে বায়তুশ শরফের পীর সাহেব আল্লামা আবদুল হাই নদভী’র গভীর শোক প্রকাশ

    আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী’র ইন্তেকালে বায়তুশ শরফের পীর সাহেব আল্লামা আবদুল হাই নদভী’র গভীর শোক প্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    শোক বার্তা

     

    হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা (হাটহাজারী মাদ্রাসা) এর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন বায়তুশ শরফের পীর সাহেব আল্লামা মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (মু.জি.আ)।
    বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, প্রতিথযশা বরেন্য আলেমদ্বীন আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহঃ) কোরআন-হাদিসের শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনের খেদমতে সারা জীবন ত্যাগ করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন বিদগ্ধ আলেমেদ্বীন। দেশ-বিদেশ রয়েছে তাঁর বিশেষ সুনাম-খ্যাতি। প্রতিথযশা মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকিহ হিসেবে তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ, যৌক্তিকতায় ভরা পাঠদান ছিল শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত প্রাণবন্ত। সুবক্তা, সুলেখকও ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতি আদায় ও সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে কওমী শিক্ষার্থীদের সরকারের মূলস্রোতে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ তৈরি হয়। পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আরো বলেন, নাস্তিক ও কাদিয়ানীসহ ইসলাম বিদ্বেষী বিভিন্ন অপঃশক্তির অপতৎপরতা রোধে আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র সংগ্রাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। তিনি মহান রাব্বুল আ’লামিনের দরবারে মরহুমের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকাহত পরিবারকে ছবরে জামিল ধারনের তৌফিক কামনা করেন।

  • সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    Saifullah Al Monir

    সরল বাংলায় বলতে গেলে নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে মুছুল্লীদের মৃত্যুর ঘটনা একটি হত্যাকান্ড। তিতাস কর্তৃপক্ষ খুনী। তাদেরকে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ঘুষ না পেয়ে গ্যাস লাইন মেরামত করে নাই। সুতরাং এ নৃশংস মৃত্যুগুলোর জন্য তারা দায়ী।

    তিতাসের বাপ চাচারা দায় এড়াতে বলছিলো, মসজিদটি অবৈধ স্থাপণা। এখন তো প্রমাণিত হলো, মসজিদ অবৈধ না।তোমরা সব অবৈধ, এমনকি তোমরা এখন হন্তারক।

    তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে, ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদখানা গড়ে উঠেছে। সেখানের গ্যাস সঞ্চালন লাইনে লিকেজ থাকাটাই তো অবৈধ।

    হাইকোর্টে একটা রীট হয়েছে, তিতাসকে নিহতদের মাথাপিছু পঞ্চাশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে। হাইকোর্টে তাৎক্ষণিক আদেশে মূত্যু বরণকারী মাথা পিছু পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    সরকারের মাইন্ডসেট বড় অদ্ভুত! নিরীহ মুসুল্লীদের কফিন দেখে তাদের মন গলেনি। তাঁদের মৃত্যু অবৈধ? তাদেরকে খামাখা ক্ষতিপূরণ দিবে কেন? তাই ঐ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে যাচ্ছে। হায়রে বিবেক! দেশটা আসলে বিবেকহীন অমানুষে ভরে গেছে।

    তাঁরা যদি নিরীহ মুসুল্লী না হয়ে সাধারণ জনগন হতো, তাহলে সরকার হয়তো গুরুত্ব দিতো। ছায়ানট বা সিনেমা হলে বিষ্ফারণ হলে তারা হয়তো জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা দিতো। আর মন্ত্রীরা ছাগলের মতো চাবায়ে চাবায়ে বলতো না, মসজিদটি অবৈধ!

    প্রমাণিত হলো, মসজিদটি বৈধ। সুতরাং ক্ষতিপূরণের বেলায় আপত্তি কেন?

    কয়েক বছর আগে নিমতলীতে পুড়ে হতভাগ্য নিহত মানুষদের মেয়েদেরকে এই প্রধাণমন্ত্রী নিজের মেয়ের মর্যাদা দিয়ে লেখাপড়া করিয়েছেন, ধুমধাম বিয়েও দিয়েছেন। সে ঘটনায় মিডিয়াও হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এখানে উপেক্ষা করা হচ্ছে কেন?

    আসলে মসজিদ, মুছুল্লী, হুজুর, ইমাম, মুয়াজ্জিন এসব শব্দে তাদের এলার্জী হয়! এ শব্দগুলো বাংলা নয়। বাংলা শব্দে তাদের অদ্ভুদ রকমের মায়া। বাংলা নাম খুব পছন্দের। বাংলা নামধারীরাই এখন বাংলাদেশের হর্তাকর্তা।

    তবে বুঝা গেলো, জায়নামাজ শব্দে প্রধানমন্ত্রীর সমস্যা নাই। গতকাল বৈধ! পার্লামেন্টে বলেছেন- ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমেই জায়নামাজ খুঁজেন। মাশাআল্লাহ। তিনি নামাজ পড়েন, এটা আমরা জানি। তবে সেটা প্রমাণ করতে জায়নামাজ খোঁজার কথা না বললেও পারতেন। আমরা বিশ্বাস করে আসছি, তিনি একজন নামাজী। ডেইলি ছয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। বাড়তি তাহাজ্জুদও পড়েন। দুষ্টুরা তাহাজ্জুদী বেগম বলেন।

    কিন্তু তাঁর নামাজীদের প্রতি মহব্বত পয়দা হয় নাই। এ পর্যন্ত ২৮ জন মুছুল্লী, যারা নামাজরত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ গেছেন, অথচ একটি বার সরকারের তরফে শোক নাই, দুঃখ নাই। ক্ষতিপূরণের ঘোষনা নাই।

    হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে, তাতেও আপিল করে বাগড়া দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারী তহবিলের অর্থ কারো বাবার সম্পত্তি নয়। সরকারী তহবিলের মালিক এ দেশের জনগন। যারা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, তারাও এ অর্থের মালিক। সুতরাং তারা কেন প্রাপ্য হবেন না? এটা কোন করুণা নয়, এটা অধিকার।

    সরকারের ইমামরা বড়ই ফাযিল। একচোখ দিয়ে দেখে। নর্তকী, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকারা অসুস্থ হলেই খাজাঞ্চি খুলে দেয়া হয়, চিকিৎসা সুবিধা দিতে এয়ার এম্বুলেন্স উড়ায়, তাতে অবৈধ কিছু খুঁজে পায়না। অবৈধতা খুঁজে পায়, ভাল মানুষদের বেলায়। নামাজীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। হয়তো আখেরাতেও। অথচ তাঁদের বেলায় চরম উন্নাসিকতা।

    ইসলামী যুব আন্দোলন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে- তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তারা কর্তব্যে অবহেলা করেছে। তাঁরা খুনী। তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলন জারী আছে। আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় ভাবে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি আছে।

    নারায়ণগঞ্জে যুব আন্দোলনের তীব্র আন্দোলনের কারণে কর্তৃপক্ষ তিতাসের আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় । যদিও এটা আইওয়াশ।

    সরকার যদি আইনের রক্ষক হতো, তাহলে এতক্ষণে ওদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা এনে গ্রেপ্তার করতো। এটাই জনগনের দাবী ছিলো।

    জনগনের দাবীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা এ সরকারের মজ্জাগত একটি বিষয়। একটি সুস্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুনরা ম্যান্ডেট নিয়ে নতুন করে সরকার গঠন করবে। সেটাই তো সাংবিধানিক দর্শন। সেটাকে ধর্ষন করেছে প্রশাসন ও দলের পান্ডারা। রাতের আমলে চুরি করে জেতা এমপিদের বদৌলতে তারা এখন মন্ত্রী, প্রধাণমন্ত্রী। এবং তাঁদেরই মুখে বৈধ অবৈধের কথা জনগনকে শুনতে হচ্ছে। এটাই এখানকার জনগনের দূর্ভাগ্য। এর চেয়ে নির্মম তামাশা আর হবে পারে না।

    আসলে এ দেশের সরকার জনগণের দাবীকে পেশাবের ফেনার মতো মনে করে, যা একটু পরই উবে যায়।

  • নারায়ণগঞ্জ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা.এর শোকপ্রকাশ

    নারায়ণগঞ্জ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা.এর শোকপ্রকাশ

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাম জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়ে ইতোমধ্যে ১১ জন নিহত এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক মুসল্লি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত আমীর, হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য মহাপরিচালক, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা.।

    শনিবার (৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. বলেন, হাদীসে বর্ণিত আছে “মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হল মসজিদ”। মসজিদ দেশের মুসলিম জনগণের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার স্থান, আল্লাহর প্রিয় মেহমান মুসল্লীরা মসজিদে ইবাদত করতে যান।
    নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়ে যে সমস্ত মুসল্লীয়ানে কেরাম নিহত এবং আহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে সবার জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ সকল নিহতদের জান্নাতের উচ্চ মকাম এবং সকল আহতদের খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক।

    বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আরো বলেন, যদিও বাহ্যিকভাবে দেশের অনেক উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের মসজিদ-মাদরাসা এবং দ্বীনি মারকাজগুলোর উন্নয়নে সরকার ও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে আরো বলেন, দেশের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে, কারণ প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বস্তরের জনগণের সমাগম হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক এবং গ্যাস ব্যবস্থায় সরকারের কঠোর ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।

    আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মুসল্লীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন সবাই শহিদের হুকুমে। আমি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে উক্ত ঘটনায় আহত এবং নিহত সকলের পরিবারের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান করছি।

    আমীরে হেফাজত দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক, আমার জন্য এবং সকল মাদারেসে কওমীয়্যার জন্য দোয়া করবেন।

  • উখিয়ার টাইপালং সিকদার পরিবারের শামশু সিকদার-এর জানাযা সম্পন্ন।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    উখিয়ার টাইপালং সিকদার পরিবারের শামশু সিকদার-এর জানাযা সম্পন্ন।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    উখিয়া উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টাইপালং সিকদার পরিবারের ছেলে শামশুল হক সিকদার (প্রকাশ শামশু সিকদার) সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর আব্বাজানের জানাযা মাওঃ রফিক সাহেবের ইমামতিতে সম্পন্ন।
    জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের দুই দুইবার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ ও দানবীর, জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি,
    বিশিষ্ট শিক্ষানূরাগী,উখিয়া উপজেলা পরিষদের মান্যবর চেয়ারম্যান, জননেতা জনাব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ হামিদুল চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,জননেতা জনাব মকবুল হোসেন মিথুন।

    জানাযার হাজার হাজার মুসল্লির সমাগমে সাবেক সংসদ বদি বলেন, আমরা কেও চিরকাল থাকতে পারব না, মায়ের পেঠ থেকে আসার সময় সিরিয়েল আছে কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়েল নেই।
    তিনি আরো বলেন আমরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় ১ বার সূরা ফাতিহা ও ৩ বার সূরা ইখলাছ পড়ে মহান মালিকের দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি শোক সমবেদনা যানায়।