Category: সমাজিক

  • শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    ইসমাইল হোসেন সোহাগঃ- বিশেষ প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩৪০জন দুঃস্থ ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ৩০ জানুয়ারী”২০২২ইং রবিবারে সকাল ১২টার দিকে সরই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে এ শীর্তাত অসহায় মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।

    ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস কোম্পানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা মুহাম্মদ মোস্তাফা জামাল মহোদয়।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন। কোনো মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পাই সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ কম্বর বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশ এবং দেশের মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    জন-সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে করোনার চাপ বেড়ে গেছে। সবাই সাবধানে থাকবেন এবং মাস্ক পরিধান করবেন। মাস্ক ছাড়া বাড়িতে হতে অযথা বাহির হবেন না। করোনার দুঃসময়েও প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবে। এদিকে ২য় বারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয় সহ পরিবারের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া/আশির্বাদ কামনা করেছেন।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে, ৫নং সরই ইউনিয়ন আওয়ামী- লীগের সভাপতি মোঃ নুরুল আলম, সাবেক সরই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, ইউপি সচিব মোঃ মুসা, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ডলার, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী, মোঃ বাবুল, মোঃ নাছির উদ্দীন, মোঃ হোসেন, মোঃ জব্বার, মোঃ জয়নাল আবেদীন (জানু), ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী- লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য খালেদা বেগম, সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য অংজারুং ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শিরু আক্তার সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সু পরিচিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক বৃহত্তর সংগঠন, হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ এর উদ্যোগে সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়নের তিন তিন বারের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জনাব ইকবাল মেম্বার, মাওলানা সৈয়দ আকবর সাবেক মেম্বার, জনাব মাষ্টার ফজলুল করিম।

    প্রধান আলোচক
    মাওলানা আবুল বশার হেলালী, ঢাকা।
    মাওলানা আবুল ফজল সাহেব, সিনিয়র আরবী প্রভাষক রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা উখিয়া।

    সম্মানিত ধর্মপ্রাণ তৌহীদি জনতা- আসসালামু আলাইকুম।
    ২৩ শে জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ রবিবার হাজারো মানুষের প্রিয় সংগঠন হাতিমোরা ইসলামী শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ কতৃক আয়োজিত প্রতি বছরের ন্যয় এই বছরও ঐতিহাসিক সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল হাজার হাজার মুসলিম তৌহীদি জনতার উপস্থিতিতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে সফল হয়েছে।

    আমাদের সংগঠনকে দেশ বিদেশ থেকে যারা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন,যারা মাহফিলকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ, যারা দূর দূরান্ত থেকে কনে কনে শীতের মধ্যে আমাদের মাহফিলে এসে সুশৃঙ্খল ভাবে বয়ান শুনেছেন তাদেরকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই, সকলের সহযোগিতা দোয়া এবং ভালবাসায় ১০ তম সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল সম্পন্ন করতে পেরে আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের রহমে করম না থাকলে আমাদের এত দূর আসা সম্ভব হতনা, তাই আগামীতেও আমাদের সংগঠনকে সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি, যদি মাহফিলে এসে কোন প্রকার অসুবিধা বা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী, আগামীতে আপনাদের আরও মনের মত কোরআন সুন্নাহর আলোচনা উপহার দেওয়ার জন্য আমাদেরকে মতামত পেশ করতে পারেন, আপনাদের মতামত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    কৃতজ্ঞতা, মাওলানা আবুল বাশার হেলালী সাহেব, জনপ্রিয় নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ও
    ইকবাল বাহার মেম্বার, এবং যারা আমাদের সব ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা আপনাদের কে আমাদের সংগঠনের পক্ষে থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ, এবং আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য ও উপদেষ্টাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সফল হয়ে ধন্য মনে করি
    মহান রাব্বেকারীমের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি,,, আলহামদুলিল্লাহ।

  • মহান বিজয় দিবস ও পালং জেনারেল হাসপাতালের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    মহান বিজয় দিবস ও পালং জেনারেল হাসপাতালের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচীর আয়োজন করেন উখিয়ার কুতুপালং এর পালং জেনারেল হাসপাতাল।

    উক্ত কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় জননেতা, জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত মেম্বার ৯ নং ওয়ার্ড, ইন্জিনিয়ার জনাব হেলাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য প্রদান পালং জেনারেল হাসপাতালের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জিয়াউর হক আজাদ এবং সঞ্চলনা করেন কুতুপালং পালং জেনারেল হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ জহির আহম্মেদ।

    প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মহোদয়গণ ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচীর কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে পরিদর্শন করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পালং জেনারেল হাসপাতাল বিজয়ের এই মহান মাসে, বিজয়ের ৫০ বছরে এই কর্মসূচী আয়োজন করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্হাপন করছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, এই হসপিটাল অল্প সময়ের মধ্যে যেসব সেবা ও চিকিৎসা প্রদান করে নজির স্হাপন করেছেন এবং এই সুনাম ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।

  • শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সম্প্রীতির সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি” এই স্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শেড এর আয়োজনে এবং কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় অদ্য ২২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে শুরু হয়ে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা শেডের সিনিয়র অফিসার মোঃ নাজিমুজ্জামান এর সঞ্চালনায় ও শেডের এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায় গঠিত রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব নুরুল কবির মেম্বারের সভাপতিত্বে শুরু হয়।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা পরিদর্শন ও উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বারের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মুহাম্মদ উমরাহ, শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব আব্দুল মান্নান, এজিডিআরআর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব আব্দুল মান্নান, কেয়ার বাংলাদেশের অফিস ম্যানেজার জনাব আব্দুস সালাম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা মিল্টন কুমার সাহা, উখিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইমদাদুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ।
    উল্লেখ্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মেলার স্টলে সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ শেড ও কেয়ার বাংলাদেশকে এ ধরণের আয়োজনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শেডের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ উমরাহ বলেন, “সমাজের সকল স্তরে আমরা যদি সম্প্রীতির বন্ধনকে জোড়ালো করতে পারি তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের দিকে আমরা অনেকাংশেই এগিয়ে যাব।”
    মেলায় প্রদর্শনী স্টলের পাশাপাশি এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
    রাজাপালং ইউনিয়নের সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় এর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

  • শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর উদ্যোগে এবং কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগীতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে
    অদ্য ৩১ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য চিত্রাংকন প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
    চিত্রাংকনের বিষয় ছিল “জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব এবং সামাজিক সম্প্রীতি”।
    উক্ত বিষয়ের আলোকে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অঙ্কিত চিত্রের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতের বিল দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজাপালং শাহ জাব্বারিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
    এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেয়ার বাংলাদেশ এবং জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, শেড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন “জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বব্যপী আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে আমরা দিন দিন আমাদের ঋতু বৈচিত্র হারাচ্ছি। আমাদের একটুখানি সচেতনাতাই পারে আমাদের প্রকৃতিকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে। এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের দেশ ধাপে ধাপে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাতে সক্ষম হবে। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস”।
    কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক বলেন “আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় যে তারা তাদের মেধার বিকাশের জন্য এই ধরণের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী। আমরা ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও অনেক অনুষ্ঠান আয়োজন করার চেষ্টা করব যেখানে এই শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে।”


    পরিশেষে কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আতিকুর রহমান এবং সিনিয়র টিম লিডার মোঃ ইমামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    রচনায়: মুঃ আমির কাসেম

    ইমাম সাহেব এশার নামায পড়াচ্ছিলেন, প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। এই বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটাই ইমাম সাহেবের চাকরি যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।

    ইমাম সাহেব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মানে বুঝেন তো, অভাবের কথা কাউকে না পারে বলতে, না পারে সইতে। এই রকম এক পরিবারের সন্তান মাও. মুনিরুল ইসলাম। মাওলানা পড়া শেষ না করলেও সবাই তাকে মাওলানা বলেই ডাকে। কারণ, মাদরাসায় পড়তে পড়তেই বড়ো হয়েছে। মাদরাসায় জামাতে হাশ্তুম শেষ করেই তাকে চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হয়েছে। এছাড়া আর উপায় কী? বাড়ির একমাত্র কর্মক্ষম লোক বাবা পঙ্গু অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন। আগে রিকশা চালাতেন। একদিন চাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা, অতঃপর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যখানে পড়ে পায়ে সজোরে কিসের যেন আঘাত পড়ে। সেই থেকেই ভাঙ্গা পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মুনিরুল ইসলাম লেখা-পড়া বাদ দিয়ে চাকরির খুঁজে লেগে যায়।

    দূরে যেতে হলো না। পাশের গ্রামের পঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে শুনে ঐ মসজিদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলো মুনিরুল ইসলাম। সভাপতি সাহেব খুশি হলেন। কারণ, ইমামের খুঁজে দূরে যেতে হলো না। চার হাজার টাকা বেতনে রেখে দিলেন মুনিরুল ইসলামকে। বেতন বলবো কী করে? সভাপতি সাহেব বেতন বললেও আমি বলতে পারি না। অন্তত পকেট খরচ বা হাদিয়া বলা যায়। মসজিদের চাকরি যারা করে, তারা বেতন পায় না। বেতন তো সরকারী চাকরি আর বিদেশী চাকরিতে মিলে।

    মনিরুর ইসলাম খুশি। কারণ এই চার হাজার দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ আঞ্জাম দেওয়া না গেলেও অন্তত করচটুকু যোগাতে পারবে। শুরু হলো মুনিরুল ইসলামের ইমামতি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান, নামায পড়ানো আর সকালে ফোরকানিয়া।

    এভাবেই চলছে তার চাকরির জীবন। সপ্তাহ না যেতেই পাঁচ দিনের মাথায় ঝামেলা শুরু হলো। সকালে ফোরকানিয়ার এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে কমেডের উপরেই কাজ সেরে আসলো। ইমাম সাহেব কিন্তু এই খবর জানেন না। কারণ, তার ঐ দিকে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফোরকানিয়া ছুটি হলো, দুপুর পর্যন্ত ঐ দিকে যাওয়া হলো না। জুহুরের আযানের আগেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাহেব উপস্থিত। টয়লেট সারতে গিয়ে মাথা হয়ে গেলো গরম। বেটা ইমাম সাব করেটা কী? টয়লেট অপরিস্কার কেন? এভাবে চিল্লাচিল্লি করতে করতে আসতে লাগলেন ইমাম সাহেবের রুমের দিকে। ইমাম সাহেব আযান দেওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন রুম থেকে। দরজার সামনেই পেয়ে গেলেন ইমাম সাহেবকে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারিকে দেখে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই সেক্রেটারির বুম ফাটানো চিৎকারে ইমাম সাহেব পড়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেক্রেটারি চিল্লিয়ে বলতে লাগলেন- ইমাম সাহেব! তুমি করোটা কী? অ্যাঁ! তোমার খাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর কোন কাম নাই?
    – কেন সাহেব? কী হয়েছে? কোন ভূল….
    – টয়লেটের এই অবস্থা কেন? কমেডের উপরে কার সারবি তুই আর মুসল্লি এসে পরিস্কার করবে?
    – কী বলেন? আমি আজ ওদিকেই যাইনি। আর….
    – চুপ! মোল্লাদের হত্তর দরজা থাকে। এখন পরিস্কার করে আয়! খাবি আর ওখানে সারবি, এখানে তোর কামলা সবাই…. আরো অনেক কথা বলে গেলো। সব কথা ইমাম সাহেবের কানে গেলো বলে মনে হলো না। কারণ, সে তখন অন্য চিন্তায়। কে এসে উপরে টয়লেট সারলো, আর সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়লো আমার উপর।
    সব ভুলেই ইমাম সাহেব টয়লেট পরিস্কার করে আযান দিতে গেলো। আযান দিতে দেরি হওয়ায় আরেক বকা খেতে হলো। এভাবেই চলছে তার চাকরি জীবন। একদিন টয়লেট অপরিস্কারের জন্য বকা শনতে হয়, আরেকদিন ট্যাপে পানি নেই, মসজিদে ময়লা কেন, ঝাড়ু দিতে কষ্ট হলে ইমামের চাকরি নিলে কেন ইত্যাদি। আরো কতভাবে ইমামের দোষ খুঁজে বের করে তার ইয়ত্তা নেই। যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে না, সেও হঠাৎ মসজিদে এসে পায়ে সামান্য বালি লাগলেই ইমাম সাহেবের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে।

    মুনিরুল ইসলাম সব শুনেও সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামুননাসের গালি শোনার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা হজম করতে হয়। হয়তো এটাই নিয়ম। ইমাম সাহেবও যে মানুষ, তাদেরও কত কাজকাম থাকে, পারিবারিক কাজেও তাদের সময় দিতে হয়, তা কি সব মুসল্লি বুঝে? যারা বুঝে তারা তো অসম্মান করছে না। এটাই এখন ইমাম সাহেবের সান্ত্বনা।

    দু’মাস পরের কথা। মাগরিবের নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি থেকে অযু করে আসতে হলো। কারণ, সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এশার নামাযের আগ মূহুর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো। ইমাম সাহেব মটরের সুইচ অন করে আযান দিলেন। মুসল্লিরা অযু করে মসজিদে ঢুকে গেছে। ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। তখনও মটরের সুইচ অন।

    নামাযের পর কারো স্মরণ নেই মটরের সুইচ বন্ধ করার ব্যাপারে। এমনকি ইমাম সাহেবেরও। চলে গেলো সবাই। ফজরের নামায পড়তে এসে সভাপতি সাহেব দেখে মসজিদের পুরো আঙ্গীনা নদীর মতো হয়ে গেছে। যেন নদীর ঢল নামছে। খোঁজ নিয়ে দেখে, রাতে যাওয়ার সময় মটরের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। চটে গেলো ইমাম সাহেবের উপর। যেন এক্ষুনি কেয়ামত নেমে আসবে। না, ইমাম সাহেবকে কিছু বললেন না। ফজর নামযের পর কমিটির সবাইকে ডাকলেন। ইমাম সাহেবকেও। ইমাম সাহেবকে মাসের টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন- ইমাম সাহেব! তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছো। অনেকদিন ধরে সহ্য করতেছি, আর না। এবার আপনি যেতে পারেন।

    -দায়িত্ব অবহেলা, নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ বের করে দোষী সাব্যস্ত করে বিদায় করা হচ্ছে।?
    – বেশি কথা বলা ভালো নয়। সম্মানের সাথে বিদায় করতেছি। তাড়াতাড়ি চলে যান।
    -আমার কিছু কথা আছে জনাব… আবার কথা! বলে তেড়ে উঠে সভাপতি। ইমাম সাহেবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগই দিলো না। ইমাম সাহেব কাকে বোঝাবে দুঃখের কাহিনী। সে যে দোষী নয়, সবাই দোষ খুঁজে খুঁজে বের করে দোষী বানানো হচ্ছে এবং হয়েছে সবসময়। এই তো, রাতে তার স্মরণ ছিলো না মটরের সুইচ বন্ধ করতে। কিন্তু প্রায় বিশজন মতো মুসল্লি, তার মধ্যে দশ/বারোজন কমিটির লোক, তাদেরও কি স্মরণ ছিরররো না? নাকি ইমাম সাহেবকে শায়েস্তা করার জন্য এই ফন্দি? একবার ভেবে দেখুন তো, আজ মুনিরুল ইসলর

  • আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    উপমহাদেশের বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ, আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
    অদ্য ২৯ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ রবিবার জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হয়, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজার এর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা জামিল আহমদ আনসারীর সভাপতিেত্ব ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মুফতী হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা জমিয়ত এর মুহতারাম সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলাম সাহেব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল আলী মিটিপুরী, জেলা জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা রমিজ উদদীন, জেলা যুব জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা বদরুল ইসলাম শামসী, সদস্য সচিব মাওলানা হাফেজ ইয়াহিয়া মাহমুদ, সচেতন নাগরিক ফরম মৌলভীবাজার এর সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকসহ অন্যন্য নেত্রীবৃন্দ।

    উপস্থিত ছিলেন, মওলানা সায়ীদ বিন জামিল, মাওলানা জামিল ক্বাসেমী কাঞ্চনপুরী হাফেজ সাজেল আহমদ, মুহাম্মদ মাইদুল ইসলাম,মোঃ আরব আলী সহ প্রমুখ।

    দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.) কে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন, আমিন

  • ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী রক্ত সরবরাহকারী সংগঠন প্রতিজ্ঞা ব্লাড ডোনেশন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার ও ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদ।

    এই দুই সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আজ ১৫ ই আগস্ট রবিবার সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে ৫.০০মিনিট পর্যন্ত ইনানী চারা বটতলী এস,আলম মার্কেটের সামনে অর্থাৎ (মাওলানা জাকের উল্লাহ ফার্মেসীর সামনে) বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পাইন ২০২১অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২ শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু এবং বয়োবৃদ্ধের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং রক্তদান বিষয়ক সচেতনতা বিবৃতি প্রদান করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলিউর রহমান

    বক্তব্যে তিনি মাদক ও সমাজের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সংশোধন হতে না পারলে ইনানী ছেড়ে নিজেদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন অন্যথায় ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    তিনি ইনানীকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত করার জন্য সকলের কাছে আন্তরিক সযোগিতা চেয়েছেন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন বাপ্পী সহ এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    আয়োজকরা জানান, তারা দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় ফ্রি ক্যাম্পেইন করে রক্তদাতাদের একটা বৃহৎ ডাটাবেজ তৈরি করবেন।

  • ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন এর রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন-বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী

    ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন এর রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন-বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সম্মানিত উপদেষ্টা, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার,বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, জামিয়া আরবিয়া জিরির সম্মানিত মুহাদ্দিস, চট্টলার কৃতিসন্তান,
    বিশিষ্ট কলামিস্ট, গবেষক ও রাষ্টচিন্তক
    আল্লামা ড.আ ফ ম খালিদ হুসাইন সাহেব দাঃবাঃ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ডাঃ এর সরানাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

    আলহামদুলিল্লাহ এখন একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ডাঃ এর পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন,

    গত (০৭ আগষ্ট ২১) শনিবার বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মাওলানা আবদুল করিমসহ বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী পরিচালনা পরিষদের সকল দায়িত্বশীল ও মেম্বারশিপ বৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে,
    আল্লাহ তা’আলার মহান আলীশান দরবারে আল্লামা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন সাহেব দাঃবাঃ এর আশু রোগ মুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    বার্তা প্রেরক-
    আলমগীর ইসলামাবাদী
    প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক,
    বুনইয়ান ফাউন্ডেশন বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

  • জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    মানবিক বিবেচনায় কওমী মাদরাসা খুলে দিন।
    সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন।
    ইমাম, মুয়াজ্জিনদের চাকুরীবিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করুন।
    কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন।

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে মানবিক বিবেচনায় দেশের সকল কওমী মাদরাসা অবিলম্বে খুলে দেওয়া, মুসলমান সন্তানদের পবিত্র কুরআন এবং ফরজ জ্ঞান শিক্ষার জন্যে সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদের ১০ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকুরী বিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করার দাবী জানানো হয়েছে।
    আজ বেলা ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আশরাফ আলী নূরী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা মোরতুজা কাসেমী, মুফতি আক্তারুজ্জামান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবি, মাওলানা বাসির মাহমুদ প্রমূখ।
    লিখিত বক্তব্যে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশের সকল ধারার ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত মঞ্চ। ইসলামী ইতিহাসের চিরন্তন ধারা ও ঐতিহ্য অনুসারে উম্মাহর কল্যাণকামীতা, পথপ্রদর্শন ও জনমানুষের হয়ে শাসক শ্রেণীর সাথে ভারসাম্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গঠিত হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় বললে, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ একটি “সিভিল সোসাইটি” বা নাগরিক সংঘ। যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে জনতার কন্ঠ হিসেবে কাজ করে।
    তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা আর সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে চরিত্রগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা- শিক্ষা প্রদানের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে অবদান রাখে। করোনার এই দুঃসময়ে যখন মানুষের খাদ্য সংকট চরমে; এমনি মুহূর্তে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা অমানবিক।
    তিনি বলেন, সরকার এতিমখানা চালু রাখার নির্দেশনা জারি করেছে। এটা ইতিবাচক। এই নির্দেশনার আওতায় সকল কওমি মাদরাসাও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এর ব্যবস্থা আছে। তা সত্বেও কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে হাজার হাজার এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের খাদ্যঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটা সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে।
    এসকল মানবিক ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থী, এতিম ও অসহায় মানুষের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
    তিনি আরো বলেন, শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করার মূল লক্ষ্যই হলো, সকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পাবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্য ধারাগুলো এই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত।
    প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট ব্যবস্থার দৌরাত্ম্য শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বজন বিদিত ব্যাধি। অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আদর্শ মান ধরে রেখেছে। একমাত্র কওমী মাদ্রাসাতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়। এখানে কোন প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য হয় না। শিক্ষকগণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের আয় উপার্জনও সম্পুর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদেয় বেতন-ভাতার উপর নির্ভর করে।
    বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এই শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নির্ভেজাল শিক্ষানিষ্ঠ শিক্ষকদের শিক্ষানুরাগকে সম্মান করে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।
    মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রজেক্টকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এমন একটি মহৎ কাজের জন্য বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসাথে মডেল মসজিদগুলোকে সব দিক থেকে মডেল মসজিদে রূপান্তর করা এবং সামাজিক সুফল নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি।
     মডেল মসজিদের জনবল নিয়োগে ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হবে। যাতে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন এবং কোনরকম দুর্নীতি ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়।
     মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য যে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে; তা রীতিমতো অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক। ইমাম পদের যোগ্যতা হিসেবে হাফেজ, দাওরা/ কামিল, মুফতি, মুহাদ্দিস চাওয়া হয়েছে।
    মাস্টার্স ও উচ্চতর ডিগ্রির বিপরীতে যে বেতন-কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা কিছুতেই সুবিবেচনা প্রসূত নয়। মডেল মসজিদের ইমাম-খতিবদের জন্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা, মুয়াজ্জিনদের জন্য ২য় শ্রেণী এবং খাদেমদের জন্য ৩য় শ্রেণীর মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
     ৫৬০ টি মডেল মসজিদের বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য ওলামাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মসজিদ নির্মাণে ইতোমধ্যেই দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে। যা দুঃখজনক।
     এখানে প্রসঙ্গত: মসজিদ আল্লাহর ঘর। আমরা আশা করতে চাই, এই মসজিদ কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করব, এই মসজিদকে দলীয় রাজনৈতিক প্রচারণার উপাদান বানানো হবে না। যদি ইখলাস থাকে, তাহলে হাজার বছর পরেও মানুষ এর নির্মাতা কে মনে রাখবে। আর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থাকলে, মসজিদ এ ‘যেরারের’ ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই।
    কুরবানীর চামড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    এ দেশ মুসলমানপ্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কুরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই এসব পশুর গোশত ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে দেশে চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে ওয়েট ব্লু উৎপাদনের সীমিত পরিসর পেরিয়ে ক্রাস্ড ও ফিনিস্ড লেদার, জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চামড়া খাতের রপ্তানিতে পণ্য বৈচিত্র এসেছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিদেশেও পরিচিতি পায় এবং দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি পণ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের ভুল নীতি ও সিদ্ধান্তহীনতায় রপ্তানি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে চামড়া খাত তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপরে এবং কওমী মাদ্রাসার ওপরে। কুরবানীর চামড়া গরীবের হক। দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর আয়ের বড় একটি খাত এই কুরবানীর চামড়া।
    আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে চামড়া খাতের অব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্তহীনতা দূর করে, চামড়া শিল্পকে শক্তিশালী করুন।
    আর এবারের জরুরী অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর অনুমোদন দিন। একই সাথে কাঁচা চামড়া নিয়ে অবৈধ কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে যাতে ট্যানারীগুলো চামড়া ক্রয় করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
    ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও চাকুরী বিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ মানুষের ধর্মীয় অপরিহার্য বিধান আঞ্জাম দেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে নৈরাজ্যের চূড়ান্ত হয়। কোন নিয়ম নীতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়। দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদে কমবেশি ১০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র। তাদের বেতন-ভাতা ও পেনশন এমন বিশৃংখল হওয়া দায়িত্বশীল রাষ্ট্র ধারণার খেলাফ। সেজন্য ওলামাদের সমন্বয়ে দেশের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য অবিলম্বে চাকুরী বিধি ও জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
    আলেমদের মুক্তি প্রসঙ্গে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আটককৃত সকল নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি করছে।
    ধর্মীয় ফরজ শিক্ষার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল মুসলমানদের জন্য কুরআন ও প্রয়োজনীয় মাসআলা শেখা ফরজ। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকদের বিশ্বাসমতে সকল অপরিহার্য বিষয়াবলীর আয়োজন করা। সেই বিবেচনাতে দেশের সকল প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কোরআন ও ফরয ইলম শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার সকলস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।