Category: অপরাধ

  • লোহাগাড়ায় ট্রাক চালিয়ে ০৫ জন মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ও নৃশংসভাবে নিহতের ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার ১৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাবের হাতে আটক

    লোহাগাড়ায় ট্রাক চালিয়ে ০৫ জন মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ও নৃশংসভাবে নিহতের ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার ১৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাবের হাতে আটক

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। গত ২১ মার্চ ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ০৫৩০ ঘটিকায় একটি প্রাইভেটকার যোগে ৫ জন ছাত্র-বন্ধু চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে প্রাইভেটকারটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর নামক স্থানে পৌছালে রাস্তার বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ডাম্পার ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ঘটনাস্থলেই নির্মমভাবে মারা যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আহত আরো একজন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেট্রিক মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

    ৩। ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রিপন ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে এবং আত্মগোপন করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ডাম্পার ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী চালায়। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক ডাম্পার ট্রাক ড্রাইভার রিপন চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুড়িং থানাধীন রশিদ বিল্ডিং এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। অদ্য ২২ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ ০৩.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকা হতে ঘাতক ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রিপন (৩১), পিতা-মৃত মোজাম্মেল হক, সাং-মহেশখালী, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘাতক ট্রাক (রেজিঃ নং-চট্ট মেট্টো-ট-১২-০৩১৫) এর চালক ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নিম্নেবর্ণিত তথ্যাবলী পাওয়া যায়ঃ

    ক। ডাম্পার ট্রাকটির ড্রাইভার মোঃ রিপন (৩১) ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম আসে এবং নিমতলা বিশ্বরোডে বসবাস শুরু করে। প্রথমে সে গাড়ীর হেলপার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ২০০৪ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সে গাড়ীর হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ২০০৬ সালে হেলপার থাকা অবস্থায় গাড়ী চালানোর দরূণ সে মারাত্মক দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে তার ডান পা পঙ্গু হয়ে যায় এবং উক্ত পায়ে প্রায় সম্পূর্ণ শক্তি হারিয়ে ফেলে।

    খ। ২০১৫ সালে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ হতে হালকা যানবাহনের লাইসেন্স পায় এবং পঙ্গু অবস্থায় গাড়ী চালনার দরুন সে অনেকগুলো দূর্ঘটনায় পতিত হয়। পরবর্তীতে ভারী যানবাহনের আবেদন করলে তার শারীরিক অযোগ্যতার কারণে বিশেষ করে ডান পা পঙ্গুত্ব ও শক্তি হারানোর প্রেক্ষিতে তাকে লাইসেন্স প্রদান করা হয় নাই। তবু সে নিয়মিত ভারী যানবাহন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অত্যন্ত করুণ ও নির্মমভাবে চলে গেল পাঁচজন তরতাজা যুবকের প্রাণ, যাদের বয়স এখোনও ত্রিশের কোটায়।

    খ। ঘটনার দিন উক্ত ডাম্পার ট্রাকের মূল চালক ছিল ড্রাইভার মোঃ নুরনবী। সেদিন নুরনবী উক্ত গাড়িটি নিয়ে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া মেরিন ড্রাইভ ও ফোর লেইনের চলমান সড়ক নির্মানের পাথর বোঝাই করে নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নূরনবী টানা ১০দিন নির্ঘুম থেকে গাড়ী চালানোর কারণে ক্লান্ত থাকায়, উক্ত গাড়ী চালানোর দায়িত্ব মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে পরিবর্তন করে বদলীকৃত ড্রাইভার মোঃ রিপনকে দেওয়া হয়।

    ৪। এখানে উল্লেখ্য যে, রিপন এই কোম্পানীর উক্ত ভারী ডাম্পার ট্রাক চালানোর স্থায়ী কোন ড্রাইভার নয় বা এই ধরনের গাড়ী চালানোর জন্য ভারী লাইসেন্স অথবা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে গাড়ী চালাতে দেওয়া হয়। অতঃপর সে গাড়িটি নিয়ে পেকুয়ায় মেরিন ড্রাইভ ও ফোর লেইনের সড়ক নির্মাণের পাথর আনলোড করে আসার সময় লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগর বাজারে পৌছালে অত্যন্ত বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অপর প্রান্ত হতে নিয়মিত গতিতে আসা প্রাইভেটকারকে সজোরে ধাক্কা দেয়। প্রথম ধাক্কায় প্রাইভেটকারটি থেমে গেলেও ট্রাক ড্রাইভার রিপন এর ডান পায়ের পঙ্গুত্ব ও শক্তি কম থাকায় সে ব্রেক করতে পারেনি এবং প্রাইভেটকারের উপর ট্রাকটি সম্পূর্ণ উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হারুনুর রশিদ হীরণ (২৬), খোরশেদ আলী সাদ্দাম (৩১), রিজভী শাকিব (২৬) এবং মনছুর আলী (২৩) মারা যান এবং গুরুতর আহত মুহাম্মদ হুমায়ুন (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।

    ৫। এখানে অত্যন্ত লক্ষণীয় যে, উক্ত গাড়ির কোন হেলপার ছিল না এবং গাড়িটি অত্যন্ত বেপরোয়া গতি এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিল। দূর্ঘটনার সময় গাড়িটি (কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসতে) রাস্তার বাম পাশে থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ডান পাশে চলে যায়। ট্রাকের ড্রাইভার শারীরিকভাবে অযোগ্য, ডান পায়ে শক্তি প্রায় নেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই ধরনের ডাম্পার ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চালানোর মত কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অভিজ্ঞতা কিছুই তার নেই। মহাসড়কপথে ড্রাইভারদের এই ধরনের অনভিজ্ঞতা, অবহেলিত ও খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।

    ৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বগুড়ার গাবতলীতে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

    বগুড়ার গাবতলীতে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

    রাকিব মাহমুদ ডাবলু:- স্টাফ রিপোর্টার,

    বগুড়ার গাবতলী পৌর সদরে ১নং রেলঘুমটি হতে ২নং রেলঘুমটি পর্যন্ত রেলের জায়গার উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ২০মার্চ রোববার দুপুরে জিআরপি ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন লালমনিরহাটের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ডি.ই.ও) পুর্ণেদ্র দেব। সিগন্যাল আপ-ডাউনের বিঘœ ঘটায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

    উচ্ছেদ অভিযানকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন দোকানীরা তাদের দোকানের মালামাল রক্ষার জন্য দিক-বিদিক ছুটতে থাকে। দুই ঘন্টার এই উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ১০/১২টি দোকানঘর স্কেপেটার মেসিন দিয়ে একবারে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাটের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ডি.ই.ও) পুর্ণেদ্র দেব বলেন, ১নং রেলঘুমটি হতে ২নং রেলঘুমটি পর্যন্ত রেলের সিগন্যাল আপ-ডাউনের বিঘœ ঘটায় রেলের জায়গার উপর নির্মিত দোকানপাট ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

    তবে রেলবিভাগের সাথে যারা বৈধভাবে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন তাদের বিষয়টা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

  • আবছারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের

    আবছারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড হলবনিয়া পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা লাশ মো. আবছার উদ্দিন(৩৫)কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের।

    নিহত মোঃ আবছারের পিতা আব্দুল গফুর জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তার ছেলে মো. আবছার উদ্দিন সহ স্থানীয় আব্দুল গফুর(৬০)হলবনিয়া পাহাড়ে মহিষ খুজঁতে গেলে আব্দুল গফুর ফিরে আসলেও মো. আবছার উদ্দিন ফিরে আসেনি।

    তিনি আরও জানান,বাহারছড়া হলবনিয়া গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের স্ত্রী আজু মেহের(৪০)নামে ওই মহিলা সহ একই এলাকার জাফর আহমদের পুত্র জিয়াউর রহমান ইতি পুর্বেই একটি মহিষের বিষয়কে কেন্দ্রে করে মো.আবছার উদ্দিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো।

    ঐ মহিষের ঘটনার বিষয়ে জের ধরে ছেলে মো. আবছার উদ্দিন কে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    ঘটনার প্রত্যকদর্শী আব্দুল গফুর(৬০) জানান,বাহারছড়া হলবনিয়া গ্রামের আজু মেহের(৪০) এর বাড়ি থেকে ফিরে পাহাড়ে ডুকার মাঝ পথে হোয়াইক্যং খারাংখালি ০৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার নুর মোহাম্মদ(২২) ও মো. আয়াস উদ্দিন(৩৩)সাথে দেখা হলে তারা পাহাড়ে তাদের কে অপেক্ষা করতে বলে।

    সে সময় পাহাড়ে জিয়াউর রহমানের সাথে তাদের দেখা হয়। এক পর্যায়ে মো. আবছারের উদ্দিনের সাথে মহিষের বিষয় জিয়াউর রহমানে সাথে তর্ক হয়। পরবর্তীতে মো. আবছার উদ্দিন কে সে আর খুঁজে পাইনি বলে জানান।

    জানা যায়, গেল শুক্রবার
    (১৮ মার্চ) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন হলবনিয়া পাহাড় থেকে মো. আবছার উদ্দিনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. হাফিজুর রহমান।

  • র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ সদস্য আটক

    র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ সদস্য আটক

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, নির্বাহী পরিচালক।

    কক্সবাজারের সদর থানাধীন সুগন্ধা বীচ পয়েন্ট এলাকা হতে র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের মূলহোতা সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ জন আটক করা হয়।

    ১৭ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট বীচে প্রবেশ পথের মূখে রাস্তার উপর কতিপয় অপরাধী মাদক সেবন করে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার জন্য ঘোরাফেরা করছে। তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি পলায়নের চেষ্টাকালে মূলহোতা ১ মোঃ সালাউদ্দিন (৩২), পিতা-আবুল কাশেম, সাং- নাইব্বাবাজ, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে ভাসমান রিক্সা চালক কানাইয়া বাজার, ৬নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার। ২ মোঃ রশিদ উল্লাহ (৩৫), পিতা-মৃত নবী হোসেন, সাং-পাহাড়তলী, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা। ৩ মোঃ জোহার (১৭), পিতা-মনির আহাম্মদ। ৪ মোঃ রফিকুল ইসলাম (১৬), পিতা- মোঃ লাল মিয়া। ৫ মোঃ ইউনুস (১৫), পিতা- দিল মোহাম্মদ, সাং- ইসলামপুর (আব্দুল হকের ঘোনা), ৭ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজারদের ধৃত করে। গভীর রাতে উক্ত স্থানে অবস্থানের কারণ জিজ্ঞাবাসাদে তারা সদুত্তোর দিতে ব্যর্থ হয়। তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশী করে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪টি ড্যাগার ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সকলেই কিশোর গ্যাং এর সদস্য, পেশাদার ছিনতাইকারী, তারা বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন করে, নিজেদের দখলে ছুরি, চাপাতি (অস্ত্র) রেখে বিভিন্ন লোক জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আঘাত দানের মাধ্যেমে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ১ জন গ্রেফতার

    উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ১ জন গ্রেফতার

    উখিয়া প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন) সদস্যরা।
    গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা হলো ক্যাম্প-১২ এর জি-১ ব্লকের মো. সলিমুল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক(২৪)। সে তালিকাভুক্ত দুষ্কৃতকারী বলে জানা যায়।

    ১৭ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ৮এপিবিএন কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।

    তিনি আরো জানান, গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোয়েব আহমদের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা মোঃ রফিকের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ কৌশলে অবস্থানরত একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি ক্যাম্প-১২ এর জি-৩ ব্লকের মো. সলিমুল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক(২৪) বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে কোমরের ডান পাশে কৌশলে লুকানো অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল(লোহার তৈরি),একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও জানান, গ্রেফতার ওমর ফারুক ক্যাম্প-১২ এর তালিকাভুক্ত দুষ্কৃতকারী। সে মায়ানমারে চলমান জান্তা সরকারবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে প্রবেশ করে উখিয়ার ক্যাম্প-১২ তে অবস্থান করছিলো। পুনরায় মায়ানমার ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই ক্যাম্প-১৩ এর কাঠালতলী বাজারে গিয়েছিল যেখান থেকে ফেরার পথে অস্ত্রসহ এপিবিএন সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বলে জানান তিনি।

    গ্রেফতার আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ৮এপিবিএন কমান্ডিং অফিসার।

  • আনোয়ারার ৫ মাদক কারবারি সেন্টমার্টিন ছেঁড়া দ্বীপ থেকে আটক

    আনোয়ারার ৫ মাদক কারবারি সেন্টমার্টিন ছেঁড়া দ্বীপ থেকে আটক

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ প্রতিনিধি,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সেন্টমার্টিন ছেঁড়া দ্বীপে অভিযান চালিয়ে ৫ জন মাদক কারবারি কে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশান সদস্যরা। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার পিস ইয়াবা। বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, আব্দুল মোতালেবের ছেলে মহিদুল ইসলাম, সালেহ আহামেদের ছেলে আবুল হোসেন, নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম, আবু তাহেরের ছেলে মোঃ ফজলে করিম ও ইয়াকুব আলীর ছেলে মনুর আলী। তারা সকলেই চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার বাসিন্দা।

    বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশান কমান্ডার লেঃ কমান্ডার সৈয়দ তৈমুর পাশা জানান, পোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার হতে একটি কাঠের নৌকা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে কৌশল গত অবস্থান নেয় কোস্ট গার্ড। কোস্ট গার্ডের অবস্থান বুঝতে পেরে মিয়ানমারের দিকে পালানোর চেষ্টা করলে কোস্ট গার্ড তাদের ধাওয়া করে আটক করেন। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে তেলের ড্রামের ভিতর থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেন

    জব্দকৃত ইয়াবা ও আটক ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • গাবতলীতে ১৪ টন চোরাই রডসহ ব্যবসয়ী গ্রেফতার

    গাবতলীতে ১৪ টন চোরাই রডসহ ব্যবসয়ী গ্রেফতার

    রাকিব মাহমুদ ডাবলুঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    বগুড়ার গাবতলির কাগইল বাজার থেকে ১৪ টন চোরাই রডসহ সজ্জাদুর রহমান রানা নামের এক ব্যবসায়ীকে গাবতলি মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাবতলি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে ১৪ মাচ দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের কাগইল বাজারে
    রক্ষিত সাজ্জাদুর রহমান রানার দোকান থেকে চোরই ১৪ টন রড উদ্ধার করা হয়।

    এব্যপারে গাবতলি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সাথে যোগাযোগ করহলে তিনি জানান, গাবতলি উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের একজন ট্রাক ড্রাইভার ঢাকা থেকে ১৪ টনরড নিয়ে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় যাওয়ার কথা। ড্রাইভার তা না করে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার রড, ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকায় রডগুলো গাবতলি উপজেলার কাগইল বজারে রানার দোকানে ১২ মাচ বেচে দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে রডগুলো উদ্ধার করাহয়।

    চোরাই রডকেনার দায়ে ব্যবসায়ী সজ্জাদুর রহমান রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে।

  • গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ৩ মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে

    গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ৩ মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে

    রাকিব মাহমুদ ডাবলুঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    বগুড়ার গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ইংরেজি ৮ মাচ বিকেল সাড়ে ৫টায় অভিযান চালিয়ে গাবতলী পৌরসভার গোড়দহ মধ্যপাড়া মাঠের মধ্যে মকবুলের শ্যালো মেশিনের ঘর থেকে আসামি ১) মিলন সরদার (৩৫) পিতা মৃত শায়েদ আলী ২) সুমন (৩৩) পিতা টুকু প্রামানিক (৩) আইনুর (৪০) পিতা মৃত আবুল হোসেন সর্ব শাকিন: গোড়দহ উত্তরপাড়াদের ১৬২ নেশাজাতীয় লোপেন্টা ট্যাবলেট, নগদ ৪২০ টাকা, তিনটি মোবাইল ও মাদক সেবনের বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। আসামিরা জানায় এলাকার কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী র নিকট থেকে প্রতিটি ট্যাবলেট ৮০ টাকা করিয়া ক্রয় করে ও বিভিন্ন মাদকসেবীর নিকট বিক্রয় করে।

    আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

  • লোহাগাড়ায় দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

    লোহাগাড়ায় দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

    (বিশেষ প্রতিনিধি),

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী মোটর স্টেশন হতে দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

    আসামীরা হলেন- উপজেলার রশিদার পাড়ার মৃত আলী হোসেনের পুত্র মুহাম্মদ হাসান (৪২) এবং আমিরাবাদ ইউনিয়নের মাস্টার হাট এলাকার মৃত সাহেব মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ ইদ্রিস (৪৮)।

    এব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ইদ্রিস বান্দরবানের মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং হাসান এনআই এক্টের মামলায় ৬ মাসের সাজা রয়েছে। তারা গোপনে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই যুযুৎসু যশ চাকমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম বটতলী মোটর স্টেশন হতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাসান এবং ইদ্রিসকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    তাদেরকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • বিরামপুরে ফোন ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার

    বিরামপুরে ফোন ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার

    বিরামপুর- (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাই মামলায় ইব্রাহিম মিয়া (২৬) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    গত ২ই জানুয়ারি ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়লে পুলিশ শাওনকে আটক করেন।

    গত ১৩ ই জানুয়ারি বিরামপুরে মোবাইল ছিনতাই মামলা করেন রায়হান কবির চপল। এই মামলার আসামিরা হলেন পীরগঞ্জ উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে শাওন মিঞা ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম মন্ডল।

    (২৪ শে ফেব্রুয়ারি ) বৃহস্পতিবার
    সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার, বিরামপুর সার্কেল একেএম ওহিদুন্নবী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ও নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ এস অাই নিহার রঞ্জ সরকার ও হরিদাস বর্মন এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মোবাইল ফোন, সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগসহ টাকা ছিনতাই মামলার আসামি ইব্রাহিম মিয়া নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

    বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, ছিনতাই মামলার ইব্রাহিম মিয়া নামে এক ছিনতাইকারীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একই মামলার অাসামি শাওনকে ইতিপূর্বে গ্রেফতার করে অাদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ ইব্রাহিমকে তার গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।