Category: অপরাধ

  • জা‌হেদ বাহীনী হত্যা চেষ্টা মামলা উঠিয়ে নি‌তে বা‌দি‌কে প্রতি‌নিয়ত হুম‌কি দি‌চ্ছে

    জা‌হেদ বাহীনী হত্যা চেষ্টা মামলা উঠিয়ে নি‌তে বা‌দি‌কে প্রতি‌নিয়ত হুম‌কি দি‌চ্ছে

    নিজস্ব প্রতিবেদন,

    কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষাচর ইউনিয়‌নের জাহেদ বাহিনীর হামলায় টমটম চালক ইলিয়াসকে হত‌্যা চেষ্টা ও তার স্ত্রী এবং ক‌লেজপড়ুয়া ছাত্রকে পি‌ঠি‌য়ে জখম করা হয়েছে

    এঘটনায় বর্ণিত ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গুরা মিয়ার ছেলে টমটম চালক মোঃ ইলিয়াস বাদী হয়ে প্রধান হোতা জাহেদসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে।

    গত ২৭ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া এলাকায় টমটম চালকের বসত বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর এঘটনা ঘটে।

    এঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দৌলত মিয়ার ছেলে জাহেদ প্রকাশ জারামতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে উস্কানীমূলক কথা বলে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর ক‌রে বিভিন্নভাবে জখমসহ হত্যার চেষ্টা করে দেশীয় অস্ত্রধারী জাহেদ বাহিনী।

    এর ধারাবাহিকতায় উপরের বর্ণিত সময়ে জাহেদ বাহিনী জনতাবদ্ধ দলবল সহ দেশিয় তৈরি ধারালো দা, কিরিস, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিছোটা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বর্ণিত এলাকায় ইলিয়াসের বসতবাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তার মাঝখানে বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শুরু করে।

    এসময় ইলিয়াস বাঁধা প্রধান করলে জাহেদ তার বাহিনীর লোকজন নি‌য়ে হামলা শুরু করে এতে টমটম চালক ইলিয়াস ও তার স্ত্রী মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে সা‌থে ক‌লেজ পড়ুয়া ছাত্র ইলিয়া‌সের ভাইপুও আহত হয়। জাহেদ ও তার বাহিনী ইলিয়াসের স্ত্রী শরীরের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে শেষ‌মেষ গলায় থাকা স্বর্ণে‌র চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের শোর চিৎকার শু‌নে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এবং আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন‌্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।

    এ ঘটনায় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চক্রবর্তীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, এবং পালাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।

    মামলায় গ্রেফতা‌রের পর থে‌কে জা‌হেদ বাহীনীর সদস‌্যরা ইলিয়া‌সের স্ত্রীর নাম্বা‌রে ফোন ক‌রে বি‌ভিন্ন সময় হুম‌কি দি‌চ্ছে মামলা উঠি‌য়ে না ফেল‌লে আবার হামলা কর‌বে এবং বি‌ভিন্ন মিথ‌্যা মামলায় ফা‌ঁসি‌য়ে দি‌বে

    স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে জানা যায়, এ জাহেদ বাহিনীর লোকজ‌নের বি‌রো‌দ্ধে এলাকায় চুরি, ছিনতায় অ‌ন্যের জায়গা কন্ট্রা‌কে দখল ক‌রে দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে।

    অ‌ভি‌যুক্ত জা‌হেদ বাহীনীর বা‌কি সদস‌্যদে‌র গ্রেপ্তারের জন্য সং‌শ্লিস্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

  • পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ঘুমধুমের অবৈধ ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার নেতৃত্বে হামলায় রক্তাত্ব যুবক

    পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ঘুমধুমের অবৈধ ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার নেতৃত্বে হামলায় রক্তাত্ব যুবক

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবান:

    নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের ফাত্রাঝিরি গ্রামে এসআরবি নামের এক অবৈধ ইটভার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার জসিম উদ্দিন নামের এক যুবক।

    শনিবার (০৮ এপ্রিল ) নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ফাত্রাঝিরি গ্রামে এসআরবি ইট ভাটা নামক স্থানে রাত ৯ টার দিকে উক্ত ইট ভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার কাছে কাছে পাওনা টাকা চাইতে যায় ঘুমধুম বড়বিল এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে মোঃ জসিম(৩০)। এতে ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়া টাকা না দিয়ে অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করতে করতে এক পর্যায়ে অনিত্য বড়ুয়া এবং অনিত্য বড়ুয়ার ম‌্যানেজারসহ ৫/৬ জন ইট দিয়ে জসিমের মাথায় আঘাত করলে মাথার ডান পাশে চোখের উপরে কেটে যায়। এতে আহত জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

    পরবর্তীতে আহত জসিমের আত্বীয় স্বজনরা খবর পেলে গিয়ে আহত জসিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন‌্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    হামলাকারীরা হল: ইটভাটার মালিক উখিয়ার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পাড়ার সুদীর বড়ুয়ার ছেলে – অনিত্য ও মরিচ্যা বউ বাজার, উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ‌্যা বউ বাজার এলাকার ঝুমু বড়ুয়ার ছেলে মিমু বড়ুয়া।

    এদিকে আহত জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস‌্যরা সাংবাদিকদের জানান, ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি সন্ত্রাসী হামলা করে জসিমকে আহত করে আমরা থানায় মামলা করব এবং এর ন‌্যায় বিচার চাই।

    এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার কাছে এই নাম্বারে 01730629820 যোগাযোগের চেষ্টা করাহলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব‌্য নেয়া সম্ভব হয়নাই।

    উল্লেখ‌্য: ইটভাটার মালিক অনিত‌্য বড়ুয়ার বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ ও গাছ কেটে পরিবেশ ধবংস করার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। অনিত‌্য বড়ুয়া অদৃশ‌্য শক্তির যোরে ঘুমধুমে দাপটের সাথে এসব অবৈধ কাজ কর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে সুত্রে যানাযায়।

  • বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি কর্তৃক নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মগঘাটা নামক এলাকার একটি রাবার বাগানে অন্যত্র পাচার করার জন্য গোপনে রাখা অবস্থায় মালিকবিহীন নিম্নোক্ত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে বলে জানাগেছে ।
    উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার সিগারেটের এর মধ্যে রয়েছে
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ তৈরি Mond,
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ SO
    ৩৯০০ প্যাঃ বার্মিজ ORIS সহ মোট ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট।
    উদ্ধারকৃত বার্মিজ সিগারেট গুলো ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
    উল্লেখ্য নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বিহীন অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।

  • র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে কর্ণফুলী হতে ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে কর্ণফুলী হতে ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বাসযোগে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা একটি বাস তল্লাশীকালে ০১ জন ব্যক্তি গাড়ি হতে নেমে সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা আসামী মোঃ হাফেজ উল্লাহ (৬৩), পিতা- মৃত তমিম গোলাল, সাং- ডেইল পাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে উক্ত বাসের মালামাল রাখার সাইডবক্সের ভিতরে রক্ষিত তার ট্রলি ব্যাগের ভেতর হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে শপিং ব্যাগ দ্বারা দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নেশা জাতীয় অবৈধ মাদকদ্রব্য কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে ৯৪ ক‍্যান বিদেশী বিয়ার উদ্ধার

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে ৯৪ ক‍্যান বিদেশী বিয়ার উদ্ধার

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি ঘুমধুম তদন্ত পুলিশ ফাড়ি কর্তৃক ঘুমধুম ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া এলাকা হতে মালিক বিহীন ৯৪ ক্যান বিদেশি বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    শুক্রবার রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মালিক বিহীন অবস্থায় বেদেশী তৈরি উক্ত বিয়ার গুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
    এ বিষয়ে নাইক্ষ‍্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ব‍্যাপক তৎপরতা অব্যাহত আছে।

  • ঈদগাঁও’তে  চোলাই মদসহ ইউপি মেম্বার আটক

    ঈদগাঁও’তে  চোলাই মদসহ ইউপি মেম্বার আটক

    ইমরান তাওহীদ রানা- ঈদগাঁও,

    কক্সবাজারের নব ঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলায় চোলাই মদসহ এক ইউপি মেম্বারকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের পালপাড়াস্থ নিজ বাড়ির সামন থেকে মদসহ তাকে আটক করা হয়। আটক প্রদোষ পাল মুন্না (৫৫) ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পাহাড়ি এলাকা ঈদগড়ের দিক থেকে গাড়িযোগে এসে নিজ বাড়ির সামনে নামেন মুন্না মেম্বার। এ সময় তার হাতে ছোট আকারের দুটি প্লাস্টিক ট্যাংকভর্তি তরল দ্রব্য ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই ঈদগাঁও থানার পুলিশ ফোর্স এসে বাংলা মদসহ তাকে আটক করে ও থানায় নিয়ে যায়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, আটক মুন্না মেম্বার মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। মুন্না ও তার ভাই বাচ্চু পালের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে বাংলা মদ বিক্রি করে আসছেন।

    তবে ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বলেন, আটক মুন্না মেম্বার মাদকসেবী হলেও ব্যাবসায়ী নয়। মদসহ মেম্বার আটক হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলেও মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।

    ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির জানান, চার লিটার বাংলা মদসহ মুন্না মেম্বারকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।

  • টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ আটক-১০

    টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ আটক-১০

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে মানবপাচার ও পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ ১০ জন অপরাধী কে আটক করা হয়েছে।
    টেকনাফ মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
    তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩অক্টোবর)
    ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার, মো. মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার), মহোদয় এর নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল, মোঃ শাকিল আহমেদ (বিপিএম) মহোদয় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ওসি মোঃ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারের সাথে জড়িত ১ জন সন্দিগ্ধ আসামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন,
    ৫নং ওয়ার্ড, কানজনপাড়া এলাকার বকতার আহমদের ছেলে মোঃ সাইমুন (১৯)
    অপহরণ মামলার ০১ জন এজাহার নামীয় আসামী সাবরাং ইউনিয়ন,১নং ওয়ার্ড, মুন্ডার ডেইল এলাকার বদল্যার পুত্র সোনা মিয়া (৩২)
    ৫ জন জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী
    কচ্ছপিয়া ফয়াজী পাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র আব্দুল্লাহ,
    হ্নীলা ইউনিয়ন,৯নং ওয়ার্ড,জাদিমুড়া বৃটিশ পাড়া এলাকার আবু বক্কর এর স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫)টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, ৬নং ওয়ার্ড গোদার বিল এলাকার মকবুল আহমদের পুত্র শাহ আলম (৩২)টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, নতুন পল্লান পাড়া এলাকার কালুর পুত্র জাবেদ,
    টেকনাফ পৌরসভা নাইট্যংপড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র শমসুল আলম(৪৯)
    ৩জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী
    হ্নীলা ইউনিয়ন,দমদমিয়া পাড়া এলাকার
    সৈয়দ হোসেন এর পুত্র আব্দুল লতিফ,
    দমদমিয়া এলাকার শফির পুত্র এনায়েত উল্লাহ,
    জাদিমুড়া এলাকার মৃত আব্দুল শুক্কুরের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ, সহসর্বমোট ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসীদেরকে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক-২২

    টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক-২২

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক- ২২ আসামি কে
    আটক করা হয়েছে।
    বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ‍্য নিশ্চিত করে, টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন,
    কক্সবাজার জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার,
    মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার), মহোদয় এর নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল,মোঃ শাকিল আহমেদ, বিপিএম মহোদয় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হালিম এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারের সাথে জড়িত ০১ জন সন্দিগ্ধ আসামী ১। হায়দার আলী (৩৬), পিতা-আবদুর রহিম, সাং- মহেশখালীয়া পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউপি, অপহরণ মামলার ০১ জন এজাহার নামীয় আসামী ২। আব্দুল জলিল (২৫), পিতা- আব্দুল হাকিম, মাতা-ছখিনা খাতুন, সাং- নাইক্ষ্যংখালী, মৌলভী বাজার, ০২নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, চুরির সাথে জড়িত ০১ জন সন্দিগ্ধ আসামী ৩। মোঃ ইউনুছ (১৯), পিতা-রফিকুল ইসলাম, মাতা-হাজেরা বেগম প্রকাশ বৈদ্যনী, সাং-পুরান পল্লান পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় ০৪ জন সন্দিগ্ধ আসামী ৪। আনোয়ারা সাদেক প্রকাশ সেলিম (২০), পিতা-আনু মিয়া প্রকাশ নাগু, ব্লক-ডি, শেড-৭৪৯/৪, এমআরসি-৩৩৯৮৩, ৫। আবুল হোসেন (২১), পিতা-মৃত আমিন প্রকাশ মোহাম্মদ, ব্লক-ডি, শেড-৭৫৮/১,২, এমআরসি নং-২৭০৫৩, ৬। নুরুল আমিন (২০), পিতা-আব্দুল জলিল, ব্লক-বি, শেড-৭৪৯/২,এমআরসি-৬১২৮৭, সর্ব সাং-নয়াপাড়া, রেজিঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ৭। মোঃ ছলিম (২১), পিতা-আবুল বশর, ব্লক-বি, সর্ব থানা-টেকনাফ, সাং-কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা-উখিয়া, ১২ (বার) টি জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী যথাক্রমে ৯। মোঃ ইব্রাহীম, পিতা-হোসাইন, মাতা-মোমেনা খাতুন, সাং-নোয়াখালী পাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, বাহারছড়া ইউপি, ১০। জসিম উদ্দিন (২৬), পিতা- মৃত মোঃ ইসমাইল, সাং- দরগাপাড়া, হ্নীলা ইউপি, ১১। জাফর আলম (২৮), পিতা- জহির আহম্মদ, সাংগ- পুরান পল্লান পাড়া (২টি ওয়ারেন্ট), ১২। মোঃ জাকারিয়া (২৭), পিতা- মৃত রহমত উল্লাহ, সাং-নাইট্যংপাড়া, ১নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, ১৩। সানজিদা বেগম, স্বামী-বশির আহমদ, সাং-কে কে পাড়া, ১৪। লাল মিয়া (৪৮), পিতা-মৃত নাজির হোসেন, সাং-শাহপরীর দ্বীপ, উত্তর পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, ১৫। জালাল উদ্দিন (৩০), পিতা-মৃত নুর আহমদ, সাং-পূর্ব রঙ্গিখালী, ১৬। আরফাত উদ্দিন (১৯), পিতা-সামছুল আলম, মাতা-আমিনা খাতুন, সাং-কানজর পাড়া, ৫নং ওয়র্ড, ১৭। আক্তার হোসেন (৩৪), পিতা-আবুল বশর, মাতা-সামছুন নাহার, সাং-ঝিমংখালী, ৬নং ওয়ার্ড, ১৮। মোঃ ইউসুফ (৩৩), পিতা-আবুল মনজুর, মাতা-মরিয়ম খাতুন, সাং-উনচিপ্রাং, ৩নং ওয়ার্ড, ১৯। কামরুল ইসলাম (৩২), পিতা-মৃত জাফর ইসলাম, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-কুতুবদিয়া পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, সর্ব ইউপি-হোয়াইক্যং, ০১টি সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ২০। ধল্যা মিয়া (৩২), পিতা-দিল মোহাম্মদ, সাং-জাদিমুড়া, হ্নীলা ইউপি, ০২ জন পুলিশ আইনের ৩৪(৬) ধারা মোতাবেক ২১। মোঃ সুলতান আহমেদ প্রকাশ বতাইশা (৪০), ২২। মোঃ আব্দুর রহমান (৩০), উভয় পিতা-মৃত হাজী মকবুল আহমদ প্রকাশ মিঠা হাজী, সাং-রঙ্গিখালী স্কুল পাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, সর্ব থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার সহসর্বমোট ২২ জন আসামীদের গ্রেফতার করিয়া পরবর্তী আইনী কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

  • টেকনাফে মালায়েশিয়াগামী ট্রলার ডোবে নিহত ৩ এবং উদ্ধার ৪৫

    টেকনাফে মালায়েশিয়াগামী ট্রলার ডোবে নিহত ৩ এবং উদ্ধার ৪৫

    মোস্তাক আহমদ টেকনাফ:

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে হল বনিয়া সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নারী পুরুষসহ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার দালালসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার এবং তিন (৩) জনকে সমুদ্র সৈকত ভাসমান মৃত্যু অবস্থা পাওয়া যায়।

    গত সোমবার ( ৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা অবৈধ ভাবে ট্রলার যোগে গোপনের মাধ্যমে মালায়েশিয়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সমুদ্র উপকূলে এই দুর্ঘটনাটি হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী পুরুষ কে সংগ্রহ করে মালায়েশিয়া পাচার করা হয়।

    উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, বিশেষ করে নারীরা বলে যে, তাদের স্বামীরা মালায়েশিয়া বসবাস করে সেজন্য তারা সেখানে পাড়ি জানাচ্ছে। তারা বলে লোকাল দালালরা ক্যাম্প থেকে আমাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) নিয়ে প্রথমে তারা গোপনের বিভিন্ন পাহাড়া বা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে সন্ধ্যা নামলে সেখান থেকে তাদেরকে ছোট ছোট ট্রলার যোগে নিয়ে যাওয়া হয়।

    রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন আমরা প্রায় প্রথমে ১২-১৫ মতো সন্ধ্যায় ট্রলারে উঠি তারপর ট্রলার কিছু দূর যেতে না যেতে আরও কিছু স্থান থেকে লোক আমাদের ট্রলারে ওঠে। কিন্ত আমি দেখেছি যে, সেখানের ধারণ ক্ষমতা থেকে বেশি ট্রলারে ওঠায় কিছু দূর যেতে ট্রলারটি ডোবে যায় আমি আর কিছুই জানি না সবাই চিৎকার দিয়ে উঠেছিল।

    স্থানীয় একজন বলে আমি সকালে সমুদ্র তীরে এসে দেখতে পারি যে, বিভিন্ন লোকজন তীরে ছোটাছুটি করতেছে তখন আমি কোস্টগার্ডকে খবর দিয়। তারপর তারা এসে মালায়েশিয়াগামীদেরকে(রোহিঙ্গা) বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে এসে সমুদ্রে তীরে এক জায়গায় জড়ো করে তারপর তারা তাদের স্পিড বোট দিয়ে বাকীদেরকে উদ্ধারের কাজ করে।

    স্থানীয়রা আরও বলেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যখন তুমুল লড়াই চলছে। সেখানকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে ( রোহিঙ্গা গোষ্ঠী)। মিয়ানমারের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হচ্ছে। সে হিসেবে ভয়ভীতির মধ্যে এই দুঘর্টনা হতে পারে।

    এ বিষয়ে বাহার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন খবর ফেরে আমাদের পুলিশের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
    কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার শুরু করে দিয়েছি এবং যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কে আমরা সমুদ্র তীরে একত্রিত করে ঝাউ বাগানে রেখেছি, এ পর্যন্ত নারী পুরুষ চার দালালসহ ৪৫ কে জীবিত উদ্ধার ও সমুদ্রর তীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন জনের মরা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • ভূজপুরে মাকে মারধর করায় দায়ে ছেলে গ্রেফতার

    ভূজপুরে মাকে মারধর করায় দায়ে ছেলে গ্রেফতার

    সংবাদকর্মী ★
    তালহা চৌধুরী রুদ্র।

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির ভূজপুরে নিজের মা কে মারধর করার মামলায় জানে আলম নামের এক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে ভূজপুর থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভূজপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ভূজপুর পূর্ব হাছনাবাদ জাহাঙ্গীরের বাড়ির আব্দুল গণির ছেলে এবং বাদী রাহানাজ বেগম একই এলাকার আব্দুল গণির স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন ফারুকী।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বে থেকেই বিবাদীর (জানে আলম)’র সাথে পারিবারিক কিছু ঝামেলা চলছিল এবং এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিবাদীর ভাই। পরে ওই বিষয়ে আদালত থেকে বিবাদী জামিন পাওয়ার পর পরিবারের সবার সাথে আরো বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ৭/৯/২২ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মায়ের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। টাকা না দেয়ায় বিবাদী তার মাকে কিল-ঘুষি মেরে হত্যার হুমকি দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে বিবাদীর(জানে আলম) পিতা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বাদীনি (রাহানাজ বেগম) কে উদ্ধার করে। এসময় বিবাদী এ বিষয়ে কোন মামলামোকদ্দমা করলে মাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে রাহানাজ বেগম ওই ছেলে জানে আলমের বিরুদ্ধে চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং- ২৬৬/২২। এ মামলায় বিবাদীর গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করে আদালত।

    এ বিষয়ে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘মাকে মারধরের মামলায় জানে আলম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি এখনো থানায়। পরবর্তীতে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।