Category: অপরাধ

  • ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইউপি সচিবের মারধর ॥ আতঙ্কিত শিক্ষার্থী

    ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইউপি সচিবের মারধর ॥ আতঙ্কিত শিক্ষার্থী

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলায় পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর ও অর্কত্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে দৌলতখানের ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। রবিবার (১০ জানুয়ারী) বিকালে ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজারের নাজিউর রহমান কলেজের পেছনে মীর বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউপি সচিব কর্তৃক মারধরের শিকার এসএসসি শিক্ষার্থী সোহাগ বর্তমানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
    সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ সিরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ সোহাগ প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তার সহপাঠি বন্ধু মিতুলের সাথে কথা বলছিলো। এসময় ওই পথ দিয়ে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন আরও একজন লোকসহ যাচ্ছিলো। শিক্ষার্থী মিতুল সহপাঠি মোঃ সোহাগকে সাইড দিতে বলে। সোহাগ সচিব আলমগীরকে সাইড দেয়। সচিব আলমগীর ও তার সাথে থাকা লোক কিছু দূর চলে যায়। সোহাগ তার সহপাঠি বন্ধু মিতুলের উদ্দেশ্যে বলে মানুষই তো যাইতেছে, গাড়িতো আর যাইতেছে না যে মাইরা দিয়া চলে যাবে। ভয়ের কি আছে। দুই বন্ধুর সাথে চলা এই কথা দুর থেকে শুনতে পেয়ে ইউপি সচিব আলমগীর হোসেন উত্তেজিত হয়ে তেঁড়ে এসে এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগকে মারধর করে। সচিব আলমগীর উত্তেজিত মেজাজে বলে তোর বাড়ি কোথায়, বাপের নাম কি, তোর বাপেরে বাড়ি থেকে এনে তোকে ও বাপকে পিঠাবো। আমাকে চিনিস? এসময় শিক্ষার্থী সোহাগ ও মিতুল সচিব আলমগীর হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলে আপনাকে তো কিছু বলি নাই। আপনি কেনো এমন করছেন। আলমগীর হোসেন আরও উত্তেজিত হয়ে সোহাগকে অর্কত্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একজন ইউপি সচিবের এমন আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী সোহাগ ও মিতুল।
    নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মোঃ সোহাগের বড় ভাই এম শাহরিয়ার জিলন বলেন, দুই বন্ধুর কথোপকথনকে কেন্দ্র করে ইউপি সচিব আলমগীর হোসেন আমার ভাই সোহাগকে মারধর ও অশোভন আচরণের ঘটনায় আমরা ব্যথিত হয়েছি। একজন ইউপি সচিবের কাছ থেকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আশা করিনি। আমার ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমি এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখছিলো। তারা দুজন কথা বলছিলো, আমি ডাক দিলে কথা না শুনায় সোহাগকে থাপ্পর দিয়েছি।
    বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগকে মারধরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তুচ্ছ কারণে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একজন সরকারী চাকুরীজীবি ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
    উল্লেখ্য, দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের আগেও একাধিক লোকের সাথে এমন অশোভন আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

  • আনোয়ারায় বিদ্যুৎ খুটির যন্ত্রাংশসহ গ্রেফতার ২

    আনোয়ারায় বিদ্যুৎ খুটির যন্ত্রাংশসহ গ্রেফতার ২

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারা উপজেলায় জাতীয় গ্রেডের বিদ্যুৎ খুটির চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার শফিউল আলম সবুজ(২১) ও মোঃ জমির হোসেন(২৮) নামের ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৮ জানুয়ারি ) বিকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের পাঁচ সিকাদার ব্রিজ এলাকা হতে জাতীয় গ্রেডের বৈদ্যুতিক খুটির চোরাইকৃত যন্ত্রাংশ বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

    থানা সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার (৮ই জানুয়ারি) উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের পাঁচ সিকাদার ব্রিজ এলাকা থেকে এস আই ইকরাম,এস আই আবুল ফারেজ জুয়েলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের হাতেনাতে আটক করে।এই সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত জাতীয় গ্রেডের বৈদ্যুতিক খুটির যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধার করা হয়।

  • লালমোহনে হাঁস রাখালকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

    লালমোহনে হাঁস রাখালকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

    লালমোহন প্রতিনিধি

    লালমোহনে জামাল নামে এক হাঁস রাখালকে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বদরপুর সেনের হাওলা গ্রামে ৩নং ওয়ার্ডে ৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সেনের হাওলা গ্রামের শিউলি বাড়ির মেসির শিউলির পুত্র জামাল দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়ার নদীর বুকে জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে হাঁস ও মহিষ চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তাকে একই এলাকার বারেক গনির ছেলে খোকন ও রিপন বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে এবং চরে তাকে হাঁস ও মহিষ পালনে বাধাগ্রস্ত করে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় জামাল চরে হাঁস চরাতে গেলে খোকন ও রিপন তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তার হাঁসের পাল পিটিয়ে নদীতে নামিয়ে দেয়। জামালের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। আহত জামালকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও অভিযুক্তরা চর থেকে জামালের মহিষ নিয়ে যায়। পরে লালমোহন থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় জামাল মহিষ উদ্ধার করে। আহত রাখাল জামাল ন্যায় বিচার দাবী করেন।

  • নলছিটির দপদপিয়ায় রুম্মান হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    নলছিটির দপদপিয়ায় রুম্মান হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    মোঃ রাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

     

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় রুম্মান বিশ্বাসকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

    ৭ জানুয়ারি ( বৃহস্পতিবার ) সকালে বরিশাল কুুুয়াকাটা মহাসড়কে জিরোপয়েন্ট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনতা।

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় জনগণ এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

    উল্লেখ্য, গেলো ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রভাব বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষের হাতে বাড়ির সামনেই নৃশংস ভাবে খুন হয় রুম্মান বিশ্বাস।

    রুম্মান বিশ্বাস দপদপিয়া জিরো পয়েন্টএলাকার আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে ও বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর টোল ক্যাশিয়ার।

    সোমবার রাতে ২২ জনকে আসামী করে নিহত রুম্মানের চাচাতো ভাই মিঠু বিশ্বাস একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

  • আনোয়ারায় হযরত শাহ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রহ:) সড়কের ‘মৌলা তোরণ’ শুভ উদ্বোধন

    আনোয়ারায় হযরত শাহ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রহ:) সড়কের ‘মৌলা তোরণ’ শুভ উদ্বোধন

    মুহাম্মদ আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

    আধ্যত্মিক সাধক, ১৮শতকের কবি আল্লামা হযরত শাহ সুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ্ (রহ:) এর পীর হযরত শাহ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রহ:) এর নামে সড়ক নামকরণ করা হয়েছে আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের মুসুদ্দী পাড়ার ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফে যাওয়ার সড়কটি৷

    এটি ১৯৯৮-৯৯ সালে এ সড়কটি সংস্কার ও তোরণ নির্মাণ করেন কানু শাহ্ (রহ:) এর বংশধর খাজা দরবেশ শাহ নুরু মাওলা আকতার দরবেশ (রহঃ)।

    দীর্ঘ ২১ বছর পর হযরত শাহ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রহ:) সড়কের নতুন ভাবে ‘মৌলা তোরণ’ নির্মাণ করা হয়েছে।

    বুধবার (৬ই জানুয়ারি) বিকেলে ‘মৌলা তোরণ’টি শুভ উদ্বোধন করেন মারকাযে এশায়াতে আহলে সুন্নাত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা গোলামে আহলে বাইতে রাসূল (দঃ) পীরজাদা মৌলানা মীর মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন নূরী সিদ্দীকি আল কুরাইশী।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন -পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ মালেক,শাহাজাদা হাবিবুল্লাহ,শাহাজাদা ইয়াছিন সহ আরো অনেকে।

    মৌলানা মীর মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন নূরী সিদ্দীকি আল কুরাইশী বলেন, সড়কটি শাহ কেয়ামউদ্দিন আউলিয়া (রহঃ)-এর নামে নামকরণ করেন দরবেশ খাজা শাহ্‌ নূরু মৌলা (রহঃ)৷ কারণ তিনি জানতেন এই রাস্তা দিয়ে তৎকালীন সময়ে শাহ্‌ সূফী আলী রজা কানু শাহ্ (রহঃ) কে তরবিয়ত দেওয়ার জন্যে শাহ্‌ কেয়ামউদ্দিন আউলিয়া (রহঃ) চলাফেরা করতেন৷ তার এই স্মৃতি কে কেন্দ্র করে এই নামকরণ করা হয়। শাহ্‌ কেয়ামউদ্দিন আউলিয়া (রহঃ) হলেন শাহ্‌ সূফী আলী রজা কানু শাহ্ (রহঃ) এর পীর ও মুর্শিদ৷ তিনি সুদূর মদিনা হতে রাসূলে পাক (দঃ) এর আদেশ প্রাপ্ত হয়ে বিহারে এসে শাহ্‌ আমানত (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাহার আদেশে তিনি আনোয়ারা ছত্তারহাট সংলগ্ন মহাজনহাটে এসে বসতি স্থাপন করেন।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মারকাযে এশায়াতে আহলে সুন্নাত বাংলাদেশ এর সদস্যবৃন্দ ও দরবারের ভক্ত-মুরিদান। শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

  • ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়া পশ্চিম নানুপুর দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আজ ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,
    কওমী মাদরাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমী মাদরাসা ও ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমী মাদরাসা অনেক অবদান রয়েছে৷ যারা কওমী মাদরাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এদেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এদেশের জনগণ মাদরাসা প্রিয়,আলেমপ্রিয়।

    আমীরে হেফাজত বলেন,উক্ত মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোন প্রকারের দোষ না থাকা সত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদরাসায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কওমী মাদরাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে মাদরাসার নির্মাণ কাজে ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি শান্তিপ্রিয় থানা উল্লেখ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পূণ্যভূমি। ফটিকছড়ির মানুষ শান্তিপ্রিয়। সম্প্রতি একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কওমী মাদরাসায় হামলা, শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের শানে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপর দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও ৬ জন তাউহিদী জনতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের পরিচালক, ইসলামী আইন বাস্তাবায়ন কমিটি ফটিকছড়ি’র পৃষ্ঠপোষক,আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

    আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন,

    আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আজ ৪ জানোয়ারি রোববার দুপুরে ঘটনাপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এ কথা বলেন।

    ফটিকছড়িতে মাজারপন্থীদের দ্বারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

    মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোকে বেরলবী ও মাজার পূজারিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও রুসূমাতের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর হয়নি।কোন হামলা, হত্যা ও হানাহানি হয়নি।

    তিনি আরও বলেন, বেদাতী মাজার পূজারীরা বিনা উসকানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিশেষ করে আহলে হক তথা হাজারো আওলিয়া আর আলেমদের পদভারে পূণ্যভূমিতে খ্যাত ফটিকছড়ির মাঠিতে দারুচচ্ছালাম মাদ্রাসায় গুটিকয়েক ভন্ডরা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি তাউহিদী জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

    সুতরাং মাননীয় সরকার বিশেষ করে ফটিকছড়ির এমপি মহোদয়, ইউনো স্যার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত সময়ে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যাতায় ফটিকছড়িতে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনই দায়ী থাকবে৷

  • ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার সাটারগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবদ্ধ

    ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার সাটারগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবদ্ধ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দারুস সালাম ঈদগাঁও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ছাত্রদের মারধর করতে গেলে স্থানীয় জনগনের বাধাঁর সম্মুখীন হয়ে নানুপুর আওয়ামীলীগ নেতা পাটান হাসান তার শাটার গান থেকে এলোপাতারী গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

    আহতরা হলেন ইমরান (২৭) পিতা-জানে আলম, নুর উদ্দিন (২৬) পিতা গাফফার, মজিব উল্লাহ (১৮) পিতা-আজম, বাহাদুর (৬৫) পিতা-আবদুর রশিদ, জোবায়ের (২৮) পিতা-আবদুল কাশেম।

    স্থানীয়রা জানান গতকাল সোমবার দুপুরে মাইজভান্ডার এলাকার মন্নানীয়া সড়কের পূর্বপাশে অবস্থিত সরকারী খাস জায়গায় দারুস সালাম ঈদগাওঁ মাদ্রসায় ভবনের নিমার্ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য নানুপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসা ভাংচুর ও ছাত্রদের উপর হামলা করলে তখন মাইকে হামলার কথা প্রচার করা হলে পাশের মোবারক আলী পন্ডিত বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে পাঠান হাসান বাহিনীর লোকদেন সংঘর্ষ বেধে গেলে তখন হাসান তার সাটারগান থেকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়। তাদেরকে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এলাকায় পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম আবু তৈয়র, ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসান জানান তারা মাদ্রাসাটি সরকারী খাস জায়গায় করার চেষ্টা করছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে সরকারী জায়গায় মাদ্রাসা না করার জন্য বলেছি, আমি কোন গুলি করি নাই। সব মিথ্যা রটানো হচ্ছে।

    ফটিকছড়ি থানার অফিসার অইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সাটারগানের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মাদ্রাসা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ আছে। পুলিশ মোতায়েন করা আছে। অভিযোগ করা হলে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন জানান বিরোধীয় জায়গাটি যেহেতু সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গা সেখানে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে মাদ্রাসা বা কোন স্থাপনা নিমার্ন করতে পারে না। তাই তাদেরকে কোন নিমার্ন কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • লালমোহনে দশ পিচ ইয়াবা সহ ১ জন গ্রেফতার

    লালমোহনে দশ পিচ ইয়াবা সহ ১ জন গ্রেফতার

    স্টাফ রিপোর্টঃ

    লালমোহন বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ পিচ ইয়াবা সহ ১ জনকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানা পুলিশ।
    ৩ জানুয়ারী/২১ ইং তারিখ রবিবার রাত্র-অনুমান সাড়ে দশটার সময় এস আই শক্তিপদ মৃধার নেতৃত্বে এএসআই(নিঃ),মোঃ অহিদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ),গনেশ চন্দ ঘরামী, এএসআই(নিঃ),সুমন চন্দ্র তালুকদার, এএসআই(নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান-২ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের দঃ পেয়ারী মোহন এলাকার বাবুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে হইতে উপজেলার রায়চাদঁ ৬ নং ওয়ার্ডের ছিটু মিয়ার ছেলে মোঃ জামাল(৩৪), কে ১০(দশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ০৪/০১/২০২১ ইং তারিখে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণীর ১০(ক) দ্বারায় থানায় মামলা করা হয়। লালমোহন থানায় মামলা নম্বর-১। এব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন,তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অাইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মাদক নির্মূলে পুলিশি অভিযান সব সময় চলমান থাকবে।

  • উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়দের বাদ দিয়ে, রোহিঙ্গাদের চাকুরী দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন

    উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়দের বাদ দিয়ে, রোহিঙ্গাদের চাকুরী দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্পে স্থানীয়দের চাকুরীচ‍্যুত করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবৈধভাবে চাকুরী দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন।

    ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছে, যার অধিকাংশই রোহিঙ্গা পালংখালী ইউনিয়নে বসবাস করে আসছে।

    বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও হোস্ট সম্প্রদায়ের জন্য এনজিও ও আইএনজিও এর মানবিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। কিন্তু স্থানীয় জনগোষ্ঠী এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থান জনিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাই RRRC ও এনজিও ব্যুরো স্থানীয়দের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    কিন্তু World Vision নামক সংস্থা জিএফএ প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় রোহিঙ্গাদের চাকরিতে না নেয়ার ব্যাপার নির্দেশনা থাকলেও প্রতিনিয়ত উল্লেখিত আইএনজিও স্থানীয়দের সুযোগ না দিয়ে চাকুরী থেকে ছাটাই করছে এবং রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।যার কারণ হচ্ছে স্থানীয়দের চেয়ে কম মজুরি দিয়ে কাজ করা যায় রোহিঙ্গাদের দিয়ে।

    যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ যা অপ্রিতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে। World Vision নামক আইএনজিও ক্যাম্প- 8E, 8W, 9, 10, 11, 12, 17,18, 20, 20 ext এ চাকুরী থেকে কিছু স্থানীয়দের ছাটাই করেছে এবং ২০৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাকুরী দিয়েছে।

    যার ১২৪ জন রোহিঙ্গা মাসিক বেতনে এবং ৮২ জন রোহিঙ্গা দৈনিক বেতনে চাকুরী করছে। যা এনজিও ব্যুরো এবং আরআরআরসি (RRRC) নিয়ম পরিপন্থী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট থাকলেও পালংখালী ইউনিয়নের বা স্থানীয়দের অবহেলা করা হচ্ছে।

    এই বিষয়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন, উখিয়া সংশ্লিষ্ট সিআইসি মহোদয়ের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন এবং চাকুরীচ‍্যুত স্থানীয়দের চাকুরীতে পূণর্বহালসহ রোহিঙ্গাদের চাকুরী থেকে ছাটাই করে উক্ত স্থলে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সিআইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে ১১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে,উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর বলেন,এনজিও ও আই এনজিও চরিত্র এপিট ওপিট,শুধু নিয়োগ ক্ষেত্রে একই চরিত্র।এনজিও ও আই এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও গ্রামীণ উন্নয়নের নামে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাউকে তোয়াক্কা করছে না।রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের চাকুরী না দিলে উখিয়া-টেকনাফে বৃহত্তর আন্দোলনের মূখে পড়তে হবে এনজিও ও আই এনজিওদের।