Category: অপরাধ

  • কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় ডিজে গান বাজাতে বাঁধা দিতে গিয়ে হামলার স্বীকার

    কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় ডিজে গান বাজাতে বাঁধা দিতে গিয়ে হামলার স্বীকার

     

    প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে গতরাতে
    ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া গেদা মন্ডলের খোলার ভিতরে পিকনিক ও ডিজে সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজানোর আয়োজন করে টিন এজার কয়েকজন মিলে।

    লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,
    মায়ের হার্ডের সমস্যার কারনে উচ্চ আওয়াজে ডিজে বক্স না বাজাতে ফোন দিয়ে অনুরোধ করে ভেড়ামারার মধ্য সাতবাড়ীয়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাঈম হোসেন। নাঈমের নিষেধ না শুনলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করতে গেলে
    ধাক্কা ধাক্কী শুরু হয় এসময় ১ নং বিবাদী আসাদুল হকের ছেলে জুয়েল হোসেন, নাঈমের বাম পাশের চোখের উপর ঘুষি মেরে জখম করে। মারে খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অঙ্গাত আরো ১০ থেকে ১৫ জন মিলে বেধরক মারপিট করে বলে অভিযোগ করেন নাঈম হোসেন।

    পরে নাঈমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কতব্যরত চিকিৎসকরা
    উন্নত চিকিৎসার জন্য অনত্র নেয়ার পরামর্শ দেন।

    বর্তমানে নাঈম রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
    নাঈমের পিতা আব্দুর রাজ্জাক জানান,
    ঘটনার পর থেকে জুয়েলের পিতা আসাদুল হক তার পরিবারের উপর নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

    এব্যাপারে ভেড়ামারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ভেড়ামারা থানার এস আই আবু সাঈদ।

    ঘটনাস্থল গেদা মন্ডলের খোলা কতৃপক্ষের সাথে মুঠো ফোনে পিকনিক করার অনুমতি কে দিয়েছে এবং নাঈম হোসেনের উপর হামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

    এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা ক্ষিপ্ততার সাথে জানান ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের কারনে
    আমরা রীতিমত অত্যাচারীত।

    ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের অত্যাচার থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এখানকার সকল শ্রেনীর শান্তি প্রিয় মানুষ।

  • বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ আটক ৩

    বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ আটক ৩

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিসিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী‌তে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ ১ নারী ও ২ যুবক‌কে আটক ক‌রে‌ছে থানা পু‌লিশ। গত বুধবার রা‌তে ও বৃহস্প‌তিবার (২৪ ডি‌সেম্বর) ভোর সকা‌লে বাঁশখালী পেকুয়া সীমা‌ন্তের পুঁইছ‌ড়ি ফুটখালী ব্রীজ এলাকায় পৃথক অ‌ভিযান প‌রিচালনাকা‌লে তা‌দের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদ‌রের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত না‌ছির উ‌দ্দি‌নের পুত্র মো. ইব্রাহিম (২০), টেকনাফ উপ‌জেলার ক‌্যাম্প পাড়া ৯নং ওয়া‌র্ডের মৃত শামশুল আল‌মের পুত্র আসমা‌য়েত উল্লাহ (২১) ও কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদ‌রের ৬নং ওয়ার্ড বাহারছড়া এলাকার জা‌হিদ হোছে‌নের স্ত্রী সফুরা বেগম (১৯)। আটক ও ইয়াবা উদ্ধা‌রের বিষ‌য়ে সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে বাঁশখালী থানা পু‌লি‌শের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান, গোপন সংবা‌দের ভিত্তি‌তে পুঁইছ‌ড়ি ফুটখালী ব্রীজ এলাকায় পুলি‌শের তল্লাশী চৌ‌কি বসা‌নো হয়।

    এসময় সিএন‌জি অ‌টো‌রিক্সায় তল্লাশী চা‌লি‌য়ে ২ হাজার ৫শ’ পিচ ইয়াবাসহ ১ নারী ও ২ যুবক‌কে আটক করা হয়। আটককৃত‌দের বিরু‌দ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আই‌নে নিয়‌মিত মামলা রুজু পূর্বক আদাল‌তে সোপর্দ করা হয়ে‌ছে।

  • ইয়াবাসহ আটক ৩, পলাতক ১ =UkhiyaVoice24.Com

    ইয়াবাসহ আটক ৩, পলাতক ১ =UkhiyaVoice24.Com

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায়  ১ লাখ ৪৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার পিএবি সড়কের কালাবিবি দিঘীর মোড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল)র নেতৃত্বে পটিয়া ও আনোয়ারা পুলিশের একটি যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

    এসময় ইয়াবা পাচারের ২টি মোটর সাইকেল ও আটক করা হয়। তবে ১ পাচারকারী পালিয়ে যায়।

    আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশের প্রেস ব্রিফংএ জানানো হয়।

    বৃহস্পতিবার(২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান।

    প্রেস ব্রিফিংএ উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া) সার্কেল মো. তারিক রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মফিজ উদ্দিন, আনোয়ারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এসএম দিদারুল ইসলাম, পটিয়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ রেজাউল করিম প্রমুখ।

  • ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    মোঃ শহিদ উখিয়া

     

    কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে ‘চাঁদার দাবিতে’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে নিয়োজিত এক স্বেচ্ছাসেবককে (সিপিপি) অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজারস্থ ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি হেমায়েতুর রহমান।
    অপহৃত মোহাম্মদ হোসেন (৩৬) উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় নিযোজিত সিপিপি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
    এসপি হেমায়েতুর বলেন, বিকেলে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে সিপিপি কর্মী মোহাম্মদ হোসেনকে অজ্ঞাত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবরটি পাওয়ার পর থেকে এপিবিএন এর সদস্যরা তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন। পরে তাকে ছেড়ে দিতে সন্ত্রাসীরা স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
    অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে এপিবিএন সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান হেমায়েতুর।

  • উখিয়ায় ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক

    উখিয়ায় ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) ১৪ শত পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর)দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার ১৯ নং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের প্রবেশমুখে ১৬, এপিবিএন এর এস.আই মোঃ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম চেকপোস্টে ডিউটি করাকালীন মৃত ইয়াকুব আলী’র পুত্র রোহিঙ্গা সিরাজুল মোস্তফা (২০) কে আটক করে।

    পরে আটককৃত রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীর দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত জিন্সের পকেট হতে বিশেষভাবে তৈরি সাতটি নীল রঙের এয়ারটাইট প্যাকেটের ভিতরে রক্ষিত ১ হাজার ৪ শত পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে।

    ১৬ এপিবিএন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী সিরাজুল মোস্তফা উখিয়ার ১২ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ব্লক-সি, শেড নং জি-১১ এর বাসিন্দা।রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী সিরাজুল মোস্তফাকে উদ্ধারকৃত ইয়াবা টেবলেট সহ পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • ভোলার বোরহান উদ্দিনে পুকুরে মিললো বিরল প্রজাতির মাছ

    ভোলার বোরহান উদ্দিনে পুকুরে মিললো বিরল প্রজাতির মাছ

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    ভোলার বোরহান উদ্দিনে( ২১ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে মাঝি বাড়ির মনির মাঝির পুকুরে তার জাকি জালে বিরল প্রজাতির ১২টি মাছ ধরা পড়ে ৷

    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.এফ.এম নাজমুস সালেহীন জানান, এটি সাকার ফিস নামে পরিচিত ৷
    এটা এক ধরনের শোভাবর্ধণকারী এ্যাকুরিয়ামের মাছ। যা পানির তলদেশে বাস করে ৷ এগুলো সাধারণত সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী গুলোতে পাওয়া যায় ৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক বদ্ধ জলাশয়ে পাওয়া যায় বলে তিনি জানিয়েছেন।

  • বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ১০.০০০ হাজার টাকা করে নগদ অনুদান দিলেন চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী

    বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ১০.০০০ হাজার টাকা করে নগদ অনুদান দিলেন চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পুর্ব বড়ঘোনার জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারানো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের মানবিক সহানুভুতিসহ তাৎক্ষনিকভাবে এগিয়ে আসলেন গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলী।

    আজ ১৮ ডিসেম্বর’২০ ইং শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলী ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সহানুভুতি জানান। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাৎক্ষনিকভাবে স্বাভাবিক জিবনে উঠে দাঁড়ানোর মত সম্মানজনক আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। আগুনে ক্ষতির ভয়াবহতা এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দু:খ-দুর্দশা দেখে তিনি বিমর্ষ ও মর্মাহত হয়ে পড়েন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অগ্নিকান্ড হচ্ছে মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ ক্ষত। এ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সর্বস্ব হারানোর যন্ত্রনা যে কত মর্মান্তিক ও ভয়াবহ তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই অনুধাবন করতে পারেন।

    তাই ক্ষতিগ্রস্থদের সাধ্যমত সহযোগিতায় প্রশাসন সহ দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। অগ্নিকান্ডে বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে চেয়ারম্যানকে পাশে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং আর্থিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গন্ডামারা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ৯নং ওয়োর্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাও: আলী হোসাইন, যুবদল নেতা আলমগীর মাহাফুজ, বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলাম, মাহাবুব আলম, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ বাদশা প্রমূখ:।
    উল্লেখ্য: গতকাল ১৭ ডিসেম্বর’২০ ইং সন্ধ্যা ৭ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জলদাস পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে ২৬টি পরিবারের বসতঘর সম্পুর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং, ঘরে সংরক্ষিত সাগরে মাছ ধরার জাল, শুটকি মাছ, আসবাবপত্র, নগদ টাকা সহ প্রায় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

  • আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আল্লামা আহমদ শফীর রহ. এর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করে তদন্তের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এবং ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ। ১৬ ডিসেম্বর ( বুধবার ) সকালে চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী, হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ন সচিব মাইনুদ্দিন5 রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহসহ শফীপন্থী আরও নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাবো, পেছনের দিকে যাবো না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু। আমাদের আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের স্বর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে কারা ষড়যন্ত্র করেছে সঠিক সময় আসলেই জাতির কাছে আমরা সব প্রকাশ করব। আল্লামা আহম্মদ শফীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়ে সরকার যদি উদ্যোগী না হয়। তাহলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।

    এ ছাড়াও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর কান্ডে এককভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দায়ী বলেও দাবি করেন মুফতী ফয়জুল্লাহ।

    ঐ অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দিন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ন‍্যাক‍্যার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।

    মাইনুদ্দিন রুহী বলেন, বর্তমান হেফাজতের ইসলামের ১৫১ কমিটির মধ্যে জুনায়েদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ২২ জন আত্মীয় স্বজন রয়েছে। জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম নামে একটা দলের ৩৭ জন স্থান পেয়েছে বাবুনগরীর এই কমিটিতে। হেফাজতের বর্তমান তথাকথিত কমিটি একটা স্বজনপ্রীতির ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাকে পাকাপুক্ত করতে জুনায়েদ বাবুনগরী নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের থেকে ২২ জনকে হেফাজতের কমিটিতে রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন মইনুদ্দীন রুহী।

    ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অভিযোগ, আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ।

    এ অনুষ্ঠানে মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী জুনায়েদ বাবুনগরী। সেদিন আল্লামা শফি মুখ ফুটে কোনো শব্দ বলেনি। শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠান ৬টায় শেষ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান হেফাজত আমিরের নিজের ইচ্ছায় শাপলা চত্বরের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। শাপলা চত্বরে যারা আহত হয়েছিল তাদের জন্য ফান্ড গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বাবুনগরীর খামখেয়ালির কারণে সেটিও করা হয়নি বলে অভিযোগ মাওলানা সলিমুল্লাহর।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের তথ‌্য জেনে ফেলায় হত‌্যার শিকার হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহাকে হত্যার পর বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।’

    আশিক বিল্লাহ জানান, ইয়াবা ব্যবসা বিষয়ে মেজর সিনহা ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি আগে সিনহাকে হুমকি দেন ও পরে হত্যা করেন। টেকনাফে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণকালে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ইয়াবা কারবারে প্রদীপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পান সিনহা। পাশাপাশি প্রদীপের বহুমুখী নির্যাতনের তথ্যও পান তিনি। এ নিয়ে টেকনাফ থানাতেই সিনহাকে হুমকি দেন ওসি প্রদীপ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছেন র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা।

    র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক বলেন, ‘তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওসি প্রদীপের নির্দেশেই পরিদর্শক লিয়াকত পাঁচ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সিনহাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ১৫ জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কনস্টেবল সাগর দেবনাথ এখনও পলাতক। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, চার্জশিটে সে সুপারিশ করা হয়েছে।’

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র‌্যাব। সকালে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের সদস্যরা। সাড়ে ১০টার দিকে বিচারক তামান্না ফারাহর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

    গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলীকে।

    মামলার পর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।