Category: অপরাধ

  • বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে ১৫,৩০০ (পনের হাজার তিন শত) পিস ইয়াবা ও পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি সিএনজি অটোরিক্সাসহ গ্রেফতার ০৩জন

    বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে ১৫,৩০০ (পনের হাজার তিন শত) পিস ইয়াবা ও পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি সিএনজি অটোরিক্সাসহ গ্রেফতার ০৩জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাঁশখালী থানার এস আই(নিরস্ত্র) নাজমুল হক সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ২৩/১১/২০২০খ্রি: বিকাল ০৩.৩৫ টায় থানাধীন পুইছড়ি এলাকায় বাশখালী-পেকুয়া প্রধান সড়কের ফুটখালী ব্রীজের দক্ষিন পাশে রাস্তায় অভিযান চালিয়ে অভিনব কৌশলে ওলকচুর ভিতর লুকিয়ে পাচারকালে ১৫,৩০০ (পনের হাজার তিন শত) পিস ইয়াবা ও পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি সিএনজি অটোরিক্সাসহ আসামী- ০১.রামিছা বেগম( ২২),স্বামী-ছৈয়দ কাসিম, সাং চরপাড়া, ঈদগড়, থানা- রামু, আসামী ২.জহুরা বেগম(৫০) স্বামী- মৃত নবী হোসেন, সাং- সোয়া জাইন্যা পাড়া, থানা- চকরিয়া ও আসামী ৩. মোঃ নাছির(৪০)পিতা- উকিল আহাম্মদ, সাং-সুতিপাড়া, থানা- পেকুয়া, সর্ব জেলা-কক্সবাজার’দের গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

  • বাঁশখালী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ২,০০০ (দুই হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ০২ জন

    বাঁশখালী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ২,০০০ (দুই হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ০২ জন

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী থানার এসআই আকতার হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২২/১১/২০২০খ্রি: দুপুর ০২.১০ টায় বাঁশখালী থানাধীন পুইছড়িতে বাঁশখালী-পেকুয়া প্রধান সড়কের ফুটখালী ব্রীজের দক্ষিন পাশের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১,০০০ (একহাজার) পিস ইয়াবাসহ আসামী রাবেয়া খাতুন(৪৮), স্বামী-আব্দুল মোহাম্মদ, সাং- আমতলী, হোয়াইকং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করে। বিকাল ০৫.২০ টায় এসআই আকতার হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্সসহ পুইছড়িতে বাশখালী-পেকুয়া প্রধান সড়কে ফুটখালী ব্রীজের দক্ষিন পাশের রাস্তায় অপর এক অভিযান পরিচালনা করে ১,০০০ (একহাজার) পিস ইয়াবাসহ আসামী আয়শা বেগম( ৪৫), স্বামী-মৃত আবদুল্লাহ, সাং-জালিয়াপাড়া, টেকনাফ পৌরসভা, থানা- টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করে।

    এ সংক্রান্তে বাঁশখালী থানায় পৃথক মামলা রুজু পূর্বক আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • উখিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২

    উখিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২

    • মোঃ শহিদ, উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট থেকে সাড়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

    ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই কক্সবাজার এর যুগ্ম পরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ এপিবিএন’র সহ অধিনায়ক রাকিব খান এর সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ২ ইস্ট এ ব্লকের ডিআরসি ফটক সংলগ্ন সড়ক থেকে ৭,৫০০ (সাত হাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবাসহ ক্যাম্প-১৩ ব্লকঃ বি-৩ এফসিএন ২০৮৫২৪ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা মো রফিকের ছেলে মোহাম্মদ আজিম(২১) ও
    ক্যাম্প-৮ ইস্ট ব্লক বি-১৫ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা হাসু মিয়ার ছেলে হামিদুল্লাহ (২৩)কে আটক করা হয়।
    এ ব্যাপারে আটককৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তরে আইনী প্রক্রিয়া চলছে বলে এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক নিশ্চিত করেন।

  • তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা’ সেই নরপিশাচ স্বামী রাসেল গ্রেপ্তার

    তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা’ সেই নরপিশাচ স্বামী রাসেল গ্রেপ্তার

    • আলমগীর ইসলামাবাদী
    • চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

     

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যৌতুক চেয়ে না পেয়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পেট্রল ঢেলে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গোয়ালপুরা গ্রামের সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে।

     

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এ খালেদ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

     

    ওই গৃহবধূর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    এ খালেদ, সহকারী অধ্যাপক, বার্ন ইউনিট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

    ঘটনার শিকার নারীর নাম ইয়াছমিন আকতার (৩০)। তিনি উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার হারুনুর রশিদের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাছেল (৩০)। তিনি সন্দ্বীপপাড়ার মৃত মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে রাছেল পলাতক ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

     

    এর আগে বিকেল ৪টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ।

     

    ইয়াছমিনের চাচা চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউপির সদস্য আবদুল মালেক বলেন, ইয়াছমিনের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে বিয়ে হয় রাছেলের। তাঁদের সংসারে ৫ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

     

    যৌতুকের দাবিতে ইয়াছমিনকে প্রায়ই নির্যাতন করত জামাতা রাছেল। যৌতুক নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে শুক্রবার ভোররাতে রাছেল ইয়াছমিনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার পর রাছেল আমাকে ফোন করে। এ সময় সে মুঠোফোনে বলে, ‘তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা।’

    হারুনুর রশিদ,

    ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, যৌতুকের দাবিতে ইয়াছমিনকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন জামাতা রাছেল। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো তাঁরা ঘুমাতে যান। এ সময় যৌতুক নিয়ে তাঁদের মধ্যে অন্য দিনের মতোই কথা-কাটাকাটি হয়। শুক্রবার ভোররাতে রাছেল ইয়াছমিনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার পর রাছেল শ্বশুর হারুনুর রশিদকে ফোন করেন। এ সময় রাসেল মুঠোফোনে বলেন, ‘তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা।’ হারুনুর রশিদ বলেন, আগুনে ইয়াছমিনের শরীরের নিচের অংশ ঝলসে গেছে। তিনি রাছেলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

     

    চট্টগ্রামের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

  • বাঁশখালী সরকারি হাসপাতালে চুরি, টাকা ও মালামাল লুট

    বাঁশখালী সরকারি হাসপাতালে চুরি, টাকা ও মালামাল লুট

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
    এ সময় চোরের দল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন সরকারী কাগজপত্র নিয়ে যায়। উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর ২০২০) গভীর রাতে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের হল রুমে জানালার গ্রিল কেটে চোরের দল ভিতরে ডুকে হিসাব বিভাগের অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রুমে ডুকে আলমারী তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে যায়।

    বাঁশখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্মকর্তা ডাঃ শ্যামলী দাশ জানান,মঙ্গলবারে বিকাল ৪ টায় আমরা সবাই অফিস করে চলে যায়,বুধবার সকালে অফিসে এসে দেখি। হল রুমের জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা হাসপাতাল ভবনের আমার কক্ষ সহ হিসাব বিভাগে ঢোকে। এরপর তারা আমার কক্ষের পাশে থাকা হিসাব বিভাগের কক্ষে ঢুকে আলমারি থেকে ৭৫ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এ সময় কাগজপত্র তছনছ করা হয়।’ এ ঘটনায় লিখিত ভাবে বাঁশখালী থানা, উপজেলা প্রশাসন সহ আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কে জানিয়েছি।

  • আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি আলোচিত এবং সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এখন বসবাস করছেন ভারতে। বিভিন্ন মহলে তার আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।

    গত বুধবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস আপডেট করেন তসলিমা নাসরিন। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-‘আমি কবরের আযাব চাই। দোযখের আগুনে জ্বলতে চাই। আমি যা খুশি বলতে চাই তোদের রূপকথার গপ্প নিয়ে। এতে তোদের কেন অসুবিধে হয়? তোরা বেহেস্তে যা না, কে বাধা দিচ্ছে? বেহেস্তে গিয়ে যত স্ফূর্তি আছে কর। আমরা যারা ইহকালে বিশ্বাস করি, পরকালে করি না, তাদের শান্তিতে থাকতে দে। তোরা পরকাল নিয়ে বিভোর থাক। ইহুদি নাসারাদের বানানো ফোন নিয়ে, কম্পিউটার নিয়ে, ক্যামেরা নিয়ে , টেকনোলজি নিয়ে মাতামাতি বন্ধ কর। যাদের ঘৃণা করিস, যাদের মুণ্ডু আলাদা করিস ধড় থেকে, তাদের ছাড়া তোদের এক মুহূর্তও চলে না কেন? লজ্জা হয় না? জানি তোদের লজ্জা নেই। বর্বরদের লজ্জা বলতে কিছু থাকে না। তোরা লিঙ্গপালগুলো একবিংশ শতাব্দির লজ্জা। তোরা লিঙ্গপালগুলো এক একেকটা দূরদৃষ্টিহীন সরকারি হেফাজতে দৈত্যের মতো বাড়ছিস। যেদিন নিজেদের ঘৃণা করতে শিখবি, সেদিনই মানুষ হবি।’

    তার মতে তারা যারা পরকালে বিশ্বাস করে না অর্থাৎ যারা নাস্তিক। তাদের নিয়ে আস্তিকদের বিশেষ করে ইসলাম মনাদের এত মাথাব্যথা কেন? তার কথায় তিনি নাস্তিক হয়ে পরকালে আযাব পেতে চান। দেখতে চান তাকে কি শাস্তি দেওয়া হয়।

  • চট্টগ্রামে হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

    চট্টগ্রামে হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

    চট্টগ্রাম হিন্দুসংঘের ব্যবস্থাপনায় হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক শ্লোগানের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ।

    বিষয়টির সুস্থ সুরাহা ও আইনি ব্যবস্থাপনার দাবিতে আজ(০ ৮ নভেম্বর২০২০) রবিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে দলের নেতৃবৃন্দ।

    জানা যায়, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনের কতিপয় উগ্র কর্মীদের চরমোনাই ও হেফাজতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগান বিষয়ে প্রতিকার প্রসঙ্গে, জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ ইলয়াস হোসেন ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দেকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

    প্রসঙ্গত : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কওমি আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম জাগো হিন্দু পরিষদ। এ আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা ইসলামি দলগুলো নিয়ে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিয়েছে।

    ‘মৌলবাদের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, হেফজাতের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘হেফাজতের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘চরমোনাই’র গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, কওমির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ধইরা ধইরা জবাই কর, একটা দুইটা জবাই কর’। জাগো হিন্দু পরিষদের ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে তাদের এসব স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

    এ সময় হুজুরদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আরও নানান উগ্র স্লোগান দিতে শোনা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। দলটির একজন নেতা রানা দাশ গুপ্তসহ আরও অনেক নেতারাও ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উগ্র ও সহিংস ভাষণ দিয়েছে।

    গত কয়েকদিন ধরে দেশে একের এক নবীজি সা. ইসলাম ও কোরআন অবমাননা করে আসছে বাংলাদেশের উগ্র হিন্দুরা। ধর্ম অবমাননা করায় কয়েকজন উগ্র হিন্দুকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তারা নবী সা. হযরত আয়েশা রা. ও কোরআন শরীফ নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।

    অনেকদিন ধরে এসব উগ্র হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে ইসলাম অবমাননা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছে। অপর দিকে তারাই আবার মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র হবার অভিযোগ করছে।

    সংগঠনটির পেজে বলা হয়েছে, ‘‘বছরের পর বছর ধরে এদের ভেতর অমুসলিম-হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা, ভিন্নমতের মানুষদের ঘৃণা ইনপুট করেছে আর প্রশাসন, সরকার নিরবে দেখে গেছে আমরা দেখেছি। এখন এরা দানবে পরিণত হয়েছে। এই দানবদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’’

  • মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী আটক

    মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুটক্তির অভিযোগে শ্রী আকাশ দাশন

    নামে কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

    রবিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এর আগে বিষয়টি সবার নজরে আসলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

    আটক শিক্ষার্থী উপজেলার বলাবাড়িয়া দাশ পাড়ার শ্রী প্রতাপ কুমার দাশের ছেলে ও কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজের এইচ.এস.সি অটো পাশের শিক্ষার্থী ।

    কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম জানান, আটক আকাশ কুমার দাশ বিগত ১৫দিন পূর্বে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম কে নিয়ে কুটক্তি করে। এমনকি পবিত্র কোরআনে অনেক ভুল আছে বলে মন্তব্য করে।

    বিষয়টি নিয়ে আকাশের বন্ধুরা তাকে ফেসবুকে লেখা তার এইসব বাজে মন্তব্য মুছে ফেলতে বলে। রবিবার সকালে আকাশ কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজে প্রবেশ পত্র নিতে আসে। এসময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুটক্তির বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আকাশের বাকবিতন্ড হয়। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের অধ্যক্ষ রুমে নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    এমদাদুল্লাহ শামসীর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলার লাইট হাউস মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া কোনটাই সঠিক ভাবে আদায় করছে না।

    মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করলে ইয়াসিন হাবিব জাতীয় দালালদেরকে সাথে নিয়ে উল্টাপাল্টা,মিথ্যা, বানোয়াট গল্প-কাহিনী সাজাতে বদ্ধ পরিকর।যা আদৌও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে সেই জাতীয় দালাল চক্র থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা উদ্ধার করা হয়েছে। হাটহাজারীর পর বর্তমানে দালাল চক্র থেকে উদ্ধার কাজ চলছে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার। এরপরপরই আমাদের লাইট হাউস মাদ্রাসার উদ্ধার কাজ চলবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন বেশি দূর নয় যেদিন কক্সবাজারকে ইয়াসিন হাবিব সহ জাতীয় দালালদের থেকে পুত-পবিত্র করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    وما توفيقي إلا بالله

  • নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

    নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

    মুহাম্মদ শহিদ,,উখিয়া।

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের সীমান্ত পথ দিয়ে পাচার করে আনার সময় ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি।শনিবার দিবাগত রাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী লম্বাশিয়া এলাকার মিয়ানমার সীমান্তপথে মাদকদ্রব্য পাচারকারী চক্ররা ইয়াবা পাচার করছে, এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে প্লাস্টিকের প্যাকেট রেখে তিন ব্যক্তি গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।এরপর বিজিবি সদস্যরা প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

    বিজিবির অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারকারী চক্র পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে না পারলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানাগেছে। অভিযানে থাকা হাবিলদার আলাল উদ্দিন, নায়েক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ফুলতলী বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন লম্বাশিয়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করছিল মাদক পাচারকারীরা।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে টহল দল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ এর নির্দেশে নায়েক সুবেদার মোঃ ইব্রাহিমসহ বিজিবির একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে এসব ইয়াব জব্দ করেন।