Category: অপরাধ

  • ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, রিপোর্টার  

     

    কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ফেরার পথে কৌশলে বালিশ ও তোষকের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে আসছিল।

    শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পটিয়া থানার নতুন বাইপাস সড়কে থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে বালিশ ও তোষক থেকে ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

    আটক যুগলদ্বয় হল- চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর থানার নিজ গাছতলা গ্রামের মো. ইমাম হোসেনের মেয়ে সুমা আকতার (২০) ও বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মদ্দন গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন সজীব (২১)।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) মাশকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমা ও সজীবকে আটক করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা তোষক, বালিশ ও ট্রলি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের করে আসছিল।

    তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • টেকনাফে ইয়াবার চালান খালাসের সময় গোলাগুলি ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে ইয়াবার চালান খালাসের সময় গোলাগুলি ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    ডেস্ক রিপোর্ট 

    টেকনাফে নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান খালাসের সময় বিজিবি জওয়ানেরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে এবং অভিযান চালিয়ে ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
    ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোররাত ৪টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের টেকনাফ বিওপির বিশেষ টহলদল মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে সাবরাং আলুগোলার প্রজেক্ট এলাকায় অভিযানে যায়। কিছুক্ষণ পর উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে দুই ব্যক্তি সাতাঁর কেটে একটি বস্তা নিয়ে জঙ্গলের দিকে প্রবেশ করতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। তখন বিজিবিকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তখন বিজিবিও সরকারী সম্পদ এবং নিজের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে মাদক পাচারকারীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে একটি বস্তা বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে গ্রামের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল বস্তাটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে দেড় কোটি টাকা মূল্যমানের ৫০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
    এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, জব্দকৃত ইয়াবা সমুহ পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।

  • হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আনাস মাদানিকে বহিস্কার করতে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন

    হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আনাস মাদানিকে বহিস্কার করতে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. ছেলে আনাস মাদানির অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে মাদরাসা থেকে বহিস্কারসহ ৫দফা দাবিতে আজ বুধবা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং
    বাদ জোহর হতে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্রদের আন্দোলন চলছে।
    আনাস মাদানীর অপকর্মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন হলেও মাঠে আন্দোলনের সূচনা আজই হয়েছে।

    হাটহাজারীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে পেরেছি, আজ বাদ জোহর থেকে সকল ছাত্র মাঠে নেমে আনাস মাদানিকে বহিষ্কারসহ ৫দফা দাবিতে মিছিল-শ্লোগান দিচ্ছে।
    ছাত্ররা আনাস মাদানীর রুমের তালা ভেঙে তাকে খুঁজে না পেয়ে তার আসবাবপত্র বাহিরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আসর পর্যন্ত এই অবস্থায় আছে, ছাত্ররা মাঠেই নামাজ আদায়ের ঘোষণা দিয়েছে।

    এদিকে ৩টা থেকে পুলিশ গেইটের বাহিরে অবস্থান নিলেও গেইট বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেনা, এবং পুলিশের তরফ থেকেও কোন মারমুখী আচরণ পাওয়া যায়নি। এই পর্যন্ত ছাত্রদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই আছে।

    এদিকে মাদরাসার সকল উস্তাদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে সকল উস্তাদের রুমের সামনে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • সরকারি সুবিধা ও চাপের কাছে গৃহবন্দী হেফাজত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    সরকারি সুবিধা ও চাপের কাছে গৃহবন্দী হেফাজত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

     

    • আলমগীর ইসলামাবাদী
      চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    সরকারি সুবিধা ও চাপে ফ্যাসিবাদের কব্জায় বন্দি হয়ে পড়েছে হেফাজত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ধূমকেতুর মত জেগে উঠা অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত। নানামুখী দ্বন্দ্ব এবং ধারা উপ-ধারায় সংগঠনটি এখন বিভক্ত। ২০১৩ সালের ৫ মে বিডিআর, র‌্যাব ও পুলিশের আক্রমণে নিশিরাতে রক্তাক্ত মতিঝিলের হেফাজত, আর আজকের হেফাজতে ফারাক অনেক। যেই ফ্যাসিস্ট সরকার মতিঝিলকে রক্তাক্ত করেছিল, সেই সরকারের নিকট থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এবং নানামুখী চাপে অনেকটাই আদর্শচ্যুত হয়ে পড়েছে কওমি ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত এ সংগঠনটি।

    কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনটির আমীরের বয়স নব্বইয়ের ঊর্ধ্বে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী এখন বয়সের ভারে ঠিকমত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ফলে তাকে ঘিরে এক ধরনের সুবিধাভোগী চক্র গড়ে উঠেছে। এই সুবিধাভোগী চক্রটি সরকারের প্রলোভনে নতি স্বীকার করে বিভিন্ন ধরনের আপোষ করছেন বলে আলেমদের একটা বড় অংশ মনে করছেন।

    সরকারের সঙ্গে আপোষের বিরোধিতা করায় হেফাজতে ইসলামে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরাও হয়ে পড়েছেন বিভক্ত। এই বিভক্তি এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ির স্পর্শ লেগেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ইদানীং ফেইসবুকে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে নানা প্রচারণায় লিপ্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    এদিকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ বেশিরভাগ আলেম সরকারের চাপে এবং মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও গুমের ভয়ে মুখ খুলছেন না। এমনকি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর বাড়ির সামনে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি রয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে।

    উল্লেখ্য, নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি ও ধর্ম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে জেগে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল এবং ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে দেশব্যাপী গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল এই সংগঠনকে ঘিরে। তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে গঠিত এ সংগঠনটি। এতে ইমান-আক্বিদার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনে মানুষ নূতন আশার আলো দেখতে শুরু করে।

    ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হেফাজতের সমাবেশে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। এরপর প্রধানমন্ত্রী একদলীয় জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে আল্লামা শফিকে তেঁতুল হুজুর অবিহিত করে অশ্লীলভাবে সমালোচনা করেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, শরীরে লাল রং মেখে শুয়ে ছিলেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে লাশ উঠে দৌড় দেয় বলেও তিনি ব্যঙ্গ করেন। অথচ, এই সংগঠনের নেতারাই বিভিন্ন সুবিধার কাছে নতি স্বীকার করে পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেন।

    হেফাজতের সমাবেশে বিডিআর-র‌্যাব ও পুলিশের ক্র্যাকডাউনের গ্রাফিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজে ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের রাস্তায় রাস্তায় রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিলো তখন।

    মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সেই সময় অনুসন্ধান চালিয়ে জানিয়েছিল যে, ৬১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
    হেফাজত নেতারা তখন দাবী করেছিলেন, শুধু ৫ মে’র অপারেশনে ২০০ শহীদের অধিক তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তবে সরকারি হুমকি এবং শহীদদের পরিবারে হামলার আশঙ্কায় প্রকাশ করা হচ্ছে না।

    হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছিলেন, অপারেশনে শত শত লোক নিহত হয়েছে।

    শাপলা থেকে গণভবন: আঁতাত! নাকি আ’লীগের ফাঁদে ধরা?

    ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর হেফাজতকে কব্জায় নেয়ার কৌশল নেয়। আওয়ামী লীগের কৌশলের ফাঁদে ধরা দেয় হেফাজতের একটি অংশ। হেফাজতের ভেতরে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কৌশলে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হন আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী। তাঁকে ঘিরেই এখন হেফাজতে মূল দ্বন্দ্ব। হঠাৎ করে তাঁর সম্পদ ও দেশে বিদেশে বিনিয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।

    সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হেফাজতকে কব্জায় নিতে প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ডিজি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মরহুম শামীম মোঃ আফজালকে দায়িত্ব দেয় সরকার। শুরুতে তিনি তেমন পাত্তা পাননি আল্লামা আহমদ শফির কাছে।

    পরবর্তীতে আল্লামা আহমদ শফির এক আত্মীয় ও সাবেক এক মন্ত্রীকে আপোষ রফার দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। হেফাজতকে কব্জায় নিতে সেই মন্ত্রী প্রথম দিকে কিছুটা সফলও হন। এরপরই শুরু হয় হেফাজতকে গণভবনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। ২০১৭ সালের ১১ই এপ্রিল হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফিসহ ৩ শতাধিক আলেমকে গণভবনে দাওয়াত দেয়া হয়। দাওয়াতে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার ভাষায় যাকে তেঁতুল হুজুর খেতাব দেয়া হয়েছিল, তাঁর পায়ে সালাম করেন তিনি নিজেই। এরপরই হেফাজত-সরকারের সখ্যতার বিষয়টি জনসম্মুখে স্পষ্ট হয়।
    হেফাজত নেতাদের সাথে শেখ হাসিনার এ দেখা-সাক্ষাতের অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারি স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হয়।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজত-সংশ্লিষ্ট অনেক আলেমের দাবী, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতির বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হয় হেফাজতে ইসলাম।

    কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির শোকরিয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর। ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এ শোকরিয়া মাহফিলে কওমি মাদ্রাসার বড় একটি অংশ যোগদান থেকে বিরত থাকেন। ওই শোকরিয়া মাহফিলে শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিও দেওয়া হয় আল্লামা আহমদ শফির উপস্থিতিতে।

    কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির পাশাপাশি সরকারি উপঢৌকন হিসাবে হাটহাজারী মাদরাসার নামে রেলের ৩০ একর জমি এবং আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে নগদ অর্থ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়েছে হেফাজত।

  • মনকিচর মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবেঃ বাঁশখালী ওলামা পরিষদ।

    মনকিচর মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবেঃ বাঁশখালী ওলামা পরিষদ।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ও মাদ্রাসায় গত বৃহঃবার থেকে কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা এলাকায় এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যার দরুন বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী মনকিচর মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এক আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এখনো পর্যন্ত বাঁশখালী প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি। এই পরিস্থিতি দেশবাসীকে জানাতে আজ মাদ্রাসার পরিচালক প্রখ্যাত ওয়ায়েজ আল্লামা আবু বকর সাহেব ফেসবুক লাইভে আংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল।
    কিন্তু বাঁশখালী থানার ওসি মু.রেজাউল করিম মজুমদার সাহেবের অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ “বাঁশখালী ওলামা পরিষদ” এর এক জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়, সভায় ওলামায়ে কেরামগণ এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সভা থেকে বাঁশখালীর প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন।
    অন্যথায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বর-২০ রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল ২টায়
    বাঁশখালী উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ ও গণমিছিল এর কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

  • ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ উখিয়ার যুবক রিদুয়ান আটক।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ উখিয়ার যুবক রিদুয়ান আটক।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    UkhiyaVoice24.Com

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

     

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিনব কায়দায় পাচারকালে ইয়াবা ও মোটর সাইকেলসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে।
    সুত্র জানায়,৮সেপ্টেম্বর বিকাল পৌনে ৪টারদিকে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল মাদক পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুতুপালং হাইওয়ে পুলিশ ডাম্পিং ষ্টেশনের সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশী চালায়। হঠাৎ একটি মোটর সাইকেলসহ একজন আরোহী আসলে সন্দেহজনক থামানোর সংকেত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধাওয়া করে কুতুপালং পূর্ব পাড়ার জাফর আলমের পুত্র রেদোয়ান (২২) কে আটক করে। তখন তার দেহ ও মোটর সাইকেল তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় লুকানো ১০হাজার পিস ইয়াবাসহ মোটর সাইকেলটি জব্দ করে।
    এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত মাদক ও মোটর সাইকেলসহ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব-১৫এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী নিশ্চিত করেন।

  • চট্টগ্রামে সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিঃ ১০ আড়তদারকে জরিমানা

    চট্টগ্রামে সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিঃ ১০ আড়তদারকে জরিমানা

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

     

    সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি : ১০ আড়তদারকে জরিমানা
    দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধির দায়ে ১০ পেঁয়াজের আড়তদারকে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও উমর ফারুক এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    এসময় বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্রয় ভাউচার না রেখে নিজেদের ইচ্ছে মত মূল্য বৃদ্ধির দায়ে মেসার্স বরকত ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স হাজী মহিউদ্দিন সওদাগরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স সেকান্দার অ্যান্ড সন্সকে ১০ হাজার টাকা, মোহাম্মাদীয়া বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা, গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫ হাজার টাকা, আরাফাত ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স বাগদারিক কর্পোরেশনকে ৫ হাজার টাকা ও শাহাদাত ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খাতুনগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদাররা ব্যবসায়িক কাগজপত্র নিজেদের কাছে না রেখে আমদানিকারকের ফোন কলে দাম নির্ধারণ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে কেজি প্রতি প্রায় ২০ টাকা লাভ করছেন। আড়ত অনুযায়ী তাদের দামেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমদানিকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দাম নির্ধারণ করেন এবং কমিশনে ব্যবসা করেন।

  • খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে

    খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের অভিযানের জের ধরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে আড়তদাররা। আজ সোমবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ব্যবসা বন্ধ রেখে চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভ।
    তাদের দাবি আমদানিকারকদের উপরই নির্ভর হতে হয় তাদের। সেখানে অভিযান না করে শুধু খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা অযৌক্তিক বলছেন তারা। অভিযান বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আড়ত বন্ধ রাখার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

    আর প্রশাসন বলছে নিয়ম না মেনে এবং ক্রয় স্লিপ না রেখে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের কোন ছাড় নেই। অভিযান ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন হতাশ করেছে ভোক্তাদের।
    দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কয়েক দিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।
    রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১০ আড়তদারকে এক লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। আজও অভিযান হওয়ার কথা থাকায় অভিযান ঠেকাতে পেঁয়াজের আড়ত বন্ধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভ করেন তারা।

    খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, সংগঠন থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। মূলত জরিমানার শিকার ব্যবসায়ীরা আড়ত বন্ধ রাখার পর সব আড়তই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পণ্যের দাম বাড়ানোর নেপথ্যে আড়তদারদের ভূমিকা নেই বলে তিনি জানান।

  • গণহারে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    গণহারে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকা, সহনশীলতার অভাব, মাদকের ব্যবহার এবং যৌতুকের দাবির মুখে চট্টগ্রামে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বছরে দেড় হাজারের বেশি ডিভোর্স আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পারিবারিক আদালতে। আর প্রতি বছর আবেদন জমা পড়ছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। নানা জটিলতায় করোনাকালেও সেই হার আরও বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৭০টি ডিভোর্স আবেদন জমা পড়ছে।

    চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পারিবারিক আদালতের সামনের ভিড় ইঙ্গিত দেয় দাম্পত্য জীবনের কলহ কোন মাত্রায় পৌঁছেছে। প্রতিদিনই শুনানি শেষে অভিযোগের নিষ্পত্তি করে কূলিয়ে উঠতে পারছেন না বিচারকরা।
    সিটি কর্পোরেশনের তথ্য মতে, প্রতি বছরই ডিভোর্সের আবেদন অন্তত এক হাজার করে বাড়ছে। ২০১৬ সালে ৪ হাজার ১৮২টি আবেদনের বিপরীতে ১ হাজার ৪১৭টি নিষ্পত্তি হয়েছিল। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে আবেদন জমা পড়েছে ৩ হাজার ৫৫৭টি।
    স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস বলেন, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে। কিছু আধুনিকতা তো রয়েছে।

    বিয়েবিচ্ছেদ ঠেকানোর উপায়
    পারিবারিক বিরোধের পাশাপাশি ডিভোর্সের হার বাড়ার বেশকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন আইনজীবীরা।অতিরিক্ত পি পি অ্যাডভোকেট খোরশেদুল আলম সিকদার বলেন, মামলার যে বিষয়গুলো সেগুলো বিরোধ বেড়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদও হচ্ছে বেশি।
    মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল নাইম বলেন, গত সপ্তাহে ৫টা ডিভোর্স নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমি অনেক বুঝিয়ে পাঠিয়েছি, কারণ সন্তান রয়েছে।

    এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে লকডাউনের কারণে গৃহবিবাদ আরও বেড়েছে। বিচ্ছেদের হার বাড়তে থাকায় সমাজে ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা সমাজ বিজ্ঞানীদের।
    সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ভাঙা পরিবারের কথা বলে থাকি। এতে কোনো শিশু হয় মায়ের ভালোবাসা, না হয় বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
    দেনমোহর, যৌতুক এবং খোরপোষের মতো পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম আদালতে দুটি এবং বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সিটি কর্পোরেশনে পৃথক দুটি আদালত রয়েছে।

  • ইসলামি মাহাছ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    ইসলামি মাহাছ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    রোহিঙ্গা ডেস্কঃ

    ছবি দেওয়া আছে, আরছা গ্রুপের   

     

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফ এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা রিফুজি ক্যাম্পে গত কয়একদিন ধরে যে সন্ত্রাসী হামলা গুলো হচ্ছে, সেই অত্যাচারি হামলার মুলহুতা হচ্ছে আরছার সন্ত্রাসী বাহিনীরা।

    ২০১৭সালে রোহিঙ্গারা রিফুজি হওয়ার পূর্বে দেশে থাকা অবস্থায় শুরু করে ক্যাম্পে রিফুজি হওয়ার পরেও।

    ২০১৬সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে এপর্যন্ত সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে বলারমত ভাষা নেই (বিশেষ করে ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন নিপীড়ন  হচ্ছে) সবগুলো আরছার সন্ত্রাসী বাহিনীরা করে যাচ্ছে বলে রোহিঙ্গাদের অভিযোগ।

    আরো বলেন, আরছার সন্ত্রাসী বাহিনীরা ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর জুলুম নির্যাতন লাগাতার চালিয়ে যাওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত অভিযোগের বুঝাটা তুলে দিচ্ছে ইসলামি মাহাছ নামের একটি গ্রুপের উপরে,

    এব্যাপারে সাধারণ রোহিঙ্গারা বলেন, বাংলাদেশের রিফুজি ক্যাম্পে ইসলামি মাহাছ নামের কোন সদস্য আমরা দেখিনিই এবং চিনি না।

    তারা আরো বলেন, ২/৩ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ইসলামি মাহাছ নামের গ্রুপের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে আরছা সন্ত্রাসী হামলাকারীদের কে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হউক।