Category: অপরাধ

  • টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয় যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ পশ্চিম ফুলের ডেইল সাকিনস্থ জনৈক মহিলা তার বসত ঘরে গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ২৯/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ০৬.০০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতিতে একজন মহিলা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে শাহানা আক্তার (৩৭), স্বামী-সাইফুল ইসলাম প্রঃ অলি আহমদ, সাং-পশ্চিম ফুলের ডেইল, ওয়ার্ড নং-০৩, ইউপি-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে ধৃত মহিলার বসত ঘরের খাটের নিচ হতে তার নিজ হাতে বের করে দেয়া তিনটি বস্তার ভেতর হতে সর্বমোট ৩৩ (তেত্রিশ) কজেি ৫০০ (পাঁচশ) গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মহিলা জানায় জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসমূহ টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে টেকনাফ-কক্সবাজার এর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে।
    উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

    ধন্যবাদ।

  • দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বৃদ্ধ

    দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বৃদ্ধ

    সংবাদ প্রতিনিধি- তালহা চৌধুরী রুদ্র,

    ভুজপুরে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু তাহের নামে (৫৫) এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিজেকে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি বলে পরিচয় দেয়া এই ব্যক্তি দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে এই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা যায়।

    সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে উপজেলার ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের তারাখোঁ এলাকার লোকজন তাকে ধরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত তাহেরকে থানায় নিয়ে আসেন ।

    গ্রেফতার তাহের উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তারাখোঁ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

    এর আগেও বহুচুরি,ডাকাতির মতো ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তাবলীগ জামাতে সক্রিয় হয়ে যান।এলাকার লোকজন তাকে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি (দায়িত্বশীল) হিসেবে চেনেন।

    ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়িও একই এলাকায় । সেখানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সে ৫ শ্রেণিতে পড়ে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ধর্ষণের শিকার কিশোরী ওই বাড়িতে মায়ের সাথে থাকতেন। বাড়িতে পুরুষ না থাকায় অভিযুক্ত তাহের নিয়মিত তাদের বাজার করে দিতেন। বুধবারে বাজারে তাদের জন্য গরুর দুধও আনা হয়। তাহের সেই দুধের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। রাতে দুধ খাওয়ার পর মা মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে এ সুযোগে তাহের টিন কেটে এই ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে।
    এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাহেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

    দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেরের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (এসআই) নাজমুল কবির বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আবু তাহের নামে একজনকে এলাকার লোকজন আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে সেখান থেকে অভিযুক্ত তাহেরকে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

  • দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বৃদ্ধ

    দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বৃদ্ধ

    সংবাদ প্রতিনিধি * তালহা চৌধুরী রুদ্র।

    ভুজপুরে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু তাহের নামে (৫৫) এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিজেকে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি বলে পরিচয় দেয়া এই ব্যক্তি দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে এই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা যায়।

    সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে উপজেলার ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের তারাখোঁ এলাকার লোকজন তাকে ধরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত তাহেরকে থানায় নিয়ে আসেন ।

    গ্রেফতার তাহের উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তারাখোঁ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

    এর আগেও বহুচুরি,ডাকাতির মতো ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তাবলীগ জামাতে সক্রিয় হয়ে যান।এলাকার লোকজন তাকে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি (দায়িত্বশীল) হিসেবে চেনেন।

    ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়িও একই এলাকায় । সেখানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সে ৫ শ্রেণিতে পড়ে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ধর্ষণের শিকার কিশোরী ওই বাড়িতে মায়ের সাথে থাকতেন। বাড়িতে পুরুষ না থাকায় অভিযুক্ত তাহের নিয়মিত তাদের বাজার করে দিতেন। বুধবারে বাজারে তাদের জন্য গরুর দুধও আনা হয়। তাহের সেই দুধের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। রাতে দুধ খাওয়ার পর মা মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে এ সুযোগে তাহের টিন কেটে এই ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে।
    এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাহেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এই নিবন্ধটি আপনার প্রিয় উল্লেখ hatsসুপার কম দামে। একই দিনের ডেলিভারি, ড্রাইভ-আপ ডেলিভারি বা অর্ডার পিকআপ থেকে বেছে নিন।

    দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেরের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (এসআই) নাজমুল কবির বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আবু তাহের নামে একজনকে এলাকার লোকজন আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে সেখান থেকে অভিযুক্ত তাহেরকে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

  • সাবরাংয়ের বাহার ছড়া নৌ-ঘাঁট থেকে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে

    সাবরাংয়ের বাহার ছড়া নৌ-ঘাঁট থেকে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে

    টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন,
    বাহার ছড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগর উপকূলের বিভিন্ন ঘাট দিয়ে সন্ধ্যা নামতেই মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উক্ত পাচারের মূল হোতা হলেন, ছৈয়দ আলম।
    এই ছৈয়দ আলম নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত ইয়াবা উত্তোলনসহ মানবপাচার হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।
    তার সহযোগীতায় রয়েছে স্থানীয় একটি বিশাল সিন্ডিকেট।
    এমনকি তার একটা মানবপাচারের অডিও ভয়েজ আমাদের হাতে চলে আসছে।
    এই ছৈয়দ আলম কে আইনের আওতায় আনা হলে সাবরাং ইউনিয়ন বাহার ছড়া এলাকার মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসার জানা অজানা সব তথ্যসহ উক্ত সিন্ডিকেটে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। এই ছৈয়দ আলম গেল কয়েক মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা ও নামে-বেনামে সম্পত্তিসহ ১ টি নৌকার মালিক বনে গেছেন।
    এবং ছৈয়দ আলমের মালিকানাধীন ১টি নৌকা দিয়ে বিভিন্ন ঘাট দিয়ে ইয়াবা উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অভিযোগ।তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চাইনা।

    স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত অতি শীঘ্রই এই ছৈয়দ আলম কে আইনের আওতায় আনা না গেলে সাবরাং ইউনিয়ন বাহার ছড়া এলাকার উপকূলে মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসাা বন্ধ হবে না।

    টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান আইন শৃঙ্খলা মিটিং বলেন, মানব পাচারকারী এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো, আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।

    এলাকাবাসীর অভিযুক্ত ছৈয়দ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
    আমার সাথে এলাকার কিছু মানুষ দুশমনি করতেছে, আমি ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত নই।

  • যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ মাথা ফাটালেন মাদকাসক্ত স্বামী ৪০ দিনের সন্তান নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ মাথা ফাটালেন মাদকাসক্ত স্বামী ৪০ দিনের সন্তান নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    কপিল উদ্দিন জয়
    নাইক্ষ্যংছড়ি রিপোর্টার

    যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটালেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল।
    গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৫ টায় সময় কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমেদ প্রকাশ রশিদ মাঝির ছেলে আবছার কামাল( ৩৫)
    যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী ৪০ দিনের সন্তানের মা গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি ৪ নং ওয়ার্ড আবদুল জব্বারের মেয়ে তাসমিম আক্তার (২২) কে মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এবং লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বাহির করে দিলেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল। খবর পেয়ে তাসমিমা আক্তারের মা আবেদা খাতুন মাঝির কাটা রাস্তা হইতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গর্জনিয়া বাজার ডাক্তার রুবেলের চেম্বারে নিয়ে যায়।
    অবস্থা অবনতি হওয়ায় দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় সাতটি সেলাই এবং মুখে ২ টি সেলাই করা হয়েছে বলে জানালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    এলাকাবাসী জানান প্রায় ৪ বছর আগে আবচার কামালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ২ টি সন্তান রয়েছে একটির বয়স ৩ বছর আর একটির বয়স মাত্র ৪০ দিন তার স্বামী মাদকাসক্ত। ঠিকমতো আয় রোজগার করেন না। নেশার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নিতেন আবছার। এছাড়া বিয়ের পর থেকে যৌতুক বাবদ টাকা দাবি করেন আচ্ছিল। বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। ওই টাকা খরচ করে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আবছার। এভাবেই তাদের সংসার চলছিল। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফের মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করেন আবছার। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে ধারালে অস্ত্র দিয়ে মুখমণ্ডলে আঘাত করেন।
    আহত গৃহবধূর মা আবেদা খাতুন দাবি করেন, দীর্ঘ ৪ বছরের সংসার জীবনে প্রায় দিনই যৌতুকের জন্য তার মেয়ে কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তবে মারধরের পর পালিয়েছেন আবছার কামাল।
    তিনি আরও বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়ে কে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেছে। তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে কয়েকটি আঘাত করে। এতে মুখমণ্ডলে জখম ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এবং তার মাথায় সাতটি সেলাই করা হয়েছে আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
    এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবছার কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
    এবিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সে ব্যয়পারে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি যদি অভিযোগ করে আইনগতভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে

  • মহেশখালীতে মদ তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযান: চোলাই ও ওয়াশ মদ সহ আটক-২

    মহেশখালীতে মদ তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযান: চোলাই ও ওয়াশ মদ সহ আটক-২

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালীর গহীন পাহাড়ে মদ তৈরির কারখানায় অভিযান। প্রস্তুতকৃত ৩০০লিটার চোলাই, ২০০০ লিটার ওয়াশ মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম সহ ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।

    বুধবার (২১শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বড় মহেশখালীর দেবাঙ্গা পাড়ার গহীন পাহাড়ে শ্বাসরুদ্ধকর এই অভিযানটি পরিচালনা করেন, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় একটি ফোর্স।

    মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, বড় মহেশখালীর দেবাঙ্গা পাড়ার গহীন পাহাড়ে নির্মিত স্থানীয় ফারুকের উক্ত মদ কারখানায় থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ লিটার চোলাই, ২০০০ লিটার ওয়াশ মদ ও মদ তৈরীর সকল উপকরণ জব্দ করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত মদ সহ শাহাদাত উল্লাহ (২৮) পিতা: মৃত মোহাম্মদ ছিদ্দিক ও মহিম উদ্দিন(২২) পিতা: আবুল কাশেম নামের দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এবং কারখানা মালিক মোহাম্মদ ফারুক পিতা: ওসমান, নামের অপর একজন পালিয়ে যায়। তাঁরা সকলে অত্র ইউনিয়েনের দেবাঙ্গ পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা যায় ৷

    এব্যাপারে অভিযানটির নেতৃত্বদানকারী মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় মহেশখালীর দেবেঙ্গা পাড়ার মূল সড়ক হতে প্রায় ১ঘন্টা পায়ে হেঁটে গহীন পাহাড়ে থানা পুলিশের একটি বিশেষ টীম অভিযান পরিচালনা করে ৷ অভিযানে বিপুল পরিমান দেশীয় তৈরী চোলাই মদ, ওয়াস মদ জব্দ সহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন সহ আটককৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী অপরাপর মাদক ব্যাবসায়ী এবং মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339

  • বাঁশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রতি কঠোর নজর প্রশাসনের

    বাঁশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রতি কঠোর নজর প্রশাসনের

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আজ ২০ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৫ ঘটিকা হতে রাত ৯ ঘটিকা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়, এই সময় বৈলছড়ির জনৈক সৈয়দের অবৈধভাবে ছরা হতে বালু উত্তোলনে করে পুকুর ভরাটে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত আনুমানিক ৫০০ ফুট পাইপ ও ভরাটকৃত বালু জব্দ করে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোঃ সেলিমের জিম্মায় তুলে দেয়া হয়। এছাড়া একই ছরা থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে পূর্ব বৈলছড়ির আবু তাহেরের ছেলে মোঃ সেলিম (৩৫) কে আটক করা হয়, পরে আটককৃত ব্যক্তি থেকে মুচলেকা নিয়ে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় জরিমানা করে তাকে সর্তক করা হয়। একই সাথে তার উত্তোলিত বালু তাৎক্ষণিক নিলামের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা বিক্রয় করা হয়। জনস্বার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক মটর সাইকেল জদ্ব

    নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক মটর সাইকেল জদ্ব

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক সহ এক উপজাতীয় যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক লামা উপজেলার ফাসিয়খালী ইউনিয়নের সাপের গাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রমাংরী মার্মার ছেলে উচপ্রু মার্মা (২০)।

    বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ও নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহার পরিকল্পনা মোতাবেক এস আই হাবিব, এ এস আই মুসলিম সহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে বাইশারী ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড তিতার এলাকায় রাস্তার উপর মটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি কালে বস্তার ভিতর লুকিয়ে রাখা অবস্থায় এক নলা বন্দুক সহ অংচাপ্রু কে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে মটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি কালে আরো ২ যুবক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। আটক যুবক কে নাইক্ষংছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এবিষয়ে নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহা বলেন অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক হয়েছে। যাচাই বাছাই করে আসল রহস্য খুজে বের করার চেষ্টা চলছে এবং তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরন করা হবে।

  • ভিত্তিহীন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে নিরীহ ২ যুবকের মানহানি (ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা) বন্ধ করুন স্টাটাস বানিজ্য

    ভিত্তিহীন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে নিরীহ ২ যুবকের মানহানি (ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা) বন্ধ করুন স্টাটাস বানিজ্য

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চলের নানা পেশার মানুষ ঝুঁকছে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে।

    তবে এসব মানবপাচার চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিমাল্লা বলে একাধিক সূত্রে: প্রমাণ মিলেছে।

    তার আগে ও বেশ কয়েক দফা উপকূলীয় অঞ্চলের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী বাইলারছড়া ও শামলাপুর জাহাজ পুরা এলাকা থেকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছে, অনেকেই মায়ানমার থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া অবস্থানে রয়েছে বলে ভিকটিমের পরিবার থেকে জানা গেছে।

    এদিকে স্থানীয়দের দাবি, বাহারছড়া উত্তর শিলখালী’র আব্দুল আমিনের পুত্র: আনিছুল ইসলাম ও ছালেহ আহাম্মদের পুত্র: জাকের হোসেন দুই যুবকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক একটি উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে ফেসবুক আইডি থেকে তাদের ছবি দিয়ে মানবপাচারে জড়িত বলে মালয়েশিয়া গমনকারী জালালের পিতা খাইরুল আমিন একটি ফেসবুক ব্যবহারকারীকে ভুল তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট স্টাটাস দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি দুটি পরিবারকে হয়রানি করছে।

    অন্যদিকে স্টাটাসের কমেন্টে সুশীল সমাজের জনপ্রতিনিধি সহ সাংবাদিক ও সচেতন মহলের ভিত্তিহীন স্টাটাসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।
    উল্লেখিত ফেসবুক পোস্টে’র কমেন্টে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদেরের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো,(প্রিয় কলম সৈনিক আপনারা জাতির বিবেগ, নিউজ বুলেটিন করার সময় সঠিকভাবে তদন্ত করে যদি করা হয়, আমাদের হ্নদয়ের অনুভূতি আপনাদের প্রতি অনিবার্য থাকে, যেহেতু আনিস অদূর ভবিষ্যতে ছিলো কি-না এবং বর্তমানে আছে কি-না..? সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রমাণ সহকারে নিউজ করা হক)
    ২য় কমেন্ট: পাচার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষকে সদুপদেশের মাধ্যমে ইহকালীন লাঞ্ছনা ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করে সচেতন থাকতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। তবে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব সাপেক্ষে বিবেচনা করে নাম প্রকাশ করা জন্য অনুরুধ করছি, কারণ আপনারা কলম সৈনিক কেউ যদি মিথ্যা তত্ত্ব দিয়ে ভালো কলম সৈনিকদের কে কুলোসিত করছে কি-না, যেহেতু মানুষের পারিবারিক সামাজিক দ্বন্দ্ব থাকে..?)

    অন্যদিকে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে মালিকবিহীন যে ফেসবুক আইডি থেকে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট পোস্ট করা হয়েছে, সেই নামের আসল ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কমেন্ট ও হুবুহু তুলে ধরা হলো
    (প্রিয় সহকর্মী ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সঠিক ডকুমেন্ট থাকলে নিউজ করতে সমস্যা নাই। কারো কান ফোঁসকানি কথা নিয়ে এভাবে মানহানি করা ভাল না)
    রনি ক্স কমেন্ট:(একজন নাগরিকে বিরোধে সংবাদ প্রচার করতে ১০০% প্রমান তাকতে হবে। সাধারণ জনগণের উপর বিত্তিহীন নিউজ করার কোনো সংবাদ গনম্যাধমের একক্তিয়ার নেই)
    মোঃ কফিল উদ্দিন কমেন্টে:( কার থেকে কপি করেছেন?
    নিউজ করার সময় পর্ব ১ অথবা ২
    এইসব লেখা শিখছেন কোত্থেকে।
    সুষ্ঠু তদন্ত করুন, নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা শিখবেন কবে?)

    এবিষয়ে অভিযুক্ত আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন একটি ইস্যু নিয়ে খাইরুল আমিনের কেবল একটি পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে, মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি আইডি থেকে ভিত্তিহীন স্টাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে।
    তবে খাইরুল আমিন এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ হয়।

    আনিস আরো বলেন, আজিজ উল্লাহ নামের একজন ব্যক্তি নামধারী ফেসবুক সাংবাদিক উল্লেখিত ফোরাম থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে, তার বিরুদ্ধে এর আগেও দেশ-বিদেশ পত্রিকায় মনখালী থেকে চাঁদাবাজির অডিও রেকর্ড ভাইরাল সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় চাঁদাবাজি ও ফেসবুক বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

    তাঁরা আরো বলেন,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা জড়িত থাকলে আমাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।
    আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক পোস্ট’কারীর বিরুদ্ধে শিঘ্রই আইনি আশ্রয় নেবো।

    এ বিষয়ে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ জানান, মানবপাচার চক্র সক্রিয়, তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,
    তবে আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
    তদন্ত করা হচ্ছে, জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    অদ্য ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০২,০৫ ঘটিকায় ধৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’কে বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানায় যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মুহরা দেওয়ান মহসীন সড়কস্থ জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র-গুলি আছে, যা দ্রæত উদ্ধার না করলে সরিয়ে ফেলবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রধানকারী মোঃ আবুল হোসেন’কে সংঙ্গে নিয়ে সাক্ষী ও অন্যান্য লোকদের সাথে জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসতঘরে উপস্থিত হয়। তখন সংবাদদাতা জানায় যে, উক্ত বসতঘরের কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর অবৈধ অস্ত্র-গুলি এবং ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে উক্ত কক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে তল্লাশী করে কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর হতে একটি শপিং ব্যাগের ভিতর ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ঐ কক্ষেরই একটি ওয়ারড্রফের ভিতর থেকে ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্তে জনৈকা নাসরিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না মর্মে জানায়। উপস্থিত স্বাক্ষী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদে নাসরিন আক্তার একজন সহজ-সরল মহিলা এবং তার স্বভাব-চরিত্র ভাল বলে জানান। ঘটনা দৃষ্টে মোঃ আবুল হোসেন এর দেয়া সংবাদটি রহস্যজনক বলে সন্দেহের সৃষ্টি হলে সংবাদদাতা আবুল হোসেন‘কে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, বর্ণিত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান (১৮) এর সাথে জায়গা-জমি নিয়ে স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান‘কে অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার আবুল হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত হয় যে, আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন আক্তারের ঘরে রেখে র‌্যাব’কে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাবে। অভিযান শেষ হলে মোঃ আবুল হোসেন’কে এ বাবদ কোাহিনুর এবং ইউসুফ ০৩ লক্ষ টাকা দিবে মর্মে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন ও তার ছেলে মোঃ সোহান ঘরে না থাকার সুযোগে গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকায় ইউসুফকে নিয়ে নাসরিন এর ঘরে রেখে আসে।

    উল্লেখিত ঘটনাপৃষ্ঠে, মাদক ও অস্ত্র-গুলি টাকার বিনিময়ে অন্যের বসত ঘরে রাখার দায়ে সংবাদদাতা আসামী ১। মোঃ আবুল হোসেন (৩৯), পিতা-মৃত আঃ হাকিম, সাং-আমিন কোড়ালপাড়া, থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে সিএন্ডবি গ্যাস কলোনীর পাশে, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তৎক্ষনাত গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার র‌্যাবের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জমি-জমা ও পারিবারিক কলহের কারনে উক্ত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে সোহান‘কে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর পরিকল্পনা মোতাবেক টাকার বিনিময়ে উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি ও মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নাসরিন এর ঘরে রেখেছে বলে অকপটে স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ সর্বমোট ৬ টি মামলা পাওয়া যায়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।