Category: অপরাধ

  • বিরামপুরে বিপুল পরিমাণ গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী আটক

    বিরামপুরে বিপুল পরিমাণ গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী আটক

    এসএম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাজা রাখার অপরাধে মনসুর আলী বল্টু (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন, উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে মনসুর আলী বল্টু।

    শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক শাহিন শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের দিক নিদের্শনায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামের মনসুর আলী বল্টু ও তার সহযোগী রুবেলের বসতবাড়ির ভেতরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুজনের বাড়ি থেকে ৫ কেজি করে মোট ১০ কেজি গাজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী বল্টুকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় আসামী রুবেল (৩৪) কৌশলে পালিয়ে যায়।

    জানতে চাইলে, বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সু-নির্দিষ্ট তথ্য দিন, সেবা নিন বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • বিরামপুরে ইয়াবা ট্যাবলেট,হেরোইন, মাদক বিক্রির নগদ টাকা সহ ২ জন আটক

    বিরামপুরে ইয়াবা ট্যাবলেট,হেরোইন, মাদক বিক্রির নগদ টাকা সহ ২ জন আটক

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    সোমবার (২৯ শে আগস্ট) রাত্রি ৯ টার দিকে বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিরামপুর পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড প্রস্তমপুর গ্রামের ফাওমিদ রতন এর বসতবাড়ি সংলগ্ন মুদির দোকানের ভিতর হতে ২২৫ (দুইশত পঁচিশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ (বিশ) পুড়িয়া হেরোইন, মাদক বিক্রির নগদ-৭,২০০/-(সাত হাজার দুইশত) টাকা, একটি পুরাতন বাটন মোবাইল, মাদক বিক্রয়ের ফুয়েল কাগজের রোলসহ মাদক ব্যবসায়ী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের প্রস্তমপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ ফাওমিদ রতন (২৯), ও একই গ্রামের মৃত মুশফিকুর রহমানের ছেলে মোঃ বাদশা আলমগীর জয়(২৭), উভয়ের থানা- বিরামপুর, জেলা -দিনাজপুর, ২ জনকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে মোঃ রবিউল ইসলাম (৪৬) কৌশলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানার মামলা নং-২০, তারিখঃ ২৯/০৮/২০২২ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৮(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ২ জন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিরামপুর থানার উপ- পরিদর্শক হরিদাস বর্মন ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ মেয়ের মারধর ও কামড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পিতা।

    নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ মেয়ের মারধর ও কামড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পিতা।

    কপিল উদ্দিন (জয়) নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

    নাইক্ষ্যংছড়ি ২০ আগস্ট ২২ ইং
    নাইক্ষ্যংছড়িতে সম্পত্তির লোভে ৩ মেয়ে, জামাই ও জি নাতীর হাতে আহত সদর ইউনিয়নের আসারাফ মিয়া পাড়ার অসহায় পিতা আব্দুল জব্বার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল জাব্বির একজন আলেম ও হাজী। সে বেশিরভাগ সময় তাবলীগ জামায়াত ও মসজিদেরই সময় কাটান। শেষ বয়সে তিনি মসজিদ, মাদ্রাসায় কিছু জমি দিতে চাইলে তার জীবিত ৩ মেয়ে ও জামাইরা বাধা দে। এ নিয়ে ৭২ বৎসরেরে বৃদ্ধ আব্দুল জব্বারকে বেশ কয়েক বার হামলা করেছে। সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট তাকে প্রাণে মেরে গুম করে তার সম্পত্তি দখলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায়, ১৮ আগস্ট’২০২২ তিন মেয়ে, তিন জি জামাই কে আসামি করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তিনি। এ বিষয়ে অসহায় পিতা আব্দুল জব্বার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কেঁদে কেঁদে এই প্রতিবেদক কে বলেন, তিনি তার বড় মেয়ের নাতি আনোয়ারুল ইসলাম কে ৭ শতক জমি দেওয়ায় শুক্রবার ১৯ আগস্ট সাকাল ৮ ঘটিকায় আমি মরগেজ থেকে বাড়িতে এসে ভাত খাওয়া অবস্থায়, মেয়ের জামাই ফকির আহমদ, আব্দুর রহিম, মোঃ রফিক এবং স্হানীয় এক জনপ্রতিনিধি সহযোগিতায়, আমার মেয়ে গোলতাজ খাতুন, আমেনা আক্তার, ও নাসিমা আক্তার সহ তাদের ছেলেদের নিয়ে আমাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্য মারধর করে আর বলে সমস্ত জমি আমাদের লিখে দে না হয় তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো বলে আমাকে মাটিতে পেলে আমার দাঁড়ি টেনে ছিড়ে ফেলে আর গলা টিপে ধরে এবং ৩ মেয়ে ও ২ নাতি আমার শরীরে কামড়ে ধরে আমার জমানো ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই। স্হানীয় মাদ্রাসার পরিচালক মওলানা ফরিদুল আলম, জহির আলম,শাহাব উদ্দিন, আব্দুল আজিজ জানান, হুজুরের শো চিতৎকারে আমরা এসে তাকে তাদের হাত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক, এলাকাবাসী এসমস্ত কু সন্তানদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

  • কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন খুরুলিয়া এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার

    কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন খুরুলিয়া এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ০৫ নং ঝিলংজা ইউনিয়নের খুরুলিয়া সওদাগরপাড়া এলাকায় একজন দুষ্কৃতিকারী অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ১৭/০৮/২০২২ ইং তারিখ অনুঃ ১৭.৩০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে পৌঁছালে একজন ব্যক্তিকে হাতে প্লাস্টিকের বস্তাসহ অবস্থান করতে দেখে। তখন বর্ণিত ব্যক্তি র‌্যাবের আভিযানিক সদস্যদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আভিযানিক দল কর্তৃক সফিজ উদ্দিন (৩৬), পিতা-মৃত আঃ জব্বার, মাতা-মৃত খোদেজা বেগম, সাং-ভূমরা দহ, ওয়ার্ড নং-০৮, ভূমরাদহ, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা-ঠাকুরগাঁওকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে ০১ টি থ্রিকোয়ার্টারগান ও ০১ টি ওয়ানশুটারগান উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জানায়, সে ঠাকুরগাঁও জেলার একজন স্থানীয় বাসিন্দা, পেশাদার অস্ত্র/ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং প্রায়শই সে কক্সবাজারে এসে অস্ত্র/ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে। এছাড়াও সে জানায়, কক্সবাজারে সন্ত্রাসী গ্রপের কাছে জব্দকৃত অস্ত্রের বিনিময়ে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেছিল এবং তা বাস্তবায়নের পূর্বেই র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে অবৈধ সিমকার্ড নিবন্ধন জালিয়াতি চক্র ৫ সদস্যকে ২০৪ টি অবৈধ সিমসহ গ্রেফতার।

    কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে অবৈধ সিমকার্ড নিবন্ধন জালিয়াতি চক্র ৫ সদস্যকে ২০৪ টি অবৈধ সিমসহ গ্রেফতার।

    কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে অবৈধ সিমকার্ড নিবন্ধন জালিয়াতি চক্র
    ৫ সদস্যকে ২০৪ টি অবৈধ সিমসহ গ্রেফতার।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ১। র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্নপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন প্রকার অপরাধ নির্মূলের লক্ষে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। ‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

    ২। সাম্প্রতিক সময়ে আভিযানিক কার্যক্রম করার সময় র‌্যাবের নজরে আসে, একটি চক্র অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত সিমকার্ড বিক্রি করছে এবং বিভিন্ন মানুষজন তা ব্যবহার করছে। যার ফলে ওইসব সিমকার্ড ব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করছে এবং তাদের পরিচয় পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে। উক্ত বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসার পর র‌্যাব উল্লেখিত চক্রটিকে সনাক্ত এবং গ্রেফতারের নিমিত্তে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

    ৩। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভাস্থ দি কক্স সিটি সুপার মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধনকৃত সিম বিক্রি করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে এবং ২৩/০৭/২০২২ তারিখ আনুমানিক ১৯.৪৫ ঘটিকায় উল্লেখিত স্থান হতে অবৈধভাবে নিবন্ধিত ২০৪ টি সিমকার্ডসহ ১। মোঃ জাহিদ (১৯), পিতা-মোঃ জামাল, সাং-পাহাড়তলী, নতুনবাজার, ০৭ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার; ২। মোঃ ফারুক (১৯), পিতা-খুরশেদ আলম, সাং-বদরমোকান, ০৩ নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার; ৩। মোঃ ইলিয়াস (২৭), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, সাং-খাজা মঞ্জিল, ০৯ নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার; ৪। সুজন সাহা (৩০), পিতা-কালীপদ সাহা, সাং-সদর হসপিটাল রোড, বঙ্গপাহাড়, ১০ নং ওয়ার্ড, থানা- সদর, জেলা-কক্সবাজার; ৫। জয় বিশ্বাস (২৪) (মূলহোতা), পিতা-জীবন বিশ্বাস, সাং-হরিজনপাড়া, হাসপাতাল রোড, ০৯ নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারদের গ্রেফতার করা হয়।

    ৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কক্সবাজারের অবৈধভাবে সিমকার্ড বিক্রির মূলহোতা জয় বিশ্বাস জানায়, সে দীর্ঘদিন একটি টেলিকম অপারেটরে চাকুরী করতো এবং সেখান থেকে একটি সিমকার্ড কিভাবে অবৈধভাবে সচল ও ব্যবহার করা যায় সেই ধারনা নেয়। তার এক সহকর্মী (ব্যাচমেট) চট্টগ্রামের একটি টেলিকম কোম্পানীতে বর্তমানে চাকুরীরত আছে এবং সে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ পন্থায় সিমকার্ড সংগ্রহ করে তা কক্সবাজারের জয় বিশ্বাস এর নিকট পাঠাতো ও জয় বিশ্বাস কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো চড়া মূল্যে বিক্রি করতো।

    ৫। অবৈধভাবে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, টেলিকম কোম্পানীতে চাকুরীরতদের (চক্রের সদস্য) নিকট কোন গ্রাহক সিমকার্ড পরিবর্তন করতে আসলে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যেকোন একটি সমস্যা দেখিয়ে ২য় বারও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিমকার্ড পরিবর্তন করে দেয়া হতো। অতঃপর গ্রাহকদের ১ম বার আঙ্গুলের ছাপ তাদের সংগ্রহে রেখে অন্য একটি সিমকার্ড ওই গ্রাহকদের নামে রেজিস্ট্রেশন করতো এবং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে সরবরাহ করতো।

    ৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

     

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। গত ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার বন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা হয়ে প্রীতিলতা হল সংলগ্ন রাস্তায় যাওয়ার পথে ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.১৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ০৫ জন লোক বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের পথরোধ করে জেরা করতে থাকে এবং অহেতুক মারধর করতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী বাধা প্রদান করলে তারা এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষি,লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে আসামীরা ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুকে জোর পূর্বক বেগম ফজিলাতুন নেছা হলের পিছনে ইটের রাস্তা দিয়ে ঝোপ ঝাড়ের দিকে মারধর করতে করতে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেশনে এবং কোন বিভাগে পড়াশুনা করেন। মারধরের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাদের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে শ্লীলতাহানী করে ও অশ্লিল ভিডিও ধারন করে। আসামীদের একজন হুমকি প্রদান করে বলে যে, তার সাহিত শারিরীক সম্পর্ক না করলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। অজ্ঞাতনামা আসামীরা অবৈধভাবে একঘন্টা আটক করে রেখে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুর ০২টি মোবাইল সেট ও নগদ ১৩৭০০/- টাকা আত্বসাত করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে গত ২০/০৭/২০২২ খ্রি: চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানার মামলা নং- ১৭ তারিখ-২০/০৭/২০২২ খ্রি: ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধণী ২০০৩) এর ১০ তৎসহ ১৪৩/৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করে।

    ৩। মামলাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হওয়ার কারনে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী এবং ব্যাপক তৎপরতা অব্যহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে ২২/০৪/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামী ১। মোঃ আজিম(২৩) পিতা,মোঃ আমির হোসেন, সাং-চর ভারত সেন,থানা-হাতিয়া,জেলা-নোয়াখালী,এপি-ফতেহপুর, ০৪ নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র), ২। মোঃ নুর হোসেন @শাওন(২২),পিতা-জাবেদ হোসেন, সাং-ফতেহপুর,ওয়ার্ড নং-০৩,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম,(হাটহাজারী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র),৩। মোঃ নুরুল আবছার,@বাবু (২২),পিতা-বেলায়েত হোসেন, সাং-বেড়াবাড়ি,থানা-পশুরাম,জেলা-ফেনী,এপি-সাং-ফতেহপুর, ০৪নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম, (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র) এবং ৪। মোঃ মাসুদ রানা @মাসুদ (২২),পিতা-আঃ মান্নান, সাং- আশিয়ার,থান+জেলা-ঝালকাঠি, (হাটহাজারী কলেজের অর্নাস এর ২য় বর্ষের ছাত্র) দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীরা উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে ও মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে অকপটে স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • দিন-দুপুরে চলছে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ঘুষের দূর্নীতি

    দিন-দুপুরে চলছে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ঘুষের দূর্নীতি

    বিশেষ প্রতিনিধিঃটেকনাফ উপজেলা

    বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুপাতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আইডি কার্ড করার জন্য টেকনাফ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের যুবক-যুবতীরা ফাইল জমা দেয়,এই ফাইলগুলো তদারকি করে অনুমানিক ৩ মাস পর যাদের ফাইলের সব ডকুমেন্টস ঠিক আছে তাদের মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে দেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে।পরে যুবক-যুবতীরা অফিস থেকে ফাইল নিয়ে ছবি উঠানোর জন্য যাওয়া শুরু করে, তারই ধারাবাহিকতায় আজ কিছু মানুষ ছবি করার জন্য আসলে তাদের থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের ফারুক নামের একজন সহকর্মী মানুষ থেকে ঘুষ নেওয়ার দাবি করে। তিনি বলেন,টাকা ছাড়া কোন ধরনের ফাইল দেওয়া যাবে না।কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,ফাইল জমা দেওয়ার সময়ও টাকা নেওয়া হয়নি,বিধায় এখন টাকা ছাড়া ফাইল দেওয়া যাবে না। আর যারা টাকা ছাড়া ফাইল নেওয়ার চেষ্টা করে, তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি আর গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়।পরে তাদের থেকে কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে তারা উপরে উল্লেখিত তার কথাগুলো তুলে ধরে।স্থানীয়রা আরও বলেন,আমাদের সামনে ২ জন থেকে টাকা নেয় ৫০০ টাকা করে।তাদের মধ্যে একজন পুরুষ,নাম তার মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন যিনি বাহারছড়া ইউনিয়নের একজন শিক্ষার্থী,অন্য একজন হলেন মহিলা,নাম তার আকলিমা সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার বাসিন্দা।পরে তাদের হাতে ফাইলগুলো দিলে তারা ছবি তুলে চলে আসে।
    তারা বলেন,এইরকম হলে আমরা কিভাবে আইডি কার্ড করবো?যে আইডি ছাড়া দেশে চলাফেরা করা অসম্ভব,শুধু তা-ই নই,সবকিছু অসম্ভব হয়ে পড়ে,সে আইডি কার্ড করতে সরকারি ফি ছাড়া অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ঘুষ নেওয়া কে বেমানান বলে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আবেদন করেন স্থানীয় মানুষেরা।কেন্দ্রীয় নির্বাচন অফিসার সহ কক্সবাজার জেলার নির্বাচন অফিসারের কাছে তারা আরও বলেন, যদি তাকে বরখাস্ত করা না হয় তাহলে আমরা কার্ড করবো না বলে দাবি জানান,স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় নির্বাচন অফিসার সহ কক্সবাজার জেলার নির্বাচন অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

  • উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও মুক্তি কক্সবাজার এর লার্নিং সেন্টারে কর্মরত এক শিক্ষিকাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে রোহিঙ্গা যুবক।

    মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ক্যাম্প-২ ওয়েস্ট এর ১৮ নম্বর লার্নিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষিকার নাম ডেইজি বড়ুয়া।

    মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, মাদকাসক্ত এক রোহিঙ্গা যুবক হঠাৎ লার্নিং সেন্টারে ঢুকে ডেইজিকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাস্পাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। আপনি যদি বাজারে থাকেন clothes, আমাদের প্ল্যাটফর্ম আপনার সেরা পছন্দ! সবচেয়ে বড় শপিং মল!
    তিনি জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে। মুক্তি কক্সবাজার এর পক্ষ থেকে আহত শিক্ষিকার চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে৷ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

  • মিয়ানমারের পণ‍্য ও ইয়াবাসহ আটক ১

    মিয়ানমারের পণ‍্য ও ইয়াবাসহ আটক ১

    ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ কোস্টগার্ডের অভিযানে ১৫ হাজার ৩শ পিস ইয়াবাসহ ১জন আটক হয়েছে।আটককৃত ব‍্যক্তি হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী ৯নং ওয়ার্ডের দিল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আবু তাহের। বুধবার(১৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে কেরুনতলী ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    কোস্ট গার্ড পুর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে.এস এম তাহসিন রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ,বুধবার ১৫ জুন কেরুনতলী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় মাদক পাচার হবে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক টেকনাফ থানাধীন কেরুনতলী ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান চলাকালীন সময় আনুমানিক ২ ঘটিকায় কেরুনতলী খালে একজন ব্যক্তিকে কিছু বস্তা পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে আসতে দেখা যায় ।লোকটিকে সন্দেহজনক মনে হলে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাকে থামার সংকেত দেয় কিন্তু লোকটি না থেমে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।এমতাবস্থায় কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে মো.তাহের ( ২৫ )কে আটক করে।

    তিনি আরও জানান,পরবর্তীতে বস্তাটি তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় চায়ের প্যাকেটে লুকায়িত অবস্থায় ১৫হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা , ১৩২ প্যাকেট রিচ কফি , ৮৫ প্যাকেট হ্যাপি টি মিক্স এবং ২৭ প্যাকেট ক্যালসিয়াম পাউডার জব্দ করা হয়।
    জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী
    আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার ৩জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩

    চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার ৩জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুর র‍্যাব-১৩ এর আভিযানিক দল গতকাল ভোর রাতে গাইবান্ধা জেলার গবিন্ধগঞ্জ থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চাঞ্চল্যকর ৭বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগের ৩ আসামীকে গেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ । ১২ বছরের কম বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করলে জ্বিনের আছর থেকে মুক্তি পায়ো যাবে। এমন কুসংস্কারে শিকার হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭ বছরের এক শিশু কন্যা।

    ওই শিশু ধর্ষণ মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হল গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ খলেয়া কাহারটারী গ্রামের মেজবাউল হক ঘুটু (২৮), ঘুটুর বাবা আজহারুল ইসলাম (৫০) ও সূর্যিনা বেগম (২২)। তাদেরকে শনিবার সকালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে নগরীর আলমনগরস্থ র‌্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২ জুন স্কুলে যাওয়ার পথে ওই শিশুর সাথে দেখা হয় কাহারটারীর সূর্যিনা বেগমের। এ সময় টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সূর্যিনা স্কুলে শেষে ওই শিশুকে তার বাড়িতে আসতে বলে। স্কুল শেষে শিশুটি সূর্যিনার বাড়িতে আসে। এ সময় সূর্যিনা তাকে মোবাইল ফোনে গান শোনায়, অশ্লীল ছবি দেখানোসহ নানা গল্প-গুজব করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে সূর্যিনার ঘরে ঘুটু প্রবেশ করে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলেও সূর্যিনা ও ঘুটুর বাবা আজহারুল এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে সূর্যিনা ও আজহারুলের সহযোগিতা ঘুটু ওই শিশুকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে সবকিছু খুলে বলে শিশুটি। পরে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ৪ জুন শিশুটির বাবা গঙ্গাচড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।

    র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুটু জানিয়েছে তার উপর জ্বিনের আছর ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা বিশ্বাস করতো। এজন্য ঘুটু স্থানীয় বিভিন্ন হাতুড়ি চিকিৎসক ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করিয়েছিল। একজন কবিরাজ ঘুটুকে জানায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করলে জ্বিনের আছর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ অপবিশ্বাস ও কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে ঘুটু, তার বাবা ও সূর্যিনার সহযোগিতায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। তবে এ বিষয়ে আরও অধিকতর তদন্ত চলছে বলে জানায় র‌্যাবের কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‍্যাবের অধিনায়ক।##