Category: আইন আদালত

  • আনোয়ারায় জাটকা ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ

    আনোয়ারায় জাটকা ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ

    আনোয়ারা প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায় রায়পুর ইউনিয়নে গহিরা এলাকায় একটি মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে দুইশত কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

    সোমবার (৪ জানুয়ারি) রায়পুর ইউনিয়নের ফকির হাট এলাকায় উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক অভিযান চালিয়ে এই জাটকাগুলো জব্দ করেন।জব্দকৃত জাটকা সমূহ স্থানীয় আটটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শেখ জুবায়ের আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব জামিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব ফেরদৌস হোসেন ও চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইয়াছিন হিরু।

  • উখিয়ায় বনবিভাগের পৃথক অভিযান,৮ একর বনভূমি উদ্ধার

    উখিয়ায় বনবিভাগের পৃথক অভিযান,৮ একর বনভূমি উদ্ধার

    মোঃ শহিদ উখিয়া

     

    কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পৃথক অভিযান পরিচালনা করে বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মোট ৮ একর বেদখল বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

    আজ বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরের দিকনির্দেশনায় উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলম বিট কর্মকর্তা ও বনপ্রহরীদের সাথে নিয়ে উখিয়া সদর বিটের শিলেরছড়া নামক স্হানে অভিযান চালিয়ে বনভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে ৫ একর বনভূমি দখল মুক্ত করে।

    দিনব্যাপী অপর অভিযানে উখিয়া রেন্জের থাইঃখালী বিটের আওতাধীন বনভূমিতে সিমেন্টের পিলার দিয়ে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা কালীন অভিযান করে তা উচ্ছেদ করে। এসময় অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে ৩ একর বনভূমি দখল মুক্ত করা হয়।

    এবিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,কিছু ভূমিদস্যু বনভূমিতে অবৈধভাবে স্হাপনা নির্মাণ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তা উচ্ছেদ করে ৮ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়, এবং চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

  • আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আল্লামা আহমদ শফীর রহ. এর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করে তদন্তের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এবং ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ। ১৬ ডিসেম্বর ( বুধবার ) সকালে চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী, হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ন সচিব মাইনুদ্দিন5 রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহসহ শফীপন্থী আরও নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাবো, পেছনের দিকে যাবো না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু। আমাদের আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের স্বর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে কারা ষড়যন্ত্র করেছে সঠিক সময় আসলেই জাতির কাছে আমরা সব প্রকাশ করব। আল্লামা আহম্মদ শফীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়ে সরকার যদি উদ্যোগী না হয়। তাহলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।

    এ ছাড়াও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর কান্ডে এককভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দায়ী বলেও দাবি করেন মুফতী ফয়জুল্লাহ।

    ঐ অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দিন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ন‍্যাক‍্যার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।

    মাইনুদ্দিন রুহী বলেন, বর্তমান হেফাজতের ইসলামের ১৫১ কমিটির মধ্যে জুনায়েদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ২২ জন আত্মীয় স্বজন রয়েছে। জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম নামে একটা দলের ৩৭ জন স্থান পেয়েছে বাবুনগরীর এই কমিটিতে। হেফাজতের বর্তমান তথাকথিত কমিটি একটা স্বজনপ্রীতির ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাকে পাকাপুক্ত করতে জুনায়েদ বাবুনগরী নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের থেকে ২২ জনকে হেফাজতের কমিটিতে রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন মইনুদ্দীন রুহী।

    ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অভিযোগ, আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ।

    এ অনুষ্ঠানে মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী জুনায়েদ বাবুনগরী। সেদিন আল্লামা শফি মুখ ফুটে কোনো শব্দ বলেনি। শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠান ৬টায় শেষ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান হেফাজত আমিরের নিজের ইচ্ছায় শাপলা চত্বরের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। শাপলা চত্বরে যারা আহত হয়েছিল তাদের জন্য ফান্ড গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বাবুনগরীর খামখেয়ালির কারণে সেটিও করা হয়নি বলে অভিযোগ মাওলানা সলিমুল্লাহর।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ওসি প্রদীপ এর মাদক কারবারি জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের তথ‌্য জেনে ফেলায় হত‌্যার শিকার হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহাকে হত্যার পর বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।’

    আশিক বিল্লাহ জানান, ইয়াবা ব্যবসা বিষয়ে মেজর সিনহা ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি আগে সিনহাকে হুমকি দেন ও পরে হত্যা করেন। টেকনাফে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণকালে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ইয়াবা কারবারে প্রদীপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পান সিনহা। পাশাপাশি প্রদীপের বহুমুখী নির্যাতনের তথ্যও পান তিনি। এ নিয়ে টেকনাফ থানাতেই সিনহাকে হুমকি দেন ওসি প্রদীপ।

    তিনি বলেন, ‘মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছেন র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা।

    র‌্যাবের আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক বলেন, ‘তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওসি প্রদীপের নির্দেশেই পরিদর্শক লিয়াকত পাঁচ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সিনহাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ১৫ জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কনস্টেবল সাগর দেবনাথ এখনও পলাতক। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, চার্জশিটে সে সুপারিশ করা হয়েছে।’

    রোববার (১৩ ডিসেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র‌্যাব। সকালে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের সদস্যরা। সাড়ে ১০টার দিকে বিচারক তামান্না ফারাহর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

    গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলীকে।

    মামলার পর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

  • জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেছেন, নাস্তিক্যবাদের দোসর, ব্রাহ্মণ্যবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ভুঁইফোড় সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানীত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র করে হয়রানির অপচেষ্টা দেশের আপামর তৌহিদি জনতা প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ।

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মাওলানা মুসা বিন ইযহার আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়ে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ভুঁইফোড় এই সংগঠনটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঘৃন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের একের পর এক সন্ত্রাসমূলক জঙ্গি তৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

    তিনি বলেন, মানুষকে ভ্রান্তি, কুফর শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। সেই দায় থেকে মানুষের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য নির্মাণের মত একটি জঘন্য গুনাহের কাজের বিরোধিতা করায় ওলামায়ে কেরামের মানহানি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও সমালোচনা করার মাধ্যমে একটি মহল কোরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান এর বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে খোদাদ্রোহিতায় লিপ্ত হয়েছে। জাতীয় জীবনে ও সাম্প্রদায়িক ক্ষেত্রে উস্কানিমূলক অপতৎপরতার মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি কারি এই মহলের ঘৃন্য কর্মকাণ্ড দেশের আপামর তৌহিদী জনতা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, সহকারী অর্থ সচিব মাওলানা আনোয়ারুল কবীর, ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তসলীমুদ্দীন আহমদ, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক সাখী এবং ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

    সভায় আগামী ২৮ জনুয়ারি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির জাতীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে জাতীয় সম্মেলন কে সফল করার জন্য পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

  • উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    মোঃ শহিদ, উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে।

    ৩ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার)দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকষ দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এলাকার একটি বাজার হতে সৈয়দ আলম (৪০)কে ৪ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    আটক সৈয়দ আলম পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার মৃত জলিল আহমদের পুত্র।সে ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এমনটি জানিয়েছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোরশেদ।

  • আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

    আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ১৫নং ঘাটে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ঘাট পারাপার বোটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুইজন মাঝিকে আটক করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (০৩) ডিসেম্বর সিইউএফএল ১৫নং ঘাট এলাকায় আনোয়ারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    উক্ত অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ জানান,এই ঘাট দিয়ে একটি বোটে ২৫ জনের অধিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও আমাদের কাছে বোটের মাঝিরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগ আসে।
    তিনি আরো জানান,এক্ষেত্রে যাত্রীদের নদী পারাপারে সর্বোচ্চ ২৫ জন যাত্রী ব্যতীত অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারে সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান।

  • কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান (শিমু) ওরফে ভাইয়া বাহীনি বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই প্রতিবাদ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুময়ুন কবির কেরামত, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড বদিউর রহমান বন্টিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী জেলা কমান্ড এম,এ হালিম প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারে কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করেন, চাঁদা টাকা না দেয়ার কারনে বরর্বরচিত হামলা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলাকে তিব্রনিন্দা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি যানিয়েছেন।

    মানববন্ধন শেষে সকাল ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্যে কলাপাড়া উপজেলা কমান্ড বদিউর রহমান বল্টিন বলেন,দেশ স্বাধীন করার ৪৮ বছর পরেও আমাদের কে পদে পদে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এমনকি আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে মার খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার (৬৬ গেজেট নং-৭৪০ লাল মুক্তিবার্তা নম্বর- ৬০৩০৫০১৬, তারউপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় তিনি বর্তমানে শেরে-এ- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

    চাাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোঃ মশিউর রহমান শিমু,খাদিজা আক্তার এলিজা, মোঃ বাশার হাওলাদার , মোঃ নেছার হাওলাদার, মোঃ জহিরুল,রুবেল মৃধা মোঃ খলিল মৃধা সহ একাধীক সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের উপর হামলা করছেন বলে উল্লেখ করেণ। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। চাঁদা দেয়ার জন্য নয়, দূনির্তী বাজদের জন্য নয়,সন্ত্রাসীদের জন্য নয়। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার। এই চাঁদাবাজ,দূনির্তীবাজ ভাইয়া বাহীনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনকে তড়িৎ গতিতে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন।

    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া প্রতিনিধি
    ০১.১২.২০২০

  • ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার তজুমুদ্দিনে ৪নং ওয়ার্ড, চাদপুর গ্রামের বিধবা নারী ও দুইসন্তানের জননী শ্রীমতী জয়া রানী কর্মকার (৩২)পিতা.শ্রী ননী গোপাল কর্মকারকে বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার সংসার পাতিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তথ্যপ্রমাণ ও ঘটনার বর্ননা ঐ নারী অভিযোগে জানান,ভোলার পৌর চরনোবাদ ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিনাশ মাঝি(৩২)পিতা.মৃত সত্য রঞ্জন দাস দুইবছর শাখা সিধুর পরিয়ে,ভুয়া ঠাকুর দিয়ে মন্ত্র পরিয়ে ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বিধবা জয়া রানীর সাথে সংসারের নামে ধর্ষণ করে সহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার স্বামী সংকর কুমার রায় ভোলার পাওয়ার হাউজে চাকুরির সুবাদে শহরের কে-জাহান মার্কেটের ময়ুরী ফ্যাশন টেইলারিং দোকানের কর্মচারী অভিনাষ মাঝির সাথে ২০১৮ সালে পোষাক তৈরী করার সুবাদে তার স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিচয়ের সুত্রপাত ঘটে। স্বামীর চাকুরির অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ৩মাস পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী মারা যায়। স্বামী বিয়োগের পর বিধবা জয়া রানী তার দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ ও ভরনপোষণ চালাতে জীবন যুদ্ধে জীবকা অর্জন উপায়ে সেলাইয়ের প্রশিক্ষন ও টেইলারিং কাজে উপার্জনের পথ বেছে নেয়।আর টেইলারিং কাজের সুত্রধরে অভিনাষ মাঝির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।ভোলার পৌর শহরে ৫নং ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদারের দুই বেড বিশিষ্ট বাড়ির নীচতলায় শিশুসন্তান নিয়ে পেটপুজো করে বসবাস করে। এ সুযোগটি কাজে লাগায় লম্পট ও দূশ্চরিত্র টেইলারিং অভিনাশ মাঝি।স্বামীর ঘনিষ্ঠতা ও নিত্যকার যোগাযোগ এবং টেইলার কাজের বাহানায় কু-মতলবে সম্পর্কের দরুন কুপ্রস্তাবে দেয়।এ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিধবা নারী বিষয়টি বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার জানায়।এরপর মালিক কতৃক তাকে নিষেধ করার সত্ত্বেও নিজ কৌশল অবলম্বন করে জয়া রানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।এবং তার নাবালক দুটি অবুজ শিশুদের সকল ভরনপোষণ সহ যাবতীয় দায়ভার গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন লক্ষে হঠাৎ হিন্দু ধর্মাবলম্বী রীতিনীতি অনুযায়ী অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে ঠাকুর পরিচয়ে সেই রাতেই শাঁখা সিধুুর পরিয়ে বিয়ের হিন্দু ধর্মের সাত-পাকে ঘুরে মন্ত্র পরে প্রতারণা মুলক বিবাহ সম্পন্ন করে। এমতাবস্থায় স্বামী হারা নারীর ও শিশুসন্তানদের প্রতি তার দরদ দেখে অাকৃষ্ট হয়।তার বড়বোন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্চনা রানীর,ভগ্নীপতি নরউত্তম চন্দ্র ঘরামীকে সাক্ষী করে স্বামী-স্ত্রী ন্যায় সংসার পাতিয়ে দৈহিক সম্পর্কে একাধিক ধর্ষণের স্বীকার হয়।এবং দুইবার অন্তসত্বা হলেও লম্পট স্বামীর কৌশলী অনুরোধে সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্যহয় বলে জানান।

    সাংসারিক সম্পর্কের দরুন কাপড়ের ব্যবসার নামকরে প্রতারক অভিনাশ তার মৃত স্বামীর জমাকৃত নগদ দুইলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।আবার কয়েকমাস পর স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করেও তিনলাখ টাকা প্রতারণা আত্মসাৎ করে। এদিকে টাকার হিসেব না পাওয়া ও বিয়ের রেজিস্ট্রারি কালক্ষেপণ ও নিত্যকার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন নাটকীয়তা দেখে পরিবারের সদস্যদের জানায় জয়া রানী কর্মকার।

    পরে ১০নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে পরিবারের চাপে নয়া কৌশলে ভোলার শহরে ভারা বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তজুমুদ্দিনে তার পিত্রালয়ে ব্যাবসা ও বিবাহের রেজিস্ট্রার সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে অবিনাষের স্বামী /স্ত্রী অধিকারে একাধিক রাত্রিযাপন ও ধর্ষণের স্বীকার হয় অসহায় জয়ারানী।

    গত ১০/১১/২০২০ ইং তারিখে তজুমুদ্দিনে পিত্রালয় রেখে কৌশলে ভোলা শহরে আসে। হটাৎ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধকরে দেয়।পারিবারিক অজুহাতে অন্যত্র বিয়ে করার চাপ রয়েছে বলে জানায়।সর্বশেষ বিধবার সাথে সংসার ও পাচ লাখ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তার প্রতারনার মুখোশ আত্মপ্রকাশ করে অভিনাশ মাঝি।

    এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা এক সমাজের বিধবা নারী যখন সামাজিক ভাবে সৃকৃতি পেতে বিভিন্ন মহলে ঘুরে সব প্রচেষ্টা শেষে আইনগত সহয়তা পেতে, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি তুলে নিতেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয় অভিনাষ।পরে ২৭নভেম্বর২০২০ইং তারিখে ফের অন্য এক নারীকে গোপনে বিয়ে করে বলে জানতে পারে।

    এবিয়ের ঠেকাতে দিশেহারা এ নারী অভিযোগ নিয়ে ভোলার সদর থানায় ছুটে যান।
    এব্যাপারে সদর থানার ওসি মো.এনায়েত হোসেন তদন্তকরে জানান,যেহেতু ভিকটিমের বাড়ি তজুমুদ্দিনে এবং বিবাহের রেজিস্ট্রার সনদও নেই।বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় তজুমুদ্দিনে থানাধীন।তদন্ত রিপোর্ট না পেতে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনসংগত নয়।

    অভিনাশ ও জয়ারানীর ঘটনার সত্যতা জানতে ভোলা পৌর ৫নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার ও তার স্ত্রী সুমি তালুকদার উভয়ে মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক ভারা থাকা অবস্থায় হয়।এছাড়া অভিনাশের আসা যাওয়া ও রাত্রিযাপন দেখে তারা সতর্ক করলেও তা চলমান রাখেন বলে জানায়।রাহাত তালুকদার বলেন, একবার অভিনাষকে গভীর রাতে আটক করলে উভয়ের মধ্যে গোপন বিবাহের হওয়ার স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি মেনে নেয় তারা।

    এবিষয়ে তজুমুদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের মামলাটি গত (২৪নভেম্বর ২০২০)ইং তারিখে পুলিশ কে তদন্তভার দেয়। এবং তদন্তের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ ও তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামি অভিনাশ এর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানায়।

    এবিষয়ে ধর্ষিতা ও অন্যন্যদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনিমেশ মাঝির কাছে জানতে চাইলে,তিনি ঘটনার বর্ননায় করে জয়ারানীর সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা স্বীকার করেন।সে সম্পর্কের সুবাদে তিনি তার ভারা বাড়িতেও তিনি একাদিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থের লেনদেন ছিল সেটা স্বীকার করেন।তবে ধর্মীয় রীতির অবৈধ সংসার ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।অভিনাশ জানান স্থানীয় পর্যায়ে এনিয়ে শালিসি সিদ্ধান্ত হলে উভয়ের মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্থানীয় বিচারে তা মিমাংসা করা হয় বলেও জানায় নারী ও শিশু মামলার আসামি অভিনাশ মাঝি।