Category: আইন আদালত

  • বাঁশখালী চাম্বল টু চট্টগ্রাম এস আলম বাস সার্ভিস চালু

    বাঁশখালী চাম্বল টু চট্টগ্রাম এস আলম বাস সার্ভিস চালু

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    অবশেষে চালু হয়েছে বাঁশখালী টু চট্টগ্রাম এস আলম বাস সার্ভিস। আজ রবিবার (২২ নভেম্বর ২০২০) সকাল ১১ টায় বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলে,
    চাম্বল ইউনিয়ন এর সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এস আলম সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাঁশখালীর সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাঁশখালী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শফিউল কবির, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ, বাঁশখালী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম তোফাইল বিন হোসাইন, মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদুল ইসলাম, বাঁশখালী যাত্রী কল্যাণ পরিষদের বিপ্লবী যুব নেতা সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনসুর আলী, কাউন্সিলর আজগর হোসেন, মেম্বার রশিদ আহমেদ, মেম্বার জামাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমরা বাঁশখালীতে এস আলম বাস সার্ভিস উদ্বোধন করতে পারছি এটা আনন্দের বিষয়। ২০২২ সালে এস আলমের উদ্যোগে বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন হবে। এই প্রকল্প উদ্বোধন হলে বাঁশখালীতে আর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।’

    প্রধান অতিথি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি ফিতা কেটে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলের কাউন্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে বাঁশখালীতে এই সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগে প্রধান অতিথি এস আলম বাসে চড়ে পৌরসভা থেকে উপজেলা সদরে আসেন। এই সার্ভিসে উপজেলা থেকে ১০০ টাকা এবং চাম্বল থেকে ১১০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য- এর আগে বাঁশখালীতে এস আলম বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে বেশ জোরালো আন্দোলন হয়। ইউএনও, জেলা প্রশাসককে দেয়া হয় স্মারকলিপি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি। অবশেষে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রী সাধারণ আনন্দ প্রকাশ করেছে।

  • উখিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২

    উখিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২

    • মোঃ শহিদ, উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট থেকে সাড়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

    ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই কক্সবাজার এর যুগ্ম পরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ এপিবিএন’র সহ অধিনায়ক রাকিব খান এর সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ২ ইস্ট এ ব্লকের ডিআরসি ফটক সংলগ্ন সড়ক থেকে ৭,৫০০ (সাত হাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবাসহ ক্যাম্প-১৩ ব্লকঃ বি-৩ এফসিএন ২০৮৫২৪ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা মো রফিকের ছেলে মোহাম্মদ আজিম(২১) ও
    ক্যাম্প-৮ ইস্ট ব্লক বি-১৫ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা হাসু মিয়ার ছেলে হামিদুল্লাহ (২৩)কে আটক করা হয়।
    এ ব্যাপারে আটককৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তরে আইনী প্রক্রিয়া চলছে বলে এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক নিশ্চিত করেন।

  • তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা’ সেই নরপিশাচ স্বামী রাসেল গ্রেপ্তার

    তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা’ সেই নরপিশাচ স্বামী রাসেল গ্রেপ্তার

    • আলমগীর ইসলামাবাদী
    • চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

     

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যৌতুক চেয়ে না পেয়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পেট্রল ঢেলে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গোয়ালপুরা গ্রামের সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে।

     

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এ খালেদ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

     

    ওই গৃহবধূর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    এ খালেদ, সহকারী অধ্যাপক, বার্ন ইউনিট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

    ঘটনার শিকার নারীর নাম ইয়াছমিন আকতার (৩০)। তিনি উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার হারুনুর রশিদের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাছেল (৩০)। তিনি সন্দ্বীপপাড়ার মৃত মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে রাছেল পলাতক ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

     

    এর আগে বিকেল ৪টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ।

     

    ইয়াছমিনের চাচা চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউপির সদস্য আবদুল মালেক বলেন, ইয়াছমিনের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে বিয়ে হয় রাছেলের। তাঁদের সংসারে ৫ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

     

    যৌতুকের দাবিতে ইয়াছমিনকে প্রায়ই নির্যাতন করত জামাতা রাছেল। যৌতুক নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে শুক্রবার ভোররাতে রাছেল ইয়াছমিনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার পর রাছেল আমাকে ফোন করে। এ সময় সে মুঠোফোনে বলে, ‘তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা।’

    হারুনুর রশিদ,

    ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, যৌতুকের দাবিতে ইয়াছমিনকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন জামাতা রাছেল। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো তাঁরা ঘুমাতে যান। এ সময় যৌতুক নিয়ে তাঁদের মধ্যে অন্য দিনের মতোই কথা-কাটাকাটি হয়। শুক্রবার ভোররাতে রাছেল ইয়াছমিনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার পর রাছেল শ্বশুর হারুনুর রশিদকে ফোন করেন। এ সময় রাসেল মুঠোফোনে বলেন, ‘তুর মেয়েকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি, এসে নিয়ে যা।’ হারুনুর রশিদ বলেন, আগুনে ইয়াছমিনের শরীরের নিচের অংশ ঝলসে গেছে। তিনি রাছেলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

     

    চট্টগ্রামের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বুধবার ১৮ নভেম্বর ২০২০খ্রি.
    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় পুলিশ লাইন্স সিভিক সেন্টারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় ফোর্সের সামগ্রিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও বাস্তবায়নে নানাবিধ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ফোর্সের বিভিন্ন সমস্যার কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপর (দক্ষিণ) জনাব আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মো: জাহাংগীর, সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ সুপারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদবীর অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

  • আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২ যুবক

    আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২ যুবক

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা প্রতিনিধি

    আনোয়ারায় চোরা মোটর সাইকেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের চৌকিদার পাড়ায় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের চোরাইকৃত মোটর সাইকেলটি জবদ্ধ করা হয়েছে।

    আনোয়ারা থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট এলাকায় একটি চোরাই মোটর সাইকেল কেনা-বেচা চলছে এখবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে একটি টিভিএস মোটর সাইকেলসহ ইয়াছির আরাফাত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে মানিক নামে আরেক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময়ে বান্দরবন জেলার লামা উপজেলার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র আবদুর রহমান পালিয়ে যায়। তবে এরা দুইজনে পালিয়ে যাওয়া আরাফাতের কাছ থেকে গাড়িটি ক্রয় করছিলো বলে জানিয়েছে তারা। গ্রেপ্তারকৃতরা হল বটতলী হলদিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র ইয়াছির আরাফাত (২১) ও মো. আইয়ূব আলীর পুত্র মো. মানিক (১৯)।

  • বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

    বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

    বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে হাজতে থাকা এক হাজতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উক্ত ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

    আজ ( ১৪ নভেম্বর ) শনিবার ভোররাতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে।

    বরিশালের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আত্মহত্যাকারী ঐ হাজতির নাম মো. হানিফ খলিফা।

    ডেপুটি জেলার আরও জানান, ঐ হাজতি বাথরুমে যাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় পরও বাথরুম থেকে ফিরে না আসার কারণে কারা রক্ষীরা তাকে খুঁজতে গিয়ে বাথরুমের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতে পান। এরপর তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য এখন মর্গে রাখা হয়েছে।

    জেলখানার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন হাজতী হানিফ খলিফা। হাসপাতালের কোয়ারেইন্টাইনের মশারী কেটে তা দিয়ে রশির মত বানিয়ে বাথরুমের পানির পাইপের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

    এই ঘটনায় ঐ সময়ে কারারক্ষী আনসার মণ্ডল ও মো. কাওছার কর্তব্যরত ছিল। তাদেরকে কর্তব্যে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

    আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হাজতি মোঃ হানিফ খলিফার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধুকাঠি গ্রামে।
    নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ১ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।

  • আদালতে কোনো আইনজীবী দাড়াননি এস আই আকবর এর পক্ষে

    আদালতে কোনো আইনজীবী দাড়াননি এস আই আকবর এর পক্ষে

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    সিলেট জেলার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির এসআই আকবরের হয়ে কোনো আইনজীবী আদালতে দাড়াননি।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আবুল কাশেম তার সাত দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন।

    সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিম জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্যই এস আই আকবরের পক্ষে দাঁড়াতে চাননি।

    তিনি আরো জানান, ‘দীর্ঘদিন পরে জঘন্য অপরাধকারী এসআই আকবর গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা আনন্দিত। আমরা আশাবাদী পিবিআইয়ের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত হবে এবং তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ ঘটনার পিছনে মূল হোতা কারা ছিলেন তা প্রকাশ পাবে।

    জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,‘সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওতেই তার জবানবন্দি প্রকাশ হয়ে গেছে। সে নিজেই বলেছে যে এই হত্যাকাণ্ডে সে একা জড়িত নয়। একই সাথে তাকে পালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে আকবর।’

    গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করে। রাতে তাকে পিবিআইয়ের হাতে তুলে হয়।

    বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য যে, গত ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। দীর্ঘ নির্যাতনের পর পরদিন ভোরে ওসমানী হাসপাতালে মারা যান তিনি।

    মৃত রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করায় রায়হান মৃত্যু হয়। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বহিষ্কৃত এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক ছিলেন।

  • পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু ; প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবর গ্রেফতার

    পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু ; প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবর গ্রেফতার

    মুহাম্মদ রকিব,,বিশেষ প্রতিনিধি।

    সিলেটের পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত এসআই আকবরকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে শেষ পযর্ন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১:৩০ এর দিকে কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্ত অঞ্চল থেকে এস আই আকবরকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা পুলিশ।

    এস আই আকবরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক সাইফুল আলম । মি. সাইফুল আলম বলেন, এসআই আকবরকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    গত ২১ অক্টোবর উক্ত ঘটনায় প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

    রায়হান হত্যা ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

    এরপর ১৪ অক্টোবর মামলাটি তপুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। তখন নিহতের শরীরে ১১১ টি আঘাতের চিহ্ন পায় তদন্ত কর্মকর্তারা। এরপর দীর্ঘ সময় পালায়ন থাকার পর আজ গ্রেফতার হলো অভিযুক্ত এস আই আকবর।

  • চট্টগ্রামে হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

    চট্টগ্রামে হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ

    চট্টগ্রাম হিন্দুসংঘের ব্যবস্থাপনায় হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক শ্লোগানের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ।

    বিষয়টির সুস্থ সুরাহা ও আইনি ব্যবস্থাপনার দাবিতে আজ(০ ৮ নভেম্বর২০২০) রবিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে দলের নেতৃবৃন্দ।

    জানা যায়, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনের কতিপয় উগ্র কর্মীদের চরমোনাই ও হেফাজতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগান বিষয়ে প্রতিকার প্রসঙ্গে, জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ ইলয়াস হোসেন ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দেকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

    প্রসঙ্গত : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কওমি আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম জাগো হিন্দু পরিষদ। এ আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা ইসলামি দলগুলো নিয়ে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিয়েছে।

    ‘মৌলবাদের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, হেফজাতের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘হেফাজতের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘চরমোনাই’র গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, কওমির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ধইরা ধইরা জবাই কর, একটা দুইটা জবাই কর’। জাগো হিন্দু পরিষদের ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে তাদের এসব স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

    এ সময় হুজুরদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আরও নানান উগ্র স্লোগান দিতে শোনা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। দলটির একজন নেতা রানা দাশ গুপ্তসহ আরও অনেক নেতারাও ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উগ্র ও সহিংস ভাষণ দিয়েছে।

    গত কয়েকদিন ধরে দেশে একের এক নবীজি সা. ইসলাম ও কোরআন অবমাননা করে আসছে বাংলাদেশের উগ্র হিন্দুরা। ধর্ম অবমাননা করায় কয়েকজন উগ্র হিন্দুকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তারা নবী সা. হযরত আয়েশা রা. ও কোরআন শরীফ নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।

    অনেকদিন ধরে এসব উগ্র হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে ইসলাম অবমাননা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছে। অপর দিকে তারাই আবার মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র হবার অভিযোগ করছে।

    সংগঠনটির পেজে বলা হয়েছে, ‘‘বছরের পর বছর ধরে এদের ভেতর অমুসলিম-হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা, ভিন্নমতের মানুষদের ঘৃণা ইনপুট করেছে আর প্রশাসন, সরকার নিরবে দেখে গেছে আমরা দেখেছি। এখন এরা দানবে পরিণত হয়েছে। এই দানবদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’’

  • মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী আটক

    মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুটক্তির অভিযোগে শ্রী আকাশ দাশন

    নামে কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

    রবিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এর আগে বিষয়টি সবার নজরে আসলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

    আটক শিক্ষার্থী উপজেলার বলাবাড়িয়া দাশ পাড়ার শ্রী প্রতাপ কুমার দাশের ছেলে ও কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজের এইচ.এস.সি অটো পাশের শিক্ষার্থী ।

    কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম জানান, আটক আকাশ কুমার দাশ বিগত ১৫দিন পূর্বে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম কে নিয়ে কুটক্তি করে। এমনকি পবিত্র কোরআনে অনেক ভুল আছে বলে মন্তব্য করে।

    বিষয়টি নিয়ে আকাশের বন্ধুরা তাকে ফেসবুকে লেখা তার এইসব বাজে মন্তব্য মুছে ফেলতে বলে। রবিবার সকালে আকাশ কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ কলেজে প্রবেশ পত্র নিতে আসে। এসময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুটক্তির বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আকাশের বাকবিতন্ড হয়। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের অধ্যক্ষ রুমে নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।