Category: আইন আদালত

  • বিরামপুরে এক যুবকের মরদহ উদ্ধার

    বিরামপুরে এক যুবকের মরদহ উদ্ধার

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    বিরামপুর পৌর শহর এলাকা দোশরা পলাশবাড়ি মৃত খাজের উদ্দীনের লিচু বাগান থেকে মাহবুব আলম সাকিব (১৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহবুব আলম সাকিব পাবর্তীপুর উপজেলার সংকরপুর গ্রামের মিন্টু প্রামানিক এর ছেলে। বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নওয়াবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে দোশরা পলাশবাড়ি মৃত খাজের উদ্দীনের লিচু বাগানে মাহবুব আলম সাকিবের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। আরো জানা যায়, নিহতের মাথায় ইট দিয়ে থেঁতলানো এবং গলায় গামছা পেঁচানো ছিলো। লাশের পরনে নীল রংয়ের লুঙ্গি ও গায়ে মিষ্টি রংয়ের টি-সার্ট রয়েছে।

    বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নওয়াবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লিচু বাগান থেকে মাহবুব আলম সাকিব নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
    নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এমআব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • চট্টগ্রাম আদালতে দুর্নীতি মামলায় আলোচিত ওসি প্রদীপের ২০ বছর, স্ত্রী চুমকির ২১ বছরের কারাদণ্ড।

    চট্টগ্রাম আদালতে দুর্নীতি মামলায় আলোচিত ওসি প্রদীপের ২০ বছর, স্ত্রী চুমকির ২১ বছরের কারাদণ্ড।

    চট্টগ্রাম আদালতে দুর্নীতি মামলায় আলোচিত ওসি প্রদীপের ২০ বছর, স্ত্রী চুমকির ২১ বছরের কারাদণ্ড।

     

    “আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,,
    অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

    বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এই রায় দেন। দুদক আইনজীবী মাহমুদুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

    দুদক সূত্র জানায়, প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

    মেজর সিনহা হত্যা মামলার পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন প্রদীপ। দুর্নীতির এই মামলায় গত ২৩ মে প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

    দুদকের মামলায় প্রদীপের যেসব অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয় তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটায় একটি ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে সেমিপাকা ঘর, ৪৫ ভরি সোনার গয়না, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারে ফ্ল্যাট।

    সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি দায়ের করা হয়।

    দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী দায়ে দায়েরকৃত এই মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

    পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তকালে টাকার অংকে কিছু পরিবর্তন আনে দুদক। ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

    অভিযোগপত্রে সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

    গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ মামলায় দুদকপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর বিচারক ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

    এই মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে দুদকের পক্ষে ২৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের ২ জন সাফাই সাক্ষী দেন। রায় ঘোষণার সময় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

     

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। গত ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার বন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা হয়ে প্রীতিলতা হল সংলগ্ন রাস্তায় যাওয়ার পথে ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.১৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ০৫ জন লোক বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের পথরোধ করে জেরা করতে থাকে এবং অহেতুক মারধর করতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী বাধা প্রদান করলে তারা এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষি,লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে আসামীরা ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুকে জোর পূর্বক বেগম ফজিলাতুন নেছা হলের পিছনে ইটের রাস্তা দিয়ে ঝোপ ঝাড়ের দিকে মারধর করতে করতে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেশনে এবং কোন বিভাগে পড়াশুনা করেন। মারধরের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাদের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে শ্লীলতাহানী করে ও অশ্লিল ভিডিও ধারন করে। আসামীদের একজন হুমকি প্রদান করে বলে যে, তার সাহিত শারিরীক সম্পর্ক না করলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। অজ্ঞাতনামা আসামীরা অবৈধভাবে একঘন্টা আটক করে রেখে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুর ০২টি মোবাইল সেট ও নগদ ১৩৭০০/- টাকা আত্বসাত করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে গত ২০/০৭/২০২২ খ্রি: চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানার মামলা নং- ১৭ তারিখ-২০/০৭/২০২২ খ্রি: ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধণী ২০০৩) এর ১০ তৎসহ ১৪৩/৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করে।

    ৩। মামলাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হওয়ার কারনে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী এবং ব্যাপক তৎপরতা অব্যহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে ২২/০৪/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামী ১। মোঃ আজিম(২৩) পিতা,মোঃ আমির হোসেন, সাং-চর ভারত সেন,থানা-হাতিয়া,জেলা-নোয়াখালী,এপি-ফতেহপুর, ০৪ নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র), ২। মোঃ নুর হোসেন @শাওন(২২),পিতা-জাবেদ হোসেন, সাং-ফতেহপুর,ওয়ার্ড নং-০৩,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম,(হাটহাজারী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র),৩। মোঃ নুরুল আবছার,@বাবু (২২),পিতা-বেলায়েত হোসেন, সাং-বেড়াবাড়ি,থানা-পশুরাম,জেলা-ফেনী,এপি-সাং-ফতেহপুর, ০৪নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম, (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র) এবং ৪। মোঃ মাসুদ রানা @মাসুদ (২২),পিতা-আঃ মান্নান, সাং- আশিয়ার,থান+জেলা-ঝালকাঠি, (হাটহাজারী কলেজের অর্নাস এর ২য় বর্ষের ছাত্র) দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীরা উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে ও মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে অকপটে স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কুয়াকাটার হোটেলে শরীয়তপুরের ৪ স্কুল শিক্ষার্থী, হোটেল রুমে মিললো কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

    স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কুয়াকাটার হোটেলে শরীয়তপুরের ৪ স্কুল শিক্ষার্থী, হোটেল রুমে মিললো কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

    ডেস্ক রিপোর্ট ||

    শরীয়তপুরের স্কুলপড়ুয়া চার বন্ধু কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠেছিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে। ওই হোটেল থেকেই তাদের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রোজগার্ডেন হোটেলের একটি রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

    নিহত ওই কিশোরী শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য তার সাথে থাকা তিনজনসহ হোটেলের ম্যানেজারকেও নিয়ে আসা হয়েছে।

    রোববার স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে চারজন আলাদা দুটি রুমে ওঠে। পরদিন সন্ধ্যায় নিহতের রুমমেট বাইরে থেকে এসে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় হোটেলের ম্যানেজারকে ডাকা হয়। পরে জানালা ভেঙে দেখা যায়, কিশোরীর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। এমন পরিস্থিতিতে থানা ও টুরিস্ট পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।

    নিহত কিশোরীর মামা সজিব রায়হান জানান, বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। বান্ধবীর বাড়িতে না গিয়ে সে যে কুয়াকাটায় গিয়েছে, তা জানা ছিল না কারো। হোটেলে কিশোরীর রুমমেট ছিল যে কিশোর, সেও বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল বলে জানান তার বাবা উজ্জল খান। তবে এই দুজনের মধ্যে প্রেমঘটিত কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তা বলতে পারেননি কেউই।

    হোটেলে ওঠা অন্য কিশোরীও বাসায় মিথ্যে বলে কুয়াকাটায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা। তিনি জানতেন তার মেয়ে স্কাউটসের ট্রেনিংয়ে আছে। এই কিশোরীর রুমমেট কিশোরও মিথ্যা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, বিয়ে তো করেইনি, বরং সে খালার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে গিয়েছে।

    মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের প্রশ্ন করে বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলে কীভাবে রুম পেলো তারা? এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করতে চান তারা। জানালেন, বিশ্লেষণ শেষেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বিরামপুরে ঝরে পড়া শিশু বিষয়ে অবহিত করণ কর্মশালা

    বিরামপুরে ঝরে পড়া শিশু বিষয়ে অবহিত করণ কর্মশালা

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

    ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে

    উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বাস্তবায়নাধিন ‘প্রত্যাশা বাংলাদেশ’ এনজিও’র আয়োজনে অবহিত করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০ টায় বিরামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে ঝরে পড়া শিশু বিষয়ে অবহিত করণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, বিশেষ অতিথি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম বানু ও মেজবাউল ইসলাম মেজবা, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম, উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার আব্দুস সালাম প্রমুখ।

    অঅবহিত করণ কর্মশালায় প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা: এআরএম আল মামুন, মৎস্য অফিসার কাওসার হোসেন, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক পারভেজ কবীর খান, প্রত্যাশা বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার কবির শোভন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন- শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন- শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন ( জয়) বান্দরবান জেলা, প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংলা ওয়াই মার্মা, নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পঃ পঃ কর্মকর্তা এ জেড এম. সেলিম, মাননীয় মন্ত্রীর প্রতিনিধি খাইরুল বাশার,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভা:) ছৈয়দ নুর,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান,
    সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন,বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলম কোম্পানি, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা,ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম,সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল,সদস্য জয়নাল আবেদীন টুক্কু,উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা ফরিদুল আলম,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: শাহবুদ্দিন দোছড়ি ইউপি সদস্য জায়তুনসহ জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনের বিষয়ে আরো আন্তরিকতার সহিত কাজ কারার আহ্বান জানান। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়

  • কক্সবাজারে উখিয়া দারোগা বাজারের অকাট্য ভাবে মারধর করায়  ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব১৫।

    কক্সবাজারে উখিয়া দারোগা বাজারের অকাট্য ভাবে মারধর করায়  ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব১৫।

    কক্সবাজারে উখিয়া দারোগা বাজারের অকাট্য ভাবে মারধর করায়  ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব১৫।
    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
    কক্সবাজারে একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভি‌ডিও প্রচারের পর র‌্যাব-১৫ গত বৃহস্প‌তিবার ২জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দি‌কে উ‌খিয়া দা‌রোগা বাজারের উপ ইজারাদার ওসমান গ‌নি ভুলু ও সাহাব উ‌দ্দিনকে আটক ক‌রে‌ছে।
    গত রমজান মা‌সে মাছবাজার এলাকায় উপ ইজারাদার ভুলু হা‌সিল আদায়ের জেরে মাথাচড়া হ‌য়ে ব‌সে।
    প্রতি‌দিন বাজা‌রে ক্রেতা বি‌ক্রেতা‌দের‌কে অশা‌লিন ভাষায় গালাগাল কর‌তে থাকে। সর্বশেষ ২৫ রমজা‌নের দিনে ডিগ‌লিয়ার এক ক্রেতা‌কে না‌কেমু‌খে ঘু‌ষি মা‌রে।
    ২৬ রমজা‌নে প‌শ্চিম সিকদার‌ বি‌লের জ‌নৈক চান‌ মিয়া‌কে মাছ কেনার সময় দরদাম জিজ্ঞাসা করায় বেধড়ক মারধর ক‌রে।
    ২৭ রমজা‌নে সা‌ড়ে ৪টার দি‌কে ভুলুর দোকা‌নের সাম‌নে ডজনখা‌নেক লো‌কের সাম‌নে এক‌টি মোবাইল প‌ড়ে গে‌লে যার মোবাইল সে নি‌য়ে নেয়। কিন্ত অপ‌রি‌চিত একজন লোক‌কে চোর আখ‌্যা দি‌য়ে লা‌ঠি‌সোটা ও ঝাড়ু দি‌য়ে বেধম মারধর ক‌রে।
    অব‌শে‌ষে মাছবাজা‌রে নালা নর্দমায় তা‌কে ধাক্কা দি‌য়ে ফে‌লে দেয়। বাধ‌্য ক‌রে ওই নালার পা‌নি‌তে ডোবায় এবং পা‌নি পানল করায়।ভিডিও‌টি সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে প্রচার হ‌লে র‌্যা‌বের দৃ‌ষ্টি গোচর হয়।
    কক্সবাজার র‌্যাব ১৫ এর হোয়াইক‌্যং ইউ‌নি‌টের এসআই নুর মোহামদ জানান,আটককৃক দৃই আসামী মাছ বাজা‌রে হা‌সি‌লের না‌মে ক্রেতা বি‌ক্রেতা‌দের নির্যাতন ক‌রে আস‌ছে।
    ভি‌ডিও ক্লিপ‌টি নজ‌রে আসার পর তদন্ত করা হয়। বৃহস্প‌তিবার ভিক‌টি‌ম র‌ফি‌কের দেখা‌নো ম‌তে ঘটনাস্থল থে‌কে দুজন‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে।
    বাজা‌রের আগত প্রত‌্যক্ষদ‌র্শিদের ম‌তে, ওই দুজনকে আট‌কের পর মাছ বাজার এলাকায় স্বস্থির নি:স্বাস ফেল‌ছে ক্রেতা ও বি‌ক্রেতারা।
    স্থানীয় ক্রেতা সাধার‌ণের রুহুল আ‌মিন জানান, আই‌নের প্রতি মানু‌ষের আস্থা বাড়‌বে।
    এভা‌বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন অপরাধী‌দের চি‌হ্নিত ক‌রে স‌ঠিক সম‌য়ে আই‌নের ব‌্যবহা‌রের মাধ‌্যমে ধরপাকড় অব‌্যাহত রাখলে প্রশাস‌নের সুনাম ব‌য়ে আন‌বে।
  • বাঁশখালীতে নিবন্ধনহীন ২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ৩ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা জরিমানা

    বাঁশখালীতে নিবন্ধনহীন ২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ৩ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা জরিমানা

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিবন্ধন না থাকায় ২ টি বেসররকারি হাসপাতাল ও ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নিবন্ধেন কাগজপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

    শনিবার (২৮ মে) বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩ টা পযর্ন্ত উপজেলা সদরের ২ টি হাসপাতাল ও ৩ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার, ডা. হীরক কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ মোতাবেক বাঁশখালী উপজেলার হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকায় বাঁশখালী এপোলো হাসপাতালকে ৩০ হাজার, মাতৃসদন হাসপাতালকে ২০ হাজার, নিউ ডেন্টাল কেয়ারকে ৫০ হাজার ও মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়। এই সময় একটি ক্লিনিক সিলগালা ও অন্য ক্লিনিকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালনায় শনিবার বাঁশখালী উপজেলার এপোলো হাসপাতাল, মাতৃসদন হাসপাতাল, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ ডেন্টাল কেয়ার ও বাঁশখালী আধুনিক হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি হাসপাতালের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেসব হাসপাতাল সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য নেওয়া হচ্ছে কি না তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

  • বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে ২ জনের জেল

    বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে ২ জনের জেল

    বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে জিল্লুর রহমান (২৫) ও শ্রীমতি বিউটি রানী দাস (২৮) নামে দুইজনকে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের মৃত. বিকাশ চন্দ্র মহন্তের স্ত্রী শ্রীমতি বিউটি রানী দাস ও পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের সাকোপাড়া গ্রামের
    মজিবর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান।

    বুধবার (১৮) সকালে উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের বৈরাগীপাড়ায় এই অভিযান চানান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান,
    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বৈরাগী পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। অনৈতিক কাজ করার দায়ে ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় জিল্লুর রহমানকে ২ মাস ও শ্রীমতি বিউটি রানী দাসকে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

  • টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চাঞ্চল্যকর মোঃ আলী উল্লাহ আলো (৭) হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন৷ একই মামলায় খালাস পেয়েছেন ২ আসামি।

    ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু, নজরুল ইসলাম ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া। এঁদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, মোঃ সুমন আলী ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া পলাতক। অন্যরা কারাগারে। খালাস পাওয়া দুজন হলেন আসামী মুহিবুল্লাহ ও মোঃ দিদার মিয়া৷ এসময় রায়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া আসামীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে।

    বাদীর আইনজীবীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফারজানা পারভীন সুইটি’র ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো-কে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কর্মচারী মোঃ সুমন আলী বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে মোঃ আলী উল্লাহ আলোকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কাচারী ঘরের সিলিং উপর তুলে তার হাত পা বেঁধে মুখে জোর করে কচটেপ লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় মোঃ আলী উল্লাহ আলো শোর চিৎকার করলে আসামী মোঃ সুমন আলী ও অন্যান্যরা মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে অপহরণ করার বিষয় বাড়ির লোকজন হয়ত জানতে পরেছে মনে করে। মোঃ আলী উল্লাহ আলো জীবিত থাকলে ঘটনা ফাঁস হতে পারে আশংকায় মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে আসামীরা সিলিং উপর জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

    এঘটনায় খুন হওয়া বিজিবি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো’র পিতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১৩/২০১১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর ৩৭০/২০১১ (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ২০৮২/২০১৮ ইংরেজি।

    মামলাটি পর্যায়ক্রমে টেকনাফ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই হারুনর রশীদ এবং টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি সিআইডি-কে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
    আদালতের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সিআইডি’র চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু, সহকারী পুলিশ সুপার এস.এম সাহাব উদ্দিন আহমদ এবং সর্বশেষ সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্টো জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির সরকার তদন্ত করে গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এজাহারভুক্ত ৫ জন সহ ৮ জন আাসামীর নাম উল্লেখ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩০২/৩৪/১০৯/১১৪ ধারায় আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন।

    সম্পূরক চার্জশীটে এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামী যথাক্রমে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার কোদ্দ নারায়নপুরের মৃত আফতাব আলীর পুত্র মোঃ সুমন আলী (২৬), ঠাকুরগাঁও জেলার নিশ্চিন্তপুরের মৃত শামছুল হকের পুত্র ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান (২৯), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুরের মৃত আসলাম মিয়ার পুত্র মোঃ ইয়াকুব (৩৪), টেকনাফের গোদার বিল গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু (৩১), টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত নবী হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলাম (২৮)। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভুত আরো ৩ জন আসামী যথাক্রমে মায়ানমারের মংডু থানার ধনচি পাড়ার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ লম্বাইয়া (৪৭), টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়ার মৃত মৌলভী আবদুল জলিলের পুত্র মহিবুল্লাহ (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিলের জাফর আহমেদের পুত্র মোঃ দিদার মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।

    মামলাটি টেকনাফের আমলী আদালত থেকে বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার ৩ জন আসামী যথাক্রমে মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান ও মোঃ ইয়াকুব ১৬৪ ধারায় আদালতে আত্মস্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

    ২০২০ সালের ২৪ জুলাই কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদেরকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর আলামত প্রদর্শন ও পর্যালোচনা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাচাই, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই, তিন জন আসামীর ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দী যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি বুধবার রায়ের দিন ধার্য্য করে৷

    রায় নিয়ে সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করে মোঃ আলী উল্লাহ আলোর বাবা মোঃ আব্দুল্লা বলেন, আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞা জানাই এবং শোকরিয়া জানাই, যারা হত্যা করেছে তাদের কে ফাঁসির আদেশ দেয়ায়৷

    তিনি বলেন, আমার সন্তানকে এ নির্মমভাবে হত্যা করতে যারা অর্থ দিয়ে যোগান দিয়েছে এবং বাহির থেকে বাড়া করে যারা খুনিদের আনছে তাদের কে খালাস দেওয়ায় খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত৷ আমি উচ্চ আদালতে তাদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করব৷

    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী পিপি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নৃশংসভাবে টেকনাফের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লার ছেলে ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ বছর মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করে দোষ প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় ছয়জনকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছে৷ এসময় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।