এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- বিরামপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে আনন্দমুখর ও দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের বিশেষ অভিযান।যানবাহনে অপ্রাপ্ত ড্রাইভিং, হেলমেট বিহীন, অতিরিক্ত যাত্রী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ৪ মে বৈকাল ৩ ঘটিকায় বিরামপুর ঢাকা মোড় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পরিমল কুমার সরকার ও বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সুমন কুমার মোহন্ত। এই অভিযান পরিচালনার জন্য বিরামপুর বাসী উপজেলা প্রশাসন ও বিরামপুর থানা প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।
Category: আইন আদালত
-
উখিয়ার বালুখালী এলাকায় র্যাব-১৫ এর অভিযানে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী বাজার এর পাশে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস অভিযানিক দল ৩০ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ ১১.৪৫ ঘটিকার দিকে উক্ত স্থানে পৌঁছলে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ১ ব্যক্তি একটি বস্তাসহ পালানোর চেষ্টাকালে নুরুল আমিন (৫০), পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, মাতা- নাছিমা বেগম, সাং-ঘুমধুম নয়াপাড়া, ইউপি-ঘুমধুম, ওয়ার্ড নং-৫, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবানকে গ্রেফতার করে। ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা লুঙ্গি দিয়ে পেচানো একটি বস্তার ভিতর হতে সর্বমোট ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
-
প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ
প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ
মিজানুর রহমান (লাভলু)সিলেটঃ
সিলেটে অনিবন্ধিত দুটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা, মনগড়া ও উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে প্রকাশিত সংবাদে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আরিফ। সৈয়দ আরিফ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার সৈয়দ তৈমছ আলীর পুত্র। বর্তমানে- সিলভেলী টাওয়ার, বি ১২, তালতলা, সিলেট।পাঠানো এক ভিন্নমত বার্তায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করে সৈয়দ আরিফ বলেন- আমি মূলত পেশায় একজন এলসি পাথরের ব্যবসায়ী। যাহার এলসি লাইসেন্স আইআরসি নং- ২৬০৩৯১১১০১২৫৫২০, টিন নং- ৮৫৬৯২১৪০৫৭১০। আমার উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা: ২৯ মেলেনিয়াম মাকের্ট নীচ তলা, জিন্দাবাজার সিলেটে অবস্থিত। আর আমি ও আমার পরিবার পূর্ব পুরুষ হইতে সম্পদশালী। এছাড়াও বর্তমানেও আমার ৩ ভাই ও ২ বোন পরিবারসহ লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার বাবা ক্যান্সার রোগে আকান্ত হওয়াতে গত (১৩ই মার্চ) ২০২২ইং তারিখ হইতে এ রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত ঢাকার ল্যাভেএইড ক্যান্সার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমিও আমার বাবার সঙ্গে ওই তারিখ হইতে এখনো পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করছি। আমি ঢাকা থাকাকালীন অবস্থায় আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে জানতে পারি যে গত বুধবার (২০ এপিল) “ভারতীয় চোরাই মোবাইলের গডফাদার আরিফ, মেকানিক থেকে কোটিপতি” শিরোনামে সিলেটের দুটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার গর্ভে আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করে বলা হয়েছে গত (১৪ এপিল) শাহপরান (রহ.) থানায় ১০০ পিস ভারতীয় চোরাই মোবাইল সহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। সেই মালামালের মালিক আমাকে আখ্যায়িত করে সংবাদটি প্রকাশিত করা হয় যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিত্তহীন। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয়স্বজন ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি উক্ত ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় ৩ জন চোরাকারবারী এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চোরাই মোবাইলের মালিক খাদিমপাড়া এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র শিপলুকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার থানার মামলা নং- ১০ তাং- ১৫-০৪-২০২২ইং। তবে এই মামলায় এখনো পলাতক রয়েছে শিপলু (৩০) নামের ওই ব্যক্তি।
তবে উল্লেখ্য, যে মামলা সুত্রে আমাকে আসামি করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই মামলার নথিপত্র আদালত হইতে সংগ্রহ করে দেখা গেছে মামলায় আমাকে সনাক্ত করে আসামি করা হয়নি কিংবা এই ঘটনার সঙ্গে বাস্তবেও আমার কোন যোগসুত্র নাই।
প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়াও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রী মহল আমাকে কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে প্রতিবেদককে উৎকোচের বিনিময়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করাচ্ছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি এরকম মিথ্যা সংবাদ আমি অথবা যে কারো বিরুদ্ধে সংগ্রহ কিংবা ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা থেকে প্রতিবেদকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান সৈয়দ আরিফ।
-
বাঁশখালী বৈলছড়ির সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল সহ অনুসারিরা মুক্তি পেয়েছেন
মোহাম্মদ রেজাউল আজিম (চট্টগ্রাম-বাঁশখালী)প্রতিনিধি
বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বৈলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল আলীম, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সিকদার ও খাদিজাতুল খুবরা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাওঃ এরশাদুল্লাহ সহ মুক্তি পেয়েছেন।
গত ২১ এপ্রিল রোজ বৃহস্প্রতিবার রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এর আগে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করে । বাঁশখালীতে গত বছর সংখ্যালঘুর বসত বাড়ীতে হামলার জের ধরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারিরা গত ৬ মার্চ ২০২২ ইং বাঁশখালী কোর্টে আত্মসমর্পণ করে।
চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারিদের মুক্তিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী সহ বাঁশখালী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকরা। -
বাঁশখালীতে মন্দির ভাংচুর নামের নাটকীয় মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ কারাবাসের পর বাঁশখালী কোর্ট হাজিরায় একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি।
বাঁশখালীতে মন্দির ভাংচুর নামের নাটকীয় মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ কারাবাসের পর বাঁশখালী কোর্ট হাজিরায় একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি।
মোহাম্মদ রেজাউল আজিম (চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রতিনিধি)
গত ১৩/১০/২০২১ ইং কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনার পর বাঁশখালীতে সংঘটিত মিছিল ও সংখ্যালঘুর বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও সকলের জবানবন্দিতে বলেছেন তারা নির্দোষ।
সেই মামলায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান, তাদের এমন নিরাপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেন বাস্তবে কোথায় মিছিল হয়ছে সেও জানে না। যেমন চন্দনাইশ,আনোয়ারা থানা থেকে এনে বাঁশখালী থানায় মামলা দিয়েছে। একজন ইউটিউবারের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হল, বাঁশখালী জলদিতে যে মিছিলটি সংগঠিত হয়েছিল সেই মিছিল আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লাইভ দিয়েছিলাম, তবে সেই মিছিলে কোন ভাংচুর হয়নি আমার জানা মতে, আর সে মিছিলের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত থানার বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসাররা উপস্থিত ছিল, তাদের উপস্থিতিতে কোরআন অবমাননার বিচারের দাবী জানিয়ে মিছিল শেষ করে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। ঘন্টাহানিক পর এমন দূরদর্শী একটি মিছিল এসে পূজা মন্ডপের গেইট ভাঙচুর করে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যারা জলদিতে ভাংচুর করছে, তাদের কেউ গ্রেফতার হয় নাই।এ মামলায় দীর্ঘ কারাবাসের পরে বাঁশখালী জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রথম হাজিরায় সবাই একে অপরের সাথে দেখা পেয়ে আনন্দে ভাগাভাগি করেন। তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সেই মামলার হাজিরায় উপস্থিত ছিল বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম হোসাইনী,মাওলানা মোক্তার সিকদার বড়ঘোনা, মাস্টার জালাল উদ্দিন, মোঃ খোরশেদুল আলম চন্দনাইশ, মোহাম্মদ রেজাউল আজিম প্রমুখ,,,,,,,
-
অধ্যক্ষের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন!
শাবানা খাতুন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গত ১৩/০৪/২০২২ তারিখে নামাজ যোহরের নামাজ শেষে কলেজ ক্যাম্পাস দিয়ে হাঁটার সময় কিছু বহিরাগত ক্যাম্পাসে এলোমেলো বিশৃঙ্খলা এবং অতি দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালালে বিষয়টা অধ্যক্ষ স্যারের নজরে আসে, স্যার বিষয়টা নিয়ে বহিরাগতদের সাথে কথা বলতে যায় এবং মোটরসাইকেলর গতি কমাতে বলতে এক পর্যায় অধ্যক্ষের সাথে বহিরাগতদের হাতাহাতি হয় এবং অধ্যক্ষ স্যার আহত হন!
প্রধান আসামিকে আইনের আওতায় আনা হলেও বাকিদের এখনো ধরা যায় নি!গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমানের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় হামলাকারীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন গাইবান্ধার সাধারণ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে রাস্তায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাগর আহমেদ, মিল্লাত হোসাইন, রবিউল ইসলাম, জাহিদ রায়হান, রায়হান রিফাত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রায়হান সরকার, জান্নাতুল মাওয়া, তিতুমীর প্রধান, গাইবান্ধা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
মানববন্ধনে সবার সাথে একমত ঘোষণা করেন সহকারি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান (শাহিন), সহযোগী অধ্যাপক আনিসা আক্তার বেগম চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিউল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহিম প্রমুখ।
-
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অভিযানে ৩ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অভিযানে ৩ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার
৯ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ ও ১০ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ শনিবার ও রবিবার র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ১। আব্দুল খালেক (৩৭), পিতা-আব্দুল হাকিম, সাং-হাজীপাড়া, পাওয়ার হাউজ, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার; ২। নূর মোহাম্মদ @ রিন্টু (৩২), পিতা-মোঃ সাদেক মিস্ত্রি, সাং-লাইট হাউজপাড়া, ১২ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার; ৩। মামুনুর রশিদ (২২), পিতা-মোঃ ইসমাইল, সাং-পশ্চিম লারপাড়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার’দের গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
-
বিরামপুরে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্টানে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা
বিরামপুরে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্টানে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা
এস এম মাসুদ রানা (বিরামপুর) দিনাজপুর প্রতিনিধি- গতকাল ( ১০মার্চ) দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের পুরাতন বাজারে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সরিষার তেল উৎপাদনের অপরাধে “বিদ্যুৎ অয়েল মিল” কে ২০ হাজার টাকা এবং “বিপ্লব অয়েল মিল” কে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, মমতাজ বেগম,একইসাথে রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলগেট এলাকায় “বেলাল স্টোর” এ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ শত বোতল অবৈধ স্বাস্থ্যহানিকর উত্তেজক সিরাপ জব্দ করেন। এসব সিরাপ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের অপরাধে উক্ত দোকান মালিককে
৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে সিরাপগুলো আগুনে পুরিয়ে ধ্বংস করা হয়।অভিযানগুলোতে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃইসমাইল হোসেন এবং র্যাব-১৩ এর একটি চৌকস দল উপস্থিত ছিলেন।
-
বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার ৪
বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার ৪
এস এম মাসুদ রানাবিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি- বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ১। দায়রা মামলা নং- ১৪৮/০৯ এর আসামী আলমগীর হোসেন, পিতাঃ আফজাল হোসেন, ২। জিআর মামলা নং- ২৬৫/১৭ এর আসামী মাহফুজুর রহমান, পিতা মৃতঃ জমির উদ্দীন, ৩। ST মামলা নং- ৩৫৪/২১ এর আসামী ইসমাইল হোসেন, পিতাঃ মৃত হযরত আলী, সর্বসাং-দক্ষিন দাউদপুর ও ৪। জিআর মামলা নং- ৩৪৮/১৭ এর আসামী সোহেল রানা (৩১), পিতাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী, সাং-পূর্বপাড়া।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) ভোর রাতে ও সকাল বেলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই মাদক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানামূলের আসামী। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে ও সকালে দায়রা মামলা নং-১৪৮/০৯ এর আসামী আলমগীর হোসেন, জিআর মামলা নং- ২৬৫/১৭ এর আসামী মাহফুজুর রহমান, ST মামলা নং- ৩৫৪/২১ এর আসামী ইসমাইল হোসেন ও জিআর মামলা নং- ৩৪৮/১৭ এর আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন সেবা নিন বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
-
সাংবাদিক নিহাদকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
সাংবাদিক নিহাদকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্যা টেরিটরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালাস্টি লোকমান হাকিমকে চরম হেনস্থা করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। রবিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম. ওসমান গণি বলেন, আজিম নিহাদ একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার অনুসন্ধানী রিপোর্ট জনমনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভিডিও পারসনসহ তাকে চরমভাবে হেনস্থা করেন এপিবিএন—১৪ এর সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকী স্বরূপ। তাই অবিলম্বে সাংবাদিক আজিম নিহাদসহ তার ক্যামরা পারসনকে হেনস্থাকারী এপিবিএন—১৪ এর পুলিশ সদস্যদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সংবাদ বর্জনসহ রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার সাংবাদিক সমাজ নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্যঃ একটি প্রতিবেদন করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালিস্ট লোকমান হাকিম গত রোববার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সকালে তারা ক্যাম্প ৮ এবং ৯ এ কাজ করার পর দুপুরের দিকে ক্যাম্প—৪ এর মোচরা বাজার এলাকায় যায়। সেখানে বাজারের সরগরম পরিবেশের ভিডিও ধারণ করছিলেন ক্যামেরাম্যান লোকমান হাকিম। এসময় হঠাৎ এপিবিএনের কনস্টেবল মতিন লোকমানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আরআরআরসির অনুমতি পত্র দেখালেও আজিম নিহাদ ও লোকমানকে গালিগালাজ করে। ওই পুলিশ সদস্যের ভাষ্য—এখানে কিসের আরআরআরসি? আপনি জানেন না ক্যাম্প এখন আমরা (এপিবিএন) নিয়ন্ত্রণ করি? আমাদের পারমিশন ছাড়া কে ঢুকতে বললো আপনাকে? তখন ওয়ারলেসে সিগন্যাল দিয়ে সজিব নামে একজন এসআইকে ডেকে আনলো চেকপোস্টে। এই রকম সাংবাদিক আমার হাত থেকে কত বের হয়েছে হিসেব নেই। ১২ বছর আগে সাংবাদিকদের পড়াইতাম আমি। তিনি বলেন, জানিস আমি চাইলে এখন তোদের রোহিঙ্গা বানিয়ে ক্যাম্পে আটকে রাখতে পারি’? তোদেরকে রোহিঙ্গা বানিয়ে এখানে ফেলে রাখা কোন ব্যাপার না। বিষয়টি অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দৌজা জানালে তিনি ফোনে ওই পুলিশ সদস্যকে দিতে বলেন। কিন্তু পর পর দুইবার কনস্টেবল মতিন কল কেটে দেন। পরে পুলিশ পাহারায় এএসপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে এএসপিও তাদের নাজেহাল করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে সাংবাদিক সমাজ।