Category: আইন আদালত

  • র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ সদস্য আটক

    র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ সদস্য আটক

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, নির্বাহী পরিচালক।

    কক্সবাজারের সদর থানাধীন সুগন্ধা বীচ পয়েন্ট এলাকা হতে র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে সালাউদ্দিন গ্রুপের মূলহোতা সালাউদ্দিনসহ কিশোর গ্যাং ৫ জন আটক করা হয়।

    ১৭ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট বীচে প্রবেশ পথের মূখে রাস্তার উপর কতিপয় অপরাধী মাদক সেবন করে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার জন্য ঘোরাফেরা করছে। তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি পলায়নের চেষ্টাকালে মূলহোতা ১ মোঃ সালাউদ্দিন (৩২), পিতা-আবুল কাশেম, সাং- নাইব্বাবাজ, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে ভাসমান রিক্সা চালক কানাইয়া বাজার, ৬নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার। ২ মোঃ রশিদ উল্লাহ (৩৫), পিতা-মৃত নবী হোসেন, সাং-পাহাড়তলী, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা। ৩ মোঃ জোহার (১৭), পিতা-মনির আহাম্মদ। ৪ মোঃ রফিকুল ইসলাম (১৬), পিতা- মোঃ লাল মিয়া। ৫ মোঃ ইউনুস (১৫), পিতা- দিল মোহাম্মদ, সাং- ইসলামপুর (আব্দুল হকের ঘোনা), ৭ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজারদের ধৃত করে। গভীর রাতে উক্ত স্থানে অবস্থানের কারণ জিজ্ঞাবাসাদে তারা সদুত্তোর দিতে ব্যর্থ হয়। তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশী করে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪টি ড্যাগার ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সকলেই কিশোর গ্যাং এর সদস্য, পেশাদার ছিনতাইকারী, তারা বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন করে, নিজেদের দখলে ছুরি, চাপাতি (অস্ত্র) রেখে বিভিন্ন লোক জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আঘাত দানের মাধ্যেমে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • উখিয়ার ডেইলপাড়া মাদ্রাসার মাঠে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়ার ডেইলপাড়া মাদ্রাসার মাঠে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে পূর্ব ডিগলিয়া পালং ও ডেইলপাড়া বৃহত্তর এলাকার মৌলভীর দোকান রবি টাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন মাদ্রাসার মাঠে  অদ্য ৫ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ শনিবার বিকাল ২ ঘটিকার দিকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মানবপ্রচার রোধে সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং সভা অত্র মাদ্রাসার পরিচালক জনাব মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেবের সভাপতিত্বে এবং উখিয়া থানার এসআই জনাব আবছার এর সঞ্চালনায় জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র হাফেজ মোঃ সৈয়দ হামজার কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

    উক্ত বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স জনাব আহমদ সন্জুর মোর্শেদ।

    বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডের দুই দুইবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, উখিয়া থানার এসআই জনাব আবছার উদ্দিন, এসআই জনাব মনিরুল, এসআই বিকাশ, মোঃ আরিফ, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দফদার জনাব আব্দুল হক আকাশ, আইডিয়াল সোসাইটির সভাপতি জনাব রহমত উল্লাহ আজাদ, গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলী, জনাব সৈয়দ উল্লাহ প্রমুখসহ রাজনীতিবীদ গণ ওলামায়েকেরাম, ছাত্রজনতা ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানের শুরুতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স জনাব আহমদ সন্জুর মোর্শেদ মহোদয় কে ফুল দিয়ে বরন করে নিয়েছেন ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জনাব আলহাজ্ব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী ও ৭নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার।

    এছাড়া আরো প্রধান অতিথি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স ও বিশেষ অতিথি এসআই এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়ার পূর্ব অঞ্চলের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন আদর্শ সমাজ (আইডিয়াল সোসাইটি’র) সভাপতি ও সদস্য বৃন্দ।

    যথাক্রমে প্রধান অতিথি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মানবপ্রচার রোধে চমৎকার বক্তব্য রাখেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    বিশেষ অতিথির মধ্যে বর্তমান সমাজ নিয়ে মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী ও আইডিয়াল সোসাইটির সভাপতি রহমত উল্লাহ আজাদ উচ্চ কন্ঠে নির্ভয়ে সুন্দর বক্তব্য রাখেন।

    সর্বশেষ ৪ ও ৭ দুই ওয়ার্ডের জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথি আলোচনা সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদঃ- রংপুর,

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে,-

    (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা

    (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণু করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন,

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923 এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ব্যাখ্যা।— এই ধারায় ‘‘হ্যাকিং’’ অর্থ—

    (ক) কম্পিউটার তথ্য ভাণ্ডারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিসাধন; বা

    (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি-

    (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার, তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন, বা

    (খ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন, বা

    (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, বা

    (ঘ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, বা

    (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন, বা

    (চ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা উহাতে মদদ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা ৩(তিন) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করিয়া-

    (ক) প্রতারণা করিবার বা ঠকাইবার উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয় ধারণ করেন বা অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজের বলিয়া প্রদর্শন করেন, বা

    (খ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নিজের বলিয়া ধারণ করেন,-

    (অ) নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির সুবিধা লাভ করা বা করাইয়া দেওয়া,

    (আ) কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির স্বার্থ প্রাপ্তি,

    (ই) অপর কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার রূপ ধারণ করিয়া কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার ক্ষতিসাধন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

  • প্রদীপের নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা ঘুরছে আদালতে; প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    প্রদীপের নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা ঘুরছে আদালতে; প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    ওমর ফারুকঃ- কক্সবাজার,

    কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
    লেখালেখির কারনে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তৎকালীন ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত কক্সবাজারের আলোচিত সাংবাদিক দৈনিক কক্সবাজারবানী ও জনতারবানী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬ মিথ্যা মামলা এখনও প্রত্যাহার হয়নি। মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি,অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত: প্রদীপের সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে ফরিদ মোস্তফার দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলাটি আজও রেকর্ড হয়নি।
    ফলে একদিকে নিজের মিথ্যা মামলা অপরদিকে মামলা – হামলায় জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।

    তিনি অভিযোগ করেছেন, মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদ পত্র সম্পাদক পরিষদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছেন দীর্ঘ দিন হচ্ছে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।

    এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা নিজের সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে তার দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিচার বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    ফরিদ বলেন, প্রদীপ সাম্রাজ্যবাদের মাদক ও ঘুষের বিরুদ্ধে লিখেছি বলে প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ায়ীরা পাষবিক নির্যাতন করছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সুবিধা নিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে আর যারা ইয়াবা ব্যবসা করেনি তাদেরকে ক্রসফায়ার করেছে। পুলিশ দেখলে এখন আমার ভয় হচ্ছে। যতগুলো মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়েছে তার অধিকাংশ বলতে ৮০-৯০ ভাগই নিরাপরাধ ছিলেন। এই সকল অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আমি লেখালেখি করায় আমার বিরুদ্ধে লাগে ওসি প্রদীপ। গত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১ টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে প্রদীপের পাঠানো পুলিশ নামধারী বাহীনি আমাকে ধরে নিয়ে টেকনাফ থানায় ঢুকিয়ে দেয়। সমস্ত শরীর উলঙ্গ করে ভিডিও করে নির্মম নির্যাতন চালায়। নির্যাতন কালে পানি চাইলে প্রদীপ প্যান্টের চেইন খুলে আমার (ফরিদের) মুখে প্রসাব করে দেয়। ক্রসফায়ার দিতে উদ্যত হন প্রদীপ। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন। প্রদীপ ৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে টানা ১১ মাস কারাগারে রেখেছে। আমি বর্তমানে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়ে আছি। এই মামলা চালাতে পারছিনা আর।
    কাজেই এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিনা অপরাধে আমার সাজা হবে। আর তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছি তা রেকর্ড না হওয়া মানে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়া। এতে করে দেশের বিচার ব্যবস্থা,ন্যায় বিচার ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহায়তার দাবি করেন।

    এদিকে বিনা অপরাধে সাংবাদিক ফরিদুলের দীর্ঘ কারভোগ,শারীরিক নির্যাতন, মামলা প্রত্যাহার না হওয়া ও জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা সহ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নজিরবিহীন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশী বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ।
    তারা এসব ঘটনার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন দাবীতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছে।
    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে অন্যায় ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে প্রদীপের কাছ থেকে অর্থদন্ড পেতে পারে ফরিদুল মোস্তফা। এটি হবে ন্যায়বিচার। এটা সরকারকেই উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।

    ফরিদের বিষয়টি মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উপর মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন, শীঘ্রই ফরিদুল মোস্তফার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন করা হতে পারে জানিয়ে
    বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আরও বলেন,সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা না থাকলে দেশে সত্য সংবাদ কেউ পরিবেশন করবেনা।
    এতে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি এবং মাদক, ঘুষ,দুর্নীতি বেড়ে আইন শৃংখলার ভয়াবহ অবনতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার আদালতের সামনে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে প্রদীপের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ফরিদুল মোস্তফার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

  • মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- কক্সবাজার,

    দীর্ঘ শুনানি শেষে, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    সোমবার বেলা ১:৫০ মিনিটের দিকে মামলার বাদীনি মেজর সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস আদালতের এজলাসে প্রবেশ করেন। ২:২০ ঘটিকাশ রায় ঘোষণা শেষ হয়।
    রায় ঘোষণার সময় ১৫ জন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিগন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খালাস প্রাপ্ত আসামি গন আনন্দে উৎফুল্ল হন।
    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে এজলাস পরিপূর্ণ উৎসুক আইনজীবী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করা হয়।

    এ সময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডঃ মোহাম্মদ ফরিদুল আলম (পি পি), মোজাফফর আহমদ ( এডিশনাল পি পি), জিয়াউদ্দিন আহমেদ ( এ পি পি), এ্যাডঃ মোহাম্মদ জাহাংগীর, এ্যাডঃ মোহাম্মদ মোস্তফা জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার।
    সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ ঘোষণা দেন।

    আদেশে টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কূমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। এসময় প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে আইনজীবী চন্দন দাস, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
    অপর ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। যাবজ্জীবন কারাদন্ড দোওয়া আসামীরা হচ্ছে, নন্দদুলাল, আয়াজ, নিজাম, নুরুল আমিন, সাগর দেব, রুবেল শর্মা। তাদের পক্ষের আইনজীবী দিলীপ কুমার দাস, আইনজীবী শিফন কুমার, আইনজীবী শামসুল আলম ও উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া অপর ৭ আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া আসামী হচ্চে লিটন মিয়া, সাফানুল করিম, মামুন, শাহজাহান, রাজিব, মাহমুদ, কামাল। তাদের পক্ষের আইনজীবী মমতাজ আহমেদ, আইনজীবী জাকারিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় ডিজিএফআই , র‍্যাবসহ সিভিলে অবস্থানরত আর্মির অফিসারদের আনন্দে উৎফুল্ল দেখা যায়।
    বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার সময় সকাল থেকেই কক্সবাজার আদালতে ছিলেন মামলার বাদীনি শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

    রায়ের পর পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
    মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, যে সাতজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হলো, তারা একেবারে নিরপরাধ নই। তাদের ও কিছু সাজা হতে পারত। রায়ে নয়, রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে বলে জানিয়েছেন।
    দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাসে সন্তুষ্টি নই।
    সারাদিন দেশও বহির্বিশ্ব অবস্থানরত সাধরন মানুষের দৃষ্টি ছিল কক্সবাজার দায়রা ও জজ আদালতের দিকে। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন দ্রূত রায় কার্যকর করে ন্যায়,বিচার নিশ্চিত করা হোক।

    মামলার রায় ঘোষনার পর সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ কূমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।

    গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।
    ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।
    পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

    গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

  • হবিগঞ্জের ফান্দ্রাইলে আফজাল হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১

    হবিগঞ্জের ফান্দ্রাইলে আফজাল হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১

    আব্দুল জাহির মিয়া হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।

    হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের ফান্দ্রাইল গ্রামের পাচ পীরের মাজারে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে আফজাল চৌধুরীর কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায় পুরাতন একটি মসজিদের নাম পরিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় বিআরটিএ অফিসের ড্রাইভার আফজাল চৌধুরী কে হত্যা করা হয়।

    হত্যার ঘটনার পরে র‌্যাবে-৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ ক্যাম্প এর অভিযানে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানাধীন এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী বিজয়কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেন।

    শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) তারিখ ভোর অনুমান ৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-০৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও এএসপি-আব্দুল্লাহ–আল নোমান এর নেতৃত্বে জকিগঞ্জ থানাধীন ইচালিয়া গ্রামের জনৈক আলিম (২৫), পিতা-মোঃ আব্দুস সমেদ এর বসত বাড়ী হইতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় একজন আসামী বিজয় চৌধুরী (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।

    বিজয় চৌধুরী ফান্দ্রাইল গ্রামের তাউছ চৌধুরীর ছেলে।

    পরবর্তীতে গ্রেফারকৃত আসামী’কে হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার মামলা নং ০৬, তারিখ ১২/০১/২০২২, ধারাঃ-১৪৩/১৪৪/৩২৩/৩২৪ /৩২৫ /৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ দঃ বিঃ মূলে হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

  • পটুয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

    পটুয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

    এইচ এম সাইফুল নূর, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:-

    পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করা হয়।

    নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বয়স আনুমানিক ১২ বছর। স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাছিয়াবুনিয়া গ্রামে অবস্থিত দাদা বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো।

    নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর দাদার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় দাদাবাড়ি সংলগ্ন গোমাবুনিয়া খালের পাড় থেকে গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়া আনতে যায় ওই কিশোরী।

    এসময় জোরপূর্বক তাকে টেনেহিঁচড়ে খালের কিনারায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবু সালেহ। এসময় হাতেনাতে কয়েকজন তাকে ধরলেও তাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যায় সে।
    ঘটনার পর রাতেই রাঙ্গাবালী থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করা হয়। পরে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির দাদা বাদি হয়ে একজনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আবু সালেহ মিস্ত্রী (৩৮)। তিনি কাছিয়াবুনিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে। তবে এখনও তিনি গ্রেপ্তার হননি।

    পুলিশ জানায়, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ।

    এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • কলাপাড়ায় পাচারকালে জাটকা ও চাপিলা মাছ আটক

    কলাপাড়ায় পাচারকালে জাটকা ও চাপিলা মাছ আটক

    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ-

    উপজেলার কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ মন জাটকা ও তিন মন চাপিলা মাছ আটক করেছে।
    বুধবার ভোর রাতে কলাপাড়া উপজেলার চাপলীবাজার স্ট্যান্ড থেকে চারটি ডোলে রাখা এ পরিমান মাছ জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
    কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ জানান, কাউয়ার চর সাগর মোহনা থেকে ট্রলারে করে মাছ শিকার করে অন্যত্র পাচারের জন্য রাতের বেলা চাপলী বাজারে এ মাছ নিয়ে আসা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই পরিমান মাছ জব্দ করা হয় । জব্দ করা মাছ বুধবার দুপুরে কলাপাড়া মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন এতিমখানা ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। জব্দ করা মাছের মূল্য আনুমানিক এক লাখ টাকা।
    কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আপু সাহা জানান,
    অবৈধ সুক্ষ্মফাঁসের বেড় ও নেট জাল দিয়ে জাটকা ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু শিকার বন্ধে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
    ##
    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া
    ১২.১.২০২২

  • হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    আব্দুল জাহির মিয়া হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে তেলিয়াপাড়া (হরষপুর) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এস,আই মোঃজাকারিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদ ভিত্তিতে সুরমা চা বাগানের ২০ নং লালটিলার সামনে থেকে ৪৬ কেজি গাজা সহ তিন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করেন।

    রবিবার ৯ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ রাত ১২.৫ ঘঠিকার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৬টা প্লাস্টিকের মোড়ানো বস্তা থেকে ৪৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী দের গ্রেফতার করেন।

    গ্রেফতারকৃতরা সুরমা চা বাগানের মৃত চন্দ্র প্রধানের ছেলে
    রবি প্রধান(২৫) রবি মুন্ডার ছেলে প্রদীপ মুন্ডা(২২) ও মৃত বিম রাজ প্রধানের ছেলে সুমন রাজ প্রধান।

    আটককৃতদের বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচর্জ আঃ রাজ্জাক তিনি জানান
    মাদক ব্যবসায়ী দের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
    মাদক আইনে মামলা দায় করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

  • কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ১ টি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার-২

    কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ১ টি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার-২

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    অদ্য ৭ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ শুক্রবার রাত ১.১৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকষ টিম পৌরসভাস্হ লালদীঘিরপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী ১, তারেক (২০), পিতা- মোহাম্মদ হেলাল, সাং-আদর্শ গ্রাম ২, ইয়াসিন আরাফাত(১৭), পিতা- আব্দুর রহিম, সাং-জেলগেট থানা ও জেলা কক্সবাজারদ্বয়ের হেফাজত হতে ০১(এক)টি এক নালা দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক ও ০১ (এক) রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে উপস্থিত স্থানীয় জনগণ ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।