Category: আন্তর্জাতিক সংস্থা

  • বাল্য বিবাহ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন

    বাল্য বিবাহ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন

    আবদুল্লাহ আল যোবাইর উখিয়া, কক্সবাজারঃ-

    উখিয়া উপজেলা ইয়ুথ এ্যাম্বেসেডর গ্রুপের উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় ” বাল্য বিবাহ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে অদ্য সকাল ১১: ০০ ঘঠিকায় উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে ।

    সংঘাত নয় ,ঐক্যের বাংলাদেশ চাই,এই স্লোগানকে ধারণ করে ,বহুদলীয় ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে উখিয়া
    ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর গ্রুপ।
    উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ উখিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব আলম লিপি। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উখিয়া ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল যোবাইর। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব কামরুন্নেসা বেবী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পিএফজির কো- আর্ডিনেটর ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ সিকদার। অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , উক্ত পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলিলুর রহমান শাহীন। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন পাতাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন , জয়েন্ট কো – অর্ডিনেটর মোঃ ইবনে আলম কাফি ও সুমাইয়া সারমিন , সুশীল সমাজের সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম , জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক ওমর ফারুক , মোঃ নোমান প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন , বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হলে সমাজের সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। বাল্য বিবাহের জন্য কিশোর প্রেম হল বড় সমস্যা। তাই ছাত্র ছাত্রীদের প্রেমে জড়িয়ে পড়া যাবেনা। এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে, এবং পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হবে। নারীদেরকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে ,নারীদের সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হলে অভিভাবকদের ও সচেতন হতে হবে। সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি জয়নাব আলম লিপির আলোচনা সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভা শেষ হয় । উল্লেখ্য, আলোচনা সভার শেষে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও সংঘাত মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান ।

  • রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ০৩ টায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় রামু উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ- পিএফজির উদ্যোগে উক্ত উপজেলার মিলনায়তনে রামুতে বসবাসরত সকল ধর্মের অনুসারীদের অংশগ্রহণে রামুর বিদ্যমান সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে এক আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। রামু উপজেলা পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সভাপতি মোহাম্মদ আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম। সভায় আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সমগ্র বাললাদেশের মধ্যে রামু উপজেলা তার বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতির জন্য আলাদাভাবে পরিচিত। হাজার বছর ধরে এখানকার মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে চলেছে। কিন্তু ২০১২ সালে কতিপয় দুস্কৃতিকারী এখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা করে রামুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার পায়তারা করে। সাম্প্রতিক সময়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘূরা। এমতাবস্থায় রামুতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রামুর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় পাড়ায় পাড়ায় সকল ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন। অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রামু উপজেলার চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সুরেশ বরুয়া বাঙ্গালী, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার সভাপতি নুরুল হাকিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার আহ্বায়ক সুজন শর্মা, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সহ সভাপতি হোসনে আরা বেগম, সোশ্যাল এইডের চেয়ারম্যান প্রসূণ বড়ুয়া, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নিশাত আক্তার মুন্নি, রামু উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল আলম, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, প্রমুখ। এছাড়াও সভার মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মাওলানা বখতিয়ার আহমদ ও মাওলানা হেফাজতুর রহমান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সজল ব্রাহ্মণ চৌধুরী ও প্রকাশ শিকদার, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তাপস সেন বড়ুয়াও শরণ সেন বড়ুয়া প্রমুখ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি রামুর সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল ও তরুণ সমাজের নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রামুর চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আরো গতিশীল রাখার বিষয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

  • কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজার সদরে পিএফজির উদ্যোগে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার।

    সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএফজি সদস্যদের উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    অদ্য বিকাল ০৩ টায় কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিস এ্যাম্বাসেডর ডিস্ট্রিক্ট নেটওয়ার্ক-পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মো. মঞ্জুর আলমের স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে। এরপর নারীর প্রতি সহিংসতার বর্তমান অবস্থা, কারণ, ধরণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে এম রমজান আলী। তারপর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনগত দিকগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান রেজা।

    এসময় তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে রাষ্ট্র বিভিন্ন আইনগত সহায়তা নারীদেরকে দিচ্ছে। তারপরও নারীর প্রতি সহিংসতা থেমে নেই। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পরবর্তীতে সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশি সহায়তার বিষয়ে কথা বলে কক্সবাজার জর্জ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. সারোয়ার আলম। এসময় তিনি সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন সেবার তথ্য উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।

    সভায় আগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য আয়েশা সিরাজ, কক্সবাজার জেলা মহিলা লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনাজ তাহেরা, কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা মোর্শেদ আইভী, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর প্রদান শিক্ষক ছৈয়দ করিম, সাংবাদিক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী, জোসনা ইকবাল, জাফর আলম দিদার, বুলবুল ই জান্নাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    এসময় বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন হল বাবা-মা, অন্য কোন অভিভাবক, বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী বা অন্য কারো দ্বারা কোন নারীর প্রতি শারীরিক, যৌন বা মানসিক দুর্ব্যবহার করা বা নারীকে অবহেলা করা। আর বর্তমান সময়ে আমাদের অতি আদরের মেয়ে সন্তানদের বা মা-বোনদের উপর এ ধরণের নিপীড়ন এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা আর কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় পরিবার ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে না আসলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই আলোর মুখ দেখবেনা। তারা অন্ধকারেই থেকে যাবে।

    আরো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের ও এগিয়ে আসতে হবে। প্রেম বা বন্ধুত্বের নামে কেউ যাতে ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভার শেষ পর্যায়ে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার জেলার শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন আজ নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছ। শহরে, গ্রামে, পাহাড়ে, সমতলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে নৃশংস নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন শিশু এবং নারী। এ অবস্থাকে আর সহ্য করা যাচ্ছেনা। এপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ষক ও নিপীড়ন কারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিহত করার জন্য প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় নির্দেশনার বাস্তবায়ন পূর্ণ মাত্রায় ঘটাতে হবে। পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার পিএডিএন’র প্রধান উপদেষ্টা মঞ্জুর আলমের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

  • উখিয়ায় ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন।

    উখিয়ায় ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন।

    ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

    সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপী ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং আজ ২৩ আগস্ট,২০২২ সম্পন্ন হয়।

    সকাল ১০ টা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত উখিয়ার সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ও সুশীল সমাজের ছাত্র প্রতিনিধিদগন নিয়ে উখিয়া পিএফজির তত্বাবধানে উখিয়া গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।

    প্রশিক্ষণটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মুহাম্মদ আব্দুর রব খান।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর সিনিয়র সাংবাদিক শাহ্ মোহাম্মদ জাহেদ ও দৈনিক যায়যায়দিন এর উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর উখিয়া উপজেলা সংবাদাতা সাংবাদিক ফারুক আহমেদ সহ প্রমুখ।

    অন্যদিকে উক্ত ট্রেনিং এ প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের এসপিএল প্রজেক্টের সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজী নিশাত, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারি, পার ইউনিটের প্রধান সোহেল রানা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাঈনুল ইসলাম।

    মূলত তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রনেতাদেরকে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণটির আয়োজন করা হয়।

    প্রশিক্ষেনে এক পর্যায়ে পরিচয়? শান্তি কী? গণতন্ত্র কী? গণতন্ত্র করতে আমাদের কি কি প্রয়োজন সহ শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন? উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়

    এই বিষয়ে প্রশিক্ষকদের সাথে ছাত্র নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। পাশাপাশি তারা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে হরতাল, অবরোধ, জালাও পোড়াও, হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবিধা দেয়ার নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে না জড়ানো, সকল নির্বাচনে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা, সকল সরকারী অধীদপ্তরে দূর্নীতিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, রাজনৈতিক দলের বৈষম্য দূর করা, বিগত দিনের রাজনৈতিক দন্দ ভুলে গিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি গড়ার বিষয়ে তারা সরকার, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান